Ajker Patrika

ট্রাম্পের শুল্কে বাংলাদেশের সর্বনাশ, ভারতসহ যাদের পৌষ মাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ৫৪
সব আমদানি পণ্যে বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
সব আমদানি পণ্যে বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানা ছিল চীন, তবে শিকার হলো প্রায় সবাই। তাঁর নতুন শুল্কনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো অনেক ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’ প্রবাদটি যেন ফলছে এখানে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিছুটা চাপে পড়লেও এই শুল্কযুদ্ধ থেকে ফসল ঘরে তুলতে পারে ব্রাজিল, মিসর, মরক্কো, ভারত ও কেনিয়ার মতো কিছু দেশ। দেশগুলো একধরনের কৌশলগত সুবিধা পেতে পারে। তবে এ সুফল স্থায়ী হবে কি না, তা নির্ভর করবে ট্রাম্প প্রশাসনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপ আর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশের গতিপথের ওপর।

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি মিত্র ও ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ২০ শতাংশ বা তার বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্পের নতুন এই শুল্কনীতি ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ-যাত্রায় ‘রক্ষা’ পাওয়া দেশগুলোর একটি হলো ব্রাজিল। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মাত্র ১০ শতাংশ ‘পারস্পরিক’ আমদানি শুল্ক নিয়ে সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে ব্রাজিল নিট আমদানিকারক দেশ। চীন ও অন্যান্য বৃহৎ রপ্তানিকারকদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে কিছু দেশ যে সুযোগ নিতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকা মরক্কো, মিসর, তুরস্ক ও সিঙ্গাপুর এখন বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর বিপর্যয় থেকে সুবিধা নিতে পারে। কারণ, এ দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে এবং ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ওপর যথাক্রমে ৩৭ শতাংশ ও ৪৬ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিল ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির তুলনায় অনেকটাই নমনীয়।

মিসরের টেক্সটাইল কোম্পানি টি অ্যান্ড সি গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান মাগদি তোলবা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু মিসরের ওপর শুল্ক আরোপ করেনি, অন্য অনেক দেশের ওপর আরও বেশি হারে শুল্ক বসিয়েছে। এটি মিসরের জন্য বড় সুযোগ এনে দিচ্ছে।

চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামকে মিসরের প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে উল্লেখ করে তোলবা বলেন, ‘সুযোগটা একেবারে চোখের সামনে। এখন আমাদের শুধু এটাকে কাজে লাগাতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে তুরস্কের লোহা, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন অন্য দেশগুলোর ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে তুলনামূলকভাবে লাভবান হতে পারে। তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাত এই শুল্ক পরিস্থিতিকে ‘সবচেয়ে খারাপের মধ্যে সেরা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, অন্য অনেক দেশের তুলনায় তুরস্কের ওপর শুল্কের হার অপেক্ষাকৃত কম।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মরক্কোর একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এশিয়ার সাবেক শক্তিধর অর্থনৈতিক দেশগুলোর ক্ষতির মধ্যে আপাতভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির। একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক এখন মরক্কোর জন্য একটি সুযোগ হয়ে এসেছে। যেসব বৈদেশিক বিনিয়োগকারী যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করতে চান, তাঁদের জন্য ১০ শতাংশ শুল্ক তুলনামূলক আকর্ষণীয় হতে পারে।

তবে ওই কর্মকর্তা ও অন্যান্য বিশ্লেষক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। সম্প্রতি চীনা কোম্পানি গোশন হাইটেক ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় বিনিয়োগ করছে মিসরে। এই টাকায় আফ্রিকার প্রথম গিগাফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হবে। এটি ট্রাম্প ভালোভাবে না-ও নিতে পারেন।

মরক্কোর ইনস্টিটিউট ফর পলিসি অ্যানালাইসিসের অর্থনীতিবিদ রাশিদ আওররাজ বলেন, ‘মরক্কোর সিংহভাগ রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে না হলেও শুল্কের সামগ্রিক ধাক্কা এবং মন্দার আশঙ্কা আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্তে থাকা কেনিয়ার ওপর তুলনামূলকভাবে কম শুল্ক আরোপ হলেও দেশটিতে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে; বিশেষ করে টেক্সটাইল উৎপাদকেরা আশাবাদী যে মোটা শুল্কে জর্জরিতদের তুলনায় তাঁরা একটু বেশি সুবিধা নিতে পারবেন।

একই ধরনের উদ্বেগ সিঙ্গাপুরেও দেখা যাচ্ছে। গতকাল সোমবার দেশটির শেয়ারবাজারে সূচক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ পড়ে গেছে, যা ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বড় পতন। আজ মঙ্গলবারও এই পতন অব্যাহত ছিল।

ওসিবিসি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ সেলেনা লিং বলেন, বিনিয়োগকারীরা বিকল্প হিসেবে সিঙ্গাপুরের মতো জায়গায় যেতে পারেন; কিন্তু এখানে এখনো স্থানীয় উৎপাদন ও কনটেন্ট-সম্পর্কিত কঠোর নীতিমালা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেলে আদতে কেউই জয়ী হবে না—সবই আপেক্ষিক।

মেব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ চুয়া হাক বিন বলেন, সিঙ্গাপুর বিশ্ব বাণিজ্যযুদ্ধে জিততে পারবে না; কারণ, দেশটি বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।

এদিকে ভারত ২৬ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়লেও এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। রয়টার্সের হাতে আসা এক সরকারি মূল্যায়নে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল, পোশাক ও পাদুকা খাতে অংশীদারত্ব বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির।

শুল্ক ঘোষণার পরপরই ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতির কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য সুযোগগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তারা অ্যাপলের আইফোন উৎপাদনের আরও বড় অংশ চীন থেকে ভারতে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কারণ, শুল্ক পার্থক্য সুবিধা এনে দিতে পারে। যদিও ২৬ শতাংশ শুল্কেও যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের দাম বেশ বাড়বে।

দক্ষিণ আমেরিকা এখনো রপ্তানির জন্য ও শস্য জাতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। সেখানেও আশাবাদ দেখা যাচ্ছে যে এই শুল্ক-সংকটের ফলে মার্কোসার ব্লক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বহুপ্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি নতুন করে আলোচনায় আসতে পারে।

ব্রাজিল এই আলোচনায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের বাদ দিয়ে ব্রাজিল থেকে বেশি সয়াবিন ও ভুট্টা কিনেছিল—তেমনটি আবারও ঘটতে পারে।

লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকো অতীতে ট্রাম্পের রোষানলে পড়েছিল, এবার তুলনামূলক ভালোভাবেই রক্ষা পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসএমসিএ) চুক্তির কারণে তাদের বেশির ভাগ বাণিজ্যই সুরক্ষিত রয়েছে।

তবে আরবিসি ব্লুবের ইমার্জিং মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট গ্রাহাম স্টক বলেন, মেক্সিকান সম্পদগুলো এখন অন্যদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। আর দিনশেষে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের অর্থনীতির বিরুদ্ধেই এক বড় আত্মঘাতী পদক্ষেপ।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরের খেজুর রস: লক্ষ্য ১২০ কোটি টাকার গুড় উৎপাদন

জাহিদ হাসান, যশোর
রসের জন্য খেজুরগাছ কেটে প্রস্তুত করছেন গাছি। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রসের জন্য খেজুরগাছ কেটে প্রস্তুত করছেন গাছি। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।

শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।

উৎপাদন ও বাজারের চিত্র

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।

গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ

যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

গাছ থেকে নামিয়ে আনা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করছেন এক নারী। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাছ থেকে নামিয়ে আনা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করছেন এক নারী। গতকাল যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।

ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।

উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।

কৃষি বিভাগের উদ্যোগ

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামি ১০ ও সরকারি ৬ ব্যাংক: ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৭
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।

সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।

ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’

সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত