Ajker Patrika

সিস্টেমেটিক রিভিউ করবেন যেভাবে

শিক্ষা ডেস্ক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গবেষণা জগতে সিস্টেমেটিক রিভিউ শুধু একটি পদ্ধতি নয়, বরং একাডেমিক কাজের মান যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড। এটি সাধারণ লিটারেচার রিভিউয়ের মতো কেবল তথ্যের সারসংক্ষেপ নয়; বরং নির্দিষ্ট প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খুঁজে বের করা, বাছাই করা ও বিশ্লেষণের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া। এর ফলে গবেষণার ফলাফল হয় স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য এবং পুনরাবৃত্তিযোগ্য। তাই বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আজ সিস্টেমেটিক রিভিউ অপরিহার্য। এ বিষয়ে লিখেছেন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পিএইচডি ফেলো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল-জাবির।

সিস্টেমেটিক রিভিউ কী?

সাধারণ রিভিউ অনেক সময় লেখকের মতামতনির্ভর হয়, যেখানে পক্ষপাতের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু সিস্টেমেটিক রিভিউ হয় নিয়মতান্ত্রিকভাবে। একটি স্পষ্ট গবেষণাপ্রশ্নকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রভিত্তিক প্রবন্ধ খুঁজে বের করা হয়, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী বাছাই করা হয় এবং স্বচ্ছভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিটি ধাপ নথিভুক্ত থাকে, যাতে অন্য গবেষকেরাও চাইলে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফলাফল যাচাই করতে পারেন।

কেন সিস্টেমেটিক রিভিউ গুরুত্বপূর্ণ?

এটির মূল শক্তি হলো স্বচ্ছতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। বিচ্ছিন্ন গবেষণা যেখানে খণ্ডিত তথ্য দেয়, সেখানে সিস্টেমেটিক রিভিউ ভিন্ন ভিন্ন গবেষণার ফল একত্র করে একটি সমন্বিত চিত্র হাজির করে। এটি নতুন জ্ঞান তৈরির পাশাপাশি গবেষণার ফাঁক চিহ্নিত করে এবং নীতিনির্ধারণেও শক্ত ভিত্তি গড়ে দেয়।

গবেষণা প্রশ্ন নির্ধারণ

পুরো প্রক্রিয়া শুরু হয় একটি স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দিয়ে। ডোমেইনভেদে PICO, SPIDER, PICo বা COSMIN কাঠামো ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: ‘ডিজিটাল শিক্ষা কি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করে?’

প্রটোকল তৈরি

এরপর গবেষণার পরিকল্পনা বা প্রটোকল তৈরি করতে হয়। কোন ডেটাবেইসে অনুসন্ধান হবে, অন্তর্ভুক্তি ও বর্জনের মানদণ্ড কী, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ধাপগুলো কী—সব স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত থাকে। PROSPERO, OSF, INPLASY বা Cochrane Library-তে প্রটোকল নিবন্ধন করলে গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।

ডেটাবেইস সার্চ

প্রবন্ধ খোঁজার জন্য Scopus, Web of Science, PubMed, ERIC, IEEE Xplore, JSTOR ইত্যাদি আন্তর্জাতিক ডেটাবেইস ব্যবহৃত হয়। কার্যকর সার্চের জন্য সঠিক কিওয়ার্ড, Boolean অপারেটর (AND, OR, NOT) ও সার্চ স্ট্র্যাটেজি অপরিহার্য।

প্রবন্ধ বাছাই

প্রথমে রেফারেন্স ম্যানেজারে সব প্রবন্ধ রাখা হয় ও ডুপ্লিকেট বাদ দেওয়া হয়। এরপর শিরোনাম ও সারসংক্ষেপ দেখে অপ্রাসঙ্গিকগুলো বাদ পড়ে। অবশেষে পূর্ণ প্রবন্ধ পড়ে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়। এই ধাপ সাধারণত PRISMA Flow Diagram দিয়ে উপস্থাপিত হয়।

তথ্য সংগ্রহ

নির্বাচিত প্রবন্ধ থেকে গবেষণার বছর, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা, ব্যবহৃত পদ্ধতি, ফলাফল ও সীমাবদ্ধতা সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য টেবিলে সাজালে তুলনা সহজ হয়।

মান যাচাই

সব গবেষণা সমান মানের নয়। তাই Cochrane Risk of Bias Tool, JBI Checklist ইত্যাদি ব্যবহার করে গবেষণার মান যাচাই করা হয়। দুর্বল গবেষণা বাদ দিয়ে শক্তিশালী ফলের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তথ্য বিশ্লেষণ

এখানে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার হয়—

■ Narrative synthesis: কথার মাধ্যমে ফলাফল ব্যাখ্যা।

■ Meta-analysis: পরিসংখ্যান দিয়ে ফলাফল একত্রিত করা। বিশেষ করে মেটা-অ্যানালাইসিস গবেষণাকে করে আরও নির্ভরযোগ্য।

আলোচনা ও উপসংহার

এই অংশে মূল অনুসন্ধান, সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ গবেষণার দিক তুলে ধরা হয়। অনেক ক্ষেত্রে Plain Language Summary যোগ করা হয়, যাতে সাধারণ পাঠকও সহজে বিষয়টি বুঝতে পারেন।

রিপোর্টিং গাইডলাইন

সিস্টেমেটিক রিভিউ প্রকাশের জন্য সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত নির্দেশনা হলো PRISMA 2020 Statement। এর ২৭টি চেকলিস্ট ও ফ্লো ডায়াগ্রাম গবেষণার প্রতিটি ধাপকে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনে সাহায্য করে।

সহায়ক টুল

রিভিউ সহজ করতে নানা টুল ব্যবহার করা যায়। যেমন—RevMan বিশ্লেষণে, Methods Wizard পরিকল্পনায়, Zotero ও EndNote রেফারেন্স ম্যানেজমেন্টে, Rayyan প্রবন্ধ স্ক্রিনিংয়ে এবং Covidence পুরো প্রক্রিয়া একসঙ্গে সম্পন্ন করতে।

সিস্টেমেটিক রিভিউ গবেষণাকে করে আরও স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও প্রমাণভিত্তিক। এটি শুধু গবেষকদের জন্য নয়, নীতিনির্ধারক ও সাধারণ পাঠকের কাছেও হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সিদ্ধান্তের নির্ভরযোগ্য উৎস।

তথ্যসূত্র: গুগল স্কলার, রিসার্চ গেট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত