Ajker Patrika

সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার

অধ্যাপক ড. মঞ্জুর হাসান
সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত বা যারা নৌপথে তখনকার পরাশক্তি ছিল, যেমন পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রগুলো—এসব রীতিনীতিকেই আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র আইনকে একটি পরিপূর্ণ আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অবশেষে ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রসহ অল্প কয়েকটি রাষ্ট্র ছাড়া উপস্থিত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সমুদ্র-সংক্রান্ত মূল আইন হিসেবে সমুদ্র আইন কনভেনশনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটিকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে গ্রহণ করেন। 

যেখানে পড়ানো হয় 
উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যেকোনো শাখার অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাক্রম ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মেরিটাইম ল’ বা সমুদ্র আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।

২০১৩ সালে দেশের একমাত্র এবং পৃথিবীর ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি বিভাগে ২০১৫ সালে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়।

পঠন-পাঠন
বিভাগের নাম মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি হলেও এ বিভাগে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত আইনই পড়ানো হয় না। বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মতোই আইনের সব বিষয়েই পাঠদান করা হয়। যেমন আইন বিজ্ঞান, সাংবিধানিক আইন, মুসলিম আইন, হিন্দু আইন, প্রশাসনিক আইন, ভূমি আইন, কোম্পানি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, বাণিজ্যিক আইন, সাইবার আইন, শ্রম আইন, পরিবেশ আইন, ন্যায়পরতার আইন, আয়কর আইন, তামাদি আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও আইনগত সহায়তা আইন, অপরাধ বিজ্ঞান, দণ্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, আন্তর্জাতিক আইন, সমুদ্র আইন, অ্যাডমিরালটি আইন, মেরিন ইনস্যুরেন্স আইন, সমুদ্র পরিবেশ আইন, শিপিং আইন, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, আন্তর্জাতিক সংগঠন আইন, আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ইত্যাদি। 

গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
সমুদ্র আইন গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমান সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। কারণ বর্তমান পৃথিবী সুনীল অর্থনীতির পৃথিবী। যে কারণে শুধু সমুদ্র আইনই নয়, সমুদ্র-সংক্রান্ত সব বিষয়েই জ্ঞান আহরণ জরুরি। এ মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে পাঁচ শতাধিক বিরোধ রয়েছে।

এ ছাড়া সমুদ্রপথে জলদস্যু কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়ে থাকে। আবার প্রতিদিনই সমুদ্রপথে এক দেশ
থেকে আরেক দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে। অনেক সময় এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে থাকে। সুতরাং এসব বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা যেমন মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। 

চাকরির সুযোগ
সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা মানেই যে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ থাকবে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। সাধারণ আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে যেমন একজন আইনের স্নাতক বিচারক, আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা, আইন উপদেষ্টা হতে পারেন, তেমনি বাংলাদেশে একজন মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের স্নাতকও ঠিক সে সুযোগগুলো পেয়ে থাকবেন।

উপরন্তু সমুদ্র আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণ আইন বিষয়ের স্নাতকদের থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকবেন; যেমন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইন শিক্ষা কোর, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে আইন কর্মকর্তা, দেশের শিপইয়ার্ডগুলোতে আইন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মেরিন অ্যাকাডেমিতে আইন কর্মকর্তা ইত্যাদি।

বর্তমানে সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে বিস্তর গবেষণা চলছে এবং এসব গবেষণা করার জন্য উন্নত দেশগুলোতে সমুদ্রবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। সমুদ্র আইনের স্নাতকদের এসব প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল এবং সমুদ্রবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। 

অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচনে প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৪ দফা দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৪
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা। ‎

‎এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ ‎বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’ ‎

‎সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’ ‎

এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা। ‎

‎শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ ‎

‎চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: জকসু নির্বাচন পিছিয়ে ৬ জানুয়ারি

জবি প্রতিনিধি‎
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‎‎আজ ‎মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎

‎তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

‎শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।

সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫০
খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’

পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।

বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।

এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচন স্থগিত, ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

‎আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।

‎গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

‎সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি। ‎

‎এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।

‎‎তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত