Ajker Patrika

ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৭: ২৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশীয় সুতাশিল্পের সুরক্ষায় স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাকসুদা খন্দকারের সই করা এক চিঠির মাধ্যমে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রদত্ত তথ্য, অংশীজনের মতামত গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানে সাব্যস্ত হয়েছে, বাংলাদেশে সব ধরনের সুতা আমদানিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ঘোষিত মূল্য অপেক্ষা স্থলবন্দর থেকে সুতা আমদানিতে উল্লেখযোগ্য হারে অবমূল্যায়ন করা হয়।

দেশীয় সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই অবমূল্যায়িত মূল্যের সঙ্গে প্রতিযোগী হতে পারছে না। চীন, তুরস্ক, উজবেকিস্তান ও বাংলাদেশে উৎপাদিত সুতার গড় মূল্য প্রায় সমান। অথচ স্থলবন্দর ব্যবহার করে আমদানি করা সুতার মূল্য অনেক কম।

ভারতের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদিত সুতা কলকাতায় গুদামজাত করে দ্রুত শিপমেন্ট করার কারণে দেশের অভ্যন্তরে কম দামে প্রবেশের ফলে দেশি সুতার পরিবর্তে স্থলবন্দর দিয়ে আসা আমদানি করা সুতা ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্প খাত অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়ছে।

এমন অবস্থায় সব স্থলবন্দরের মাধ্যমে সুতা আমদানি বন্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি অথবা বিদ্যমান এসআরওতে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংশোধনী জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়

এর আগে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে এক চিঠিতে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় সুতাকল ও বস্ত্রকলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেলের সই করা ওই চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকেও (এনবিআর) দেওয়া হয়।

সম্প্রতি প্রাক্-বাজেট আলোচনায় সুতা আমদানিতে অধিক হারে শুল্ক-কর বসানো এবং অবৈধভাবে সুতা আমদানি বন্ধের সুপারিশ করে সংগঠনটি। বিটিএমএর (বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, ডলার-সংকট, অস্বাভাবিক সুদহার ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের শর্তাবলি পূরণের অজুহাতে রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নসহ নানা কারণে টেক্সটাইল খাত সমস্যায় পড়েছে। আর ভারত থেকে বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ডাম্পিং মূল্যে সুতা আমদানি টেক্সটাইল মিলগুলোকে নতুন এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে।’

এনবিআরে দেওয়া চিঠিতে বিটিএমএ সভাপতি উল্লেখ করেন, বিগত সরকার নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির অনুমতি দেয়। কিন্তু এসব স্থলবন্দরে সুতার মান যাচাই করে শুল্কায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বা কারিগরি সক্ষমতা নেই। শুধু আংশিক আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট শিল্পের পর্যবেক্ষকদের মতে, এর ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় সুতাকলগুলো।

চিঠিতে আরও বলা হয়, স্থলবন্দর ব্যবহার করে সুতা আমদানি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে দেশের টেক্সটাইল শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। ফলে বিদেশি সুতার ওপর আমদানি-নির্ভরশীলতা বেড়ে যাবে, আমদানি ব্যয় বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে বেকারত্ব

বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধাসহ অন্য স্থলবন্দর বা কাস্টম হাউসগুলোয় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, সুতার কাউন্ট পরিমাপক যন্ত্র, দক্ষ জনবলের অভাব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ না থাকায় আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য অনেকাংশে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হচ্ছে না। ফলে সুতার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল আমদানির অনুমতিসহ আংশিক শিপমেন্টের অনুমতি বিদ্যমান থাকায় দেশীয় টেক্সটাইল, বিশেষ করে স্পিনিং মিলগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত ৩০ কাউন্ট সুতার প্রতি কেজি উৎপাদন খরচ এখন ৩ দশমিক ৪০ ডলার। একই সুতা ভারত থেকে আমদানি করলে ২ ডলার ৯০ সেন্ট দাম পড়ছে; যে কারণে স্থানীয় মিল থেকে কেনায় আগ্রহী হচ্ছেন না তাঁরা।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

করছাড়ের সিদ্ধান্ত এখন সংসদের হাতে: এনবিআর চেয়ারম্যান

  • বিদেশি সংস্থার ঋণের সুদে করমুক্তির সুযোগ এনবিআরের হাতে নেই।
  • বন্ডের অপব্যবহারকারীদের পরিচয় প্রকাশের দাবি ব্যবসায়ীদের।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

করছাড়ের ক্ষমতা আর এনবিআর বা মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে না—এখন থেকে কোন খাতে কতটা করছাড় দেওয়া হবে বা আদৌ দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংসদ। করনীতির এ পরিবর্তনের দিকটি তুলে ধরে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে গতকাল রোববার আয়োজিত ‘মিট দ্য বিজনেস’ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, করব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতেই এই নতুন নীতি-কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যায় উঠে আসে, রাজস্ব ব্যয় ও ট্যাক্স এক্সপেন্ডিচার নীতিমালার আলোকে আয়কর আইন ও কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধান সংশোধন করা হয়েছে, যেখানে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ করছাড় আর প্রশাসনিকভাবে নির্ধারিত সিদ্ধান্ত নয়; তা হবে জনগণের ম্যান্ডেট অনুযায়ী সংসদীয় নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে।

বিদেশি উন্নয়ন অংশীদারেরা যেসব ঋণ দিয়েছে, তাদের ঋণের সুদের ওপর করমুক্তির প্রস্তাব থাকলেও বর্তমান নীতির কারণে এখন তা দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিদেশি যারা আমাদেরকে ঋণ দিয়েছে, তাদের ঋণের সুদের ওপর যে ট্যাক্স মাফ করার কথা বলা হয়েছে, এটা আপাতত আমাদের করার সুযোগ নেই। এটা আগামী পার্লামেন্টই ঠিক করবে, জনগণ ঠিক করবে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানান, এর ফলে বিদেশি উন্নয়ন অংশীদারদের ঋণের সুদের ওপর করমুক্তি দেওয়ার যে প্রস্তাব ছিল, তা আপাতত বাস্তবায়নযোগ্য নয়; এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ, অর্থাৎ জনগণের ম্যান্ডেট।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ও বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, বন্ডের অপব্যবহারে যারা জড়িত, তাদেরই যেন শাস্তি দেওয়া হয়; কারণ এ ক্ষতির ভার বহন করতে হয় নিয়ম মেনে চলা ব্যবসায়ীদের। অপব্যবহারকারীদের পরিচয় প্রকাশ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভুলচুক হলে সেটি বন্ডধারীর দায়, অথচ অনেক সময় শাস্তি পায় নির্দোষেরা। তিনি আরও বলেন, বন্ড লাইসেন্সে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এইচএস কোড নিয়ে অযথা জটিলতা সৃষ্টি হয়। বছর শেষে পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেওয়া হয় যখন, তখন এইচএস কোডজনিত ভুলকে মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে দেখা অনুচিত। তাই এইচএস কোড তুলে দেওয়ার বিষয়টি সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে পারে।

মোহাম্মদ হাতেম অভিযোগ করেন, রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তাদের ঘন ঘন বদলির ফলে ফাইল দীর্ঘদিন আটকে থাকে, আর ছোট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়াই বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ছোট উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনার অনুরোধও জানান তিনি।

এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কারও অদক্ষতা প্রমাণ হলে চাকরিচ্যুত করা হবে। পণ্যের এইচএস কোডজনিত বিলম্ব রোধে কাস্টমস পুরোপুরি অনলাইনে আনা হবে, যা সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইউটিলাইজেশন পারমিশন (ইউপি) ইস্যুতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত ও স্বচ্ছ সেবা দেওয়ার জন্য কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিবিএমএস) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমানে তিনটি কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে ২৪টি মডিউল ব্যবহার করে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

‘মিট দ্য বিজনেস’ আলোচনায় গার্মেন্টস, নিটওয়্যার, টেক্সটাইল, লেদারগুডস খাতের শীর্ষ সংগঠনগুলো (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিএপিএমইএ, বিটিএমএ, এলএফএমইএবি) এ সিদ্ধান্তে সমর্থন জানায়। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ইউপি-সংক্রান্ত সব সেবা সিবিএমএসের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করা হবে; এনবিআর শিগগিরই আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জারি করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির ইসলামপুর শাখার নতুন কার্যালয় উদ্বোধন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম আজ রোববার ইসলামপুরে এটি উদ্বোধন করেন।

শাখাটির ঠিকানা বাবুলী ইসলামপুর কমপ্লেক্স, হোল্ডিং নম্বর-১, ২ নম্বর ওয়াইজঘাট এবং ৫৭-৫৮ নম্বর লয়্যাল স্ট্রিট, পাটুয়াটুলী রোড, ওয়ার্ড নম্বর-৩৭, কোতোয়ালি, ঢাকা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল করিম, মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান, মহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চল) মোহাম্মদ রফিক নেওয়াজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহে ইসলামী ব্যাংক শীর্ষে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক অতিক্রম করে ব্যাংকিং খাতে শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যাংকে সুশাসন ও গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসায় ব্যাংক এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স সংগ্রহেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এসব কথা বলেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসার কৌশলগত অগ্রগতি, শাখাভিত্তিক আমানত ও বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব; অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খাঁনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন। এ ছাড়া অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীমসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা, ১৬টি জোনের প্রধান ও করপোরেট শাখাপ্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫ ব্যাংকের শেয়ার পুনর্মূল্যায়নসহ ৮ দাবিতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনে রোববার বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনে রোববার বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারমূল্য পুনর্নির্ধারণ, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণসহ আট দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিনিয়োগকারীদের ১০টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত জোট।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তাঁরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ও বিএসইসির কমিশনার এবং চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুঁজিবাজারে পতন ঘটছে। পুঁজিবাজারের করুণ দশার জন্য অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসির চেয়ারম্যানকে দায়ী করে তাঁর অপসারণ দাবি করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

এ সময় দেশের সব বিনিয়োগকারী সংগঠন ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভ থেকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের ১০টি সংগঠন নিয়ে নতুন জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ওই ১০ সংগঠন হলো—বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শেয়ার ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন, আইসিবি ইনভেস্টরস ফোরাম, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ, ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস ফোরাম, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত পরিষদ, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী স্থিতিশীল পরিষদ ও বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী কল্যাণ পরিষদ।

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে জোটের সিনিয়র সমন্বয়ক এস এম ইকবাল হোসেন আট দফা দাবি ঘোষণা করেন।

দাবিগুলো হলো—বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দ্রুত অপসারণ; মার্জিন ঋণ বিধিমালা, ২০২৫-এর গেজেট দ্রুত বাতিল করা; মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা, ২০২৫-এর গেজেটও দ্রুত বাতিল করা; একীভূত হতে যাওয়া পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ারমূল্য বিনিয়োগকারীদের দ্রুত ফেরতের ব্যবস্থা করা; বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ না করার কারণে এবং পুঁজিবাজার উন্নয়নে ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিএসইসির পুরো কমিশনের পদত্যাগ; বিএসইসির ভেতরে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে অপসারণ করা; শেয়ার মার্কেট লুটকারী ও মিউচুয়াল ফান্ড লুণ্ঠনকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির আওতায় আনা এবং পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত বাজারে লেনদেন স্থগিত রাখা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত