Ajker Patrika

নমুনা ভাইভা: ডেটা কালেকশন করেছেন?

নমুনা ভাইভা: ডেটা কালেকশন করেছেন?

চেয়ারম্যান স্যার: এটাই কি আপনার পিএসসিতে প্রথম ভাইভা? 
আমি: জি স্যার।

চেয়ারম্যান স্যার: আপনার প্রথম পছন্দ তো প্রশাসন। এই সার্ভিসের ইতিহাস সম্পর্কে কি কিছু জানেন? 
আমি: কিছুটা জানি স্যার। ব্রিটিশ শাসনামলে আইএএস এবং পাকিস্তান শাসনামলে ছিল সিএসপি অফিসার। 

চেয়ারম্যান স্যার: প্রশাসন ক্যাডারের মাঠপর্যায়ের পদ সম্পর্কে বলুন।
আমি: সহকারী কমিশনার-সিনিয়র সহকারী কমিশনার (স্যার যুক্ত করেন অবলিক ইউএনও)। জি স্যার বলে সম্মতি দিই।

চেয়ারম্যান স্যার: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক ভাই সিভিল সার্ভিস অফিসার ছিলেন। জানেন?
আমি: জি স্যার (হাসি দিয়ে)।

চেয়ারম্যান স্যার: তাঁর নামটা জানেন?
আমি: সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর (কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম। স্যারের রেসপন্সে সাহস পাই)।
[এরপর চেয়ারম্যান স্যার এক্সটার্নাল -১-এর কাছে রেফার করেন]।
এক্সটার্নাল-১: আপনার স্নাতকোত্তরের বিষয় কী?
আমি: এন্টমোলজি।

এক্সটার্নাল-১: What is metamorphosis? 
আমি: Metamorphosis is the process of transformation from the larva to the juvenile life stage. 
এক্সটার্নাল-১: How many types of metamorphosis? 
আমি: There are two types of metamorphosis. Complete and incomplete metamorphosis.
■  Complete metamorphosis —Egg-larva-pupa-adult.
■   Incomplete metamorphosis—Egg-nymph-adult.
এক্সটার্নাল-১: What is standard deviation?
আমি: Sorry sir.

এক্সটার্নাল-১: Explain IPM.
আমি: Sir, Integrated Pest Management is a sustainable and environment friendly practice of pest management. (চেয়ারম্যান স্যার এই পর্যায়ে আবার প্রশ্ন করতে শুরু করেন। কিছু আলোচনার পর—)

চেয়ারম্যান স্যার: পাটের উৎপাদনে কত তাপমাত্রা প্রয়োজন?
আমি: ২৫-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।(এক্সটেনশন এডুকেশন নিয়ে একটা প্রশ্ন করেছিলেন, যা আমি বুঝতে না পারায় সরি বলি)।

চেয়ারম্যান স্যার: ডেটা কালেকশন করেছেন?
আমি: জি স্যার। গ্র্যাজুয়েশনের সময় ব্যবহারিক ছিল।(এই রিলেটেড নিয়ে স্যারের অভিজ্ঞতা শেয়ারসহ অনেক আলোচনা করেন)।

চেয়ারম্যান স্যার: কৃষিতে নারীর অবদান নিয়ে আপনার মতামত জানান।
আমি: (হোম গার্ডেনে নারীর অবদান সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে ইতিবাচক মন্তব্য করি)।
চেয়ারম্যান স্যার: আপনি কি নারীর অবদান নিয়ে গর্বিত? 
আমি: (হাসিমুখে) জি স্যার।

চেয়ারম্যান স্যার: লিডারশিপের কোয়ালিটি সম্পর্কে বলুন।
আমি: স্ট্র্যাটেজিক থিংকিং, কমিউনিকেশন স্কিল, উদ্যমী (এটুকু বলার পর স্যার নিজে কিছু আলোচনা করেন)।
চেয়ারম্যান স্যার: শ্রীলঙ্কা-সংকটের কৃষিবিষয়ক কারণ ব্যাখ্যা করুন।
আমি: শ্রীলঙ্কা সরকার রাসায়নিক সার ব্যবহারের পরিবর্তে অরগানিক চাষাবাদ শুরু করে। ফলে কৃষিতে ফলন কমে যায়। চাহিদা পূরণে খাদ্যশস্য আমদানি বৃদ্ধি করতে হয়, যা ডলার-সংকট আরও প্রকট করে।

চেয়ারম্যান স্যার: What is organic farming?
আমি: Organic farming is an agricultural method that doesn’t make use of chemical fertilizer and pesticide.
চেয়ারম্যান স্যার: How do you inspired farmers in your locality as a UNO for organic farming? 
আমি: (পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে নিজের মতো বলার চেষ্টা করেছি)।

চেয়ারম্যান স্যার: কেমিক্যাল ইনসেকটিসাইড আমাদের কী ক্ষতি করে?
আমি: খাদ্য শৃঙ্খলে প্রভাব বিস্তার করে। কীটনাশকে থাকা ভারী ধাতু ক্যানসারসহ মানব দেহে নানা রোগ সৃষ্টি করে। মাটি ও পানি দূষণ করে। 

চেয়ারম্যান স্যার: সিস্টেমিক ইনসেকটিসাইড কীভাবে কাজ করে?
আমি: সিস্টেমিক ইনসেকটিসাইড উদ্ভিদের মাধ্যমে শোষিত হয় এবং এমন উদ্ভিদে পোকা আক্রমণ করলে স্টমাক পয়জনের ফলে মারা যায়।

চেয়ারম্যান স্যার: কোন ধরনের পোকা দমনে কার্যকর?
আমি: স্যার, ক্যাটারপিলার, এফিড প্রভৃতি ।

চেয়ারম্যান স্যার: স্মোক কখন ব্যবহৃত হয়?
আমি: ইনডোর ইনসেক্ট দমনে।

চেয়ারম্যান স্যার: ধোঁয়ায় (স্মোক) মশা মারা যায় কোন কারণে?
আমি: মশার রেসপিরেটরি ডেমেজ হলে।(এরপর স্যার এক্সটার্নাল-২-কে প্রশ্ন করতে বলেন)
এক্সটার্নাল-২: ইউএনও হিসেবে কোন কাজটা করতে চাও কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত করে।
আমি: স্যার, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত নীতিমালা বাস্তবায়নে কাজ করতে চাই। 
এক্সটার্নাল-২: প্রোডাকশন বাড়াতে কী কী পরামর্শ দেবে?
আমি: একই জমিতে এক বছরে অধিক ফসল ফলানোর জন্য স্বল্প জীবনকালের ফসলের জাত উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে (ক্রপিং ইনটেনসিটি টার্ম বলার পর চেয়ারম্যান স্যার এক্সটার্নাল-২ ম্যাডাম বুঝবেন, এমন ভাষায় বলতে বললেন)। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও উৎসাহিত করতে হবে। সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদের প্রসার ঘটাতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের রোগবালাই চিহ্নিত করতে হবে।

চেয়ারম্যান স্যার: অনেক সময় হয়ে গেল। যাও, তোমার ভাইভা ডান।
আমি: কাগজপত্র নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে প্রস্থান করি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত