জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে নেওয়া বেশির ভাগ নীতি কার্যকর হচ্ছে না, বিশেষত মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং তারল্য সংকোচনের নীতি গ্রহণ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনা, সিন্ডিকেট, মজুতদারদের দৌরাত্ম্য এবং ঋণখেলাপি সংস্কৃতি মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের অপ্রতুলতা এবং অব্যবস্থাপনার ফলে টাকার মান প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে। এতে আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে কাঁচামাল ও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন কমছে, যা সরবরাহ চেইনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফলে বাজারে পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। সরকার স্বল্প সুদের ঋণ হিসেবে ৩৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও বাজারে অতিরিক্ত তারল্য তৈরি হচ্ছে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। এর পর থেকে বারবার পরিবর্তন এসেছে, তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একই চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ২০২৩ সাল থেকে বছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কার্যকর বাস্তবায়নের অভাবে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল মিলছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নীতি সুদহার ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও ১৫ শতাংশের কাছাকাছি গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার কার্যকর রয়েছে। অন্যদিকে সরকারের নীতিগত ভুলে ২৪ হাজার কোটি টাকার ডেভেলপমেন্ট মানি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোয় ২২ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করা হয়েছে, একই সঙ্গে বাজারে নগদ অর্থের সরবরাহ ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা হয়েছে; যা সাধারণত ২ লাখ ৭০ হাজার থাকার কথা। এসব পদক্ষেপ মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক প্রভাবকে দুর্বল করেছে।
এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনের শাসনের দুর্বলতা বিনিয়োগের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে বিশাল অঙ্কের ঋণ বের করে তা বিদেশে পাচার করা হয়েছে, যা মুদ্রানীতির কার্যকারিতাকে আরও দুর্বল করেছে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মুদ্রার বিনিময় হার কমালে তা অন্য মুদ্রার ওপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক কমালে রাজস্ব আয় হ্রাস পাবে। তবে তাঁর মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি করা। এর মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা যথাযথভাবে এই সুবিধা পান না। বরাদ্দ অর্থের একটি বড় অংশ অপব্যয় হয়, যা মূলত বিত্তবানদের পকেটে চলে যায়। পাশাপাশি ঘুষ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে অর্থ তছরুপ হচ্ছে এবং সেই অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান করতে হলে সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এসব বাধা দূর করতে না পারলে মুদ্রানীতি কার্যকর হতে বাধাগ্রস্ত হবে।
দেশে জ্বালানির সংকট, জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া, আয়বৈষম্য, সরকারি ঋণ বৃদ্ধি, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ায় মুদ্রানীতি কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে, তবে পণ্যের মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন, যা তাঁদের জীবনযাত্রার মানে বড় প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে সুদ কমানো সমস্যার সমাধান নয়; উৎপাদন বাড়ানো এবং সিন্ডিকেটের প্রভাব ভাঙা জরুরি, যা মুদ্রানীতির আওতায় নয়, বরং কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে সম্ভব।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, উচ্চ সুদের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা ছাড়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ২০২৪ ও ২০২৫ অর্থনীতির জন্য কঠিন বছর হতে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ; তবে বর্তমান কাঠামোয় বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য বড় কোনো পরিবর্তন আনা কঠিন।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মুদ্রানীতি কার্যকর করতে হলে রাজস্ব নীতি ও আর্থিক নীতির মধ্যে সমন্বয় আনতে হবে। শুল্ক ও ভ্যাট নীতির অনিয়ন্ত্রিত পরিবর্তন বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক চাঁদাবাজি রোধ না করলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। সরকারের উচিত কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা আরোপ করে বাজার স্থিতিশীল করা, যাতে মুদ্রানীতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অপ্রতুলতা শিল্পোৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। খরা, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি ডেকে এনেছে, যার ফলে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হয়েছে।

দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে নেওয়া বেশির ভাগ নীতি কার্যকর হচ্ছে না, বিশেষত মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং তারল্য সংকোচনের নীতি গ্রহণ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনা, সিন্ডিকেট, মজুতদারদের দৌরাত্ম্য এবং ঋণখেলাপি সংস্কৃতি মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের অপ্রতুলতা এবং অব্যবস্থাপনার ফলে টাকার মান প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে। এতে আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে কাঁচামাল ও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন কমছে, যা সরবরাহ চেইনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফলে বাজারে পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। সরকার স্বল্প সুদের ঋণ হিসেবে ৩৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও বাজারে অতিরিক্ত তারল্য তৈরি হচ্ছে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। এর পর থেকে বারবার পরিবর্তন এসেছে, তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একই চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ২০২৩ সাল থেকে বছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কার্যকর বাস্তবায়নের অভাবে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল মিলছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নীতি সুদহার ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও ১৫ শতাংশের কাছাকাছি গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার কার্যকর রয়েছে। অন্যদিকে সরকারের নীতিগত ভুলে ২৪ হাজার কোটি টাকার ডেভেলপমেন্ট মানি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোয় ২২ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করা হয়েছে, একই সঙ্গে বাজারে নগদ অর্থের সরবরাহ ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা হয়েছে; যা সাধারণত ২ লাখ ৭০ হাজার থাকার কথা। এসব পদক্ষেপ মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক প্রভাবকে দুর্বল করেছে।
এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনের শাসনের দুর্বলতা বিনিয়োগের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে বিশাল অঙ্কের ঋণ বের করে তা বিদেশে পাচার করা হয়েছে, যা মুদ্রানীতির কার্যকারিতাকে আরও দুর্বল করেছে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মুদ্রার বিনিময় হার কমালে তা অন্য মুদ্রার ওপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক কমালে রাজস্ব আয় হ্রাস পাবে। তবে তাঁর মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি করা। এর মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা যথাযথভাবে এই সুবিধা পান না। বরাদ্দ অর্থের একটি বড় অংশ অপব্যয় হয়, যা মূলত বিত্তবানদের পকেটে চলে যায়। পাশাপাশি ঘুষ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে অর্থ তছরুপ হচ্ছে এবং সেই অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান করতে হলে সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এসব বাধা দূর করতে না পারলে মুদ্রানীতি কার্যকর হতে বাধাগ্রস্ত হবে।
দেশে জ্বালানির সংকট, জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া, আয়বৈষম্য, সরকারি ঋণ বৃদ্ধি, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ায় মুদ্রানীতি কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে, তবে পণ্যের মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন, যা তাঁদের জীবনযাত্রার মানে বড় প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে সুদ কমানো সমস্যার সমাধান নয়; উৎপাদন বাড়ানো এবং সিন্ডিকেটের প্রভাব ভাঙা জরুরি, যা মুদ্রানীতির আওতায় নয়, বরং কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে সম্ভব।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, উচ্চ সুদের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা ছাড়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ২০২৪ ও ২০২৫ অর্থনীতির জন্য কঠিন বছর হতে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ; তবে বর্তমান কাঠামোয় বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য বড় কোনো পরিবর্তন আনা কঠিন।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মুদ্রানীতি কার্যকর করতে হলে রাজস্ব নীতি ও আর্থিক নীতির মধ্যে সমন্বয় আনতে হবে। শুল্ক ও ভ্যাট নীতির অনিয়ন্ত্রিত পরিবর্তন বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক চাঁদাবাজি রোধ না করলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। সরকারের উচিত কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা আরোপ করে বাজার স্থিতিশীল করা, যাতে মুদ্রানীতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অপ্রতুলতা শিল্পোৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। খরা, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি ডেকে এনেছে, যার ফলে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হয়েছে।

দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল...
৪ ঘণ্টা আগে
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। পাশাপাশি, সকল শিল্প এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকে নিরবচ্ছিন্ন ও টেকসই করতে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে উৎপাদন কার্যক্রম বাধাহীনভাবে চলতে পারে।
গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁরা বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, শিল্পের প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া অত্যাবশ্যক।
সভায় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের উৎপাদনশীল শিল্পকে শক্তিশালী রাখতে সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখা, সুষ্ঠু উৎপাদন ও কার্যক্রম নিশ্চিত করতে মসৃণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। আয়বৈষম্য কমানো এবং টেকসই এমএসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার, শিক্ষাবিদ ও শিল্পের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। বিসিআই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে শিল্পের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করছে, যাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, শিল্প প্রতিযোগিতামূলক থাকে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্যাট ও করকাঠামো সহজ, উদ্যোক্তাবান্ধব ও উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে লক্ষ্য করেই তৈরি হওয়া উচিত। তাঁরা আরও বলেন, পণ্য টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াকে উদ্যোক্তাবান্ধব করা, নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। এসব পদক্ষেপ দেশীয় শিল্পে নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা ধরে রাখবে।
সভায় শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এবং সাবেক সভাপতি এ টি এম ওয়াজিউল্লাহর জন্য। এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সভা পরিচালনা করেন বিসিআই সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন। সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী, বিগত ৩৮তম সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিসিআই কার্যক্রম ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অডিটেড হিসাব অনুমোদন এবং নতুন অডিটর নিয়োগের বিষয়ও অনুমোদিত হয়। সভায় অংশ নেন বিসিআই সদস্য ও সাবেক নেতা শাহেদুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা।

দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। পাশাপাশি, সকল শিল্প এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকে নিরবচ্ছিন্ন ও টেকসই করতে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে উৎপাদন কার্যক্রম বাধাহীনভাবে চলতে পারে।
গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁরা বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, শিল্পের প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া অত্যাবশ্যক।
সভায় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের উৎপাদনশীল শিল্পকে শক্তিশালী রাখতে সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখা, সুষ্ঠু উৎপাদন ও কার্যক্রম নিশ্চিত করতে মসৃণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। আয়বৈষম্য কমানো এবং টেকসই এমএসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার, শিক্ষাবিদ ও শিল্পের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। বিসিআই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে শিল্পের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করছে, যাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, শিল্প প্রতিযোগিতামূলক থাকে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্যাট ও করকাঠামো সহজ, উদ্যোক্তাবান্ধব ও উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে লক্ষ্য করেই তৈরি হওয়া উচিত। তাঁরা আরও বলেন, পণ্য টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াকে উদ্যোক্তাবান্ধব করা, নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। এসব পদক্ষেপ দেশীয় শিল্পে নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা ধরে রাখবে।
সভায় শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এবং সাবেক সভাপতি এ টি এম ওয়াজিউল্লাহর জন্য। এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সভা পরিচালনা করেন বিসিআই সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন। সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী, বিগত ৩৮তম সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিসিআই কার্যক্রম ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অডিটেড হিসাব অনুমোদন এবং নতুন অডিটর নিয়োগের বিষয়ও অনুমোদিত হয়। সভায় অংশ নেন বিসিআই সদস্য ও সাবেক নেতা শাহেদুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা।

দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে নেওয়া বেশির ভাগ নীতি কার্যকর হচ্ছে না, বিশেষত মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং তারল্য সংকোচনের নীতি গ্রহণ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল...
৪ ঘণ্টা আগে
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ঘাটতি অব্যাহত থাকলে ব্যাংকিং খাতের সংকট কেবল সংখ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং এর প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়বে সাধারণ গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষার ওপর, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ঝুঁকির বার্তা দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২৪টি ব্যাংকে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। বিপরীতে এসব ব্যাংক রাখতে পেরেছে মাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। এতে সম্মিলিত সঞ্চিতি ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা।
এক বছর আগের সেপ্টেম্বরে প্রভিশন ঘাটতি ছিল ৫৬ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা (২ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৩ কোটি)। ব্যাংকিং খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, এই প্রবণতা স্বাভাবিক কোনো আর্থিক চক্রের ফল নয়; এটি দীর্ঘদিন ধরে আড়াল করে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রকৃত চিত্র সামনে আসার পরিণতি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংকিং খাতে পুনর্গঠিত, পুনঃ তফসিলকৃত, অবলোপনকৃত ও আদালতে আটকে থাকা ঋণসহ মোট ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে এসব ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের মোট অঙ্ক প্রায় সাড়ে ১০ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা এবং মন্দমানের কুঋণ ৫ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি মানে সরাসরি আমানতকারীর ঝুঁকি। তাঁর মতে, গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই প্রভিশন রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ব্যাংক এমন অবস্থায় আছে, তারা ন্যূনতম সঞ্চিতিও গড়ে তুলতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে সময়মতো প্রভিশন না রাখতে পারলে সেই ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম সীমিত বা বন্ধ হওয়া উচিত।
ব্যাংকিং বিধি অনুযায়ী, সাধারণ শ্রেণির ঋণের বিপরীতে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ৫ শতাংশ, নিম্নমানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা লোকসান শ্রেণির খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ঋণ আদায়ে ব্যর্থতা, কম আমানত প্রবৃদ্ধি এবং সামগ্রিক আর্থিক সংকটে ব্যাংকগুলোর সেই সক্ষমতা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, খেলাপি ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দ্রুত বৃদ্ধিই প্রভিশন ঘাটতির মূল কারণ। সরকারের পালাবদলের পর এসব ঝুঁকি প্রকাশ্যে আসায় ব্যাংকিং খাতের ভেতরের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে।
ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ডাইনামিক প্রভিশনিং চালুর পরিকল্পনা নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, এই ডাইনামিক প্রভিশনিং চালু হলে ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়বে, মূলধনের চাপ কমবে এবং কুঋণ হ্রাস পেলে প্রভিশন ঘাটতিও কমে আসবে।

দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ঘাটতি অব্যাহত থাকলে ব্যাংকিং খাতের সংকট কেবল সংখ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং এর প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়বে সাধারণ গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষার ওপর, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ঝুঁকির বার্তা দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২৪টি ব্যাংকে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। বিপরীতে এসব ব্যাংক রাখতে পেরেছে মাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। এতে সম্মিলিত সঞ্চিতি ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা।
এক বছর আগের সেপ্টেম্বরে প্রভিশন ঘাটতি ছিল ৫৬ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা (২ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৩ কোটি)। ব্যাংকিং খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, এই প্রবণতা স্বাভাবিক কোনো আর্থিক চক্রের ফল নয়; এটি দীর্ঘদিন ধরে আড়াল করে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রকৃত চিত্র সামনে আসার পরিণতি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংকিং খাতে পুনর্গঠিত, পুনঃ তফসিলকৃত, অবলোপনকৃত ও আদালতে আটকে থাকা ঋণসহ মোট ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে এসব ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের মোট অঙ্ক প্রায় সাড়ে ১০ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা এবং মন্দমানের কুঋণ ৫ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি মানে সরাসরি আমানতকারীর ঝুঁকি। তাঁর মতে, গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই প্রভিশন রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ব্যাংক এমন অবস্থায় আছে, তারা ন্যূনতম সঞ্চিতিও গড়ে তুলতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে সময়মতো প্রভিশন না রাখতে পারলে সেই ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম সীমিত বা বন্ধ হওয়া উচিত।
ব্যাংকিং বিধি অনুযায়ী, সাধারণ শ্রেণির ঋণের বিপরীতে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ৫ শতাংশ, নিম্নমানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা লোকসান শ্রেণির খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ঋণ আদায়ে ব্যর্থতা, কম আমানত প্রবৃদ্ধি এবং সামগ্রিক আর্থিক সংকটে ব্যাংকগুলোর সেই সক্ষমতা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, খেলাপি ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দ্রুত বৃদ্ধিই প্রভিশন ঘাটতির মূল কারণ। সরকারের পালাবদলের পর এসব ঝুঁকি প্রকাশ্যে আসায় ব্যাংকিং খাতের ভেতরের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে।
ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ডাইনামিক প্রভিশনিং চালুর পরিকল্পনা নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, এই ডাইনামিক প্রভিশনিং চালু হলে ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়বে, মূলধনের চাপ কমবে এবং কুঋণ হ্রাস পেলে প্রভিশন ঘাটতিও কমে আসবে।

দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে নেওয়া বেশির ভাগ নীতি কার্যকর হচ্ছে না, বিশেষত মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং তারল্য সংকোচনের নীতি গ্রহণ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
সম্প্রতি জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই অংশীদারত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা পাবেন, যা তাঁদের দেশের প্রিমিয়াম রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ আরও সহজলভ্য করবে।
চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেটস জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. বেলায়েত হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের লাইফস্টাইলভিত্তিক মানসম্পন্ন সেবা ও আর্থিক সমাধান প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা গ্রাহকদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
সম্প্রতি জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই অংশীদারত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা পাবেন, যা তাঁদের দেশের প্রিমিয়াম রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ আরও সহজলভ্য করবে।
চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেটস জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল এবং জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. বেলায়েত হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের লাইফস্টাইলভিত্তিক মানসম্পন্ন সেবা ও আর্থিক সমাধান প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা গ্রাহকদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে নেওয়া বেশির ভাগ নীতি কার্যকর হচ্ছে না, বিশেষত মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং তারল্য সংকোচনের নীতি গ্রহণ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল...
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
গত ২৫ নভেম্বর বিটিএমএর গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিএমএ।
এতে বলা হয়, বিটিএমএর তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. শামীম ইসলাম, ফ্যাব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. আবুল কালাম ও টেক্সটাইল প্রোডাক্ট প্রসেসের ক্যাটাগরি থেকে শফিকুল ইসলাম সরকার।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
গত ২৫ নভেম্বর বিটিএমএর গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিএমএ।
এতে বলা হয়, বিটিএমএর তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. শামীম ইসলাম, ফ্যাব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. আবুল কালাম ও টেক্সটাইল প্রোডাক্ট প্রসেসের ক্যাটাগরি থেকে শফিকুল ইসলাম সরকার।

দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে নেওয়া বেশির ভাগ নীতি কার্যকর হচ্ছে না, বিশেষত মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং তারল্য সংকোচনের নীতি গ্রহণ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল...
৪ ঘণ্টা আগে
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা জেবিএস হোল্ডিংস লিমিটেড থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
৯ ঘণ্টা আগে