আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানা ছিল চীন, তবে শিকার হলো প্রায় সবাই। তাঁর নতুন শুল্কনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো অনেক ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’ প্রবাদটি যেন ফলছে এখানে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিছুটা চাপে পড়লেও এই শুল্কযুদ্ধ থেকে ফসল ঘরে তুলতে পারে ব্রাজিল, মিসর, মরক্কো, ভারত ও কেনিয়ার মতো কিছু দেশ। দেশগুলো একধরনের কৌশলগত সুবিধা পেতে পারে। তবে এ সুফল স্থায়ী হবে কি না, তা নির্ভর করবে ট্রাম্প প্রশাসনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপ আর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশের গতিপথের ওপর।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি মিত্র ও ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ২০ শতাংশ বা তার বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্পের নতুন এই শুল্কনীতি ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ-যাত্রায় ‘রক্ষা’ পাওয়া দেশগুলোর একটি হলো ব্রাজিল। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মাত্র ১০ শতাংশ ‘পারস্পরিক’ আমদানি শুল্ক নিয়ে সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে ব্রাজিল নিট আমদানিকারক দেশ। চীন ও অন্যান্য বৃহৎ রপ্তানিকারকদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে কিছু দেশ যে সুযোগ নিতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকা মরক্কো, মিসর, তুরস্ক ও সিঙ্গাপুর এখন বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর বিপর্যয় থেকে সুবিধা নিতে পারে। কারণ, এ দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে এবং ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ওপর যথাক্রমে ৩৭ শতাংশ ও ৪৬ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিল ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির তুলনায় অনেকটাই নমনীয়।
মিসরের টেক্সটাইল কোম্পানি টি অ্যান্ড সি গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান মাগদি তোলবা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু মিসরের ওপর শুল্ক আরোপ করেনি, অন্য অনেক দেশের ওপর আরও বেশি হারে শুল্ক বসিয়েছে। এটি মিসরের জন্য বড় সুযোগ এনে দিচ্ছে।
চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামকে মিসরের প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে উল্লেখ করে তোলবা বলেন, ‘সুযোগটা একেবারে চোখের সামনে। এখন আমাদের শুধু এটাকে কাজে লাগাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে তুরস্কের লোহা, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন অন্য দেশগুলোর ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে তুলনামূলকভাবে লাভবান হতে পারে। তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাত এই শুল্ক পরিস্থিতিকে ‘সবচেয়ে খারাপের মধ্যে সেরা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, অন্য অনেক দেশের তুলনায় তুরস্কের ওপর শুল্কের হার অপেক্ষাকৃত কম।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মরক্কোর একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এশিয়ার সাবেক শক্তিধর অর্থনৈতিক দেশগুলোর ক্ষতির মধ্যে আপাতভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির। একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক এখন মরক্কোর জন্য একটি সুযোগ হয়ে এসেছে। যেসব বৈদেশিক বিনিয়োগকারী যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করতে চান, তাঁদের জন্য ১০ শতাংশ শুল্ক তুলনামূলক আকর্ষণীয় হতে পারে।
তবে ওই কর্মকর্তা ও অন্যান্য বিশ্লেষক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। সম্প্রতি চীনা কোম্পানি গোশন হাইটেক ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় বিনিয়োগ করছে মিসরে। এই টাকায় আফ্রিকার প্রথম গিগাফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হবে। এটি ট্রাম্প ভালোভাবে না-ও নিতে পারেন।
মরক্কোর ইনস্টিটিউট ফর পলিসি অ্যানালাইসিসের অর্থনীতিবিদ রাশিদ আওররাজ বলেন, ‘মরক্কোর সিংহভাগ রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে না হলেও শুল্কের সামগ্রিক ধাক্কা এবং মন্দার আশঙ্কা আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্তে থাকা কেনিয়ার ওপর তুলনামূলকভাবে কম শুল্ক আরোপ হলেও দেশটিতে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে; বিশেষ করে টেক্সটাইল উৎপাদকেরা আশাবাদী যে মোটা শুল্কে জর্জরিতদের তুলনায় তাঁরা একটু বেশি সুবিধা নিতে পারবেন।
একই ধরনের উদ্বেগ সিঙ্গাপুরেও দেখা যাচ্ছে। গতকাল সোমবার দেশটির শেয়ারবাজারে সূচক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ পড়ে গেছে, যা ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বড় পতন। আজ মঙ্গলবারও এই পতন অব্যাহত ছিল।
ওসিবিসি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ সেলেনা লিং বলেন, বিনিয়োগকারীরা বিকল্প হিসেবে সিঙ্গাপুরের মতো জায়গায় যেতে পারেন; কিন্তু এখানে এখনো স্থানীয় উৎপাদন ও কনটেন্ট-সম্পর্কিত কঠোর নীতিমালা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেলে আদতে কেউই জয়ী হবে না—সবই আপেক্ষিক।
মেব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ চুয়া হাক বিন বলেন, সিঙ্গাপুর বিশ্ব বাণিজ্যযুদ্ধে জিততে পারবে না; কারণ, দেশটি বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।
এদিকে ভারত ২৬ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়লেও এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। রয়টার্সের হাতে আসা এক সরকারি মূল্যায়নে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল, পোশাক ও পাদুকা খাতে অংশীদারত্ব বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির।
শুল্ক ঘোষণার পরপরই ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতির কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য সুযোগগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তারা অ্যাপলের আইফোন উৎপাদনের আরও বড় অংশ চীন থেকে ভারতে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কারণ, শুল্ক পার্থক্য সুবিধা এনে দিতে পারে। যদিও ২৬ শতাংশ শুল্কেও যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের দাম বেশ বাড়বে।
দক্ষিণ আমেরিকা এখনো রপ্তানির জন্য ও শস্য জাতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। সেখানেও আশাবাদ দেখা যাচ্ছে যে এই শুল্ক-সংকটের ফলে মার্কোসার ব্লক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বহুপ্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি নতুন করে আলোচনায় আসতে পারে।
ব্রাজিল এই আলোচনায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের বাদ দিয়ে ব্রাজিল থেকে বেশি সয়াবিন ও ভুট্টা কিনেছিল—তেমনটি আবারও ঘটতে পারে।
লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকো অতীতে ট্রাম্পের রোষানলে পড়েছিল, এবার তুলনামূলক ভালোভাবেই রক্ষা পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসএমসিএ) চুক্তির কারণে তাদের বেশির ভাগ বাণিজ্যই সুরক্ষিত রয়েছে।
তবে আরবিসি ব্লুবের ইমার্জিং মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট গ্রাহাম স্টক বলেন, মেক্সিকান সম্পদগুলো এখন অন্যদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। আর দিনশেষে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের অর্থনীতির বিরুদ্ধেই এক বড় আত্মঘাতী পদক্ষেপ।
আরও খবর পড়ুন:

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানা ছিল চীন, তবে শিকার হলো প্রায় সবাই। তাঁর নতুন শুল্কনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো অনেক ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’ প্রবাদটি যেন ফলছে এখানে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিছুটা চাপে পড়লেও এই শুল্কযুদ্ধ থেকে ফসল ঘরে তুলতে পারে ব্রাজিল, মিসর, মরক্কো, ভারত ও কেনিয়ার মতো কিছু দেশ। দেশগুলো একধরনের কৌশলগত সুবিধা পেতে পারে। তবে এ সুফল স্থায়ী হবে কি না, তা নির্ভর করবে ট্রাম্প প্রশাসনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপ আর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশের গতিপথের ওপর।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি মিত্র ও ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ২০ শতাংশ বা তার বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্পের নতুন এই শুল্কনীতি ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ-যাত্রায় ‘রক্ষা’ পাওয়া দেশগুলোর একটি হলো ব্রাজিল। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মাত্র ১০ শতাংশ ‘পারস্পরিক’ আমদানি শুল্ক নিয়ে সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে ব্রাজিল নিট আমদানিকারক দেশ। চীন ও অন্যান্য বৃহৎ রপ্তানিকারকদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে কিছু দেশ যে সুযোগ নিতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকা মরক্কো, মিসর, তুরস্ক ও সিঙ্গাপুর এখন বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর বিপর্যয় থেকে সুবিধা নিতে পারে। কারণ, এ দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে এবং ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ওপর যথাক্রমে ৩৭ শতাংশ ও ৪৬ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিল ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির তুলনায় অনেকটাই নমনীয়।
মিসরের টেক্সটাইল কোম্পানি টি অ্যান্ড সি গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান মাগদি তোলবা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু মিসরের ওপর শুল্ক আরোপ করেনি, অন্য অনেক দেশের ওপর আরও বেশি হারে শুল্ক বসিয়েছে। এটি মিসরের জন্য বড় সুযোগ এনে দিচ্ছে।
চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামকে মিসরের প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে উল্লেখ করে তোলবা বলেন, ‘সুযোগটা একেবারে চোখের সামনে। এখন আমাদের শুধু এটাকে কাজে লাগাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে তুরস্কের লোহা, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন অন্য দেশগুলোর ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে তুলনামূলকভাবে লাভবান হতে পারে। তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাত এই শুল্ক পরিস্থিতিকে ‘সবচেয়ে খারাপের মধ্যে সেরা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, অন্য অনেক দেশের তুলনায় তুরস্কের ওপর শুল্কের হার অপেক্ষাকৃত কম।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মরক্কোর একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এশিয়ার সাবেক শক্তিধর অর্থনৈতিক দেশগুলোর ক্ষতির মধ্যে আপাতভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির। একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক এখন মরক্কোর জন্য একটি সুযোগ হয়ে এসেছে। যেসব বৈদেশিক বিনিয়োগকারী যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করতে চান, তাঁদের জন্য ১০ শতাংশ শুল্ক তুলনামূলক আকর্ষণীয় হতে পারে।
তবে ওই কর্মকর্তা ও অন্যান্য বিশ্লেষক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। সম্প্রতি চীনা কোম্পানি গোশন হাইটেক ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় বিনিয়োগ করছে মিসরে। এই টাকায় আফ্রিকার প্রথম গিগাফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হবে। এটি ট্রাম্প ভালোভাবে না-ও নিতে পারেন।
মরক্কোর ইনস্টিটিউট ফর পলিসি অ্যানালাইসিসের অর্থনীতিবিদ রাশিদ আওররাজ বলেন, ‘মরক্কোর সিংহভাগ রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে না হলেও শুল্কের সামগ্রিক ধাক্কা এবং মন্দার আশঙ্কা আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্তে থাকা কেনিয়ার ওপর তুলনামূলকভাবে কম শুল্ক আরোপ হলেও দেশটিতে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে; বিশেষ করে টেক্সটাইল উৎপাদকেরা আশাবাদী যে মোটা শুল্কে জর্জরিতদের তুলনায় তাঁরা একটু বেশি সুবিধা নিতে পারবেন।
একই ধরনের উদ্বেগ সিঙ্গাপুরেও দেখা যাচ্ছে। গতকাল সোমবার দেশটির শেয়ারবাজারে সূচক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ পড়ে গেছে, যা ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বড় পতন। আজ মঙ্গলবারও এই পতন অব্যাহত ছিল।
ওসিবিসি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ সেলেনা লিং বলেন, বিনিয়োগকারীরা বিকল্প হিসেবে সিঙ্গাপুরের মতো জায়গায় যেতে পারেন; কিন্তু এখানে এখনো স্থানীয় উৎপাদন ও কনটেন্ট-সম্পর্কিত কঠোর নীতিমালা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেলে আদতে কেউই জয়ী হবে না—সবই আপেক্ষিক।
মেব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ চুয়া হাক বিন বলেন, সিঙ্গাপুর বিশ্ব বাণিজ্যযুদ্ধে জিততে পারবে না; কারণ, দেশটি বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।
এদিকে ভারত ২৬ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়লেও এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। রয়টার্সের হাতে আসা এক সরকারি মূল্যায়নে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল, পোশাক ও পাদুকা খাতে অংশীদারত্ব বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির।
শুল্ক ঘোষণার পরপরই ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতির কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য সুযোগগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তারা অ্যাপলের আইফোন উৎপাদনের আরও বড় অংশ চীন থেকে ভারতে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কারণ, শুল্ক পার্থক্য সুবিধা এনে দিতে পারে। যদিও ২৬ শতাংশ শুল্কেও যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের দাম বেশ বাড়বে।
দক্ষিণ আমেরিকা এখনো রপ্তানির জন্য ও শস্য জাতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। সেখানেও আশাবাদ দেখা যাচ্ছে যে এই শুল্ক-সংকটের ফলে মার্কোসার ব্লক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বহুপ্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি নতুন করে আলোচনায় আসতে পারে।
ব্রাজিল এই আলোচনায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের বাদ দিয়ে ব্রাজিল থেকে বেশি সয়াবিন ও ভুট্টা কিনেছিল—তেমনটি আবারও ঘটতে পারে।
লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকো অতীতে ট্রাম্পের রোষানলে পড়েছিল, এবার তুলনামূলক ভালোভাবেই রক্ষা পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসএমসিএ) চুক্তির কারণে তাদের বেশির ভাগ বাণিজ্যই সুরক্ষিত রয়েছে।
তবে আরবিসি ব্লুবের ইমার্জিং মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট গ্রাহাম স্টক বলেন, মেক্সিকান সম্পদগুলো এখন অন্যদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। আর দিনশেষে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের অর্থনীতির বিরুদ্ধেই এক বড় আত্মঘাতী পদক্ষেপ।
আরও খবর পড়ুন:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানা ছিল চীন, তবে শিকার হলো প্রায় সবাই। তাঁর নতুন শুল্কনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো অনেক ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’ প্রবাদটি যেন ফলছে এখানে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিছুটা চাপে পড়লেও এই শুল্কযুদ্ধ থেকে ফসল ঘরে তুলতে পারে ব্রাজিল, মিসর, মরক্কো, ভারত ও কেনিয়ার মতো কিছু দেশ। দেশগুলো একধরনের কৌশলগত সুবিধা পেতে পারে। তবে এ সুফল স্থায়ী হবে কি না, তা নির্ভর করবে ট্রাম্প প্রশাসনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপ আর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশের গতিপথের ওপর।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি মিত্র ও ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ২০ শতাংশ বা তার বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্পের নতুন এই শুল্কনীতি ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ-যাত্রায় ‘রক্ষা’ পাওয়া দেশগুলোর একটি হলো ব্রাজিল। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মাত্র ১০ শতাংশ ‘পারস্পরিক’ আমদানি শুল্ক নিয়ে সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে ব্রাজিল নিট আমদানিকারক দেশ। চীন ও অন্যান্য বৃহৎ রপ্তানিকারকদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে কিছু দেশ যে সুযোগ নিতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকা মরক্কো, মিসর, তুরস্ক ও সিঙ্গাপুর এখন বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর বিপর্যয় থেকে সুবিধা নিতে পারে। কারণ, এ দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে এবং ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ওপর যথাক্রমে ৩৭ শতাংশ ও ৪৬ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিল ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির তুলনায় অনেকটাই নমনীয়।
মিসরের টেক্সটাইল কোম্পানি টি অ্যান্ড সি গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান মাগদি তোলবা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু মিসরের ওপর শুল্ক আরোপ করেনি, অন্য অনেক দেশের ওপর আরও বেশি হারে শুল্ক বসিয়েছে। এটি মিসরের জন্য বড় সুযোগ এনে দিচ্ছে।
চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামকে মিসরের প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে উল্লেখ করে তোলবা বলেন, ‘সুযোগটা একেবারে চোখের সামনে। এখন আমাদের শুধু এটাকে কাজে লাগাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে তুরস্কের লোহা, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন অন্য দেশগুলোর ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে তুলনামূলকভাবে লাভবান হতে পারে। তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাত এই শুল্ক পরিস্থিতিকে ‘সবচেয়ে খারাপের মধ্যে সেরা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, অন্য অনেক দেশের তুলনায় তুরস্কের ওপর শুল্কের হার অপেক্ষাকৃত কম।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মরক্কোর একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এশিয়ার সাবেক শক্তিধর অর্থনৈতিক দেশগুলোর ক্ষতির মধ্যে আপাতভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির। একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক এখন মরক্কোর জন্য একটি সুযোগ হয়ে এসেছে। যেসব বৈদেশিক বিনিয়োগকারী যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করতে চান, তাঁদের জন্য ১০ শতাংশ শুল্ক তুলনামূলক আকর্ষণীয় হতে পারে।
তবে ওই কর্মকর্তা ও অন্যান্য বিশ্লেষক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। সম্প্রতি চীনা কোম্পানি গোশন হাইটেক ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় বিনিয়োগ করছে মিসরে। এই টাকায় আফ্রিকার প্রথম গিগাফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হবে। এটি ট্রাম্প ভালোভাবে না-ও নিতে পারেন।
মরক্কোর ইনস্টিটিউট ফর পলিসি অ্যানালাইসিসের অর্থনীতিবিদ রাশিদ আওররাজ বলেন, ‘মরক্কোর সিংহভাগ রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে না হলেও শুল্কের সামগ্রিক ধাক্কা এবং মন্দার আশঙ্কা আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্তে থাকা কেনিয়ার ওপর তুলনামূলকভাবে কম শুল্ক আরোপ হলেও দেশটিতে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে; বিশেষ করে টেক্সটাইল উৎপাদকেরা আশাবাদী যে মোটা শুল্কে জর্জরিতদের তুলনায় তাঁরা একটু বেশি সুবিধা নিতে পারবেন।
একই ধরনের উদ্বেগ সিঙ্গাপুরেও দেখা যাচ্ছে। গতকাল সোমবার দেশটির শেয়ারবাজারে সূচক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ পড়ে গেছে, যা ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বড় পতন। আজ মঙ্গলবারও এই পতন অব্যাহত ছিল।
ওসিবিসি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ সেলেনা লিং বলেন, বিনিয়োগকারীরা বিকল্প হিসেবে সিঙ্গাপুরের মতো জায়গায় যেতে পারেন; কিন্তু এখানে এখনো স্থানীয় উৎপাদন ও কনটেন্ট-সম্পর্কিত কঠোর নীতিমালা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেলে আদতে কেউই জয়ী হবে না—সবই আপেক্ষিক।
মেব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ চুয়া হাক বিন বলেন, সিঙ্গাপুর বিশ্ব বাণিজ্যযুদ্ধে জিততে পারবে না; কারণ, দেশটি বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।
এদিকে ভারত ২৬ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়লেও এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। রয়টার্সের হাতে আসা এক সরকারি মূল্যায়নে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল, পোশাক ও পাদুকা খাতে অংশীদারত্ব বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির।
শুল্ক ঘোষণার পরপরই ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতির কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য সুযোগগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তারা অ্যাপলের আইফোন উৎপাদনের আরও বড় অংশ চীন থেকে ভারতে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কারণ, শুল্ক পার্থক্য সুবিধা এনে দিতে পারে। যদিও ২৬ শতাংশ শুল্কেও যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের দাম বেশ বাড়বে।
দক্ষিণ আমেরিকা এখনো রপ্তানির জন্য ও শস্য জাতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। সেখানেও আশাবাদ দেখা যাচ্ছে যে এই শুল্ক-সংকটের ফলে মার্কোসার ব্লক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বহুপ্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি নতুন করে আলোচনায় আসতে পারে।
ব্রাজিল এই আলোচনায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের বাদ দিয়ে ব্রাজিল থেকে বেশি সয়াবিন ও ভুট্টা কিনেছিল—তেমনটি আবারও ঘটতে পারে।
লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকো অতীতে ট্রাম্পের রোষানলে পড়েছিল, এবার তুলনামূলক ভালোভাবেই রক্ষা পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসএমসিএ) চুক্তির কারণে তাদের বেশির ভাগ বাণিজ্যই সুরক্ষিত রয়েছে।
তবে আরবিসি ব্লুবের ইমার্জিং মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট গ্রাহাম স্টক বলেন, মেক্সিকান সম্পদগুলো এখন অন্যদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। আর দিনশেষে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের অর্থনীতির বিরুদ্ধেই এক বড় আত্মঘাতী পদক্ষেপ।
আরও খবর পড়ুন:

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানা ছিল চীন, তবে শিকার হলো প্রায় সবাই। তাঁর নতুন শুল্কনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো অনেক ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’ প্রবাদটি যেন ফলছে এখানে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিছুটা চাপে পড়লেও এই শুল্কযুদ্ধ থেকে ফসল ঘরে তুলতে পারে ব্রাজিল, মিসর, মরক্কো, ভারত ও কেনিয়ার মতো কিছু দেশ। দেশগুলো একধরনের কৌশলগত সুবিধা পেতে পারে। তবে এ সুফল স্থায়ী হবে কি না, তা নির্ভর করবে ট্রাম্প প্রশাসনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপ আর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশের গতিপথের ওপর।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি মিত্র ও ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ২০ শতাংশ বা তার বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্পের নতুন এই শুল্কনীতি ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ-যাত্রায় ‘রক্ষা’ পাওয়া দেশগুলোর একটি হলো ব্রাজিল। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মাত্র ১০ শতাংশ ‘পারস্পরিক’ আমদানি শুল্ক নিয়ে সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে ব্রাজিল নিট আমদানিকারক দেশ। চীন ও অন্যান্য বৃহৎ রপ্তানিকারকদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে কিছু দেশ যে সুযোগ নিতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকা মরক্কো, মিসর, তুরস্ক ও সিঙ্গাপুর এখন বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর বিপর্যয় থেকে সুবিধা নিতে পারে। কারণ, এ দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে এবং ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ওপর যথাক্রমে ৩৭ শতাংশ ও ৪৬ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিল ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির তুলনায় অনেকটাই নমনীয়।
মিসরের টেক্সটাইল কোম্পানি টি অ্যান্ড সি গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান মাগদি তোলবা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু মিসরের ওপর শুল্ক আরোপ করেনি, অন্য অনেক দেশের ওপর আরও বেশি হারে শুল্ক বসিয়েছে। এটি মিসরের জন্য বড় সুযোগ এনে দিচ্ছে।
চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামকে মিসরের প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে উল্লেখ করে তোলবা বলেন, ‘সুযোগটা একেবারে চোখের সামনে। এখন আমাদের শুধু এটাকে কাজে লাগাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে তুরস্কের লোহা, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন অন্য দেশগুলোর ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে তুলনামূলকভাবে লাভবান হতে পারে। তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাত এই শুল্ক পরিস্থিতিকে ‘সবচেয়ে খারাপের মধ্যে সেরা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, অন্য অনেক দেশের তুলনায় তুরস্কের ওপর শুল্কের হার অপেক্ষাকৃত কম।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মরক্কোর একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এশিয়ার সাবেক শক্তিধর অর্থনৈতিক দেশগুলোর ক্ষতির মধ্যে আপাতভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির। একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক এখন মরক্কোর জন্য একটি সুযোগ হয়ে এসেছে। যেসব বৈদেশিক বিনিয়োগকারী যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করতে চান, তাঁদের জন্য ১০ শতাংশ শুল্ক তুলনামূলক আকর্ষণীয় হতে পারে।
তবে ওই কর্মকর্তা ও অন্যান্য বিশ্লেষক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। সম্প্রতি চীনা কোম্পানি গোশন হাইটেক ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় বিনিয়োগ করছে মিসরে। এই টাকায় আফ্রিকার প্রথম গিগাফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হবে। এটি ট্রাম্প ভালোভাবে না-ও নিতে পারেন।
মরক্কোর ইনস্টিটিউট ফর পলিসি অ্যানালাইসিসের অর্থনীতিবিদ রাশিদ আওররাজ বলেন, ‘মরক্কোর সিংহভাগ রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে না হলেও শুল্কের সামগ্রিক ধাক্কা এবং মন্দার আশঙ্কা আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্তে থাকা কেনিয়ার ওপর তুলনামূলকভাবে কম শুল্ক আরোপ হলেও দেশটিতে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে; বিশেষ করে টেক্সটাইল উৎপাদকেরা আশাবাদী যে মোটা শুল্কে জর্জরিতদের তুলনায় তাঁরা একটু বেশি সুবিধা নিতে পারবেন।
একই ধরনের উদ্বেগ সিঙ্গাপুরেও দেখা যাচ্ছে। গতকাল সোমবার দেশটির শেয়ারবাজারে সূচক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ পড়ে গেছে, যা ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বড় পতন। আজ মঙ্গলবারও এই পতন অব্যাহত ছিল।
ওসিবিসি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ সেলেনা লিং বলেন, বিনিয়োগকারীরা বিকল্প হিসেবে সিঙ্গাপুরের মতো জায়গায় যেতে পারেন; কিন্তু এখানে এখনো স্থানীয় উৎপাদন ও কনটেন্ট-সম্পর্কিত কঠোর নীতিমালা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেলে আদতে কেউই জয়ী হবে না—সবই আপেক্ষিক।
মেব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ চুয়া হাক বিন বলেন, সিঙ্গাপুর বিশ্ব বাণিজ্যযুদ্ধে জিততে পারবে না; কারণ, দেশটি বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।
এদিকে ভারত ২৬ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়লেও এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। রয়টার্সের হাতে আসা এক সরকারি মূল্যায়নে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল, পোশাক ও পাদুকা খাতে অংশীদারত্ব বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির।
শুল্ক ঘোষণার পরপরই ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতির কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য সুযোগগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তারা অ্যাপলের আইফোন উৎপাদনের আরও বড় অংশ চীন থেকে ভারতে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কারণ, শুল্ক পার্থক্য সুবিধা এনে দিতে পারে। যদিও ২৬ শতাংশ শুল্কেও যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের দাম বেশ বাড়বে।
দক্ষিণ আমেরিকা এখনো রপ্তানির জন্য ও শস্য জাতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। সেখানেও আশাবাদ দেখা যাচ্ছে যে এই শুল্ক-সংকটের ফলে মার্কোসার ব্লক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বহুপ্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি নতুন করে আলোচনায় আসতে পারে।
ব্রাজিল এই আলোচনায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের বাদ দিয়ে ব্রাজিল থেকে বেশি সয়াবিন ও ভুট্টা কিনেছিল—তেমনটি আবারও ঘটতে পারে।
লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকো অতীতে ট্রাম্পের রোষানলে পড়েছিল, এবার তুলনামূলক ভালোভাবেই রক্ষা পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসএমসিএ) চুক্তির কারণে তাদের বেশির ভাগ বাণিজ্যই সুরক্ষিত রয়েছে।
তবে আরবিসি ব্লুবের ইমার্জিং মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট গ্রাহাম স্টক বলেন, মেক্সিকান সম্পদগুলো এখন অন্যদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। আর দিনশেষে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের অর্থনীতির বিরুদ্ধেই এক বড় আত্মঘাতী পদক্ষেপ।
আরও খবর পড়ুন:

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানা ছিল চীন, তবে শিকার হলো প্রায় সবাই। তাঁর নতুন শুল্কনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো অনেক ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে ‘কারও পৌষ মাস, আর কারও সর্বনাশ’ প্রবাদটি যেন ফলছে এখানে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই শুল্কযুদ্ধের ফসল
০৮ এপ্রিল ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানা ছিল চীন, তবে শিকার হলো প্রায় সবাই। তাঁর নতুন শুল্কনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো অনেক ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে ‘কারও পৌষ মাস, আর কারও সর্বনাশ’ প্রবাদটি যেন ফলছে এখানে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই শুল্কযুদ্ধের ফসল
০৮ এপ্রিল ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানা ছিল চীন, তবে শিকার হলো প্রায় সবাই। তাঁর নতুন শুল্কনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো অনেক ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে ‘কারও পৌষ মাস, আর কারও সর্বনাশ’ প্রবাদটি যেন ফলছে এখানে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই শুল্কযুদ্ধের ফসল
০৮ এপ্রিল ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানা ছিল চীন, তবে শিকার হলো প্রায় সবাই। তাঁর নতুন শুল্কনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো অনেক ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে ‘কারও পৌষ মাস, আর কারও সর্বনাশ’ প্রবাদটি যেন ফলছে এখানে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই শুল্কযুদ্ধের ফসল
০৮ এপ্রিল ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে