শাহ আলম খান, ঢাকা

পুঁজিবাজারে পুঁজির সংকট দিন দিন আরও গভীর হয়ে উঠছে। পুরোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় নিঃশেষ। বাজারে প্রাণ ফেরাতে তাঁরা অপেক্ষা করছেন নতুন ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির আগমনের দিকে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা দীর্ঘ সময় ধরে রয়ে গেছে পূর্ণতার ঊর্ধ্বে। একটানা ১৩ মাসে একটি নতুন কোম্পানিও তালিকাভুক্ত হয়নি, যা দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে নজিরবিহীন শূন্যতা।
এই স্থবিরতায় বন্ধ হয়ে আছে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও)-ভিত্তিক নতুন বিনিয়োগের পথ। অথচ ব্যাংকব্যবস্থার বাইরে জনগণের সঞ্চিত পুঁজি আহরণের অন্যতম ভরসাস্থল হিসেবে পুঁজিবাজারের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু নতুন কোম্পানি না আসায় সেই পথও কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, করপোরেট বন্ড, ট্রেজারি বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড বাদে বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩৬৮টি। এর মধ্যে সর্বশেষ আইপিও এসেছিল ২০২৪ সালের জুনে, টেকনো ড্রাগস কোম্পানির। এরপর ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত আর কোনো নতুন কোম্পানি বাজারে আসেনি। এ ধরনের দীর্ঘশ্বাস আগে দেখা যায়নি।
এই শূন্যতার ছাপ পড়েছে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণেও। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই যেখানে বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৫১টি, ২০২৫ সালের একই দিনে তা নেমে এসেছে ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৭-এ। এক বছরে হারিয়ে গেছে প্রায় ৫৯ হাজার হিসাব, যা স্পষ্ট করে দিচ্ছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কতটা টালমাটাল।
এ অবস্থায় সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লাভজনক সরকারি কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সেই প্রক্রিয়াও এগোচ্ছে ধীরগতিতে। কবে নাগাদ বাজারে গুণগত মানসম্পন্ন নতুন কোম্পানি আসবে, তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না। সর্বশেষ ২১ জুলাই রেল ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডকে তালিকাভুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু বাস্তবায়নের সময়সীমা এখনো অনিশ্চিত।
বিশ্লেষকদের মতে, লাভজনক সরকারি কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি হলে বাজারে তারল্য বাড়বে এবং বিনিয়োগকারীদের নতুন আশার দিগন্ত খুলে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে দীর্ঘ সময় আইপিও নেই, ফলে প্রাইমারি মার্কেটে বিনিয়োগের সুযোগও নেই। ভালো কোম্পানি এলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।’ তবে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, এই মুহূর্তে তালিকাভুক্তির জন্য প্রস্তুত ভালো সরকারি কোম্পানি কয়টি?
অন্যদিকে, সম্প্রতি যেসব নতুন কোম্পানি আইপিওতে এসেছে, তাদের অনেকে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। প্রথম দিকে বড় লভ্যাংশ দিয়ে শুরু করলেও কিছু কোম্পানি পরে তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ক্যাটাগরি নেমে গেছে নিচে এবং শেয়ারের দর ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে এসেছে। টেকনো ড্রাগস, বেস্ট হোল্ডিংস, শিকদার ইনস্যুরেন্স ও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের মতো কোম্পানির শেয়ারের পতন বিনিয়োগকারীদের আশার বদলে আশঙ্কায় ফেলেছে।
একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বলেন, ‘আগে আইপিও মানেই নিশ্চিত লাভ ছিল। এখন কোম্পানি যাচাই না করে লগ্নি করা মানেই ধরা খাওয়া।’
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা আগে দুর্বল কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়ে ভুল করেছি। এখন আর মানের প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই।’ তবে বিএসইসির এই কড়াকড়িতে ভালো অনেক কোম্পানিও নিরুৎসাহিত হচ্ছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ওই কর্মকর্তা।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের সিইও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নীতির স্থায়িত্ব না থাকায় বিনিয়োগকারীরা আস্থা পান না।’ তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘তিতাস গ্যাস তালিকাভুক্তির পর নীতিমালার পরিবর্তনে কোম্পানির আয় কমে যায়। এর ফলে শেয়ারের দাম ৭০ টাকা থেকে নেমে আসে ৪০ টাকায়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য আল-আমিন বলেন, ‘আগে আইপিও প্রক্রিয়া ছিল খুব ধীর। আমরা সংস্কারের সুপারিশ করেছি। কমিশন কিছুটা সক্রিয় হলেও, বাস্তবে ভালো কোম্পানি আনতে হলে আরও আন্তরিকতা জরুরি।’
এ প্রসঙ্গে বিএসইসির কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘সরকারি মালিকানাধীন ও অংশীদারত্বে থাকা কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে শিল্প, বাণিজ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে।’ তিনি বলেন, ‘কমপ্লায়েন্স ও করপোরেট গভর্ন্যান্স নিশ্চিত করা গেলে ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পাবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের মূল কাজ।’

পুঁজিবাজারে পুঁজির সংকট দিন দিন আরও গভীর হয়ে উঠছে। পুরোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় নিঃশেষ। বাজারে প্রাণ ফেরাতে তাঁরা অপেক্ষা করছেন নতুন ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির আগমনের দিকে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা দীর্ঘ সময় ধরে রয়ে গেছে পূর্ণতার ঊর্ধ্বে। একটানা ১৩ মাসে একটি নতুন কোম্পানিও তালিকাভুক্ত হয়নি, যা দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে নজিরবিহীন শূন্যতা।
এই স্থবিরতায় বন্ধ হয়ে আছে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও)-ভিত্তিক নতুন বিনিয়োগের পথ। অথচ ব্যাংকব্যবস্থার বাইরে জনগণের সঞ্চিত পুঁজি আহরণের অন্যতম ভরসাস্থল হিসেবে পুঁজিবাজারের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু নতুন কোম্পানি না আসায় সেই পথও কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, করপোরেট বন্ড, ট্রেজারি বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড বাদে বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩৬৮টি। এর মধ্যে সর্বশেষ আইপিও এসেছিল ২০২৪ সালের জুনে, টেকনো ড্রাগস কোম্পানির। এরপর ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত আর কোনো নতুন কোম্পানি বাজারে আসেনি। এ ধরনের দীর্ঘশ্বাস আগে দেখা যায়নি।
এই শূন্যতার ছাপ পড়েছে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণেও। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই যেখানে বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৫১টি, ২০২৫ সালের একই দিনে তা নেমে এসেছে ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৭-এ। এক বছরে হারিয়ে গেছে প্রায় ৫৯ হাজার হিসাব, যা স্পষ্ট করে দিচ্ছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কতটা টালমাটাল।
এ অবস্থায় সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লাভজনক সরকারি কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সেই প্রক্রিয়াও এগোচ্ছে ধীরগতিতে। কবে নাগাদ বাজারে গুণগত মানসম্পন্ন নতুন কোম্পানি আসবে, তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না। সর্বশেষ ২১ জুলাই রেল ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডকে তালিকাভুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু বাস্তবায়নের সময়সীমা এখনো অনিশ্চিত।
বিশ্লেষকদের মতে, লাভজনক সরকারি কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি হলে বাজারে তারল্য বাড়বে এবং বিনিয়োগকারীদের নতুন আশার দিগন্ত খুলে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে দীর্ঘ সময় আইপিও নেই, ফলে প্রাইমারি মার্কেটে বিনিয়োগের সুযোগও নেই। ভালো কোম্পানি এলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।’ তবে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, এই মুহূর্তে তালিকাভুক্তির জন্য প্রস্তুত ভালো সরকারি কোম্পানি কয়টি?
অন্যদিকে, সম্প্রতি যেসব নতুন কোম্পানি আইপিওতে এসেছে, তাদের অনেকে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। প্রথম দিকে বড় লভ্যাংশ দিয়ে শুরু করলেও কিছু কোম্পানি পরে তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ক্যাটাগরি নেমে গেছে নিচে এবং শেয়ারের দর ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে এসেছে। টেকনো ড্রাগস, বেস্ট হোল্ডিংস, শিকদার ইনস্যুরেন্স ও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের মতো কোম্পানির শেয়ারের পতন বিনিয়োগকারীদের আশার বদলে আশঙ্কায় ফেলেছে।
একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বলেন, ‘আগে আইপিও মানেই নিশ্চিত লাভ ছিল। এখন কোম্পানি যাচাই না করে লগ্নি করা মানেই ধরা খাওয়া।’
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা আগে দুর্বল কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়ে ভুল করেছি। এখন আর মানের প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই।’ তবে বিএসইসির এই কড়াকড়িতে ভালো অনেক কোম্পানিও নিরুৎসাহিত হচ্ছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ওই কর্মকর্তা।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের সিইও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নীতির স্থায়িত্ব না থাকায় বিনিয়োগকারীরা আস্থা পান না।’ তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘তিতাস গ্যাস তালিকাভুক্তির পর নীতিমালার পরিবর্তনে কোম্পানির আয় কমে যায়। এর ফলে শেয়ারের দাম ৭০ টাকা থেকে নেমে আসে ৪০ টাকায়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য আল-আমিন বলেন, ‘আগে আইপিও প্রক্রিয়া ছিল খুব ধীর। আমরা সংস্কারের সুপারিশ করেছি। কমিশন কিছুটা সক্রিয় হলেও, বাস্তবে ভালো কোম্পানি আনতে হলে আরও আন্তরিকতা জরুরি।’
এ প্রসঙ্গে বিএসইসির কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘সরকারি মালিকানাধীন ও অংশীদারত্বে থাকা কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে শিল্প, বাণিজ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে।’ তিনি বলেন, ‘কমপ্লায়েন্স ও করপোরেট গভর্ন্যান্স নিশ্চিত করা গেলে ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পাবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের মূল কাজ।’

দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল...
৪ ঘণ্টা আগে
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। পাশাপাশি, সকল শিল্প এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকে নিরবচ্ছিন্ন ও টেকসই করতে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে উৎপাদন কার্যক্রম বাধাহীনভাবে চলতে পারে।
গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁরা বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, শিল্পের প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া অত্যাবশ্যক।
সভায় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের উৎপাদনশীল শিল্পকে শক্তিশালী রাখতে সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখা, সুষ্ঠু উৎপাদন ও কার্যক্রম নিশ্চিত করতে মসৃণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। আয়বৈষম্য কমানো এবং টেকসই এমএসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার, শিক্ষাবিদ ও শিল্পের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। বিসিআই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে শিল্পের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করছে, যাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, শিল্প প্রতিযোগিতামূলক থাকে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্যাট ও করকাঠামো সহজ, উদ্যোক্তাবান্ধব ও উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে লক্ষ্য করেই তৈরি হওয়া উচিত। তাঁরা আরও বলেন, পণ্য টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াকে উদ্যোক্তাবান্ধব করা, নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। এসব পদক্ষেপ দেশীয় শিল্পে নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা ধরে রাখবে।
সভায় শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এবং সাবেক সভাপতি এ টি এম ওয়াজিউল্লাহর জন্য। এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সভা পরিচালনা করেন বিসিআই সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন। সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী, বিগত ৩৮তম সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিসিআই কার্যক্রম ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অডিটেড হিসাব অনুমোদন এবং নতুন অডিটর নিয়োগের বিষয়ও অনুমোদিত হয়। সভায় অংশ নেন বিসিআই সদস্য ও সাবেক নেতা শাহেদুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা।

দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। পাশাপাশি, সকল শিল্প এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকে নিরবচ্ছিন্ন ও টেকসই করতে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে উৎপাদন কার্যক্রম বাধাহীনভাবে চলতে পারে।
গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁরা বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, শিল্পের প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া অত্যাবশ্যক।
সভায় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের উৎপাদনশীল শিল্পকে শক্তিশালী রাখতে সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখা, সুষ্ঠু উৎপাদন ও কার্যক্রম নিশ্চিত করতে মসৃণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। আয়বৈষম্য কমানো এবং টেকসই এমএসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার, শিক্ষাবিদ ও শিল্পের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। বিসিআই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে শিল্পের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করছে, যাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, শিল্প প্রতিযোগিতামূলক থাকে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্যাট ও করকাঠামো সহজ, উদ্যোক্তাবান্ধব ও উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে লক্ষ্য করেই তৈরি হওয়া উচিত। তাঁরা আরও বলেন, পণ্য টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াকে উদ্যোক্তাবান্ধব করা, নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। এসব পদক্ষেপ দেশীয় শিল্পে নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা ধরে রাখবে।
সভায় শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এবং সাবেক সভাপতি এ টি এম ওয়াজিউল্লাহর জন্য। এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সভা পরিচালনা করেন বিসিআই সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন। সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী, বিগত ৩৮তম সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিসিআই কার্যক্রম ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অডিটেড হিসাব অনুমোদন এবং নতুন অডিটর নিয়োগের বিষয়ও অনুমোদিত হয়। সভায় অংশ নেন বিসিআই সদস্য ও সাবেক নেতা শাহেদুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা।

পুঁজিবাজারে পুঁজির সংকট দিন দিন আরও গভীর হয়ে উঠছে। পুরোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় নিঃশেষ। বাজারে প্রাণ ফেরাতে তাঁরা অপেক্ষা করছেন নতুন ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির আগমনের দিকে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা দীর্ঘ সময় ধরে রয়ে গেছে পূর্ণতার ঊর্ধ্বে। একটানা ১৩ মাসে একটি...
৩০ জুলাই ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল...
৪ ঘণ্টা আগে
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ঘাটতি অব্যাহত থাকলে ব্যাংকিং খাতের সংকট কেবল সংখ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং এর প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়বে সাধারণ গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষার ওপর, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ঝুঁকির বার্তা দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২৪টি ব্যাংকে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। বিপরীতে এসব ব্যাংক রাখতে পেরেছে মাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। এতে সম্মিলিত সঞ্চিতি ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা।
এক বছর আগের সেপ্টেম্বরে প্রভিশন ঘাটতি ছিল ৫৬ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা (২ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৩ কোটি)। ব্যাংকিং খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, এই প্রবণতা স্বাভাবিক কোনো আর্থিক চক্রের ফল নয়; এটি দীর্ঘদিন ধরে আড়াল করে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রকৃত চিত্র সামনে আসার পরিণতি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংকিং খাতে পুনর্গঠিত, পুনঃ তফসিলকৃত, অবলোপনকৃত ও আদালতে আটকে থাকা ঋণসহ মোট ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে এসব ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের মোট অঙ্ক প্রায় সাড়ে ১০ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা এবং মন্দমানের কুঋণ ৫ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি মানে সরাসরি আমানতকারীর ঝুঁকি। তাঁর মতে, গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই প্রভিশন রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ব্যাংক এমন অবস্থায় আছে, তারা ন্যূনতম সঞ্চিতিও গড়ে তুলতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে সময়মতো প্রভিশন না রাখতে পারলে সেই ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম সীমিত বা বন্ধ হওয়া উচিত।
ব্যাংকিং বিধি অনুযায়ী, সাধারণ শ্রেণির ঋণের বিপরীতে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ৫ শতাংশ, নিম্নমানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা লোকসান শ্রেণির খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ঋণ আদায়ে ব্যর্থতা, কম আমানত প্রবৃদ্ধি এবং সামগ্রিক আর্থিক সংকটে ব্যাংকগুলোর সেই সক্ষমতা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, খেলাপি ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দ্রুত বৃদ্ধিই প্রভিশন ঘাটতির মূল কারণ। সরকারের পালাবদলের পর এসব ঝুঁকি প্রকাশ্যে আসায় ব্যাংকিং খাতের ভেতরের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে।
ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ডাইনামিক প্রভিশনিং চালুর পরিকল্পনা নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, এই ডাইনামিক প্রভিশনিং চালু হলে ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়বে, মূলধনের চাপ কমবে এবং কুঋণ হ্রাস পেলে প্রভিশন ঘাটতিও কমে আসবে।

দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ঘাটতি অব্যাহত থাকলে ব্যাংকিং খাতের সংকট কেবল সংখ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং এর প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়বে সাধারণ গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষার ওপর, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ঝুঁকির বার্তা দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২৪টি ব্যাংকে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। বিপরীতে এসব ব্যাংক রাখতে পেরেছে মাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। এতে সম্মিলিত সঞ্চিতি ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা।
এক বছর আগের সেপ্টেম্বরে প্রভিশন ঘাটতি ছিল ৫৬ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা (২ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৩ কোটি)। ব্যাংকিং খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, এই প্রবণতা স্বাভাবিক কোনো আর্থিক চক্রের ফল নয়; এটি দীর্ঘদিন ধরে আড়াল করে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রকৃত চিত্র সামনে আসার পরিণতি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংকিং খাতে পুনর্গঠিত, পুনঃ তফসিলকৃত, অবলোপনকৃত ও আদালতে আটকে থাকা ঋণসহ মোট ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে এসব ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের মোট অঙ্ক প্রায় সাড়ে ১০ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা এবং মন্দমানের কুঋণ ৫ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি মানে সরাসরি আমানতকারীর ঝুঁকি। তাঁর মতে, গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই প্রভিশন রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ব্যাংক এমন অবস্থায় আছে, তারা ন্যূনতম সঞ্চিতিও গড়ে তুলতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে সময়মতো প্রভিশন না রাখতে পারলে সেই ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম সীমিত বা বন্ধ হওয়া উচিত।
ব্যাংকিং বিধি অনুযায়ী, সাধারণ শ্রেণির ঋণের বিপরীতে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ৫ শতাংশ, নিম্নমানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা লোকসান শ্রেণির খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ঋণ আদায়ে ব্যর্থতা, কম আমানত প্রবৃদ্ধি এবং সামগ্রিক আর্থিক সংকটে ব্যাংকগুলোর সেই সক্ষমতা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, খেলাপি ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দ্রুত বৃদ্ধিই প্রভিশন ঘাটতির মূল কারণ। সরকারের পালাবদলের পর এসব ঝুঁকি প্রকাশ্যে আসায় ব্যাংকিং খাতের ভেতরের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে।
ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ডাইনামিক প্রভিশনিং চালুর পরিকল্পনা নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, এই ডাইনামিক প্রভিশনিং চালু হলে ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়বে, মূলধনের চাপ কমবে এবং কুঋণ হ্রাস পেলে প্রভিশন ঘাটতিও কমে আসবে।

পুঁজিবাজারে পুঁজির সংকট দিন দিন আরও গভীর হয়ে উঠছে। পুরোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় নিঃশেষ। বাজারে প্রাণ ফেরাতে তাঁরা অপেক্ষা করছেন নতুন ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির আগমনের দিকে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা দীর্ঘ সময় ধরে রয়ে গেছে পূর্ণতার ঊর্ধ্বে। একটানা ১৩ মাসে একটি...
৩০ জুলাই ২০২৫
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
সম্প্রতি জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই অংশীদারত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা পাবেন, যা তাঁদের দেশের প্রিমিয়াম রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ আরও সহজলভ্য করবে।
চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেটস জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. বেলায়েত হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের লাইফস্টাইলভিত্তিক মানসম্পন্ন সেবা ও আর্থিক সমাধান প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা গ্রাহকদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
সম্প্রতি জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই অংশীদারত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা পাবেন, যা তাঁদের দেশের প্রিমিয়াম রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ আরও সহজলভ্য করবে।
চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেটস জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. বেলায়েত হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের লাইফস্টাইলভিত্তিক মানসম্পন্ন সেবা ও আর্থিক সমাধান প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা গ্রাহকদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

পুঁজিবাজারে পুঁজির সংকট দিন দিন আরও গভীর হয়ে উঠছে। পুরোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় নিঃশেষ। বাজারে প্রাণ ফেরাতে তাঁরা অপেক্ষা করছেন নতুন ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির আগমনের দিকে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা দীর্ঘ সময় ধরে রয়ে গেছে পূর্ণতার ঊর্ধ্বে। একটানা ১৩ মাসে একটি...
৩০ জুলাই ২০২৫
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল...
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
গত ২৫ নভেম্বর বিটিএমএর গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিএমএ।
এতে বলা হয়, বিটিএমএর তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. শামীম ইসলাম, ফ্যাব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. আবুল কালাম ও টেক্সটাইল প্রোডাক্ট প্রসেসের ক্যাটাগরি থেকে শফিকুল ইসলাম সরকার।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
গত ২৫ নভেম্বর বিটিএমএর গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিএমএ।
এতে বলা হয়, বিটিএমএর তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. শামীম ইসলাম, ফ্যাব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. আবুল কালাম ও টেক্সটাইল প্রোডাক্ট প্রসেসের ক্যাটাগরি থেকে শফিকুল ইসলাম সরকার।

পুঁজিবাজারে পুঁজির সংকট দিন দিন আরও গভীর হয়ে উঠছে। পুরোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় নিঃশেষ। বাজারে প্রাণ ফেরাতে তাঁরা অপেক্ষা করছেন নতুন ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির আগমনের দিকে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা দীর্ঘ সময় ধরে রয়ে গেছে পূর্ণতার ঊর্ধ্বে। একটানা ১৩ মাসে একটি...
৩০ জুলাই ২০২৫
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল...
৪ ঘণ্টা আগে
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৯ ঘণ্টা আগে