আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্রেতার দিক থেকে আইফোনের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাপল সাধারণত চীন থেকে আইফোন আমদানির ওপর বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু চীনের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় ভারত থেকে আইফোন আমদানি শুরু করেছে অ্যাপল। কারণ, ভারতে ট্রাম্পের শুল্কহার চীনের তুলনায় কম, মাত্র ২৬ শতাংশ।
সম্প্রতি এই প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক এড়াতে ভারত থেকে কয়েকটি কার্গো বিমানে ৬০০ টন আইফোন—অর্থাৎ প্রায় ১৫ লাখ ডিভাইস যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। রয়টার্সের একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি অ্যাপলের একটি গোপন কৌশলের অংশ। এর মাধ্যমে তারা ট্রাম্পের শুল্ক এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের মজুত বাড়াচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, অ্যাপল ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কা এড়াতে চেয়েছিল। তাই চীনকে বাদ দিয়ে তারা উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে বেছে নিয়েছে। এই লক্ষ্যে অ্যাপল ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দরে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় ৩০ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৬ ঘণ্টায় নামিয়ে আনতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করেছে।
বিমানবন্দরে এমন ‘গ্রিন করিডোর’ ব্যবস্থা শুধু চীনের কিছু বিমানবন্দরে অ্যাপলের ব্যবহৃত মডেলের অনুকরণে তৈরি। একটি সূত্র ও একজন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, মার্চ থেকে ছয়টি কার্গো জেট (প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১০০ টন) চেন্নাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। এর মধ্যে একটি এই সপ্তাহে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার সময় গিয়েছে।
রয়টার্সের হিসাবে, একটি আইফোন-১৪ ও এর চার্জিং কেবলের প্যাকেজড ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। প্যাকেজিং বিবেচনায় ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ছয়টি কার্গোতে প্রায় ১৫ লাখ আইফোন থাকতে পারে। অ্যাপল ও ভারতের বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এ ছাড়া কিছু সূত্র কথা বললেও গোপনীয়তার কারণে পরিচয় প্রকাশ করেনি।
বিশ্বব্যাপী অ্যাপল বছরে ২২ কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে। প্রযুক্তি বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা আইফোনের পঞ্চমাংশ এখন ভারত থেকে আসে, বাকিগুলো চীন থেকে। ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক ৫৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন। ৫৪ শতাংশ হারে আইফোন-১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম ১ হাজার ৫৯৯ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৩০০ ডলার হতো। এতে যাতে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বিক্রি ও ক্রেতাদের ওপর প্রভাব না পড়ে, তাই ভারতে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ভারতে অ্যাপলের আইফোন উৎপাদনের কাজ করে ফক্সকন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ভারতে অ্যাপলের উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে এবং বিমানের মাধ্যমে আমদানি করছে। এর জন্য শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে এবং ফক্সকনের চেন্নাই কারখানায় রোববার ছুটির দিনেও কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই কারখানা গত বছর ২ কোটি আইফোন তৈরি করেছে, যার মধ্যে আইফোন ১৫ ও ১৬ মডেল রয়েছে।
চীনের বাইরে উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে অ্যাপল। ভারতে ফক্সকন ও টাটা তাদের দুই প্রধান সরবরাহকারী। এই দুই প্রতিষ্ঠান দেশটিতে মোট তিনটি কারখানা চালাচ্ছে এবং আরও দুটি নির্মাণাধীন। চেন্নাইয়ে দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স স্থাপনেও পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারও অ্যাপলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে।
কাস্টমস ডেটা অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফক্সকনের আমদানি ছিল ৭৭০ মিলিয়ন ও ফেব্রুয়ারিতে ৬৪৩ মিলিয়ন ডলার, যা আগের চার মাসে ছিল মাত্র ১১০ থেকে ৩৩১ মিলিয়ন ডলার। আর এই দুই মাসে ৮৫ শতাংশের বেশি চালান গেছে শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস, নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোতে। তবে এসব বিষয়ে ফক্সকনের কাছে জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।

ক্রেতার দিক থেকে আইফোনের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাপল সাধারণত চীন থেকে আইফোন আমদানির ওপর বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু চীনের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় ভারত থেকে আইফোন আমদানি শুরু করেছে অ্যাপল। কারণ, ভারতে ট্রাম্পের শুল্কহার চীনের তুলনায় কম, মাত্র ২৬ শতাংশ।
সম্প্রতি এই প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক এড়াতে ভারত থেকে কয়েকটি কার্গো বিমানে ৬০০ টন আইফোন—অর্থাৎ প্রায় ১৫ লাখ ডিভাইস যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। রয়টার্সের একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি অ্যাপলের একটি গোপন কৌশলের অংশ। এর মাধ্যমে তারা ট্রাম্পের শুল্ক এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের মজুত বাড়াচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, অ্যাপল ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কা এড়াতে চেয়েছিল। তাই চীনকে বাদ দিয়ে তারা উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে বেছে নিয়েছে। এই লক্ষ্যে অ্যাপল ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দরে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় ৩০ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৬ ঘণ্টায় নামিয়ে আনতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করেছে।
বিমানবন্দরে এমন ‘গ্রিন করিডোর’ ব্যবস্থা শুধু চীনের কিছু বিমানবন্দরে অ্যাপলের ব্যবহৃত মডেলের অনুকরণে তৈরি। একটি সূত্র ও একজন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, মার্চ থেকে ছয়টি কার্গো জেট (প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১০০ টন) চেন্নাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। এর মধ্যে একটি এই সপ্তাহে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার সময় গিয়েছে।
রয়টার্সের হিসাবে, একটি আইফোন-১৪ ও এর চার্জিং কেবলের প্যাকেজড ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। প্যাকেজিং বিবেচনায় ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ছয়টি কার্গোতে প্রায় ১৫ লাখ আইফোন থাকতে পারে। অ্যাপল ও ভারতের বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এ ছাড়া কিছু সূত্র কথা বললেও গোপনীয়তার কারণে পরিচয় প্রকাশ করেনি।
বিশ্বব্যাপী অ্যাপল বছরে ২২ কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে। প্রযুক্তি বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা আইফোনের পঞ্চমাংশ এখন ভারত থেকে আসে, বাকিগুলো চীন থেকে। ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক ৫৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন। ৫৪ শতাংশ হারে আইফোন-১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম ১ হাজার ৫৯৯ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৩০০ ডলার হতো। এতে যাতে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বিক্রি ও ক্রেতাদের ওপর প্রভাব না পড়ে, তাই ভারতে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ভারতে অ্যাপলের আইফোন উৎপাদনের কাজ করে ফক্সকন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ভারতে অ্যাপলের উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে এবং বিমানের মাধ্যমে আমদানি করছে। এর জন্য শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে এবং ফক্সকনের চেন্নাই কারখানায় রোববার ছুটির দিনেও কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই কারখানা গত বছর ২ কোটি আইফোন তৈরি করেছে, যার মধ্যে আইফোন ১৫ ও ১৬ মডেল রয়েছে।
চীনের বাইরে উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে অ্যাপল। ভারতে ফক্সকন ও টাটা তাদের দুই প্রধান সরবরাহকারী। এই দুই প্রতিষ্ঠান দেশটিতে মোট তিনটি কারখানা চালাচ্ছে এবং আরও দুটি নির্মাণাধীন। চেন্নাইয়ে দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স স্থাপনেও পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারও অ্যাপলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে।
কাস্টমস ডেটা অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফক্সকনের আমদানি ছিল ৭৭০ মিলিয়ন ও ফেব্রুয়ারিতে ৬৪৩ মিলিয়ন ডলার, যা আগের চার মাসে ছিল মাত্র ১১০ থেকে ৩৩১ মিলিয়ন ডলার। আর এই দুই মাসে ৮৫ শতাংশের বেশি চালান গেছে শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস, নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোতে। তবে এসব বিষয়ে ফক্সকনের কাছে জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্রেতার দিক থেকে আইফোনের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাপল সাধারণত চীন থেকে আইফোন আমদানির ওপর বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু চীনের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় ভারত থেকে আইফোন আমদানি শুরু করেছে অ্যাপল। কারণ, ভারতে ট্রাম্পের শুল্কহার চীনের তুলনায় কম, মাত্র ২৬ শতাংশ।
সম্প্রতি এই প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক এড়াতে ভারত থেকে কয়েকটি কার্গো বিমানে ৬০০ টন আইফোন—অর্থাৎ প্রায় ১৫ লাখ ডিভাইস যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। রয়টার্সের একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি অ্যাপলের একটি গোপন কৌশলের অংশ। এর মাধ্যমে তারা ট্রাম্পের শুল্ক এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের মজুত বাড়াচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, অ্যাপল ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কা এড়াতে চেয়েছিল। তাই চীনকে বাদ দিয়ে তারা উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে বেছে নিয়েছে। এই লক্ষ্যে অ্যাপল ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দরে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় ৩০ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৬ ঘণ্টায় নামিয়ে আনতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করেছে।
বিমানবন্দরে এমন ‘গ্রিন করিডোর’ ব্যবস্থা শুধু চীনের কিছু বিমানবন্দরে অ্যাপলের ব্যবহৃত মডেলের অনুকরণে তৈরি। একটি সূত্র ও একজন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, মার্চ থেকে ছয়টি কার্গো জেট (প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১০০ টন) চেন্নাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। এর মধ্যে একটি এই সপ্তাহে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার সময় গিয়েছে।
রয়টার্সের হিসাবে, একটি আইফোন-১৪ ও এর চার্জিং কেবলের প্যাকেজড ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। প্যাকেজিং বিবেচনায় ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ছয়টি কার্গোতে প্রায় ১৫ লাখ আইফোন থাকতে পারে। অ্যাপল ও ভারতের বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এ ছাড়া কিছু সূত্র কথা বললেও গোপনীয়তার কারণে পরিচয় প্রকাশ করেনি।
বিশ্বব্যাপী অ্যাপল বছরে ২২ কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে। প্রযুক্তি বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা আইফোনের পঞ্চমাংশ এখন ভারত থেকে আসে, বাকিগুলো চীন থেকে। ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক ৫৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন। ৫৪ শতাংশ হারে আইফোন-১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম ১ হাজার ৫৯৯ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৩০০ ডলার হতো। এতে যাতে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বিক্রি ও ক্রেতাদের ওপর প্রভাব না পড়ে, তাই ভারতে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ভারতে অ্যাপলের আইফোন উৎপাদনের কাজ করে ফক্সকন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ভারতে অ্যাপলের উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে এবং বিমানের মাধ্যমে আমদানি করছে। এর জন্য শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে এবং ফক্সকনের চেন্নাই কারখানায় রোববার ছুটির দিনেও কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই কারখানা গত বছর ২ কোটি আইফোন তৈরি করেছে, যার মধ্যে আইফোন ১৫ ও ১৬ মডেল রয়েছে।
চীনের বাইরে উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে অ্যাপল। ভারতে ফক্সকন ও টাটা তাদের দুই প্রধান সরবরাহকারী। এই দুই প্রতিষ্ঠান দেশটিতে মোট তিনটি কারখানা চালাচ্ছে এবং আরও দুটি নির্মাণাধীন। চেন্নাইয়ে দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স স্থাপনেও পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারও অ্যাপলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে।
কাস্টমস ডেটা অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফক্সকনের আমদানি ছিল ৭৭০ মিলিয়ন ও ফেব্রুয়ারিতে ৬৪৩ মিলিয়ন ডলার, যা আগের চার মাসে ছিল মাত্র ১১০ থেকে ৩৩১ মিলিয়ন ডলার। আর এই দুই মাসে ৮৫ শতাংশের বেশি চালান গেছে শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস, নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোতে। তবে এসব বিষয়ে ফক্সকনের কাছে জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।

ক্রেতার দিক থেকে আইফোনের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাপল সাধারণত চীন থেকে আইফোন আমদানির ওপর বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু চীনের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় ভারত থেকে আইফোন আমদানি শুরু করেছে অ্যাপল। কারণ, ভারতে ট্রাম্পের শুল্কহার চীনের তুলনায় কম, মাত্র ২৬ শতাংশ।
সম্প্রতি এই প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক এড়াতে ভারত থেকে কয়েকটি কার্গো বিমানে ৬০০ টন আইফোন—অর্থাৎ প্রায় ১৫ লাখ ডিভাইস যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। রয়টার্সের একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি অ্যাপলের একটি গোপন কৌশলের অংশ। এর মাধ্যমে তারা ট্রাম্পের শুল্ক এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের মজুত বাড়াচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, অ্যাপল ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কা এড়াতে চেয়েছিল। তাই চীনকে বাদ দিয়ে তারা উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে বেছে নিয়েছে। এই লক্ষ্যে অ্যাপল ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দরে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় ৩০ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৬ ঘণ্টায় নামিয়ে আনতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করেছে।
বিমানবন্দরে এমন ‘গ্রিন করিডোর’ ব্যবস্থা শুধু চীনের কিছু বিমানবন্দরে অ্যাপলের ব্যবহৃত মডেলের অনুকরণে তৈরি। একটি সূত্র ও একজন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, মার্চ থেকে ছয়টি কার্গো জেট (প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১০০ টন) চেন্নাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। এর মধ্যে একটি এই সপ্তাহে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার সময় গিয়েছে।
রয়টার্সের হিসাবে, একটি আইফোন-১৪ ও এর চার্জিং কেবলের প্যাকেজড ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। প্যাকেজিং বিবেচনায় ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ছয়টি কার্গোতে প্রায় ১৫ লাখ আইফোন থাকতে পারে। অ্যাপল ও ভারতের বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এ ছাড়া কিছু সূত্র কথা বললেও গোপনীয়তার কারণে পরিচয় প্রকাশ করেনি।
বিশ্বব্যাপী অ্যাপল বছরে ২২ কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে। প্রযুক্তি বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা আইফোনের পঞ্চমাংশ এখন ভারত থেকে আসে, বাকিগুলো চীন থেকে। ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক ৫৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন। ৫৪ শতাংশ হারে আইফোন-১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম ১ হাজার ৫৯৯ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৩০০ ডলার হতো। এতে যাতে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বিক্রি ও ক্রেতাদের ওপর প্রভাব না পড়ে, তাই ভারতে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ভারতে অ্যাপলের আইফোন উৎপাদনের কাজ করে ফক্সকন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ভারতে অ্যাপলের উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে এবং বিমানের মাধ্যমে আমদানি করছে। এর জন্য শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে এবং ফক্সকনের চেন্নাই কারখানায় রোববার ছুটির দিনেও কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই কারখানা গত বছর ২ কোটি আইফোন তৈরি করেছে, যার মধ্যে আইফোন ১৫ ও ১৬ মডেল রয়েছে।
চীনের বাইরে উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে অ্যাপল। ভারতে ফক্সকন ও টাটা তাদের দুই প্রধান সরবরাহকারী। এই দুই প্রতিষ্ঠান দেশটিতে মোট তিনটি কারখানা চালাচ্ছে এবং আরও দুটি নির্মাণাধীন। চেন্নাইয়ে দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স স্থাপনেও পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারও অ্যাপলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে।
কাস্টমস ডেটা অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফক্সকনের আমদানি ছিল ৭৭০ মিলিয়ন ও ফেব্রুয়ারিতে ৬৪৩ মিলিয়ন ডলার, যা আগের চার মাসে ছিল মাত্র ১১০ থেকে ৩৩১ মিলিয়ন ডলার। আর এই দুই মাসে ৮৫ শতাংশের বেশি চালান গেছে শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস, নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোতে। তবে এসব বিষয়ে ফক্সকনের কাছে জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

বিশ্বব্যাপী অ্যাপল বছরে ২২ কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে। প্রযুক্তি বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা আইফোনের পঞ্চমাংশ এখন ভারত থেকে আসে, বাকিগুলো চীন থেকে। ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক ৫৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন। ৫৪ শতাংশ হারে আইফোন-১৬ প্রো ম্যাক্স
১০ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বব্যাপী অ্যাপল বছরে ২২ কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে। প্রযুক্তি বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা আইফোনের পঞ্চমাংশ এখন ভারত থেকে আসে, বাকিগুলো চীন থেকে। ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক ৫৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন। ৫৪ শতাংশ হারে আইফোন-১৬ প্রো ম্যাক্স
১০ এপ্রিল ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী অ্যাপল বছরে ২২ কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে। প্রযুক্তি বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা আইফোনের পঞ্চমাংশ এখন ভারত থেকে আসে, বাকিগুলো চীন থেকে। ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক ৫৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন। ৫৪ শতাংশ হারে আইফোন-১৬ প্রো ম্যাক্স
১০ এপ্রিল ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

বিশ্বব্যাপী অ্যাপল বছরে ২২ কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে। প্রযুক্তি বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা আইফোনের পঞ্চমাংশ এখন ভারত থেকে আসে, বাকিগুলো চীন থেকে। ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক ৫৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন। ৫৪ শতাংশ হারে আইফোন-১৬ প্রো ম্যাক্স
১০ এপ্রিল ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৮ ঘণ্টা আগে