
মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্কের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির কৌতূহলোদ্দীপক বছর হতে যাচ্ছে ২০২৫ সাল। গত কয়েক বছরে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। এটা স্থিতিশীল হার হলেও আশাপ্রদ নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দিকে তাকালে বিষয়টি সহজে বোঝা যাবে। বড়দিনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে লাখো আমেরিকান ঋণগ্রহীতারা এক উপহার পেয়েছিল, তা ছিল টানা তৃতীয়বার সুদের হার কমানো। কিন্তু মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের এক কথার কারণে সেই উপহার তেমন কাজে দেয়নি। তখন শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে।
পাওয়েল সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন, সুদের হার আরও কমানোর যে আশা জেগেছে, তা ২০২৫ সালে সম্ভব না-ও হতে পারে। কারণ, মূল্যস্ফীতি ঠেকানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। তাই নতুন বছরে সুদের হার কমানোর বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। এই মন্তব্য দ্রুতই বাজারে হতাশা ছড়িয়ে দেয়।
এদিকে মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপেরও অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে উঠেছে। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোজোন এবং যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যথাক্রমে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, ২ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। তাদের সবারই লক্ষ্য মূল্যস্ফীতিকে ২ শতাংশে বেঁধে রাখা।
জেপি মরগান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের বিশ্ব অর্থনীতি গবেষণা শাখার প্রধান লুইস ওগানেস বলেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো অনিশ্চয়তা। এর কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজনীতি। বিশেষ করে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কী ঘটতে পারে, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই।
গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার দেশ চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
লুইস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক বেশি “একলা চলো” অবস্থান নিয়েছে। শিল্প খাত রক্ষায় অতিরিক্ত রক্ষণশীল হচ্ছে, শুল্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব নীতি স্বল্প মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর জন্য নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর হবে।’
নতুন শুল্ক আরোপ মেক্সিকো ও কানাডার জন্য ভয়াবহ পরিণতি আনতে পারে বলে মনে করছেন পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের মরিস অবস্টফেল্ড। তিনি আইএমএফের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এই শুল্ক আরোপের কারণে কেবল মেক্সিকো ও কানাডা নয়, যুক্তরাষ্ট্রকেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে গাড়ি নির্মাণ শিল্পের কথা তুলে ধরেন মরিস। তিনি বলেন, গাড়ি শিল্পের বিস্তৃত সরবরাহ ব্যবস্থার অংশ এই তিন দেশ। শুল্ক আরোপসহ নানা বাণিজ্যিক বিধিনিষেধের মুখে এই ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এর ফলে গাড়ির বিশ্ববাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
মরিস বলেন, নতুন শুল্ক আরোপ পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে, যার ফলে ভোক্তাদের চাহিদা কমে যেতে পারে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগও কমতে থাকবে।
তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় এ ধরনের শুল্ক আরোপ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য বেশ ক্ষতিকর। এর ফলে বিশ্ব মন্দার মধ্যে পড়তে পারে।
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি এরই মধ্যে এ দেশগুলোতে প্রভাব ফেলেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পেছনেও এর ভূমিকা রয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। অন্যদিকে চীনও নিজেদের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে অধিকাংশ পণ্য বাণিজ্য শুল্কের আওতায় এনেছিলেন। এবারও নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যা আগামী বছরগুলোতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। নতুন বছরের ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেছেন। তবে দেশের অর্থনীতি ‘ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়’ আছে বলে দাবি করেন তিনি।
চীনের কারখানাগুলোতে উৎপাদিত সস্তা দামের পণ্য রপ্তানির ওপর দেশটির অর্থনীতি নির্ভরশীল। শুল্ক আরোপের কারণে দাম বেড়ে গেলে এসব পণ্যের চাহিদা কমে যেতে পারে। ফলে নতুন সমস্যার মুখে পড়বে চীন। এমনিতেই দেশটি দুর্বল ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগে ঘাটতির মধ্যে আছে দেশটি।
বিশ্বব্যাংকের মতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চীনের প্রচেষ্টার ইতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। গত ডিসেম্বরের পূর্বাভাসে ২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ধরেছে বিশ্বব্যাংক। আগের পূর্বাভাসে ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা ছিল। তবে বেইজিং এখনো নতুন বছরের প্রবৃদ্ধির নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেনি। গত বছর নির্ধারিত ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের চেষ্টা করছে এখনো।
বিশ্বব্যাংকের চীনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারা ওয়ারউইক মনে করেন, আবাসন খাতের সংকট কাটিয়ে ওঠা, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং স্থানীয় সরকারের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন—এই তিনটি দিক দেশটির টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চীনে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মাইকেল হার্ট বলেন, অভ্যন্তরীণ এসব সমস্যার সমাধানের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টানতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং বাইডেন প্রশাসনের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে কিছু প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে চীন থেকে কারখানা অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করছে।
তবে মাইকেল হার্ট বলেন, কোম্পানিগুলো ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা হিসেবে এই উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে ৩০-৪০ বছর সময় নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছে চীন। আর কেউ এখনো বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি।
তবে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অন্যতম প্রধান অস্ত্রে পরিণত হয়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) শিল্প। গত বছর এক কোটিরও বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করেছে চীন। আর বাজারে এমন আধিপত্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চীনের ওপর কঠোর শুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে এর বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) অভিযোগ করেছে চীন। বেইজিংয়ের দাবি, এই শুল্ক আরোপ অন্যায্য।
চীনকে ছাড়িয়ে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঐতিহ্যগতভাবে ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি দুই দেশ জার্মানি ও ফ্রান্স। তবে, এই দুই দেশে গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে ইইউর সামগ্রিক অর্থনীতিতে। প্রবৃদ্ধির সামান্য উত্থান দেখা গেলেও ইউরোজোনের অর্থনীতি আগামী বছর গতি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ভোক্তাদের ব্যয় ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের এক জরিপে দেখা যায়, দেশটিতে কর ও মজুরি বাড়ার কারণে পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে সুদের হার কমানোর চেষ্টা করে আসছে ইউরোজোন। কিন্তু এ প্রচেষ্টায় বড় বাধা মূল্যস্ফীতি, যা ৪ দশমিক ২ শতাংশে রয়েছে। এটিকে ২ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। মজুরি বৃদ্ধির চাপ বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতি বাগে আনা আরও কঠিন হচ্ছে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড গত মাসে বলেন, বাণিজ্যে বিধিনিষেধ এবং রক্ষণশীল নীতি প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক নয়। মূল্যস্ফীতিতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও স্বল্প মেয়াদে এটি যে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বাড়াবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি প্রায়ই একই রকম বলে মনে করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিয়োগ প্রতিষ্ঠান রানস্টাডের প্রধান নির্বাহী স্যান্ডার ভ্যানটি নুর্ডেন্ডে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মজুরি বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশের আশপাশেই থাকবে। পশ্চিম ইউরোপের কিছু দেশে এটি আরও বেশি।
তাঁর মতে, এর পেছনে দুটি কারণ আছে। একটি হলো দক্ষ কর্মীর ঘাটতি এবং অন্যটি হলো মূল্যস্ফীতি। কারণ, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কর্মীরাও বেশি বেতন দাবি করছে।
নুর্ডেন্ডে আরও বলেন, অনেক কোম্পানি বেতনের বাড়তি খরচ তাদের গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে, যা সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে।
রানস্টাডের প্রধান নির্বাহী মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে উদ্দীপনার অভাব বিশ্ব শ্রমবাজারে ধীর গতি নিয়ে আসছে। আর গতিশীল শ্রমবাজার তৈরির জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই মূল চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি যদি ভালো থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানের পরিধি বাড়তে থাকে। তারা কর্মী নিয়োগ বাড়িয়ে দেয়। মানুষ কাজের নতুন সুযোগ পেতে শুরু করে। তখন শ্রমবাজারও গতিশীল হয়ে ওঠে।’
২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়েই একগুচ্ছ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন তিনি। এর মধ্যে আছে—কর ছাঁটাই ও নিয়মনীতি শিথিলের পরিকল্পনা। আশা করা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।
জেপি মরগানের লুইস ওগানেস বলেন, ‘সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের একচেটিয়া স্বভাব বজায় থাকবে, আর এর জন্য মূল্য দিতে হবে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে।’
লুইসের আশা, এ বছর বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার কমতে পারে। তবে এর অনেকটাই নির্ভর করবে কী ধরনের নীতি প্রয়োগ করা হবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কী করে তা ওপর।

মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্কের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির কৌতূহলোদ্দীপক বছর হতে যাচ্ছে ২০২৫ সাল। গত কয়েক বছরে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। এটা স্থিতিশীল হার হলেও আশাপ্রদ নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দিকে তাকালে বিষয়টি সহজে বোঝা যাবে। বড়দিনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে লাখো আমেরিকান ঋণগ্রহীতারা এক উপহার পেয়েছিল, তা ছিল টানা তৃতীয়বার সুদের হার কমানো। কিন্তু মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের এক কথার কারণে সেই উপহার তেমন কাজে দেয়নি। তখন শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে।
পাওয়েল সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন, সুদের হার আরও কমানোর যে আশা জেগেছে, তা ২০২৫ সালে সম্ভব না-ও হতে পারে। কারণ, মূল্যস্ফীতি ঠেকানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। তাই নতুন বছরে সুদের হার কমানোর বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। এই মন্তব্য দ্রুতই বাজারে হতাশা ছড়িয়ে দেয়।
এদিকে মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপেরও অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে উঠেছে। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোজোন এবং যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যথাক্রমে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, ২ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। তাদের সবারই লক্ষ্য মূল্যস্ফীতিকে ২ শতাংশে বেঁধে রাখা।
জেপি মরগান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের বিশ্ব অর্থনীতি গবেষণা শাখার প্রধান লুইস ওগানেস বলেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো অনিশ্চয়তা। এর কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজনীতি। বিশেষ করে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কী ঘটতে পারে, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই।
গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার দেশ চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
লুইস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক বেশি “একলা চলো” অবস্থান নিয়েছে। শিল্প খাত রক্ষায় অতিরিক্ত রক্ষণশীল হচ্ছে, শুল্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব নীতি স্বল্প মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর জন্য নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর হবে।’
নতুন শুল্ক আরোপ মেক্সিকো ও কানাডার জন্য ভয়াবহ পরিণতি আনতে পারে বলে মনে করছেন পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের মরিস অবস্টফেল্ড। তিনি আইএমএফের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এই শুল্ক আরোপের কারণে কেবল মেক্সিকো ও কানাডা নয়, যুক্তরাষ্ট্রকেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে গাড়ি নির্মাণ শিল্পের কথা তুলে ধরেন মরিস। তিনি বলেন, গাড়ি শিল্পের বিস্তৃত সরবরাহ ব্যবস্থার অংশ এই তিন দেশ। শুল্ক আরোপসহ নানা বাণিজ্যিক বিধিনিষেধের মুখে এই ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এর ফলে গাড়ির বিশ্ববাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
মরিস বলেন, নতুন শুল্ক আরোপ পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে, যার ফলে ভোক্তাদের চাহিদা কমে যেতে পারে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগও কমতে থাকবে।
তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় এ ধরনের শুল্ক আরোপ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য বেশ ক্ষতিকর। এর ফলে বিশ্ব মন্দার মধ্যে পড়তে পারে।
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি এরই মধ্যে এ দেশগুলোতে প্রভাব ফেলেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পেছনেও এর ভূমিকা রয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। অন্যদিকে চীনও নিজেদের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে অধিকাংশ পণ্য বাণিজ্য শুল্কের আওতায় এনেছিলেন। এবারও নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যা আগামী বছরগুলোতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। নতুন বছরের ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেছেন। তবে দেশের অর্থনীতি ‘ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়’ আছে বলে দাবি করেন তিনি।
চীনের কারখানাগুলোতে উৎপাদিত সস্তা দামের পণ্য রপ্তানির ওপর দেশটির অর্থনীতি নির্ভরশীল। শুল্ক আরোপের কারণে দাম বেড়ে গেলে এসব পণ্যের চাহিদা কমে যেতে পারে। ফলে নতুন সমস্যার মুখে পড়বে চীন। এমনিতেই দেশটি দুর্বল ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগে ঘাটতির মধ্যে আছে দেশটি।
বিশ্বব্যাংকের মতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চীনের প্রচেষ্টার ইতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। গত ডিসেম্বরের পূর্বাভাসে ২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ধরেছে বিশ্বব্যাংক। আগের পূর্বাভাসে ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা ছিল। তবে বেইজিং এখনো নতুন বছরের প্রবৃদ্ধির নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেনি। গত বছর নির্ধারিত ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের চেষ্টা করছে এখনো।
বিশ্বব্যাংকের চীনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারা ওয়ারউইক মনে করেন, আবাসন খাতের সংকট কাটিয়ে ওঠা, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং স্থানীয় সরকারের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন—এই তিনটি দিক দেশটির টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চীনে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মাইকেল হার্ট বলেন, অভ্যন্তরীণ এসব সমস্যার সমাধানের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টানতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং বাইডেন প্রশাসনের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে কিছু প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে চীন থেকে কারখানা অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করছে।
তবে মাইকেল হার্ট বলেন, কোম্পানিগুলো ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা হিসেবে এই উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে ৩০-৪০ বছর সময় নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছে চীন। আর কেউ এখনো বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি।
তবে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অন্যতম প্রধান অস্ত্রে পরিণত হয়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) শিল্প। গত বছর এক কোটিরও বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করেছে চীন। আর বাজারে এমন আধিপত্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চীনের ওপর কঠোর শুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে এর বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) অভিযোগ করেছে চীন। বেইজিংয়ের দাবি, এই শুল্ক আরোপ অন্যায্য।
চীনকে ছাড়িয়ে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঐতিহ্যগতভাবে ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি দুই দেশ জার্মানি ও ফ্রান্স। তবে, এই দুই দেশে গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে ইইউর সামগ্রিক অর্থনীতিতে। প্রবৃদ্ধির সামান্য উত্থান দেখা গেলেও ইউরোজোনের অর্থনীতি আগামী বছর গতি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ভোক্তাদের ব্যয় ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের এক জরিপে দেখা যায়, দেশটিতে কর ও মজুরি বাড়ার কারণে পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে সুদের হার কমানোর চেষ্টা করে আসছে ইউরোজোন। কিন্তু এ প্রচেষ্টায় বড় বাধা মূল্যস্ফীতি, যা ৪ দশমিক ২ শতাংশে রয়েছে। এটিকে ২ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। মজুরি বৃদ্ধির চাপ বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতি বাগে আনা আরও কঠিন হচ্ছে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড গত মাসে বলেন, বাণিজ্যে বিধিনিষেধ এবং রক্ষণশীল নীতি প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক নয়। মূল্যস্ফীতিতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও স্বল্প মেয়াদে এটি যে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বাড়াবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি প্রায়ই একই রকম বলে মনে করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিয়োগ প্রতিষ্ঠান রানস্টাডের প্রধান নির্বাহী স্যান্ডার ভ্যানটি নুর্ডেন্ডে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মজুরি বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশের আশপাশেই থাকবে। পশ্চিম ইউরোপের কিছু দেশে এটি আরও বেশি।
তাঁর মতে, এর পেছনে দুটি কারণ আছে। একটি হলো দক্ষ কর্মীর ঘাটতি এবং অন্যটি হলো মূল্যস্ফীতি। কারণ, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কর্মীরাও বেশি বেতন দাবি করছে।
নুর্ডেন্ডে আরও বলেন, অনেক কোম্পানি বেতনের বাড়তি খরচ তাদের গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে, যা সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে।
রানস্টাডের প্রধান নির্বাহী মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে উদ্দীপনার অভাব বিশ্ব শ্রমবাজারে ধীর গতি নিয়ে আসছে। আর গতিশীল শ্রমবাজার তৈরির জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই মূল চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি যদি ভালো থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানের পরিধি বাড়তে থাকে। তারা কর্মী নিয়োগ বাড়িয়ে দেয়। মানুষ কাজের নতুন সুযোগ পেতে শুরু করে। তখন শ্রমবাজারও গতিশীল হয়ে ওঠে।’
২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়েই একগুচ্ছ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন তিনি। এর মধ্যে আছে—কর ছাঁটাই ও নিয়মনীতি শিথিলের পরিকল্পনা। আশা করা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।
জেপি মরগানের লুইস ওগানেস বলেন, ‘সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের একচেটিয়া স্বভাব বজায় থাকবে, আর এর জন্য মূল্য দিতে হবে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে।’
লুইসের আশা, এ বছর বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার কমতে পারে। তবে এর অনেকটাই নির্ভর করবে কী ধরনের নীতি প্রয়োগ করা হবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কী করে তা ওপর।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বাজেট ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
১৩ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিএসের কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিবেদনটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শীতকালীন ভুট্টার আবাদ ও ফলন উভয়ই বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ভুট্টার উৎপাদন ছিল প্রায় ৪২ লাখ ৪৬ হাজার টন, সেখানে গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টনে।
কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভুট্টা ও সবজিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে ডাল ও কিছু তেলবীজে উৎপাদন কমার পেছনে আবহাওয়া, জমির ব্যবহার পরিবর্তন এবং কৃষকের আগ্রহ কমে যাওয়ার বিষয়গুলো ভূমিকা রেখেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদন বাড়াতে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
সরিষা-সয়াবিনে অগ্রগতি, ডালে উদ্বেগ
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, তেলবীজের মধ্যে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন ছিল প্রায় ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টন, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৬৪ লাখ ৪ হাজার টনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে একরপ্রতি ফলনও বেড়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী চাষেও উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সময়ে বিগত অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩২ লাখ ২১ হাজার ৪৩১ টন, যা আগের বছর উৎপাদিত হয় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ টন।
ডালজাতীয় ফসলে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ছোলা, মসুর ও মটরশুঁটির আবাদি জমি ও মোট উৎপাদন কমেছে; বিশেষ করে মসুর ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মসুর ডালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টন, যা পরের অর্থবছরে কমে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টনে এসেছে।
মসুর ডাল কমলেও মুগ ডালের আবাদ ও উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক বছরে মুগ ডালের আবাদ বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ এবং উৎপাদন বেড়েছে ২০৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ডালজাতীয় শস্যের আবাদ হয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ একর জমিতে, যেখানে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৯ টনে।
সবজিতে উল্লম্ফন
সবজি উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উভয় মৌসুমে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম ও শাকজাতীয় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যমতে, শুধু টমেটোর উৎপাদনই ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার টনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগের বছর ছিল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৭ টন।
ফল, আখ ও তালজাতীয় ফসল
বিগত অর্থবছরে ফলের কলা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা ও তরমুজের উৎপাদন বেড়েছে। চিনিজাতীয় ফসলের মধ্যে আখের উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে খেজুর ও তালের রস এবং ফলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। এসব ফসলের ক্ষেত্রে ফলধারী গাছপ্রতি ফলন ধরে উৎপাদন হিসাব করা হয়েছে।
তুলা চাষ
চাহিদা বাড়লেও দেশে তুলা চাষের জমি উল্টো কমছে। এক বছরের ব্যবধানে তুলা আবাদি জমি কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তুলা ও তুলাজাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ৩৮৪ একর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৩ একরে। অর্থাৎ এক বছরে তুলা চাষের জমি কমেছে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০ একর।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো জরুরি। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা জোরদার করলে কৃষকেরা এসব ফসল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিএসের কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিবেদনটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শীতকালীন ভুট্টার আবাদ ও ফলন উভয়ই বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ভুট্টার উৎপাদন ছিল প্রায় ৪২ লাখ ৪৬ হাজার টন, সেখানে গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টনে।
কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভুট্টা ও সবজিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে ডাল ও কিছু তেলবীজে উৎপাদন কমার পেছনে আবহাওয়া, জমির ব্যবহার পরিবর্তন এবং কৃষকের আগ্রহ কমে যাওয়ার বিষয়গুলো ভূমিকা রেখেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদন বাড়াতে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
সরিষা-সয়াবিনে অগ্রগতি, ডালে উদ্বেগ
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, তেলবীজের মধ্যে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন ছিল প্রায় ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টন, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৬৪ লাখ ৪ হাজার টনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে একরপ্রতি ফলনও বেড়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী চাষেও উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সময়ে বিগত অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩২ লাখ ২১ হাজার ৪৩১ টন, যা আগের বছর উৎপাদিত হয় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ টন।
ডালজাতীয় ফসলে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ছোলা, মসুর ও মটরশুঁটির আবাদি জমি ও মোট উৎপাদন কমেছে; বিশেষ করে মসুর ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মসুর ডালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টন, যা পরের অর্থবছরে কমে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টনে এসেছে।
মসুর ডাল কমলেও মুগ ডালের আবাদ ও উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক বছরে মুগ ডালের আবাদ বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ এবং উৎপাদন বেড়েছে ২০৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ডালজাতীয় শস্যের আবাদ হয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ একর জমিতে, যেখানে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৯ টনে।
সবজিতে উল্লম্ফন
সবজি উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উভয় মৌসুমে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম ও শাকজাতীয় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যমতে, শুধু টমেটোর উৎপাদনই ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার টনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগের বছর ছিল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৭ টন।
ফল, আখ ও তালজাতীয় ফসল
বিগত অর্থবছরে ফলের কলা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা ও তরমুজের উৎপাদন বেড়েছে। চিনিজাতীয় ফসলের মধ্যে আখের উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে খেজুর ও তালের রস এবং ফলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। এসব ফসলের ক্ষেত্রে ফলধারী গাছপ্রতি ফলন ধরে উৎপাদন হিসাব করা হয়েছে।
তুলা চাষ
চাহিদা বাড়লেও দেশে তুলা চাষের জমি উল্টো কমছে। এক বছরের ব্যবধানে তুলা আবাদি জমি কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তুলা ও তুলাজাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ৩৮৪ একর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৩ একরে। অর্থাৎ এক বছরে তুলা চাষের জমি কমেছে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০ একর।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো জরুরি। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা জোরদার করলে কৃষকেরা এসব ফসল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্কের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির কৌতূহলোদ্দীপক বছর হতে যাচ্ছে ২০২৫ সাল। গত কয়েক বছরে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল...
১০ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বাজেট ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
১৩ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বাজেট ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে মূল্যস্ফীতি, মজুরি প্রবৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদন, আর্থিক ও বৈদেশিক খাত, চলতি হিসাব, প্রবাসী আয়, আমদানি ও ঋণপত্র নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে আশা প্রকাশ করা হয়, সরকারের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও কৃচ্ছ্রসাধনের ফলে ২০২৬ সালের জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।
এতে আরও বলা হয়, ১২ মাসের গড় হিসাবে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বিগত জুন ২০২৩-এর পর প্রথম চলতি বছরের নভেম্বরে ৯ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মার্চ ২০২৩-এ মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ পেরিয়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়। তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) ইতিমধ্যে চলতি বছরের জুন মাসে ৯ শতাংশের নিচে চলে আসে এবং নভেম্বরে এটি আরও কমে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ হয়। আশা করা যায়, সরকারের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও কৃচ্ছ্রসাধনের ফলে আগামী জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।
মজুরি প্রবৃদ্ধির বিষয়ে বলা হয়, বিগত কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতি ও মজুরি প্রবৃদ্ধির হারের মধ্যে পার্থক্য ছিল অনেক বেশি, যার ফলে দেশের মানুষের প্রকৃত আয় কমে আসছিল। তবে চলতি অর্থবছরের সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও মজুরি প্রবৃদ্ধির হারের মধ্যে পার্থক্য অনেকটাই কমে এসেছে। সর্বশেষ গত নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি ও মজুরি প্রবৃদ্ধি (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) যথাক্রমে ৮ দশমিক ২৯ ও ৮ দশমিক ০৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে গড়েছিল ৯ দশমিক ০২ ও ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। ফলে বিগত বছরগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে প্রকৃত আয়ের পরিমাণ অনেক কমলেও বর্তমান অর্থবছরে এই অবস্থা থেকে ক্রমান্বয়ে উত্তরণ সাধিত হবে।
কৃষি উৎপাদনের বিষয়ে বলা হয়, কৃষি খাতে যথাযথ প্রণোদনা ও ব্যবস্থাপনার ফলে বিগত অর্থবছরে বোরো মৌসুমে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটায় আমন ধানেরও ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে চলতি অর্থবছরে সরকারের খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে মর্মে আশা করা যায়। উল্লেখ্য, চলতি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমন ধানের উৎপাদন ১৬০ দশমিক ৯৫ লক্ষ টনে পৌঁছেছে। অবশিষ্ট ফসল কাটা হলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশা করা যায়। পাশাপাশি, আউশ ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কিছুটা কম হলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় মোট উৎপাদন ৭ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন চলকের ভারসাম্যহীনতা ইতিমধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে চলে এসেছে।
চলতি ১৮ ডিসেম্বর গ্রোস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগস্ট ২০২৪ মাসে ছিল মাত্র ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল হয়ে আসা, প্রবাসী আয়ের গতি বৃদ্ধি এবং দেশের আর্থিক খাতে সম্প্রতি সুদের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভবিষ্যতে ক্রমান্বয়ে আরও বাড়বে।
বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলতি হিসাব ঋণাত্মক ছিল এবং ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে -১৮ দশমিক ৭, -১১ দশমিক ৬, ও -৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে আর্থিক খাতে সুব্যবস্থাপনা ও অর্থ পাচার রোধের ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে এটি হয়েছে মাত্র ১৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে এটি হয়েছে ৭৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে পাঁচ লাখ কর্মীর বৈদেশিক নিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার এবং একই সময়ে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও উৎপাদনশীল করতে আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত বিধিনিষেধ অপসারণ করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে আমদানি প্রবৃদ্ধির হার ছিল -১ দশমিক ২ শতাংশ (ঋণাত্মক), যা বর্তমান অর্থবছরের (২০২৫-২৬) একই সময়ে বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
মূলধনি যন্ত্রপাতির ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে প্রবৃদ্ধি ছিল -৩২ দশমিক ৮ শতাংশ (ঋণাত্মক), যা বর্তমান অর্থবছরের একই সময়ে বেড়ে হয়েছে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া শিল্পজাত কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ১ শতাংশ, যা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশে। আর্থিক অব্যবস্থাপনার ফলে দেশের ইমেজের নিম্নগতি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে, যার উদাহরণ ঋণপত্র খোলার হার ও ট্রেড ফাইন্যান্সিং সহজতর হওয়া।
এই বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর উপস্থিত ছিলেন।

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বাজেট ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে মূল্যস্ফীতি, মজুরি প্রবৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদন, আর্থিক ও বৈদেশিক খাত, চলতি হিসাব, প্রবাসী আয়, আমদানি ও ঋণপত্র নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে আশা প্রকাশ করা হয়, সরকারের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও কৃচ্ছ্রসাধনের ফলে ২০২৬ সালের জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।
এতে আরও বলা হয়, ১২ মাসের গড় হিসাবে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বিগত জুন ২০২৩-এর পর প্রথম চলতি বছরের নভেম্বরে ৯ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মার্চ ২০২৩-এ মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ পেরিয়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়। তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) ইতিমধ্যে চলতি বছরের জুন মাসে ৯ শতাংশের নিচে চলে আসে এবং নভেম্বরে এটি আরও কমে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ হয়। আশা করা যায়, সরকারের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও কৃচ্ছ্রসাধনের ফলে আগামী জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।
মজুরি প্রবৃদ্ধির বিষয়ে বলা হয়, বিগত কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতি ও মজুরি প্রবৃদ্ধির হারের মধ্যে পার্থক্য ছিল অনেক বেশি, যার ফলে দেশের মানুষের প্রকৃত আয় কমে আসছিল। তবে চলতি অর্থবছরের সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও মজুরি প্রবৃদ্ধির হারের মধ্যে পার্থক্য অনেকটাই কমে এসেছে। সর্বশেষ গত নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি ও মজুরি প্রবৃদ্ধি (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) যথাক্রমে ৮ দশমিক ২৯ ও ৮ দশমিক ০৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে গড়েছিল ৯ দশমিক ০২ ও ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। ফলে বিগত বছরগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে প্রকৃত আয়ের পরিমাণ অনেক কমলেও বর্তমান অর্থবছরে এই অবস্থা থেকে ক্রমান্বয়ে উত্তরণ সাধিত হবে।
কৃষি উৎপাদনের বিষয়ে বলা হয়, কৃষি খাতে যথাযথ প্রণোদনা ও ব্যবস্থাপনার ফলে বিগত অর্থবছরে বোরো মৌসুমে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটায় আমন ধানেরও ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে চলতি অর্থবছরে সরকারের খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে মর্মে আশা করা যায়। উল্লেখ্য, চলতি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমন ধানের উৎপাদন ১৬০ দশমিক ৯৫ লক্ষ টনে পৌঁছেছে। অবশিষ্ট ফসল কাটা হলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশা করা যায়। পাশাপাশি, আউশ ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কিছুটা কম হলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় মোট উৎপাদন ৭ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন চলকের ভারসাম্যহীনতা ইতিমধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে চলে এসেছে।
চলতি ১৮ ডিসেম্বর গ্রোস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগস্ট ২০২৪ মাসে ছিল মাত্র ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল হয়ে আসা, প্রবাসী আয়ের গতি বৃদ্ধি এবং দেশের আর্থিক খাতে সম্প্রতি সুদের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভবিষ্যতে ক্রমান্বয়ে আরও বাড়বে।
বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলতি হিসাব ঋণাত্মক ছিল এবং ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে -১৮ দশমিক ৭, -১১ দশমিক ৬, ও -৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে আর্থিক খাতে সুব্যবস্থাপনা ও অর্থ পাচার রোধের ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে এটি হয়েছে মাত্র ১৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে এটি হয়েছে ৭৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে পাঁচ লাখ কর্মীর বৈদেশিক নিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার এবং একই সময়ে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও উৎপাদনশীল করতে আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত বিধিনিষেধ অপসারণ করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে আমদানি প্রবৃদ্ধির হার ছিল -১ দশমিক ২ শতাংশ (ঋণাত্মক), যা বর্তমান অর্থবছরের (২০২৫-২৬) একই সময়ে বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
মূলধনি যন্ত্রপাতির ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে প্রবৃদ্ধি ছিল -৩২ দশমিক ৮ শতাংশ (ঋণাত্মক), যা বর্তমান অর্থবছরের একই সময়ে বেড়ে হয়েছে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া শিল্পজাত কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ১ শতাংশ, যা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশে। আর্থিক অব্যবস্থাপনার ফলে দেশের ইমেজের নিম্নগতি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে, যার উদাহরণ ঋণপত্র খোলার হার ও ট্রেড ফাইন্যান্সিং সহজতর হওয়া।
এই বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর উপস্থিত ছিলেন।

মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্কের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির কৌতূহলোদ্দীপক বছর হতে যাচ্ছে ২০২৫ সাল। গত কয়েক বছরে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল...
১০ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
১৩ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি ব্রিডার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. সাফির রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম-কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। মোট ৫৭৪ জন ভোট দেন।
সহসভাপতি হিসেবে ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের সিইও মো. আসাদুজ্জামান ও খান অ্যাগ্রো ফিড প্রোডাক্টের প্রোপ্রাইটর মো. সৈয়দুল হক খান নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এনার্জি টেকনোলজির প্রোপ্রাইটর মোস্তফা জাহান, যুগ্ম মহাসচিব পদে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও অঞ্জন মজুমদার, প্রচার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে গাজী নূর আহাম্মাদ নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন শাহ ফাহাদ হাবিব, মিজানুর রহমান মিন্টু, রাশিদ আহামাদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, খায়রুল বাসার সাগর, ফয়েজ রাজা চৌধুরী, মো. সালাউদ্দিন মুন্সী, মো. সোলেমান কবীর, মো, ইমরান হোসাইন ও নাবিল আহামেদ।
নবনির্বাচিত সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘খামারিদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করে যেতে চাই। পোলট্রি খাতকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করতে পারি, সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাব। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে পোলট্রি শিল্পকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটিও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন দেশের পোলট্রি খাতের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও টেকসই বিকাশে নিবেদিত একটি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন। যেখানে খামারি, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আধুনিক প্রযুক্তি, সুষ্ঠু নীতিমালা ও মানসম্মত উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পের অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে, যা আগামী দুই বছর পোলট্রি খাতের দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি ব্রিডার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. সাফির রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম-কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। মোট ৫৭৪ জন ভোট দেন।
সহসভাপতি হিসেবে ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের সিইও মো. আসাদুজ্জামান ও খান অ্যাগ্রো ফিড প্রোডাক্টের প্রোপ্রাইটর মো. সৈয়দুল হক খান নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এনার্জি টেকনোলজির প্রোপ্রাইটর মোস্তফা জাহান, যুগ্ম মহাসচিব পদে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও অঞ্জন মজুমদার, প্রচার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে গাজী নূর আহাম্মাদ নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন শাহ ফাহাদ হাবিব, মিজানুর রহমান মিন্টু, রাশিদ আহামাদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, খায়রুল বাসার সাগর, ফয়েজ রাজা চৌধুরী, মো. সালাউদ্দিন মুন্সী, মো. সোলেমান কবীর, মো, ইমরান হোসাইন ও নাবিল আহামেদ।
নবনির্বাচিত সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘খামারিদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করে যেতে চাই। পোলট্রি খাতকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করতে পারি, সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাব। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে পোলট্রি শিল্পকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটিও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন দেশের পোলট্রি খাতের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও টেকসই বিকাশে নিবেদিত একটি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন। যেখানে খামারি, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আধুনিক প্রযুক্তি, সুষ্ঠু নীতিমালা ও মানসম্মত উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পের অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে, যা আগামী দুই বছর পোলট্রি খাতের দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্কের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির কৌতূহলোদ্দীপক বছর হতে যাচ্ছে ২০২৫ সাল। গত কয়েক বছরে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল...
১০ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বাজেট ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।
ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্কের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির কৌতূহলোদ্দীপক বছর হতে যাচ্ছে ২০২৫ সাল। গত কয়েক বছরে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল...
১০ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বাজেট ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি
১৩ ঘণ্টা আগে