Ajker Patrika

৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার শেষ সময়ের প্রস্তুতি ও পরামর্শ

ফারজানা রহমান তন্বী
৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার শেষ সময়ের প্রস্তুতি ও পরামর্শ

আপনি যদি বিসিএসের প্রথম ধাপ, অর্থাৎ প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন, তাহলে স্বপ্ন পূরণে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। এবার দ্বিতীয় ধাপ, অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষায় সফল হওয়ার পালা। বিসিএস লিখিত পরীক্ষাই নির্ধারণ করবে শেষ হাসি কে হাসবেন। তাই প্রতিটি বিষয়ে গুছিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিসিএস লিখিত পরীক্ষা কোন কোন বিষয়ের ওপর প্রশ্ন আসে, কত নম্বর থাকে—এসব মোটামুটি সবারই জানা। পরীক্ষা যেহেতু দরজায় কড়া নাড়ছে, কিছু কৌশলের কথা বলছি, যেগুলো নিজেও অনুসরণ করেছিলাম।

  • পরীক্ষার আগের এই সময়টাতে যা যা পড়েছেন, গুছিয়ে নিন। আমি নোট করে পড়তাম। তবে যদি আপনি নোট না করেন, নতুন করে চাপ নেওয়ার দরকার নেই।
  • বেশির ভাগ উত্তর এক বই থেকে পড়লে ভালো হয়। যদি আলাদা বই বা শিট থেকে উত্তর পড়ে থাকেন, তাহলে সেই বই বা শিটের ওপর ছোট কাগজে সূচিপত্রের মতো করে লিখে রাখতে পারেন। যেন আপনি বুঝতে পারেন এখান থেকে কী কী পড়েছেন। এতে প্রয়োজনের সময় দ্রুত খুঁজে পাবেন।
  • সাম্প্রতিক কোনো বিষয় যদি নোট করতে চান, কিন্তু সময় স্বল্পতা থাকে, বিষয়টি পড়ে নোট করার বদলে নিজের মতো করে মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখতে পারেন।
  • চেষ্টা করবেন সব প্রশ্নের উত্তর করার। যদি টপিকটি একদমই অচেনা হয়, তাহলে সামান্য প্রাসঙ্গিকতা রেখে হলেও উত্তর করবেন।
  • পরীক্ষার মোট নির্ধারিত সময় থেকে ১০ মিনিট বাদ দিয়ে হিসাব করুন। অবশিষ্ট সময়কে মোট নম্বর দিয়ে ভাগ করুন। যেমন ২০০ নম্বরের পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময় ৪ ঘণ্টা বা ২৪০ মিনিট। ১০ মিনিট বাদ দিলে ২৩০ মিনিট থাকে। তাহলে প্রতি নম্বরের জন্য পাচ্ছেন ১.১৫ মিনিট। সুতরাং ৪ নম্বরের প্রশ্নের উত্তরের জন্য পাবেন সাড়ে ৪ মিনিট। এর বেশি সময় ব্যয় করা যাবে না।
  • প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে সময় ব্যবস্থাপনার দিকে খেয়াল রাখুন। যে প্রশ্নটির উত্তর ভালো পারেন, সেটি ভালো করে লিখুন। তবে অন্য প্রশ্নের উত্তরের জন্য বরাদ্দ সময় ব্যয় করে নয়।
  • বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে প্রশ্নের শুরুতে খ্যাতিমান লেখকদের সম্পর্কে খানিকটা লিখতে পারেন। যেমন কোনো উপাধি বা ছদ্মনাম যদি জানা থাকে। আবার নামের পাশে জন্ম-মৃত্যু সালও লেখা যায়। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনো রচনা থেকে প্রশ্ন এলে শুরু করতে পারেন এভাবে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) রচিত—এক অমর সৃষ্টি।
  • যেকোনো প্রশ্নের শুরু এবং শেষটা গোছানো রাখার চেষ্টা করবেন।
  • ইংরেজিতে পার্ট-এ-তে এক নম্বরে ১০টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। প্রতিটির মান ৩। সুতরাং মোট ৩০ নম্বর। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর অবশ্যই এক লাইনে শেষ করবেন না। দুই-তিন লাইনে লেখার চেষ্টা করবেন।
  • অনুবাদের ক্ষেত্রে লেখার মান বজায় রাখার চেষ্টা করুন। অনুবাদের ভাষা হবে সহজ ও প্রাঞ্জল, কিন্তু নান্দনিক। যেহেতু অনুবাদের ওপর বেশ ভালো নম্বর নির্ধারিত, তাই এর চর্চা নিয়মিত লিখে করতে পারেন।
  • নতুন প্রশ্নের উত্তর নতুন পাতা থেকে লেখার চেষ্টা করুন।
  • খুব বেশি ডেটা, চার্ট মুখস্থ করবেন না। তবে কিছু বিষয় যেগুলো সম্প্রতি চর্চিত, সেগুলো সম্পর্কিত কিছু ডেটা মুখস্থ করতে পারেন।
  • খাতা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখুন।
  • বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে প্রতিবারই এমন কোনো না কোনো প্রশ্ন আসে, যেখানে বাংলাদেশের মানচিত্র প্রাসঙ্গিক। সে ক্ষেত্রে মানচিত্র দেওয়া যেতে পারে। তাই দ্রুততম সময়ে মানচিত্র আঁকার অভ্যাস থাকা ভালো।
  • আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতেও মোটামুটি কিছু টপিক আন্দাজ করা যায়, যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক মানচিত্র দেওয়া যেতে পারে।
  • অনেক সময় লেখার মাঝে দুই-একটি ডেটা দিয়ে থাকে। সেগুলো লেখার ভেতর না দিয়ে আলাদা প্যারা করে দেবেন। যেন পরীক্ষকের চোখে পড়ে।
  • পত্রিকা পড়ার অভ্যাস থাকলে এর রেফারেন্স দিয়ে বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, বাংলা ও ইংরেজি রচনায় অতিরিক্ত তথ্য সংযোজন করতে পারেন।
  • আমি যতটা সম্ভব ভিজ্যুয়াল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। যেন কোনো কিছু পরীক্ষককে খুঁজে বের করতে না হয়, এমনিতেই চোখে পড়ে।
  • এত লম্বা সময় লেখার অভ্যাস না থাকলে মডেল টেস্ট দিতে পারেন। এসে লেখার অভ্যাস হবে, গতি বাড়বে। আবার কত সময়ে আপনি কতটুকু লিখতে পারেন ধারণা পাবেন।
  • ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে পড়াশোনা শুরু করুন। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের শরীর ও মনেরও যত্ন নিন। পর্যাপ্ত ঘুম, সময়মতো খাওয়া এবং কিছুটা বিনোদন আপনাকে আরও সতেজ রাখবে। পরিবার, বন্ধু, শিক্ষকদের সাহায্য, পরামর্শ এবং উৎসাহ আপনাকে এগিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করবে।

বিসিএসের পথ দীর্ঘ হলেও আপনি একা নন। আপনার মতো আরও অনেক প্রার্থী লক্ষ্য অর্জনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, একে অপরের কাছ থেকে শিখুন এবং উৎসাহিত করুন। বিশ্বাস করুন, প্রচেষ্টা চালিয়ে যান, আপনার লক্ষ্য অবশ্যই পূরণ হবে। সবার জন্য শুভকামনা।

লেখক: ফারজানা রহমান তন্বী, প্রশাসন ক্যাডার (সুপারিশপ্রাপ্ত) ৪১তম বিসিএস

গ্রন্থনা: এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত