Ajker Patrika

মাউশি দুই ভাগ হচ্ছে, গঠিত হবে মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৩৫
মাউশি দুই ভাগ হচ্ছে, গঠিত হবে মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভেঙে দুটি অধিদপ্তর করা হচ্ছে। এর একটি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও অন্যটি কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ দুটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথক অর্গানোগ্রাম, কার্যতালিকাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রণয়নের জন্য ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার (১২ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (সরকারি মাধ্যমিক-১) সিনিয়র সহকারী সচিব সিফাত উদ্দিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মাধ্যমিক শিক্ষাকে পৃথক করে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সম্মতি দিয়েছেন। দুটি পৃথক অধিদপ্তরের জন্য অর্গানোগ্রাম, কার্যতালিকাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব করার লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দুটি অর্গানোগ্রাম তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।

অফিস আদেশের তথ্য বলছে, ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিবকে (সরকারি মাধ্যমিক অধিশাখা) আর সদস্যসচিব করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিবকে (সরকারি মাধ্যমিক-১)।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি কলেজ-১), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা/বাস্তবায়ন অনুবিভাগের প্রতিনিধি (উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (বাজেট)।

কমিটির কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে—রুলস অব বিজনেস-১৯৯৬ অনুসরণ করে গঠিতব্য অধিদপ্তরসমূহের কার্যতালিকা প্রণয়ন; নবগঠিত দুটি অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) প্রস্তুত; নবগঠিত দুটি অধিদপ্তরের কর্মবণ্টন প্রস্তুত এবং টিওঅ্যান্ডই (টেবিল অব দ্য অফিশিয়াল অ্যান্ড ইকুপমেন্ট) নির্ধারণ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে বিভক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে।

এর আগে ২০০৩ সালে অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনে মাধ্যমিক শিক্ষা পরিচালনায় আলাদা অধিদপ্তরের প্রস্তাব আসে। পরে ২০১০ সালে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিশনও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠনের প্রস্তাব রাখে। ২০২৩ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও মাউশি ভেঙে দুই ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও মাউশি ভেঙে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর করার সুপারিশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মাধ্যমিক শিক্ষা অঙ্গীভূত থাকার কারণে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা গুরুত্ব পাচ্ছে না এবং ক্রমেই মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান কমছে। তাই এটি আলাদা হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়।

মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য আলাদা অধিদপ্তর গঠনের দাবি বিভিন্ন সময়ে তুলেছিলেন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকেরাও। তবে সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের দিক থেকে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা রয়েছে। তাঁদের দাবি, প্রশাসন ক্যাডার শিক্ষা প্রশাসনে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বিভক্ত করার প্রস্তাব তুলেছে।

জানতে চাইলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক খান মাইনুদ্দিন সোহেল বলেন, শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, এটি একীভূতই থাকা উচিত।

উল্লেখ্য, দেশের সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও কলেজপর্যায়ের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবগুলোর তদারকির দায়িত্ব মাউশির। এই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে পদায়ন পান বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা, যে পদটিকে শিক্ষা ক্যাডারের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। এই অধিদপ্তরের পরিচালক, উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকের পদগুলোতেও বসেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের শিক্ষা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ১৯ হাজারটি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুল, ১ হাজার ৪৮০টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ৩ হাজার ৩৪১টি কলেজ রয়েছে, যেগুলো বর্তমানে তদারকি করে মাউশি। এর বাইরে নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়, ৬৪টি জেলা শিক্ষা কার্যালয়, ৫১৬টি মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় এই অধিদপ্তরের অধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

জবি প্রতিনিধি 
‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।

‎‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।

‎‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।

‎‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷

‎মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।

‎পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।

‎বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।

‎এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান।

অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস পর্বের সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস একটি প্রাণবন্ত গেমিং অঙ্গনে রূপ নেয়। অনলাইন বাছাইপর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্বে লড়ে। চার ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ‘ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এই বিভাগে ‘লোয়ার-ব্র্যাকেট’ থেকে উঠে এসে গ্র্যান্ড ফাইনালে ‘ন্যাক্সার ই-স্পোর্টস’কে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ‘অলস্টারস’ দল।

‘মোবাইল লিজেন্ডস ব্যাং ব্যাং’ (MLBB) বিভাগে ‘ভাইপার স্ট্রাইকার্স’, ‘এফসি ২৫’ বিভাগে নিও এবং ‘ই-ফুটবল’ একক বিভাগে শাওন শান্ত ও দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। এছাড়া এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, ই-স্পোর্টস ক্লাব ও পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনজনকে সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

বক্তারা প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা এই আয়োজনের পেশাদার ব্যবস্থাপনা ও ব্যাপক প্রসারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এবারের আয়োজনে ইকুইপমেন্ট স্পন্সর ছিল কিয়ানস কালেক্টিবলস, টেক স্পন্সর এমএসআই এবং বেসিক স্পন্সর হিসেবে ছিল সিটি ব্যাংক। এছাড়া ইন্টারনেট পার্টনার হিসেবে ছিল লিঙ্ক থ্রি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল ডেইলি সান, দৈনিক যুগান্তর ও ডিবিসি নিউজ এবং ম্যাগাজিন পার্টনার ছিল কিশোর আলো।

উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খানসহ অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. রইছ ও সম্পাদক ড. ইমরানুল

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৫
সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।

‎সকল পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

‎ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সহসভাপতি পদে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজম খাঁন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেন ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা সিদ্দিকা ডেইজী, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারেক মুহাম্মদ শামসুল আরেফীন এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী।

‎নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহমদ ইহসানুল কবীর, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়শা জাহান এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক বিন আতিক।

‎নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ড. ইমরানুল হক বলেন, এককভাবে নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং আগামী বছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত সিএসসি বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২২
বেইহাং ইউনিভার্সিটি, চীন
বেইহাং ইউনিভার্সিটি, চীন

চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসেছে বড় সুযোগ। দেশটির বেইহাং ইউনিভার্সিটি চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে দেশটির সরকার। বৃত্তিটির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রদত্ত এই বৃত্তি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য সুযোগ।

চীনের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল ও প্রযুক্তিনির্ভর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেইহাং ইউনিভার্সিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় বেইজিংয়ে অবস্থিত। এর পূর্ব নাম ছিল বেইজিং ইউনিভার্সিটি অব অ্যারোনটিকস অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিকস। চীনের ‘ডাবল ফার্স্ট ক্লাস ইউনিভার্সিটি’ উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত এই প্রতিষ্ঠান আধুনিক গবেষণাগার, বিশ্বমানের ফ্যাকাল্টি এবং শক্তিশালী শিল্প-সহযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত।

সুযোগ-সুবিধা

বেইহাং ইউনিভার্সিটি সিএসসি স্কলারশিপ চীনে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত একটি বৃত্তি। এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রায় সব খরচ বহন করা হয়। এই বৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিনা মূল্যে আবাসন অথবা আবাসন ভর্তুকির সুযোগ থাকবে। শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ নির্বাহের জন্য দেওয়া হবে মাসিক ভাতা (স্টাইপেন্ড)। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে সমন্বিত চিকিৎসাবিমা।

আবেদনের যোগ্যতা

বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের বাইরে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হতে হবে। প্রার্থীদের অবশ্যই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়সের ক্ষেত্রে মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনকারীদের স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে থাকতে হবে। অন্যদিকে, ডক্টরাল (পিএইচডি) প্রোগ্রামে আবেদনকারীদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৪০ বছরের নিচে হতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য

বৃত্তিটিতে আবেদন করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রস্তুত ও জমা দিতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদন ফরম (চীনা অথবা ইংরেজি ভাষায় পূরণকৃত), হালনাগাদ রেজুমে বা সিভি, পাসপোর্টের মূল তথ্য-পাতার কপি, সর্বোচ্চ ডিগ্রির নোটারাইজড সনদ এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা সুপারভাইজরের অ্যাকসেপ্ট্যান্স লেটার, একটি সুস্পষ্ট স্টাডি প্ল্যান বা গবেষণা প্রস্তাবনা এবং দুটি সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ফরেনার ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন ফরমের কপি, নন-ক্রিমিনাল রেকর্ডের নথি এবং ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সনদ সংযুক্ত করতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

স্কুল অব অ্যারোনটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাস্ট্রোনটিকস, অটোমেশন সায়েন্স অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অটোমেশন, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথমেটিকস অ্যান্ড সিস্টেমস সায়েন্স, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ইকোনমিকস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস, ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজেস এবং স্কুল অব ল।

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত