Ajker Patrika

বাজার ছেড়েছে ১ লাখ বিদেশি বিও

মাহফুজুল ইসলাম ও আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯: ৩৫
বাজার ছেড়েছে ১ লাখ বিদেশি বিও

দেশের পুঁজিবাজারে গত পাঁচ বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি। এই সময়ে তাঁরা পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা মুনাফা তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আস্থার সংকটে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন ১ লাখ ১ হাজার বিদেশি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবধারী।

এদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে আতঙ্কিত হয়ে দেশি বিনিয়োগকারীদের একাংশও শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বেশির ভাগ সময় পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটেছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি।

বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রা বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতা, রাতারাতি নীতি পরিবর্তন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে তাঁরা শেয়ার বিক্রির দিকে ঝুঁকেছেন। নীতিগত স্থিতিশীলতা ও আস্থা পুনরুদ্ধার না হলে বাজারের এই সংকট আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, গাছের শিকড় যদি শক্ত না থাকে, তাহলে পানি দিয়ে কোনো লাভ হয় না। তিনি বলেন, প্রথমে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং পরে বিএসইসির ফ্লোর প্রাইস আরোপের সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফ্লোর প্রাইসের সময় ব্লক মার্কেট ব্যবহার করে শেয়ার বিক্রি করে তাঁরা পুঁজি তুলে নিয়েছেন।

কেন গেলেন বিদেশিরা

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ ৫ বছরের মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রথম দুই বছর পুরো বিশ্বের অর্থনীতিই স্থবির হয়ে পড়েছিল। তবে এই সময়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এরপর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি আরও টালমাটাল হয়ে ওঠে। ফরেন এক্সচেঞ্জ রেটে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ৮৪ টাকার ডলার হঠাৎ বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠে যায়। এই সুযোগে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেন। তাতে দেখা গেছে, গত ৫ বছরের প্রথম তিন বছরে, অর্থাৎ ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালেই শেয়ার বিক্রি করে ৭ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

এই পরিস্থিতির মধ্যে ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ব্যাংক খাতে লুটপাট ও পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগও জোরালো হতে শুরু করে। এতে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সেই গুজবে আরও বাড়ে শেয়ার বিক্রির চাপ, ধস নামে বাজারে। দরপতন ঠেকাতে পুঁজিবাজারে আরোপ করা হয় ফ্লোর প্রাইস। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই সিদ্ধান্তে বিদেশিরা আরও দ্রুত শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিয়েছেন।

জানতে চাইলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কাজ করা ব্র্যাক ইপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মুহূর্তে ভালো কোম্পানির শেয়ার যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে কম, তারপরও বিনিয়োগে আসছেন না বিনিয়োগকারীরা। কারণ, ব্যাংকিং খাতে লুটপাট আর পুঁজিবাজারে কারসাজির ভয় রয়েছে তাঁদের মধ্যে। ফ্লোর প্রাইস আরোপের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তির ভয়ই বেশি তাঁদের।

ব্র্যাক ইপিএলের পরিচালক ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব মন্দায় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। রিজার্ভ কমেছে। ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়েছে, মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এসব কারণে পুঁজিবাজার ও দেশের অর্থনীতি থেকে মুনাফা তুলে নিয়েছেন বিদেশিরা।

কমেছে বিদেশি বিনিয়োগকারী

ডিএসইর তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বিদেশিরা ৯ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। একই সময়ে বিক্রি করেছেন ১৭ হাজার ৭১ কোটি টাকার শেয়ার। অর্থাৎ ৭ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার মুনাফা তুলে নিয়েছেন তাঁরা।

ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্যমতে, ২০২০ সালের অক্টোবরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫০টি। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীর বিও সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৩টি। প্রায় ৪ বছর ১০ মাসের ব্যবধানে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবরে বিও দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৬টিতে। এই সময়ে বিদেশিদের বিও কমে হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৫৫টি। অর্থাৎ ১ লাখ ১ হাজার ৬৩৮টি বিও হিসাব কমেছে।

বাজারে যে প্রভাব পড়েছে

ডিএসইর তথ্যমতে, ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকায়। মূলধন কমেছে ১ লাখ ৪ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।

ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকায় পুঁজিবাজারে লেনদেনও কমেছে। ডিএসইর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে বাজারে লেনদেন হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩ কোটি টাকার শেয়ার, বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করেছেন ২ হাজার ১৬৭ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার ২৩৯ টাকা, যা মোট লেনদেনের ২ শতাংশ। ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার বেশি শেয়ার। এর মধ্যে বিদেশিদের লেনদেন ৩ হাজার ১০৪ কোটি ৪ লাখ ৩০ হাজার ৭১৫ টাকা। অর্থাৎ এ বছরও বিদেশিদের অংশগ্রহণ ২ শতাংশের মধ্যেই।

অথচ পার্শ্ববর্তী শ্রীলঙ্কার পুঁজিবাজারে বিদেশিদের অংশগ্রহণ ৭ শতাংশ, পাকিস্তানের বাজারে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ ৮ দশমিক ৬ শতাংশ।

যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। প্রতিনিয়ত কারসাজি হচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের মৌলিক (বেসিক) বিষয়গুলোই ঠিক নেই। বিও অ্যাকাউন্টের তথ্য পর্যন্ত গোপন থাকে না। আইপিও, রাইট শেয়ার অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ম মানা হয় না।

অবশ্য ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের অর্থনীতির পালে ইতিবাচক হাওয়া লেগেছে। পুঁজিবাজারেও উত্থান দেখা যাচ্ছে। এতে বিদেশিরাও পুঁজিবাজারে ফিরবেন বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ব্র্যাক ইপিএলের সিইও আহসানুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বিদেশিরা বিনিয়োগের চিন্তা করছেন।

ব্রোকার হাউস শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেডের কর্ণধার ও ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বিদেশিরা চাতক পাখির মতো বসে আছেন, সুযোগ দেখলেই বিনিয়োগে আসবেন। কিন্তু শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে তাঁদের যেন কোনো বাধার সম্মুখীন হতে না হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

আর ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত জুলাইয়ের পর বিদেশিরা শেয়ার কেনা শুরু করেছেন। ২০২৫ সালে আরও বাড়বে। তিনি বলেন, বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে প্রথমত বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত এবং মন্দ কোম্পানির আইপিও আনা বন্ধ করতে হবে। ফ্লোর প্রাইসের মতো প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।

জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে বিদেশিরা পুঁজিবাজারে আসতে শুরু করেছেন। কারণ, ডলারের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। শেয়ারের মূল্যও অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন কম। বিনিয়োগ করলেই মুনাফা হবে। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিশ্বব্যাপী দেশে-বিদেশে রোড শো করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আদালতের রায়ে ইতিহাস গড়লেন ইলন মাস্ক, সম্পদ ছাড়াল ৭০০ বিলিয়ন ডলার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৪
টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত
টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

পে প্যাকেজ বা বেতন-ভাতাসংক্রান্ত একটি মামলার রায়ের পর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সম্পদ গত শুক্রবার রাতে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।

ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।

উল্লেখ্য, গত বছর আদালত এই সুবিধাগুলো বাতিল করেছিলেন।

২০১৮ সালে মাস্কের যে বেতন প্যাকেজের মূল্য ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল, সেটিই গত শুক্রবার ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বহাল করেন। এর দুই বছর আগে নিম্ন আদালত ওই পারিশ্রমিক চুক্তিকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ২০২৪ সালে দেওয়া যে সিদ্ধান্তে বেতনের প্যাকেজটি বাতিল করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না এবং মাস্কের প্রতি অন্যায্য ছিল।

এর আগে চলতি সপ্তাহে মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শেয়ারবাজারে আসতে পারে—এমন প্রতিবেদনের পর মাস্কের সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।

এদিকে গত নভেম্বরে টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা আলাদাভাবে মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পারিশ্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।

এটি করপোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ। বিনিয়োগকারীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিকসভিত্তিক এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে মাস্কের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান।

ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, মাস্কের বর্তমান সম্পদমূল্য গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের চেয়ে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেশি। ল্যারি পেজ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুঁজিবাজারে নথি জমা এখন এক ক্লিকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পুঁজিবাজারে নথি জমা এখন এক ক্লিকে

দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম (এসএসএস)।

নতুন এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানি ও ফান্ডগুলো মূল্য সংবেদনশীল ঘোষণা, আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেগুলেটরি ফাইলিং কাগজ ছাড়াই অনলাইনে জমা দিতে পারবে। এতে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং ট্র্যাকিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ডিএসই সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্ম ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দুটি নতুন মডিউল যুক্ত হওয়ায় এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তথ্য একই ডিজিটাল গেটওয়ে দিয়ে জমা দেওয়া সম্ভব। ফলে দ্বৈত সাবমিশনের ঝামেলা প্রায় সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাগুজে নথির ওপর নির্ভরতা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল সাবমিশন শুধু সুবিধার বিষয় নয়, এটি বাজার শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করার একটি কাঠামোগত পরিবর্তন।

ডিএসই জানায়, চায়নিজ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কাজ করে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর পর সিস্টেমটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ফিচার যুক্ত করা সহজ হবে।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান বলেন, একক ডিজিটাল সাবমিশন পয়েন্ট চালু হওয়ায় ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপজনিত ভুল কমবে এবং তথ্য জমার প্রতিটি ধাপ ডিজিটালি যাচাইযোগ্য থাকবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের প্রভাব শুধু স্টক এক্সচেঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হতে যাচ্ছে কক্সবাজার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই তথ্য জানান।

গভর্নর বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে দেশের অন্তত ৭৫ শতাংশ খুচরা লেনদেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।’

চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা শীর্ষক এই সভায় গভর্নর চট্টগ্রামকে দেশের ‘অর্থনৈতিক লাইফলাইন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান সমুদ্রবন্দর, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), ভারী শিল্প এবং জ্বালানি অবকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু এই চট্টগ্রাম। সিঙ্গাপুর, দুবাই বা হংকংয়ের মতো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংযোগ শক্তিশালী করতে হবে। তবেই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে শিগগিরই ২৪ ঘণ্টা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এটি একটি তাৎক্ষণিক ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ব্যবস্থা যা বাণিজ্যের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ ছাড়া, তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএমই) এবং কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ও সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন গভর্নর। জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীল খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক চেম্বার, ব্যাংকার, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের গ্র্যাচুইটি ফান্ড: কর্মকর্তার অবহেলায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি

  • ৩৩ মাস অব্যবহৃত পড়ে ছিল ফান্ডের অর্থ
  • অভিযুক্ত কর্মকর্তা আগাম স্বেচ্ছা অবসরে
  • দায়িত্বে অবহেলায় জরিমানা ১ লাখ টাকা
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম 
প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের গ্র্যাচুইটি ফান্ড: কর্মকর্তার অবহেলায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি

দেশের একমাত্র গাড়ি প্রস্তুত ও সংযোজনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ ৩৩ মাসের অবহেলায় অন্তত ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ এই ক্ষতির দায়ে তদারকি কর্মকর্তার কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা। বিশাল ক্ষতির বিপরীতে সামান্য দণ্ডে দায় নিষ্পত্তির ঘটনা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশ্ন ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

ফান্ড দেখভালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহপ্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিললেও তিনি শর্তসাপেক্ষে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে দায়িত্বমুক্ত হয়েছেন। ২৫ ডিসেম্বর তাঁর অবসর কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তিনি গত ৩১ আগস্ট থেকে আগাম অবসরে যান। ২১ জুলাই শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) কাছে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেন এবং তাঁর অবসর মঞ্জুর করা হয়।

এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, আমি প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্টের সদস্য নই। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ফান্ডের দেখভাল করেছি। ডাবল বেনিফিট স্কিমের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর ভুলবশত তা রিনিউ করা হয়নি। দোষটা আসলে ব্যাংকের, বিষয়টি ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। সে কারণে আমরা মুনাফা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, গ্র্যাচুইটি ফান্ড পরিচালনার পূর্ণ দায় ট্রাস্টি বোর্ডের সাত সদস্যের। তারপরও আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে, আমি তা মোকাবিলা করেছি এবং ১ লাখ টাকা জরিমানাও গুনেছি। এটি অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল।

প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ সূত্রে জানা যায়, কর্মচারীদের জন্য গঠিত ‘প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্ট’-এর ২ কোটি টাকা ২০১২ সালের ২৪ জুলাই জনতা ব্যাংকের শেখ মুজিব রোড (আগ্রাবাদ) শাখায় ডাবল বেনিফিট স্কিমে জমা রাখা হয়। ছয় বছর মেয়াদি এ স্কিমে সুদের হার ছিল ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই সুদে-আসলে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩৩ মাস ওই অর্থ একইভাবে ব্যাংকে পড়ে থাকে। এ সময়ে না প্রগতি কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয়, না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ফান্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। এতে সম্ভাব্য মুনাফা হারিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয় ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬১০ টাকা।

ঘটনাটি ধরা পড়ার পর ফান্ড তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১ মার্চ দেওয়া তাঁর ব্যাখ্যা কর্তৃপক্ষ গ্রহণযোগ্য মনে করেনি। পরবর্তী সময়ে ১১ এপ্রিল প্রগতির তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বিভাগীয় প্রশাসনিক প্রধান মো. নুর হোসেন। সদস্য হিসেবে ছিলেন সহপ্রধান হিসাবরক্ষক গোলাম রাব্বি মোহাম্মদ সাদাত হোসেন এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. খায়রুল বাশার।

তদন্ত কমিটির সুপারিশে জনতা ব্যাংকের কাছে ৩৩ মাসের মুনাফা দাবি করা হয়। দেনদরবারের পর ব্যাংক সঞ্চয়ী বেনিফিটের আওতায় ২৮ লাখ টাকা পরিশোধ করে। জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার ১ লাখ টাকা যোগ করে মোট উদ্ধার হয় ২৯ লাখ টাকা। ফলে এখনো অনাদায়ী থেকে যায় ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬১০ টাকা।

এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক মো. সানাউল্লাহ বলেন, ডাবল বেনিফিট স্কিমের মেয়াদ শেষে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয় না। এ কারণে ওই সময়ের বেনিফিট পাওয়ার সুযোগ ছিল না। ২৮ লাখ টাকা পরিশোধের বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি তাঁর আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপকের সময়কার সিদ্ধান্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত