আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত এক কাপ চায়ের জন্য ১ থেকে ২ চা-চামচ চা-পাতা ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি চা-চামচের ওজন প্রায় ২ গ্রাম। সুতরাং যদি প্রতি কাপ চায়ে ৪ গ্রাম চা-পাতা (২ চা-চামচ) ব্যবহার করা হয়, তাহলে ১ কেজি (১০০০ গ্রাম) চা-পাতা থেকে গড়ে ২৫০ কাপ চা তৈরি করা সম্ভব। এটি একটি গড় হিসাব, যেহেতু ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানি গরম করার পদ্ধতি অনুযায়ী এই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।
চা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে চা ভোগের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এই চা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়—‘বেস্ট’, ‘গুড’ এবং ‘সাধারণ’ চা। দেশীয় চা ভোগের এই পরিমাণের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দৈনিক গড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ২৭৪ কেজি চা ব্যবহৃত হয়েছে, যা থেকে ভোক্তারা মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ কাপ চা পান করেছে। আর বছরের শেষে সারা বছর চা পান হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি কাপ।
চা বিক্রির মূল্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান ও মান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত প্রতি কাপ চায়ের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। কিছু জায়গায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে, চায়ের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত হয়। স্থানভেদে এই দাম আরও বেশি। চায়ের দামভেদে গড় মূল্য যদি ৮ টাকা ধরা হয়, তাহলে ভোক্তাদের দৈনিক চা পানে ব্যয় হয়েছে ৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সারা দেশে বছরজুড়ে চায়ের অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকার।
চা শুধু অভ্যর্থনার পানীয়ই নয়, এর ঔষধি গুণও রয়েছে। চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদ্যন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ায়, রক্তনালি সুস্থ রাখে এবং শরীর সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। বিভিন্ন ধরনের চায়ে বিভিন্ন ভেষজ গুণ থাকে। এ ছাড়া চায়ের নানা ব্যবহার রয়েছে; যেমন গাছের সার হিসেবে, কাপড়ের রং ধরে রাখতে, জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে, কার্পেট ও কাচ পরিষ্কার করতে, এমনকি রূপচর্চায়ও চা ব্যবহৃত হয়।
ঐতিহ্যের গৌরবেও সংকটের ছায়া
এভাবে বাংলাদেশের চা-শিল্প শুধু একটি অর্থনৈতিক খাত নয়, বরং এটি দেশের ঐতিহ্যের অংশ, যার বয়স ১৮৪ বছর। দীর্ঘ এই যাত্রায় চায়ের উৎপাদন ধাপে ধাপে বেড়েছে এবং গত বছর রেকর্ড ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। তবে উৎপাদনে এই সাফল্য কাগজে-কলমে গর্ব করার মতো হলেও বাস্তবে সমস্যা অনেক। সরকারি পরিকল্পনার অভাব, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি এবং মালিকদের উদাসীনতার কারণে শিল্পটি এখন সমস্যায় পড়েছে এবং তা পুরোপুরি কার্যকরভাবে কাজ করছে না।
এই সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে বহুমুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। এর প্রভাব পড়েছে চা রপ্তানিতে। মানসম্পন্ন চায়ের উৎপাদন বাড়াতে না পারায় গত এক দশকে বাংলাদেশি চায়ের ঐতিহ্য ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। ২০২২ সালে চায়ের রপ্তানি মাত্র ১ শতাংশে পৌঁছেছিল। আর গত ২২ বছরে অন্তত ১৩ গুণ কমেছে রপ্তানি। দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানিতে জড়িত থাকলেও এখন তাদের অনেকে রপ্তানিতে নেই।
অদ্ভুতভাবে, চায়ের উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকার পরেও দেশে চা আমদানির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে। দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা নিলামে চায়ের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। ২০২৩ সালে প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ছিল ২৭১ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ২৯৭ টাকা এবং বর্তমানে তা ৩০০ টাকার কাছাকাছি। কেনিয়ায় প্রতি হেক্টরে চায়ের গড় উৎপাদন ৪ হাজার কেজি, সেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ১ হাজার ৫০০ কেজি। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান। চা বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে নিলামে ‘বেস্ট’ ক্যাটাগরি চায়ের কেজি ২৮০-৩৩০ টাকা, ‘গুড’ ক্যাটাগরি ২৪৫-২৭০ টাকা এবং সাধারণ চায়ের কেজি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফলে রপ্তানির জন্য মানসম্পন্ন চা উৎপাদনে আগ্রহ কমে গেছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেক চা-বাগান লোকসানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর এতে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমানেও উন্নতির অভাব দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বাগানমালিকেরা নিলামে কম দাম পেলেও তাঁদের উৎপাদিত চা বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, ফলে ক্রেতারা বাড়তি খরচে চা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে সাধারণ মানের চা খোলাবাজারে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর কোম্পানির প্যাকেটজাত চায়ের দাম ৫০০ টাকার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে চা-শিল্পের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে।
বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘শ্রমিকের বেতন, ডিজেল, গ্যাস ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়েছে। সে তুলনায় নিলাম মূল্য না বেড়ে বরং কমে গেছে; যা চা-শিল্পের জন্য উদ্বেগজনক। যদি নিলাম মূল্য না বাড়ে, তাহলে একে একে বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল টিয়ের ১২টি বাগান বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরও অনেক বাগান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি সরকার সহায়তা না দেয়, তবে চা-শিল্পের হাজারো শ্রমিকের জীবিকা এবং তাঁদের পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিলামে চায়ের দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দিচ্ছে এবং একই সঙ্গে ভোক্তাদের কাছে চায়ের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে। এর ফলে বাজারে চায়ের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ হচ্ছে না, যা চা-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
দেশে চা-বাগানের চিত্র
চলতি বছরের ১১ আগস্ট প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ১৬৯টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশি চা-বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়, ৯০টি। এ ছাড়া হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, খাগড়াছড়িতে ১টি, রাঙামাটিতে ২টি, পঞ্চগড়ে ৯টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা-বাগান রয়েছে। এই চা-বাগানগুলো দেশের চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
দাম ও মানোন্নয়নে যে বিতর্ক
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব (উপসচিব) মিনহাজুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২১ সালে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রতি কেজিতে ৮ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ে, যা অনেক চা-বাগানমালিকের জন্য আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চা উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি এবং আর্থিক সংকটের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের চায়ের গুণগত মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) সুমন শিকদার জানিয়েছেন, ভালো মানের চা উৎপাদন নিশ্চিত করতে বোর্ড বিভিন্ন পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে। তবে চায়ের গুণগত মান উন্নত করার মূল দায়িত্ব বাগানমালিকদের। তিনি উল্লেখ করেন, বাগানমালিকেরা যদি উৎপাদনের মান উন্নত করেন, তাহলে নিলামে চায়ের ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘যদি ভালো মানের চা উৎপাদন করি, তাহলে উৎপাদন কমে যাবে, কিন্তু দাম বাড়বে।’
দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে দেশে চায়ের দাম অনেক কমাতে হবে, কিন্তু সেটি সম্ভব নয়।’
আছে মজুরি বিতর্কও
চা-শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, বিশেষত অন্য খাতের তুলনায় কম মজুরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তবে বাংলাদেশ চা সংসদ মনে করে, অন্য শিল্পের সঙ্গে চা-শিল্পের মজুরি তুলনা করা সঠিক নয়। কামরান টি রহমান বলেন, চা-শিল্পে শ্রমিকদের ‘ইন ক্যাশ অ্যান্ড ইন কাইন্ড’ মজুরি দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৭৮ টাকা ক্যাশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি রেশন হিসেবে ২ টাকা কেজিতে চাল বা গম, বাসস্থানের সুবিধা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
কামরান টি রহমান আরও বলেন, এই খাতে একজন শ্রমিক অবসরে যাওয়ার পর আজীবন রেশন পান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যও একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, যা অন্য শিল্পে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দি বলেন, মালিকপক্ষের দাবি করা ৫৭০ টাকা মজুরি ভিত্তিহীন। তাঁর মতে, শ্রম আইনের অধীনে বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মূল্য মজুরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
আশার আলো খুঁজতে হবে
চা-শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিক নীতিমালা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং রপ্তানি বাজার পুনরুদ্ধারে জোর দিলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। চলমান সংকট উত্তরণে প্রস্তাব করা হয়েছে কিছু কার্যকর উদ্যোগের। উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে গুণগত মান উন্নত করার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী চা উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে আইন সহজ করা এবং সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এসব উদ্যোগই চা-শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার মূল চাবিকাঠি হতে পারে।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত এক কাপ চায়ের জন্য ১ থেকে ২ চা-চামচ চা-পাতা ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি চা-চামচের ওজন প্রায় ২ গ্রাম। সুতরাং যদি প্রতি কাপ চায়ে ৪ গ্রাম চা-পাতা (২ চা-চামচ) ব্যবহার করা হয়, তাহলে ১ কেজি (১০০০ গ্রাম) চা-পাতা থেকে গড়ে ২৫০ কাপ চা তৈরি করা সম্ভব। এটি একটি গড় হিসাব, যেহেতু ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানি গরম করার পদ্ধতি অনুযায়ী এই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।
চা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে চা ভোগের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এই চা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়—‘বেস্ট’, ‘গুড’ এবং ‘সাধারণ’ চা। দেশীয় চা ভোগের এই পরিমাণের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দৈনিক গড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ২৭৪ কেজি চা ব্যবহৃত হয়েছে, যা থেকে ভোক্তারা মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ কাপ চা পান করেছে। আর বছরের শেষে সারা বছর চা পান হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি কাপ।
চা বিক্রির মূল্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান ও মান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত প্রতি কাপ চায়ের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। কিছু জায়গায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে, চায়ের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত হয়। স্থানভেদে এই দাম আরও বেশি। চায়ের দামভেদে গড় মূল্য যদি ৮ টাকা ধরা হয়, তাহলে ভোক্তাদের দৈনিক চা পানে ব্যয় হয়েছে ৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সারা দেশে বছরজুড়ে চায়ের অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকার।
চা শুধু অভ্যর্থনার পানীয়ই নয়, এর ঔষধি গুণও রয়েছে। চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদ্যন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ায়, রক্তনালি সুস্থ রাখে এবং শরীর সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। বিভিন্ন ধরনের চায়ে বিভিন্ন ভেষজ গুণ থাকে। এ ছাড়া চায়ের নানা ব্যবহার রয়েছে; যেমন গাছের সার হিসেবে, কাপড়ের রং ধরে রাখতে, জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে, কার্পেট ও কাচ পরিষ্কার করতে, এমনকি রূপচর্চায়ও চা ব্যবহৃত হয়।
ঐতিহ্যের গৌরবেও সংকটের ছায়া
এভাবে বাংলাদেশের চা-শিল্প শুধু একটি অর্থনৈতিক খাত নয়, বরং এটি দেশের ঐতিহ্যের অংশ, যার বয়স ১৮৪ বছর। দীর্ঘ এই যাত্রায় চায়ের উৎপাদন ধাপে ধাপে বেড়েছে এবং গত বছর রেকর্ড ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। তবে উৎপাদনে এই সাফল্য কাগজে-কলমে গর্ব করার মতো হলেও বাস্তবে সমস্যা অনেক। সরকারি পরিকল্পনার অভাব, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি এবং মালিকদের উদাসীনতার কারণে শিল্পটি এখন সমস্যায় পড়েছে এবং তা পুরোপুরি কার্যকরভাবে কাজ করছে না।
এই সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে বহুমুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। এর প্রভাব পড়েছে চা রপ্তানিতে। মানসম্পন্ন চায়ের উৎপাদন বাড়াতে না পারায় গত এক দশকে বাংলাদেশি চায়ের ঐতিহ্য ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। ২০২২ সালে চায়ের রপ্তানি মাত্র ১ শতাংশে পৌঁছেছিল। আর গত ২২ বছরে অন্তত ১৩ গুণ কমেছে রপ্তানি। দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানিতে জড়িত থাকলেও এখন তাদের অনেকে রপ্তানিতে নেই।
অদ্ভুতভাবে, চায়ের উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকার পরেও দেশে চা আমদানির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে। দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা নিলামে চায়ের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। ২০২৩ সালে প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ছিল ২৭১ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ২৯৭ টাকা এবং বর্তমানে তা ৩০০ টাকার কাছাকাছি। কেনিয়ায় প্রতি হেক্টরে চায়ের গড় উৎপাদন ৪ হাজার কেজি, সেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ১ হাজার ৫০০ কেজি। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান। চা বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে নিলামে ‘বেস্ট’ ক্যাটাগরি চায়ের কেজি ২৮০-৩৩০ টাকা, ‘গুড’ ক্যাটাগরি ২৪৫-২৭০ টাকা এবং সাধারণ চায়ের কেজি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফলে রপ্তানির জন্য মানসম্পন্ন চা উৎপাদনে আগ্রহ কমে গেছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেক চা-বাগান লোকসানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর এতে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমানেও উন্নতির অভাব দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বাগানমালিকেরা নিলামে কম দাম পেলেও তাঁদের উৎপাদিত চা বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, ফলে ক্রেতারা বাড়তি খরচে চা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে সাধারণ মানের চা খোলাবাজারে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর কোম্পানির প্যাকেটজাত চায়ের দাম ৫০০ টাকার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে চা-শিল্পের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে।
বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘শ্রমিকের বেতন, ডিজেল, গ্যাস ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়েছে। সে তুলনায় নিলাম মূল্য না বেড়ে বরং কমে গেছে; যা চা-শিল্পের জন্য উদ্বেগজনক। যদি নিলাম মূল্য না বাড়ে, তাহলে একে একে বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল টিয়ের ১২টি বাগান বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরও অনেক বাগান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি সরকার সহায়তা না দেয়, তবে চা-শিল্পের হাজারো শ্রমিকের জীবিকা এবং তাঁদের পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিলামে চায়ের দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দিচ্ছে এবং একই সঙ্গে ভোক্তাদের কাছে চায়ের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে। এর ফলে বাজারে চায়ের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ হচ্ছে না, যা চা-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
দেশে চা-বাগানের চিত্র
চলতি বছরের ১১ আগস্ট প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ১৬৯টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশি চা-বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়, ৯০টি। এ ছাড়া হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, খাগড়াছড়িতে ১টি, রাঙামাটিতে ২টি, পঞ্চগড়ে ৯টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা-বাগান রয়েছে। এই চা-বাগানগুলো দেশের চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
দাম ও মানোন্নয়নে যে বিতর্ক
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব (উপসচিব) মিনহাজুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২১ সালে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রতি কেজিতে ৮ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ে, যা অনেক চা-বাগানমালিকের জন্য আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চা উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি এবং আর্থিক সংকটের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের চায়ের গুণগত মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) সুমন শিকদার জানিয়েছেন, ভালো মানের চা উৎপাদন নিশ্চিত করতে বোর্ড বিভিন্ন পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে। তবে চায়ের গুণগত মান উন্নত করার মূল দায়িত্ব বাগানমালিকদের। তিনি উল্লেখ করেন, বাগানমালিকেরা যদি উৎপাদনের মান উন্নত করেন, তাহলে নিলামে চায়ের ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘যদি ভালো মানের চা উৎপাদন করি, তাহলে উৎপাদন কমে যাবে, কিন্তু দাম বাড়বে।’
দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে দেশে চায়ের দাম অনেক কমাতে হবে, কিন্তু সেটি সম্ভব নয়।’
আছে মজুরি বিতর্কও
চা-শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, বিশেষত অন্য খাতের তুলনায় কম মজুরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তবে বাংলাদেশ চা সংসদ মনে করে, অন্য শিল্পের সঙ্গে চা-শিল্পের মজুরি তুলনা করা সঠিক নয়। কামরান টি রহমান বলেন, চা-শিল্পে শ্রমিকদের ‘ইন ক্যাশ অ্যান্ড ইন কাইন্ড’ মজুরি দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৭৮ টাকা ক্যাশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি রেশন হিসেবে ২ টাকা কেজিতে চাল বা গম, বাসস্থানের সুবিধা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
কামরান টি রহমান আরও বলেন, এই খাতে একজন শ্রমিক অবসরে যাওয়ার পর আজীবন রেশন পান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যও একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, যা অন্য শিল্পে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দি বলেন, মালিকপক্ষের দাবি করা ৫৭০ টাকা মজুরি ভিত্তিহীন। তাঁর মতে, শ্রম আইনের অধীনে বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মূল্য মজুরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
আশার আলো খুঁজতে হবে
চা-শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিক নীতিমালা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং রপ্তানি বাজার পুনরুদ্ধারে জোর দিলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। চলমান সংকট উত্তরণে প্রস্তাব করা হয়েছে কিছু কার্যকর উদ্যোগের। উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে গুণগত মান উন্নত করার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী চা উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে আইন সহজ করা এবং সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এসব উদ্যোগই চা-শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার মূল চাবিকাঠি হতে পারে।
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত এক কাপ চায়ের জন্য ১ থেকে ২ চা-চামচ চা-পাতা ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি চা-চামচের ওজন প্রায় ২ গ্রাম। সুতরাং যদি প্রতি কাপ চায়ে ৪ গ্রাম চা-পাতা (২ চা-চামচ) ব্যবহার করা হয়, তাহলে ১ কেজি (১০০০ গ্রাম) চা-পাতা থেকে গড়ে ২৫০ কাপ চা তৈরি করা সম্ভব। এটি একটি গড় হিসাব, যেহেতু ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানি গরম করার পদ্ধতি অনুযায়ী এই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।
চা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে চা ভোগের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এই চা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়—‘বেস্ট’, ‘গুড’ এবং ‘সাধারণ’ চা। দেশীয় চা ভোগের এই পরিমাণের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দৈনিক গড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ২৭৪ কেজি চা ব্যবহৃত হয়েছে, যা থেকে ভোক্তারা মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ কাপ চা পান করেছে। আর বছরের শেষে সারা বছর চা পান হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি কাপ।
চা বিক্রির মূল্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান ও মান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত প্রতি কাপ চায়ের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। কিছু জায়গায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে, চায়ের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত হয়। স্থানভেদে এই দাম আরও বেশি। চায়ের দামভেদে গড় মূল্য যদি ৮ টাকা ধরা হয়, তাহলে ভোক্তাদের দৈনিক চা পানে ব্যয় হয়েছে ৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সারা দেশে বছরজুড়ে চায়ের অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকার।
চা শুধু অভ্যর্থনার পানীয়ই নয়, এর ঔষধি গুণও রয়েছে। চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদ্যন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ায়, রক্তনালি সুস্থ রাখে এবং শরীর সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। বিভিন্ন ধরনের চায়ে বিভিন্ন ভেষজ গুণ থাকে। এ ছাড়া চায়ের নানা ব্যবহার রয়েছে; যেমন গাছের সার হিসেবে, কাপড়ের রং ধরে রাখতে, জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে, কার্পেট ও কাচ পরিষ্কার করতে, এমনকি রূপচর্চায়ও চা ব্যবহৃত হয়।
ঐতিহ্যের গৌরবেও সংকটের ছায়া
এভাবে বাংলাদেশের চা-শিল্প শুধু একটি অর্থনৈতিক খাত নয়, বরং এটি দেশের ঐতিহ্যের অংশ, যার বয়স ১৮৪ বছর। দীর্ঘ এই যাত্রায় চায়ের উৎপাদন ধাপে ধাপে বেড়েছে এবং গত বছর রেকর্ড ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। তবে উৎপাদনে এই সাফল্য কাগজে-কলমে গর্ব করার মতো হলেও বাস্তবে সমস্যা অনেক। সরকারি পরিকল্পনার অভাব, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি এবং মালিকদের উদাসীনতার কারণে শিল্পটি এখন সমস্যায় পড়েছে এবং তা পুরোপুরি কার্যকরভাবে কাজ করছে না।
এই সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে বহুমুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। এর প্রভাব পড়েছে চা রপ্তানিতে। মানসম্পন্ন চায়ের উৎপাদন বাড়াতে না পারায় গত এক দশকে বাংলাদেশি চায়ের ঐতিহ্য ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। ২০২২ সালে চায়ের রপ্তানি মাত্র ১ শতাংশে পৌঁছেছিল। আর গত ২২ বছরে অন্তত ১৩ গুণ কমেছে রপ্তানি। দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানিতে জড়িত থাকলেও এখন তাদের অনেকে রপ্তানিতে নেই।
অদ্ভুতভাবে, চায়ের উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকার পরেও দেশে চা আমদানির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে। দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা নিলামে চায়ের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। ২০২৩ সালে প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ছিল ২৭১ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ২৯৭ টাকা এবং বর্তমানে তা ৩০০ টাকার কাছাকাছি। কেনিয়ায় প্রতি হেক্টরে চায়ের গড় উৎপাদন ৪ হাজার কেজি, সেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ১ হাজার ৫০০ কেজি। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান। চা বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে নিলামে ‘বেস্ট’ ক্যাটাগরি চায়ের কেজি ২৮০-৩৩০ টাকা, ‘গুড’ ক্যাটাগরি ২৪৫-২৭০ টাকা এবং সাধারণ চায়ের কেজি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফলে রপ্তানির জন্য মানসম্পন্ন চা উৎপাদনে আগ্রহ কমে গেছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেক চা-বাগান লোকসানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর এতে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমানেও উন্নতির অভাব দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বাগানমালিকেরা নিলামে কম দাম পেলেও তাঁদের উৎপাদিত চা বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, ফলে ক্রেতারা বাড়তি খরচে চা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে সাধারণ মানের চা খোলাবাজারে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর কোম্পানির প্যাকেটজাত চায়ের দাম ৫০০ টাকার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে চা-শিল্পের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে।
বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘শ্রমিকের বেতন, ডিজেল, গ্যাস ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়েছে। সে তুলনায় নিলাম মূল্য না বেড়ে বরং কমে গেছে; যা চা-শিল্পের জন্য উদ্বেগজনক। যদি নিলাম মূল্য না বাড়ে, তাহলে একে একে বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল টিয়ের ১২টি বাগান বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরও অনেক বাগান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি সরকার সহায়তা না দেয়, তবে চা-শিল্পের হাজারো শ্রমিকের জীবিকা এবং তাঁদের পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিলামে চায়ের দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দিচ্ছে এবং একই সঙ্গে ভোক্তাদের কাছে চায়ের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে। এর ফলে বাজারে চায়ের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ হচ্ছে না, যা চা-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
দেশে চা-বাগানের চিত্র
চলতি বছরের ১১ আগস্ট প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ১৬৯টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশি চা-বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়, ৯০টি। এ ছাড়া হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, খাগড়াছড়িতে ১টি, রাঙামাটিতে ২টি, পঞ্চগড়ে ৯টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা-বাগান রয়েছে। এই চা-বাগানগুলো দেশের চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
দাম ও মানোন্নয়নে যে বিতর্ক
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব (উপসচিব) মিনহাজুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২১ সালে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রতি কেজিতে ৮ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ে, যা অনেক চা-বাগানমালিকের জন্য আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চা উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি এবং আর্থিক সংকটের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের চায়ের গুণগত মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) সুমন শিকদার জানিয়েছেন, ভালো মানের চা উৎপাদন নিশ্চিত করতে বোর্ড বিভিন্ন পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে। তবে চায়ের গুণগত মান উন্নত করার মূল দায়িত্ব বাগানমালিকদের। তিনি উল্লেখ করেন, বাগানমালিকেরা যদি উৎপাদনের মান উন্নত করেন, তাহলে নিলামে চায়ের ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘যদি ভালো মানের চা উৎপাদন করি, তাহলে উৎপাদন কমে যাবে, কিন্তু দাম বাড়বে।’
দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে দেশে চায়ের দাম অনেক কমাতে হবে, কিন্তু সেটি সম্ভব নয়।’
আছে মজুরি বিতর্কও
চা-শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, বিশেষত অন্য খাতের তুলনায় কম মজুরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তবে বাংলাদেশ চা সংসদ মনে করে, অন্য শিল্পের সঙ্গে চা-শিল্পের মজুরি তুলনা করা সঠিক নয়। কামরান টি রহমান বলেন, চা-শিল্পে শ্রমিকদের ‘ইন ক্যাশ অ্যান্ড ইন কাইন্ড’ মজুরি দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৭৮ টাকা ক্যাশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি রেশন হিসেবে ২ টাকা কেজিতে চাল বা গম, বাসস্থানের সুবিধা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
কামরান টি রহমান আরও বলেন, এই খাতে একজন শ্রমিক অবসরে যাওয়ার পর আজীবন রেশন পান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যও একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, যা অন্য শিল্পে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দি বলেন, মালিকপক্ষের দাবি করা ৫৭০ টাকা মজুরি ভিত্তিহীন। তাঁর মতে, শ্রম আইনের অধীনে বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মূল্য মজুরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
আশার আলো খুঁজতে হবে
চা-শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিক নীতিমালা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং রপ্তানি বাজার পুনরুদ্ধারে জোর দিলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। চলমান সংকট উত্তরণে প্রস্তাব করা হয়েছে কিছু কার্যকর উদ্যোগের। উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে গুণগত মান উন্নত করার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী চা উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে আইন সহজ করা এবং সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এসব উদ্যোগই চা-শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার মূল চাবিকাঠি হতে পারে।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত এক কাপ চায়ের জন্য ১ থেকে ২ চা-চামচ চা-পাতা ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি চা-চামচের ওজন প্রায় ২ গ্রাম। সুতরাং যদি প্রতি কাপ চায়ে ৪ গ্রাম চা-পাতা (২ চা-চামচ) ব্যবহার করা হয়, তাহলে ১ কেজি (১০০০ গ্রাম) চা-পাতা থেকে গড়ে ২৫০ কাপ চা তৈরি করা সম্ভব। এটি একটি গড় হিসাব, যেহেতু ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানি গরম করার পদ্ধতি অনুযায়ী এই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।
চা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে চা ভোগের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এই চা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়—‘বেস্ট’, ‘গুড’ এবং ‘সাধারণ’ চা। দেশীয় চা ভোগের এই পরিমাণের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দৈনিক গড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ২৭৪ কেজি চা ব্যবহৃত হয়েছে, যা থেকে ভোক্তারা মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ কাপ চা পান করেছে। আর বছরের শেষে সারা বছর চা পান হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি কাপ।
চা বিক্রির মূল্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান ও মান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত প্রতি কাপ চায়ের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। কিছু জায়গায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে, চায়ের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত হয়। স্থানভেদে এই দাম আরও বেশি। চায়ের দামভেদে গড় মূল্য যদি ৮ টাকা ধরা হয়, তাহলে ভোক্তাদের দৈনিক চা পানে ব্যয় হয়েছে ৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সারা দেশে বছরজুড়ে চায়ের অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকার।
চা শুধু অভ্যর্থনার পানীয়ই নয়, এর ঔষধি গুণও রয়েছে। চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদ্যন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ায়, রক্তনালি সুস্থ রাখে এবং শরীর সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। বিভিন্ন ধরনের চায়ে বিভিন্ন ভেষজ গুণ থাকে। এ ছাড়া চায়ের নানা ব্যবহার রয়েছে; যেমন গাছের সার হিসেবে, কাপড়ের রং ধরে রাখতে, জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে, কার্পেট ও কাচ পরিষ্কার করতে, এমনকি রূপচর্চায়ও চা ব্যবহৃত হয়।
ঐতিহ্যের গৌরবেও সংকটের ছায়া
এভাবে বাংলাদেশের চা-শিল্প শুধু একটি অর্থনৈতিক খাত নয়, বরং এটি দেশের ঐতিহ্যের অংশ, যার বয়স ১৮৪ বছর। দীর্ঘ এই যাত্রায় চায়ের উৎপাদন ধাপে ধাপে বেড়েছে এবং গত বছর রেকর্ড ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। তবে উৎপাদনে এই সাফল্য কাগজে-কলমে গর্ব করার মতো হলেও বাস্তবে সমস্যা অনেক। সরকারি পরিকল্পনার অভাব, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি এবং মালিকদের উদাসীনতার কারণে শিল্পটি এখন সমস্যায় পড়েছে এবং তা পুরোপুরি কার্যকরভাবে কাজ করছে না।
এই সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে বহুমুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। এর প্রভাব পড়েছে চা রপ্তানিতে। মানসম্পন্ন চায়ের উৎপাদন বাড়াতে না পারায় গত এক দশকে বাংলাদেশি চায়ের ঐতিহ্য ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। ২০২২ সালে চায়ের রপ্তানি মাত্র ১ শতাংশে পৌঁছেছিল। আর গত ২২ বছরে অন্তত ১৩ গুণ কমেছে রপ্তানি। দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানিতে জড়িত থাকলেও এখন তাদের অনেকে রপ্তানিতে নেই।
অদ্ভুতভাবে, চায়ের উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকার পরেও দেশে চা আমদানির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে। দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা নিলামে চায়ের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। ২০২৩ সালে প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ছিল ২৭১ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ২৯৭ টাকা এবং বর্তমানে তা ৩০০ টাকার কাছাকাছি। কেনিয়ায় প্রতি হেক্টরে চায়ের গড় উৎপাদন ৪ হাজার কেজি, সেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ১ হাজার ৫০০ কেজি। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান। চা বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে নিলামে ‘বেস্ট’ ক্যাটাগরি চায়ের কেজি ২৮০-৩৩০ টাকা, ‘গুড’ ক্যাটাগরি ২৪৫-২৭০ টাকা এবং সাধারণ চায়ের কেজি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফলে রপ্তানির জন্য মানসম্পন্ন চা উৎপাদনে আগ্রহ কমে গেছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেক চা-বাগান লোকসানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর এতে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমানেও উন্নতির অভাব দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বাগানমালিকেরা নিলামে কম দাম পেলেও তাঁদের উৎপাদিত চা বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, ফলে ক্রেতারা বাড়তি খরচে চা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে সাধারণ মানের চা খোলাবাজারে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর কোম্পানির প্যাকেটজাত চায়ের দাম ৫০০ টাকার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে চা-শিল্পের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে।
বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘শ্রমিকের বেতন, ডিজেল, গ্যাস ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়েছে। সে তুলনায় নিলাম মূল্য না বেড়ে বরং কমে গেছে; যা চা-শিল্পের জন্য উদ্বেগজনক। যদি নিলাম মূল্য না বাড়ে, তাহলে একে একে বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল টিয়ের ১২টি বাগান বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরও অনেক বাগান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি সরকার সহায়তা না দেয়, তবে চা-শিল্পের হাজারো শ্রমিকের জীবিকা এবং তাঁদের পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিলামে চায়ের দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দিচ্ছে এবং একই সঙ্গে ভোক্তাদের কাছে চায়ের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে। এর ফলে বাজারে চায়ের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ হচ্ছে না, যা চা-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
দেশে চা-বাগানের চিত্র
চলতি বছরের ১১ আগস্ট প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ১৬৯টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশি চা-বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়, ৯০টি। এ ছাড়া হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, খাগড়াছড়িতে ১টি, রাঙামাটিতে ২টি, পঞ্চগড়ে ৯টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা-বাগান রয়েছে। এই চা-বাগানগুলো দেশের চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
দাম ও মানোন্নয়নে যে বিতর্ক
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব (উপসচিব) মিনহাজুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২১ সালে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রতি কেজিতে ৮ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ে, যা অনেক চা-বাগানমালিকের জন্য আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চা উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি এবং আর্থিক সংকটের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের চায়ের গুণগত মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) সুমন শিকদার জানিয়েছেন, ভালো মানের চা উৎপাদন নিশ্চিত করতে বোর্ড বিভিন্ন পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে। তবে চায়ের গুণগত মান উন্নত করার মূল দায়িত্ব বাগানমালিকদের। তিনি উল্লেখ করেন, বাগানমালিকেরা যদি উৎপাদনের মান উন্নত করেন, তাহলে নিলামে চায়ের ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘যদি ভালো মানের চা উৎপাদন করি, তাহলে উৎপাদন কমে যাবে, কিন্তু দাম বাড়বে।’
দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে দেশে চায়ের দাম অনেক কমাতে হবে, কিন্তু সেটি সম্ভব নয়।’
আছে মজুরি বিতর্কও
চা-শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, বিশেষত অন্য খাতের তুলনায় কম মজুরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তবে বাংলাদেশ চা সংসদ মনে করে, অন্য শিল্পের সঙ্গে চা-শিল্পের মজুরি তুলনা করা সঠিক নয়। কামরান টি রহমান বলেন, চা-শিল্পে শ্রমিকদের ‘ইন ক্যাশ অ্যান্ড ইন কাইন্ড’ মজুরি দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৭৮ টাকা ক্যাশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি রেশন হিসেবে ২ টাকা কেজিতে চাল বা গম, বাসস্থানের সুবিধা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
কামরান টি রহমান আরও বলেন, এই খাতে একজন শ্রমিক অবসরে যাওয়ার পর আজীবন রেশন পান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যও একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, যা অন্য শিল্পে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দি বলেন, মালিকপক্ষের দাবি করা ৫৭০ টাকা মজুরি ভিত্তিহীন। তাঁর মতে, শ্রম আইনের অধীনে বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মূল্য মজুরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
আশার আলো খুঁজতে হবে
চা-শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিক নীতিমালা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং রপ্তানি বাজার পুনরুদ্ধারে জোর দিলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। চলমান সংকট উত্তরণে প্রস্তাব করা হয়েছে কিছু কার্যকর উদ্যোগের। উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে গুণগত মান উন্নত করার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী চা উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে আইন সহজ করা এবং সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এসব উদ্যোগই চা-শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার মূল চাবিকাঠি হতে পারে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৬ ঘণ্টা আগে