Ajker Patrika

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি

আব্দুল্লাহ সাদমান জামী
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪: ৩৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছ, তবে যারা এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি কীভাবে নিলে সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া যাবে, সেটি নিয়ে দ্বিধায় ভুগছ, তাদের জন্য আমার ভর্তি পরীক্ষার আলোকে এবং বিগত বছরগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইচ্ছুক প্রার্থীদের পড়ানোর অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু কথা শেয়ার করব তোমাদের সঙ্গে। 

মান বণ্টন আগের মতোই
এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা বিভাগ এবং বিভাগ পরিবর্তন, অর্থাৎ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা প্রথমবারের মতো একসঙ্গে হবে। তবে উভয় অনুষদেই যেহেতু বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষাই নেওয়া হয়ে থাকে, তাই প্রশ্নপত্রে খুব বেশি পরিবর্তন হয়তো আসবে না। মান বণ্টন বিগত বছরগুলোর মতোই আছে; অর্থাৎ ৬০ মার্কের এমসিকিউ পরীক্ষা এবং ৪০ মার্কের লিখিত পরীক্ষা হবে, বাকি ২০ পরীক্ষার ফলাফলের ওপরে। তবে এমসিকিউ পরীক্ষায় নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি মার্ক পেলে তবেই সেই শিক্ষার্থীর লিখিত খাতা মূল্যায়ন করা হয়। তাই ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশে ভালো করাটা প্রথম শর্ত। দ্বিতীয়ত, ভালো সাবজেক্ট পেতে গেলে বাংলা ও ইংরেজিতে বেশ ভালো নম্বর পেতে হয়। লিখিত অংশে ভালো করাটা জরুরি হয়ে ওঠে মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকার জন্য, কারণ শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকার প্রথম দিকের সাবজেক্টগুলো খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। 

বহুনির্বাচনি পরীক্ষার প্রস্তুতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত তিন থেকে চার বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পাঠ্যবইভিত্তিক প্রশ্ন অনেক বেশি আসছে। যেমন ইংরেজিতে গ্রামারের চেয়ে পাঠ্যবইয়ের ভেতরের প্রশ্নকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের বলব, বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্যবই লাইন বাই লাইন পড়তে, গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলো দাগিয়ে রাখতে। কারণ শর্ট সিলেবাস হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়ছে কি না, সেটি বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নপত্রে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। প্রথমেই বলি ইংরেজির কথা। ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসের চাপ্টারগুলোর শব্দার্থ এবং সেগুলোর পার্টস অব স্পিচ, এমনকি গ্রামাটিক্যাল প্রশ্ন বইয়ের ভেতর থেকে করার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। গ্রামারের মধ্যে Identification of Parts of Speech, Voice, Narration, right form of verbs, subject verb agreement এগুলোর ওপরে খুবই ভালো দখল থাকতে হবে। এগুলো থেকে যেকোনো ধরনের প্রশ্ন এলে সমাধান করার দক্ষতা যেন শিক্ষার্থীর থাকে। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় কত কম সময়ে কত বেশি প্রশ্নের উত্তর করতে পারছ, মূলত সেটিই ঠিক করে দেয় ভর্তি পরীক্ষায় তোমার অবস্থান। তাই যে টপিক পড়বে, সে বিষয়ের বিগত বছরের প্রশ্নগুলো তুমি কত দ্রুত সময়ে সলভ করতে পারছ, সেটি ঘড়ি ধরে নিজে মূল্যায়ন করবে। সাধারণ জ্ঞানে আমরা দেখছি মানবিকের মৌলিক বিষয়গুলো থেকে অনেক বেশি প্রশ্ন আসছে, যেমন—অর্থনীতি ও পৌরনীতির পাঠ্যবই থেকে বিগত বছরের পরীক্ষায় অনেকগুলো প্রশ্ন এসেছে, যা মূলত আগের বছরগুলোতে দেখা যায়নি। তাই বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির বিষয়গুলো, সাম্প্রতিকের তথ্য পড়ার পাশাপাশি মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়াটা খুবই জরুরি। 

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
লিখিত পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি যেটি থাকে সেটি হচ্ছে, পরীক্ষায় বোধ হয় পূর্ণাঙ্গ মার্কস পাওয়া সম্ভব না। লিখিত পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং বিষয়টি হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করে আসতে পারা।

বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন কমন পাওয়ার পরেও সব লিখে আসতে পারেনি শুধু সময়ের অভাবে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অফিশিয়াল সার্কুলার অনুযায়ী ইংরেজি ও বাংলার লিখিত অংশগুলো টপিক ধরে ধরে প্রতিদিন বেশ সময় নিয়ে প্র্যাকটিস করা উচিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিতর জন্য যতটুকু জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং যতটুকু সময় দেওয়া হয়, সেটিকেই মডেল হিসেবে ধরে নিয়ে প্র্যাকটিস করলে লিখিত পরীক্ষায় পূর্ণাঙ্গ মার্কস অর্জন অবশ্যই সম্ভব।

তুমি পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিশ্রম করলে পরীক্ষার হলে ভালো না করার কোনো কারণই নেই। যারা নিজেদের স্বপ্নের পেছনে শক্তভাবে লেগে থাকে, বিজয়ীদের দলে তাদের অবস্থান সুনিশ্চিত

ইংরেজি অংশের ক্ষেত্রে ট্রান্সলেশন, সেনটেন্স মেকিং, প্যারাগ্রাফ রাইটিং—এগুলো বেশি আসতে দেখা গেছে। পাশাপাশি কম্প্রিহেনশন, এক্সপ্লানেশন, রি-এরেঞ্জিং এবং ট্রান্সফরমেশন অব সেনটেন্সের ওপরে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

বাংলা লিখিতর ক্ষেত্রে বানান শুদ্ধি ও প্রমিতকরণ, মূলভাব লিখন, কবিতার উদ্ধৃতি ব্যাখ্যা, অনুবাদ, সংক্ষিপ্ত অনুচ্ছেদ লেখন, মিলকরণ ইত্যাদি পড়ে যাওয়া জরুরি। 

কেমন হবে পরীক্ষার রুটিন
পরীক্ষার রুটিন করার আগে মূলত নিজের কোন বিষয়ে দক্ষতা বেশি আর কোন বিষয়ে দক্ষতা কম, সেটি নিজেই অ্যানালাইসিস করা জরুরি। সেই অনুযায়ী যে বিষয়ে দুর্বলতা বেশি, সেটির জন্য রুটিনে বেশি সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। যেমন ইংরেজি প্রশ্নপত্র যেহেতু মার্ক ওঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বলে বিবেচিত হয়, এ ক্ষেত্রে দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ইংরেজিতে সময় দেওয়া খুবই জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০-১৫ বছরের প্রশ্ন পড়লে প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কেও দ্বিধাদ্বন্দ্ব অনেকটা দূর হয়ে যায়; বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় কোন কোন টপিক থেকে কোন প্রশ্ন বেশি করে থাকে, সেটি নিজেই তুমি অনুধাবন করতে পারবে। তাই বেশ কয়েকবার প্রশ্ন ব্যাংক সমাধান করাটা জরুরি। সবশেষে বলব, প্রস্তুতি যখন একটা মোটামুটি জায়গায় চলে আসবে, তখন একটা মডেল টেস্টের বই কিনে নিজে নিজে পরীক্ষা দাও ঘড়ি ধরে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সময় সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে, অন্যের প্রস্তুতির সঙ্গে তুলনা করা খুব বেশি সুবিধাজনক কিছু বয়ে নিয়ে আসে না, কারণ একেকজনের একেক বিষয়ে দক্ষতার স্তর একেক রকম হয়। তাই নিজের শক্তি এবং দুর্বলতাগুলো বিশ্লেষণ করে সেখানে নিয়মিত সময় দিতে পারলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর অধরা থাকবে না।

নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধে জয়!
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মানসিক চাপ থাকে অনেক। এ সময় শিক্ষার্থীদের খুব কম সময়ে অনেক বেশি পড়াশোনা করতে হয় এবং অনেক মানুষের প্রত্যাশার চাপ তাদের জন্য অনেক সময় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। মনে রাখতে হবে, এই সময় নিজেকে মানসিকভাবে সতেজ রাখাটা অনেক বেশি জরুরি। তুমি পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিশ্রম করলে পরীক্ষার হলে ভালো না করার কোনো কারণই নেই। কারণ দিনান্তে যারা নিজেদের স্বপ্নের পেছনে শক্তভাবে লেগে থাকে, বিজয়ীদের দলে তাদের অবস্থান সুনিশ্চিত। 

আব্দুল্লাহ সাদমান জামী, ২য় স্থান, ডি ইউনিট, ঢাবি (২০১৭-১৮)

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৮
শহীদ শরিফ ওসমান হাদীর হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা: ছবি সংগৃহীত
শহীদ শরিফ ওসমান হাদীর হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা: ছবি সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন দিনে ৫ পরীক্ষা বিপাকে শিক্ষার্থীরা

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের স্থগিত ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর
  • একই দিন এমআইএসটির ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটেরও পরীক্ষা আছে
  • ২৬ ডিসেম্বর হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা
  • অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ডিসেম্বর
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

তিন দিনের ব্যবধানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, একই সময়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পড়ায় অনেকে বাধ্য হয়ে একটি বা একাধিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হারাতে পারেন।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায়। একই দিনে সকালে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভর্তি পরীক্ষা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এটি বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা না হলেও একই দিনে এমআইএসটির ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা থাকায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সকালে এমআইএসটির পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনেকের পক্ষেই কঠিন হবে। এই দিনে এমআইএসটির আর্কিটেকচার বিভাগের বিকেলের শিফটে যাঁদের পরীক্ষা রয়েছে, তাঁদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

এর আগের দিন ২৬ ডিসেম্বর হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা। এই দিনে বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগেও ভর্তি পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষাই বিজ্ঞান বিভাগের হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পরপর দুই দিনে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ ছাড়া ২৮ ডিসেম্বর হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-জেইউ ভর্তি পরীক্ষা। এতে বিজ্ঞান বিভাগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, টানা তিন দিন পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা তাঁদের ওপর বাড়তি মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি করবে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থী মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘একই দিনে একাধিক ভর্তি পরীক্ষা কোনোভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ আগে থেকে নির্ধারিত ছিল, তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানাচ্ছি।’

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বলেন, ‘অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে আমাদের তেমন সমস্যা নেই। শুধু এমআইএসটির পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কাজ করেছি।’

উল্লেখ্য, জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণার কারণে ২০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষ ২৭ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের স্থগিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষিত নতুন সময়সূচি অনুযায়ী বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ইউনিটের ঢাকার বাইরের যেসব পরীক্ষার্থীর আগামী ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আছে এবং যাদের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে, সেসব শিক্ষার্থী আজ ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ২৩ ডিসেম্বর রাত ১২টার মধ্যে ঢাকায় কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইন আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের কপি আপলোড করতে হবে।

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ

জাবি প্রতিনিধি 
আজ সকাল ৯টায় পরীক্ষায় বসেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল ৯টায় পরীক্ষায় বসেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক অনুষদ, আইন অনুষদ ও তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) পরীক্ষা দিয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলো।

এবার সাত ইউনিটের ১ হাজার ৮৪২টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী। এতে একটি আসনের জন্য ১১৯ শিক্ষার্থী লড়াই করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমকে সভাপতি করে ৪৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৫০ জন পুলিশ, ৬০ জন আনসার, ট্রাফিক পুলিশ এবং গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। যেকোনো ধরনের জরুরি চিকিৎসাব্যবস্থার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল টিম মোতায়েন থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত