Ajker Patrika

গত অর্থবছরে বিমানের মুনাফা ২৮২ কোটি টাকা

গত অর্থবছরে বিমানের মুনাফা ২৮২ কোটি টাকা

জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিগত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১০ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। গত মাসে অনুষ্ঠিত বিমানের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আয়-ব্যয়ের এই হিসাব প্রকাশ করা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, এই সময়ে বিমান এক হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে। তবে এক্সচেঞ্জ লস ও ট্যাক্স পরবর্তী ২৮২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জিত হয়েছে।

গত ২১ ডিসেম্বর বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিমান পরিচালনা পর্ষদের সব সদস্যরা ছাড়াও শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এজিএমে জানানো হয়, কোভিড মহামারির পর টানা চতুর্থবারের মতো লাভের ধারা অব্যাহত রেখেছে বিমান এবং সর্বশেষ ১০ অর্থবছরে ৮ বারই নিট মুনাফা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২১টি উড়োজাহাজের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ৩০টি গন্তব্যে মোট ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় এক লাখ বেশি। এছাড়া ৪৩ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন কার্গো পরিবহন করে ৬৩৭ কোটি টাকা আয় করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩ লাখ ৫০ হাজার ২২২ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডেল করে যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৩.১ শতাংশ বেশি। বিমান বিদেশি ৩২টি যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্স ও ১৭টি কার্গো এয়ারলাইন্সকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবা প্রদান করেছে। এ অর্থবছরে বিদেশি এয়ারলাইন্সের ৩৩ হাজার ২৯৭টি ফ্লাইটের ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৬০ জন যাত্রীকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদান করা হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান দাবি করেছে, গত ৫৩ বছরে বিমান সরকার থেকে কোনো প্রকার ভর্তুকি গ্রহণ করেনি। সম্পূর্ণ নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩টি নতুন উড়োজাহাজ ক্রয় বাবদ (লোন ও সুদসহ) নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ ১০৫ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গত অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। আজ রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নভেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করেছে।

বিবিএসের তথ্য মতে, নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি আগের মাসের তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। অক্টোবর মাসে তা ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ০৮ শতাংশ। টানা দুই মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। যেখানে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৮০ ও ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

তিন বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে বাড়তি করের মতো। প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই যদি সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়, এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আয় না বাড়লে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয় কিংবা খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হয়। মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিটিআরসির সামনের সড়ক অবরোধ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিটিআরসির সামনে সড়ক অবরোধ করেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিটিআরসির সামনে সড়ক অবরোধ করেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রক্রিয়ার সংস্কার, বাজারে একচেটিয়া সিন্ডিকেট বিলোপ এবং সবার জন্য মোবাইল ফোন আমদানির উন্মুক্ত সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ’ (এমবিসিবি)-এর ব্যানারে ব্যবসায়ীরা বিটিআরসি ভবনের সামনে জড়ো হন। এই অবরোধের ফলে সড়কের একপাশের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে, যার জেরে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বিক্ষোভকারী মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, তাঁরা কোনোভাবেই এনইআইআর ব্যবস্থা চালুর বিরোধী নন। তবে এই ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়নের জন্য কিছু মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। তাঁদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

এনইআইআর সংস্কার: দেশের মোবাইল ফোন ব্যবসার ৭০ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার যাদের হাতে, শুধু তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে সব ব্যবসায়ীর সঙ্গে বসে আলোচনা করে এনইআইআর চালু করা।

ন্যায্য করনীতি: মুক্ত বাণিজ্যের স্বার্থে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে ন্যায্য করনীতি প্রণয়ন।

সিন্ডিকেট বিলোপ: একচেটিয়া সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ করে বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিটিআরসির সামনে সড়ক অবরোধ করেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিটিআরসির সামনে সড়ক অবরোধ করেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্যবসায়ী নেতারা অভিযোগ করেন, এই প্রক্রিয়ার কিছু সংস্কার, ন্যায্য করনীতি প্রণয়ন, একচেটিয়া সিন্ডিকেট বিলোপ এবং মুক্ত বাণিজ্যের স্বার্থে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তাঁদের কিছু দাবি ও প্রস্তাব রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারকে তাঁরা তাঁদের ব্যাখ্যা জানাতে চেয়েছেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিশাল সংখ্যক ব্যবসায়ীর কথা না শুনেই একতরফা এনইআইআর চালু করতে যাচ্ছে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিটিআরসির সামনে সড়ক অবরোধ করেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিটিআরসির সামনে সড়ক অবরোধ করেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এমবিসিবির সহসভাপতি শামীম মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা নিয়মের মধ্যে থেকেই ব্যবসা করতে চাই। আমাদের বঞ্চিত করে একটি গোষ্ঠীর হাতে সম্পূর্ণ ব্যবসা তুলে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে, আমরা এর অবসান চাই। যদি আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তবে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রণোদনায় বাড়ছে তুলা চাষ

জাহিদ হাসান, যশোর 
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২০
তুলা চাষ এখন অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় এতে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। যশোরের ঝিকরগাছার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
তুলা চাষ এখন অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় এতে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। যশোরের ঝিকরগাছার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে পোশাকশিল্প এখনো রপ্তানি আয়ের প্রধান ভিত্তি; অথচ সেই শিল্পের কাঁচামাল তুলার প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশে। বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হয় মাত্র ২ লাখ বেল, ফলে বাকি চাহিদা আমদানির ওপরই নির্ভরশীল। এই আমদানি চাপ কমাতে এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে সরকার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ১৩টি জোনে চাষ সম্প্রসারণ, আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ, কৃষকের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রণোদনা নিশ্চিত করার কার্যক্রম জোরদার করেছে। কৃষিজমি কমলেও তুলা চাষের জমি, উৎপাদন ও চাষির সংখ্যা যে বাড়ছে, তা এসব উদ্যোগের বাস্তব অগ্রগতি ফুটিয়ে তোলে।

কৃষকেরা বলছেন, তুলা চাষ এখন অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে লাভজনক। প্রতি বিঘায় খরচ পড়ে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা, কিন্তু লাভ হয় তিন-চার গুণ। বড় সুবিধা হলো, তুলা খেতেই বিক্রি হয়ে যায়। পাশাপাশি তুলার সঙ্গে আন্তফসল হিসেবে বেগুন, মুলা, হলুদসহ নানা শাকসবজি চাষ করে মৌসুমে অতিরিক্ত আয় করা যায়। এসব ফসল সারির ফাঁকে বেড়ে ওঠায় আলাদা জমি বা অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রয়োজন হয় না, বরং এক মৌসুমে দ্বিগুণ আয়ের সুযোগ তৈরি হয়। ফলে তুলা চাষে কৃষকের আগ্রহ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাড়ছে।

বর্তমানে দেশে চর কটন, হিল কটন, আপল্যান্ড কটন এবং বরেন্দ্র অঞ্চলে উপযোগী ড্রাউট কটন—এই চার ধরনের তুলার চাষ হচ্ছে। প্রতিটি অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী জাত উন্নয়ন, প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড। তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় রয়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাহত না করে ২০৪০ সালের মধ্যে তুলা চাষের পরিমাণ ২ লাখ হেক্টরে উন্নীত করা, চাষির সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখে তোলা এবং বছরে ১৫ লাখ ৮০ হাজার বেল উৎপাদন অর্জন করা।

এই জাতীয় পরিকল্পনার সবচেয়ে শক্তিশালী কেন্দ্র যশোর জোন; যেখানে যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা মিলিয়ে এই মৌসুমে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়েছে। শুধু এ জোনেই ১৩ হাজার কৃষক তুলা চাষে যুক্ত, আর ২ হাজার ৬০০ কৃষকের কাছে পৌঁছেছে প্রণোদনার বীজ, সার, কীটনাশক ও প্রশিক্ষণ। চলতি মৌসুমে সারা দেশে ১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সরকারনির্ধারিত মণপ্রতি চার হাজার টাকা দাম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ঝিকরগাছার তুলাচাষি শহিদুল ইসলাম মনে করেন, দীর্ঘ চাষচক্র বিবেচনায় দাম আরও বাড়ানো দরকার।

যশোর জোনের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এই অঞ্চলে চাষির সংখ্যা ১৫ হাজারে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে এবং ফলনও দ্রুত বাড়ছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমীন বলেন, সারা দেশে বর্তমানে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হচ্ছে। এতে যুক্ত আছেন ৭৪ হাজার কৃষক, আর প্রণোদনা পেয়েছেন ২১ হাজার। উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার বেল; পরের মৌসুমে তা ৫০ হাজার হেক্টরে আড়াই লাখ বেলে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তুলাবীজ থেকে ভোজ্যতেল এবং অয়েল কেক উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্প খাতেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক এ এস এম গোলাম হাফিজ মনে করেন, তুলা চাষের জন্য আলাদা ঋণব্যবস্থা চালু হলে উৎপাদন ও আবাদ—দুটোই দ্রুত বাড়বে। সরকারের বর্তমান উদ্যোগ এবং কৃষকের বাড়তি আগ্রহ ভবিষ্যতে দেশের তুলা উৎপাদনকে আমদানিনির্ভরতা কমানোর বাস্তব সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লভ্যাংশ নেবেন না ৩৯ কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
লভ্যাংশ নেবেন না ৩৯ কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালক

২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৯টি কোম্পানি শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তা, পরিচালকদের বড় বিনিয়োগ থাকলেও এবারের লভ্যাংশ থেকে তাঁরা নিজেদের অংশ নেবেন না।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও বাজারে আস্থা ধরে রাখতে উদ্যোক্তাদের এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।

তবে অনেকেই মনে করেন, কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পরিচালকেরা লভ্যাংশ না নেওয়ার পেছনে অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে।

বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, উদ্যোক্তা, পরিচালকেরা তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে নানা সুবিধা ভোগ করেন। গৃহস্থালি খরচ, বাজার, কর্মচারী বা বুয়ার বেতনসহ বিভিন্ন ব্যয় প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে। ফলে লভ্যাংশ না নেওয়ার বিষয়টি তাঁদের জন্য বড় ত্যাগ নয়; অন্য সুবিধা থেকেই তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।

ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, বাধ্যবাধকতা না থাকলে অনেক কোম্পানি হয়তো নগদ লভ্যাংশই দিত না। শুধু বোনাস দিয়ে ক্যাটাগরি বজায় রাখার চেষ্টা করত।

বর্তমানে লভ্যাংশ ঘোষণায় নগদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি রয়েছে। কৃত্রিমভাবে মুনাফা বাড়িয়ে বোনাস শেয়ার দেওয়া গেলেও নগদ দেওয়ার সুযোগ কম। এ কারণে সক্ষমতার অভাব থাকা অনেক প্রতিষ্ঠান শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

এক কোম্পানির সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক কোম্পানির মালিকপক্ষ নিজেরাই শেয়ারের ব্যবসা করেন। বাস্তবে মুনাফা কম হলেও আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুতের সময় তা বেশি দেখান। ফলে হিসাব অনুযায়ী লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা দেখা গেলেও বাস্তবে তা থাকে না। তাই উদ্যোক্তা-পরিচালকদের বাদ দিয়ে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।

শীর্ষ পাঁচের কে কত লভ্যাংশ দেবে

সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন। ১ টাকা ৭১ পয়সা ইপিএসের বিপরীতে কোম্পানি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দেবে ২০ শতাংশ বা ২ টাকা। অর্থাৎ ইপিএসের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেবে। বাকি টাকা রিজার্ভ থেকে দেওয়া হবে।

সোনালি লাইফের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা। কোম্পানি লভ্যাংশ দেবে ১৫ শতাংশ বা ১ টাকা ৫০ পয়সা।

নাভানা ফার্মা মুনাফার বড় একটা অংশ কোম্পানিতে রেখে দিতে চায়। কোম্পানির ইপিএস হয়েছে সাড়ে ৪ টাকা; কিন্তু লভ্যাংশ দেবে ১৪ শতাংশ বা ১ টাকা ৪০ পয়সা করে।

ফাইন ফুডসও মুনাফার বড় একটা অংশ রিজার্ভে রাখতে চায়। ৪ টাকা ১৮ পয়সা ইপিএসের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ১৪ শতাংশ বা ১ টাকা ৪০ পয়সা।

এমকে ফুটওয়্যার ১ টাকা ৮৩ পয়সার বিপরীতে ১২ শতাংশ বা ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। এ ছাড়া ৩৪টি কোম্পানি কেবল শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেবে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, লভ্যাংশ ঘোষণার এখতিয়ার কোম্পানির নিজের। আইনের বরখেলাপ না হলে এবং বিনিয়োগকারীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন না হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত