Ajker Patrika

মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্ক—২০২৫ সালে তিন চ্যালেঞ্জের মুখে বিশ্ব অর্থনীতি

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দেশগুলো। ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দেশগুলো। ছবি: এএফপি

মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্কের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির কৌতূহলোদ্দীপক বছর হতে যাচ্ছে ২০২৫ সাল। গত কয়েক বছরে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। এটা স্থিতিশীল হার হলেও আশাপ্রদ নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দিকে তাকালে বিষয়টি সহজে বোঝা যাবে। বড়দিনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে লাখো আমেরিকান ঋণগ্রহীতারা এক উপহার পেয়েছিল, তা ছিল টানা তৃতীয়বার সুদের হার কমানো। কিন্তু মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের এক কথার কারণে সেই উপহার তেমন কাজে দেয়নি। তখন শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে।

পাওয়েল সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন, সুদের হার আরও কমানোর যে আশা জেগেছে, তা ২০২৫ সালে সম্ভব না-ও হতে পারে। কারণ, মূল্যস্ফীতি ঠেকানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। তাই নতুন বছরে সুদের হার কমানোর বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। এই মন্তব্য দ্রুতই বাজারে হতাশা ছড়িয়ে দেয়।

এদিকে মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপেরও অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে উঠেছে। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোজোন এবং যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যথাক্রমে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, ২ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। তাদের সবারই লক্ষ্য মূল্যস্ফীতিকে ২ শতাংশে বেঁধে রাখা।

জেপি মরগান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের বিশ্ব অর্থনীতি গবেষণা শাখার প্রধান লুইস ওগানেস বলেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো অনিশ্চয়তা। এর কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজনীতি। বিশেষ করে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কী ঘটতে পারে, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই।

গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার দেশ চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

লুইস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক বেশি “একলা চলো” অবস্থান নিয়েছে। শিল্প খাত রক্ষায় অতিরিক্ত রক্ষণশীল হচ্ছে, শুল্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব নীতি স্বল্প মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর জন্য নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর হবে।’

নতুন শুল্ক আরোপ মেক্সিকো ও কানাডার জন্য ভয়াবহ পরিণতি আনতে পারে বলে মনে করছেন পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের মরিস অবস্টফেল্ড। তিনি আইএমএফের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এই শুল্ক আরোপের কারণে কেবল মেক্সিকো ও কানাডা নয়, যুক্তরাষ্ট্রকেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

উদাহরণ হিসেবে গাড়ি নির্মাণ শিল্পের কথা তুলে ধরেন মরিস। তিনি বলেন, গাড়ি শিল্পের বিস্তৃত সরবরাহ ব্যবস্থার অংশ এই তিন দেশ। শুল্ক আরোপসহ নানা বাণিজ্যিক বিধিনিষেধের মুখে এই ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এর ফলে গাড়ির বিশ্ববাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

মরিস বলেন, নতুন শুল্ক আরোপ পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে, যার ফলে ভোক্তাদের চাহিদা কমে যেতে পারে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগও কমতে থাকবে।

তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় এ ধরনের শুল্ক আরোপ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য বেশ ক্ষতিকর। এর ফলে বিশ্ব মন্দার মধ্যে পড়তে পারে।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি এরই মধ্যে এ দেশগুলোতে প্রভাব ফেলেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পেছনেও এর ভূমিকা রয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। অন্যদিকে চীনও নিজেদের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে অধিকাংশ পণ্য বাণিজ্য শুল্কের আওতায় এনেছিলেন। এবারও নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যা আগামী বছরগুলোতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। নতুন বছরের ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেছেন। তবে দেশের অর্থনীতি ‘ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়’ আছে বলে দাবি করেন তিনি।

চীনের কারখানাগুলোতে উৎপাদিত সস্তা দামের পণ্য রপ্তানির ওপর দেশটির অর্থনীতি নির্ভরশীল। শুল্ক আরোপের কারণে দাম বেড়ে গেলে এসব পণ্যের চাহিদা কমে যেতে পারে। ফলে নতুন সমস্যার মুখে পড়বে চীন। এমনিতেই দেশটি দুর্বল ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগে ঘাটতির মধ্যে আছে দেশটি।

বিশ্বব্যাংকের মতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চীনের প্রচেষ্টার ইতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। গত ডিসেম্বরের পূর্বাভাসে ২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ধরেছে বিশ্বব্যাংক। আগের পূর্বাভাসে ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা ছিল। তবে বেইজিং এখনো নতুন বছরের প্রবৃদ্ধির নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেনি। গত বছর নির্ধারিত ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের চেষ্টা করছে এখনো।

বিশ্বব্যাংকের চীনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারা ওয়ারউইক মনে করেন, আবাসন খাতের সংকট কাটিয়ে ওঠা, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং স্থানীয় সরকারের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন—এই তিনটি দিক দেশটির টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চীনে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মাইকেল হার্ট বলেন, অভ্যন্তরীণ এসব সমস্যার সমাধানের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টানতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে চীন।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং বাইডেন প্রশাসনের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে কিছু প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে চীন থেকে কারখানা অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করছে।

তবে মাইকেল হার্ট বলেন, কোম্পানিগুলো ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা হিসেবে এই উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে ৩০-৪০ বছর সময় নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছে চীন। আর কেউ এখনো বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি।

তবে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অন্যতম প্রধান অস্ত্রে পরিণত হয়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) শিল্প। গত বছর এক কোটিরও বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করেছে চীন। আর বাজারে এমন আধিপত্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চীনের ওপর কঠোর শুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে এর বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) অভিযোগ করেছে চীন। বেইজিংয়ের দাবি, এই শুল্ক আরোপ অন্যায্য।

চীনকে ছাড়িয়ে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঐতিহ্যগতভাবে ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি দুই দেশ জার্মানি ও ফ্রান্স। তবে, এই দুই দেশে গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে ইইউর সামগ্রিক অর্থনীতিতে। প্রবৃদ্ধির সামান্য উত্থান দেখা গেলেও ইউরোজোনের অর্থনীতি আগামী বছর গতি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ভোক্তাদের ব্যয় ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের এক জরিপে দেখা যায়, দেশটিতে কর ও মজুরি বাড়ার কারণে পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।

দীর্ঘদিন ধরে সুদের হার কমানোর চেষ্টা করে আসছে ইউরোজোন। কিন্তু এ প্রচেষ্টায় বড় বাধা মূল্যস্ফীতি, যা ৪ দশমিক ২ শতাংশে রয়েছে। এটিকে ২ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। মজুরি বৃদ্ধির চাপ বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতি বাগে আনা আরও কঠিন হচ্ছে।

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড গত মাসে বলেন, বাণিজ্যে বিধিনিষেধ এবং রক্ষণশীল নীতি প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক নয়। মূল্যস্ফীতিতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও স্বল্প মেয়াদে এটি যে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বাড়াবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি প্রায়ই একই রকম বলে মনে করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিয়োগ প্রতিষ্ঠান রানস্টাডের প্রধান নির্বাহী স্যান্ডার ভ্যানটি নুর্ডেন্ডে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মজুরি বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশের আশপাশেই থাকবে। পশ্চিম ইউরোপের কিছু দেশে এটি আরও বেশি।

তাঁর মতে, এর পেছনে দুটি কারণ আছে। একটি হলো দক্ষ কর্মীর ঘাটতি এবং অন্যটি হলো মূল্যস্ফীতি। কারণ, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কর্মীরাও বেশি বেতন দাবি করছে।

নুর্ডেন্ডে আরও বলেন, অনেক কোম্পানি বেতনের বাড়তি খরচ তাদের গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে, যা সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে।

রানস্টাডের প্রধান নির্বাহী মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে উদ্দীপনার অভাব বিশ্ব শ্রমবাজারে ধীর গতি নিয়ে আসছে। আর গতিশীল শ্রমবাজার তৈরির জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই মূল চাবিকাঠি।

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি যদি ভালো থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানের পরিধি বাড়তে থাকে। তারা কর্মী নিয়োগ বাড়িয়ে দেয়। মানুষ কাজের নতুন সুযোগ পেতে শুরু করে। তখন শ্রমবাজারও গতিশীল হয়ে ওঠে।’

২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়েই একগুচ্ছ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন তিনি। এর মধ্যে আছে—কর ছাঁটাই ও নিয়মনীতি শিথিলের পরিকল্পনা। আশা করা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।

জেপি মরগানের লুইস ওগানেস বলেন, ‘সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের একচেটিয়া স্বভাব বজায় থাকবে, আর এর জন্য মূল্য দিতে হবে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে।’

লুইসের আশা, এ বছর বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার কমতে পারে। তবে এর অনেকটাই নির্ভর করবে কী ধরনের নীতি প্রয়োগ করা হবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কী করে তা ওপর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুব কর্মসংস্থানে ১৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।

প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’

তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাড়ল মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।

এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

বিজ্ঞপ্তি
ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।

এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।

ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।

ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত