
শিরোপা খরায় ভুগছিল লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিখ্যাত এই ক্লাবটি ক্রিকেট তো বটেই, ফুটবলেও শিরোপা দেখা পাচ্ছিল না। ঠিক এমন এক সময়েই ত্রাতার ভূমিকায় আসেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। ২০১৭ সালে ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই গুছিয়ে নেন সবকিছু। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটেও জোর দেন। শক্তিশালী দল গঠন করেন। এরপর একের পর এক সাফল্য ছিনিয়ে আনে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব সাফওয়ান সোবহানের নেতৃত্বে। সামনের দিনগুলোতেও সাফল্যের পথেই ছুটতে চায় এই ক্লাব।
ক্লাব সভাপতি সাফওয়ান সোবহান বলেন, ‘দেশের প্রধান ক্রীড়া সংগঠক পরিবারের অন্যতম সদস্য ছিলেন শেখ জামাল। আমাদের ক্লাবটি সেই ক্রীড়া অনুরাগী সংগঠকের নামে। যিনি আবার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সন্তান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই। এই ক্লাবকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করতে আমি শুরুর দিন থেকে কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য যা যা দরকার সবই করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘খেলাধুলার প্রতি আমার ও আমার পরিবারের অনুরাগ নতুন কিছু নয়। আমি ক্লাবটিকে কেন্দ্র করে সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক সাজাচ্ছি। প্রশিক্ষণ, স্থাপনা, পরিকল্পনা, জনসম্পৃক্ততা সবকিছু করছি। আমি জানি আগামী প্রজন্ম ও তরুণদের মাদকমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন সমাজ ব্যবস্থা উপহার দিতে স্পোর্টসের কোনো বিকল্প নাই।’
সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক সাফল্য উপহার দিয়ে যাচ্ছেন সাফওয়ান সোবহান। ক্রিকেটে একক আধিপত্য বিস্তার করেছিল আবাহনী। ২০১৮-১৯ মৌসুমেই এই ধারণাটা শেষ করে দেয় শেখ জামাল। প্রথমবারের মতো আয়োজিত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটা। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে মর্যাদার আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ জয় করে ২০২১-২২ মৌসুমে। এই মৌসুমটা ছিল স্বপ্নের মতো। দাপুটে ক্রিকেট খেলে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ধানমন্ডি জায়ান্টরা। এই মৌসুমে দলটার হয়ে সর্বোচ্চ ৫১৩ রান করেন ইমরুল কায়েস। পারভেজ রসুলের শিকার ছিল ২৮ উইকেট। লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথম ডিপিএলেও রানারআপ হয়েছিল এই ক্লাব। ২০২২-২৩ মৌসুমেও দুর্দান্ত খেলা উপহার দেয় শেখ জামাল ক্রিকেট দল। মাত্র দুই পয়েন্টের ব্যবধানে রানার্সআপ হয়। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি ৩৩ উইকেট ছিল শেখ জামালের পারভেজ রসুলের। সেরা ব্যাটার ছিলেন ফজলে মাহমুদ।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে ক্রিকেট খেলে তারকা হয়েছেন অনেকেই। এই ক্লাবের হয়ে প্রায় ৫০ গড়ে রান করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মুশফিকুর রহিম সফল ছিলেন শেখ জামালের জার্সিতে। সাকিব নিজের ৪ বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটিয়েছেন শেখ জামালের হয়েই। ভারতীয় উন্মুক্ত চাঁদ ৫৮ গড়ে রান করে গেছেন ২০১৮ সালে। উঠতি তারকারাও খেলেছেন এই ক্লাবে। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, তাওহীদ হৃদয়ের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা নাম কামিয়েছেন এই ক্লাবের জার্সিতেই। জম্মু-কাশ্মীরের পারভেজ রসুল বল হাতে রান দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃপণতার পরিচয় দিয়েছেন। পঞ্চাশের বেশি উইকেট শিকার করেছেন তিনি শেখ জামালের জার্সিতেই।
কেবল ক্রিকেটই নয়, সাফওয়ান সোবহানের সুযোগ্য নেতৃত্বে ফুটবলেও সাফল্য দেখিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বাংলাদেশের আরও এক প্রথমের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের নাম। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় অনূর্ধ্ব-১৮ লিগ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের মতো দলগুলোকে পেছনে ফেলে ট্রফি জয় করে শেখ জামাল। আগামীর তপু বর্মণ, জামাল ভূঁইয়াদের মতো তারকারা তৈরি হবে আঠারো না পেরোনো এই তরুণদের মধ্য থেকেই। স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলার প্রথম সিঁড়িটা তারা পেয়েছে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবেই।
পেশাদার লিগেও শক্তিশালী দল গঠন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২০১৭-১৮ মৌসুমে রানার্সআপ হয় দলটা। তাদের সংগ্রহ ছিল ৪৭ পয়েন্ট। ১৫ গোল করে টপ স্কোরার হয়েছিলেন শেখ জামাল ডিসির গাম্বিয়ান ফুটবলার সলোমন কিং ও নাইজেরিয়ার ফুটবলার রাফায়েল ওডোভিন। ২০২০-২১ মৌসুমে ফের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রানার্সআপ হয় দলটা। লিগের ২৪ ম্যাচে মাত্র ২ হার ছিল। ৫২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ১৯ গোল করে সেকেন্ড টপ স্কোরার হয়েছিল গাম্বিয়ার পা ওমর জোবে। কিছুদিন আগে শেষ হওয়ার মৌসুমে (২০২৩: ২৪) ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে খেলা মিডফিল্ডার হিগর লেইতে খেলে গেছেন। অনেক দিন পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পেয়েছিল ৫ জন শেখ জামালের ফুটবলার।
ক্রিকেট ও ফুটবলের এসব সাফল্যই শুধু নয়, ভবিষ্যৎ সাফল্যের পথেও দলটাকে এগিয়ে দিচ্ছেন সাফওয়ান সোবহান। দলটির জন্য তৈরি করে দিচ্ছেন ফুটবল মাঠ। রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পাশেই হতে যাচ্ছে এই ফুটবল মাঠ। বসুন্ধরা কিংসের পর এই প্রথম দেশের অন্য একটি ক্লাবের হতে যাচ্ছে এমন নিজস্ব একটি ফুটবল গ্রাউন্ড। যা দেশের ফুটবলে যুক্ত করবে এক নতুন অধ্যায়। প্রায় ১০ বিঘারও বেশি জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এই মাঠ। এই জমির দামই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডের পাশাপাশি নানা ধরনের ম্যাচও আয়োজন করা হবে এখানে। শুধু চোখ ধাঁধানো মাঠই না, এখানে থাকবে খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা। ব্যবহৃত হবে নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি। এ ছাড়া এই একাডেমির ক্রিকেটাররা ইতিমধ্যেই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিচ্ছেন ক্রিকেটের প্রস্তুতি।
কংক্রিটের এই নগরীতে একটা খোলা মাঠ, যেখানে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ছুটে বেড়ানো যায়, খেলা ও শেখা যায় ক্রিকেট-ফুটবল। এমন কিছুর জন্য কত আক্ষেপ রাজধানীর শিশু-কিশোরদের। সোনার হরিণে যেন পরিণত হয়েছে তা। শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার চর্চার প্রতি ভালোবাসার কমতি নেই। তবে, ব্যতিক্রম রাজধানীর অন্যতম আবাসিক এলাকা ধানমন্ডি। লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের একাডেমি পূরণ করেছে এই এলাকার অভাব। ভবিষ্যতের সাকিব-রিয়াদ-জামাল-তপুরা তৈরি হচ্ছেন এই ক্লাবের একাডেমিতে। লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ক্রিকেট একাডেমিতে রয়েছে প্রায় সাত শ শিশু-কিশোর। কোচ হিসেবে যেখানে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহরীয়ার নাফিস। সম্প্রতি শুরু হয়েছে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফুটবল একাডেমির কার্যক্রম। শুরু থেকেই ধানমন্ডি এলাকার শিশু-কিশোরদের মধ্যে যা নিয়ে শুরু হয়ে যায় আগ্রহ। ৬ থেকে ১২ ও ১২ থেকে ১৬ এই দুই বয়সের ক্যাটাগরিতে আগামীর স্বপ্ন বুনছে প্রায় ১০০ জন শিশু-কিশোর। সুস্থ পরিবেশ, সঠিক পরিচর্যা, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এ কারণে অভিভাবকরাও নির্ভার এই লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের একাডেমির অংশ হতে পেরে।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে ফুটবল ও ক্রিকেট একাডেমি ছাড়াও তৈরি করা হয়েছে জিম, টেনিস কোর্ট, বাস্কেটবল কোর্ট। আছে ইনডোর সুবিধাও। দুটো টেনিস কোর্ট আছে পাশাপাশি। টেনিসের নানা ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এই ক্লাবের প্রতিযোগীরা। বাস্কেটবল কোর্টে দারুণ সময় কাটে শহুরে মানুষের। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা এলেই ফ্লাডলাইট জ্বলে ওঠে। আলোয় রঙিন যায় বাস্কেটবল কোর্ট। সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষ করে এই আবাসিক এলাকার মানুষের কাছে কোর্টে কাটানো এই সময়টাই যেন প্রশান্তি এনে দেয়। ইট-কাঠের জঞ্জালের এই বদ্ধ শহরে, এমন সুযোগ আর কোথায় মেলে?
ভবিষ্যতে পুরো একটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ক্লাবের। আগের চেয়ে সবদিক দিয়েই বড় হচ্ছে ক্লাবের পরিসর। স্বপ্নপূরণের এই পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে এক পূর্ণাঙ্গ স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সে পথে দেখা মিলবে দারুণ এক আড্ডালয়ের। বন্ধু, ফ্যামিলি নিয়ে সময় কাটানোর জন্য পরিকল্পনায় আছে সবই। আউটডোর স্পোর্টস টেনিস, বাস্কেটবল, ফুটবল, ক্রিকেট তো ছিল আগে থেকেই। ইনডোরে বিলিয়ার্ডস অ্যান্ড স্নুকার, পুল, টেবিল টেনিসসহ থাকবে আরও অনেক কিছু। স্পোর্টস তো হলো মাঝে সময়টা কাটিয়ে আসতে পারেন লাইব্রেরিতেও। ফুড কিংবা বেভারেজ, সেসব নিয়ে ভাববেন না একটুও। থাকছে সবই। একটা ক্লাবে যা দরকার, সবই থাকছে কিংবা তার চেয়েও বেশি। ক্লাবের চেয়েও বেশি বলে কথা, একটু বেশি-বেশি না থাকলে চলে।

শিরোপা খরায় ভুগছিল লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিখ্যাত এই ক্লাবটি ক্রিকেট তো বটেই, ফুটবলেও শিরোপা দেখা পাচ্ছিল না। ঠিক এমন এক সময়েই ত্রাতার ভূমিকায় আসেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। ২০১৭ সালে ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই গুছিয়ে নেন সবকিছু। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটেও জোর দেন। শক্তিশালী দল গঠন করেন। এরপর একের পর এক সাফল্য ছিনিয়ে আনে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব সাফওয়ান সোবহানের নেতৃত্বে। সামনের দিনগুলোতেও সাফল্যের পথেই ছুটতে চায় এই ক্লাব।
ক্লাব সভাপতি সাফওয়ান সোবহান বলেন, ‘দেশের প্রধান ক্রীড়া সংগঠক পরিবারের অন্যতম সদস্য ছিলেন শেখ জামাল। আমাদের ক্লাবটি সেই ক্রীড়া অনুরাগী সংগঠকের নামে। যিনি আবার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সন্তান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই। এই ক্লাবকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করতে আমি শুরুর দিন থেকে কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য যা যা দরকার সবই করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘খেলাধুলার প্রতি আমার ও আমার পরিবারের অনুরাগ নতুন কিছু নয়। আমি ক্লাবটিকে কেন্দ্র করে সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক সাজাচ্ছি। প্রশিক্ষণ, স্থাপনা, পরিকল্পনা, জনসম্পৃক্ততা সবকিছু করছি। আমি জানি আগামী প্রজন্ম ও তরুণদের মাদকমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন সমাজ ব্যবস্থা উপহার দিতে স্পোর্টসের কোনো বিকল্প নাই।’
সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক সাফল্য উপহার দিয়ে যাচ্ছেন সাফওয়ান সোবহান। ক্রিকেটে একক আধিপত্য বিস্তার করেছিল আবাহনী। ২০১৮-১৯ মৌসুমেই এই ধারণাটা শেষ করে দেয় শেখ জামাল। প্রথমবারের মতো আয়োজিত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটা। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে মর্যাদার আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ জয় করে ২০২১-২২ মৌসুমে। এই মৌসুমটা ছিল স্বপ্নের মতো। দাপুটে ক্রিকেট খেলে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ধানমন্ডি জায়ান্টরা। এই মৌসুমে দলটার হয়ে সর্বোচ্চ ৫১৩ রান করেন ইমরুল কায়েস। পারভেজ রসুলের শিকার ছিল ২৮ উইকেট। লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথম ডিপিএলেও রানারআপ হয়েছিল এই ক্লাব। ২০২২-২৩ মৌসুমেও দুর্দান্ত খেলা উপহার দেয় শেখ জামাল ক্রিকেট দল। মাত্র দুই পয়েন্টের ব্যবধানে রানার্সআপ হয়। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি ৩৩ উইকেট ছিল শেখ জামালের পারভেজ রসুলের। সেরা ব্যাটার ছিলেন ফজলে মাহমুদ।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে ক্রিকেট খেলে তারকা হয়েছেন অনেকেই। এই ক্লাবের হয়ে প্রায় ৫০ গড়ে রান করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মুশফিকুর রহিম সফল ছিলেন শেখ জামালের জার্সিতে। সাকিব নিজের ৪ বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটিয়েছেন শেখ জামালের হয়েই। ভারতীয় উন্মুক্ত চাঁদ ৫৮ গড়ে রান করে গেছেন ২০১৮ সালে। উঠতি তারকারাও খেলেছেন এই ক্লাবে। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, তাওহীদ হৃদয়ের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা নাম কামিয়েছেন এই ক্লাবের জার্সিতেই। জম্মু-কাশ্মীরের পারভেজ রসুল বল হাতে রান দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃপণতার পরিচয় দিয়েছেন। পঞ্চাশের বেশি উইকেট শিকার করেছেন তিনি শেখ জামালের জার্সিতেই।
কেবল ক্রিকেটই নয়, সাফওয়ান সোবহানের সুযোগ্য নেতৃত্বে ফুটবলেও সাফল্য দেখিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বাংলাদেশের আরও এক প্রথমের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের নাম। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় অনূর্ধ্ব-১৮ লিগ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের মতো দলগুলোকে পেছনে ফেলে ট্রফি জয় করে শেখ জামাল। আগামীর তপু বর্মণ, জামাল ভূঁইয়াদের মতো তারকারা তৈরি হবে আঠারো না পেরোনো এই তরুণদের মধ্য থেকেই। স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলার প্রথম সিঁড়িটা তারা পেয়েছে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবেই।
পেশাদার লিগেও শক্তিশালী দল গঠন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২০১৭-১৮ মৌসুমে রানার্সআপ হয় দলটা। তাদের সংগ্রহ ছিল ৪৭ পয়েন্ট। ১৫ গোল করে টপ স্কোরার হয়েছিলেন শেখ জামাল ডিসির গাম্বিয়ান ফুটবলার সলোমন কিং ও নাইজেরিয়ার ফুটবলার রাফায়েল ওডোভিন। ২০২০-২১ মৌসুমে ফের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রানার্সআপ হয় দলটা। লিগের ২৪ ম্যাচে মাত্র ২ হার ছিল। ৫২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ১৯ গোল করে সেকেন্ড টপ স্কোরার হয়েছিল গাম্বিয়ার পা ওমর জোবে। কিছুদিন আগে শেষ হওয়ার মৌসুমে (২০২৩: ২৪) ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে খেলা মিডফিল্ডার হিগর লেইতে খেলে গেছেন। অনেক দিন পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পেয়েছিল ৫ জন শেখ জামালের ফুটবলার।
ক্রিকেট ও ফুটবলের এসব সাফল্যই শুধু নয়, ভবিষ্যৎ সাফল্যের পথেও দলটাকে এগিয়ে দিচ্ছেন সাফওয়ান সোবহান। দলটির জন্য তৈরি করে দিচ্ছেন ফুটবল মাঠ। রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পাশেই হতে যাচ্ছে এই ফুটবল মাঠ। বসুন্ধরা কিংসের পর এই প্রথম দেশের অন্য একটি ক্লাবের হতে যাচ্ছে এমন নিজস্ব একটি ফুটবল গ্রাউন্ড। যা দেশের ফুটবলে যুক্ত করবে এক নতুন অধ্যায়। প্রায় ১০ বিঘারও বেশি জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এই মাঠ। এই জমির দামই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডের পাশাপাশি নানা ধরনের ম্যাচও আয়োজন করা হবে এখানে। শুধু চোখ ধাঁধানো মাঠই না, এখানে থাকবে খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা। ব্যবহৃত হবে নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি। এ ছাড়া এই একাডেমির ক্রিকেটাররা ইতিমধ্যেই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিচ্ছেন ক্রিকেটের প্রস্তুতি।
কংক্রিটের এই নগরীতে একটা খোলা মাঠ, যেখানে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ছুটে বেড়ানো যায়, খেলা ও শেখা যায় ক্রিকেট-ফুটবল। এমন কিছুর জন্য কত আক্ষেপ রাজধানীর শিশু-কিশোরদের। সোনার হরিণে যেন পরিণত হয়েছে তা। শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার চর্চার প্রতি ভালোবাসার কমতি নেই। তবে, ব্যতিক্রম রাজধানীর অন্যতম আবাসিক এলাকা ধানমন্ডি। লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের একাডেমি পূরণ করেছে এই এলাকার অভাব। ভবিষ্যতের সাকিব-রিয়াদ-জামাল-তপুরা তৈরি হচ্ছেন এই ক্লাবের একাডেমিতে। লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ক্রিকেট একাডেমিতে রয়েছে প্রায় সাত শ শিশু-কিশোর। কোচ হিসেবে যেখানে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহরীয়ার নাফিস। সম্প্রতি শুরু হয়েছে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফুটবল একাডেমির কার্যক্রম। শুরু থেকেই ধানমন্ডি এলাকার শিশু-কিশোরদের মধ্যে যা নিয়ে শুরু হয়ে যায় আগ্রহ। ৬ থেকে ১২ ও ১২ থেকে ১৬ এই দুই বয়সের ক্যাটাগরিতে আগামীর স্বপ্ন বুনছে প্রায় ১০০ জন শিশু-কিশোর। সুস্থ পরিবেশ, সঠিক পরিচর্যা, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এ কারণে অভিভাবকরাও নির্ভার এই লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের একাডেমির অংশ হতে পেরে।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে ফুটবল ও ক্রিকেট একাডেমি ছাড়াও তৈরি করা হয়েছে জিম, টেনিস কোর্ট, বাস্কেটবল কোর্ট। আছে ইনডোর সুবিধাও। দুটো টেনিস কোর্ট আছে পাশাপাশি। টেনিসের নানা ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এই ক্লাবের প্রতিযোগীরা। বাস্কেটবল কোর্টে দারুণ সময় কাটে শহুরে মানুষের। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা এলেই ফ্লাডলাইট জ্বলে ওঠে। আলোয় রঙিন যায় বাস্কেটবল কোর্ট। সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষ করে এই আবাসিক এলাকার মানুষের কাছে কোর্টে কাটানো এই সময়টাই যেন প্রশান্তি এনে দেয়। ইট-কাঠের জঞ্জালের এই বদ্ধ শহরে, এমন সুযোগ আর কোথায় মেলে?
ভবিষ্যতে পুরো একটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ক্লাবের। আগের চেয়ে সবদিক দিয়েই বড় হচ্ছে ক্লাবের পরিসর। স্বপ্নপূরণের এই পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে এক পূর্ণাঙ্গ স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সে পথে দেখা মিলবে দারুণ এক আড্ডালয়ের। বন্ধু, ফ্যামিলি নিয়ে সময় কাটানোর জন্য পরিকল্পনায় আছে সবই। আউটডোর স্পোর্টস টেনিস, বাস্কেটবল, ফুটবল, ক্রিকেট তো ছিল আগে থেকেই। ইনডোরে বিলিয়ার্ডস অ্যান্ড স্নুকার, পুল, টেবিল টেনিসসহ থাকবে আরও অনেক কিছু। স্পোর্টস তো হলো মাঝে সময়টা কাটিয়ে আসতে পারেন লাইব্রেরিতেও। ফুড কিংবা বেভারেজ, সেসব নিয়ে ভাববেন না একটুও। থাকছে সবই। একটা ক্লাবে যা দরকার, সবই থাকছে কিংবা তার চেয়েও বেশি। ক্লাবের চেয়েও বেশি বলে কথা, একটু বেশি-বেশি না থাকলে চলে।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

শিরোপা খরায় ভুগছিল লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিখ্যাত এই ক্লাবটি ক্রিকেট তো বটেই, ফুটবলেও শিরোপা দেখা পাচ্ছিল না। ঠিক এমন এক সময়েই ত্রাতার ভূমিকায় আসেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। ২০১৭ সালে ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই গুছিয়ে নেন সবকিছু। ফুটবলের পা
০৬ জুলাই ২০২৪
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

শিরোপা খরায় ভুগছিল লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিখ্যাত এই ক্লাবটি ক্রিকেট তো বটেই, ফুটবলেও শিরোপা দেখা পাচ্ছিল না। ঠিক এমন এক সময়েই ত্রাতার ভূমিকায় আসেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। ২০১৭ সালে ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই গুছিয়ে নেন সবকিছু। ফুটবলের পা
০৬ জুলাই ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

শিরোপা খরায় ভুগছিল লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিখ্যাত এই ক্লাবটি ক্রিকেট তো বটেই, ফুটবলেও শিরোপা দেখা পাচ্ছিল না। ঠিক এমন এক সময়েই ত্রাতার ভূমিকায় আসেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। ২০১৭ সালে ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই গুছিয়ে নেন সবকিছু। ফুটবলের পা
০৬ জুলাই ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

শিরোপা খরায় ভুগছিল লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিখ্যাত এই ক্লাবটি ক্রিকেট তো বটেই, ফুটবলেও শিরোপা দেখা পাচ্ছিল না। ঠিক এমন এক সময়েই ত্রাতার ভূমিকায় আসেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। ২০১৭ সালে ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই গুছিয়ে নেন সবকিছু। ফুটবলের পা
০৬ জুলাই ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে