আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক চীন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ভেনেজুয়েলা সরাসরি কোনো দেশে তেল রপ্তানি করতে পারে না। কিন্তু ‘ব্র্যান্ড’ পরিবর্তন করে ঠিকই চীনে রপ্তানি করছে দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার তেল ব্রাজিলের নামে চীনে যাচ্ছে। গত এক বছরে এই কৌশলে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তেল রপ্তানি করেছে ভেনেজুয়েলা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে সাগরপথে এই তেল সরবরাহে নিয়োজিত রয়েছে একাধিক মধ্যস্বত্বভোগী ও ব্যবসায়ী।
এই কৌশলের মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞা এড়ানোই নয়, বাঁচানো হচ্ছে সময় ও খরচও। আগে যেখানে ভেনেজুয়েলা থেকে চীনে যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ার উপকূল ঘুরে যেতে হতো, সেখানে এখন সোজা পথে চীন পৌঁছে যেতে পারছে তেলের ট্যাংকার, সময় কমছে অন্তত চার দিন।
২০১৯ সাল থেকে ভেনেজুয়েলার জ্বালানি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় টিকে আছেন এবং বিরোধীদের ওপর দমননীতি চালিয়ে যেতে তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করছেন। এই নিষেধাজ্ঞাকে অর্থনৈতিক যুদ্ধ বলে আখ্যা দিয়েছে মাদুরোর সরকার।
এরপর থেকেই ব্যবসায়ীরা উৎস গোপন করতে এক জাহাজ থেকে আরেক জাহাজে পণ্য স্থানান্তরের মতো কৌশল গ্রহণ করছেন। এখন আরও একধাপ এগিয়ে তাঁরা ব্যবহার করছেন ‘স্পুফিং’ নামে বিশেষ কৌশল—যেখানে ট্যাংকারের স্যাটেলাইট সিগন্যাল জালিয়াতি করে দেখানো হয় জাহাজটি ভেনেজুয়েলা থেকে নয়, বরং ব্রাজিল থেকে রওনা হয়েছে।
বাণিজ্যিক জাহাজের তথ্য বিশ্লেষণকারী সংস্থা ট্যাংকার ট্র্যাকারস ডট কম জানায়, দৈনিক ভেনেজুয়েলার প্রায় ৬৭ হাজার ব্যারেল তেল ব্রাজিলের নামে চীনে প্রবেশ করে। ওয়েবসাইটটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত চীনে প্রবেশ করা প্রায় ২৭ লাখ টন মিশ্র বিটুমিন তেলের সবটাই ভেনেজুয়েলার। তবে, কাগজে কলমে এগুলো ব্রাজিলের বলে দেখানো হয়েছে। গত আট মাসে চীনে রপ্তানি হওয়া এই ২৭ লাখ টন তেলের বাজারদাম প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাস স্পষ্ট করে জানিয়েছে, চীনে কোনো বিটুমিন পাঠায় না তারা। দেশটির কাস্টমস তথ্যেও চীনে বিটুমিন রপ্তানির কোনো প্রমাণ নেই। মিশ্র বিটুমিন বা বিটুমিন ব্লেন্ড হচ্ছে আলকাতরা জাতীয় অবশেষ, যা সাধারণত অ্যাসফল্ট তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। অথচ ব্রাজিল সাধারণত রপ্তানি করে মাঝারি ঘনত্বের ‘মিডিয়াম-সুইট’ ধরনের অপরিশোধিত তেল, যা মূলত উপকূলীয় অঞ্চলের প্রি-সল্ট তেলক্ষেত্র থেকে আহরিত।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাসের প্রধান নির্বাহী ম্যাগদা চ্যামব্রিয়ার্ড সম্প্রতি হিউস্টনে এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চীনে যা রপ্তানি করি, তা মূলত প্রি-সল্ট উৎসের অপরিশোধিত তেল, বিটুমিন নয়।’
রয়টার্সের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, ভরটেক্সা অ্যানালিটিকস নামের একটি ট্যাংকার ট্র্যাকার এবং ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএর অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, চীনে ব্রাজিলীয় বিটুমিন নামে প্রবেশ করা অনেক কার্গোতে আসলে থাকে ভেনেজুয়েলার ‘মেরেই’ নামের ভারী অপরিশোধিত তেল। সাধারণত চীনের বেসরকারি পরিশোধনাগারগুলো পিডিভিএসএর কাছ থেকে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে কিনে থাকে।
চীনা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই মেরেই তেলকে ‘বিটুমিন ব্লেন্ড’ নামে চিহ্নিত করা হয়। কারণ এর মাধ্যমে পরিশোধনাগারগুলোকে অপরিশোধিত তেল আমদানিতে সরকার নির্ধারিত কোটা মেনে চলার প্রয়োজন হচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত তেলকে ব্রাজিলীয় তেল হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য ব্যবসায়ীরা কৌশলে জাল উৎস সনদ (সার্টিফিকেট অব অরিজিন) ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন তিনজন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী। এই পরিবর্তনের জন্য ট্যাংকারগুলোকে ব্রাজিলের কোনো বন্দরে যেতে হয় না, এমনকি শিপ-টু-শিপ লোডিংও করা হয় না।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএর নথি ও ট্যাংকার ট্র্যাকার্স ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, হাংঝোউ এনার্জি নামের একটি মধ্যস্থতাকারী কোম্পানির নামে ভেনেজুয়েলার তেল বহনকারী বেশ কয়েকটি ট্যাংকার ‘স্পুফিং’ করেছে—অর্থাৎ স্যাটেলাইটে তাদের অবস্থান ব্রাজিল দেখানো হয়েছে, যদিও বাস্তবে তারা ভেনেজুয়েলাতেই জাহাজীকরণ করেছে।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংকার কারিনা, ক্যাটেলিন ছদ্মনামে ভেনেজুয়েলার মেরেই ১৬ ক্রুডের ১৮ লাখ ব্যারেল তেল হাংঝোউ এনার্জির জন্য লোড করে। স্পুফিংয়ের মাধ্যমে দেখানো হয় যে, ট্যাংকারটি ব্রাজিল থেকে যাত্রা করেছে। পরে এপ্রিলের শুরুতে চীনের ইয়াংপু বন্দরে খালাস করা হয়।
এ বিষয়ে চীনের কাস্টমস এজেন্সি পিডিভিএসএ, ভেনেজুয়েলার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও ব্রাজিল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে রয়টার্স। কিন্তু তারা কেউই সাড়া দেয়নি।
ভেনেজুয়েলার তেলকে ব্রাজিলের নামে চীনে পাঠানোর পেছনে শুধু দূরত্বই কমায়নি, অর্থায়নের সুবিধা পাওয়াটাও একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিজ্ঞ তেল ব্যবসায়ী বলেন, ‘জাহাজভাড়া খুব বেশি কমানো না গেলেও, এভাবে ব্রাজিলীয় পরিচয় দিলে ব্যাংক থেকে অর্থ পাওয়া সহজ হয়, যা দীর্ঘ দুই মাসের যাত্রাপথে ব্যবসায়ীদের অর্থসংস্থান করে।’
পিডিভিএসএর নথি ও রয়টার্সের শিপিং ডেটা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে চীনে দৈনিক ৩ দশমিক ৫১ লাখ ব্যারেল ভেনেজুয়েলার তেল ও হেভি ফুয়েল রপ্তানি হয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসেই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৩ লাখ ব্যারেলে। এসব আমদানির অধিকাংশই এখনো কাগজে মালয়েশীয় তেল বা মিশ্র বিটুমিন হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়। ভেনেজুয়েলা থেকে প্রকৃত আমদানির ১০ শতাংশেরও কম চীনা কাস্টমস নথিতে উল্লেখ করা হয়।
চীন এবং ভেনেজুয়েলা উভয়েই বারবার একতরফা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছে। তাই দুই দেশ এখন হয়ে উঠেছে একে ওপরের সহায়ক।

বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক চীন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ভেনেজুয়েলা সরাসরি কোনো দেশে তেল রপ্তানি করতে পারে না। কিন্তু ‘ব্র্যান্ড’ পরিবর্তন করে ঠিকই চীনে রপ্তানি করছে দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার তেল ব্রাজিলের নামে চীনে যাচ্ছে। গত এক বছরে এই কৌশলে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তেল রপ্তানি করেছে ভেনেজুয়েলা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে সাগরপথে এই তেল সরবরাহে নিয়োজিত রয়েছে একাধিক মধ্যস্বত্বভোগী ও ব্যবসায়ী।
এই কৌশলের মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞা এড়ানোই নয়, বাঁচানো হচ্ছে সময় ও খরচও। আগে যেখানে ভেনেজুয়েলা থেকে চীনে যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ার উপকূল ঘুরে যেতে হতো, সেখানে এখন সোজা পথে চীন পৌঁছে যেতে পারছে তেলের ট্যাংকার, সময় কমছে অন্তত চার দিন।
২০১৯ সাল থেকে ভেনেজুয়েলার জ্বালানি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় টিকে আছেন এবং বিরোধীদের ওপর দমননীতি চালিয়ে যেতে তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করছেন। এই নিষেধাজ্ঞাকে অর্থনৈতিক যুদ্ধ বলে আখ্যা দিয়েছে মাদুরোর সরকার।
এরপর থেকেই ব্যবসায়ীরা উৎস গোপন করতে এক জাহাজ থেকে আরেক জাহাজে পণ্য স্থানান্তরের মতো কৌশল গ্রহণ করছেন। এখন আরও একধাপ এগিয়ে তাঁরা ব্যবহার করছেন ‘স্পুফিং’ নামে বিশেষ কৌশল—যেখানে ট্যাংকারের স্যাটেলাইট সিগন্যাল জালিয়াতি করে দেখানো হয় জাহাজটি ভেনেজুয়েলা থেকে নয়, বরং ব্রাজিল থেকে রওনা হয়েছে।
বাণিজ্যিক জাহাজের তথ্য বিশ্লেষণকারী সংস্থা ট্যাংকার ট্র্যাকারস ডট কম জানায়, দৈনিক ভেনেজুয়েলার প্রায় ৬৭ হাজার ব্যারেল তেল ব্রাজিলের নামে চীনে প্রবেশ করে। ওয়েবসাইটটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত চীনে প্রবেশ করা প্রায় ২৭ লাখ টন মিশ্র বিটুমিন তেলের সবটাই ভেনেজুয়েলার। তবে, কাগজে কলমে এগুলো ব্রাজিলের বলে দেখানো হয়েছে। গত আট মাসে চীনে রপ্তানি হওয়া এই ২৭ লাখ টন তেলের বাজারদাম প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাস স্পষ্ট করে জানিয়েছে, চীনে কোনো বিটুমিন পাঠায় না তারা। দেশটির কাস্টমস তথ্যেও চীনে বিটুমিন রপ্তানির কোনো প্রমাণ নেই। মিশ্র বিটুমিন বা বিটুমিন ব্লেন্ড হচ্ছে আলকাতরা জাতীয় অবশেষ, যা সাধারণত অ্যাসফল্ট তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। অথচ ব্রাজিল সাধারণত রপ্তানি করে মাঝারি ঘনত্বের ‘মিডিয়াম-সুইট’ ধরনের অপরিশোধিত তেল, যা মূলত উপকূলীয় অঞ্চলের প্রি-সল্ট তেলক্ষেত্র থেকে আহরিত।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাসের প্রধান নির্বাহী ম্যাগদা চ্যামব্রিয়ার্ড সম্প্রতি হিউস্টনে এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চীনে যা রপ্তানি করি, তা মূলত প্রি-সল্ট উৎসের অপরিশোধিত তেল, বিটুমিন নয়।’
রয়টার্সের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, ভরটেক্সা অ্যানালিটিকস নামের একটি ট্যাংকার ট্র্যাকার এবং ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএর অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, চীনে ব্রাজিলীয় বিটুমিন নামে প্রবেশ করা অনেক কার্গোতে আসলে থাকে ভেনেজুয়েলার ‘মেরেই’ নামের ভারী অপরিশোধিত তেল। সাধারণত চীনের বেসরকারি পরিশোধনাগারগুলো পিডিভিএসএর কাছ থেকে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে কিনে থাকে।
চীনা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই মেরেই তেলকে ‘বিটুমিন ব্লেন্ড’ নামে চিহ্নিত করা হয়। কারণ এর মাধ্যমে পরিশোধনাগারগুলোকে অপরিশোধিত তেল আমদানিতে সরকার নির্ধারিত কোটা মেনে চলার প্রয়োজন হচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত তেলকে ব্রাজিলীয় তেল হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য ব্যবসায়ীরা কৌশলে জাল উৎস সনদ (সার্টিফিকেট অব অরিজিন) ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন তিনজন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী। এই পরিবর্তনের জন্য ট্যাংকারগুলোকে ব্রাজিলের কোনো বন্দরে যেতে হয় না, এমনকি শিপ-টু-শিপ লোডিংও করা হয় না।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএর নথি ও ট্যাংকার ট্র্যাকার্স ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, হাংঝোউ এনার্জি নামের একটি মধ্যস্থতাকারী কোম্পানির নামে ভেনেজুয়েলার তেল বহনকারী বেশ কয়েকটি ট্যাংকার ‘স্পুফিং’ করেছে—অর্থাৎ স্যাটেলাইটে তাদের অবস্থান ব্রাজিল দেখানো হয়েছে, যদিও বাস্তবে তারা ভেনেজুয়েলাতেই জাহাজীকরণ করেছে।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংকার কারিনা, ক্যাটেলিন ছদ্মনামে ভেনেজুয়েলার মেরেই ১৬ ক্রুডের ১৮ লাখ ব্যারেল তেল হাংঝোউ এনার্জির জন্য লোড করে। স্পুফিংয়ের মাধ্যমে দেখানো হয় যে, ট্যাংকারটি ব্রাজিল থেকে যাত্রা করেছে। পরে এপ্রিলের শুরুতে চীনের ইয়াংপু বন্দরে খালাস করা হয়।
এ বিষয়ে চীনের কাস্টমস এজেন্সি পিডিভিএসএ, ভেনেজুয়েলার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও ব্রাজিল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে রয়টার্স। কিন্তু তারা কেউই সাড়া দেয়নি।
ভেনেজুয়েলার তেলকে ব্রাজিলের নামে চীনে পাঠানোর পেছনে শুধু দূরত্বই কমায়নি, অর্থায়নের সুবিধা পাওয়াটাও একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিজ্ঞ তেল ব্যবসায়ী বলেন, ‘জাহাজভাড়া খুব বেশি কমানো না গেলেও, এভাবে ব্রাজিলীয় পরিচয় দিলে ব্যাংক থেকে অর্থ পাওয়া সহজ হয়, যা দীর্ঘ দুই মাসের যাত্রাপথে ব্যবসায়ীদের অর্থসংস্থান করে।’
পিডিভিএসএর নথি ও রয়টার্সের শিপিং ডেটা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে চীনে দৈনিক ৩ দশমিক ৫১ লাখ ব্যারেল ভেনেজুয়েলার তেল ও হেভি ফুয়েল রপ্তানি হয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসেই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৩ লাখ ব্যারেলে। এসব আমদানির অধিকাংশই এখনো কাগজে মালয়েশীয় তেল বা মিশ্র বিটুমিন হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়। ভেনেজুয়েলা থেকে প্রকৃত আমদানির ১০ শতাংশেরও কম চীনা কাস্টমস নথিতে উল্লেখ করা হয়।
চীন এবং ভেনেজুয়েলা উভয়েই বারবার একতরফা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছে। তাই দুই দেশ এখন হয়ে উঠেছে একে ওপরের সহায়ক।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২১ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এই কৌশলের মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞা এড়ানোই নয়, বাঁচানো হচ্ছে সময় ও খরচও। আগে যেখানে ভেনেজুয়েলা থেকে চীনে যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ার উপকূল ঘুরে যেতে হতো, সেখানে এখন সোজা পথে চীন পৌঁছে যেতে পারছে তেলের ট্যাংকার, সময় কমছে অন্তত চার দিন।
১২ মে ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২১ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

এই কৌশলের মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞা এড়ানোই নয়, বাঁচানো হচ্ছে সময় ও খরচও। আগে যেখানে ভেনেজুয়েলা থেকে চীনে যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ার উপকূল ঘুরে যেতে হতো, সেখানে এখন সোজা পথে চীন পৌঁছে যেতে পারছে তেলের ট্যাংকার, সময় কমছে অন্তত চার দিন।
১২ মে ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২১ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

এই কৌশলের মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞা এড়ানোই নয়, বাঁচানো হচ্ছে সময় ও খরচও। আগে যেখানে ভেনেজুয়েলা থেকে চীনে যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ার উপকূল ঘুরে যেতে হতো, সেখানে এখন সোজা পথে চীন পৌঁছে যেতে পারছে তেলের ট্যাংকার, সময় কমছে অন্তত চার দিন।
১২ মে ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এই কৌশলের মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞা এড়ানোই নয়, বাঁচানো হচ্ছে সময় ও খরচও। আগে যেখানে ভেনেজুয়েলা থেকে চীনে যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ার উপকূল ঘুরে যেতে হতো, সেখানে এখন সোজা পথে চীন পৌঁছে যেতে পারছে তেলের ট্যাংকার, সময় কমছে অন্তত চার দিন।
১২ মে ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২১ ঘণ্টা আগে