নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায় এমন কঠোর ও জটিল শর্ত রাখা হয়েছে। এসব আইন কার্যকর হলে আইপিও আবেদনের পথ সংকুচিত হবে। ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি বাধাগ্রস্ত হবে। সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে ‘প্রাইস বাবলের’ ঝুঁকিও বাড়বে। নতুন বিনিয়োগকারীও তৈরি হবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) টাওয়ারে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫’—এর ওপর অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিএসই এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই মার্কেটে রেগুলেশন আসুক। কিন্তু নীতিমালার যে প্রধান উদ্দেশ্য, সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। আমরা দেখেছি, দীর্ঘ দুই দশকে শেয়ার মার্কেটে ভালো কোম্পানি খুব কম এসেছে। ফলে মার্কেটে ভালো কোম্পানি কীভাবে আনা যায়, সেটি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করে যে আমাদের পাবলিক ইস্যু রুলস জটিল। দেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে তারা এটিকে এশিয়ার অন্যদেশগুলোর মতো করার মত দিচ্ছেন।’
১৫ বছর আগেও ভিয়েতনামের অবস্থান বাংলাদেশের মতো ছিল উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন তারা অনেক এগিয়ে গেছে, অথচ আমরা এগোতে পারিনি। বরং পিছিয়ে গিয়েছি। ভালো কোম্পানি বাজারে আনার জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিএসইসিকে পাবলিক ইস্যু রুলস সহজ করার পরামর্শ দিয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিএসইসির কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। যদি কোনো বিষয় থাকে যেগুলো স্টেকহোল্ডাররা বলার পরও আইনে পরিবর্তন আনা যাবে না, তার কারণগুলো যেন জানানো হয়।’
তিনি যোগ করেন, আমরা চাই, শেষ পর্যন্ত এটি যেন এমন আইন হয়, যার মাধ্যমে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উদ্ধুদ্ধ হবে।
ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আইন যত জটিল হবে, তত বেশি ভুল ও ওয়েভারের সুযোগ তৈরি হবে। একটা কোম্পানিকে ২০ থেকে ৩০টা ওয়েভার দিয়ে যদি বাজারে তোলা হয়, তাহলে আইন থাকার লাভ কী? বিএসইসি, ডিএসই ও অডিটর—এই তিনটি মূল জায়গা ঠিক হলে অর্ধেক সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী, যাদের শেয়ারবাজার নিয়ে কোনো ধারণা নেই, তারা আইপিওর মাধ্যমে স্টক মার্কেট সম্বন্ধে প্রথমে ধারণা নেয়। তারপরে তারা একসময় স্থায়ীভাবে বিনিয়োগকারী হিসেবে সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যাপকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু এই প্রাথমিক এন্ট্রি লেভেলকেই যদি বন্ধ করে দেই, তাহলে আমরা বিনিয়োগকারী পাব কোথা থেকে? সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিওতে আবেদন করতে হলে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ বা শেয়ার থাকতেই হবে, এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায়।
ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এত বেশি আইন, ডাইরেক্টিভ দিয়ে ব্যবসা হয় না। ব্যবসা হতে হবে ওপেন মার্কেট। এখানে সকলকে সুযোগ দিতে হবে। ভুল হলে টিচার বা ডাক্তারের যে অ্যাপ্রোচ, সেভাবে এগুতে হবে।
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, গত দেড় বছরে বিএমবিএর পক্ষ থেকে রুলস সংশোধনের বিষয়ে বহু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত হয়নি।
মাজেদা খাতুন আরও বলেন, কোনো অনিয়ম ঘটলে পরে আইন প্রয়োগ তথা শাস্তি দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ইস্যু ম্যানেজারের ওপর অতিরিক্ত দায় চাপানোর প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে তাদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জ ও রেগুলেটরের। সেই জায়গায় ইস্যু ম্যানেজারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে তা বাস্তবসম্মত হবে না।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খসড়া নীতিতে থাকা কিছু ধারা কার্যকর হলে ভালো মানের কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে পাঁচ বছরের হিস্টোরিকাল গ্রোথ রেটকে ভিত্তি ধরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এটি যৌক্তিক না। এটি তিন বছরের জন্য করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে আইপিও তহবিল দিয়ে লোন রিপেমেন্ট নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইপিও অনুমোদনে অনেক সময় লাগে। উদ্যোক্তা প্রকল্প চালাতে বাধ্য হয়ে ব্যাংক ঋণ নেন। পরে সেই ঋণ শোধ করার সুযোগ না দিলে তারা আরও বিপাকে পড়বে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লোন রিপেমেন্ট অনুমোদন করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন, খসড়া নীতিমালায় আছে, কোনো কোম্পানি যদি বোনাস শেয়ার বা শেয়ার–স্ট্রাকচারে পরিবর্তন আনে, তাহলে তারা দুই বছর আইপিওতে আসতে পারবে না। আইপিওর প্রস্তুতির সময় কোম্পানির বোর্ড পরিবর্তন, পেইড–আপ ক্যাপিটাল বাড়ানো কিংবা বোনাস শেয়ার দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। ফলে এই বিধান কার্যকর হলে আগামী দুই–তিন বছর প্রায় কোনো নতুন আইপিও দেখা যাবে না।
ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের এমডি নাফিজ-আল-তারিক বলেন, অনেক এলিজিবল ইনভেস্টরের আর্থিক অবস্থা নাজুক। যদি ছয় মাসের লক-ইন সময়ের নিয়ম বহাল থাকে, তাহলে এক একটি আইপিও থেকে অর্থ ফেরতে আট থেকে সাড়ে আট মাস সময় লেগে যাবে। এতে নতুন আইপিওতে অংশ নেওয়ার সুযোগ কমে যাবে এবং ডিমান্ড–সাইড দুর্বল হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ছয় মাস সেল–রেস্ট্রিকশন থাকার কারণে সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে স্বল্প সময়ে ‘প্রাইস বাবল’ তৈরি হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আইপিওতে ৫০ শতাংশ শেয়ার লক-ইনমুক্ত রাখা যায় এবং তিন মাস পর বাকি ১০০ শতাংশ লক-ইন কার্যকর করা যায়।
নাফিজ আরও বলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তি (ডিরেক্ট লিস্টিং) শুধু সরকারি কোম্পানির জন্য নয়, মাল্টিন্যাশনাল ও বড় করপোরেটগুলির জন্যও উন্মুক্ত করা উচিত। অনেক বড় কোম্পানির নতুন মূলধনের প্রয়োজন নেই। তাই তাদের বাজারে আনতে হলে ডাইরেক্ট লিস্টিং–ই কার্যকর পথ।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের এমডি ও সিইও কায়সার হামিদ বলেন, খসড়া রুলসে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যা ইস্যুয়িং কোম্পানিকে সবসময় ‘লাভজনক প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে ধরে নেয়, কিন্তু বাস্তবে যে কোনো ব্যবসায়ই লাভ–ক্ষতি দুই-ই হতে পারে। আমরা যারা ব্যবসা করি, আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা বছরের পর বছর সঙ্গে থাকেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রুলসে দেখা যাচ্ছে না।
কায়সার আরও বলেন, ‘কোম্পানি কতটুকু ব্যাংক ঋণ নেবে, কতটুকু ইক্যুইটি রাখবে—এসব নির্ধারণ হয় বাজার ও ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে। রুলস দিয়ে বলা যাবে না যে, আপনি ব্যাংক লোন পে করতে পারবেন না।
পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট নতুন বিধিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক লুৎফুল কবীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি শিফটিং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আগে রুলস ছিল অনেকটাই নির্দিষ্ট কাঠামোর, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। নতুন রুলস বাজার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে। তাই আপনাদের প্রতিটা মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায় এমন কঠোর ও জটিল শর্ত রাখা হয়েছে। এসব আইন কার্যকর হলে আইপিও আবেদনের পথ সংকুচিত হবে। ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি বাধাগ্রস্ত হবে। সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে ‘প্রাইস বাবলের’ ঝুঁকিও বাড়বে। নতুন বিনিয়োগকারীও তৈরি হবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) টাওয়ারে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫’—এর ওপর অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিএসই এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই মার্কেটে রেগুলেশন আসুক। কিন্তু নীতিমালার যে প্রধান উদ্দেশ্য, সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। আমরা দেখেছি, দীর্ঘ দুই দশকে শেয়ার মার্কেটে ভালো কোম্পানি খুব কম এসেছে। ফলে মার্কেটে ভালো কোম্পানি কীভাবে আনা যায়, সেটি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করে যে আমাদের পাবলিক ইস্যু রুলস জটিল। দেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে তারা এটিকে এশিয়ার অন্যদেশগুলোর মতো করার মত দিচ্ছেন।’
১৫ বছর আগেও ভিয়েতনামের অবস্থান বাংলাদেশের মতো ছিল উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন তারা অনেক এগিয়ে গেছে, অথচ আমরা এগোতে পারিনি। বরং পিছিয়ে গিয়েছি। ভালো কোম্পানি বাজারে আনার জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিএসইসিকে পাবলিক ইস্যু রুলস সহজ করার পরামর্শ দিয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিএসইসির কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। যদি কোনো বিষয় থাকে যেগুলো স্টেকহোল্ডাররা বলার পরও আইনে পরিবর্তন আনা যাবে না, তার কারণগুলো যেন জানানো হয়।’
তিনি যোগ করেন, আমরা চাই, শেষ পর্যন্ত এটি যেন এমন আইন হয়, যার মাধ্যমে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উদ্ধুদ্ধ হবে।
ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আইন যত জটিল হবে, তত বেশি ভুল ও ওয়েভারের সুযোগ তৈরি হবে। একটা কোম্পানিকে ২০ থেকে ৩০টা ওয়েভার দিয়ে যদি বাজারে তোলা হয়, তাহলে আইন থাকার লাভ কী? বিএসইসি, ডিএসই ও অডিটর—এই তিনটি মূল জায়গা ঠিক হলে অর্ধেক সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী, যাদের শেয়ারবাজার নিয়ে কোনো ধারণা নেই, তারা আইপিওর মাধ্যমে স্টক মার্কেট সম্বন্ধে প্রথমে ধারণা নেয়। তারপরে তারা একসময় স্থায়ীভাবে বিনিয়োগকারী হিসেবে সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যাপকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু এই প্রাথমিক এন্ট্রি লেভেলকেই যদি বন্ধ করে দেই, তাহলে আমরা বিনিয়োগকারী পাব কোথা থেকে? সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিওতে আবেদন করতে হলে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ বা শেয়ার থাকতেই হবে, এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায়।
ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এত বেশি আইন, ডাইরেক্টিভ দিয়ে ব্যবসা হয় না। ব্যবসা হতে হবে ওপেন মার্কেট। এখানে সকলকে সুযোগ দিতে হবে। ভুল হলে টিচার বা ডাক্তারের যে অ্যাপ্রোচ, সেভাবে এগুতে হবে।
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, গত দেড় বছরে বিএমবিএর পক্ষ থেকে রুলস সংশোধনের বিষয়ে বহু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত হয়নি।
মাজেদা খাতুন আরও বলেন, কোনো অনিয়ম ঘটলে পরে আইন প্রয়োগ তথা শাস্তি দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ইস্যু ম্যানেজারের ওপর অতিরিক্ত দায় চাপানোর প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে তাদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জ ও রেগুলেটরের। সেই জায়গায় ইস্যু ম্যানেজারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে তা বাস্তবসম্মত হবে না।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খসড়া নীতিতে থাকা কিছু ধারা কার্যকর হলে ভালো মানের কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে পাঁচ বছরের হিস্টোরিকাল গ্রোথ রেটকে ভিত্তি ধরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এটি যৌক্তিক না। এটি তিন বছরের জন্য করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে আইপিও তহবিল দিয়ে লোন রিপেমেন্ট নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইপিও অনুমোদনে অনেক সময় লাগে। উদ্যোক্তা প্রকল্প চালাতে বাধ্য হয়ে ব্যাংক ঋণ নেন। পরে সেই ঋণ শোধ করার সুযোগ না দিলে তারা আরও বিপাকে পড়বে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লোন রিপেমেন্ট অনুমোদন করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন, খসড়া নীতিমালায় আছে, কোনো কোম্পানি যদি বোনাস শেয়ার বা শেয়ার–স্ট্রাকচারে পরিবর্তন আনে, তাহলে তারা দুই বছর আইপিওতে আসতে পারবে না। আইপিওর প্রস্তুতির সময় কোম্পানির বোর্ড পরিবর্তন, পেইড–আপ ক্যাপিটাল বাড়ানো কিংবা বোনাস শেয়ার দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। ফলে এই বিধান কার্যকর হলে আগামী দুই–তিন বছর প্রায় কোনো নতুন আইপিও দেখা যাবে না।
ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের এমডি নাফিজ-আল-তারিক বলেন, অনেক এলিজিবল ইনভেস্টরের আর্থিক অবস্থা নাজুক। যদি ছয় মাসের লক-ইন সময়ের নিয়ম বহাল থাকে, তাহলে এক একটি আইপিও থেকে অর্থ ফেরতে আট থেকে সাড়ে আট মাস সময় লেগে যাবে। এতে নতুন আইপিওতে অংশ নেওয়ার সুযোগ কমে যাবে এবং ডিমান্ড–সাইড দুর্বল হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ছয় মাস সেল–রেস্ট্রিকশন থাকার কারণে সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে স্বল্প সময়ে ‘প্রাইস বাবল’ তৈরি হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আইপিওতে ৫০ শতাংশ শেয়ার লক-ইনমুক্ত রাখা যায় এবং তিন মাস পর বাকি ১০০ শতাংশ লক-ইন কার্যকর করা যায়।
নাফিজ আরও বলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তি (ডিরেক্ট লিস্টিং) শুধু সরকারি কোম্পানির জন্য নয়, মাল্টিন্যাশনাল ও বড় করপোরেটগুলির জন্যও উন্মুক্ত করা উচিত। অনেক বড় কোম্পানির নতুন মূলধনের প্রয়োজন নেই। তাই তাদের বাজারে আনতে হলে ডাইরেক্ট লিস্টিং–ই কার্যকর পথ।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের এমডি ও সিইও কায়সার হামিদ বলেন, খসড়া রুলসে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যা ইস্যুয়িং কোম্পানিকে সবসময় ‘লাভজনক প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে ধরে নেয়, কিন্তু বাস্তবে যে কোনো ব্যবসায়ই লাভ–ক্ষতি দুই-ই হতে পারে। আমরা যারা ব্যবসা করি, আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা বছরের পর বছর সঙ্গে থাকেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রুলসে দেখা যাচ্ছে না।
কায়সার আরও বলেন, ‘কোম্পানি কতটুকু ব্যাংক ঋণ নেবে, কতটুকু ইক্যুইটি রাখবে—এসব নির্ধারণ হয় বাজার ও ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে। রুলস দিয়ে বলা যাবে না যে, আপনি ব্যাংক লোন পে করতে পারবেন না।
পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট নতুন বিধিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক লুৎফুল কবীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি শিফটিং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আগে রুলস ছিল অনেকটাই নির্দিষ্ট কাঠামোর, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। নতুন রুলস বাজার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে। তাই আপনাদের প্রতিটা মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায় এমন কঠোর ও জটিল শর্ত রাখা হয়েছে। এসব আইন কার্যকর হলে আইপিও আবেদনের পথ সংকুচিত হবে। ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি বাধাগ্রস্ত হবে। সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে ‘প্রাইস বাবলের’ ঝুঁকিও বাড়বে। নতুন বিনিয়োগকারীও তৈরি হবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) টাওয়ারে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫’—এর ওপর অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিএসই এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই মার্কেটে রেগুলেশন আসুক। কিন্তু নীতিমালার যে প্রধান উদ্দেশ্য, সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। আমরা দেখেছি, দীর্ঘ দুই দশকে শেয়ার মার্কেটে ভালো কোম্পানি খুব কম এসেছে। ফলে মার্কেটে ভালো কোম্পানি কীভাবে আনা যায়, সেটি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করে যে আমাদের পাবলিক ইস্যু রুলস জটিল। দেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে তারা এটিকে এশিয়ার অন্যদেশগুলোর মতো করার মত দিচ্ছেন।’
১৫ বছর আগেও ভিয়েতনামের অবস্থান বাংলাদেশের মতো ছিল উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন তারা অনেক এগিয়ে গেছে, অথচ আমরা এগোতে পারিনি। বরং পিছিয়ে গিয়েছি। ভালো কোম্পানি বাজারে আনার জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিএসইসিকে পাবলিক ইস্যু রুলস সহজ করার পরামর্শ দিয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিএসইসির কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। যদি কোনো বিষয় থাকে যেগুলো স্টেকহোল্ডাররা বলার পরও আইনে পরিবর্তন আনা যাবে না, তার কারণগুলো যেন জানানো হয়।’
তিনি যোগ করেন, আমরা চাই, শেষ পর্যন্ত এটি যেন এমন আইন হয়, যার মাধ্যমে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উদ্ধুদ্ধ হবে।
ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আইন যত জটিল হবে, তত বেশি ভুল ও ওয়েভারের সুযোগ তৈরি হবে। একটা কোম্পানিকে ২০ থেকে ৩০টা ওয়েভার দিয়ে যদি বাজারে তোলা হয়, তাহলে আইন থাকার লাভ কী? বিএসইসি, ডিএসই ও অডিটর—এই তিনটি মূল জায়গা ঠিক হলে অর্ধেক সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী, যাদের শেয়ারবাজার নিয়ে কোনো ধারণা নেই, তারা আইপিওর মাধ্যমে স্টক মার্কেট সম্বন্ধে প্রথমে ধারণা নেয়। তারপরে তারা একসময় স্থায়ীভাবে বিনিয়োগকারী হিসেবে সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যাপকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু এই প্রাথমিক এন্ট্রি লেভেলকেই যদি বন্ধ করে দেই, তাহলে আমরা বিনিয়োগকারী পাব কোথা থেকে? সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিওতে আবেদন করতে হলে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ বা শেয়ার থাকতেই হবে, এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায়।
ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এত বেশি আইন, ডাইরেক্টিভ দিয়ে ব্যবসা হয় না। ব্যবসা হতে হবে ওপেন মার্কেট। এখানে সকলকে সুযোগ দিতে হবে। ভুল হলে টিচার বা ডাক্তারের যে অ্যাপ্রোচ, সেভাবে এগুতে হবে।
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, গত দেড় বছরে বিএমবিএর পক্ষ থেকে রুলস সংশোধনের বিষয়ে বহু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত হয়নি।
মাজেদা খাতুন আরও বলেন, কোনো অনিয়ম ঘটলে পরে আইন প্রয়োগ তথা শাস্তি দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ইস্যু ম্যানেজারের ওপর অতিরিক্ত দায় চাপানোর প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে তাদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জ ও রেগুলেটরের। সেই জায়গায় ইস্যু ম্যানেজারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে তা বাস্তবসম্মত হবে না।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খসড়া নীতিতে থাকা কিছু ধারা কার্যকর হলে ভালো মানের কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে পাঁচ বছরের হিস্টোরিকাল গ্রোথ রেটকে ভিত্তি ধরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এটি যৌক্তিক না। এটি তিন বছরের জন্য করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে আইপিও তহবিল দিয়ে লোন রিপেমেন্ট নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইপিও অনুমোদনে অনেক সময় লাগে। উদ্যোক্তা প্রকল্প চালাতে বাধ্য হয়ে ব্যাংক ঋণ নেন। পরে সেই ঋণ শোধ করার সুযোগ না দিলে তারা আরও বিপাকে পড়বে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লোন রিপেমেন্ট অনুমোদন করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন, খসড়া নীতিমালায় আছে, কোনো কোম্পানি যদি বোনাস শেয়ার বা শেয়ার–স্ট্রাকচারে পরিবর্তন আনে, তাহলে তারা দুই বছর আইপিওতে আসতে পারবে না। আইপিওর প্রস্তুতির সময় কোম্পানির বোর্ড পরিবর্তন, পেইড–আপ ক্যাপিটাল বাড়ানো কিংবা বোনাস শেয়ার দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। ফলে এই বিধান কার্যকর হলে আগামী দুই–তিন বছর প্রায় কোনো নতুন আইপিও দেখা যাবে না।
ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের এমডি নাফিজ-আল-তারিক বলেন, অনেক এলিজিবল ইনভেস্টরের আর্থিক অবস্থা নাজুক। যদি ছয় মাসের লক-ইন সময়ের নিয়ম বহাল থাকে, তাহলে এক একটি আইপিও থেকে অর্থ ফেরতে আট থেকে সাড়ে আট মাস সময় লেগে যাবে। এতে নতুন আইপিওতে অংশ নেওয়ার সুযোগ কমে যাবে এবং ডিমান্ড–সাইড দুর্বল হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ছয় মাস সেল–রেস্ট্রিকশন থাকার কারণে সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে স্বল্প সময়ে ‘প্রাইস বাবল’ তৈরি হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আইপিওতে ৫০ শতাংশ শেয়ার লক-ইনমুক্ত রাখা যায় এবং তিন মাস পর বাকি ১০০ শতাংশ লক-ইন কার্যকর করা যায়।
নাফিজ আরও বলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তি (ডিরেক্ট লিস্টিং) শুধু সরকারি কোম্পানির জন্য নয়, মাল্টিন্যাশনাল ও বড় করপোরেটগুলির জন্যও উন্মুক্ত করা উচিত। অনেক বড় কোম্পানির নতুন মূলধনের প্রয়োজন নেই। তাই তাদের বাজারে আনতে হলে ডাইরেক্ট লিস্টিং–ই কার্যকর পথ।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের এমডি ও সিইও কায়সার হামিদ বলেন, খসড়া রুলসে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যা ইস্যুয়িং কোম্পানিকে সবসময় ‘লাভজনক প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে ধরে নেয়, কিন্তু বাস্তবে যে কোনো ব্যবসায়ই লাভ–ক্ষতি দুই-ই হতে পারে। আমরা যারা ব্যবসা করি, আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা বছরের পর বছর সঙ্গে থাকেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রুলসে দেখা যাচ্ছে না।
কায়সার আরও বলেন, ‘কোম্পানি কতটুকু ব্যাংক ঋণ নেবে, কতটুকু ইক্যুইটি রাখবে—এসব নির্ধারণ হয় বাজার ও ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে। রুলস দিয়ে বলা যাবে না যে, আপনি ব্যাংক লোন পে করতে পারবেন না।
পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট নতুন বিধিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক লুৎফুল কবীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি শিফটিং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আগে রুলস ছিল অনেকটাই নির্দিষ্ট কাঠামোর, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। নতুন রুলস বাজার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে। তাই আপনাদের প্রতিটা মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায় এমন কঠোর ও জটিল শর্ত রাখা হয়েছে। এসব আইন কার্যকর হলে আইপিও আবেদনের পথ সংকুচিত হবে। ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি বাধাগ্রস্ত হবে। সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে ‘প্রাইস বাবলের’ ঝুঁকিও বাড়বে। নতুন বিনিয়োগকারীও তৈরি হবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) টাওয়ারে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫’—এর ওপর অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিএসই এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই মার্কেটে রেগুলেশন আসুক। কিন্তু নীতিমালার যে প্রধান উদ্দেশ্য, সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। আমরা দেখেছি, দীর্ঘ দুই দশকে শেয়ার মার্কেটে ভালো কোম্পানি খুব কম এসেছে। ফলে মার্কেটে ভালো কোম্পানি কীভাবে আনা যায়, সেটি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করে যে আমাদের পাবলিক ইস্যু রুলস জটিল। দেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে তারা এটিকে এশিয়ার অন্যদেশগুলোর মতো করার মত দিচ্ছেন।’
১৫ বছর আগেও ভিয়েতনামের অবস্থান বাংলাদেশের মতো ছিল উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন তারা অনেক এগিয়ে গেছে, অথচ আমরা এগোতে পারিনি। বরং পিছিয়ে গিয়েছি। ভালো কোম্পানি বাজারে আনার জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিএসইসিকে পাবলিক ইস্যু রুলস সহজ করার পরামর্শ দিয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিএসইসির কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। যদি কোনো বিষয় থাকে যেগুলো স্টেকহোল্ডাররা বলার পরও আইনে পরিবর্তন আনা যাবে না, তার কারণগুলো যেন জানানো হয়।’
তিনি যোগ করেন, আমরা চাই, শেষ পর্যন্ত এটি যেন এমন আইন হয়, যার মাধ্যমে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উদ্ধুদ্ধ হবে।
ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আইন যত জটিল হবে, তত বেশি ভুল ও ওয়েভারের সুযোগ তৈরি হবে। একটা কোম্পানিকে ২০ থেকে ৩০টা ওয়েভার দিয়ে যদি বাজারে তোলা হয়, তাহলে আইন থাকার লাভ কী? বিএসইসি, ডিএসই ও অডিটর—এই তিনটি মূল জায়গা ঠিক হলে অর্ধেক সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী, যাদের শেয়ারবাজার নিয়ে কোনো ধারণা নেই, তারা আইপিওর মাধ্যমে স্টক মার্কেট সম্বন্ধে প্রথমে ধারণা নেয়। তারপরে তারা একসময় স্থায়ীভাবে বিনিয়োগকারী হিসেবে সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যাপকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু এই প্রাথমিক এন্ট্রি লেভেলকেই যদি বন্ধ করে দেই, তাহলে আমরা বিনিয়োগকারী পাব কোথা থেকে? সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিওতে আবেদন করতে হলে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ বা শেয়ার থাকতেই হবে, এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায়।
ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এত বেশি আইন, ডাইরেক্টিভ দিয়ে ব্যবসা হয় না। ব্যবসা হতে হবে ওপেন মার্কেট। এখানে সকলকে সুযোগ দিতে হবে। ভুল হলে টিচার বা ডাক্তারের যে অ্যাপ্রোচ, সেভাবে এগুতে হবে।
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, গত দেড় বছরে বিএমবিএর পক্ষ থেকে রুলস সংশোধনের বিষয়ে বহু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত হয়নি।
মাজেদা খাতুন আরও বলেন, কোনো অনিয়ম ঘটলে পরে আইন প্রয়োগ তথা শাস্তি দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ইস্যু ম্যানেজারের ওপর অতিরিক্ত দায় চাপানোর প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে তাদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জ ও রেগুলেটরের। সেই জায়গায় ইস্যু ম্যানেজারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে তা বাস্তবসম্মত হবে না।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খসড়া নীতিতে থাকা কিছু ধারা কার্যকর হলে ভালো মানের কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে পাঁচ বছরের হিস্টোরিকাল গ্রোথ রেটকে ভিত্তি ধরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এটি যৌক্তিক না। এটি তিন বছরের জন্য করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে আইপিও তহবিল দিয়ে লোন রিপেমেন্ট নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইপিও অনুমোদনে অনেক সময় লাগে। উদ্যোক্তা প্রকল্প চালাতে বাধ্য হয়ে ব্যাংক ঋণ নেন। পরে সেই ঋণ শোধ করার সুযোগ না দিলে তারা আরও বিপাকে পড়বে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লোন রিপেমেন্ট অনুমোদন করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন, খসড়া নীতিমালায় আছে, কোনো কোম্পানি যদি বোনাস শেয়ার বা শেয়ার–স্ট্রাকচারে পরিবর্তন আনে, তাহলে তারা দুই বছর আইপিওতে আসতে পারবে না। আইপিওর প্রস্তুতির সময় কোম্পানির বোর্ড পরিবর্তন, পেইড–আপ ক্যাপিটাল বাড়ানো কিংবা বোনাস শেয়ার দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। ফলে এই বিধান কার্যকর হলে আগামী দুই–তিন বছর প্রায় কোনো নতুন আইপিও দেখা যাবে না।
ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের এমডি নাফিজ-আল-তারিক বলেন, অনেক এলিজিবল ইনভেস্টরের আর্থিক অবস্থা নাজুক। যদি ছয় মাসের লক-ইন সময়ের নিয়ম বহাল থাকে, তাহলে এক একটি আইপিও থেকে অর্থ ফেরতে আট থেকে সাড়ে আট মাস সময় লেগে যাবে। এতে নতুন আইপিওতে অংশ নেওয়ার সুযোগ কমে যাবে এবং ডিমান্ড–সাইড দুর্বল হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ছয় মাস সেল–রেস্ট্রিকশন থাকার কারণে সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে স্বল্প সময়ে ‘প্রাইস বাবল’ তৈরি হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আইপিওতে ৫০ শতাংশ শেয়ার লক-ইনমুক্ত রাখা যায় এবং তিন মাস পর বাকি ১০০ শতাংশ লক-ইন কার্যকর করা যায়।
নাফিজ আরও বলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তি (ডিরেক্ট লিস্টিং) শুধু সরকারি কোম্পানির জন্য নয়, মাল্টিন্যাশনাল ও বড় করপোরেটগুলির জন্যও উন্মুক্ত করা উচিত। অনেক বড় কোম্পানির নতুন মূলধনের প্রয়োজন নেই। তাই তাদের বাজারে আনতে হলে ডাইরেক্ট লিস্টিং–ই কার্যকর পথ।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের এমডি ও সিইও কায়সার হামিদ বলেন, খসড়া রুলসে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যা ইস্যুয়িং কোম্পানিকে সবসময় ‘লাভজনক প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে ধরে নেয়, কিন্তু বাস্তবে যে কোনো ব্যবসায়ই লাভ–ক্ষতি দুই-ই হতে পারে। আমরা যারা ব্যবসা করি, আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা বছরের পর বছর সঙ্গে থাকেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রুলসে দেখা যাচ্ছে না।
কায়সার আরও বলেন, ‘কোম্পানি কতটুকু ব্যাংক ঋণ নেবে, কতটুকু ইক্যুইটি রাখবে—এসব নির্ধারণ হয় বাজার ও ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে। রুলস দিয়ে বলা যাবে না যে, আপনি ব্যাংক লোন পে করতে পারবেন না।
পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট নতুন বিধিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক লুৎফুল কবীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি শিফটিং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আগে রুলস ছিল অনেকটাই নির্দিষ্ট কাঠামোর, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। নতুন রুলস বাজার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে। তাই আপনাদের প্রতিটা মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেআসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।
মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’
এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।
মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’
এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায়....
১৯ নভেম্বর ২০২৫
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায়....
১৯ নভেম্বর ২০২৫
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায়....
১৯ নভেম্বর ২০২৫
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায়....
১৯ নভেম্বর ২০২৫
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে