Ajker Patrika

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পণ্য বিনিময় প্রথায় ফিরেছে রাশিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সৌজন্যে
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সৌজন্যে

রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে আবার ফিরে এসেছে পুরোনো কালের পণ্য বিনিময় প্রথা বা বার্টার সিস্টেম। ১৯৯০-এর দশকের পর এ ধরনের বাণিজ্য প্রথমবার এতটা বাড়ল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা গমের বিনিময়ে চীনা গাড়ি কিনছে, আবার তিসি বীজের বিপরীতে আনছে নির্মাণসামগ্রী।

চীন–ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হলেও বার্টারের প্রত্যাবর্তন দেখিয়ে দিচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ কতটা বিকৃত করেছে বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ককে। বিশ্বের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ রপ্তানিকারক দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে যখন পশ্চিমাদের সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে একীভূত হয়। তখন কেউ ভাবেনি তিন দশক পর আবার পণ্য বিনিময় চালু হবে।

রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ ও ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও তাদের মিত্ররা দেশটির ওপর ২৫ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেওয়া ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থন দুর্বল করা। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি।

আর সে কারণে, রাশিয়ার সঙ্গে এখনো যারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের শাস্তি দেওয়ার পথে হাঁটছে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপরও শুল্ক আরোপ করেছে, কারণ নয়াদিল্লি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। পুতিন দাবি করছেন, পশ্চিমাদের প্রত্যাশার চেয়ে রাশিয়ার অর্থনীতি ভালো করছে। গত দুই বছরে রাশিয়ার প্রবৃদ্ধি জি–সেভেন দেশগুলোর চেয়েও দ্রুত হয়েছে, যদিও শুরুতে ধস নামার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তিনি ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞাকে যেভাবে হোক পাশ কাটাতে।

তবে অর্থনীতিতে চাপ বাড়ছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, দেশটি এখন প্রযুক্তিগতভাবে মন্দায় আছে এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় চাপ তৈরি করেছে ২০২২ সালে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে সুইফট সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর এবং ২০২৩ সালে চীনা ব্যাংকগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়ার পর, যাতে তারা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অর্থ সহায়তা না করে।

রাশিয়া আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র বলেছেন, ‘চীনা ব্যাংকগুলো ভয় পাচ্ছে সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আশঙ্কায়। তাই তারা রাশিয়া থেকে অর্থ নেয় না।’ আর এ কারণেই বাড়ছে বার্টার লেনদেন, যা ট্র্যাক করা অনেক কঠিন।

সর্বশেষ, ২০২৪ সালে রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় ১৪ পাতার একটি ‘বৈদেশিক বার্টার গাইড’ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে ব্যবসায়ীরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পারে। এমনকি একটি বার্টার এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।

মন্ত্রণালয়ের নথিতে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে পণ্য ও সেবার বিনিময় আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ছাড়াই করা সম্ভব—নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতিতে এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি।’ এর আগে, এ ধরনের বাণিজ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে গত মাসে রয়টার্স জানায়, চীনের হাইনান লংপান ওয়েলফিল্ড টেকনোলজি কোম্পানি সামুদ্রিক জাহাজের ইঞ্জিনের বিনিময়ে রাশিয়াকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় দিতে আগ্রহী।

রয়টার্সের তদন্তে এ ধরনের আটটি পণ্যের–বিনিময় লেনদেন চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে কিছু রাশিয়ার কাস্টমস ও কোম্পানির বিবৃতি থেকে জানা গেছে। আগে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়নি। লেনদেনের মোট পরিমাণ বা মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, কারণ সবই অস্বচ্ছ। তবে তিনজন বাণিজ্য–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেছেন, ‘এ ধরনের লেনদেন বাড়ছে।’

রাশিয়ান–এশিয়ান ইউনিয়ন অব ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরসের সচিব ম্যাক্সিম স্পাসকি বলেছেন, ‘বার্টার বাড়ছে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা, নিষেধাজ্ঞার চাপ ও লেনদেন সঙ্গীদের তারল্য সমস্যার কারণে। বার্টারের পরিমাণ আরও বাড়বে।’

অন্য এক সূত্র জানিয়েছে, ডলার ও ইউরো লেনদেন থেকে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার পর বার্টার এসব বাধা পাশ কাটাতে সাহায্য করছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বার্টারের ব্যাপ্তির একটি ইঙ্গিত হতে পারে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কাস্টমস সার্ভিসের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যানে অস্বাভাবিক ফারাক। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে এ ব্যবধান দাঁড়ায় ৭ বিলিয়ন ডলারে।

রাশিয়ার কাস্টমস সার্ভিসও নিশ্চিত করেছে যে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নানা পণ্যে বার্টার হচ্ছে। তবে তারা বলেছে, এটি মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের তুলনায় এখনো নগণ্য। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি–জুলাই সময়কালে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত এক বছর আগের তুলনায় ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৭৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে রপ্তানি কমে যায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।

রুশ সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বার্টার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। শুধু জানিয়েছে, এ ধরনের লেনদেন বৈধভাবে রিপোর্ট হলে সামগ্রিক তথ্যের মধ্যে হিসাব হয়।

রয়টার্সের পাওয়া এক লেনদেনের নথি থেকে দেখা গেছে, চীনা গাড়ির বিনিময়ে রাশিয়ার গম দেওয়া হচ্ছে। চীনা পক্ষ রাশিয়ান ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছিল শস্য দিয়ে মূল্য পরিশোধ করতে। তারা চীনে ইউয়ানে গাড়ি কিনেছিল। রাশিয়ান অংশীদার রুবলে শস্য কিনে গাড়ির মূল্য চুকিয়েছে। তবে কতটা গম ও গাড়ি লেনদেন হয়েছিল, সে তথ্য পাওয়া যায়নি।

আরও দুটি লেনদেনে তিসি বীজের বিনিময়ে চীন থেকে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রী আনা হয় রাশিয়ায়। এর একটি লেনদেনের মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ডলার বলে কাস্টমস তথ্য থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া ধাতুর বিনিময়ে মেশিনারি, কাঁচামালের বিনিময়ে চীনা সেবা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গেও বার্টার লেনদেন হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমা পণ্যও রাশিয়ায় ঢুকেছে এভাবে—অন্য দেশ হয়ে, যদিও বিস্তারিত প্রকাশ পায়নি।

গত আগস্টে কাজান এক্সপো ফোরামে চীনা উদ্যোক্তারা জানান, অর্থ লেনদেনে বাধা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সমস্যা তৈরি করছে। হাইনান লংপান কোম্পানির চেয়ারম্যান শু শিনজিং বলেছেন, সীমিত অর্থ প্রদানের পরিস্থিতিতে বার্টার ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে।

সোভিয়েত ভাঙনের পর নব্বইয়ের দশকে বার্টার অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। বিদ্যুৎ, তেল থেকে শুরু করে আটা, চিনি, জুতা—সবকিছুর জন্য বিনিময় চুক্তি হয়েছিল। তখন দাম নির্ধারণে কারসাজি হতো, অনেকেই বিপুল অর্থ কামিয়েছিল। তখন টাকার ঘাটতি, তীব্র মুদ্রাস্ফীতি ও বারবার মুদ্রার অবমূল্যায়ন বার্টারকে জনপ্রিয় করেছিল। এখন অর্থের অভাব নেই, তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপ এ ব্যবস্থা আবার বাড়িয়েছে। রাশিয়া বলছে, এসব নিষেধাজ্ঞা বেআইনি। আর চীন বলছে, নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক।

বার্টার ছাড়াও বিকল্প পথ আছে। যেমন, কিছু ব্যবসায়ী ‘পেমেন্ট এজেন্ট’ ব্যবহার করছে—যারা ফি নিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অর্থ প্রদান নিশ্চিত করে। তবে এতে ঝুঁকি বেশি। আরেকটি উপায় হলো রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ভিটিবি ব্যাংক, যার সাংহাইয়ে শাখা আছে। কেউ কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সিও ব্যবহার করছে, বিশেষ করে ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত কয়েনও অনেকে ব্যবহার করছেন।

রাশিয়ার শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিসিএস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই পুতিয়াতিনস্কি বলেন, ‘ছোট ব্যবসায়ীরা সক্রিয়ভাবে ক্রিপ্টো ব্যবহার করছে। কেউ নগদ বহন করে, কেউ অফসেট ব্যবহার করে, কেউ একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করে। এখনো প্রস্তুত কোনো সমাধান নেই। অর্থনীতি টিকে আছে, ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে ১০–১৫ ধরনের অর্থ প্রদানের পদ্ধতি ব্যবহার করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তৈরি পোশাক রপ্তানি: ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সম্ভাবনা জাপানে

রোকন উদ্দীন, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২৮
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।

এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।

তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’

জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।

কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’

এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এসএমই মেলায় ১৬ কোটি টাকার অর্ডার পেলেন উদ্যোক্তারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।

শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।

মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আপেল, মাল্টা, কমলাসহ তাজা ফলের শুল্ক কমানোর সুপারিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।

অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনে ভোটার ও রাজনীতিবিদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে: দেবপ্রিয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৯
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’

সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।

তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’

সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’

তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত