এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। এ পদ্ধতি নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ? মোটেই নয়। এ সমস্যার সমাধান খুঁজতেই জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ‘ফাইভ এস’ পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মূলকথা হলো, আপনার কাজের জায়গা যদি গোছানো থাকে, তাহলে কাজ করা হবে সহজ, দ্রুত ও নির্ভুল। শুধু অফিসে নয়, এ নিয়ম আপনার পড়ার টেবিল এমনকি জীবনযাপনেও বদল এনে দিতে পারে। জাপানের শিল্পবিপ্লবের সময় এ কৌশলের উদ্ভব হয় এবং পরবর্তী সময়ে তা বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও মান বজায় রেখে কর্মপরিবেশ উন্নত করার এমন কৌশল সচেতন ব্যবস্থাপনার চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে।
‘ফাইভ এস’ কী
‘ফাইভ এস’ (5S) হলো পাঁচটি জাপানি শব্দের আদ্যক্ষর, যার প্রতিটি আপনাকে শেখায় কীভাবে একটা জায়গা গুছিয়ে, পরিষ্কার রেখে এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজের গতি বাড়ানো যায়। ১৯৫০-এর দশকে জাপানের টয়োটা মোটর কোম্পানিতে উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা আনার উদ্দেশ্যে ‘টয়োটা প্রোডাকশন সিস্টেম’ চালু হয়। এই ব্যবস্থার একটি অংশ ছিল ফাইভ এস, যা পরে একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনা কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়। Kaizen (ধারাবাহিক উন্নয়ন) নীতির অন্তর্ভুক্ত এ কৌশল ব্যবস্থাপনার জগৎকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। পাঁচটি ধাপ—
বাছাই করুন (Seiri)
যে জিনিসগুলো প্রয়োজনীয় নয়, সেগুলোকে কর্মপরিবেশ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এতে জায়গা খালি হয়, বিশৃঙ্খলা কমে এবং দরকারি জিনিসগুলো খুঁজে পেতে সহজ হয়। আমরা প্রতিদিন কত অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমিয়ে রাখি পুরোনো ম্যাগাজিন, নষ্ট কলম, ফেলে দেওয়ার মতো ফাইল! Seiri শেখায় কীভাবে দরকারি আর অদরকারি জিনিস আলাদা করে জায়গা ফাঁকা করা যায়।
গুছিয়ে রাখুন (Seiton)
প্রয়োজনীয় জিনিস এমনভাবে রাখুন, যাতে প্রয়োজনের সময় সহজে পাওয়া যায়। যেমন ধরুন, খাতা-কলম বা প্রতিদিন পড়েন এমন কোনো বই যদি প্রতিদিন আলাদা জায়গায় রাখেন, তাহলে প্রতিবার খুঁজতে সময় যাবে। Seiton বলে, ‘প্রতিটি জিনিসের একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকা উচিত।’ বাসায় প্রয়োগ করুন: অফিসে যেসব ফাইল প্রয়োজন হয়, সেগুলো হাতের নাগালে রাখুন। আর যেগুলো কম প্রয়োজন, সেগুলো আলমারি বা ডেস্কে রাখতে পারেন।
পরিষ্কার করুন (Seiso)
শুধু গুছিয়ে রাখলেই হবে না, নিয়মিত পরিষ্কার করাও জরুরি। জাপানের অফিস বা কারখানায় প্রত্যেক কর্মী নিজের টেবিল, এমনকি যন্ত্রপাতি নিজে পরিষ্কার করেন। এতে পরিবেশ যেমন ভালো থাকে, তেমনি নিজের জিনিস নিয়েও সচেতনতা বাড়ে।
বাসায় প্রয়োগ করুন: প্রতিদিন ৫ মিনিট করে নিজের পড়ার টেবিল বা অফিস ডেস্ক পরিষ্কার করুন।
নিয়ম বানান (Seiketsu)
এই তিন ধাপ যেন একবার করে করে থেমে না যায়, সেটাই Seiketsu-র শিক্ষা। তাই তারা নিয়ম বানায় প্রতিদিন সকালে পরিষ্কার করা, সপ্তাহে এক দিন রিভিউ করা, লেবেল আপডেট রাখা। বাসায় প্রয়োগ করুন: প্রতি শনিবার আলমারি বা ফ্রিজ গোছানোর ‘পরিবার দিবস’ চালু করুন।
শৃঙ্খলা বজায় রাখুন (Shitsuke)
যেকোনো অভ্যাস টিকিয়ে রাখতে লাগে শৃঙ্খলা, ধৈর্য ও নিজস্ব দায়বদ্ধতা। জাপানিরা এ ধাপকে খুব গুরুত্ব দেন। কারণ, তাঁরা বিশ্বাস করেন, গুছিয়ে রাখার অভ্যাস শুধু জিনিসপত্রে নয়, জীবনেও শৃঙ্খলা আনে। ছোটদের শেখান জিনিসপত্র ব্যবহারের পর যেখানে ছিল, সেখানে রেখে দিতে।
কোথায় কোথায় ফাইভ এস কাজ করে? অফিসে: সময় বাঁচে, ভুল কমে, পরিবেশ হয় পেশাদার।
স্কুলে: শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হয়।
হাসপাতালে: নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন চিকিৎসা পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ঘরে: সময়, জায়গা ও মানসিক চাপ কমে।
‘ফাইভ এস’ শুধু একটি কাজের কৌশল নয়, এটি একটি জীবনদর্শন। এটি শেখায় কীভাবে ছোট ছোট অভ্যাস আপনাকে একজন গোছানো, সময়সচেতন ও দায়িত্ববান মানুষে রূপান্তর করতে পারে।

কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। এ পদ্ধতি নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ? মোটেই নয়। এ সমস্যার সমাধান খুঁজতেই জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ‘ফাইভ এস’ পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মূলকথা হলো, আপনার কাজের জায়গা যদি গোছানো থাকে, তাহলে কাজ করা হবে সহজ, দ্রুত ও নির্ভুল। শুধু অফিসে নয়, এ নিয়ম আপনার পড়ার টেবিল এমনকি জীবনযাপনেও বদল এনে দিতে পারে। জাপানের শিল্পবিপ্লবের সময় এ কৌশলের উদ্ভব হয় এবং পরবর্তী সময়ে তা বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও মান বজায় রেখে কর্মপরিবেশ উন্নত করার এমন কৌশল সচেতন ব্যবস্থাপনার চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে।
‘ফাইভ এস’ কী
‘ফাইভ এস’ (5S) হলো পাঁচটি জাপানি শব্দের আদ্যক্ষর, যার প্রতিটি আপনাকে শেখায় কীভাবে একটা জায়গা গুছিয়ে, পরিষ্কার রেখে এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজের গতি বাড়ানো যায়। ১৯৫০-এর দশকে জাপানের টয়োটা মোটর কোম্পানিতে উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা আনার উদ্দেশ্যে ‘টয়োটা প্রোডাকশন সিস্টেম’ চালু হয়। এই ব্যবস্থার একটি অংশ ছিল ফাইভ এস, যা পরে একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনা কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়। Kaizen (ধারাবাহিক উন্নয়ন) নীতির অন্তর্ভুক্ত এ কৌশল ব্যবস্থাপনার জগৎকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। পাঁচটি ধাপ—
বাছাই করুন (Seiri)
যে জিনিসগুলো প্রয়োজনীয় নয়, সেগুলোকে কর্মপরিবেশ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এতে জায়গা খালি হয়, বিশৃঙ্খলা কমে এবং দরকারি জিনিসগুলো খুঁজে পেতে সহজ হয়। আমরা প্রতিদিন কত অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমিয়ে রাখি পুরোনো ম্যাগাজিন, নষ্ট কলম, ফেলে দেওয়ার মতো ফাইল! Seiri শেখায় কীভাবে দরকারি আর অদরকারি জিনিস আলাদা করে জায়গা ফাঁকা করা যায়।
গুছিয়ে রাখুন (Seiton)
প্রয়োজনীয় জিনিস এমনভাবে রাখুন, যাতে প্রয়োজনের সময় সহজে পাওয়া যায়। যেমন ধরুন, খাতা-কলম বা প্রতিদিন পড়েন এমন কোনো বই যদি প্রতিদিন আলাদা জায়গায় রাখেন, তাহলে প্রতিবার খুঁজতে সময় যাবে। Seiton বলে, ‘প্রতিটি জিনিসের একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকা উচিত।’ বাসায় প্রয়োগ করুন: অফিসে যেসব ফাইল প্রয়োজন হয়, সেগুলো হাতের নাগালে রাখুন। আর যেগুলো কম প্রয়োজন, সেগুলো আলমারি বা ডেস্কে রাখতে পারেন।
পরিষ্কার করুন (Seiso)
শুধু গুছিয়ে রাখলেই হবে না, নিয়মিত পরিষ্কার করাও জরুরি। জাপানের অফিস বা কারখানায় প্রত্যেক কর্মী নিজের টেবিল, এমনকি যন্ত্রপাতি নিজে পরিষ্কার করেন। এতে পরিবেশ যেমন ভালো থাকে, তেমনি নিজের জিনিস নিয়েও সচেতনতা বাড়ে।
বাসায় প্রয়োগ করুন: প্রতিদিন ৫ মিনিট করে নিজের পড়ার টেবিল বা অফিস ডেস্ক পরিষ্কার করুন।
নিয়ম বানান (Seiketsu)
এই তিন ধাপ যেন একবার করে করে থেমে না যায়, সেটাই Seiketsu-র শিক্ষা। তাই তারা নিয়ম বানায় প্রতিদিন সকালে পরিষ্কার করা, সপ্তাহে এক দিন রিভিউ করা, লেবেল আপডেট রাখা। বাসায় প্রয়োগ করুন: প্রতি শনিবার আলমারি বা ফ্রিজ গোছানোর ‘পরিবার দিবস’ চালু করুন।
শৃঙ্খলা বজায় রাখুন (Shitsuke)
যেকোনো অভ্যাস টিকিয়ে রাখতে লাগে শৃঙ্খলা, ধৈর্য ও নিজস্ব দায়বদ্ধতা। জাপানিরা এ ধাপকে খুব গুরুত্ব দেন। কারণ, তাঁরা বিশ্বাস করেন, গুছিয়ে রাখার অভ্যাস শুধু জিনিসপত্রে নয়, জীবনেও শৃঙ্খলা আনে। ছোটদের শেখান জিনিসপত্র ব্যবহারের পর যেখানে ছিল, সেখানে রেখে দিতে।
কোথায় কোথায় ফাইভ এস কাজ করে? অফিসে: সময় বাঁচে, ভুল কমে, পরিবেশ হয় পেশাদার।
স্কুলে: শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হয়।
হাসপাতালে: নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন চিকিৎসা পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ঘরে: সময়, জায়গা ও মানসিক চাপ কমে।
‘ফাইভ এস’ শুধু একটি কাজের কৌশল নয়, এটি একটি জীবনদর্শন। এটি শেখায় কীভাবে ছোট ছোট অভ্যাস আপনাকে একজন গোছানো, সময়সচেতন ও দায়িত্ববান মানুষে রূপান্তর করতে পারে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
৪ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
৪ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি...
৪ ঘণ্টা আগে
প্রিয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। এই সময়টাতে অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে—কীভাবে প্রস্তুতি গোছাবে, কোন দিকটায় বেশি গুরুত্ব দেবে এসব ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মেধাবী শিক্ষার্থী। এই বাস্তবতার পেছনের কারণ, এর প্রভাব এবং উত্তরণের পথ নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের গবেষক ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ শুনে লিখেছেন মো. মনিরুল ইসলাম।
মো. মনিরুল ইসলাম

প্রস্তুতির অভাব ও অনীহা
আইইএলটিএস একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম মৌলিক শর্ত। তবে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীই ইংরেজি ভাষা চর্চার প্রতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেন না। শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ব্যবহার সীমিত থাকা, পরীক্ষাভিত্তিক পড়াশোনার প্রবণতা এবং দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজির ব্যবহার না থাকার কারণে ভাষাগত দক্ষতা গড়ে ওঠে না। এর ফলে আইইএলটিএস পরীক্ষার কথা শুনলেই অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ভয় ও অনীহা তৈরি হয়। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন এবং কাঠামোবদ্ধ পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনেককে শুরুতেই নিরুৎসাহিত করে।
সচেতনতার অভাব
আইইএলটিএস সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাবও একটি বড় কারণ। অনেক শিক্ষার্থীই জানেন না যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কিংবা জাপানসহ বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস একটি অপরিহার্য শর্ত। ফলে তাঁরা বিষয়টিকে ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত মনে করেন। বিদেশে পড়াশোনার পুরো প্রক্রিয়া—বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, স্কলারশিপ আবেদন, ভিসাপ্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি থাকায় আইইএলটিএসের প্রয়োজনীয়তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয় না।
আর্থিক সীমাবদ্ধতা
আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি এবং প্রস্তুতিমূলক কোচিংয়ের খরচ অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রাম বা মফস্বল এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যয় আরও ভারী হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে ফি ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তাঁদের ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় মনে করা হয়, যা শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে আরও দুর্বল করে দেয়।
উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের ঘাটতি
বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করেই দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করতে চান। বিশেষ করে সরকারি চাকরির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে পিছিয়ে দেয়। পরিবার ও সমাজের চাপেও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেন। ফলে আইইএলটিএস প্রস্তুতিকে তাঁরা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হিসেবে না দেখে বাড়তি ঝামেলা বিবেচনা করেন।
ভাষাগত মানসিক বাধা
ইংরেজিকে ‘কঠিন বিষয়’ হিসেবে ভাবার একটি মানসিক দেয়াল বহু শিক্ষার্থীর মাঝেই কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা শুধু ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। এই ভ্রান্ত ধারণা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে এবং শুরুতেই পরীক্ষাটি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে।
সুযোগ হারানোর বাস্তবতা
আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আন্তর্জাতিক স্কলারশিপের সুযোগ হারান। এর ফলে তাঁদের শিক্ষাজীবন দেশের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আন্তর্জাতিক গবেষণা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও বহুজাতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কমে যায়, যা ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।
উত্তরণের পথ
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আইইএলটিএসের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের সক্রিয় দিকনির্দেশনা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল, ভর্তুকি বা প্রাতিষ্ঠানিক স্কলারশিপ চালু করা হলে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
সঠিক পরিকল্পনা, সচেতনতা ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আইইএলটিএস কোনো অজেয় বাধা নয়। বরং এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিতে পারে। এই বাধাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা গেলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রস্তুতির অভাব ও অনীহা
আইইএলটিএস একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম মৌলিক শর্ত। তবে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীই ইংরেজি ভাষা চর্চার প্রতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেন না। শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ব্যবহার সীমিত থাকা, পরীক্ষাভিত্তিক পড়াশোনার প্রবণতা এবং দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজির ব্যবহার না থাকার কারণে ভাষাগত দক্ষতা গড়ে ওঠে না। এর ফলে আইইএলটিএস পরীক্ষার কথা শুনলেই অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ভয় ও অনীহা তৈরি হয়। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন এবং কাঠামোবদ্ধ পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনেককে শুরুতেই নিরুৎসাহিত করে।
সচেতনতার অভাব
আইইএলটিএস সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাবও একটি বড় কারণ। অনেক শিক্ষার্থীই জানেন না যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কিংবা জাপানসহ বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস একটি অপরিহার্য শর্ত। ফলে তাঁরা বিষয়টিকে ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত মনে করেন। বিদেশে পড়াশোনার পুরো প্রক্রিয়া—বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, স্কলারশিপ আবেদন, ভিসাপ্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি থাকায় আইইএলটিএসের প্রয়োজনীয়তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয় না।
আর্থিক সীমাবদ্ধতা
আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি এবং প্রস্তুতিমূলক কোচিংয়ের খরচ অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রাম বা মফস্বল এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যয় আরও ভারী হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে ফি ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তাঁদের ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় মনে করা হয়, যা শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে আরও দুর্বল করে দেয়।
উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের ঘাটতি
বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করেই দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করতে চান। বিশেষ করে সরকারি চাকরির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে পিছিয়ে দেয়। পরিবার ও সমাজের চাপেও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেন। ফলে আইইএলটিএস প্রস্তুতিকে তাঁরা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হিসেবে না দেখে বাড়তি ঝামেলা বিবেচনা করেন।
ভাষাগত মানসিক বাধা
ইংরেজিকে ‘কঠিন বিষয়’ হিসেবে ভাবার একটি মানসিক দেয়াল বহু শিক্ষার্থীর মাঝেই কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা শুধু ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। এই ভ্রান্ত ধারণা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে এবং শুরুতেই পরীক্ষাটি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে।
সুযোগ হারানোর বাস্তবতা
আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আন্তর্জাতিক স্কলারশিপের সুযোগ হারান। এর ফলে তাঁদের শিক্ষাজীবন দেশের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আন্তর্জাতিক গবেষণা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও বহুজাতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কমে যায়, যা ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।
উত্তরণের পথ
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আইইএলটিএসের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের সক্রিয় দিকনির্দেশনা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল, ভর্তুকি বা প্রাতিষ্ঠানিক স্কলারশিপ চালু করা হলে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
সঠিক পরিকল্পনা, সচেতনতা ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আইইএলটিএস কোনো অজেয় বাধা নয়। বরং এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিতে পারে। এই বাধাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা গেলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ?
৩০ জুলাই ২০২৫
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
৪ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি...
৪ ঘণ্টা আগে
প্রিয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। এই সময়টাতে অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে—কীভাবে প্রস্তুতি গোছাবে, কোন দিকটায় বেশি গুরুত্ব দেবে এসব ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে তুলে ধরা হলো:
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র কে ছিলেন?
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতনামা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা, ধর্মযাজক ও মানবাধিকারকর্মী। তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
তাঁর জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কী জানা যায়?
লুথার কিং ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ধর্মতত্ত্বে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরে একজন ব্যাপটিস্ট ধর্মযাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কোন আন্দোলনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন?
তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ (Civil Rights Movement)-এর প্রধান নেতা ছিলেন। বিশেষ করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, সমান নাগরিক সুযোগ এবং আইনি বৈষম্য দূর করার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন।
মার্টিন লুথার কিং কোন ধরনের আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন?
তিনি অহিংস (Non-violence) ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সহিংসতার পরিবর্তে নৈতিক শক্তি ও গণ-অসহযোগকে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তিটি কী?
মার্টিন লুথার কিংয়ের সবচেয়ে কালজয়ী উক্তিটি হলো, ‘I have a dream that my four little children will one day live in a nation where they will not be judged by the color of their skin but by the content of their character.’ (আমার একটি স্বপ্ন আছে যে, আমার চার সন্তান একদিন এমন এক দেশে বাস করবে, যেখানে গায়ের রঙের পরিবর্তে তাদের চরিত্রের গুণাবলি দিয়ে তাদের বিচার করা হবে।)
‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ (I Have a Dream) ভাষণের গুরুত্ব কী?
১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সামনে দেওয়া এ ভাষণটি ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত। এতে তিনি বর্ণ, ধর্ম ও গায়ের রঙভিত্তিক বৈষম্যহীন এক সমাজের স্বপ্ন তুলে ধরেন। এই ভাষণটি আমেরিকায় নাগরিক অধিকার আইন (Civil Rights Act of 1964) পাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করেছিল।
তিনি কেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?
শান্তিপূর্ণ ও অহিংস উপায়ে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং মানবাধিকারের পক্ষে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৬৪ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে পুরস্কারটি পেয়ে তিনি তৎকালীন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
তাঁর আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
সব নাগরিকের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, বর্ণবাদী আইনের বিলোপ ঘটানো এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল?
১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিস শহরের লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামক একজন শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীর গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর বয়স তখন মাত্র ৩৯ বছর। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি তাঁর ভাষণে অহিংসার ডাক দিয়েছিলেন।
মার্টিন লুথার কিংয়ের অবদান কেন আজও প্রাসঙ্গিক?
সারা বিশ্বে আজও যেখানেই বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, সেখানেই তাঁর আদর্শ ও ‘অহিংস আন্দোলন’ অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি প্রমাণ করেছেন, অস্ত্রের চেয়ে নৈতিকতা ও ন্যায়ের শক্তি অনেক বেশি শক্তিশালী।

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে তুলে ধরা হলো:
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র কে ছিলেন?
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতনামা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা, ধর্মযাজক ও মানবাধিকারকর্মী। তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
তাঁর জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কী জানা যায়?
লুথার কিং ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ধর্মতত্ত্বে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরে একজন ব্যাপটিস্ট ধর্মযাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কোন আন্দোলনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন?
তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ (Civil Rights Movement)-এর প্রধান নেতা ছিলেন। বিশেষ করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, সমান নাগরিক সুযোগ এবং আইনি বৈষম্য দূর করার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন।
মার্টিন লুথার কিং কোন ধরনের আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন?
তিনি অহিংস (Non-violence) ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সহিংসতার পরিবর্তে নৈতিক শক্তি ও গণ-অসহযোগকে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তিটি কী?
মার্টিন লুথার কিংয়ের সবচেয়ে কালজয়ী উক্তিটি হলো, ‘I have a dream that my four little children will one day live in a nation where they will not be judged by the color of their skin but by the content of their character.’ (আমার একটি স্বপ্ন আছে যে, আমার চার সন্তান একদিন এমন এক দেশে বাস করবে, যেখানে গায়ের রঙের পরিবর্তে তাদের চরিত্রের গুণাবলি দিয়ে তাদের বিচার করা হবে।)
‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ (I Have a Dream) ভাষণের গুরুত্ব কী?
১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সামনে দেওয়া এ ভাষণটি ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত। এতে তিনি বর্ণ, ধর্ম ও গায়ের রঙভিত্তিক বৈষম্যহীন এক সমাজের স্বপ্ন তুলে ধরেন। এই ভাষণটি আমেরিকায় নাগরিক অধিকার আইন (Civil Rights Act of 1964) পাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করেছিল।
তিনি কেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?
শান্তিপূর্ণ ও অহিংস উপায়ে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং মানবাধিকারের পক্ষে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৬৪ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে পুরস্কারটি পেয়ে তিনি তৎকালীন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
তাঁর আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
সব নাগরিকের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, বর্ণবাদী আইনের বিলোপ ঘটানো এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল?
১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিস শহরের লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামক একজন শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীর গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর বয়স তখন মাত্র ৩৯ বছর। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি তাঁর ভাষণে অহিংসার ডাক দিয়েছিলেন।
মার্টিন লুথার কিংয়ের অবদান কেন আজও প্রাসঙ্গিক?
সারা বিশ্বে আজও যেখানেই বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, সেখানেই তাঁর আদর্শ ও ‘অহিংস আন্দোলন’ অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি প্রমাণ করেছেন, অস্ত্রের চেয়ে নৈতিকতা ও ন্যায়ের শক্তি অনেক বেশি শক্তিশালী।

কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ?
৩০ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
৪ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি...
৪ ঘণ্টা আগে
প্রিয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। এই সময়টাতে অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে—কীভাবে প্রস্তুতি গোছাবে, কোন দিকটায় বেশি গুরুত্ব দেবে এসব ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। খলিফা ইউনিভার্সিটির এই মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ আগ্রহীদের জন্য একটি বড় সুযোগ।
খলিফা ইউনিভার্সিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও গবেষণাভিত্তিক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত। বিশ্বমানের গবেষণা অবকাঠামো, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর জন্য খলিফা ইউনিভার্সিটি দ্রুত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। টাইমস হায়ার এডুকেশন ও কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়েও প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে উল্লেখযোগ্য অবস্থান ধরে রাখছে। উদ্ভাবন, গবেষণা ও বাস্তবমুখী শিক্ষার সমন্বয়ে খলিফা ইউনিভার্সিটি খুব অল্প সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। শিক্ষা সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে মাসিক ভাতা। গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কলারশিপ নীতিমালা অনুযায়ী, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে ৮ হাজার দিরহাম এবং পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে ১০ হাজার দিরহাম। যা সময় ও নীতিমালার ভিত্তিতে পরিবর্তনযোগ্য। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ সহায়তা; যা তাঁদের একাডেমিক ও গবেষণামূলক দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আবেদনের যোগ্যতা
বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য প্রার্থীর অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ভর্তি-সংক্রান্ত সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করাও বাধ্যতামূলক। আর ডক্টরেট (পিএইচডি) প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া ৫০০ থেকে ১ হাজার শব্দের একটি গবেষণা প্রস্তাবনা (রিসার্চ স্টেটমেন্ট) জমা দিতে হবে। এরপর ভর্তি সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রার্থীদের অনলাইনে নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদনকারীদের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির সনদ এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রির সনদ জমা দিতে হবে। পাশাপাশি সব একাডেমিক পর্যায়ের অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, আপডেটেড ও বিস্তারিত জীবনবৃত্তান্ত (সিভি), সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং বৈধ পাসপোর্টের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া পার্সোনাল স্টেটমেন্ট, স্টেটমেন্ট অব পারপাস এবং দুটি সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) জমা দিতে হবে।
বৃত্তির মেয়াদ
খলিফা ইউনিভার্সিটির এই স্কলারশিপে ফুলটাইম ও পার্টটাইম—উভয় ধরনের পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শর্ত মানতে হবে। ফুলটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে ৩-৪টি কোর্সে (মোট ৯-১২ ক্রেডিট আওয়ার বা সমমান) ভর্তি থাকতে হবে। আর পার্টটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে ২টি কোর্সে (৬ ক্রেডিট আওয়ার বা সমমান) ভর্তি থাকা বাধ্যতামূলক। ডিগ্রি অনুযায়ী বৃত্তির মেয়াদ হবে মাস্টার্স ডিগ্রি (ফুলটাইম) দুই বছর; মাস্টার্স ডিগ্রি (পার্টটাইম) তিন বছর। আর পিএইচডির ক্ষেত্রে তিন-চার বছর।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টির এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা মূলত প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, নিরাপত্তা এবং শিল্প-কলাভিত্তিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন। এখানে রয়েছে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেস। পাশাপাশি, ডক্টর অব ফিলোসফি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামেও শিক্ষার্থীরা পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তির মাধ্যমে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা লিঙ্কে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
আগামী ২ মার্চ, ২০২৬

সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। খলিফা ইউনিভার্সিটির এই মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ আগ্রহীদের জন্য একটি বড় সুযোগ।
খলিফা ইউনিভার্সিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও গবেষণাভিত্তিক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত। বিশ্বমানের গবেষণা অবকাঠামো, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর জন্য খলিফা ইউনিভার্সিটি দ্রুত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। টাইমস হায়ার এডুকেশন ও কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়েও প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে উল্লেখযোগ্য অবস্থান ধরে রাখছে। উদ্ভাবন, গবেষণা ও বাস্তবমুখী শিক্ষার সমন্বয়ে খলিফা ইউনিভার্সিটি খুব অল্প সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। শিক্ষা সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে মাসিক ভাতা। গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কলারশিপ নীতিমালা অনুযায়ী, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে ৮ হাজার দিরহাম এবং পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে ১০ হাজার দিরহাম। যা সময় ও নীতিমালার ভিত্তিতে পরিবর্তনযোগ্য। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ সহায়তা; যা তাঁদের একাডেমিক ও গবেষণামূলক দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আবেদনের যোগ্যতা
বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য প্রার্থীর অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ভর্তি-সংক্রান্ত সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করাও বাধ্যতামূলক। আর ডক্টরেট (পিএইচডি) প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া ৫০০ থেকে ১ হাজার শব্দের একটি গবেষণা প্রস্তাবনা (রিসার্চ স্টেটমেন্ট) জমা দিতে হবে। এরপর ভর্তি সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রার্থীদের অনলাইনে নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদনকারীদের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির সনদ এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রির সনদ জমা দিতে হবে। পাশাপাশি সব একাডেমিক পর্যায়ের অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, আপডেটেড ও বিস্তারিত জীবনবৃত্তান্ত (সিভি), সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং বৈধ পাসপোর্টের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া পার্সোনাল স্টেটমেন্ট, স্টেটমেন্ট অব পারপাস এবং দুটি সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) জমা দিতে হবে।
বৃত্তির মেয়াদ
খলিফা ইউনিভার্সিটির এই স্কলারশিপে ফুলটাইম ও পার্টটাইম—উভয় ধরনের পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শর্ত মানতে হবে। ফুলটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে ৩-৪টি কোর্সে (মোট ৯-১২ ক্রেডিট আওয়ার বা সমমান) ভর্তি থাকতে হবে। আর পার্টটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে ২টি কোর্সে (৬ ক্রেডিট আওয়ার বা সমমান) ভর্তি থাকা বাধ্যতামূলক। ডিগ্রি অনুযায়ী বৃত্তির মেয়াদ হবে মাস্টার্স ডিগ্রি (ফুলটাইম) দুই বছর; মাস্টার্স ডিগ্রি (পার্টটাইম) তিন বছর। আর পিএইচডির ক্ষেত্রে তিন-চার বছর।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টির এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা মূলত প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, নিরাপত্তা এবং শিল্প-কলাভিত্তিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন। এখানে রয়েছে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেস। পাশাপাশি, ডক্টর অব ফিলোসফি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামেও শিক্ষার্থীরা পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তির মাধ্যমে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা লিঙ্কে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
আগামী ২ মার্চ, ২০২৬

কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ?
৩০ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
৪ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
৪ ঘণ্টা আগে
প্রিয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। এই সময়টাতে অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে—কীভাবে প্রস্তুতি গোছাবে, কোন দিকটায় বেশি গুরুত্ব দেবে এসব ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেরোহান রহমান

প্রিয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। এই সময়টাতে অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে—কীভাবে প্রস্তুতি গোছাবে, কোন দিকটায় বেশি গুরুত্ব দেবে এসব ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ে।
এই সময় আত্মবিশ্বাসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যারা ফার্স্ট টাইমার, তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় সময় ব্যবস্থাপনায়। শুরুতে প্রশ্ন বুঝলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারায় ফল ভালো আসে না। আমার ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছিল। আমি জানতাম প্রশ্ন পারি, কিন্তু সময়ের আগে শেষ করতে পারতাম না। এমনকি ০.২০/০.২৫ নম্বরের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হয়নি। তখন বুঝেছি, ভুলটা কোথায় হয়েছিল। আমি পরীক্ষা দিতে পারি বলে অনেক সময় মডেল টেস্ট বাদ দিতাম। সেটাই ছিল বড় ভুল।
এ ক্ষেত্রে তোমাদের বেশি বেশি মডেল টেস্ট দিতে হবে। এই সময়ে সবচেয়ে জরুরি হলো নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়া। এতে সময় ব্যবস্থাপনা ঠিক হয়, দুর্বলতা ধরা পড়ে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
এ ছাড়া প্রশ্ন বিশ্লেষণ করো। শেষ তিন-চার বছরের প্রশ্ন দেখলে বুঝবে একই ধরনের প্রশ্ন বারবার আসে। একে ‘কমন’ বলা যায় না, তবে টাইপ কমন থাকে। প্রশ্নের ভাষা বদলাতে পারে, কিন্তু ধরন প্রায় একই। প্রশ্নব্যাংক ও বিগত বছরের প্রশ্ন ভালোভাবে বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পরিকল্পিত রিভিশন দিতে হবে। আমি এই সময়ে প্রতি বিষয়ের জন্য পাঁচ দিন করে রিভিশন দিতাম। কোথায় ভুলে গেছি বা কোন অংশে সমস্যা হচ্ছে—সেগুলো অনুশীলন করে ঠিক করতাম। সবার বোঝার ধরন এক নয়, তাই নিজের মতো করে রুটিন সাজাও।
ম্যাথ, বায়োলজি, নাকি দুটোই?
এ ক্ষেত্রে শুধু গণিত দিলে জীববিজ্ঞান-সম্পর্কিত বিষয় পছন্দ দিতে পারবেন না (প্রায় ৪০০+সিট বাদ পড়ে)। আবার শুধু জীববিজ্ঞান দিলে গণিত-সম্পর্কিত বিষয় পাবেন না (প্রায় ৩০০+সিট বাদ পড়ে)। এতে গণিত ও জীববিজ্ঞান উভয় দিলে সব বিষয় পছন্দ থাকে। প্রায় ৭৫০টি সিট, সবচেয়ে সেফ অপশন।
যদি আপনার গণিত খুব দুর্বল হয়, কিন্তু জীববিজ্ঞান শক্তিশালী, তাহলে শুধু জীববিজ্ঞান দেওয়াও সম্ভব। আবার জীববিজ্ঞান একদমই না পারলে শুধু গণিত দিতে পার। তবে শুধু গণিত দিয়ে সময় ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়, যদিও অসম্ভব নয়। আমি নিজেও প্রথম ও দ্বিতীয়বার শুধু গণিত দিয়েছিলাম। প্রথমবার সময় ব্যবস্থাপনা করতে পারিনি, নম্বর ছিল ৬৭.৭৫, সি-৩ এ ১৩২৭তম অবস্থান ছিল। দ্বিতীয়বার প্রচুর অনুশীলন করে সময় ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছিলাম। সি-১ এ ১ম পজিশন নম্বর ছিল ৮৯।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএ অনুযায়ী কোনো নম্বর কাটে না। এমনকি সেকেন্ড টাইমারদের ক্ষেত্রেও কোনো নম্বর কাটা হয় না। তাই ফার্স্ট টাইমার ও সেকেন্ড টাইমার দুপক্ষের জন্যই এটি দারুণ সুযোগ।
১ম বিজ্ঞান ইউনিট (সি-১), ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ, রাবি

প্রিয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। এই সময়টাতে অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে—কীভাবে প্রস্তুতি গোছাবে, কোন দিকটায় বেশি গুরুত্ব দেবে এসব ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ে।
এই সময় আত্মবিশ্বাসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যারা ফার্স্ট টাইমার, তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় সময় ব্যবস্থাপনায়। শুরুতে প্রশ্ন বুঝলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারায় ফল ভালো আসে না। আমার ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছিল। আমি জানতাম প্রশ্ন পারি, কিন্তু সময়ের আগে শেষ করতে পারতাম না। এমনকি ০.২০/০.২৫ নম্বরের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হয়নি। তখন বুঝেছি, ভুলটা কোথায় হয়েছিল। আমি পরীক্ষা দিতে পারি বলে অনেক সময় মডেল টেস্ট বাদ দিতাম। সেটাই ছিল বড় ভুল।
এ ক্ষেত্রে তোমাদের বেশি বেশি মডেল টেস্ট দিতে হবে। এই সময়ে সবচেয়ে জরুরি হলো নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়া। এতে সময় ব্যবস্থাপনা ঠিক হয়, দুর্বলতা ধরা পড়ে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
এ ছাড়া প্রশ্ন বিশ্লেষণ করো। শেষ তিন-চার বছরের প্রশ্ন দেখলে বুঝবে একই ধরনের প্রশ্ন বারবার আসে। একে ‘কমন’ বলা যায় না, তবে টাইপ কমন থাকে। প্রশ্নের ভাষা বদলাতে পারে, কিন্তু ধরন প্রায় একই। প্রশ্নব্যাংক ও বিগত বছরের প্রশ্ন ভালোভাবে বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পরিকল্পিত রিভিশন দিতে হবে। আমি এই সময়ে প্রতি বিষয়ের জন্য পাঁচ দিন করে রিভিশন দিতাম। কোথায় ভুলে গেছি বা কোন অংশে সমস্যা হচ্ছে—সেগুলো অনুশীলন করে ঠিক করতাম। সবার বোঝার ধরন এক নয়, তাই নিজের মতো করে রুটিন সাজাও।
ম্যাথ, বায়োলজি, নাকি দুটোই?
এ ক্ষেত্রে শুধু গণিত দিলে জীববিজ্ঞান-সম্পর্কিত বিষয় পছন্দ দিতে পারবেন না (প্রায় ৪০০+সিট বাদ পড়ে)। আবার শুধু জীববিজ্ঞান দিলে গণিত-সম্পর্কিত বিষয় পাবেন না (প্রায় ৩০০+সিট বাদ পড়ে)। এতে গণিত ও জীববিজ্ঞান উভয় দিলে সব বিষয় পছন্দ থাকে। প্রায় ৭৫০টি সিট, সবচেয়ে সেফ অপশন।
যদি আপনার গণিত খুব দুর্বল হয়, কিন্তু জীববিজ্ঞান শক্তিশালী, তাহলে শুধু জীববিজ্ঞান দেওয়াও সম্ভব। আবার জীববিজ্ঞান একদমই না পারলে শুধু গণিত দিতে পার। তবে শুধু গণিত দিয়ে সময় ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়, যদিও অসম্ভব নয়। আমি নিজেও প্রথম ও দ্বিতীয়বার শুধু গণিত দিয়েছিলাম। প্রথমবার সময় ব্যবস্থাপনা করতে পারিনি, নম্বর ছিল ৬৭.৭৫, সি-৩ এ ১৩২৭তম অবস্থান ছিল। দ্বিতীয়বার প্রচুর অনুশীলন করে সময় ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছিলাম। সি-১ এ ১ম পজিশন নম্বর ছিল ৮৯।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএ অনুযায়ী কোনো নম্বর কাটে না। এমনকি সেকেন্ড টাইমারদের ক্ষেত্রেও কোনো নম্বর কাটা হয় না। তাই ফার্স্ট টাইমার ও সেকেন্ড টাইমার দুপক্ষের জন্যই এটি দারুণ সুযোগ।
১ম বিজ্ঞান ইউনিট (সি-১), ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ, রাবি

কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ?
৩০ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
৪ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
৪ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি...
৪ ঘণ্টা আগে