সাকিফ শামীম

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ প্রকল্পকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা ও অর্থায়ন প্রকল্প চালু করেছে। তবে, নীতিগত অসামঞ্জস্যতা, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল অবকাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়হীনতা এই বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিশেষ করে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বর্তমান পরিবেশ যথেষ্ট সহায়ক নয়। এই সমস্যা সমাধানে নীতিগত সংহতি ও স্থিতিশীলতা আনা প্রয়োজন।
সবুজ অর্থায়ন বলতে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে এমন ঋণ বা বিনিয়োগকে বোঝায়, যার মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং সবুজ অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। এটি কেবল পরিবেশ সুরক্ষায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উভয় ক্ষেত্রেই সুবিধা প্রদান করে। বৈশ্বিক সবুজ অর্থায়ন বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবুজ প্রকল্পের উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে সবুজ বন্ড, সবুজ ঋণ, সবুজ বন্ধকি, সবুজ ক্রেডিট কার্ড এবং টেকসই বিনিয়োগ তহবিল।
২০০৯ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০২০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ১০% নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা পূরণ হয়নি। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০% এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে, যা ২০৩১-৪০ সময়কালে বার্ষিক ১.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। এই বিপুল তহবিলের জন্য বৃহৎ আকারের বেসরকারি বিনিয়োগ অপরিহার্য। ভিয়েতনাম, চীন, ভারত এবং মরক্কোর মতো অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সফল মডেলগুলো সুসংগত নীতিগত প্রণোদনা, ঝুঁকি লাঘব এবং শক্তিশালী পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্ব তুলে ধরে। এসব দেশের মডেলসমূহ থেকে ধারণা নিয়ে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে নিজস্ব স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ অর্থায়নকে উৎসাহিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে, যেখানে ২০১৬ সাল থেকে ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট ঋণের ন্যূনতম ৫% সবুজ অর্থায়নে বরাদ্দ করতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া জিটিএফ (Green Transformation Fund) এর মতো পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কম খরচে তহবিল সরবরাহ করা হয়। আইইইএফএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই তহবিল ব্যবহারের হার কমই রয়ে গেছে (যেমন, জিটিএফ-এর জন্য ১৯.০৫ %)। এই প্রকল্পগুলোর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত নীতিগত অসংগতি এবং নিয়ন্ত্রক অনিশ্চয়তার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কুইক এনহ্যান্সমেন্ট অফ ইলেকট্রিসিটি অ্যান্ড এনার্জি সাপ্লাই অ্যাক্ট (QEEESA) ২০১০ বাতিল এবং ৩০ টিরও বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প স্থগিত করা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে। মাতারবাড়িতে নতুন কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরুজ্জীবিত করার বিবেচনা জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য প্রণোদনার অভাবও একটি বড় সমস্যা। নীতিগত সংহতি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সৌরশক্তির সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ব্যবহার। বছরে ৩০০ দিনের বেশি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন থাকায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ একটি আদর্শ স্থান। সবুজ অর্থায়নের আওতায় সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সোলার হোম সিস্টেম ও কৃষি সেচ ব্যবস্থায় সৌর পাম্প ব্যবহারের মতো সবুজ প্রকল্প (green project) গুলোয় বিনিয়োগে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।
সবুজ ভবনের (green building) ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল অর্জন হলো ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের লিড গোল্ড সার্টিফিকেট অর্জন—যা আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য, শক্তি দক্ষতা এবং জল ব্যবস্থাপনার মানদণ্ডে একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি।
হাসপাতালটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে এটি আমার জন্য এক বিশেষ অর্জন। এই হাসপাতালটি শুধু চিকিৎসা সেবাতেই নয়, পরিবেশ সংরক্ষণেও অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। হাসপাতাল চত্বরজুড়ে ছায়াঘেরা সবুজ গাছপালা, উদ্ভিদ-বেষ্টিত গার্ডেন এবং আলো-বাতাস প্রবাহের স্বাভাবিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ বৈশ্বিক কার্বন বাজার থেকে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করার সম্ভাবনা রাখে, কিন্তু একটি স্পষ্ট জাতীয় নীতির অভাবে এই খাতের বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০০৬ সাল থেকে উন্নত রান্নার চুলা এবং সৌর হোম সিস্টেমের মতো কার্বন-হ্রাসকারী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তবে, দুর্বল নীতি কাঠামো এবং বেসরকারি খাতের সীমিত অংশগ্রহণের কারণে দেশটি তার সম্ভাবনার খুব সামান্যই কাজে লাগাতে পারছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫-এ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সার্টিফিকেট (REC) প্রবর্তনের কথা বলা হয়েছে, যা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত প্রতি মেগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুতের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যকে প্রতিনিধিত্ব করবে। তবে, বর্তমানে কার্বন ট্রেডিং থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ ভারতীয় পরামর্শকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা দেশীয় নিয়ন্ত্রণে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশমালাগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও দীর্ঘমেয়াদে নিশ্চিত করবে।
লেখক: ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড গ্রুপ

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ প্রকল্পকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা ও অর্থায়ন প্রকল্প চালু করেছে। তবে, নীতিগত অসামঞ্জস্যতা, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল অবকাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়হীনতা এই বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিশেষ করে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বর্তমান পরিবেশ যথেষ্ট সহায়ক নয়। এই সমস্যা সমাধানে নীতিগত সংহতি ও স্থিতিশীলতা আনা প্রয়োজন।
সবুজ অর্থায়ন বলতে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে এমন ঋণ বা বিনিয়োগকে বোঝায়, যার মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং সবুজ অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। এটি কেবল পরিবেশ সুরক্ষায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উভয় ক্ষেত্রেই সুবিধা প্রদান করে। বৈশ্বিক সবুজ অর্থায়ন বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবুজ প্রকল্পের উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে সবুজ বন্ড, সবুজ ঋণ, সবুজ বন্ধকি, সবুজ ক্রেডিট কার্ড এবং টেকসই বিনিয়োগ তহবিল।
২০০৯ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০২০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ১০% নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা পূরণ হয়নি। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০% এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে, যা ২০৩১-৪০ সময়কালে বার্ষিক ১.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। এই বিপুল তহবিলের জন্য বৃহৎ আকারের বেসরকারি বিনিয়োগ অপরিহার্য। ভিয়েতনাম, চীন, ভারত এবং মরক্কোর মতো অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সফল মডেলগুলো সুসংগত নীতিগত প্রণোদনা, ঝুঁকি লাঘব এবং শক্তিশালী পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্ব তুলে ধরে। এসব দেশের মডেলসমূহ থেকে ধারণা নিয়ে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে নিজস্ব স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ অর্থায়নকে উৎসাহিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে, যেখানে ২০১৬ সাল থেকে ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট ঋণের ন্যূনতম ৫% সবুজ অর্থায়নে বরাদ্দ করতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া জিটিএফ (Green Transformation Fund) এর মতো পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কম খরচে তহবিল সরবরাহ করা হয়। আইইইএফএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই তহবিল ব্যবহারের হার কমই রয়ে গেছে (যেমন, জিটিএফ-এর জন্য ১৯.০৫ %)। এই প্রকল্পগুলোর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত নীতিগত অসংগতি এবং নিয়ন্ত্রক অনিশ্চয়তার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কুইক এনহ্যান্সমেন্ট অফ ইলেকট্রিসিটি অ্যান্ড এনার্জি সাপ্লাই অ্যাক্ট (QEEESA) ২০১০ বাতিল এবং ৩০ টিরও বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প স্থগিত করা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে। মাতারবাড়িতে নতুন কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরুজ্জীবিত করার বিবেচনা জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য প্রণোদনার অভাবও একটি বড় সমস্যা। নীতিগত সংহতি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সৌরশক্তির সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ব্যবহার। বছরে ৩০০ দিনের বেশি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন থাকায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ একটি আদর্শ স্থান। সবুজ অর্থায়নের আওতায় সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সোলার হোম সিস্টেম ও কৃষি সেচ ব্যবস্থায় সৌর পাম্প ব্যবহারের মতো সবুজ প্রকল্প (green project) গুলোয় বিনিয়োগে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।
সবুজ ভবনের (green building) ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল অর্জন হলো ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের লিড গোল্ড সার্টিফিকেট অর্জন—যা আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য, শক্তি দক্ষতা এবং জল ব্যবস্থাপনার মানদণ্ডে একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি।
হাসপাতালটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে এটি আমার জন্য এক বিশেষ অর্জন। এই হাসপাতালটি শুধু চিকিৎসা সেবাতেই নয়, পরিবেশ সংরক্ষণেও অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। হাসপাতাল চত্বরজুড়ে ছায়াঘেরা সবুজ গাছপালা, উদ্ভিদ-বেষ্টিত গার্ডেন এবং আলো-বাতাস প্রবাহের স্বাভাবিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ বৈশ্বিক কার্বন বাজার থেকে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করার সম্ভাবনা রাখে, কিন্তু একটি স্পষ্ট জাতীয় নীতির অভাবে এই খাতের বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০০৬ সাল থেকে উন্নত রান্নার চুলা এবং সৌর হোম সিস্টেমের মতো কার্বন-হ্রাসকারী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তবে, দুর্বল নীতি কাঠামো এবং বেসরকারি খাতের সীমিত অংশগ্রহণের কারণে দেশটি তার সম্ভাবনার খুব সামান্যই কাজে লাগাতে পারছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫-এ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সার্টিফিকেট (REC) প্রবর্তনের কথা বলা হয়েছে, যা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত প্রতি মেগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুতের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যকে প্রতিনিধিত্ব করবে। তবে, বর্তমানে কার্বন ট্রেডিং থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ ভারতীয় পরামর্শকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা দেশীয় নিয়ন্ত্রণে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশমালাগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও দীর্ঘমেয়াদে নিশ্চিত করবে।
লেখক: ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড গ্রুপ
সাকিফ শামীম

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ প্রকল্পকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা ও অর্থায়ন প্রকল্প চালু করেছে। তবে, নীতিগত অসামঞ্জস্যতা, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল অবকাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়হীনতা এই বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিশেষ করে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বর্তমান পরিবেশ যথেষ্ট সহায়ক নয়। এই সমস্যা সমাধানে নীতিগত সংহতি ও স্থিতিশীলতা আনা প্রয়োজন।
সবুজ অর্থায়ন বলতে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে এমন ঋণ বা বিনিয়োগকে বোঝায়, যার মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং সবুজ অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। এটি কেবল পরিবেশ সুরক্ষায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উভয় ক্ষেত্রেই সুবিধা প্রদান করে। বৈশ্বিক সবুজ অর্থায়ন বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবুজ প্রকল্পের উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে সবুজ বন্ড, সবুজ ঋণ, সবুজ বন্ধকি, সবুজ ক্রেডিট কার্ড এবং টেকসই বিনিয়োগ তহবিল।
২০০৯ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০২০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ১০% নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা পূরণ হয়নি। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০% এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে, যা ২০৩১-৪০ সময়কালে বার্ষিক ১.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। এই বিপুল তহবিলের জন্য বৃহৎ আকারের বেসরকারি বিনিয়োগ অপরিহার্য। ভিয়েতনাম, চীন, ভারত এবং মরক্কোর মতো অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সফল মডেলগুলো সুসংগত নীতিগত প্রণোদনা, ঝুঁকি লাঘব এবং শক্তিশালী পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্ব তুলে ধরে। এসব দেশের মডেলসমূহ থেকে ধারণা নিয়ে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে নিজস্ব স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ অর্থায়নকে উৎসাহিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে, যেখানে ২০১৬ সাল থেকে ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট ঋণের ন্যূনতম ৫% সবুজ অর্থায়নে বরাদ্দ করতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া জিটিএফ (Green Transformation Fund) এর মতো পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কম খরচে তহবিল সরবরাহ করা হয়। আইইইএফএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই তহবিল ব্যবহারের হার কমই রয়ে গেছে (যেমন, জিটিএফ-এর জন্য ১৯.০৫ %)। এই প্রকল্পগুলোর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত নীতিগত অসংগতি এবং নিয়ন্ত্রক অনিশ্চয়তার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কুইক এনহ্যান্সমেন্ট অফ ইলেকট্রিসিটি অ্যান্ড এনার্জি সাপ্লাই অ্যাক্ট (QEEESA) ২০১০ বাতিল এবং ৩০ টিরও বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প স্থগিত করা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে। মাতারবাড়িতে নতুন কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরুজ্জীবিত করার বিবেচনা জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য প্রণোদনার অভাবও একটি বড় সমস্যা। নীতিগত সংহতি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সৌরশক্তির সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ব্যবহার। বছরে ৩০০ দিনের বেশি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন থাকায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ একটি আদর্শ স্থান। সবুজ অর্থায়নের আওতায় সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সোলার হোম সিস্টেম ও কৃষি সেচ ব্যবস্থায় সৌর পাম্প ব্যবহারের মতো সবুজ প্রকল্প (green project) গুলোয় বিনিয়োগে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।
সবুজ ভবনের (green building) ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল অর্জন হলো ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের লিড গোল্ড সার্টিফিকেট অর্জন—যা আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য, শক্তি দক্ষতা এবং জল ব্যবস্থাপনার মানদণ্ডে একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি।
হাসপাতালটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে এটি আমার জন্য এক বিশেষ অর্জন। এই হাসপাতালটি শুধু চিকিৎসা সেবাতেই নয়, পরিবেশ সংরক্ষণেও অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। হাসপাতাল চত্বরজুড়ে ছায়াঘেরা সবুজ গাছপালা, উদ্ভিদ-বেষ্টিত গার্ডেন এবং আলো-বাতাস প্রবাহের স্বাভাবিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ বৈশ্বিক কার্বন বাজার থেকে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করার সম্ভাবনা রাখে, কিন্তু একটি স্পষ্ট জাতীয় নীতির অভাবে এই খাতের বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০০৬ সাল থেকে উন্নত রান্নার চুলা এবং সৌর হোম সিস্টেমের মতো কার্বন-হ্রাসকারী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তবে, দুর্বল নীতি কাঠামো এবং বেসরকারি খাতের সীমিত অংশগ্রহণের কারণে দেশটি তার সম্ভাবনার খুব সামান্যই কাজে লাগাতে পারছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫-এ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সার্টিফিকেট (REC) প্রবর্তনের কথা বলা হয়েছে, যা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত প্রতি মেগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুতের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যকে প্রতিনিধিত্ব করবে। তবে, বর্তমানে কার্বন ট্রেডিং থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ ভারতীয় পরামর্শকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা দেশীয় নিয়ন্ত্রণে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশমালাগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও দীর্ঘমেয়াদে নিশ্চিত করবে।
লেখক: ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড গ্রুপ

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ প্রকল্পকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা ও অর্থায়ন প্রকল্প চালু করেছে। তবে, নীতিগত অসামঞ্জস্যতা, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল অবকাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়হীনতা এই বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিশেষ করে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বর্তমান পরিবেশ যথেষ্ট সহায়ক নয়। এই সমস্যা সমাধানে নীতিগত সংহতি ও স্থিতিশীলতা আনা প্রয়োজন।
সবুজ অর্থায়ন বলতে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে এমন ঋণ বা বিনিয়োগকে বোঝায়, যার মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং সবুজ অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। এটি কেবল পরিবেশ সুরক্ষায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উভয় ক্ষেত্রেই সুবিধা প্রদান করে। বৈশ্বিক সবুজ অর্থায়ন বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবুজ প্রকল্পের উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে সবুজ বন্ড, সবুজ ঋণ, সবুজ বন্ধকি, সবুজ ক্রেডিট কার্ড এবং টেকসই বিনিয়োগ তহবিল।
২০০৯ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০২০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ১০% নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা পূরণ হয়নি। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০% এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে, যা ২০৩১-৪০ সময়কালে বার্ষিক ১.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। এই বিপুল তহবিলের জন্য বৃহৎ আকারের বেসরকারি বিনিয়োগ অপরিহার্য। ভিয়েতনাম, চীন, ভারত এবং মরক্কোর মতো অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সফল মডেলগুলো সুসংগত নীতিগত প্রণোদনা, ঝুঁকি লাঘব এবং শক্তিশালী পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্ব তুলে ধরে। এসব দেশের মডেলসমূহ থেকে ধারণা নিয়ে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে নিজস্ব স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ অর্থায়নকে উৎসাহিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে, যেখানে ২০১৬ সাল থেকে ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট ঋণের ন্যূনতম ৫% সবুজ অর্থায়নে বরাদ্দ করতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া জিটিএফ (Green Transformation Fund) এর মতো পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কম খরচে তহবিল সরবরাহ করা হয়। আইইইএফএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই তহবিল ব্যবহারের হার কমই রয়ে গেছে (যেমন, জিটিএফ-এর জন্য ১৯.০৫ %)। এই প্রকল্পগুলোর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত নীতিগত অসংগতি এবং নিয়ন্ত্রক অনিশ্চয়তার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কুইক এনহ্যান্সমেন্ট অফ ইলেকট্রিসিটি অ্যান্ড এনার্জি সাপ্লাই অ্যাক্ট (QEEESA) ২০১০ বাতিল এবং ৩০ টিরও বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প স্থগিত করা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে। মাতারবাড়িতে নতুন কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরুজ্জীবিত করার বিবেচনা জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য প্রণোদনার অভাবও একটি বড় সমস্যা। নীতিগত সংহতি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সৌরশক্তির সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ব্যবহার। বছরে ৩০০ দিনের বেশি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন থাকায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ একটি আদর্শ স্থান। সবুজ অর্থায়নের আওতায় সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সোলার হোম সিস্টেম ও কৃষি সেচ ব্যবস্থায় সৌর পাম্প ব্যবহারের মতো সবুজ প্রকল্প (green project) গুলোয় বিনিয়োগে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।
সবুজ ভবনের (green building) ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল অর্জন হলো ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের লিড গোল্ড সার্টিফিকেট অর্জন—যা আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য, শক্তি দক্ষতা এবং জল ব্যবস্থাপনার মানদণ্ডে একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি।
হাসপাতালটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে এটি আমার জন্য এক বিশেষ অর্জন। এই হাসপাতালটি শুধু চিকিৎসা সেবাতেই নয়, পরিবেশ সংরক্ষণেও অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। হাসপাতাল চত্বরজুড়ে ছায়াঘেরা সবুজ গাছপালা, উদ্ভিদ-বেষ্টিত গার্ডেন এবং আলো-বাতাস প্রবাহের স্বাভাবিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ বৈশ্বিক কার্বন বাজার থেকে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করার সম্ভাবনা রাখে, কিন্তু একটি স্পষ্ট জাতীয় নীতির অভাবে এই খাতের বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০০৬ সাল থেকে উন্নত রান্নার চুলা এবং সৌর হোম সিস্টেমের মতো কার্বন-হ্রাসকারী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তবে, দুর্বল নীতি কাঠামো এবং বেসরকারি খাতের সীমিত অংশগ্রহণের কারণে দেশটি তার সম্ভাবনার খুব সামান্যই কাজে লাগাতে পারছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫-এ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সার্টিফিকেট (REC) প্রবর্তনের কথা বলা হয়েছে, যা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত প্রতি মেগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুতের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যকে প্রতিনিধিত্ব করবে। তবে, বর্তমানে কার্বন ট্রেডিং থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ ভারতীয় পরামর্শকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা দেশীয় নিয়ন্ত্রণে আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশমালাগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও দীর্ঘমেয়াদে নিশ্চিত করবে।
লেখক: ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড গ্রুপ

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ প্রকল্পকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা ও অর্থায়ন প্রকল্প চালু করেছে। তবে, নীতিগত অসামঞ্জস্যতা, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল অবকাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়হীনতা...
১০ জুলাই ২০২৫
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ প্রকল্পকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা ও অর্থায়ন প্রকল্প চালু করেছে। তবে, নীতিগত অসামঞ্জস্যতা, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল অবকাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়হীনতা...
১০ জুলাই ২০২৫
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ প্রকল্পকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা ও অর্থায়ন প্রকল্প চালু করেছে। তবে, নীতিগত অসামঞ্জস্যতা, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল অবকাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়হীনতা...
১০ জুলাই ২০২৫
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
৯ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ প্রকল্পকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা ও অর্থায়ন প্রকল্প চালু করেছে। তবে, নীতিগত অসামঞ্জস্যতা, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল অবকাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়হীনতা...
১০ জুলাই ২০২৫
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে