বিজ্ঞপ্তি

বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান ফলের বাজার, যেখানে আমই প্রধান আকর্ষণ—সেই প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়াতে জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি দেশের ‘আমের রাজধানী’খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফর করেছেন। এ সফরে তিনি শুধু রপ্তানিযোগ্য আমের বাগান পরিদর্শন করেননি, বরং উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেছেন, যা বাংলাদেশের আম রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উৎপাদক, রপ্তানিকারক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা হয় এবং তা দূরীকরণে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ গ্রহণ করা হয়।
নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ও ভূপ্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দেশে ও বিদেশে ফলের ব্যাপক চাহিদা। বাংলাদেশ প্রায় ৭০ প্রজাতির ফল উৎপাদিত হলেও এর ক্ষুদ্র একটি অংশ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। ফলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ রপ্তানিযোগ্য ফলের উৎপাদন এখনো সম্ভব হয়নি। তবে আম, আনারস, আমড়া, কলা, কাঁঠাল, পেয়ারাসহ বিভিন্ন সুস্বাদু ফলের মধ্যে আমের কদর বিশ্বজুড়ে সবার ওপরে। তাই উন্নত মানের আমের উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানির জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চলছে নানামুখী কার্যক্রম।
বাজার গবেষণা বলছে, ২০২৫ সালে তাজা ফলের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৭৭৮.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁতে পারে। শুধু আমের আন্তর্জাতিক বাজার ২০২৪ সালের ৬৭.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৭১.৯৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে, যা বার্ষিক ৮ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে (CAGR) বেড়ে ২০২৯ সালে ৯৭.৮২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ৫০০ থেকে ১ হাজার প্রজাতির আম রপ্তানি করে থাকে।
আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম, কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয় ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে। মৌসুমি ফল উৎপাদনে দেশের বর্তমান অবস্থান দশম। আয়তনে ছোট হলেও প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে ফল চাষের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত ১০ বছরে দেশে আমের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে ২.২৯ লাখ হেক্টর জমিতে ২৩.৫০ লাখ টন আমের ফলন হয়, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭.৭ লাখ টনে দাঁড়ায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২.৫ লাখ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয় এবং উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫.৮৯ লাখ টন।
বাংলাদেশে উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য আমের মধ্যে ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর, ক্ষীরশাপাতি, বারি-২, বারি-৩, বারি-৭ ও আশ্বিনা জাতের আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ ছাড়া কাটিমন, তোতাপুরী, ন্যাম ডক মাই, মিয়াজাকি, অ্যালফ্যানসো, কেইট, পালমারের মতো বিদেশি জাতের আমও সীমিত আকারে চাষ করে সাফল্য পাওয়া গেছে।
আম থেকে কাঁচা আম ফালি (আমচুর), চাটনি, মোরব্বা এবং পাকা আম থেকে জুস, ফ্রুট বার, পুডিং, আমসত্ত্ব, জ্যাম, জেলি ইত্যাদি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমের ফালি শুকিয়ে প্যাকেটজাত করে রপ্তানির প্রচেষ্টাও বাড়ছে। এসব খাদ্যে ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘কে’, পটাশিয়াম, বিটাক্যারোটিন, ফলেট, কোলাইন ও ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে; যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
দেশের বেশ কয়েকটি আমের প্রজাতি ইতোমধ্যে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি, নওগাঁর নাক ফজলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা এবং রংপুরের হাঁড়িভাঙা। বর্তমানে আম্রপালি ও গোপালভোগের কদরও অনেক বেশি।
গত ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ (জুলাই-এপ্রিল) অর্থবছরে আম রপ্তানির বিপরীতে যথাক্রমে ০.৪০, ১২.৭১, ২.৬৭ ও ২.৭৭ (আংশিক) লাখ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এযাবৎ যুক্তরাজ্য, হংকং, কানাডা, বাহরাইন, সুইজারল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেনে আম রপ্তানি হয়েছে; যার মধ্যে যুক্তরাজ্যে সর্বাধিক আম রপ্তানি হয়েছে।
চীন সরকারের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে সে দেশে আম রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে সংগৃহীত স্থানীয় আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের তালিকা ইতিমধ্যে চীনা দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়েছে। সে দেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আমের শেলফ লাইফ বৃদ্ধিকরণ, পর্যাপ্ত হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সুবিধা তৈরি, রাসায়নিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, উন্নত প্যাকেজিং, দেশের বাণিজ্যিক আম উৎপাদকদের একটি অভিন্ন ছাতার আওতায় আনা, ফ্রুট ফ্লাইয়ের উপদ্রব হ্রাস, উত্তম কৃষিচর্চার যথাযথ অনুসরণ, স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি সম্পর্কীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং কুল চেইন বজায় রাখার বিষয়ে যত দ্রুত অগ্রগতি হবে, তত দ্রুত বাংলাদেশের আমের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রপ্তানি প্রসারমূলক এসব কার্যক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কাজ করবে বলে আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের আশ্বস্ত করা হয়।
এ সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স কৃষিভিত্তিক একটি ইপিজেড স্থাপন, আম নীতিমালা প্রণয়ন, বাগানসমূহে সোলার প্যানেল স্থাপন, আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের ঋণদান জোরদারকরণ, প্রান্তিক পর্যায়ে কোয়ারেন্টিন সুবিধা, রাজশাহী থেকে আম সরাসরি বিমানে জাহাজীকরণ ও প্যাকিং হাউস সুবিধা স্থাপনের দাবি জানায়। পাশাপাশি ঢাকায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আমের মেলা আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়।
ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান তাঁর সফরের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত রেশম শিল্প ও হস্তশিল্প পরিদর্শন করেন এবং তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান ফলের বাজার, যেখানে আমই প্রধান আকর্ষণ—সেই প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়াতে জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি দেশের ‘আমের রাজধানী’খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফর করেছেন। এ সফরে তিনি শুধু রপ্তানিযোগ্য আমের বাগান পরিদর্শন করেননি, বরং উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেছেন, যা বাংলাদেশের আম রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উৎপাদক, রপ্তানিকারক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা হয় এবং তা দূরীকরণে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ গ্রহণ করা হয়।
নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ও ভূপ্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দেশে ও বিদেশে ফলের ব্যাপক চাহিদা। বাংলাদেশ প্রায় ৭০ প্রজাতির ফল উৎপাদিত হলেও এর ক্ষুদ্র একটি অংশ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। ফলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ রপ্তানিযোগ্য ফলের উৎপাদন এখনো সম্ভব হয়নি। তবে আম, আনারস, আমড়া, কলা, কাঁঠাল, পেয়ারাসহ বিভিন্ন সুস্বাদু ফলের মধ্যে আমের কদর বিশ্বজুড়ে সবার ওপরে। তাই উন্নত মানের আমের উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানির জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চলছে নানামুখী কার্যক্রম।
বাজার গবেষণা বলছে, ২০২৫ সালে তাজা ফলের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৭৭৮.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁতে পারে। শুধু আমের আন্তর্জাতিক বাজার ২০২৪ সালের ৬৭.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৭১.৯৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে, যা বার্ষিক ৮ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে (CAGR) বেড়ে ২০২৯ সালে ৯৭.৮২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ৫০০ থেকে ১ হাজার প্রজাতির আম রপ্তানি করে থাকে।
আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম, কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয় ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে। মৌসুমি ফল উৎপাদনে দেশের বর্তমান অবস্থান দশম। আয়তনে ছোট হলেও প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে ফল চাষের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত ১০ বছরে দেশে আমের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে ২.২৯ লাখ হেক্টর জমিতে ২৩.৫০ লাখ টন আমের ফলন হয়, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭.৭ লাখ টনে দাঁড়ায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২.৫ লাখ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয় এবং উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫.৮৯ লাখ টন।
বাংলাদেশে উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য আমের মধ্যে ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর, ক্ষীরশাপাতি, বারি-২, বারি-৩, বারি-৭ ও আশ্বিনা জাতের আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ ছাড়া কাটিমন, তোতাপুরী, ন্যাম ডক মাই, মিয়াজাকি, অ্যালফ্যানসো, কেইট, পালমারের মতো বিদেশি জাতের আমও সীমিত আকারে চাষ করে সাফল্য পাওয়া গেছে।
আম থেকে কাঁচা আম ফালি (আমচুর), চাটনি, মোরব্বা এবং পাকা আম থেকে জুস, ফ্রুট বার, পুডিং, আমসত্ত্ব, জ্যাম, জেলি ইত্যাদি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমের ফালি শুকিয়ে প্যাকেটজাত করে রপ্তানির প্রচেষ্টাও বাড়ছে। এসব খাদ্যে ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘কে’, পটাশিয়াম, বিটাক্যারোটিন, ফলেট, কোলাইন ও ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে; যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
দেশের বেশ কয়েকটি আমের প্রজাতি ইতোমধ্যে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি, নওগাঁর নাক ফজলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা এবং রংপুরের হাঁড়িভাঙা। বর্তমানে আম্রপালি ও গোপালভোগের কদরও অনেক বেশি।
গত ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ (জুলাই-এপ্রিল) অর্থবছরে আম রপ্তানির বিপরীতে যথাক্রমে ০.৪০, ১২.৭১, ২.৬৭ ও ২.৭৭ (আংশিক) লাখ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এযাবৎ যুক্তরাজ্য, হংকং, কানাডা, বাহরাইন, সুইজারল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেনে আম রপ্তানি হয়েছে; যার মধ্যে যুক্তরাজ্যে সর্বাধিক আম রপ্তানি হয়েছে।
চীন সরকারের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে সে দেশে আম রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে সংগৃহীত স্থানীয় আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের তালিকা ইতিমধ্যে চীনা দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়েছে। সে দেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আমের শেলফ লাইফ বৃদ্ধিকরণ, পর্যাপ্ত হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সুবিধা তৈরি, রাসায়নিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, উন্নত প্যাকেজিং, দেশের বাণিজ্যিক আম উৎপাদকদের একটি অভিন্ন ছাতার আওতায় আনা, ফ্রুট ফ্লাইয়ের উপদ্রব হ্রাস, উত্তম কৃষিচর্চার যথাযথ অনুসরণ, স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি সম্পর্কীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং কুল চেইন বজায় রাখার বিষয়ে যত দ্রুত অগ্রগতি হবে, তত দ্রুত বাংলাদেশের আমের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রপ্তানি প্রসারমূলক এসব কার্যক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কাজ করবে বলে আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের আশ্বস্ত করা হয়।
এ সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স কৃষিভিত্তিক একটি ইপিজেড স্থাপন, আম নীতিমালা প্রণয়ন, বাগানসমূহে সোলার প্যানেল স্থাপন, আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের ঋণদান জোরদারকরণ, প্রান্তিক পর্যায়ে কোয়ারেন্টিন সুবিধা, রাজশাহী থেকে আম সরাসরি বিমানে জাহাজীকরণ ও প্যাকিং হাউস সুবিধা স্থাপনের দাবি জানায়। পাশাপাশি ঢাকায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আমের মেলা আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়।
ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান তাঁর সফরের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত রেশম শিল্প ও হস্তশিল্প পরিদর্শন করেন এবং তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
বিজ্ঞপ্তি

বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান ফলের বাজার, যেখানে আমই প্রধান আকর্ষণ—সেই প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়াতে জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি দেশের ‘আমের রাজধানী’খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফর করেছেন। এ সফরে তিনি শুধু রপ্তানিযোগ্য আমের বাগান পরিদর্শন করেননি, বরং উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেছেন, যা বাংলাদেশের আম রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উৎপাদক, রপ্তানিকারক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা হয় এবং তা দূরীকরণে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ গ্রহণ করা হয়।
নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ও ভূপ্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দেশে ও বিদেশে ফলের ব্যাপক চাহিদা। বাংলাদেশ প্রায় ৭০ প্রজাতির ফল উৎপাদিত হলেও এর ক্ষুদ্র একটি অংশ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। ফলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ রপ্তানিযোগ্য ফলের উৎপাদন এখনো সম্ভব হয়নি। তবে আম, আনারস, আমড়া, কলা, কাঁঠাল, পেয়ারাসহ বিভিন্ন সুস্বাদু ফলের মধ্যে আমের কদর বিশ্বজুড়ে সবার ওপরে। তাই উন্নত মানের আমের উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানির জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চলছে নানামুখী কার্যক্রম।
বাজার গবেষণা বলছে, ২০২৫ সালে তাজা ফলের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৭৭৮.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁতে পারে। শুধু আমের আন্তর্জাতিক বাজার ২০২৪ সালের ৬৭.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৭১.৯৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে, যা বার্ষিক ৮ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে (CAGR) বেড়ে ২০২৯ সালে ৯৭.৮২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ৫০০ থেকে ১ হাজার প্রজাতির আম রপ্তানি করে থাকে।
আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম, কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয় ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে। মৌসুমি ফল উৎপাদনে দেশের বর্তমান অবস্থান দশম। আয়তনে ছোট হলেও প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে ফল চাষের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত ১০ বছরে দেশে আমের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে ২.২৯ লাখ হেক্টর জমিতে ২৩.৫০ লাখ টন আমের ফলন হয়, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭.৭ লাখ টনে দাঁড়ায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২.৫ লাখ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয় এবং উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫.৮৯ লাখ টন।
বাংলাদেশে উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য আমের মধ্যে ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর, ক্ষীরশাপাতি, বারি-২, বারি-৩, বারি-৭ ও আশ্বিনা জাতের আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ ছাড়া কাটিমন, তোতাপুরী, ন্যাম ডক মাই, মিয়াজাকি, অ্যালফ্যানসো, কেইট, পালমারের মতো বিদেশি জাতের আমও সীমিত আকারে চাষ করে সাফল্য পাওয়া গেছে।
আম থেকে কাঁচা আম ফালি (আমচুর), চাটনি, মোরব্বা এবং পাকা আম থেকে জুস, ফ্রুট বার, পুডিং, আমসত্ত্ব, জ্যাম, জেলি ইত্যাদি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমের ফালি শুকিয়ে প্যাকেটজাত করে রপ্তানির প্রচেষ্টাও বাড়ছে। এসব খাদ্যে ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘কে’, পটাশিয়াম, বিটাক্যারোটিন, ফলেট, কোলাইন ও ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে; যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
দেশের বেশ কয়েকটি আমের প্রজাতি ইতোমধ্যে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি, নওগাঁর নাক ফজলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা এবং রংপুরের হাঁড়িভাঙা। বর্তমানে আম্রপালি ও গোপালভোগের কদরও অনেক বেশি।
গত ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ (জুলাই-এপ্রিল) অর্থবছরে আম রপ্তানির বিপরীতে যথাক্রমে ০.৪০, ১২.৭১, ২.৬৭ ও ২.৭৭ (আংশিক) লাখ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এযাবৎ যুক্তরাজ্য, হংকং, কানাডা, বাহরাইন, সুইজারল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেনে আম রপ্তানি হয়েছে; যার মধ্যে যুক্তরাজ্যে সর্বাধিক আম রপ্তানি হয়েছে।
চীন সরকারের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে সে দেশে আম রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে সংগৃহীত স্থানীয় আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের তালিকা ইতিমধ্যে চীনা দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়েছে। সে দেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আমের শেলফ লাইফ বৃদ্ধিকরণ, পর্যাপ্ত হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সুবিধা তৈরি, রাসায়নিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, উন্নত প্যাকেজিং, দেশের বাণিজ্যিক আম উৎপাদকদের একটি অভিন্ন ছাতার আওতায় আনা, ফ্রুট ফ্লাইয়ের উপদ্রব হ্রাস, উত্তম কৃষিচর্চার যথাযথ অনুসরণ, স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি সম্পর্কীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং কুল চেইন বজায় রাখার বিষয়ে যত দ্রুত অগ্রগতি হবে, তত দ্রুত বাংলাদেশের আমের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রপ্তানি প্রসারমূলক এসব কার্যক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কাজ করবে বলে আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের আশ্বস্ত করা হয়।
এ সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স কৃষিভিত্তিক একটি ইপিজেড স্থাপন, আম নীতিমালা প্রণয়ন, বাগানসমূহে সোলার প্যানেল স্থাপন, আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের ঋণদান জোরদারকরণ, প্রান্তিক পর্যায়ে কোয়ারেন্টিন সুবিধা, রাজশাহী থেকে আম সরাসরি বিমানে জাহাজীকরণ ও প্যাকিং হাউস সুবিধা স্থাপনের দাবি জানায়। পাশাপাশি ঢাকায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আমের মেলা আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়।
ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান তাঁর সফরের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত রেশম শিল্প ও হস্তশিল্প পরিদর্শন করেন এবং তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান ফলের বাজার, যেখানে আমই প্রধান আকর্ষণ—সেই প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়াতে জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি দেশের ‘আমের রাজধানী’খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফর করেছেন। এ সফরে তিনি শুধু রপ্তানিযোগ্য আমের বাগান পরিদর্শন করেননি, বরং উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেছেন, যা বাংলাদেশের আম রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উৎপাদক, রপ্তানিকারক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা হয় এবং তা দূরীকরণে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ গ্রহণ করা হয়।
নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ও ভূপ্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দেশে ও বিদেশে ফলের ব্যাপক চাহিদা। বাংলাদেশ প্রায় ৭০ প্রজাতির ফল উৎপাদিত হলেও এর ক্ষুদ্র একটি অংশ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। ফলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ রপ্তানিযোগ্য ফলের উৎপাদন এখনো সম্ভব হয়নি। তবে আম, আনারস, আমড়া, কলা, কাঁঠাল, পেয়ারাসহ বিভিন্ন সুস্বাদু ফলের মধ্যে আমের কদর বিশ্বজুড়ে সবার ওপরে। তাই উন্নত মানের আমের উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানির জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চলছে নানামুখী কার্যক্রম।
বাজার গবেষণা বলছে, ২০২৫ সালে তাজা ফলের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৭৭৮.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁতে পারে। শুধু আমের আন্তর্জাতিক বাজার ২০২৪ সালের ৬৭.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৭১.৯৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে, যা বার্ষিক ৮ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে (CAGR) বেড়ে ২০২৯ সালে ৯৭.৮২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ৫০০ থেকে ১ হাজার প্রজাতির আম রপ্তানি করে থাকে।
আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম, কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয় ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে। মৌসুমি ফল উৎপাদনে দেশের বর্তমান অবস্থান দশম। আয়তনে ছোট হলেও প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে ফল চাষের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত ১০ বছরে দেশে আমের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে ২.২৯ লাখ হেক্টর জমিতে ২৩.৫০ লাখ টন আমের ফলন হয়, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭.৭ লাখ টনে দাঁড়ায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২.৫ লাখ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয় এবং উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫.৮৯ লাখ টন।
বাংলাদেশে উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য আমের মধ্যে ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর, ক্ষীরশাপাতি, বারি-২, বারি-৩, বারি-৭ ও আশ্বিনা জাতের আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ ছাড়া কাটিমন, তোতাপুরী, ন্যাম ডক মাই, মিয়াজাকি, অ্যালফ্যানসো, কেইট, পালমারের মতো বিদেশি জাতের আমও সীমিত আকারে চাষ করে সাফল্য পাওয়া গেছে।
আম থেকে কাঁচা আম ফালি (আমচুর), চাটনি, মোরব্বা এবং পাকা আম থেকে জুস, ফ্রুট বার, পুডিং, আমসত্ত্ব, জ্যাম, জেলি ইত্যাদি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমের ফালি শুকিয়ে প্যাকেটজাত করে রপ্তানির প্রচেষ্টাও বাড়ছে। এসব খাদ্যে ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘কে’, পটাশিয়াম, বিটাক্যারোটিন, ফলেট, কোলাইন ও ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে; যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
দেশের বেশ কয়েকটি আমের প্রজাতি ইতোমধ্যে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি, নওগাঁর নাক ফজলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা এবং রংপুরের হাঁড়িভাঙা। বর্তমানে আম্রপালি ও গোপালভোগের কদরও অনেক বেশি।
গত ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ (জুলাই-এপ্রিল) অর্থবছরে আম রপ্তানির বিপরীতে যথাক্রমে ০.৪০, ১২.৭১, ২.৬৭ ও ২.৭৭ (আংশিক) লাখ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এযাবৎ যুক্তরাজ্য, হংকং, কানাডা, বাহরাইন, সুইজারল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেনে আম রপ্তানি হয়েছে; যার মধ্যে যুক্তরাজ্যে সর্বাধিক আম রপ্তানি হয়েছে।
চীন সরকারের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে সে দেশে আম রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে সংগৃহীত স্থানীয় আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের তালিকা ইতিমধ্যে চীনা দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়েছে। সে দেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আমের শেলফ লাইফ বৃদ্ধিকরণ, পর্যাপ্ত হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সুবিধা তৈরি, রাসায়নিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, উন্নত প্যাকেজিং, দেশের বাণিজ্যিক আম উৎপাদকদের একটি অভিন্ন ছাতার আওতায় আনা, ফ্রুট ফ্লাইয়ের উপদ্রব হ্রাস, উত্তম কৃষিচর্চার যথাযথ অনুসরণ, স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি সম্পর্কীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং কুল চেইন বজায় রাখার বিষয়ে যত দ্রুত অগ্রগতি হবে, তত দ্রুত বাংলাদেশের আমের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রপ্তানি প্রসারমূলক এসব কার্যক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কাজ করবে বলে আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের আশ্বস্ত করা হয়।
এ সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স কৃষিভিত্তিক একটি ইপিজেড স্থাপন, আম নীতিমালা প্রণয়ন, বাগানসমূহে সোলার প্যানেল স্থাপন, আম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের ঋণদান জোরদারকরণ, প্রান্তিক পর্যায়ে কোয়ারেন্টিন সুবিধা, রাজশাহী থেকে আম সরাসরি বিমানে জাহাজীকরণ ও প্যাকিং হাউস সুবিধা স্থাপনের দাবি জানায়। পাশাপাশি ঢাকায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আমের মেলা আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়।
ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান তাঁর সফরের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত রেশম শিল্প ও হস্তশিল্প পরিদর্শন করেন এবং তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৬ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান ফলের বাজার, যেখানে আমই প্রধান আকর্ষণ—সেই প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়াতে জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি দেশের ‘আমের রাজধানী’খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ
২০ মে ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৬ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান ফলের বাজার, যেখানে আমই প্রধান আকর্ষণ—সেই প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়াতে জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি দেশের ‘আমের রাজধানী’খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ
২০ মে ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
৬ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান ফলের বাজার, যেখানে আমই প্রধান আকর্ষণ—সেই প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়াতে জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি দেশের ‘আমের রাজধানী’খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ
২০ মে ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান ফলের বাজার, যেখানে আমই প্রধান আকর্ষণ—সেই প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়াতে জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি দেশের ‘আমের রাজধানী’খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ
২০ মে ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৬ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৭ ঘণ্টা আগে