অধ্যাপক ড. মঞ্জুর হাসান

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত বা যারা নৌপথে তখনকার পরাশক্তি ছিল, যেমন পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রগুলো—এসব রীতিনীতিকেই আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র আইনকে একটি পরিপূর্ণ আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অবশেষে ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রসহ অল্প কয়েকটি রাষ্ট্র ছাড়া উপস্থিত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সমুদ্র-সংক্রান্ত মূল আইন হিসেবে সমুদ্র আইন কনভেনশনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটিকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে গ্রহণ করেন।
যেখানে পড়ানো হয়
উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যেকোনো শাখার অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাক্রম ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মেরিটাইম ল’ বা সমুদ্র আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে দেশের একমাত্র এবং পৃথিবীর ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি বিভাগে ২০১৫ সালে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়।
পঠন-পাঠন
বিভাগের নাম মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি হলেও এ বিভাগে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত আইনই পড়ানো হয় না। বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মতোই আইনের সব বিষয়েই পাঠদান করা হয়। যেমন আইন বিজ্ঞান, সাংবিধানিক আইন, মুসলিম আইন, হিন্দু আইন, প্রশাসনিক আইন, ভূমি আইন, কোম্পানি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, বাণিজ্যিক আইন, সাইবার আইন, শ্রম আইন, পরিবেশ আইন, ন্যায়পরতার আইন, আয়কর আইন, তামাদি আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও আইনগত সহায়তা আইন, অপরাধ বিজ্ঞান, দণ্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, আন্তর্জাতিক আইন, সমুদ্র আইন, অ্যাডমিরালটি আইন, মেরিন ইনস্যুরেন্স আইন, সমুদ্র পরিবেশ আইন, শিপিং আইন, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, আন্তর্জাতিক সংগঠন আইন, আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ইত্যাদি।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
সমুদ্র আইন গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমান সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। কারণ বর্তমান পৃথিবী সুনীল অর্থনীতির পৃথিবী। যে কারণে শুধু সমুদ্র আইনই নয়, সমুদ্র-সংক্রান্ত সব বিষয়েই জ্ঞান আহরণ জরুরি। এ মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে পাঁচ শতাধিক বিরোধ রয়েছে।
এ ছাড়া সমুদ্রপথে জলদস্যু কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়ে থাকে। আবার প্রতিদিনই সমুদ্রপথে এক দেশ
থেকে আরেক দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে। অনেক সময় এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে থাকে। সুতরাং এসব বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা যেমন মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা মানেই যে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ থাকবে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। সাধারণ আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে যেমন একজন আইনের স্নাতক বিচারক, আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা, আইন উপদেষ্টা হতে পারেন, তেমনি বাংলাদেশে একজন মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের স্নাতকও ঠিক সে সুযোগগুলো পেয়ে থাকবেন।
উপরন্তু সমুদ্র আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণ আইন বিষয়ের স্নাতকদের থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকবেন; যেমন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইন শিক্ষা কোর, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে আইন কর্মকর্তা, দেশের শিপইয়ার্ডগুলোতে আইন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মেরিন অ্যাকাডেমিতে আইন কর্মকর্তা ইত্যাদি।
বর্তমানে সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে বিস্তর গবেষণা চলছে এবং এসব গবেষণা করার জন্য উন্নত দেশগুলোতে সমুদ্রবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। সমুদ্র আইনের স্নাতকদের এসব প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল এবং সমুদ্রবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত বা যারা নৌপথে তখনকার পরাশক্তি ছিল, যেমন পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রগুলো—এসব রীতিনীতিকেই আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র আইনকে একটি পরিপূর্ণ আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অবশেষে ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রসহ অল্প কয়েকটি রাষ্ট্র ছাড়া উপস্থিত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সমুদ্র-সংক্রান্ত মূল আইন হিসেবে সমুদ্র আইন কনভেনশনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটিকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে গ্রহণ করেন।
যেখানে পড়ানো হয়
উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যেকোনো শাখার অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাক্রম ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মেরিটাইম ল’ বা সমুদ্র আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে দেশের একমাত্র এবং পৃথিবীর ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি বিভাগে ২০১৫ সালে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়।
পঠন-পাঠন
বিভাগের নাম মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি হলেও এ বিভাগে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত আইনই পড়ানো হয় না। বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মতোই আইনের সব বিষয়েই পাঠদান করা হয়। যেমন আইন বিজ্ঞান, সাংবিধানিক আইন, মুসলিম আইন, হিন্দু আইন, প্রশাসনিক আইন, ভূমি আইন, কোম্পানি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, বাণিজ্যিক আইন, সাইবার আইন, শ্রম আইন, পরিবেশ আইন, ন্যায়পরতার আইন, আয়কর আইন, তামাদি আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও আইনগত সহায়তা আইন, অপরাধ বিজ্ঞান, দণ্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, আন্তর্জাতিক আইন, সমুদ্র আইন, অ্যাডমিরালটি আইন, মেরিন ইনস্যুরেন্স আইন, সমুদ্র পরিবেশ আইন, শিপিং আইন, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, আন্তর্জাতিক সংগঠন আইন, আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ইত্যাদি।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
সমুদ্র আইন গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমান সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। কারণ বর্তমান পৃথিবী সুনীল অর্থনীতির পৃথিবী। যে কারণে শুধু সমুদ্র আইনই নয়, সমুদ্র-সংক্রান্ত সব বিষয়েই জ্ঞান আহরণ জরুরি। এ মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে পাঁচ শতাধিক বিরোধ রয়েছে।
এ ছাড়া সমুদ্রপথে জলদস্যু কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়ে থাকে। আবার প্রতিদিনই সমুদ্রপথে এক দেশ
থেকে আরেক দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে। অনেক সময় এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে থাকে। সুতরাং এসব বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা যেমন মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা মানেই যে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ থাকবে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। সাধারণ আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে যেমন একজন আইনের স্নাতক বিচারক, আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা, আইন উপদেষ্টা হতে পারেন, তেমনি বাংলাদেশে একজন মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের স্নাতকও ঠিক সে সুযোগগুলো পেয়ে থাকবেন।
উপরন্তু সমুদ্র আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণ আইন বিষয়ের স্নাতকদের থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকবেন; যেমন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইন শিক্ষা কোর, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে আইন কর্মকর্তা, দেশের শিপইয়ার্ডগুলোতে আইন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মেরিন অ্যাকাডেমিতে আইন কর্মকর্তা ইত্যাদি।
বর্তমানে সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে বিস্তর গবেষণা চলছে এবং এসব গবেষণা করার জন্য উন্নত দেশগুলোতে সমুদ্রবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। সমুদ্র আইনের স্নাতকদের এসব প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল এবং সমুদ্রবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
অধ্যাপক ড. মঞ্জুর হাসান

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত বা যারা নৌপথে তখনকার পরাশক্তি ছিল, যেমন পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রগুলো—এসব রীতিনীতিকেই আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র আইনকে একটি পরিপূর্ণ আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অবশেষে ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রসহ অল্প কয়েকটি রাষ্ট্র ছাড়া উপস্থিত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সমুদ্র-সংক্রান্ত মূল আইন হিসেবে সমুদ্র আইন কনভেনশনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটিকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে গ্রহণ করেন।
যেখানে পড়ানো হয়
উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যেকোনো শাখার অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাক্রম ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মেরিটাইম ল’ বা সমুদ্র আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে দেশের একমাত্র এবং পৃথিবীর ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি বিভাগে ২০১৫ সালে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়।
পঠন-পাঠন
বিভাগের নাম মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি হলেও এ বিভাগে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত আইনই পড়ানো হয় না। বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মতোই আইনের সব বিষয়েই পাঠদান করা হয়। যেমন আইন বিজ্ঞান, সাংবিধানিক আইন, মুসলিম আইন, হিন্দু আইন, প্রশাসনিক আইন, ভূমি আইন, কোম্পানি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, বাণিজ্যিক আইন, সাইবার আইন, শ্রম আইন, পরিবেশ আইন, ন্যায়পরতার আইন, আয়কর আইন, তামাদি আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও আইনগত সহায়তা আইন, অপরাধ বিজ্ঞান, দণ্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, আন্তর্জাতিক আইন, সমুদ্র আইন, অ্যাডমিরালটি আইন, মেরিন ইনস্যুরেন্স আইন, সমুদ্র পরিবেশ আইন, শিপিং আইন, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, আন্তর্জাতিক সংগঠন আইন, আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ইত্যাদি।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
সমুদ্র আইন গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমান সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। কারণ বর্তমান পৃথিবী সুনীল অর্থনীতির পৃথিবী। যে কারণে শুধু সমুদ্র আইনই নয়, সমুদ্র-সংক্রান্ত সব বিষয়েই জ্ঞান আহরণ জরুরি। এ মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে পাঁচ শতাধিক বিরোধ রয়েছে।
এ ছাড়া সমুদ্রপথে জলদস্যু কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়ে থাকে। আবার প্রতিদিনই সমুদ্রপথে এক দেশ
থেকে আরেক দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে। অনেক সময় এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে থাকে। সুতরাং এসব বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা যেমন মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা মানেই যে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ থাকবে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। সাধারণ আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে যেমন একজন আইনের স্নাতক বিচারক, আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা, আইন উপদেষ্টা হতে পারেন, তেমনি বাংলাদেশে একজন মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের স্নাতকও ঠিক সে সুযোগগুলো পেয়ে থাকবেন।
উপরন্তু সমুদ্র আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণ আইন বিষয়ের স্নাতকদের থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকবেন; যেমন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইন শিক্ষা কোর, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে আইন কর্মকর্তা, দেশের শিপইয়ার্ডগুলোতে আইন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মেরিন অ্যাকাডেমিতে আইন কর্মকর্তা ইত্যাদি।
বর্তমানে সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে বিস্তর গবেষণা চলছে এবং এসব গবেষণা করার জন্য উন্নত দেশগুলোতে সমুদ্রবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। সমুদ্র আইনের স্নাতকদের এসব প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল এবং সমুদ্রবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত বা যারা নৌপথে তখনকার পরাশক্তি ছিল, যেমন পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রগুলো—এসব রীতিনীতিকেই আইন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
পরবর্তী সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র আইনকে একটি পরিপূর্ণ আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অবশেষে ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রসহ অল্প কয়েকটি রাষ্ট্র ছাড়া উপস্থিত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সমুদ্র-সংক্রান্ত মূল আইন হিসেবে সমুদ্র আইন কনভেনশনে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটিকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে গ্রহণ করেন।
যেখানে পড়ানো হয়
উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যেকোনো শাখার অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাক্রম ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মেরিটাইম ল’ বা সমুদ্র আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে দেশের একমাত্র এবং পৃথিবীর ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি বিভাগে ২০১৫ সালে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়।
পঠন-পাঠন
বিভাগের নাম মেরিটাইম ল’ অ্যান্ড পলিসি হলেও এ বিভাগে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত আইনই পড়ানো হয় না। বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মতোই আইনের সব বিষয়েই পাঠদান করা হয়। যেমন আইন বিজ্ঞান, সাংবিধানিক আইন, মুসলিম আইন, হিন্দু আইন, প্রশাসনিক আইন, ভূমি আইন, কোম্পানি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, বাণিজ্যিক আইন, সাইবার আইন, শ্রম আইন, পরিবেশ আইন, ন্যায়পরতার আইন, আয়কর আইন, তামাদি আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও আইনগত সহায়তা আইন, অপরাধ বিজ্ঞান, দণ্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, আন্তর্জাতিক আইন, সমুদ্র আইন, অ্যাডমিরালটি আইন, মেরিন ইনস্যুরেন্স আইন, সমুদ্র পরিবেশ আইন, শিপিং আইন, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, আন্তর্জাতিক সংগঠন আইন, আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ইত্যাদি।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
সমুদ্র আইন গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমান সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি বিষয়। কারণ বর্তমান পৃথিবী সুনীল অর্থনীতির পৃথিবী। যে কারণে শুধু সমুদ্র আইনই নয়, সমুদ্র-সংক্রান্ত সব বিষয়েই জ্ঞান আহরণ জরুরি। এ মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে পাঁচ শতাধিক বিরোধ রয়েছে।
এ ছাড়া সমুদ্রপথে জলদস্যু কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়ে থাকে। আবার প্রতিদিনই সমুদ্রপথে এক দেশ
থেকে আরেক দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চলছে। অনেক সময় এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে থাকে। সুতরাং এসব বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা যেমন মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্র আইন বিষয়ে পড়াশোনা মানেই যে শুধু সমুদ্র-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ থাকবে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। সাধারণ আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে যেমন একজন আইনের স্নাতক বিচারক, আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা, আইন উপদেষ্টা হতে পারেন, তেমনি বাংলাদেশে একজন মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের স্নাতকও ঠিক সে সুযোগগুলো পেয়ে থাকবেন।
উপরন্তু সমুদ্র আইন বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণ আইন বিষয়ের স্নাতকদের থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকবেন; যেমন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আইন শিক্ষা কোর, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে আইন কর্মকর্তা, দেশের শিপইয়ার্ডগুলোতে আইন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মেরিন অ্যাকাডেমিতে আইন কর্মকর্তা ইত্যাদি।
বর্তমানে সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে বিস্তর গবেষণা চলছে এবং এসব গবেষণা করার জন্য উন্নত দেশগুলোতে সমুদ্রবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। সমুদ্র আইনের স্নাতকদের এসব প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল এবং সমুদ্রবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
৩ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৮ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৭ ঘণ্টা আগেসোহানুর রহমান, জবি

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত
০৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৮ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৭ ঘণ্টা আগেশেফাক মাহমুদ, বুটেক্স

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত
০৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
৩ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১১ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত
০৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
৩ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৭ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

প্রাচীনকাল থেকে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধানতম মাধ্যম সমুদ্র। তখন থেকেই এর ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছু রীতিনীতি মেনে চলত। ক্রমেই এসব রীতিনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনের মতো বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যে দেশগুলো ওই সময় সমুদ্রপথে বেশি মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করত
০৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
৩ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৮ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
১১ ঘণ্টা আগে