রিমন রহমান, রাজশাহী

ভারত থেকে দেশে মাদক চোরাচালানে বেশি ব্যবহৃত সীমান্ত এলাকাগুলোর একটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী। এই এলাকায় রীতিমতো হেরোইন চোরাচালানের ‘অপ্রতিরোধ্য’ চক্র গড়ে উঠেছে। আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাঝেমধ্যে মাদক বহনকারীরা ধরা পড়লেও মাফিয়ারা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই মাফিয়াদের কেউ রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরীকে ডাকেন মামা, কেউ চাচা, আবার কেউ ভাই। প্রতি মাসে তাঁরা ফারুককে দিতেন মোটা অঙ্কের টাকা কিংবা গাড়ি বা অন্য উপঢৌকন।
মাদক কারবারিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে ওমর ফারুক চৌধুরী হয়ে উঠেছিলেন গডফাদার, মাদকের পৃষ্ঠপোষক। ২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক গোপন প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে। ওই প্রতিবেদনে রাজশাহীর শীর্ষ হেরোইন কারবারিদের নামও ছিল। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এই প্রতিবেদন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়েও পাঠানো হয়। অনুলিপি পেয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশ সুপারও (এসপি)। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এই প্রতিবেদনের পরও পরবর্তী দুটি নির্বাচনে ওমর ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মাদক কারবারিদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ওই তালিকায় সাবেক এমপি ফারুকের নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবেদন এসেছিল ২০১৮ সালে, আর আমি এখানে যোগ দিয়েছি এক বছর আগে। ২০১৮ সালের পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেটি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
জাতীয় নেতা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের ভাগনে ওমর ফারুক চৌধুরী ২০০১ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান।ওই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। এরপর টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হন দলের মনোনয়নে। ২০১৪ সালে এমপি হয়েছিলেন বিনা ভোটে।
যেখানে-সেখানে বেঁফাস কথা বলা এবং মারধর করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর আচরণের কারণে দলীয় নেতা-কর্মীরাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন।
মাদকের মাসোহারা ৫ লাখ
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র বলেছে, প্রতিদিন গোদাগাড়ী সীমান্ত দিয়ে দেশে বিপুল হেরোইন ঢোকে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এই এলাকায় রয়েছে হাজারখানেক মাদক কারবারি।
অভিযোগ রয়েছে, অন্তত অর্ধশতাধিক শীর্ষস্থানীয় মাদক কারবারির কাছ থেকে প্রতি মাসে ওমর ফারুক চৌধুরী ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা মাসোহারা নিতেন। এভাবে তিনি ১৬ বছরে শুধু গোদাগাড়ীর মাদক কারবারিদের কাছ থেকে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা নিয়েছেন। বিনিময়ে তাঁদের সুরক্ষা দিয়েছেন।
দলীয় একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ফারুক চৌধুরী ও মাদক কারবারিদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতেন গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হামিদ রানা, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও শীর্ষ মাদক কারবারি মনিরুল ইসলাম। মনিরুল নিজেকে ফারুক চৌধুরীর ‘ভাগনে’ বলে পরিচয় দিতেন। মনিরুলের ছোট ভাই আরেক শীর্ষ মাদক কারবারি আব্দুর রহিম টিপুর কাছ থেকে ওমর ফারুক চৌধুরী ৩২ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি উপঢৌকন হিসেবে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজশাহী নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় ওমর ফারুক চৌধুরীর ‘থিম ওমর প্লাজা’ নামের একটি ১০ তলা ভবন রয়েছে। এখানকার এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে ফারুকের রাজনৈতিক কার্যালয় ছিল। রাত ১১টার পর তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিতেন। এরপর শুরু হতো মাদক কারবারিদের আনাগোনা।
টাকা ছাড়া নিয়োগ হয়নি
ফারুক চৌধুরীর আমলে দুই উপজেলায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টাকা ছাড়া নিয়োগ হয়নি। ২০০৮ সালে তিনি এমপি হয়ে প্রথমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজর দেন। শুরু করেন নিয়োগ-বাণিজ্য। মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রত্যেক শিক্ষক নিয়োগে তিনি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিতেন; আর কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে নিতেন ২০ লাখ। অন্যান্য কর্মচারী, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগে নেওয়া হতো ৭ থেকে ১৪ লাখ টাকা। টাকা আদায়ে ফারুক দলীয় নেতাদের ব্যবহার করতেন।
জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলায় মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০২টি। তানোরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৩। দুই উপজেলায় মোট শিক্ষক ৪ হাজার ৩৭১ জন। তাঁদের দুই-তৃতীয়াংশ নিয়োগ দিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী।
তানোরে শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাসার সুজন। তিনি মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমপি সাহেব (সাবেক এমপি ফারুক) আমাকে দিয়ে এসব কাজ করিয়েছেন। সব টাকা তিনিই নিতেন, কিন্তু আমারও বদনাম হয়ে গেছে। এখন পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।’
প্রকল্পের অর্ধেক ফারুকের
এমপি থাকাকালে ফারুক চৌধুরী টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক টাকা হিসাব করে বুঝে নিতেন। তাঁর অনুকূলে বছরে টিআর ও কাবিখা প্রকল্প আসত তিনবার। এ বাবদ বরাদ্দ ছিল প্রায় ছয় কোটি টাকা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ সামাজিক সংগঠনকে এ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এ বরাদ্দের শতকরা ৮০ ভাগই নিয়েছেন এমপি ফারুক। দুই উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারাও ফারুকের ভয়ে কিছু বলতে পারেননি।
টিআর-কাবিখা ছাড়াও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় দুই উপজেলায় প্রতিবছর আসা প্রায় ৪ কোটি টাকার সিংহভাগ নিতেন ফারুক চৌধুরী। এ বরাদ্দও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বাস্তবায়ন দেখানো হতো জনপ্রতিধিদের মাধ্যমে। তারপর উপজেলা চেয়ারম্যানরা টাকা পৌঁছে দিতেন ফারুকের কাছে। সম্প্রতি গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের সড়ক সংস্কারের পাঁচটি প্রকল্পের পুরো ২২ লাখ টাকা কাজ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
গোদাগাড়ী ও তানোরে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান ও চাল প্রকৃত কৃষকেরা সরবরাহ করতে পারতেন না। ধান ও চাল সরবরাহ করতেন সাবেক এমপি ফারুকের সহযোগীরা। এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। তানোরে খাদ্যগুদাম নিয়ন্ত্রণ করতেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না।
দলেও পদ-বাণিজ্য
দলীয় পদ-বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা লঙ্ঘন করে তিনি উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে তিনটি করে কমিটি দিয়েছেন। সেই প্রভাবশালী ফারুক এখন আত্মগোপনে। ৫ আগস্টের পর কয়েক দিন তিনি থিম ওমর প্লাজায় ছিলেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, সেখানে তিনি নিজের ফ্ল্যাটে না থেকে অন্য ব্যক্তির ফ্ল্যাটে ছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়েছেন। ইতিমধ্যে ফারুকের বিরুদ্ধে হাফ ডজন মামলা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ওমর ফারুক চৌধুরীর মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর কোনো সহযোগীরও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভারত থেকে দেশে মাদক চোরাচালানে বেশি ব্যবহৃত সীমান্ত এলাকাগুলোর একটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী। এই এলাকায় রীতিমতো হেরোইন চোরাচালানের ‘অপ্রতিরোধ্য’ চক্র গড়ে উঠেছে। আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাঝেমধ্যে মাদক বহনকারীরা ধরা পড়লেও মাফিয়ারা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই মাফিয়াদের কেউ রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরীকে ডাকেন মামা, কেউ চাচা, আবার কেউ ভাই। প্রতি মাসে তাঁরা ফারুককে দিতেন মোটা অঙ্কের টাকা কিংবা গাড়ি বা অন্য উপঢৌকন।
মাদক কারবারিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে ওমর ফারুক চৌধুরী হয়ে উঠেছিলেন গডফাদার, মাদকের পৃষ্ঠপোষক। ২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক গোপন প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে। ওই প্রতিবেদনে রাজশাহীর শীর্ষ হেরোইন কারবারিদের নামও ছিল। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এই প্রতিবেদন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়েও পাঠানো হয়। অনুলিপি পেয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশ সুপারও (এসপি)। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এই প্রতিবেদনের পরও পরবর্তী দুটি নির্বাচনে ওমর ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মাদক কারবারিদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ওই তালিকায় সাবেক এমপি ফারুকের নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবেদন এসেছিল ২০১৮ সালে, আর আমি এখানে যোগ দিয়েছি এক বছর আগে। ২০১৮ সালের পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেটি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
জাতীয় নেতা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের ভাগনে ওমর ফারুক চৌধুরী ২০০১ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান।ওই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। এরপর টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হন দলের মনোনয়নে। ২০১৪ সালে এমপি হয়েছিলেন বিনা ভোটে।
যেখানে-সেখানে বেঁফাস কথা বলা এবং মারধর করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর আচরণের কারণে দলীয় নেতা-কর্মীরাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন।
মাদকের মাসোহারা ৫ লাখ
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র বলেছে, প্রতিদিন গোদাগাড়ী সীমান্ত দিয়ে দেশে বিপুল হেরোইন ঢোকে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এই এলাকায় রয়েছে হাজারখানেক মাদক কারবারি।
অভিযোগ রয়েছে, অন্তত অর্ধশতাধিক শীর্ষস্থানীয় মাদক কারবারির কাছ থেকে প্রতি মাসে ওমর ফারুক চৌধুরী ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা মাসোহারা নিতেন। এভাবে তিনি ১৬ বছরে শুধু গোদাগাড়ীর মাদক কারবারিদের কাছ থেকে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা নিয়েছেন। বিনিময়ে তাঁদের সুরক্ষা দিয়েছেন।
দলীয় একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ফারুক চৌধুরী ও মাদক কারবারিদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতেন গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হামিদ রানা, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও শীর্ষ মাদক কারবারি মনিরুল ইসলাম। মনিরুল নিজেকে ফারুক চৌধুরীর ‘ভাগনে’ বলে পরিচয় দিতেন। মনিরুলের ছোট ভাই আরেক শীর্ষ মাদক কারবারি আব্দুর রহিম টিপুর কাছ থেকে ওমর ফারুক চৌধুরী ৩২ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি উপঢৌকন হিসেবে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজশাহী নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় ওমর ফারুক চৌধুরীর ‘থিম ওমর প্লাজা’ নামের একটি ১০ তলা ভবন রয়েছে। এখানকার এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে ফারুকের রাজনৈতিক কার্যালয় ছিল। রাত ১১টার পর তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিতেন। এরপর শুরু হতো মাদক কারবারিদের আনাগোনা।
টাকা ছাড়া নিয়োগ হয়নি
ফারুক চৌধুরীর আমলে দুই উপজেলায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টাকা ছাড়া নিয়োগ হয়নি। ২০০৮ সালে তিনি এমপি হয়ে প্রথমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজর দেন। শুরু করেন নিয়োগ-বাণিজ্য। মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রত্যেক শিক্ষক নিয়োগে তিনি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিতেন; আর কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে নিতেন ২০ লাখ। অন্যান্য কর্মচারী, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগে নেওয়া হতো ৭ থেকে ১৪ লাখ টাকা। টাকা আদায়ে ফারুক দলীয় নেতাদের ব্যবহার করতেন।
জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলায় মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০২টি। তানোরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৩। দুই উপজেলায় মোট শিক্ষক ৪ হাজার ৩৭১ জন। তাঁদের দুই-তৃতীয়াংশ নিয়োগ দিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী।
তানোরে শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাসার সুজন। তিনি মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমপি সাহেব (সাবেক এমপি ফারুক) আমাকে দিয়ে এসব কাজ করিয়েছেন। সব টাকা তিনিই নিতেন, কিন্তু আমারও বদনাম হয়ে গেছে। এখন পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।’
প্রকল্পের অর্ধেক ফারুকের
এমপি থাকাকালে ফারুক চৌধুরী টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক টাকা হিসাব করে বুঝে নিতেন। তাঁর অনুকূলে বছরে টিআর ও কাবিখা প্রকল্প আসত তিনবার। এ বাবদ বরাদ্দ ছিল প্রায় ছয় কোটি টাকা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ সামাজিক সংগঠনকে এ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এ বরাদ্দের শতকরা ৮০ ভাগই নিয়েছেন এমপি ফারুক। দুই উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারাও ফারুকের ভয়ে কিছু বলতে পারেননি।
টিআর-কাবিখা ছাড়াও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় দুই উপজেলায় প্রতিবছর আসা প্রায় ৪ কোটি টাকার সিংহভাগ নিতেন ফারুক চৌধুরী। এ বরাদ্দও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বাস্তবায়ন দেখানো হতো জনপ্রতিধিদের মাধ্যমে। তারপর উপজেলা চেয়ারম্যানরা টাকা পৌঁছে দিতেন ফারুকের কাছে। সম্প্রতি গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের সড়ক সংস্কারের পাঁচটি প্রকল্পের পুরো ২২ লাখ টাকা কাজ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
গোদাগাড়ী ও তানোরে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান ও চাল প্রকৃত কৃষকেরা সরবরাহ করতে পারতেন না। ধান ও চাল সরবরাহ করতেন সাবেক এমপি ফারুকের সহযোগীরা। এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। তানোরে খাদ্যগুদাম নিয়ন্ত্রণ করতেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না।
দলেও পদ-বাণিজ্য
দলীয় পদ-বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা লঙ্ঘন করে তিনি উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে তিনটি করে কমিটি দিয়েছেন। সেই প্রভাবশালী ফারুক এখন আত্মগোপনে। ৫ আগস্টের পর কয়েক দিন তিনি থিম ওমর প্লাজায় ছিলেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, সেখানে তিনি নিজের ফ্ল্যাটে না থেকে অন্য ব্যক্তির ফ্ল্যাটে ছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়েছেন। ইতিমধ্যে ফারুকের বিরুদ্ধে হাফ ডজন মামলা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ওমর ফারুক চৌধুরীর মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর কোনো সহযোগীরও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ভারত থেকে দেশে মাদক চোরাচালানে বেশি ব্যবহৃত সীমান্ত এলাকাগুলোর একটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী। এই এলাকায় রীতিমতো হেরোইন চোরাচালানের ‘অপ্রতিরোধ্য’ চক্র গড়ে উঠেছে। আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাঝেমধ্যে মাদক বহনকারীরা ধরা পড়লেও মাফিয়ারা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

ভারত থেকে দেশে মাদক চোরাচালানে বেশি ব্যবহৃত সীমান্ত এলাকাগুলোর একটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী। এই এলাকায় রীতিমতো হেরোইন চোরাচালানের ‘অপ্রতিরোধ্য’ চক্র গড়ে উঠেছে। আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাঝেমধ্যে মাদক বহনকারীরা ধরা পড়লেও মাফিয়ারা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত থেকে দেশে মাদক চোরাচালানে বেশি ব্যবহৃত সীমান্ত এলাকাগুলোর একটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী। এই এলাকায় রীতিমতো হেরোইন চোরাচালানের ‘অপ্রতিরোধ্য’ চক্র গড়ে উঠেছে। আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাঝেমধ্যে মাদক বহনকারীরা ধরা পড়লেও মাফিয়ারা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ভারত থেকে দেশে মাদক চোরাচালানে বেশি ব্যবহৃত সীমান্ত এলাকাগুলোর একটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী। এই এলাকায় রীতিমতো হেরোইন চোরাচালানের ‘অপ্রতিরোধ্য’ চক্র গড়ে উঠেছে। আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাঝেমধ্যে মাদক বহনকারীরা ধরা পড়লেও মাফিয়ারা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে