Ajker Patrika

ভারতে উচ্চশিক্ষা: বিনা খরচে পড়াশোনা

অয়ালিদ হাসান
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ২০
ভারতে উচ্চশিক্ষা: বিনা খরচে পড়াশোনা

স্টাডি ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রামটি ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনের একটি উদ্যোগ, যা ২০১৮ সাল থেকে চালু হয়। এটি মূলত একটি প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহজে বিদেশি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন। আইআইটি, এনআইটি, আইআইএসইআরসহ আরও অনেক প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে। 

স্টাডি ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রামে দুইভাবে ফান্ডিং পাওয়া যায়-

  • টিউশন ফি ওয়েভার: আপনার পূর্ববর্তী একাডেমিক রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে ১০০ %-২৫% পর্যন্ত ফি ওয়েভার দেওয়া হয়। G1-100 %, G2-50 %, G3-25% এভাবে, এই ওয়েভার আপনার ডিগ্রি প্রোগ্রাম চলার পূর্ণকালীন পাবেন। তবে আবাসিক খরচ, খাওয়ার খরচ নিজেকে বহন করতে হবে।
  • এসআইআই স্কলারশিপ: এটা আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব খরচ করার জন্য ৩২০০ ডলার করে প্রতি বছর (সর্বোচ্চ ৩ বছর) দেবে। তবে আপনার হাতে কোনো টাকা আসবে না, সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে যাবে এবং আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ যদি প্রতিবছরে উক্ত টাকার বেশি হয়, সেটা নিজেকে বহন করতে হবে। এই স্কলারশিপের জন্য PRAGATII Exam নামে একটি পরীক্ষা দিতে হয়, ওখানে ইংরেজি Verbal Reasoning, গণিত Quantitative Aptitude এবং অ্যানালেটিক দক্ষতার Logical Reasoning ওপর প্রশ্ন করা হয়, নমুনা প্রশ্ন ওয়েবসাইটে পাবেন। পরীক্ষাটি সাধারণত অনলাইনে হয়, ৯০ মিনিটের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে। এ বছর জুলাই মাসের শেষের দিকে পরীক্ষাটি হয়েছিল।

আবেদন যেভাবে 
ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে আবেদন করতে হবে। তারপর নিজের বিস্তারিত তথ্য, শিক্ষাগত তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। আর এদের ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয় সার্চ করার অপশন থাকে, সেখান থেকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত করা যায়, তবে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১ম, ২য় এভাবে দিতে হয়, ওরা এই অনুযায়ী আপনাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য নিজেরা আলাদাভাবে অনলাইন ইন্টারভিউ নেয়, সেখানে এইচএসসির টপিক থেকে বেসিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে। ওটার ওপর ভিত্তি করে ওরা স্টুডেন্ট বাছাই করে। তবে এগুলো খুবই কম বিশ্ববিদ্যালয়ই করে, বেশির ভাগই এইচএসসির রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে ভর্তি নেয়।

প্রথম দুই বছর ওপরের সব বিষয়ের ওপর পড়তে হবে, তারপর তৃতীয় বছরে আপনার যেটা ভালো লাগে সেটাকে মেজর হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। আর পঞ্চম বছর শুধুই থিসিসের গবেষণা করার জন্য বরাদ্দ, কোনো কোর্স ওয়ার্ক থাকে না

আবেদনের সময়
আবেদন সাধারণত এপ্রিলের দিকে শুরু হয় এবং সেপ্টেম্বরের দিকে ফলাফল ঘোষণা হয়। আর ক্লাস শুরু হয় নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে। প্যান্ডেমিকের কারণে এমন দেরি। সামনের বার থেকে আরও আগে আগে সব শেষ হবে আশা করা যায়। 

দরকারি কাগজপত্র 
পাসপোর্ট, একাডেমিক সনদপত্র, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আইইএলটিএস/টোফেল, স্যাট ইত্যাদি অতিরিক্তভাবে চাহিদা থাকে। 

সুযোগ-সুবিধা 
নিজের পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ। ইঞ্জিনিয়ারিং, পিওর সায়েন্স, আর্টস, কৃষিসহ আরও অনেক ধরনের সাবজেক্ট থেকে নির্বাচন করা যায়। এ ছাড়া ইন্ডিয়াতে থাকা-খাওয়ার খরচও বেশ কম।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ হচ্ছে ভারতের প্রিমিয়ার বেসিক সায়েন্স রিসার্চ ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়। আইআইটি যেমন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য, আইআইএসইআর তেমনি বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার জন্য। এখানে ফিজিক্স, রসায়ন, বায়োলজি, গণিত, আর্থ সায়েন্স, ইকোনমিকসের ওপর পাঁচ বছর মেয়াদি ইন্টিগ্রেটেড বিএস-এমএস দ্বৈত ডিগ্রি দেওয়া হয়। সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হচ্ছে, আপনাকে প্রথম বর্ষে মেজর চয়েজ করা লাগবে না। প্রথম দুই বছর ওপরের সব বিষয়ের ওপর পড়তে হবে, তারপর তৃতীয় বছরে আপনার যেটা ভালো লাগে সেটাকে মেজর হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন।

আর পঞ্চম বছর শুধুই থিসিসের গবেষণা করার জন্য বরাদ্দ, কোনো কোর্স ওয়ার্ক থাকে না। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায় থেকেই গবেষণায় যুক্ত হওয়ার বেশ ভালো সুযোগ পাওয়া যায় এখানে। পাঁচ বছরের প্রোগ্রাম শেষ করেই বিশ্বের নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যায় এখানকার বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা। যদি কারোর পিওর সায়েন্স পড়ার ইচ্ছা থাকে এবং বিজ্ঞান গবেষণায় ঝোঁক থাকে, তবে আপনি আবেদন করতে পারেন। 

অয়ালিদ হাসান, বিএস-এমএস দ্বৈত ডিগ্রি প্রোগ্রাম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, কলকাতা। 

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত