Ajker Patrika

এক বছরে ১২০০ কোটি ডলার লোকসান গুনল বোয়িং

আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৩১
উৎপাদন বাড়লেও গত বছর বিপুল লোকসান হয়েছে বোয়িংয়ের। ছবি: সংগৃহীত
উৎপাদন বাড়লেও গত বছর বিপুল লোকসান হয়েছে বোয়িংয়ের। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং জানিয়েছে, বিগত এক বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তাদের শেয়ারদর ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটি ২০২৪ সালে অন্তত ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ১১৮০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে, যা বিগত ৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার বোয়িং নিজেই এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই লোকসান মূলত বোয়িংয়ের প্রধান ইউনিটগুলোর সমস্যার পাশাপাশি একটি ব্যাপক কর্মী ধর্মঘটের কারণে হয়েছে। এর ফলে, দীর্ঘ সময় কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। এই পরিস্থিতি বোয়িংয়ের সিইও কেলি ওর্টবার্গের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ওর্টবার্গ মার্কিন এই বিমান নির্মাতা কোম্পানিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, বোয়িং তার প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাসের কাছে সরবরাহের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে এবং একাধিক ভুলের কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও গ্রাহকদের নজরদারির মুখে পড়েছে। বোয়িংয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ব্রায়ান ওয়েস্ট বিশ্লেষকদের জানান, জানুয়ারিতে বোয়িং সর্বাধিক বিক্রীত ৩৭৩ মডেলের ৩৩টি বিমান সরবরাহ করেছে।

ব্রায়ান ওয়েস্ট আরও জানান, কোম্পানি এই বছরের শেষ দিকে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরোপিত প্রতি মাসে ৩৮ ইউনিট উৎপাদনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার অবস্থানে থাকবে, তবে এর জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন লাগবে। তিনি বলেন, ‘বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উৎপাদন হার বাড়ানোর ফলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যার মধ্যে প্রতি মাসে ৩৮ ইউনিট উৎপাদনের লক্ষ্য এবং সম্ভবত এর চেয়েও বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন প্রয়োজন।’

ওর্টবার্গ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি নিয়ে তিনি খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন, যদিও এটি বোয়িংয়ে বিস্তৃত সরবরাহ চেইনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি আরও জানান, বোয়িং শিগগিরই নতুন কোনো বিমান প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা করছে না।

এদিকে, বোয়িংয়ের শেয়ারদর ৭ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। তবে এই দর পরে কিছুটা কমে আসে। গত বছর মাঝ আকাশে বোয়িংয়ের একটি বিমান দুর্ঘটনায় পরে। এরপর থেকেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ বেড়েছে। তবে ওর্টবার্গ বলেছেন, কোম্পানি এখন উৎপাদন স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করছে।

অপর দিকে, ২০২৪ সালে কম উৎপাদন বোয়িংয়ে আর্থিক অবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যার ফলে কোম্পানির ঋণমান প্রায় ‘জাঙ্ক’ (রেটিং যে স্তরে পৌঁছালে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত বিনিয়োগে আস্থা পান না) স্তরের কাছাকাছি নেমে এসেছে। কোম্পানির সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ৮৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মূল্যের মজুত এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

ওয়েস্ট জানান, উৎপাদন স্থিতিশীল হলে মজুত কমবে এবং নগদ প্রবাহ বাড়বে। তিনি বলেন, ‘আমরা স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগ করছি এবং আমাদের কারখানাগুলোকে সঠিক অবস্থানে নিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

রেটিং সংস্থা মুডিস মঙ্গলবার বোয়িং-এর ঋণমান পুনর্মূল্যায়ন শেষ করেছে। কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে মুডিস বোয়িংয়ের জন্য তাদের আগের ‘বিএএএ৩’ রেটিং বজায় রেখেছে, যা জাঙ্ক স্তরের ঠিক এক ধাপ ওপরে।

বোয়িং প্রশস্তকায় ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের উৎপাদন হার প্রতি মাসে পাঁচটিতে ফিরিয়ে এনেছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রতি মাসে সাতটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে বলে জানান ওর্টবার্গ। তবে কোম্পানি আসনসহ বিভিন্ন অংশের সরবরাহ চেইনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

সাক্ষাৎকারে ওর্টবার্গ বলেন, তিনি বোয়িংয়ে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও পরিষেবা বিভাগ থেকে কিছু অপ্রধান ইউনিট বিক্রি করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তিনি বিশ্লেষকদের বলেন, ‘এটি বোয়িং কোম্পানির বড় কোনো পুনর্গঠন হবে না।’ ওয়েস্ট আরও জানান, কোম্পানি বছরের প্রথমার্ধে নগদ অর্থ হারাবে, তবে ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ইতিবাচক নগদ প্রবাহ তৈরি হবে।

উল্লেখ্য, ২০১০-এর দশকে রেকর্ড মুনাফা অর্জনের পর ২০১৯ সালে দুটি মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণে বোয়িংয়ের সর্বাধিক বিক্রীত ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উৎপাদন গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। যার ফলে কোম্পানি ৩০ বিলিয়ন ডলারেও বেশি লোকসান করেছে।

ওর্টবার্গ আরও বলেন, বোয়িং টেসলা এবং এর সিইও ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্মিত বিলম্বিত এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানের সরবরাহের সময়সূচি দ্রুততর করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’

সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনবিআর কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে টাকা দাবি, সতর্কবার্তা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’

জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল আরও ৫৭ হাজার টন গম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের হাতে উপহার হস্তান্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ওয়ালটন পণ্য কিনে ফ্রিজ, টিভি উপহার পাওয়া ক্রেতাদের সঙ্গে চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ওয়ালটন পণ্য কিনে ফ্রিজ, টিভি উপহার পাওয়া ক্রেতাদের সঙ্গে চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন—পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুন কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতিন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।

গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দর নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।

উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাতের। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।

আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগতমানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।

অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।

কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত