জুবায়ের আহম্মেদ

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন, মাস্টার্স, পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরাল–এই চার লেভেলের ভর্তি প্রক্রিয়া ভিন্ন। আজ আমি আলোচনা করব আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে।
বৃত্তির পরিচিতি
স্ট্যানফোর্ডে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করলে স্ট্যানফোর্ড তা দিয়ে থাকে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি গত কয়েক বছরে আর্থিক সহায়তা নিয়ে স্ট্যানফোর্ডে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে যার যতটুকু খরচ বহন করা সম্ভব, ততটুকু স্ট্যানফোর্ড দিতে বলে। বাকি খরচ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সহায়তা হিসেবে শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকে। তবে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্ট্যানফোর্ডের আর্থিক সহায়তার আবেদনের প্রক্রিয়াটা নিড ব্লাইন্ড না। নিড ব্লাইন্ড বলতে আমেরিকার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে বাংলাদেশিরা যদি আবেদন করেন, তাহলে তাঁদের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আনবে না। প্রথমে তাঁদের ভর্তি নেবে কি না, সেটা নির্ধারণ করবে। ভর্তির পর শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুসারে অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি নিড ব্লাইন্ড দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় এবং বলে, আমি বছরে ১০ হাজার টাকার খরচ বহন করতে পারব, তাহলে বাকি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে দেবে। এটা হচ্ছে নিড ব্লাইন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা। তবে স্ট্যানফোর্ড বাংলাদেশি আবেদনকারীদের জন্য নিড ব্লাইন্ড না। কেউ যদি আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করে, তাহলে ওই সামর্থ্যের বিষয়টাকেও তারা বিবেচনায় আনে ভর্তির সময়। তার মানে হচ্ছে, আপনি যদি আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার ভর্তির সুযোগের সম্ভাবনা কিছুটা কমে যাবে। তবে আমি এবং আমার মতো কয়েকজন বাংলাদেশি আর্থিক সহায়তার স্কলারশিপ নিয়ে স্ট্যানফোর্ডে পড়াশোনা করছি। সুতরাং এটা অসম্ভব না, তবে একটু কঠিন।
আবেদনের প্রক্রিয়া
স্ট্যানফোর্ড বা আমেরিকার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। প্রথমে থাকে কিছু পরীক্ষা, যেমন স্যাট, টোফেল, আইইএলটিএস, স্যাট-সাবজেক্ট টেস্ট পরীক্ষা। দ্বিতীয়ত, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের নম্বরপত্র জমা দিতে হয়। তৃতীয়ত, কমন অ্যাপ্লিকেশনে একসঙ্গে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। কমন অ্যাপে স্ট্যানফোর্ডে আবেদন করতে গেলে বেশ কয়েকটা নিবন্ধ লিখতে হবে। দুই-তিনজন শিক্ষকের রেফারেন্স লেটার জমা দিতে হবে। এ ছাড়া সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে এমন কিছু দেখাতে হবে যা আপনাকে অন্য আবেদনকারী থেকে আলাদা করবে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে স্বতন্ত্র কিছু কার্যক্রম থাকতে হবে। আর এগুলোর মাধ্যমে আপনার প্রোফাইলটি সমৃদ্ধ হবে। কেউ যদি আরও বিস্তারিত জানতে চায় তাদের বলব, গুগল হচ্ছে সবচেয়ে ভালো অপশন।
কী কী কাগজপত্র লাগবে?
১। স্যাট, টোফেল, আইইএলটিএসসহ বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বরপত্র।
২। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বরপত্র।
৩। শিক্ষকের রেফারেন্স।
৪। নিবন্ধ।
৫। ফাইন্যান্সিয়াল ডকুমেন্টস।
৬। বাবা-মায়ের ইনকাম ডকুমেন্টস।
৭। ট্যাক্স পেয়ার কাগজপত্র (যদি থাকে)।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-মেইল করে জানা যাবে কী কী কাগজপত্র তারা চায়।
সুযোগ-সুবিধা
বৃত্তি পেলে কী সুযোগ-সুবিধা, এটা আসলে নির্ভর করে আপনি কতটুকু বৃত্তি পেয়েছেন তার ওপর। আমি শতাভাগ বৃত্তি পেয়েছি। তাই আমার পড়াশোনায় কোনো খরচ হয় না। আমার টিউশন ফি দেওয়া লাগে না, থাকা-খাওয়ার খরচ লাগে না। তা ছাড়া স্ট্যানফোর্ড বছরে বাংলাদেশে আসার একটা রাউন্ড ট্রিপ টিকিট দেয়। পাশাপাশি আমাকে ল্যাপটপ দিয়ে সাহায্য করেছে। আমার আসলে আমেরিকায় কোনো খরচ নেই। এমনকি আমার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত খরচটিও স্ট্যানফোর্ড দিয়ে থাকে। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে এসব সুবিধা স্ট্যানফোর্ড থেকে পাচ্ছি।
তবে এটা আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। যারা বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করে না, তাদের নিজেদেরই খরচ চালাতে হয়। যারা আংশিক বৃত্তি পায়, তাদের কিছু কিছু সুবিধা স্ট্যানফোর্ড দিয়ে থাকে আর কিছু কিছু খরচ নিজেদের বহন করতে হয়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট- stanford.edu/admission/
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন, মাস্টার্স, পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরাল–এই চার লেভেলের ভর্তি প্রক্রিয়া ভিন্ন। আজ আমি আলোচনা করব আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে।
বৃত্তির পরিচিতি
স্ট্যানফোর্ডে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করলে স্ট্যানফোর্ড তা দিয়ে থাকে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি গত কয়েক বছরে আর্থিক সহায়তা নিয়ে স্ট্যানফোর্ডে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে যার যতটুকু খরচ বহন করা সম্ভব, ততটুকু স্ট্যানফোর্ড দিতে বলে। বাকি খরচ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সহায়তা হিসেবে শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকে। তবে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্ট্যানফোর্ডের আর্থিক সহায়তার আবেদনের প্রক্রিয়াটা নিড ব্লাইন্ড না। নিড ব্লাইন্ড বলতে আমেরিকার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে বাংলাদেশিরা যদি আবেদন করেন, তাহলে তাঁদের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আনবে না। প্রথমে তাঁদের ভর্তি নেবে কি না, সেটা নির্ধারণ করবে। ভর্তির পর শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুসারে অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি নিড ব্লাইন্ড দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় এবং বলে, আমি বছরে ১০ হাজার টাকার খরচ বহন করতে পারব, তাহলে বাকি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে দেবে। এটা হচ্ছে নিড ব্লাইন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা। তবে স্ট্যানফোর্ড বাংলাদেশি আবেদনকারীদের জন্য নিড ব্লাইন্ড না। কেউ যদি আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করে, তাহলে ওই সামর্থ্যের বিষয়টাকেও তারা বিবেচনায় আনে ভর্তির সময়। তার মানে হচ্ছে, আপনি যদি আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার ভর্তির সুযোগের সম্ভাবনা কিছুটা কমে যাবে। তবে আমি এবং আমার মতো কয়েকজন বাংলাদেশি আর্থিক সহায়তার স্কলারশিপ নিয়ে স্ট্যানফোর্ডে পড়াশোনা করছি। সুতরাং এটা অসম্ভব না, তবে একটু কঠিন।
আবেদনের প্রক্রিয়া
স্ট্যানফোর্ড বা আমেরিকার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। প্রথমে থাকে কিছু পরীক্ষা, যেমন স্যাট, টোফেল, আইইএলটিএস, স্যাট-সাবজেক্ট টেস্ট পরীক্ষা। দ্বিতীয়ত, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের নম্বরপত্র জমা দিতে হয়। তৃতীয়ত, কমন অ্যাপ্লিকেশনে একসঙ্গে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। কমন অ্যাপে স্ট্যানফোর্ডে আবেদন করতে গেলে বেশ কয়েকটা নিবন্ধ লিখতে হবে। দুই-তিনজন শিক্ষকের রেফারেন্স লেটার জমা দিতে হবে। এ ছাড়া সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে এমন কিছু দেখাতে হবে যা আপনাকে অন্য আবেদনকারী থেকে আলাদা করবে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে স্বতন্ত্র কিছু কার্যক্রম থাকতে হবে। আর এগুলোর মাধ্যমে আপনার প্রোফাইলটি সমৃদ্ধ হবে। কেউ যদি আরও বিস্তারিত জানতে চায় তাদের বলব, গুগল হচ্ছে সবচেয়ে ভালো অপশন।
কী কী কাগজপত্র লাগবে?
১। স্যাট, টোফেল, আইইএলটিএসসহ বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বরপত্র।
২। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বরপত্র।
৩। শিক্ষকের রেফারেন্স।
৪। নিবন্ধ।
৫। ফাইন্যান্সিয়াল ডকুমেন্টস।
৬। বাবা-মায়ের ইনকাম ডকুমেন্টস।
৭। ট্যাক্স পেয়ার কাগজপত্র (যদি থাকে)।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-মেইল করে জানা যাবে কী কী কাগজপত্র তারা চায়।
সুযোগ-সুবিধা
বৃত্তি পেলে কী সুযোগ-সুবিধা, এটা আসলে নির্ভর করে আপনি কতটুকু বৃত্তি পেয়েছেন তার ওপর। আমি শতাভাগ বৃত্তি পেয়েছি। তাই আমার পড়াশোনায় কোনো খরচ হয় না। আমার টিউশন ফি দেওয়া লাগে না, থাকা-খাওয়ার খরচ লাগে না। তা ছাড়া স্ট্যানফোর্ড বছরে বাংলাদেশে আসার একটা রাউন্ড ট্রিপ টিকিট দেয়। পাশাপাশি আমাকে ল্যাপটপ দিয়ে সাহায্য করেছে। আমার আসলে আমেরিকায় কোনো খরচ নেই। এমনকি আমার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত খরচটিও স্ট্যানফোর্ড দিয়ে থাকে। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে এসব সুবিধা স্ট্যানফোর্ড থেকে পাচ্ছি।
তবে এটা আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। যারা বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করে না, তাদের নিজেদেরই খরচ চালাতে হয়। যারা আংশিক বৃত্তি পায়, তাদের কিছু কিছু সুবিধা স্ট্যানফোর্ড দিয়ে থাকে আর কিছু কিছু খরচ নিজেদের বহন করতে হয়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট- stanford.edu/admission/
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৩৯ মিনিট আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
১৯ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
১৯ ঘণ্টা আগেসোহানুর রহমান, জবি

রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রার্থীসহ সবার প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
প্রচার পর্বজুড়ে প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। প্রচার করা হয়েছে ইশতেহার।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘প্রচারণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। এখন একটাই প্রত্যাশা, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদ নির্বাচন। অন্যান্য ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যে ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই আমরা চাই না।’
ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের প্রচারণা ছিল জোরদার। নিয়মিত ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের সমস্যা শুনেছি। আমরা নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। তবে নির্বাচন কমিশন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কিছুটা সংশয় রয়েছে। আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি।’
তরুণদের নতুন দল এনসিপির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী শাহীন মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। যেখানে গেছি, শিক্ষার্থীরা বলেছেন আমরা সব সময় ক্যাম্পাসের জন্য কাজ করেছি। সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আমাদের বারবার হতাশ করেছে। আশা করি, নির্বাচনের দিন আগের সে পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে না।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট-সমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, ‘আমরা প্রচারণার জন্য খুব কম সময় পেয়েছি। এরপরও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি এবং নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কতটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় শিক্ষার্থীরাও
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মিয়া বলেন, ‘এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রথম ভোট। এজন্য খুবই উৎসুক রয়েছি। এমন কোনো কিছু দেখতে চাই না, যার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়।’
আরেক শিক্ষার্থী সাহেদ সিজান বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনে একটা না একটা ঝামেলা থাকেই। কিন্তু আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা শঙ্কামুক্ত নির্বাচন উপহার দেবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে ভোটারদের জন্য প্রয়োজনীয় ১২ দফা নির্দেশনা জারি করে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করছি, জকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে সম্ভব হলে সেদিনই বা ৩১ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ আমলের গোড়ার দিকে, ১৮৬৩ সালে প্রথমে স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল এ শিক্ষায়তনটির। একপর্যায়ে মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার কিশোরী লাল চৌধুরীর ওপর স্কুলটি পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে। তিনি তাঁর বাবা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে এর নামকরণ করেন। ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকার এটিকে কলেজে উন্নীত করে। ২০০৫ সালে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সরকারের অনুমোদন পায়। সেই থেকে এবারই প্রথম এর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হচ্ছে।

রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রার্থীসহ সবার প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
প্রচার পর্বজুড়ে প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। প্রচার করা হয়েছে ইশতেহার।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘প্রচারণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। এখন একটাই প্রত্যাশা, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদ নির্বাচন। অন্যান্য ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যে ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই আমরা চাই না।’
ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের প্রচারণা ছিল জোরদার। নিয়মিত ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের সমস্যা শুনেছি। আমরা নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। তবে নির্বাচন কমিশন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কিছুটা সংশয় রয়েছে। আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি।’
তরুণদের নতুন দল এনসিপির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী শাহীন মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। যেখানে গেছি, শিক্ষার্থীরা বলেছেন আমরা সব সময় ক্যাম্পাসের জন্য কাজ করেছি। সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আমাদের বারবার হতাশ করেছে। আশা করি, নির্বাচনের দিন আগের সে পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে না।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট-সমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, ‘আমরা প্রচারণার জন্য খুব কম সময় পেয়েছি। এরপরও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি এবং নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কতটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় শিক্ষার্থীরাও
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মিয়া বলেন, ‘এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রথম ভোট। এজন্য খুবই উৎসুক রয়েছি। এমন কোনো কিছু দেখতে চাই না, যার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়।’
আরেক শিক্ষার্থী সাহেদ সিজান বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনে একটা না একটা ঝামেলা থাকেই। কিন্তু আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা শঙ্কামুক্ত নির্বাচন উপহার দেবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে ভোটারদের জন্য প্রয়োজনীয় ১২ দফা নির্দেশনা জারি করে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করছি, জকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে সম্ভব হলে সেদিনই বা ৩১ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ আমলের গোড়ার দিকে, ১৮৬৩ সালে প্রথমে স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল এ শিক্ষায়তনটির। একপর্যায়ে মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার কিশোরী লাল চৌধুরীর ওপর স্কুলটি পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে। তিনি তাঁর বাবা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে এর নামকরণ করেন। ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকার এটিকে কলেজে উন্নীত করে। ২০০৫ সালে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সরকারের অনুমোদন পায়। সেই থেকে এবারই প্রথম এর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হচ্ছে।

স্ট্যানফোর্ডে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করলে স্ট্যানফোর্ড তা দিয়ে থাকে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি গত কয়েক বছরে আর্থিক সহায়তা নিয়ে স্ট্যানফোর্ডে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে যার যতটুকু খরচ বহন করা সম্ভব, ততটুকু স্ট্যানফোর্ড দিতে বলে। বাকি খরচ স্ট্যানফোর্ড
১৮ অক্টোবর ২০২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
১৯ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
১৯ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নেই এমন কেউ কোনো অবস্থাতেই ভোটের দিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটারদের অবশ্যই বৈধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। যাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা হারিয়ে গেছে, তারা ভোটার তালিকার পাশে দেওয়া QR Code স্ক্যান করে ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন, যা ভোট গ্রহণের দিন পরিচয়পত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় প্রত্যেক ভোটারকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ভোটকক্ষে কোনো ব্যাগ, মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রী সঙ্গে থাকলে তা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা রেখে ভোট শেষে নিজ দায়িত্বে ফেরত নিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভোট প্রদানের সময় প্রত্যেক ভোটারকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ও সিলকৃত তিনটি ব্যালট পেপার প্রদান করা হবে। ব্যালট পেপার কোনোভাবেই ভাঁজ করা, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে না। ভোট শেষে নির্দিষ্ট নম্বরের ব্যালট বক্সে নির্দিষ্ট ব্যালট পেপার জমা দিতে হবে।
ভোট প্রদানের আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে এবং হল শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে অমোচনীয় কালি প্রয়োগ করা হবে। ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের পাশের নির্ধারিত ঘরে সঠিকভাবে চিহ্ন দিতে হবে, অন্যথায় ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্দেশনায় নির্বাহী সদস্য পদের ক্ষেত্রে ভোট প্রদানে বিশেষ সতর্কতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে মোট ৭ জন এবং হল শিক্ষার্থী সংসদে ৪ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে। এর বেশি ভোট প্রদান করলে নির্বাহী সদস্য পদের সব ভোট বাতিল হবে।
ভোটকক্ষে ব্যালট পেপারের অংশ বা প্রার্থীর নামসংবলিত কোনো কাগজ রেখে আসা নিষিদ্ধ। বুথে সংরক্ষিত কলম ব্যবহার করেই ভোট দিতে হবে। ভোট প্রদান শেষে ভোটারদের দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর পর প্রথমাবের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নেই এমন কেউ কোনো অবস্থাতেই ভোটের দিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটারদের অবশ্যই বৈধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। যাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা হারিয়ে গেছে, তারা ভোটার তালিকার পাশে দেওয়া QR Code স্ক্যান করে ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন, যা ভোট গ্রহণের দিন পরিচয়পত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় প্রত্যেক ভোটারকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ভোটকক্ষে কোনো ব্যাগ, মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রী সঙ্গে থাকলে তা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা রেখে ভোট শেষে নিজ দায়িত্বে ফেরত নিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভোট প্রদানের সময় প্রত্যেক ভোটারকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ও সিলকৃত তিনটি ব্যালট পেপার প্রদান করা হবে। ব্যালট পেপার কোনোভাবেই ভাঁজ করা, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে না। ভোট শেষে নির্দিষ্ট নম্বরের ব্যালট বক্সে নির্দিষ্ট ব্যালট পেপার জমা দিতে হবে।
ভোট প্রদানের আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে এবং হল শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে অমোচনীয় কালি প্রয়োগ করা হবে। ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের পাশের নির্ধারিত ঘরে সঠিকভাবে চিহ্ন দিতে হবে, অন্যথায় ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্দেশনায় নির্বাহী সদস্য পদের ক্ষেত্রে ভোট প্রদানে বিশেষ সতর্কতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে মোট ৭ জন এবং হল শিক্ষার্থী সংসদে ৪ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে। এর বেশি ভোট প্রদান করলে নির্বাহী সদস্য পদের সব ভোট বাতিল হবে।
ভোটকক্ষে ব্যালট পেপারের অংশ বা প্রার্থীর নামসংবলিত কোনো কাগজ রেখে আসা নিষিদ্ধ। বুথে সংরক্ষিত কলম ব্যবহার করেই ভোট দিতে হবে। ভোট প্রদান শেষে ভোটারদের দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর পর প্রথমাবের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।

স্ট্যানফোর্ডে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করলে স্ট্যানফোর্ড তা দিয়ে থাকে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি গত কয়েক বছরে আর্থিক সহায়তা নিয়ে স্ট্যানফোর্ডে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে যার যতটুকু খরচ বহন করা সম্ভব, ততটুকু স্ট্যানফোর্ড দিতে বলে। বাকি খরচ স্ট্যানফোর্ড
১৮ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৩৯ মিনিট আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
১৯ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মেধাবী শিক্ষার্থী। এই বাস্তবতার পেছনের কারণ, এর প্রভাব এবং উত্তরণের পথ নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের গবেষক ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ শুনে লিখেছেন মো. মনিরুল ইসলাম।
মো. মনিরুল ইসলাম

প্রস্তুতির অভাব ও অনীহা
আইইএলটিএস একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম মৌলিক শর্ত। তবে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীই ইংরেজি ভাষা চর্চার প্রতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেন না। শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ব্যবহার সীমিত থাকা, পরীক্ষাভিত্তিক পড়াশোনার প্রবণতা এবং দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজির ব্যবহার না থাকার কারণে ভাষাগত দক্ষতা গড়ে ওঠে না। এর ফলে আইইএলটিএস পরীক্ষার কথা শুনলেই অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ভয় ও অনীহা তৈরি হয়। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন এবং কাঠামোবদ্ধ পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনেককে শুরুতেই নিরুৎসাহিত করে।
সচেতনতার অভাব
আইইএলটিএস সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাবও একটি বড় কারণ। অনেক শিক্ষার্থীই জানেন না যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কিংবা জাপানসহ বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস একটি অপরিহার্য শর্ত। ফলে তাঁরা বিষয়টিকে ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত মনে করেন। বিদেশে পড়াশোনার পুরো প্রক্রিয়া—বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, স্কলারশিপ আবেদন, ভিসাপ্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি থাকায় আইইএলটিএসের প্রয়োজনীয়তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয় না।
আর্থিক সীমাবদ্ধতা
আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি এবং প্রস্তুতিমূলক কোচিংয়ের খরচ অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রাম বা মফস্বল এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যয় আরও ভারী হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে ফি ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তাঁদের ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় মনে করা হয়, যা শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে আরও দুর্বল করে দেয়।
উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের ঘাটতি
বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করেই দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করতে চান। বিশেষ করে সরকারি চাকরির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে পিছিয়ে দেয়। পরিবার ও সমাজের চাপেও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেন। ফলে আইইএলটিএস প্রস্তুতিকে তাঁরা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হিসেবে না দেখে বাড়তি ঝামেলা বিবেচনা করেন।
ভাষাগত মানসিক বাধা
ইংরেজিকে ‘কঠিন বিষয়’ হিসেবে ভাবার একটি মানসিক দেয়াল বহু শিক্ষার্থীর মাঝেই কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা শুধু ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। এই ভ্রান্ত ধারণা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে এবং শুরুতেই পরীক্ষাটি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে।
সুযোগ হারানোর বাস্তবতা
আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আন্তর্জাতিক স্কলারশিপের সুযোগ হারান। এর ফলে তাঁদের শিক্ষাজীবন দেশের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আন্তর্জাতিক গবেষণা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও বহুজাতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কমে যায়, যা ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।
উত্তরণের পথ
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আইইএলটিএসের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের সক্রিয় দিকনির্দেশনা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল, ভর্তুকি বা প্রাতিষ্ঠানিক স্কলারশিপ চালু করা হলে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
সঠিক পরিকল্পনা, সচেতনতা ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আইইএলটিএস কোনো অজেয় বাধা নয়। বরং এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিতে পারে। এই বাধাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা গেলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রস্তুতির অভাব ও অনীহা
আইইএলটিএস একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম মৌলিক শর্ত। তবে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীই ইংরেজি ভাষা চর্চার প্রতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেন না। শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ব্যবহার সীমিত থাকা, পরীক্ষাভিত্তিক পড়াশোনার প্রবণতা এবং দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজির ব্যবহার না থাকার কারণে ভাষাগত দক্ষতা গড়ে ওঠে না। এর ফলে আইইএলটিএস পরীক্ষার কথা শুনলেই অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ভয় ও অনীহা তৈরি হয়। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন এবং কাঠামোবদ্ধ পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনেককে শুরুতেই নিরুৎসাহিত করে।
সচেতনতার অভাব
আইইএলটিএস সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাবও একটি বড় কারণ। অনেক শিক্ষার্থীই জানেন না যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কিংবা জাপানসহ বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস একটি অপরিহার্য শর্ত। ফলে তাঁরা বিষয়টিকে ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত মনে করেন। বিদেশে পড়াশোনার পুরো প্রক্রিয়া—বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, স্কলারশিপ আবেদন, ভিসাপ্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি থাকায় আইইএলটিএসের প্রয়োজনীয়তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয় না।
আর্থিক সীমাবদ্ধতা
আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি এবং প্রস্তুতিমূলক কোচিংয়ের খরচ অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রাম বা মফস্বল এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যয় আরও ভারী হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে ফি ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তাঁদের ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় মনে করা হয়, যা শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে আরও দুর্বল করে দেয়।
উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের ঘাটতি
বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করেই দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করতে চান। বিশেষ করে সরকারি চাকরির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে পিছিয়ে দেয়। পরিবার ও সমাজের চাপেও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেন। ফলে আইইএলটিএস প্রস্তুতিকে তাঁরা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হিসেবে না দেখে বাড়তি ঝামেলা বিবেচনা করেন।
ভাষাগত মানসিক বাধা
ইংরেজিকে ‘কঠিন বিষয়’ হিসেবে ভাবার একটি মানসিক দেয়াল বহু শিক্ষার্থীর মাঝেই কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা শুধু ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। এই ভ্রান্ত ধারণা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে এবং শুরুতেই পরীক্ষাটি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে।
সুযোগ হারানোর বাস্তবতা
আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আন্তর্জাতিক স্কলারশিপের সুযোগ হারান। এর ফলে তাঁদের শিক্ষাজীবন দেশের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আন্তর্জাতিক গবেষণা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও বহুজাতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কমে যায়, যা ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।
উত্তরণের পথ
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আইইএলটিএসের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের সক্রিয় দিকনির্দেশনা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল, ভর্তুকি বা প্রাতিষ্ঠানিক স্কলারশিপ চালু করা হলে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
সঠিক পরিকল্পনা, সচেতনতা ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আইইএলটিএস কোনো অজেয় বাধা নয়। বরং এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিতে পারে। এই বাধাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা গেলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

স্ট্যানফোর্ডে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করলে স্ট্যানফোর্ড তা দিয়ে থাকে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি গত কয়েক বছরে আর্থিক সহায়তা নিয়ে স্ট্যানফোর্ডে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে যার যতটুকু খরচ বহন করা সম্ভব, ততটুকু স্ট্যানফোর্ড দিতে বলে। বাকি খরচ স্ট্যানফোর্ড
১৮ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৩৯ মিনিট আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
১৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে তুলে ধরা হলো:
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র কে ছিলেন?
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতনামা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা, ধর্মযাজক ও মানবাধিকারকর্মী। তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
তাঁর জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কী জানা যায়?
লুথার কিং ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ধর্মতত্ত্বে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরে একজন ব্যাপটিস্ট ধর্মযাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কোন আন্দোলনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন?
তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ (Civil Rights Movement)-এর প্রধান নেতা ছিলেন। বিশেষ করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, সমান নাগরিক সুযোগ এবং আইনি বৈষম্য দূর করার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন।
মার্টিন লুথার কিং কোন ধরনের আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন?
তিনি অহিংস (Non-violence) ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সহিংসতার পরিবর্তে নৈতিক শক্তি ও গণ-অসহযোগকে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তিটি কী?
মার্টিন লুথার কিংয়ের সবচেয়ে কালজয়ী উক্তিটি হলো, ‘I have a dream that my four little children will one day live in a nation where they will not be judged by the color of their skin but by the content of their character.’ (আমার একটি স্বপ্ন আছে যে, আমার চার সন্তান একদিন এমন এক দেশে বাস করবে, যেখানে গায়ের রঙের পরিবর্তে তাদের চরিত্রের গুণাবলি দিয়ে তাদের বিচার করা হবে।)
‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ (I Have a Dream) ভাষণের গুরুত্ব কী?
১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সামনে দেওয়া এ ভাষণটি ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত। এতে তিনি বর্ণ, ধর্ম ও গায়ের রঙভিত্তিক বৈষম্যহীন এক সমাজের স্বপ্ন তুলে ধরেন। এই ভাষণটি আমেরিকায় নাগরিক অধিকার আইন (Civil Rights Act of 1964) পাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করেছিল।
তিনি কেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?
শান্তিপূর্ণ ও অহিংস উপায়ে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং মানবাধিকারের পক্ষে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৬৪ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে পুরস্কারটি পেয়ে তিনি তৎকালীন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
তাঁর আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
সব নাগরিকের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, বর্ণবাদী আইনের বিলোপ ঘটানো এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল?
১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিস শহরের লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামক একজন শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীর গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর বয়স তখন মাত্র ৩৯ বছর। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি তাঁর ভাষণে অহিংসার ডাক দিয়েছিলেন।
মার্টিন লুথার কিংয়ের অবদান কেন আজও প্রাসঙ্গিক?
সারা বিশ্বে আজও যেখানেই বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, সেখানেই তাঁর আদর্শ ও ‘অহিংস আন্দোলন’ অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি প্রমাণ করেছেন, অস্ত্রের চেয়ে নৈতিকতা ও ন্যায়ের শক্তি অনেক বেশি শক্তিশালী।

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে তুলে ধরা হলো:
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র কে ছিলেন?
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতনামা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা, ধর্মযাজক ও মানবাধিকারকর্মী। তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
তাঁর জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কী জানা যায়?
লুথার কিং ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ধর্মতত্ত্বে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরে একজন ব্যাপটিস্ট ধর্মযাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কোন আন্দোলনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন?
তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ (Civil Rights Movement)-এর প্রধান নেতা ছিলেন। বিশেষ করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, সমান নাগরিক সুযোগ এবং আইনি বৈষম্য দূর করার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন।
মার্টিন লুথার কিং কোন ধরনের আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন?
তিনি অহিংস (Non-violence) ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সহিংসতার পরিবর্তে নৈতিক শক্তি ও গণ-অসহযোগকে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তিটি কী?
মার্টিন লুথার কিংয়ের সবচেয়ে কালজয়ী উক্তিটি হলো, ‘I have a dream that my four little children will one day live in a nation where they will not be judged by the color of their skin but by the content of their character.’ (আমার একটি স্বপ্ন আছে যে, আমার চার সন্তান একদিন এমন এক দেশে বাস করবে, যেখানে গায়ের রঙের পরিবর্তে তাদের চরিত্রের গুণাবলি দিয়ে তাদের বিচার করা হবে।)
‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ (I Have a Dream) ভাষণের গুরুত্ব কী?
১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সামনে দেওয়া এ ভাষণটি ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত। এতে তিনি বর্ণ, ধর্ম ও গায়ের রঙভিত্তিক বৈষম্যহীন এক সমাজের স্বপ্ন তুলে ধরেন। এই ভাষণটি আমেরিকায় নাগরিক অধিকার আইন (Civil Rights Act of 1964) পাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করেছিল।
তিনি কেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?
শান্তিপূর্ণ ও অহিংস উপায়ে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং মানবাধিকারের পক্ষে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৬৪ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে পুরস্কারটি পেয়ে তিনি তৎকালীন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
তাঁর আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
সব নাগরিকের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, বর্ণবাদী আইনের বিলোপ ঘটানো এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল?
১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিস শহরের লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামক একজন শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীর গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর বয়স তখন মাত্র ৩৯ বছর। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি তাঁর ভাষণে অহিংসার ডাক দিয়েছিলেন।
মার্টিন লুথার কিংয়ের অবদান কেন আজও প্রাসঙ্গিক?
সারা বিশ্বে আজও যেখানেই বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, সেখানেই তাঁর আদর্শ ও ‘অহিংস আন্দোলন’ অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি প্রমাণ করেছেন, অস্ত্রের চেয়ে নৈতিকতা ও ন্যায়ের শক্তি অনেক বেশি শক্তিশালী।

স্ট্যানফোর্ডে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করলে স্ট্যানফোর্ড তা দিয়ে থাকে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি গত কয়েক বছরে আর্থিক সহায়তা নিয়ে স্ট্যানফোর্ডে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে যার যতটুকু খরচ বহন করা সম্ভব, ততটুকু স্ট্যানফোর্ড দিতে বলে। বাকি খরচ স্ট্যানফোর্ড
১৮ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। প্রচারণার পুরোটা সময় ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
৩৯ মিনিট আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
১৯ ঘণ্টা আগে