আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত এক কাপ চায়ের জন্য ১ থেকে ২ চা-চামচ চা-পাতা ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি চা-চামচের ওজন প্রায় ২ গ্রাম। সুতরাং যদি প্রতি কাপ চায়ে ৪ গ্রাম চা-পাতা (২ চা-চামচ) ব্যবহার করা হয়, তাহলে ১ কেজি (১০০০ গ্রাম) চা-পাতা থেকে গড়ে ২৫০ কাপ চা তৈরি করা সম্ভব। এটি একটি গড় হিসাব, যেহেতু ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানি গরম করার পদ্ধতি অনুযায়ী এই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।
চা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে চা ভোগের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এই চা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়—‘বেস্ট’, ‘গুড’ এবং ‘সাধারণ’ চা। দেশীয় চা ভোগের এই পরিমাণের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দৈনিক গড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ২৭৪ কেজি চা ব্যবহৃত হয়েছে, যা থেকে ভোক্তারা মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ কাপ চা পান করেছে। আর বছরের শেষে সারা বছর চা পান হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি কাপ।
চা বিক্রির মূল্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান ও মান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত প্রতি কাপ চায়ের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। কিছু জায়গায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে, চায়ের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত হয়। স্থানভেদে এই দাম আরও বেশি। চায়ের দামভেদে গড় মূল্য যদি ৮ টাকা ধরা হয়, তাহলে ভোক্তাদের দৈনিক চা পানে ব্যয় হয়েছে ৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সারা দেশে বছরজুড়ে চায়ের অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকার।
চা শুধু অভ্যর্থনার পানীয়ই নয়, এর ঔষধি গুণও রয়েছে। চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদ্যন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ায়, রক্তনালি সুস্থ রাখে এবং শরীর সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। বিভিন্ন ধরনের চায়ে বিভিন্ন ভেষজ গুণ থাকে। এ ছাড়া চায়ের নানা ব্যবহার রয়েছে; যেমন গাছের সার হিসেবে, কাপড়ের রং ধরে রাখতে, জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে, কার্পেট ও কাচ পরিষ্কার করতে, এমনকি রূপচর্চায়ও চা ব্যবহৃত হয়।
ঐতিহ্যের গৌরবেও সংকটের ছায়া
এভাবে বাংলাদেশের চা-শিল্প শুধু একটি অর্থনৈতিক খাত নয়, বরং এটি দেশের ঐতিহ্যের অংশ, যার বয়স ১৮৪ বছর। দীর্ঘ এই যাত্রায় চায়ের উৎপাদন ধাপে ধাপে বেড়েছে এবং গত বছর রেকর্ড ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। তবে উৎপাদনে এই সাফল্য কাগজে-কলমে গর্ব করার মতো হলেও বাস্তবে সমস্যা অনেক। সরকারি পরিকল্পনার অভাব, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি এবং মালিকদের উদাসীনতার কারণে শিল্পটি এখন সমস্যায় পড়েছে এবং তা পুরোপুরি কার্যকরভাবে কাজ করছে না।
এই সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে বহুমুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। এর প্রভাব পড়েছে চা রপ্তানিতে। মানসম্পন্ন চায়ের উৎপাদন বাড়াতে না পারায় গত এক দশকে বাংলাদেশি চায়ের ঐতিহ্য ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। ২০২২ সালে চায়ের রপ্তানি মাত্র ১ শতাংশে পৌঁছেছিল। আর গত ২২ বছরে অন্তত ১৩ গুণ কমেছে রপ্তানি। দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানিতে জড়িত থাকলেও এখন তাদের অনেকে রপ্তানিতে নেই।
অদ্ভুতভাবে, চায়ের উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকার পরেও দেশে চা আমদানির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে। দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা নিলামে চায়ের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। ২০২৩ সালে প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ছিল ২৭১ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ২৯৭ টাকা এবং বর্তমানে তা ৩০০ টাকার কাছাকাছি। কেনিয়ায় প্রতি হেক্টরে চায়ের গড় উৎপাদন ৪ হাজার কেজি, সেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ১ হাজার ৫০০ কেজি। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান। চা বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে নিলামে ‘বেস্ট’ ক্যাটাগরি চায়ের কেজি ২৮০-৩৩০ টাকা, ‘গুড’ ক্যাটাগরি ২৪৫-২৭০ টাকা এবং সাধারণ চায়ের কেজি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফলে রপ্তানির জন্য মানসম্পন্ন চা উৎপাদনে আগ্রহ কমে গেছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেক চা-বাগান লোকসানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর এতে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমানেও উন্নতির অভাব দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বাগানমালিকেরা নিলামে কম দাম পেলেও তাঁদের উৎপাদিত চা বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, ফলে ক্রেতারা বাড়তি খরচে চা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে সাধারণ মানের চা খোলাবাজারে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর কোম্পানির প্যাকেটজাত চায়ের দাম ৫০০ টাকার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে চা-শিল্পের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে।
বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘শ্রমিকের বেতন, ডিজেল, গ্যাস ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়েছে। সে তুলনায় নিলাম মূল্য না বেড়ে বরং কমে গেছে; যা চা-শিল্পের জন্য উদ্বেগজনক। যদি নিলাম মূল্য না বাড়ে, তাহলে একে একে বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল টিয়ের ১২টি বাগান বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরও অনেক বাগান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি সরকার সহায়তা না দেয়, তবে চা-শিল্পের হাজারো শ্রমিকের জীবিকা এবং তাঁদের পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিলামে চায়ের দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দিচ্ছে এবং একই সঙ্গে ভোক্তাদের কাছে চায়ের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে। এর ফলে বাজারে চায়ের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ হচ্ছে না, যা চা-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
দেশে চা-বাগানের চিত্র
চলতি বছরের ১১ আগস্ট প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ১৬৯টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশি চা-বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়, ৯০টি। এ ছাড়া হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, খাগড়াছড়িতে ১টি, রাঙামাটিতে ২টি, পঞ্চগড়ে ৯টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা-বাগান রয়েছে। এই চা-বাগানগুলো দেশের চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
দাম ও মানোন্নয়নে যে বিতর্ক
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব (উপসচিব) মিনহাজুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২১ সালে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রতি কেজিতে ৮ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ে, যা অনেক চা-বাগানমালিকের জন্য আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চা উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি এবং আর্থিক সংকটের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের চায়ের গুণগত মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) সুমন শিকদার জানিয়েছেন, ভালো মানের চা উৎপাদন নিশ্চিত করতে বোর্ড বিভিন্ন পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে। তবে চায়ের গুণগত মান উন্নত করার মূল দায়িত্ব বাগানমালিকদের। তিনি উল্লেখ করেন, বাগানমালিকেরা যদি উৎপাদনের মান উন্নত করেন, তাহলে নিলামে চায়ের ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘যদি ভালো মানের চা উৎপাদন করি, তাহলে উৎপাদন কমে যাবে, কিন্তু দাম বাড়বে।’
দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে দেশে চায়ের দাম অনেক কমাতে হবে, কিন্তু সেটি সম্ভব নয়।’
আছে মজুরি বিতর্কও
চা-শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, বিশেষত অন্য খাতের তুলনায় কম মজুরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তবে বাংলাদেশ চা সংসদ মনে করে, অন্য শিল্পের সঙ্গে চা-শিল্পের মজুরি তুলনা করা সঠিক নয়। কামরান টি রহমান বলেন, চা-শিল্পে শ্রমিকদের ‘ইন ক্যাশ অ্যান্ড ইন কাইন্ড’ মজুরি দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৭৮ টাকা ক্যাশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি রেশন হিসেবে ২ টাকা কেজিতে চাল বা গম, বাসস্থানের সুবিধা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
কামরান টি রহমান আরও বলেন, এই খাতে একজন শ্রমিক অবসরে যাওয়ার পর আজীবন রেশন পান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যও একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, যা অন্য শিল্পে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দি বলেন, মালিকপক্ষের দাবি করা ৫৭০ টাকা মজুরি ভিত্তিহীন। তাঁর মতে, শ্রম আইনের অধীনে বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মূল্য মজুরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
আশার আলো খুঁজতে হবে
চা-শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিক নীতিমালা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং রপ্তানি বাজার পুনরুদ্ধারে জোর দিলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। চলমান সংকট উত্তরণে প্রস্তাব করা হয়েছে কিছু কার্যকর উদ্যোগের। উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে গুণগত মান উন্নত করার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী চা উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে আইন সহজ করা এবং সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এসব উদ্যোগই চা-শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার মূল চাবিকাঠি হতে পারে।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত এক কাপ চায়ের জন্য ১ থেকে ২ চা-চামচ চা-পাতা ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি চা-চামচের ওজন প্রায় ২ গ্রাম। সুতরাং যদি প্রতি কাপ চায়ে ৪ গ্রাম চা-পাতা (২ চা-চামচ) ব্যবহার করা হয়, তাহলে ১ কেজি (১০০০ গ্রাম) চা-পাতা থেকে গড়ে ২৫০ কাপ চা তৈরি করা সম্ভব। এটি একটি গড় হিসাব, যেহেতু ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানি গরম করার পদ্ধতি অনুযায়ী এই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।
চা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে চা ভোগের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এই চা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়—‘বেস্ট’, ‘গুড’ এবং ‘সাধারণ’ চা। দেশীয় চা ভোগের এই পরিমাণের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দৈনিক গড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ২৭৪ কেজি চা ব্যবহৃত হয়েছে, যা থেকে ভোক্তারা মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ কাপ চা পান করেছে। আর বছরের শেষে সারা বছর চা পান হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি কাপ।
চা বিক্রির মূল্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান ও মান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত প্রতি কাপ চায়ের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। কিছু জায়গায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে, চায়ের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত হয়। স্থানভেদে এই দাম আরও বেশি। চায়ের দামভেদে গড় মূল্য যদি ৮ টাকা ধরা হয়, তাহলে ভোক্তাদের দৈনিক চা পানে ব্যয় হয়েছে ৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সারা দেশে বছরজুড়ে চায়ের অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকার।
চা শুধু অভ্যর্থনার পানীয়ই নয়, এর ঔষধি গুণও রয়েছে। চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদ্যন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ায়, রক্তনালি সুস্থ রাখে এবং শরীর সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। বিভিন্ন ধরনের চায়ে বিভিন্ন ভেষজ গুণ থাকে। এ ছাড়া চায়ের নানা ব্যবহার রয়েছে; যেমন গাছের সার হিসেবে, কাপড়ের রং ধরে রাখতে, জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে, কার্পেট ও কাচ পরিষ্কার করতে, এমনকি রূপচর্চায়ও চা ব্যবহৃত হয়।
ঐতিহ্যের গৌরবেও সংকটের ছায়া
এভাবে বাংলাদেশের চা-শিল্প শুধু একটি অর্থনৈতিক খাত নয়, বরং এটি দেশের ঐতিহ্যের অংশ, যার বয়স ১৮৪ বছর। দীর্ঘ এই যাত্রায় চায়ের উৎপাদন ধাপে ধাপে বেড়েছে এবং গত বছর রেকর্ড ১০ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। তবে উৎপাদনে এই সাফল্য কাগজে-কলমে গর্ব করার মতো হলেও বাস্তবে সমস্যা অনেক। সরকারি পরিকল্পনার অভাব, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি এবং মালিকদের উদাসীনতার কারণে শিল্পটি এখন সমস্যায় পড়েছে এবং তা পুরোপুরি কার্যকরভাবে কাজ করছে না।
এই সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে বহুমুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। এর প্রভাব পড়েছে চা রপ্তানিতে। মানসম্পন্ন চায়ের উৎপাদন বাড়াতে না পারায় গত এক দশকে বাংলাদেশি চায়ের ঐতিহ্য ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। ২০২২ সালে চায়ের রপ্তানি মাত্র ১ শতাংশে পৌঁছেছিল। আর গত ২২ বছরে অন্তত ১৩ গুণ কমেছে রপ্তানি। দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানিতে জড়িত থাকলেও এখন তাদের অনেকে রপ্তানিতে নেই।
অদ্ভুতভাবে, চায়ের উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকার পরেও দেশে চা আমদানির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে। দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা নিলামে চায়ের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। ২০২৩ সালে প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ছিল ২৭১ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ২৯৭ টাকা এবং বর্তমানে তা ৩০০ টাকার কাছাকাছি। কেনিয়ায় প্রতি হেক্টরে চায়ের গড় উৎপাদন ৪ হাজার কেজি, সেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ১ হাজার ৫০০ কেজি। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান। চা বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে নিলামে ‘বেস্ট’ ক্যাটাগরি চায়ের কেজি ২৮০-৩৩০ টাকা, ‘গুড’ ক্যাটাগরি ২৪৫-২৭০ টাকা এবং সাধারণ চায়ের কেজি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফলে রপ্তানির জন্য মানসম্পন্ন চা উৎপাদনে আগ্রহ কমে গেছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেক চা-বাগান লোকসানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর এতে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমানেও উন্নতির অভাব দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বাগানমালিকেরা নিলামে কম দাম পেলেও তাঁদের উৎপাদিত চা বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, ফলে ক্রেতারা বাড়তি খরচে চা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে সাধারণ মানের চা খোলাবাজারে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর কোম্পানির প্যাকেটজাত চায়ের দাম ৫০০ টাকার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে চা-শিল্পের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে।
বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘শ্রমিকের বেতন, ডিজেল, গ্যাস ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়েছে। সে তুলনায় নিলাম মূল্য না বেড়ে বরং কমে গেছে; যা চা-শিল্পের জন্য উদ্বেগজনক। যদি নিলাম মূল্য না বাড়ে, তাহলে একে একে বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল টিয়ের ১২টি বাগান বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরও অনেক বাগান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি সরকার সহায়তা না দেয়, তবে চা-শিল্পের হাজারো শ্রমিকের জীবিকা এবং তাঁদের পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিলামে চায়ের দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দিচ্ছে এবং একই সঙ্গে ভোক্তাদের কাছে চায়ের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে। এর ফলে বাজারে চায়ের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ হচ্ছে না, যা চা-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
দেশে চা-বাগানের চিত্র
চলতি বছরের ১১ আগস্ট প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ১৬৯টি চা-বাগান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশি চা-বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়, ৯০টি। এ ছাড়া হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২টি, খাগড়াছড়িতে ১টি, রাঙামাটিতে ২টি, পঞ্চগড়ে ৯টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা-বাগান রয়েছে। এই চা-বাগানগুলো দেশের চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
দাম ও মানোন্নয়নে যে বিতর্ক
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব (উপসচিব) মিনহাজুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২১ সালে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রতি কেজিতে ৮ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ে, যা অনেক চা-বাগানমালিকের জন্য আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চা উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি এবং আর্থিক সংকটের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের চায়ের গুণগত মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) সুমন শিকদার জানিয়েছেন, ভালো মানের চা উৎপাদন নিশ্চিত করতে বোর্ড বিভিন্ন পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে। তবে চায়ের গুণগত মান উন্নত করার মূল দায়িত্ব বাগানমালিকদের। তিনি উল্লেখ করেন, বাগানমালিকেরা যদি উৎপাদনের মান উন্নত করেন, তাহলে নিলামে চায়ের ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, ‘যদি ভালো মানের চা উৎপাদন করি, তাহলে উৎপাদন কমে যাবে, কিন্তু দাম বাড়বে।’
দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে দেশে চায়ের দাম অনেক কমাতে হবে, কিন্তু সেটি সম্ভব নয়।’
আছে মজুরি বিতর্কও
চা-শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, বিশেষত অন্য খাতের তুলনায় কম মজুরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তবে বাংলাদেশ চা সংসদ মনে করে, অন্য শিল্পের সঙ্গে চা-শিল্পের মজুরি তুলনা করা সঠিক নয়। কামরান টি রহমান বলেন, চা-শিল্পে শ্রমিকদের ‘ইন ক্যাশ অ্যান্ড ইন কাইন্ড’ মজুরি দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৭৮ টাকা ক্যাশ দেওয়া হয়, পাশাপাশি রেশন হিসেবে ২ টাকা কেজিতে চাল বা গম, বাসস্থানের সুবিধা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
কামরান টি রহমান আরও বলেন, এই খাতে একজন শ্রমিক অবসরে যাওয়ার পর আজীবন রেশন পান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যও একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, যা অন্য শিল্পে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দি বলেন, মালিকপক্ষের দাবি করা ৫৭০ টাকা মজুরি ভিত্তিহীন। তাঁর মতে, শ্রম আইনের অধীনে বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মূল্য মজুরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
আশার আলো খুঁজতে হবে
চা-শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিক নীতিমালা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং রপ্তানি বাজার পুনরুদ্ধারে জোর দিলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। চলমান সংকট উত্তরণে প্রস্তাব করা হয়েছে কিছু কার্যকর উদ্যোগের। উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে গুণগত মান উন্নত করার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী চা উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে আইন সহজ করা এবং সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এসব উদ্যোগই চা-শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার মূল চাবিকাঠি হতে পারে।

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

১ কেজি চা-পাতায় কত কাপ চা তৈরি করা যায়, তা মূলত নির্ভর করে চায়ের পাতার মান, ব্যবহৃত চায়ের পরিমাণ এবং পানির পরিমাণের ওপর। চায়ের স্বাদ ও ঘনত্বের জন্য এই তিনটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে