Ajker Patrika

অর্থনীতির চিত্র এতটা নৈরাশ্যজনকও নয়, যতটা আশঙ্কা করা হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে অগ্রগতি হয়নি। স্থিতিশীলতার জন্য ভর্তুকি কমানো এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আইএমএফ মিশনপ্রধানের মূল্যায়ন বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আইএমএফ যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা একেবারে অমূলক নয়। তবে বাস্তব চিত্র এতটা নৈরাশ্যজনকও নয়, যতটা আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাংবাদিকদের আলাপকালে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গ্লোমি নয়, বরং চ্যালেঞ্জিং। তিনি মনে করেন, সঠিক নীতি ও পদক্ষেপের মাধ্যমে সংকট সামাল দেওয়া সম্ভব। বিশেষত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি জরুরি। অর্থনীতি দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো থাকায় দীর্ঘ মেয়াদে ইতিবাচক ফল আশা করা যায়।

আইএমএফের ১১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ও ৩ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে মতামত জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রবৃদ্ধি কমার বিষয়ে তিনি আইএমএফের সঙ্গে একমত। তবে তিনি আশাবাদী, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাঁর মতে, ইয়ার অন ইয়ার ভিত্তিতে ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ এবং গড় মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অর্থ উপদেষ্টা আইএমএফ ব্যাংকিং খাত সংস্কার, খেলাপি ঋণ কমানো, সম্পদের গুণগত মান পুনর্মূল্যায়ন এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুশাসন জোরদার করার ওপর জোর দিয়েছেন। এ ছাড়া ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর লক্ষ্যে আইএমএফ অপ্রয়োজনীয় করমুক্তি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে কিছু করমুক্তি বাতিল করেছি এবং বিদ্যমান কর-প্রণোদনার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছি। ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে বলেছি। তাই ট্যাক্স ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করতে অটোমেশন ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে, যাতে করদাতা ও করগ্রহীতার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের প্রয়োজন না হয়।’

আইএমএফ করনীতি প্রণয়ন এবং কর আহরণের দায়িত্ব পৃথক করারও পরামর্শ দিয়েছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এনবিআরকে পৃথক করার নীতিমালা উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে। এই নীতির অধীনে ট্যাক্স পলিসি এবং ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পৃথক বিভাগ হিসেবে কাজ করবে এবং প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা সচিব দায়িত্বে থাকবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন ফেডারেল সংস্থার

চীনের আগে ভারত সফরে যেতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস: দ্য হিন্দুকে প্রেস সচিব

ভারত নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রিকশাচালকের সঙ্গে তর্ক, বাংলাদেশিকে ফেরত

ভারতকে ভয়ংকর মাদক ফেন্টানিলের কাঁচামাল সরবরাহকারী বলল তুলসী গ্যাবার্ডের দপ্তর

বাংলাদেশকে ‘ধন্যবাদ’ দিয়ে রাফিনহাকে বিনয়ী হতে বললেন এনজো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত