Ajker Patrika

ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশনে ক্যারিয়ার গড়ুন

মো. হেলাল মিয়া
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল সাবজেক্ট এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একটি বিশেষ শাখা। বাংলায় এর অর্থ হলো তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। এমআইএস টার্মটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্য টার্মগুলো হচ্ছে, ট্রানজেকশন প্রসেসিং সিস্টেম,ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম, এক্সপার্ট সিস্টেম, এক্সিকিউটিভ ইনফরমেশন সিস্টেম।

এমআইএসে কোথায় পড়বেন

এমআইএস প্রোগ্রামে পড়তে চাইলে এইচএসসিতে বাণিজ্য বিভাগে পড়লে ভালো হয়। এ ছাড়াও বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের জন্য কিছু আসন বরাদ্দ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

এমআইএস সাবজেক্ট মাত্র তিনটি সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়াও দেশের বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা রয়েছে।

যেসব বিষয় পড়ানো হয়

এমআইএস একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট। এই কোর্সে Computing Fundamentals, Bangladesh Studies, General Science & Environment, Business and ICT laws, Advanced Information Systems, Operations Management, Programming Fundamentals Information Systems Security, Programming for IS (python), Database Managementসহ অনেক বিষয় পড়ানো হয়। এসব কোর্সে মোট ১৪১ ক্রেডিটে পাঠদান করানো হয়। এর পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্য বিভাগের মতো কিছু কোর্স পড়ানো হয়। ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে এই বিষয়ে পিএইচডির সুযোগ রয়েছে।

এমআইএস গ্র্যাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজের সুযোগ রয়েছে এবং আইটি সেক্টরেও এর চাহিদা ব্যাপক। আধুনিক যুগে ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে ব্যবসায় শিক্ষার জ্ঞানের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, যা শুধু এমআইএস বিভাগে রয়েছে। সে কারণে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এমআইএস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে তুলনামূলক এগিয়ে থাকায় প্রচুর পরিমাণে করপোরেট চাকরির সুযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাংক, বিসিএসসহ অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে এমআইএস কার্যকর ও যুগোপযোগী সাবজেক্ট। তাই সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরিতে ভালো করার সুযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সফল প্রেজেন্টেশনের ৬ রহস্য

বর্তমান যুগে জ্ঞান বিনিময়ের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হলো প্রেজেন্টেশন। শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে করপোরেট দুনিয়া, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে গবেষণা সম্মেলন—সব জায়গাতে একটি পরিষ্কার ও গোছানো প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু শুধু স্লাইড তৈরি করলেই একটি প্রভাবশালী প্রেজেন্টেশন হয় না। শ্রোতাদের মনোযোগ ধরে রাখা, বার্তাটি স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া এবং সার্থক যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থবহ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন কিছু কৌশল ও প্রস্তুতি। একটি ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি ও উপস্থাপনের বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও সহকারী প্রক্টর তাশরিফ মাহমুদ মিনহাজ

শাহ বিলিয়া জুলফিকার
সফল প্রেজেন্টেশনের ৬ রহস্য

শ্রোতাদের সম্পর্কে জানুন

প্রেজেন্টেশনের সফলতার অনেকটাই নির্ভর করে শ্রোতাদের প্রোফাইল বোঝার ওপর। কারা প্রেজেন্টেশনটি শুনবেন, তাঁদের পেশা, বয়স, জ্ঞানের স্তর ও আগ্রহ কেমন—এসব বিবেচনায় রেখে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। সাধারণ শ্রোতার জন্য প্রেজেন্টেশন হলে সেখানে সহজ ভাষা, বাস্তব উদাহরণ ও গল্প বলার ধরন গ্রহণযোগ্য হয়। আবার গবেষক বা বিশেষজ্ঞদের জন্য তথ্যবহুল, যুক্তিভিত্তিক ও বিশ্লেষণমূলক উপস্থাপন বেশি কার্যকর।

বিষয়বস্তুর কাঠামো

একটি আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন মানে এমন একটি যাত্রা, যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রোতাকে টেনে রাখে। শুরুতে একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা উপস্থাপন করুন, যাতে শ্রোতারা জানতে পারেন কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে। কনটেন্টগুলো ধারাবাহিকভাবে সাজানো থাকলে শ্রোতাদের বিরক্তি আসে না। ইনফোগ্রাফিকস, ছবি ও ভিডিও ক্লিপ ব্যবহারে বিষয়বস্তু আরও সহজবোধ্য হয়। মাঝে মাঝে অংশগ্রহণমূলক সেশন যেমন প্রশ্ন, জরিপ বা মিনি গেম রাখা যেতে পারে। উপসংহারে একটি শক্তিশালী বার্তা বা ভবিষ্যৎ করণীয় তুলে ধরুন।

উপস্থাপনার ধরন

শ্রোতাদের সামনে কেমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন, সেটিও প্রেজেন্টেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উপস্থাপকের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিবেশ ও শ্রোতাদের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী হওয়া উচিত। কথা বলার ভঙ্গিমা হতে হবে স্পষ্ট, আত্মবিশ্বাসী ও শ্রোতাবান্ধব। শ্রোতাদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বললে দৃষ্টি সংযোগ তৈরি হয় এবং মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। হাতের অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করুন, তবে তা যেন অতিরিক্ত বা বিরক্তিকর না হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মবিশ্বাসী হাসি বজায় রাখা।

উদাহরণ ও উৎসাহমূলক উপস্থাপনা

শ্রোতারা তাঁদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত উদাহরণ বেশি গ্রহণ করেন। সাধারণ শ্রোতার সামনে উপস্থাপন করলে সহজ ভাষায় জীবনের ছোট ছোট উদাহরণ দিন। শিক্ষার্থী ও তরুণদের জন্য গল্পধর্মী ও অনুপ্রেরণামূলক প্রেজেন্টেশন খুব কার্যকর। আবার ব্যবসায়ী বা নীতিনির্ধারকদের সামনে থাকলে পরিকল্পনা, ফলাফল এবং লাভ-ক্ষতির খুঁটিনাটি তুলে ধরতে হবে। গবেষক বা বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ চাহিদা ও সম্ভাব্য অবদান তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্নোত্তর পর্ব

প্রেজেন্টেশন শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলে তা একটি সমৃদ্ধ আলোচনায় পরিণত হতে পারে। কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে তা বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করে প্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করুন। অবশ্যই নিজের কনটেন্টের প্রতিটি দিক ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে, যাতে কোনো প্রশ্নে দ্বিধা না আসে। শ্রোতাদের প্রতি সম্মান রেখে মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন শুনুন এবং স্পষ্টভাবে উত্তর দিন।

বারবার অনুশীলন

চূড়ান্ত উপস্থাপনার আগে একাধিকবার অনুশীলন করুন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থাপন শেষ করার অনুশীলন করুন। বন্ধু বা সহকর্মীদের সামনে অনুশীলন করলে বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ভাষার গতি, বাচনভঙ্গি ও সময় ব্যবস্থাপনা সহজ হয়ে ওঠে।

বিশেষ পরামর্শ

একটি সফল প্রেজেন্টেশন কেবল তথ্য উপস্থাপন নয়; এটি এক ধরনের শিল্প, যেখানে ভাষা, ভঙ্গি, পরিকল্পনা ও শ্রোতাদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্কের সমন্বয় ঘটে। প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস এবং শ্রোতাবান্ধব উপস্থাপনই পারে একটি সাধারণ প্রেজেন্টেশনকে স্মরণীয় করে তুলতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজেএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

তানিয়া সুলতানা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিজেএস পরীক্ষার জন্য একটি সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। অনার্স ও মাস্টার্সে যে বিষয়গুলো বিজেএসের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো আগে শেষ করতে হবে। প্রথম দিকে প্রস্তুতি এলোমেলো মনে হতে পারে। কোথা থেকে শুরু করবেন, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মূল প্রস্তুতি শুরু করুন আইন বিষয় দিয়ে। যেহেতু আইন একাডেমিক বিষয়, তাই এ অংশে আলাদা গাইডলাইনের প্রয়োজন নেই।

সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য প্রথমে বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করে ভালোভাবে পড়ুন। এরপর বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করুন—কোন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে, সেটি বুঝে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বই নির্বাচন করুন। এরপর এক বছর বা তার বেশি সময় মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুন।

অনার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের করণীয়

আপনি যখন বিজেএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন, তখন অবশ্যই পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি স্নাতকের শিক্ষার্থী হন; আপনার করণীয় হলো, বিজেএস সিলেবাসের সঙ্গে একাডেমিক যেসব বিষয়ের মিল রয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে পড়া। এরপর চতুর্থ বর্ষ থেকে জেনারেল প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে পারেন।

নতুনদের জন্য পরামর্শ

যেকোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রথমে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যে আমি এ পরীক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে প্রস্তুত। পড়ায় ক্লান্তি এলেও নতুন উদ্যমে আবার পড়তে হবে। ভবিষ্যতে যাঁরা বিচারক হতে চান, তাঁদের উচিত অনার্স থেকেই একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া। একই সঙ্গে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা এবং হাল না ছাড়া। তাহলে সাফল্য লাভ করতে পারবেন।

প্রিলিতে উত্তীর্ণ হতে করণীয়

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৫০ নম্বর পেলে পাস। প্রিলিতে পাস করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে বুঝতে হবে, কোন বিষয় থেকে কতটা প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে ‘লিগ্যাম প্রশ্নব্যাংক’-এর সাহায্য নিতে পারেন। এখানে প্রশ্ন অ্যানালাইসিস সহজ করে দেওয়া রয়েছে। তারপর স্ট্রং ও উইক জোন সিলেক্ট করুন। স্ট্রং জোনগুলো বারবার রিভিশন দিন, যাতে কোনোভাবেই এখান থেকে নম্বর কাটা না যায়।

কোন বিষয়গুলো অল্প পড়ে বেশি নম্বর তোলা যায়, সেগুলো আয়ত্তে আনুন। অনেকের প্রিলিতে ফেল করার কারণ, লোভে বেশি দাগিয়ে ফেলা। আমার মনে হয়, ৭৫ থেকে ৮০টি দাগালে সেফ জোনে থাকা যায়। মুখস্থ বিষয়গুলো যেমন বাংলা বিরচন, বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য—এগুলো প্রতিদিন অল্প হলেও রিভিশন দিন। আইন ভুলে যাওয়ার বিষয়। তাই আইন মনে রাখতে বারবার রিভিশনের বিকল্প নেই। জেনারেল অংশে কমন পেতে চাইলে ‘বিসিএস বিশেষ সংখ্যা’ বইটি অবশ্যই পড়বেন।

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে করণীয়

বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা মূল ভূমিকা পালন করে। লিখিত পরীক্ষার জন্য কোন বিষয়ের কোন ধারাগুলো পড়তে হবে, অনেকে বুঝতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে লিগ্যাম প্রশ্নব্যাংক প্রশ্ন অ্যানালাইসিসে সাহায্য করবে। আইন অংশের জন্য অবশ্যই বেয়ার অ্যাক্ট গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। বেয়ার অ্যাক্টের পাশাপাশি বিজেএস রিটেন মাস্টার বইটিও অনুসরণ করা যায়।

লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে অবশ্যই প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সমান সময় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সঠিক Section/Rules/Order/ Article উল্লেখ করে লেখার চেষ্টা করবেন। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখার চেষ্টা না করে প্রশ্নের সঙ্গে রিলেটেড Section/Rules/Order/Article—এসব সঠিকভাবে উল্লেখ করে উত্তর করলে খুব সুন্দরভাবে সময় মেইনটেইন করা যায়।

প্রবলেমেটিক প্রশ্নের উত্তর করার সময় fact-Issue-decision-reasoning—এভাবে লেখার চেষ্টা করবেন। বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় প্রবলেমেটিক প্রশ্ন কমন পেতে জাস্টিস হামিদুল হকের ‘Trial of Civil Suits and Criminal Cases’ বইটি পড়বেন। একটা বিষয়ে কয়েকটি বই না পড়ে একই বই বারবার রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করুন। অন্যান্য রেফারেন্স বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলা মূল বইয়ে লিখে রাখার চেষ্টা করুন বা হ্যান্ডনোট বানান।

ভাইভায় ভালো করার উপায়

প্রথমে বিগত পরীক্ষাগুলাতে ভাইভা বোর্ডে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে, সেগুলা সংগ্রহ করে উত্তরসহ প্রিন্ট করুন। এসব প্রশ্নোত্তর কয়েকবার পড়লে ধারণা হবে যে মৌখিক পরীক্ষায় কোন ধরনের প্রশ্ন করা হয়। আইন অংশের জন্য বেয়ার অ্যাক্ট রিভিশন দিন। জেনারেল অংশের জন্য নিউজ শুনে আপডেটেড থাকুন। ভাইভা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কনফিডেন্টলি উত্তর দিন। উত্তর জানা না থাকলে ‘সরি স্যার, এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না’ বলুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থীদের সুস্থ জীবনধারা যেমন হবে

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক সমাজে একজন শিক্ষার্থীর সফলতা শুধু পাঠ্যবই-নির্ভর নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে একটি সুশৃঙ্খল জীবনধারা। একজন শিক্ষার্থীর লাইফস্টাইল যেমন হবে, তার ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ অনেকটা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা একটি সুস্থ জীবনধারা যেভাবে গড়ে তুলতে পারে, সে পরামর্শ দিয়েছেন ক্যারিয়ার-বিষয়ক লেখক এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস

ভোরে ঘুম থেকে ওঠা শুধু একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়, এটি একজন শিক্ষার্থীর মনোযোগ বাড়াতে এবং একাগ্রতা গড়তে সাহায্য করে। সকালের নির্মল বাতাস, পাখির ডাক আর শান্ত পরিবেশ—সবকিছু মনকে সতেজ করে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভোরে উঠে পড়াশোনা করে, তাদের শেখার গতি ও স্মৃতিশক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি কার্যকর। তা ছাড়া ভোরে ঘুম থেকে উঠলে দিনে বেশি সময় পাওয়া যায়।

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো

ছোটবেলায় আমরা একটি প্রবাদ শিখেছি, ‘আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ, মেকস অ্যা ম্যান হেলদি অ্যান্ড ওয়াইজ’। এটা শুধু প্রবাদ বাক্য নয়। এটা বাস্তবজীবনের অনেক বড় শিক্ষা। শরীর-মন সুস্থ রাখতে, জীবনে সফল হতে এটা মেনে চলা উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মন—দুই-ই দুর্বল হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই গভীর রাত না জেগে সন্ধ্যা থেকে পড়াশোনা করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলে ভালো হয়।

নিয়মিত ও পরিকল্পিত পড়াশোনা

পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এলে না পড়ে অল্প সময়ে সব শেষ করার প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বড় সমস্যা। বরং প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করলে চাপ কমে যায় এবং বিষয়বস্তুও ভালোভাবে আয়ত্তে আসে। একটি রুটিন মেনে চলা, যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্রাম ও বিনোদনের সময়ও থাকবে। নিয়মিত ও পরিকল্পিত পড়াশোনা একজন শিক্ষার্থীর উন্নতির চাবিকাঠি।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও শরীরচর্চা

শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে জাঙ্ক ফুড/ভাজাপোড়া খাবার খেতে পছন্দ করে। এতে শরীরের উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। জাঙ্ক ফুড বা অতিরিক্ত ক্যাফেইনভিত্তিক খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার শরীর সুস্থ রাখে এবং তার ফলে মস্তিষ্কও সতেজ থাকে। শরীর সুস্থ না থাকলে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে যায়। পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা শরীরকে ফিট রাখে ও মনকে চাঙা করে।

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন

পরীক্ষার ফল, প্রতিযোগিতা, পারিবারিক প্রত্যাশা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী মানসিক চাপে ভোগে। তাই নিজের মানসিক সুস্থতার দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা, সময়মতো বিশ্রাম নেওয়া, মাঝে মাঝে প্রিয় কাজের মধ্যে ডুবে যাওয়া—এসব মন ভালো রাখে। সবচেয়ে ভালো হয়, কোনো শখের কাজ করা। অবসর সময়ে শখের কাজ করলে মন ভালো থাকে। এটা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

মাদক ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা

মাদক ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সবার জানা। এটা শুধু নিজের ক্ষতি করে না, বরং সমাজ ও পরিবারের ক্ষতি ডেকে আনে। মাদকসেবী ও ধূমপায়ীদের মানুষ অপছন্দ করে। এ ছাড়া মাদক গ্রহণ করা আইনগতভাবে অপরাধ। তাই মাদক ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা ভালো।

সুশৃঙ্খল জীবনযাপন

একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সাফল্যের জন্য মেধা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুশৃঙ্খল জীবনযাপন। সময়ের কাজ সময়ে করা, সুস্থ শরীর ও প্রশান্ত মন বজায় রাখার অভ্যাসগুলো একজন শিক্ষার্থীকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। তাই আজ থেকে হোক সুশৃঙ্খল জীবনযাপন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে ৯০ পদে চাকরির সুযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, ১০: ২৪
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে ৯০ পদে চাকরির সুযোগ

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা

পদসংখ্যা: ২৩ টি

যোগ্যতা: প্রথম শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান) সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির চার বছর মেয়াদের স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩, ০৬০ টাকা (নবম গ্রেড)

সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা

পদসংখ্যা: ৬৫ টি

যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদের স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮, ৬৪০ টাকা (দশম গ্রেড)

গবেষণা কর্মকর্তা

পদসংখ্যা: ২ টি

যোগ্যতা: অর্থনীতি বা পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮, ৬৪০ টাকা (দশম গ্রেড)

আবেদনের নিয়ম:

আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আবেদন ফি:

তিনটি পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে।

অনগ্রসর নাগরিকেরা এসব পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ৫৬ টাকা জমা দিতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ: ৪ মে,২০২৫।

গত ১২ জুলাই যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

এই সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করবেন না। আজই আবেদন করুন এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত