Ajker Patrika

আমরণ অনশনের ২৪ ঘণ্টা, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ শিক্ষা উপদেষ্টার

খুলনা প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্ব দিকে অনশনে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্ব দিকে অনশনে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। আজ মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার কুয়েটের আন্দোলন ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা উষ্ণ আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং তাদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি।’ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের প্রতি তাঁর উদ্বেগের কথাও জানান তিনি।

তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, তাঁদের দাবি সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে। একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল অতি দ্রুত খুলনায় গিয়ে কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার আশু সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবুও ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় তাঁরা। শিক্ষার্থীদের সাফ কথা, ‘এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা অনশন থেকে সরব না। প্রয়োজন হলে আমাদের এখানে মৃত্যু হবে।’

এর আগে গতকাল সোমবার ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন। তাঁদের ওই কর্মসূচিতে থেকে ফিরিয়ে আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, শিক্ষকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

অনশনরত সিই বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রাহাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এক দফা, এক দাবি, ভিসির পদত্যাগ। আমাদের দাবি যেদিন মেনে নেওয়া হবে, সেদিন আমাদের অনশন শেষ হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্টেরিমের দিকে তাকিয়ে আছি, ইন্টেরিম কখন আমাদের দিকে তাকাবে? আমাদের কুয়েটে গত দুই মাস ধরে যতটুকু আন্দোলন হয়েছে, শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমরা রেল ব্লকেট করছি? না রাস্তা ব্লকেট করছি? এমনকি আমরা যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গেছি, তখন পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার জন্যই কি ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না? ইন্টেরিম কাছে আমাদের প্রশ্ন?

মো. রাহাতুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, যে শিক্ষকেরা আমাদের কাছে এসেছেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, অনেক দেরি হয়ে গেছে। উনারা যখন আসছেন, তার আগে আমাদের দামানোর জন্য মামলা করা হয়েছে। এমনকি আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের পরে আবার নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আমাদের দমানো যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু এই তদন্ত কমিটি নয়, আজকে আবার শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছিল, যাতে আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য বসতে না পারি। এত হামলা, এত বহিষ্কারের পরে ছাত্ররা আর তাদের দাবি থেকে ফেরত যেতে চায় না। আমরা শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব, এই কারণে যে তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছেন।’

আইইএম বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল বলেন, ‘আন্দোলন তো শুরু হয়েছে দুই মাস ধরে। ছয় দফার যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করছিলাম, কিন্তু সেটা মানা হয় নাই। এরপর আমরা ভিসিকে বর্জন করি। আমরা ঢাকায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের স্মারকলিপি দিয়ে আসি। এ কারণে যে ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাবে। কিন্তু দুই মাস হয়ে গেল ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাই নাই।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার জুলাইয়ের রক্তের ওপর দিয়ে আসল, অথচ এই সরকার ছাত্রদের দিকে তাকাল না। যেখানে আমাদের একটা ন্যায্য দাবি। আমরা হামলা-মামলা খাইছি, আমরা কোপ খাইছি, গুলি খাইছি, আমরা আহত হইছি। আমরা চাইছি ওইটা আমাদের বিচার করে দেন। ওইটা ছিল আমাদের ন্যায্য দাবি। কিন্তু সেটা মানা হয়নি।

‘এরপর আমাদের আন্দোলনরত ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলো। এরপর হলে খুলে দিয়ে আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাইলাম। কারণ, আমাদের ক্লাসে ফিরতে হবে। তখন আমাদের নামে মামলা দেওয়া হলো। আমাদের ২৪ ঘণ্টা খোলা আকাশের নিচে রাখা হলো। আমাদের আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে ৩০ জনকে বহিষ্কার করা হলো।

‘আলাদা একটা তদন্ত কমিটি করা হলো, যাতে কেউ আন্দোলন করতে না আসে। আন্দোলনকারীদের ভয় দেখানো হলো, বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হলো। এই সবকিছুর পর আমরা এক দফায় এসেছি।’

লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ তৌফিক আহমেদ বলেন, ‘আলোচনার সময় এখন আর নেই। আমরা স্যারদের সঙ্গে বসার অনেক চেষ্টা করেছি। আমরা বলেছি, সমঝোতার সুযোগ আছে, হলগুলো খুলে দিন। তাহলে হয়তো তখন সমঝোতা হয়ে যেত। আর যে পাঁচটা দাবি অন্তত এ দাবি যদি মানত। আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসছেন, এই বসাটা আরও আগে বসলে সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু এখন যখন আমরা হার্ড লাইনে চলে এসেছি এখন আর কথা বলার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘যত দিন আমাদের এই দাবি আদায় না হবে, তাতে আমাদের যত ক্ষতি হয়ে যাক আমরা এখানে আমারণ অনশন করব।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার তিনি বলেন, ‘অনশন ছেড়ে আলোচনার টেবিলে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা বারবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত আমাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। আমরা আশাবাদী, তারা হয়তো শেষ পর্যন্ত আমাদের আহ্বানে সাড়া দেবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হলো ছাত্ররা। ছাত্ররা না থাকলে পড়াশোনা-পাঠদানের কোনো সুযোগ থাকে না। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যদি এগিয়ে না আসে, তাহলে পাঠদানের সুযোগ হচ্ছে না। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।’

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক বলেন, ‘তাদের কোনো সমস্যা হলে আমরা এখানে ডাক্তার, নার্সের ব্যবস্থা রেখেছি। তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশনের জন্য গতকাল আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। আজ সকালেও দুই দফা এসেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেভিল হান্ট অভিযানে শ্রীমঙ্গল আ.লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
হরিপদ রায়। ছবি: সংগৃহীত
হরিপদ রায়। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হরিপদ রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে শহরের কলেজ রোডের জয়নগরপাড়া আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর অভিযানের অংশ হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হরিপদ রায়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৩ ও ৪ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের চৌমুহনা চত্বরে প্রকাশ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুরগি মারার অভিযোগে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মামলা

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৩
মুরগি। ছবি: সংগৃহীত
মুরগি। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর বদলগাছীতে চালে বিষ মিশিয়ে প্রতিবেশীর মুরগি মারার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে থানায় এই মামলা করা হয়। মুরগিগুলো মারা যায় গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর)।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, মামলা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

বদলগাছী উপজেলার কটকবাড়ী গ্রামের গৃহবধূ শাপলা বেগম জানান, মুরগিগুলোই ছিল সংসারের আয়ের অন্যতম ভরসা। মুরগি ও ডিম বিক্রি করে চলত তাঁর সংসারের খরচ। দীর্ঘদিন প্রতিবেশী আনিছুর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে চালে বিষ মিশিয়ে উঠানে রাখেন আনিছুর। ওই চাল খেয়ে মুরগিগুলো মারা যায়। তিনি বলেন, ‘মানুষে-মানুষে শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু মুরগিগুলো কী অপরাধ করেছে। আমার স্বামী একজন কৃষক। আমি ছাগল ও হাঁস-মুরগি লালন-পালন করি। আমার এই ক্ষতির জন্য বিচার চাই।’

শাপলার জা কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘আমার ও শাপলার মিলে প্রায় ১৮টি মুরগি বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে আনিছুর রহমান। সে আমাদের প্রতিবেশী। তার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে, তাই বলে সে আমার বাড়ির উঠানে খাবারের সঙ্গে বিষ ছিটিয়ে মুরগি মেরে ফেলবে। আমি এর বিচার দাবি করছি।’

আনিছুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য মুরগিগুলো মেরে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা রিপা রাণী বলেন, মরা মুরগিগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সার্বিক বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৪

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রোহিতপুর ইউনিয়নের পুরাতন সোনাকান্দা মোল্লাবাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান (৩৪), মিজানুর রহমান (৩০), বদিউর রহমান (৪০) ও মামুন হোসেন (৩৪। অভিযানের সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা অন্য ডাকাতেরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে রড, চাপাতি, কাটার, দড়ি, স্কচটেপ, মুখ বাঁধার কাপড়সহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাঁরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা এবং পেশাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস হোসেন জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি বিশেষ টহল দল রোহিতপুর, শাক্তা, জিনজিরা, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। দায়িত্ব পালনকালে রোহিতপুরের সোনাকান্দা মোল্লাবাড়ির তিন রাস্তার মোড়ে একটি নীল রঙের গাড়িকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে থামানোর সংকেত দেয়। এ সময় গাড়িটি সংকেত অমান্য করে দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আনুমানিক ২০০ গজ সামনে গিয়ে ব্যারিকেডের মাধ্যমে গাড়িটি আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধভাবে মহাসড়কে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকের কোমরপুর পলাশবাড়ী শাখা থেকে চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ককটেল উদ্ধারের বিষয়টি আজ বুধবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ থানা–পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কোমরপুর এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে ককটেলসদৃশ চারটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ ও র‍্যাব-১৩ রংপুরের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ককটেলগুলো উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

র‍্যাব-১৩ রংপুর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের বোমা নিষ্ক্রিয় দলের সিনিয়র এএসপি তরিকুল ইসলাম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত