মাহফুজুল ইসলাম ও আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

দেশের পুঁজিবাজারে গত পাঁচ বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি। এই সময়ে তাঁরা পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা মুনাফা তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আস্থার সংকটে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন ১ লাখ ১ হাজার বিদেশি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারী।
এদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে আতঙ্কিত হয়ে দেশি বিনিয়োগকারীদের একাংশও শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বেশির ভাগ সময় পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটেছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রা বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতা, রাতারাতি নীতি পরিবর্তন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে তাঁরা শেয়ার বিক্রির দিকে ঝুঁকেছেন। নীতিগত স্থিতিশীলতা ও আস্থা পুনরুদ্ধার না হলে বাজারের এই সংকট আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, গাছের শিকড় যদি শক্ত না থাকে, তাহলে পানি দিয়ে কোনো লাভ হয় না। তিনি বলেন, প্রথমে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং পরে বিএসইসির ফ্লোর প্রাইস আরোপের সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফ্লোর প্রাইসের সময় ব্লক মার্কেট ব্যবহার করে শেয়ার বিক্রি করে তাঁরা পুঁজি তুলে নিয়েছেন।
কেন গেলেন বিদেশিরা
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ ৫ বছরের মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রথম দুই বছর পুরো বিশ্বের অর্থনীতিই স্থবির হয়ে পড়েছিল। তবে এই সময়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এরপর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি আরও টালমাটাল হয়ে ওঠে। ফরেন এক্সচেঞ্জ রেটে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ৮৪ টাকার ডলার হঠাৎ বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠে যায়। এই সুযোগে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেন। তাতে দেখা গেছে, গত ৫ বছরের প্রথম তিন বছরে, অর্থাৎ ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালেই শেয়ার বিক্রি করে ৭ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
এই পরিস্থিতির মধ্যে ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ব্যাংক খাতে লুটপাট ও পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগও জোরালো হতে শুরু করে। এতে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সেই গুজবে আরও বাড়ে শেয়ার বিক্রির চাপ, ধস নামে বাজারে। দরপতন ঠেকাতে পুঁজিবাজারে আরোপ করা হয় ফ্লোর প্রাইস। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই সিদ্ধান্তে বিদেশিরা আরও দ্রুত শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিয়েছেন।
জানতে চাইলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কাজ করা ব্র্যাক ইপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মুহূর্তে ভালো কোম্পানির শেয়ার যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে কম, তারপরও বিনিয়োগে আসছেন না বিনিয়োগকারীরা। কারণ, ব্যাংকিং খাতে লুটপাট আর পুঁজিবাজারে কারসাজির ভয় রয়েছে তাঁদের মধ্যে। ফ্লোর প্রাইস আরোপের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তির ভয়ই বেশি তাঁদের।
ব্র্যাক ইপিএলের পরিচালক ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব মন্দায় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। রিজার্ভ কমেছে। ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়েছে, মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এসব কারণে পুঁজিবাজার ও দেশের অর্থনীতি থেকে মুনাফা তুলে নিয়েছেন বিদেশিরা।
কমেছে বিদেশি বিনিয়োগকারী
ডিএসইর তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বিদেশিরা ৯ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। একই সময়ে বিক্রি করেছেন ১৭ হাজার ৭১ কোটি টাকার শেয়ার। অর্থাৎ ৭ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার মুনাফা তুলে নিয়েছেন তাঁরা।
ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্যমতে, ২০২০ সালের অক্টোবরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫০টি। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীর বিও সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৩টি। প্রায় ৪ বছর ১০ মাসের ব্যবধানে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবরে বিও দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৬টিতে। এই সময়ে বিদেশিদের বিও কমে হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৫৫টি। অর্থাৎ ১ লাখ ১ হাজার ৬৩৮টি বিও হিসাব কমেছে।
বাজারে যে প্রভাব পড়েছে
ডিএসইর তথ্যমতে, ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকায়। মূলধন কমেছে ১ লাখ ৪ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।
ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকায় পুঁজিবাজারে লেনদেনও কমেছে। ডিএসইর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে বাজারে লেনদেন হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩ কোটি টাকার শেয়ার, বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করেছেন ২ হাজার ১৬৭ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার ২৩৯ টাকা, যা মোট লেনদেনের ২ শতাংশ। ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার বেশি শেয়ার। এর মধ্যে বিদেশিদের লেনদেন ৩ হাজার ১০৪ কোটি ৪ লাখ ৩০ হাজার ৭১৫ টাকা। অর্থাৎ এ বছরও বিদেশিদের অংশগ্রহণ ২ শতাংশের মধ্যেই।
অথচ পার্শ্ববর্তী শ্রীলঙ্কার পুঁজিবাজারে বিদেশিদের অংশগ্রহণ ৭ শতাংশ, পাকিস্তানের বাজারে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ ৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। প্রতিনিয়ত কারসাজি হচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের মৌলিক (বেসিক) বিষয়গুলোই ঠিক নেই। বিও অ্যাকাউন্টের তথ্য পর্যন্ত গোপন থাকে না। আইপিও, রাইট শেয়ার অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ম মানা হয় না।
অবশ্য ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের অর্থনীতির পালে ইতিবাচক হাওয়া লেগেছে। পুঁজিবাজারেও উত্থান দেখা যাচ্ছে। এতে বিদেশিরাও পুঁজিবাজারে ফিরবেন বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ব্র্যাক ইপিএলের সিইও আহসানুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বিদেশিরা বিনিয়োগের চিন্তা করছেন।
ব্রোকার হাউস শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেডের কর্ণধার ও ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বিদেশিরা চাতক পাখির মতো বসে আছেন, সুযোগ দেখলেই বিনিয়োগে আসবেন। কিন্তু শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে তাঁদের যেন কোনো বাধার সম্মুখীন হতে না হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
আর ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত জুলাইয়ের পর বিদেশিরা শেয়ার কেনা শুরু করেছেন। ২০২৫ সালে আরও বাড়বে। তিনি বলেন, বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে প্রথমত বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত এবং মন্দ কোম্পানির আইপিও আনা বন্ধ করতে হবে। ফ্লোর প্রাইসের মতো প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে বিদেশিরা পুঁজিবাজারে আসতে শুরু করেছেন। কারণ, ডলারের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। শেয়ারের মূল্যও অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন কম। বিনিয়োগ করলেই মুনাফা হবে। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিশ্বব্যাপী দেশে-বিদেশে রোড শো করা হয়েছে।’
দেশের পুঁজিবাজারে গত পাঁচ বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি। এই সময়ে তাঁরা পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা মুনাফা তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আস্থার সংকটে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন ১ লাখ ১ হাজার বিদেশি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারী।
এদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে আতঙ্কিত হয়ে দেশি বিনিয়োগকারীদের একাংশও শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বেশির ভাগ সময় পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটেছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রা বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতা, রাতারাতি নীতি পরিবর্তন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে তাঁরা শেয়ার বিক্রির দিকে ঝুঁকেছেন। নীতিগত স্থিতিশীলতা ও আস্থা পুনরুদ্ধার না হলে বাজারের এই সংকট আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, গাছের শিকড় যদি শক্ত না থাকে, তাহলে পানি দিয়ে কোনো লাভ হয় না। তিনি বলেন, প্রথমে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং পরে বিএসইসির ফ্লোর প্রাইস আরোপের সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফ্লোর প্রাইসের সময় ব্লক মার্কেট ব্যবহার করে শেয়ার বিক্রি করে তাঁরা পুঁজি তুলে নিয়েছেন।
কেন গেলেন বিদেশিরা
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ ৫ বছরের মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রথম দুই বছর পুরো বিশ্বের অর্থনীতিই স্থবির হয়ে পড়েছিল। তবে এই সময়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এরপর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি আরও টালমাটাল হয়ে ওঠে। ফরেন এক্সচেঞ্জ রেটে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ৮৪ টাকার ডলার হঠাৎ বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠে যায়। এই সুযোগে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেন। তাতে দেখা গেছে, গত ৫ বছরের প্রথম তিন বছরে, অর্থাৎ ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালেই শেয়ার বিক্রি করে ৭ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
এই পরিস্থিতির মধ্যে ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ব্যাংক খাতে লুটপাট ও পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগও জোরালো হতে শুরু করে। এতে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সেই গুজবে আরও বাড়ে শেয়ার বিক্রির চাপ, ধস নামে বাজারে। দরপতন ঠেকাতে পুঁজিবাজারে আরোপ করা হয় ফ্লোর প্রাইস। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই সিদ্ধান্তে বিদেশিরা আরও দ্রুত শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিয়েছেন।
জানতে চাইলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কাজ করা ব্র্যাক ইপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মুহূর্তে ভালো কোম্পানির শেয়ার যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে কম, তারপরও বিনিয়োগে আসছেন না বিনিয়োগকারীরা। কারণ, ব্যাংকিং খাতে লুটপাট আর পুঁজিবাজারে কারসাজির ভয় রয়েছে তাঁদের মধ্যে। ফ্লোর প্রাইস আরোপের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তির ভয়ই বেশি তাঁদের।
ব্র্যাক ইপিএলের পরিচালক ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব মন্দায় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। রিজার্ভ কমেছে। ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়েছে, মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এসব কারণে পুঁজিবাজার ও দেশের অর্থনীতি থেকে মুনাফা তুলে নিয়েছেন বিদেশিরা।
কমেছে বিদেশি বিনিয়োগকারী
ডিএসইর তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বিদেশিরা ৯ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। একই সময়ে বিক্রি করেছেন ১৭ হাজার ৭১ কোটি টাকার শেয়ার। অর্থাৎ ৭ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার মুনাফা তুলে নিয়েছেন তাঁরা।
ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্যমতে, ২০২০ সালের অক্টোবরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫০টি। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীর বিও সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৩টি। প্রায় ৪ বছর ১০ মাসের ব্যবধানে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবরে বিও দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৬টিতে। এই সময়ে বিদেশিদের বিও কমে হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৫৫টি। অর্থাৎ ১ লাখ ১ হাজার ৬৩৮টি বিও হিসাব কমেছে।
বাজারে যে প্রভাব পড়েছে
ডিএসইর তথ্যমতে, ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকায়। মূলধন কমেছে ১ লাখ ৪ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।
ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকায় পুঁজিবাজারে লেনদেনও কমেছে। ডিএসইর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে বাজারে লেনদেন হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩ কোটি টাকার শেয়ার, বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করেছেন ২ হাজার ১৬৭ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার ২৩৯ টাকা, যা মোট লেনদেনের ২ শতাংশ। ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার বেশি শেয়ার। এর মধ্যে বিদেশিদের লেনদেন ৩ হাজার ১০৪ কোটি ৪ লাখ ৩০ হাজার ৭১৫ টাকা। অর্থাৎ এ বছরও বিদেশিদের অংশগ্রহণ ২ শতাংশের মধ্যেই।
অথচ পার্শ্ববর্তী শ্রীলঙ্কার পুঁজিবাজারে বিদেশিদের অংশগ্রহণ ৭ শতাংশ, পাকিস্তানের বাজারে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ ৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। প্রতিনিয়ত কারসাজি হচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের মৌলিক (বেসিক) বিষয়গুলোই ঠিক নেই। বিও অ্যাকাউন্টের তথ্য পর্যন্ত গোপন থাকে না। আইপিও, রাইট শেয়ার অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ম মানা হয় না।
অবশ্য ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের অর্থনীতির পালে ইতিবাচক হাওয়া লেগেছে। পুঁজিবাজারেও উত্থান দেখা যাচ্ছে। এতে বিদেশিরাও পুঁজিবাজারে ফিরবেন বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ব্র্যাক ইপিএলের সিইও আহসানুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বিদেশিরা বিনিয়োগের চিন্তা করছেন।
ব্রোকার হাউস শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেডের কর্ণধার ও ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বিদেশিরা চাতক পাখির মতো বসে আছেন, সুযোগ দেখলেই বিনিয়োগে আসবেন। কিন্তু শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে তাঁদের যেন কোনো বাধার সম্মুখীন হতে না হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
আর ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত জুলাইয়ের পর বিদেশিরা শেয়ার কেনা শুরু করেছেন। ২০২৫ সালে আরও বাড়বে। তিনি বলেন, বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে প্রথমত বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত এবং মন্দ কোম্পানির আইপিও আনা বন্ধ করতে হবে। ফ্লোর প্রাইসের মতো প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে বিদেশিরা পুঁজিবাজারে আসতে শুরু করেছেন। কারণ, ডলারের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। শেয়ারের মূল্যও অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন কম। বিনিয়োগ করলেই মুনাফা হবে। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিশ্বব্যাপী দেশে-বিদেশে রোড শো করা হয়েছে।’

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি এবং নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

দেশের পুঁজিবাজারে গত পাঁচ বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি। এ সময়ে তাঁরা পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা মুনাফা তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আস্থার সংকটে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন ১ লাখ ১ হাজার বিদেশি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারী।
২১ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি এবং নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

দেশের পুঁজিবাজারে গত পাঁচ বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি। এ সময়ে তাঁরা পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা মুনাফা তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আস্থার সংকটে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন ১ লাখ ১ হাজার বিদেশি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারী।
২১ নভেম্বর ২০২৪
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি এবং নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

দেশের পুঁজিবাজারে গত পাঁচ বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি। এ সময়ে তাঁরা পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা মুনাফা তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আস্থার সংকটে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন ১ লাখ ১ হাজার বিদেশি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারী।
২১ নভেম্বর ২০২৪
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি এবং নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি এবং নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুণ কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতীন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দরনগরীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে কমায় সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাত। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগত মানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি এবং নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুণ কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতীন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দরনগরীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে কমায় সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাত। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগত মানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

দেশের পুঁজিবাজারে গত পাঁচ বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি। এ সময়ে তাঁরা পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা মুনাফা তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আস্থার সংকটে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন ১ লাখ ১ হাজার বিদেশি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারী।
২১ নভেম্বর ২০২৪
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে