Ajker Patrika

আলু–পেঁয়াজের দাম কমেছে, ভোজ্যতেলে অস্বস্তি

  • নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি
  • দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০-১১০ টাকা
  • দাম বাড়ানোর পরও সরবরাহ কম ভোজ্যতেলের
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাজারে নতুন আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, এতে দামও কিছুটা কমেছে। রাজধানীর বাজারগুলোয় নতুন আলুর দাম গত এক সপ্তাহে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। তবে পুরোনো আলু ও পেঁয়াজের দাম আগের মতোই রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মানিকনগর, সেগুনবাগিচা, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে তিন ধরনের আলু বিক্রি হতে দেখা যায়—দেশি ও আমদানি করা পুরোনো আলু এবং নতুন দেশি আলু।

এর মধ্যে পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে নতুন আলু কিনতে হয়েছে কেজিপ্রতি ১২০-১৩০ টাকায়।

এ ছাড়া চার ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায় বাজারে। এগুলোর মধ্যে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ১০০-১২০ টাকা ছিল। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা কেজি, এক সপ্তাহ আগে যা ১২০-১৩০ টাকা কেজি ছিল। এ ছাড়া বাছাই করা কিছু দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজি। বাজারে পাতাসহ মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, এগুলোর দাম কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকা রাখছেন বিক্রেতারা।

পাইকারি বাজারগুলোয় এসব পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। গতকাল শ্যামবাজারে পাইকারিতে নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৭০-৭২ টাকা কেজি। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫-৭৬ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি।

দেশে মূলত আলু ও পেঁয়াজের মূল মৌসুম শুরু হয় জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে এর মধ্যে আগাম জাতের কিছু আলু ও পেঁয়াজ চাষ করেন উত্তরাঞ্চলের চাষিরা। এগুলো পরিমাণে অল্প হলেও বাজারে দামের উত্তাপকে কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

রাজধানীর রামপুরা বাজারের সবজি ও পেঁয়াজ বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে দ্বিগুণ বেড়েছে। কারণ, আমদানির সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় আগাম জাতের পণ্যও বাজারে আসছে। এই আগাম আলু-পেঁয়াজ শেষ হলেই মূল মৌসুমের পণ্য চলে আসবে। তাই এখন আর আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে কতটা কমবে, তা কৃষকের উৎপাদন খরচের ওপর নির্ভর করবে।

আলু ও পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমলেও সবজির দাম কমছে খুবই ধীরগতিতে।

বাজারে টমেটোর কেজি এখনো ১৩০-১৫০ টাকা কেজি। অথচ শীতের অন্যান্য সবজির মতো দেশি টমেটোর সরবরাহও বেড়েছে।

রাজধানীর মানিকনগর বাজারের ক্রেতা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, সরকার বাজার ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাচ্ছে। একটার দাম কমলে আরেকটা বেড়ে যাচ্ছে। যেসব পণ্যের দাম কমছে, তাতে সরকারের তেমন কোনো কৃতিত্ব নেই। সরবরাহ বাড়তে থাকায় কমছে। কিন্তু দাম কমার এই স্বস্তি ক্রেতা ভোগ করতে পারছে না। যথাযথ সরকারি উদ্যোগের কারণে কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে, কিছু পণ্যের ঘাটতি হচ্ছে।

বাজার তথ্য বলছে, দু-একটি ব্যতীত এখনো ৮০ টাকা কেজির নিজে সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারে শিম বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, শালগম ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৮০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, উচ্ছে ১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা ও লাউ ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে এসব সবজির মধ্যে বেগুন, কাঁচা টমেটো, ক্ষীরা, বাঁধাকপি ও ফুলকপির মতো গুটিকয়েক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমলেও বাকিগুলো আগের মতোই রয়েছে।

বাজারের বিক্রেতা নূর আলম বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোয় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ট্রাক ঢুকতে না দেওয়া। বিশেষ করে কারওয়ান বাজারে সবজির ট্রাক ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাট ভাঙা থাকায় যাতায়াতের ভাড়াও বেশি লাগছে। এসব খরচ সবজির সঙ্গে সমন্বয় করছেন বিক্রেতারা। তাই দাম কিছুটা বাড়তি।

এদিকে দাম বাড়ার তিন দিন পরও ভোজ্যতেলের সরবরাহ না বাড়ায় অস্বস্তিতে রয়েছেন বিক্রেতারা। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোয় এখনো ভোজ্যতেলের সরবরাহ দেননি ব্র্যান্ড কোম্পানির প্রতিনিধিরা। অথচ গত সোমবার প্রতি লিটার তেলের দাম ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

সেগুনবাগিচা বাজারের পাঁচটি মুদিদোকানের একটিতেও সয়াবিন তেল নেই। শুধু একটা দোকানে ৫ লিটারের পাম তেলের বোতল পাওয়া গেল।

গতকাল দুপুরে রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এক বিক্রেতা রিকশায় করে ৫ লিটারের চার কার্টন তেল নিয়ে এসেছেন। মো. তৌহিদ নামের ওই বিক্রেতা বলেন, ‘কোম্পানির লোকজন তেলের সরবরাহ না দেওয়ায় ঠাটারিবাজার থেকে রিকশায় করে এই তেলগুলো কিনে আনলাম। গায়ের মূল্য ৮৫০ টাকা আর আমি কিনে আনলাম ৮৪০ টাকায়। লিটারে যে ২ টাকা কম রেখেছে, তা রিকশাভাড়াতেই চলে গেছে। এখন এই তেল বিক্রি করে আমার কোনো লাভ থাকবে না। তারপরও ক্রেতা ধরে রাখতে এই পরিশ্রম করতে হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’

সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনবিআর কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে টাকা দাবি, সতর্কবার্তা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’

জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল আরও ৫৭ হাজার টন গম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের হাতে উপহার হস্তান্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ওয়ালটন পণ্য কিনে ফ্রিজ, টিভি উপহার পাওয়া ক্রেতাদের সঙ্গে চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ওয়ালটন পণ্য কিনে ফ্রিজ, টিভি উপহার পাওয়া ক্রেতাদের সঙ্গে চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন—পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুন কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতিন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।

গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দর নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।

উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাতের। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।

আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগতমানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।

অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।

কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত