নাদিম নেওয়াজ, ঢাকা

বিশ্ববিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ইউরোপীয় বাজার থেকে তাদের কয়েকটি জনপ্রিয় পানীয় সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষায় ক্ষতিকর রাসায়নিক ক্লোরেট উচ্চমাত্রায় শনাক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোকা-কোলার বিবৃতিতে বলা হয়, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডস থেকে এরই মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাচের পণ্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সমস্যাটি আপাতত ইউরোপের কিছু দেশে সীমাবদ্ধ।
তবে কোকা-কোলার মতো একটি বহুজাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে নিরাপত্তাসংক্রান্ত এমন খবরে এর প্রভাব স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে অন্যান্য অঞ্চলের ভোক্তাদের আস্থার ওপরও পড়তে পারে। বিশেষত বাংলাদেশে; যেখানে কোকা-কোলা খুব জনপ্রিয় এবং ভোক্তার আস্থা তাদের বাজারের অন্যতম শক্তি। এমন খবর শুনে কিছু ভোক্তা সতর্ক হয়ে পণ্যটি ব্যবহারে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন।
কোন পণ্যগুলোতে সমস্যা শনাক্ত হয়েছে
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমস্যাগ্রস্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাপলটাইজার, কোকা-কোলা অরিজিনাল টেস্ট, কোকা-কোলা জিরো সুগার, ডায়েট কোক, স্প্রাইট জিরো, ফান্টা এবং মিনিট মেইডের নির্দিষ্ট কিছু ব্যাচ। এগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্লোরেট নামক ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাচগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
ক্লোরেট কী এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব
ক্লোরেট হলো একটি রাসায়নিক পদার্থ; যা সাধারণত পানি শোধন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক থেকে উৎপন্ন হয়। এটি কিছু ক্ষেত্রে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণেও দেখা যায়। উচ্চমাত্রার ক্লোরেট শরীরে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শিশু ও নবজাতকদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ক্লোরেট শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এটি বমি, ডায়রিয়া, মাথা ঘোরা এবং রক্তের অক্সিজেন শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি শিশুস্বাস্থ্যের ওপর আরও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা (ইফসা) ২০১৫ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় জানায়, খাবার বা পানীয়তে ক্লোরেটের অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে গেলে তা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
কীভাবে এই সমস্যা শনাক্ত হলো
বেলজিয়ামের গেন্ট শহরে অবস্থিত কোকা-কোলার একটি উৎপাদন কেন্দ্রে নিয়মিত পরীক্ষার সময় সমস্যাটি ধরা পড়ে। কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমস্যাগ্রস্ত ব্যাচগুলো এরই মধ্যে বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেলজিয়ামের অধিকাংশ স্টোর থেকে কাচের বোতল ও ক্যান তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ভিন্ন। ফ্রান্সে কোকা-কোলার শাখা জানিয়েছে, পরীক্ষায় ক্লোরেট শনাক্ত হলেও তা অনুমোদিত মাত্রার মধ্যে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ফলে ফ্রান্সে কোনো পণ্য প্রত্যাহার করা হয়নি।
বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়ার শঙ্কা
বিশ্বব্যাপী কোকা-কোলার জনপ্রিয়তার কারণে এই সংকটের খবর বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বেল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু ইউরোপের কিছু দেশে ক্লোরেট সমস্যার প্রমাণ মিলেছে, আমাদের দেশের বাজারে প্রচলিত কোমল পানীয়ের নমুনাও পরীক্ষা করা উচিত। সাধারণত প্রায় সব কোম্পানির কোলাজাতীয় পানীয় কাছাকাছি ফর্মুলায় তৈরি। তাই ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা জরুরি।’ দেশে কোকা-কোলার বড় বাজার। তবে নিরাপত্তা নিয়ে এমন কোনো খবর ভোক্তাদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও এ বিষয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশে কোকা-কোলার উৎপাদিত পানীয়গুলোর মান এবং ভোক্তার আস্থা ধরে রাখতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে আজকের পত্রিকা কোকা-কোলা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তাদের জনসংযোগ দেখভাল করা বেঞ্চমার্ক পিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা লিখিত প্রশ্ন পাঠানোর পরামর্শ দেন। তবে লিখিত প্রশ্ন পাঠানোর পরেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে উত্তর পাওয়া যায়নি।
কোম্পানির বক্তব্য ও পদক্ষেপ
কোম্পানির এক মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, পানীয়গুলোতে ক্লোরেটের উপস্থিতি খুবই কম এবং তা গ্রাহকদের জন্য বড় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবু গ্রাহকদের স্বাস্থ্যের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার জন্যই সমস্যাগ্রস্ত ব্যাচগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি (এফএসএ) বিষয়টি তদন্ত করছে। সংস্থাটি জানায়, ‘যদি আমরা কোনো অনিরাপদ পণ্য শনাক্ত করি, তা বাজার থেকে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা হবে এবং ভোক্তাদের সতর্ক করা হবে।’
বাংলাদেশে কোকা-কোলার যাত্রা
১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ হিসেবে কোকা-কোলার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬২ সালে এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্তমানে আব্দুল মোনেম লিমিটেডের (এএমএল) মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে বোতলজাত পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ১৯৯০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের বাজারে ৭০ শতাংশ দখল করে এটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী কোমল পানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় কোকা-কোলা।
বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া। সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং আইসিডিডিআরবির মতো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে বাংলাদেশে প্রচলিত কোমল পানীয়গুলো ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ। পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর উচিত নিয়মিত তাদের পণ্যের মান নিশ্চিত করা এবং কোনো সমস্যা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।

বিশ্ববিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ইউরোপীয় বাজার থেকে তাদের কয়েকটি জনপ্রিয় পানীয় সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষায় ক্ষতিকর রাসায়নিক ক্লোরেট উচ্চমাত্রায় শনাক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোকা-কোলার বিবৃতিতে বলা হয়, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডস থেকে এরই মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাচের পণ্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সমস্যাটি আপাতত ইউরোপের কিছু দেশে সীমাবদ্ধ।
তবে কোকা-কোলার মতো একটি বহুজাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে নিরাপত্তাসংক্রান্ত এমন খবরে এর প্রভাব স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে অন্যান্য অঞ্চলের ভোক্তাদের আস্থার ওপরও পড়তে পারে। বিশেষত বাংলাদেশে; যেখানে কোকা-কোলা খুব জনপ্রিয় এবং ভোক্তার আস্থা তাদের বাজারের অন্যতম শক্তি। এমন খবর শুনে কিছু ভোক্তা সতর্ক হয়ে পণ্যটি ব্যবহারে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন।
কোন পণ্যগুলোতে সমস্যা শনাক্ত হয়েছে
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমস্যাগ্রস্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাপলটাইজার, কোকা-কোলা অরিজিনাল টেস্ট, কোকা-কোলা জিরো সুগার, ডায়েট কোক, স্প্রাইট জিরো, ফান্টা এবং মিনিট মেইডের নির্দিষ্ট কিছু ব্যাচ। এগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্লোরেট নামক ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাচগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
ক্লোরেট কী এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব
ক্লোরেট হলো একটি রাসায়নিক পদার্থ; যা সাধারণত পানি শোধন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক থেকে উৎপন্ন হয়। এটি কিছু ক্ষেত্রে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণেও দেখা যায়। উচ্চমাত্রার ক্লোরেট শরীরে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শিশু ও নবজাতকদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ক্লোরেট শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এটি বমি, ডায়রিয়া, মাথা ঘোরা এবং রক্তের অক্সিজেন শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি শিশুস্বাস্থ্যের ওপর আরও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা (ইফসা) ২০১৫ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় জানায়, খাবার বা পানীয়তে ক্লোরেটের অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে গেলে তা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
কীভাবে এই সমস্যা শনাক্ত হলো
বেলজিয়ামের গেন্ট শহরে অবস্থিত কোকা-কোলার একটি উৎপাদন কেন্দ্রে নিয়মিত পরীক্ষার সময় সমস্যাটি ধরা পড়ে। কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমস্যাগ্রস্ত ব্যাচগুলো এরই মধ্যে বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেলজিয়ামের অধিকাংশ স্টোর থেকে কাচের বোতল ও ক্যান তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ভিন্ন। ফ্রান্সে কোকা-কোলার শাখা জানিয়েছে, পরীক্ষায় ক্লোরেট শনাক্ত হলেও তা অনুমোদিত মাত্রার মধ্যে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ফলে ফ্রান্সে কোনো পণ্য প্রত্যাহার করা হয়নি।
বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়ার শঙ্কা
বিশ্বব্যাপী কোকা-কোলার জনপ্রিয়তার কারণে এই সংকটের খবর বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বেল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু ইউরোপের কিছু দেশে ক্লোরেট সমস্যার প্রমাণ মিলেছে, আমাদের দেশের বাজারে প্রচলিত কোমল পানীয়ের নমুনাও পরীক্ষা করা উচিত। সাধারণত প্রায় সব কোম্পানির কোলাজাতীয় পানীয় কাছাকাছি ফর্মুলায় তৈরি। তাই ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা জরুরি।’ দেশে কোকা-কোলার বড় বাজার। তবে নিরাপত্তা নিয়ে এমন কোনো খবর ভোক্তাদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও এ বিষয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশে কোকা-কোলার উৎপাদিত পানীয়গুলোর মান এবং ভোক্তার আস্থা ধরে রাখতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে আজকের পত্রিকা কোকা-কোলা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তাদের জনসংযোগ দেখভাল করা বেঞ্চমার্ক পিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা লিখিত প্রশ্ন পাঠানোর পরামর্শ দেন। তবে লিখিত প্রশ্ন পাঠানোর পরেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে উত্তর পাওয়া যায়নি।
কোম্পানির বক্তব্য ও পদক্ষেপ
কোম্পানির এক মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, পানীয়গুলোতে ক্লোরেটের উপস্থিতি খুবই কম এবং তা গ্রাহকদের জন্য বড় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবু গ্রাহকদের স্বাস্থ্যের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার জন্যই সমস্যাগ্রস্ত ব্যাচগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি (এফএসএ) বিষয়টি তদন্ত করছে। সংস্থাটি জানায়, ‘যদি আমরা কোনো অনিরাপদ পণ্য শনাক্ত করি, তা বাজার থেকে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা হবে এবং ভোক্তাদের সতর্ক করা হবে।’
বাংলাদেশে কোকা-কোলার যাত্রা
১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ হিসেবে কোকা-কোলার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬২ সালে এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্তমানে আব্দুল মোনেম লিমিটেডের (এএমএল) মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে বোতলজাত পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ১৯৯০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের বাজারে ৭০ শতাংশ দখল করে এটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী কোমল পানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় কোকা-কোলা।
বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া। সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং আইসিডিডিআরবির মতো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে বাংলাদেশে প্রচলিত কোমল পানীয়গুলো ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ। পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর উচিত নিয়মিত তাদের পণ্যের মান নিশ্চিত করা এবং কোনো সমস্যা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।
নাদিম নেওয়াজ, ঢাকা

বিশ্ববিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ইউরোপীয় বাজার থেকে তাদের কয়েকটি জনপ্রিয় পানীয় সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষায় ক্ষতিকর রাসায়নিক ক্লোরেট উচ্চমাত্রায় শনাক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোকা-কোলার বিবৃতিতে বলা হয়, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডস থেকে এরই মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাচের পণ্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সমস্যাটি আপাতত ইউরোপের কিছু দেশে সীমাবদ্ধ।
তবে কোকা-কোলার মতো একটি বহুজাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে নিরাপত্তাসংক্রান্ত এমন খবরে এর প্রভাব স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে অন্যান্য অঞ্চলের ভোক্তাদের আস্থার ওপরও পড়তে পারে। বিশেষত বাংলাদেশে; যেখানে কোকা-কোলা খুব জনপ্রিয় এবং ভোক্তার আস্থা তাদের বাজারের অন্যতম শক্তি। এমন খবর শুনে কিছু ভোক্তা সতর্ক হয়ে পণ্যটি ব্যবহারে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন।
কোন পণ্যগুলোতে সমস্যা শনাক্ত হয়েছে
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমস্যাগ্রস্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাপলটাইজার, কোকা-কোলা অরিজিনাল টেস্ট, কোকা-কোলা জিরো সুগার, ডায়েট কোক, স্প্রাইট জিরো, ফান্টা এবং মিনিট মেইডের নির্দিষ্ট কিছু ব্যাচ। এগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্লোরেট নামক ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাচগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
ক্লোরেট কী এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব
ক্লোরেট হলো একটি রাসায়নিক পদার্থ; যা সাধারণত পানি শোধন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক থেকে উৎপন্ন হয়। এটি কিছু ক্ষেত্রে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণেও দেখা যায়। উচ্চমাত্রার ক্লোরেট শরীরে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শিশু ও নবজাতকদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ক্লোরেট শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এটি বমি, ডায়রিয়া, মাথা ঘোরা এবং রক্তের অক্সিজেন শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি শিশুস্বাস্থ্যের ওপর আরও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা (ইফসা) ২০১৫ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় জানায়, খাবার বা পানীয়তে ক্লোরেটের অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে গেলে তা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
কীভাবে এই সমস্যা শনাক্ত হলো
বেলজিয়ামের গেন্ট শহরে অবস্থিত কোকা-কোলার একটি উৎপাদন কেন্দ্রে নিয়মিত পরীক্ষার সময় সমস্যাটি ধরা পড়ে। কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমস্যাগ্রস্ত ব্যাচগুলো এরই মধ্যে বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেলজিয়ামের অধিকাংশ স্টোর থেকে কাচের বোতল ও ক্যান তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ভিন্ন। ফ্রান্সে কোকা-কোলার শাখা জানিয়েছে, পরীক্ষায় ক্লোরেট শনাক্ত হলেও তা অনুমোদিত মাত্রার মধ্যে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ফলে ফ্রান্সে কোনো পণ্য প্রত্যাহার করা হয়নি।
বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়ার শঙ্কা
বিশ্বব্যাপী কোকা-কোলার জনপ্রিয়তার কারণে এই সংকটের খবর বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বেল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু ইউরোপের কিছু দেশে ক্লোরেট সমস্যার প্রমাণ মিলেছে, আমাদের দেশের বাজারে প্রচলিত কোমল পানীয়ের নমুনাও পরীক্ষা করা উচিত। সাধারণত প্রায় সব কোম্পানির কোলাজাতীয় পানীয় কাছাকাছি ফর্মুলায় তৈরি। তাই ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা জরুরি।’ দেশে কোকা-কোলার বড় বাজার। তবে নিরাপত্তা নিয়ে এমন কোনো খবর ভোক্তাদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও এ বিষয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশে কোকা-কোলার উৎপাদিত পানীয়গুলোর মান এবং ভোক্তার আস্থা ধরে রাখতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে আজকের পত্রিকা কোকা-কোলা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তাদের জনসংযোগ দেখভাল করা বেঞ্চমার্ক পিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা লিখিত প্রশ্ন পাঠানোর পরামর্শ দেন। তবে লিখিত প্রশ্ন পাঠানোর পরেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে উত্তর পাওয়া যায়নি।
কোম্পানির বক্তব্য ও পদক্ষেপ
কোম্পানির এক মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, পানীয়গুলোতে ক্লোরেটের উপস্থিতি খুবই কম এবং তা গ্রাহকদের জন্য বড় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবু গ্রাহকদের স্বাস্থ্যের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার জন্যই সমস্যাগ্রস্ত ব্যাচগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি (এফএসএ) বিষয়টি তদন্ত করছে। সংস্থাটি জানায়, ‘যদি আমরা কোনো অনিরাপদ পণ্য শনাক্ত করি, তা বাজার থেকে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা হবে এবং ভোক্তাদের সতর্ক করা হবে।’
বাংলাদেশে কোকা-কোলার যাত্রা
১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ হিসেবে কোকা-কোলার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬২ সালে এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্তমানে আব্দুল মোনেম লিমিটেডের (এএমএল) মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে বোতলজাত পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ১৯৯০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের বাজারে ৭০ শতাংশ দখল করে এটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী কোমল পানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় কোকা-কোলা।
বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া। সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং আইসিডিডিআরবির মতো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে বাংলাদেশে প্রচলিত কোমল পানীয়গুলো ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ। পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর উচিত নিয়মিত তাদের পণ্যের মান নিশ্চিত করা এবং কোনো সমস্যা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।

বিশ্ববিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ইউরোপীয় বাজার থেকে তাদের কয়েকটি জনপ্রিয় পানীয় সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষায় ক্ষতিকর রাসায়নিক ক্লোরেট উচ্চমাত্রায় শনাক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোকা-কোলার বিবৃতিতে বলা হয়, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডস থেকে এরই মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাচের পণ্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সমস্যাটি আপাতত ইউরোপের কিছু দেশে সীমাবদ্ধ।
তবে কোকা-কোলার মতো একটি বহুজাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে নিরাপত্তাসংক্রান্ত এমন খবরে এর প্রভাব স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে অন্যান্য অঞ্চলের ভোক্তাদের আস্থার ওপরও পড়তে পারে। বিশেষত বাংলাদেশে; যেখানে কোকা-কোলা খুব জনপ্রিয় এবং ভোক্তার আস্থা তাদের বাজারের অন্যতম শক্তি। এমন খবর শুনে কিছু ভোক্তা সতর্ক হয়ে পণ্যটি ব্যবহারে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন।
কোন পণ্যগুলোতে সমস্যা শনাক্ত হয়েছে
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমস্যাগ্রস্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাপলটাইজার, কোকা-কোলা অরিজিনাল টেস্ট, কোকা-কোলা জিরো সুগার, ডায়েট কোক, স্প্রাইট জিরো, ফান্টা এবং মিনিট মেইডের নির্দিষ্ট কিছু ব্যাচ। এগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্লোরেট নামক ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাচগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
ক্লোরেট কী এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব
ক্লোরেট হলো একটি রাসায়নিক পদার্থ; যা সাধারণত পানি শোধন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক থেকে উৎপন্ন হয়। এটি কিছু ক্ষেত্রে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণেও দেখা যায়। উচ্চমাত্রার ক্লোরেট শরীরে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শিশু ও নবজাতকদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ক্লোরেট শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এটি বমি, ডায়রিয়া, মাথা ঘোরা এবং রক্তের অক্সিজেন শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি শিশুস্বাস্থ্যের ওপর আরও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা (ইফসা) ২০১৫ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় জানায়, খাবার বা পানীয়তে ক্লোরেটের অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে গেলে তা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
কীভাবে এই সমস্যা শনাক্ত হলো
বেলজিয়ামের গেন্ট শহরে অবস্থিত কোকা-কোলার একটি উৎপাদন কেন্দ্রে নিয়মিত পরীক্ষার সময় সমস্যাটি ধরা পড়ে। কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমস্যাগ্রস্ত ব্যাচগুলো এরই মধ্যে বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেলজিয়ামের অধিকাংশ স্টোর থেকে কাচের বোতল ও ক্যান তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ভিন্ন। ফ্রান্সে কোকা-কোলার শাখা জানিয়েছে, পরীক্ষায় ক্লোরেট শনাক্ত হলেও তা অনুমোদিত মাত্রার মধ্যে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ফলে ফ্রান্সে কোনো পণ্য প্রত্যাহার করা হয়নি।
বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়ার শঙ্কা
বিশ্বব্যাপী কোকা-কোলার জনপ্রিয়তার কারণে এই সংকটের খবর বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বেল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু ইউরোপের কিছু দেশে ক্লোরেট সমস্যার প্রমাণ মিলেছে, আমাদের দেশের বাজারে প্রচলিত কোমল পানীয়ের নমুনাও পরীক্ষা করা উচিত। সাধারণত প্রায় সব কোম্পানির কোলাজাতীয় পানীয় কাছাকাছি ফর্মুলায় তৈরি। তাই ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা জরুরি।’ দেশে কোকা-কোলার বড় বাজার। তবে নিরাপত্তা নিয়ে এমন কোনো খবর ভোক্তাদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও এ বিষয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশে কোকা-কোলার উৎপাদিত পানীয়গুলোর মান এবং ভোক্তার আস্থা ধরে রাখতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে আজকের পত্রিকা কোকা-কোলা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তাদের জনসংযোগ দেখভাল করা বেঞ্চমার্ক পিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা লিখিত প্রশ্ন পাঠানোর পরামর্শ দেন। তবে লিখিত প্রশ্ন পাঠানোর পরেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে উত্তর পাওয়া যায়নি।
কোম্পানির বক্তব্য ও পদক্ষেপ
কোম্পানির এক মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, পানীয়গুলোতে ক্লোরেটের উপস্থিতি খুবই কম এবং তা গ্রাহকদের জন্য বড় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবু গ্রাহকদের স্বাস্থ্যের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার জন্যই সমস্যাগ্রস্ত ব্যাচগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি (এফএসএ) বিষয়টি তদন্ত করছে। সংস্থাটি জানায়, ‘যদি আমরা কোনো অনিরাপদ পণ্য শনাক্ত করি, তা বাজার থেকে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা হবে এবং ভোক্তাদের সতর্ক করা হবে।’
বাংলাদেশে কোকা-কোলার যাত্রা
১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ হিসেবে কোকা-কোলার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬২ সালে এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্তমানে আব্দুল মোনেম লিমিটেডের (এএমএল) মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে বোতলজাত পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ১৯৯০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের বাজারে ৭০ শতাংশ দখল করে এটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী কোমল পানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় কোকা-কোলা।
বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া। সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং আইসিডিডিআরবির মতো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে বাংলাদেশে প্রচলিত কোমল পানীয়গুলো ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ। পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর উচিত নিয়মিত তাদের পণ্যের মান নিশ্চিত করা এবং কোনো সমস্যা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বিশ্ববিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ইউরোপীয় বাজার থেকে তাদের কয়েকটি জনপ্রিয় পানীয় সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষায় ক্ষতিকর রাসায়নিক ক্লোরেট উচ্চমাত্রায় শনাক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ইউরোপীয় বাজার থেকে তাদের কয়েকটি জনপ্রিয় পানীয় সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষায় ক্ষতিকর রাসায়নিক ক্লোরেট উচ্চমাত্রায় শনাক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

বিশ্ববিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ইউরোপীয় বাজার থেকে তাদের কয়েকটি জনপ্রিয় পানীয় সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষায় ক্ষতিকর রাসায়নিক ক্লোরেট উচ্চমাত্রায় শনাক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

বিশ্ববিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ইউরোপীয় বাজার থেকে তাদের কয়েকটি জনপ্রিয় পানীয় সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষায় ক্ষতিকর রাসায়নিক ক্লোরেট উচ্চমাত্রায় শনাক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে