Ajker Patrika

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ১ লাখ টন চিনি আনতে চায় সরকার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ১ লাখ টন চিনি আনতে চায় সরকার

রমজানের আগে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ মেট্রিক টন চিনি আনতে চায় সরকার। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। আজ শুক্রবার দিল্লির পার্লামেন্ট ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে যে পচনশীল পণ্য আমদানি করি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। রমজানের আগে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি যাতে আমরা পাই, সে সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’ 

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা প্রত্যাহার, বিশেষ করে রমজান মাসে মূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হাছান মাহমুদ ভারতের মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। 

রাষ্ট্রপতি মুর্মু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘একজন স্ট্রং লেডি’ হিসেবে অভিহিত করে তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন বলে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান সকল বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। 

অজিত দোভালের সফর উচ্চ পর্যায়ের সফরের অংশ: ভারত
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের বাংলাদেশ সফর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের অংশ। 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গতকাল বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের অত্যন্ত কাছের প্রতিবেশী। সম্প্রতি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় দেশগুলোর জন্য নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সেই প্রেক্ষাপটেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার উক্ত সফর।’ 

দোভাল গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। 

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত ও রাখাইনে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক সূত্র জানায়। দোভাল পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ত্যাগ করেন। হাছান মাহমুদ গত ৭ ফেব্রুয়ারি অজিত দোভালের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

দুটি সমস্যা সমাধান হলেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের চুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেয়ারবাজারে তথ্যের স্বচ্ছতায় এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: বিআইসিএম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার পুঁজিবাজারে তথ্যের স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ।

আজ সোমবার বিআইসিএমের মাল্টিপারপাস হলে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘এআই অ্যাসেনসিয়াল ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে সিএমজেএফ ও বিআইসিএম। সেশনটি সঞ্চালনা করেন বিআইসিএমের উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নাজমুছ সালেহীন।

বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ বলেন, ‘সম্প্রতি পুঁজিবাজারে পাঁচটি তালিকাভুক্ত ব্যাংক একীভূত করা হয়েছে এবং আরও নয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসান হতে যাচ্ছে। এআই ব্যবহারের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা সম্ভব। শুধু এসব কোম্পানিই নয়, পুঁজিবাজার-সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য বিশ্লেষণে এআই ভবিষ্যতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।’

সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সময়ে এআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শেয়ারবাজারের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি বিবেচনা করে সিএমজেএফের সদস্যদের জন্য এআইয়ের ওপর এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে। এটি সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলী বলেন, সিএমজেএফের সদস্যদের পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ বিআইসিএমের সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণটি আয়োজন করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিআইসিএমের প্রভাষক ইমরান মাহমুদ ও গৌরব রায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

দুটি সমস্যা সমাধান হলেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের চুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথমবার চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
এই প্রথম চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতীকী ছবি
এই প্রথম চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতীকী ছবি

চীনের বার্ষিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত এই প্রথম এক ট্রিলিয়ন বা ১০০০ বিলিয়ন ডলারের অঙ্ক ছাড়িয়ে গেল। এর পেছনে রয়েছে গত নভেম্বরে রপ্তানির ক্ষেত্রে আগের মাসের মন্দাভাব কাটিয়ে ওঠা। তবে এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক তলানিতে নেমে আসতে থাকলেও সেটা সামগ্রিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি।

চীন সরকার আজ সোমবার এই বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া। সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, বছরের প্রথম এগারো মাসে চিনের মোট রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, অথচ আমদানি কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ। এর ফলে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ০৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। ট্রেড ডেটা মনিটরের হিসেব অনুযায়ী, এই সংখ্যা এরই মধ্যে গত বছরের রেকর্ড ৯৯২ বিলিয়ন ডলারকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

ডলারের মানদণ্ডে নভেম্বরে বাইরে পাঠানো পণ্য চালানের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে, যার মূল চালিকাশক্তি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের বাজারে চীনা পণ্যের চাহিদা। এই পরিসংখ্যান অক্টোবরের ১ দশমিক ১ শতাংশ সংকোচনের সময়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো। রয়টার্স জরিপের ভিত্তিতে পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, চীনা রপ্তানি আড়াই শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বাস্তবে তার দ্বিগুণেরও বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে মোট ডলার-মূল্যের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ, যা রয়টার্সের দেওয়া পূর্বাভাস ৪ শতাংশ বৃদ্ধির চেয়ে কম।

বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান নমুরার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং প্রধান চীনা অর্থনীতিবিদ লু টিং এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘মাসিক তথ্য খুবই পরিবর্তনশীল। যেমন, অক্টোবরের সংখ্যা ছিল অস্বাভাবিকভাবে কম এবং সেপ্টেম্বরের সংখ্যা ছিল অস্বাভাবিকভাবে বেশি। তবে, এই একক মাসের ওঠা-নামা নিয়ে বেশি কাটাছেঁড়া করা ঠিক হবে না।’

সরকারি তথ্য বলছে, নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা রপ্তানি ২৮ শতাংশ কমেছে, যা টানা অষ্টম মাসিক পতন এবং অক্টোবরের ২৫ শতাংশ পতনের চেয়েও বেশি। গত অক্টোবরের শেষে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় সাক্ষাৎ করে বাণিজ্য যুদ্ধ বিরতি বাড়াতে সম্মত হলেও মার্কিন বাজারে চীনা পণ্য রপ্তানি ধারাবাহিকভাবেই কমছে। এই দুই নেতা ২৪ নভেম্বরের ফোনালাপে আবারও ঐক্যের কথাটি নিশ্চিত করেন, যার মাধ্যমে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার একটি সদিচ্ছার ইঙ্গিত মেলে।

সারা বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্থির সম্পর্ক বজায় থাকা সত্ত্বেও, চিনের অর্থনীতির জন্য সামগ্রিক রপ্তানি একটি প্রধান বৃদ্ধির উপাদান হিসেবে টিকে আছে। কারণ, আবাসন সম্পত্তি খাতে মন্দা অব্যাহত থাকায় ঘরোয়া ব্যয় এখনো পর্যন্ত কমে রয়েছে।

নমুরার লু টিং আরও জানালেন, ‘সব মিলিয়ে, চিনের রপ্তানি বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে ভালোভাবেই ধরে রেখেছে। এই স্থিতিশীলতাই আমাদের আগামী বছরের মোট রপ্তানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস প্রায় ৪ শতাংশে স্থির করার ভিত্তি তৈরি করেছে। এটি সামান্য মন্থরতা দেখালেও, ৪ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধির হার বৈশ্বিক বাণিজ্যের গড় বৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি থাকবে।’

লু বললেন যে ২০২৬ সালে চিনের রপ্তানি বৃদ্ধি দেশটির উৎপাদন ক্ষেত্রে অতুলনীয় শক্তির ওপরই নির্ভর করবে, কিন্তু কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপের পক্ষ থেকেও আরোপিত বাণিজ্য বাধার কারণে এই বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমে আসতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

দুটি সমস্যা সমাধান হলেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের চুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন: কোটিপতি হিসাব বাড়ছেই

  • জুন প্রান্তিকে বৃদ্ধি ৫,৯৭৪টি।
  • সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বেড়েছে ৭৩৪টি।
  • হিসাবে জমা কমেছে ৫৯,২০৯ কোটি।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৪
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

দেশের আর্থিক খাত চাপের মধ্যে থাকলেও ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহকের হিসাব সংখ্যা বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, এক প্রান্তিক থেকে আরেক প্রান্তিকে এই গ্রাহকের হিসাব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ-জুনে কোটিপতি গ্রাহক বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি। এরপর ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হওয়া, আমানত তোলার হিড়িক এবং আস্থার ঘাটতির পরিবেশ তৈরি হলেও এই বৃদ্ধির ধারা থেমে যায়নি। গতি কিছুটা কমলেও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জুন-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকেও ব্যাংক খাতে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে আরও ৭৩৪টি।

তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে মোট কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি, যা সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০টি। এর আগে চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবধারী ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি, যা জুন প্রান্তিকে দাঁড়ায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক খাতের এ হিসাবই বলে দিচ্ছে, দেশে বড় রকমের আয় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে; যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। বৈষম্য না কমলে অর্থনীতির গতি বাধাগ্রস্ত হবে।

এদিকে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বাড়লেও আগের তুলনায় কমেছে ওই সব হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের জুন শেষে কোটি টাকার হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে এসব হিসাবে জমা কমেছে ৫৯ হাজার ২০৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ, ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৬৭১টি। সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০টি। অর্থাৎ

তিন মাসে ব্যাংক খাতের মোট হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৯টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আয় বাড়ছে। ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে। এসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তো কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। এমন প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ভালো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

দুটি সমস্যা সমাধান হলেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের চুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পেঁয়াজ আমদানি: রাতারাতি পাইকারিতে দাম কমেছে কেজিতে ২৫ টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।

গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত শনিবার বিকেলেও ছিল ১৩০ টাকা। ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, যেখানে আগের দিন ছিল ১১৫-১২০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দাম সামান্য কমেছে। গতকাল বিভিন্ন খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকায়, যেখানে শনিবার ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।

বিক্রেতারা অবশ্য বলছেন, আমদানির সঙ্গে সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসছে। এতে দাম দ্রুতই কমে যাবে। গতকাল দিনভর শ্যামবাজারে পাইকারিতে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে সকালে ৯০ টাকা বিক্রি হলেও বিকেলে কমে ৬৫ টাকা কেজিতে নেমে আসে, যা শনিবার ৭৫-৯০ টাকা ছিল।

শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটাই হুজুগনির্ভর। এলসির পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি, হয়তো রাতে আসবে। তবে আমদানির খবর পেয়েই পাইকাররা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ আসাও দাম কমার বড় কারণ।

এদিকে দীর্ঘ তিন মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে গতকাল। বিকেল ৪টায় দিনাজপুরের হিলি দিয়ে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ এসেছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিলির কাঁচাবাজারেও দাম কমেছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১০০, আর শুকনো মানের দেশি পেঁয়াজ কমেছে ২০ টাকা। বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়, যেখানে আগের দিন দাম ছিল ১৩০ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

দুটি সমস্যা সমাধান হলেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের চুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত