
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান নূর
আসাদুজ্জামান নূর

আজকের পত্রিকা: বর্তমান অর্থনীতি ও ব্যবসায় যে চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান, সেগুলো কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
কামরান টি রহমান: বর্তমানে কয়েকটি বড় ইস্যু রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সাধারণ মানুষ পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে। আমরা এখনো শুনছি এবং সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি যে অনেক থানায় একসময় ৭০ জন কর্মী ছিলেন, এখন সেখানে কাজ করছেন মাত্র ২০ জন। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে, যা আমাদের অবশ্যই সমাধান করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যে পরিমাণ লুটপাট ও অনিয়মের চিত্র সামনে এসেছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রকাশিত শ্বেতপত্রে এর ভয়ানক পরিণতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অনেক ব্যাংক ইতিমধ্যে ধসে পড়েছে এবং যেগুলো এখনো টিকে আছে, তাদের ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা নেই। খেলাপি ঋণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে পুরো ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা সংকটে পড়বে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোর সুদের হার বেড়ে ১৩-১৪ শতাংশে পৌঁছেছে এবং কার্যকর হার ১৫-১৬ শতাংশে চলে গেছে। এই উচ্চ সুদের হারে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ঋণের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি কাঁচামাল আমদানি ও এনার্জির খরচও বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত খরচগুলো ভোক্তা পর্যায়ে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে আমাদের ব্যবসায় টিকে থাকার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে, কখনো এর নিচে নেমেছে। পাশাপাশি মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছে; ৮৬ টাকা প্রতি ডলার ছিল, যা এখন অফিশিয়ালি ১২২ টাকায় উঠে গেছে। এলসি খোলার ডলারের দাম আরও বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি এত বেড়েছে যে চাল, ডাল, আদা, রসুন, মরিচ, তেল, লবণ—সব পণ্যে তার উত্তাপ লেগেছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) দেশে এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম। এটি কখন বাড়বে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বর্তমানে নতুন বিনিয়োগের কোনো সাড়া নেই, সবাই ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ অবস্থায় রয়েছে। সবাই অপেক্ষা করছে, দেখে নেবে অর্থনীতি কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, তারপর হয়তো বিনিয়োগ শুরু হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, যার ফলে খরচ বাড়ছে। যদি এই বাড়তি খরচ ভোক্তার ওপর চাপানো যেত, তাহলে ব্যবসা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা খরচের পরিমাণ ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারছি না। ফলে ব্যবসা অনেক খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সমস্যা তো অনেক, উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
কামরান টি রহমান: আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, এটি না হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। ব্যবসা চালিয়ে যেতে প্রয়োজন ব্যাংকিং সহায়তা, বিশেষ করে কম সুদে ঋণ। যদি এই সহায়তা পাওয়া না যায়, অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে অনেকে ব্যবসা চালাতে পারছে না এবং তারা এক্সিট পলিসি চায়, যা এখনো নেই। এলসিতে নমনীয়তা থাকা জরুরি, পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রথমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাধারণত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পরখ করেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি এমন যে সবাই অপেক্ষা করছে, রাজনৈতিক সরকার স্থিতিশীল হলে তারপর বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবে।
আজকের পত্রিকা: এর জন্য কি একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য?
কামরান টি রহমান: রাজনৈতিক সরকার আসা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ, সবাই সেটা দেখতে চায়। অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না, তাই যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ততই দেশের জন্য ভালো, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে। এটি সবার প্রত্যাশা।
আজকের পত্রিকা: এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আপনারা কী ধরনের প্রত্যাশা করছেন?
কামরান টি রহমান: অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং তাদের সুপারিশ থাকবে, তবে প্রশ্ন হচ্ছে—এই সরকার সবগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না। আমার মনে হয়, অন্তর্বর্তী সরকার যত তাড়াতাড়ি রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে। সার্বিক অর্থনীতির জন্য একটি রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য। অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু করতে পারবে না; তাই যত দ্রুত সম্ভব ক্ষমতা হস্তান্তর করা দেশের স্বার্থে সবচেয়ে ভালো।
আজকের পত্রিকা: এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হতে পারে?
কামরান টি রহমান: ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরছেন। তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই। যদি সরকারের মনে হয়, কোনো বিকল্প পথ রয়েছে, তবে সেটি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেবে।
আজকের পত্রিকা: ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব পড়ছে?
কামরান টি রহমান: মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে এবং তার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ভোক্তার ওপর আরও চাপ বাড়ছে। এর ফলে ভোগ কমে যাচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। বড় কোম্পানিগুলো জানাচ্ছে, আগে যে বড় প্যাকেজ বিক্রি হতো, তা এখন মানুষের পক্ষ থেকে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এখন তারা ছোট প্যাকেজ বিক্রি করছে।
টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে খরচ বেড়েছে। যে পণ্য আগে ৮৫ টাকা দিয়ে কিনতাম, এখন তা ১২২ বা ১২৫ টাকায় আসছে। এর ওপর কাস্টমস ডিউটি ও ভ্যাট যোগ হচ্ছে। ফলে সব ধরনের শিল্পে ভ্যাট বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সরকার কোন পথে আয় করবে?
কামরান টি রহমান: আমাদের কর-জিডিপির অনুপাত ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে, যা বৈশ্বিকভাবে কম। এ অনুপাত বাড়ানোর জন্য করজাল সম্প্রসারণ জরুরি। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটির বেশি টিন নম্বর থাকলেও মাত্র ৪০ লাখ মানুষ রিটার্ন দেয়। ফলে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হয়, তবে বর্তমান করদাতারা নিরুৎসাহিত হতে পারেন। সরকার করজাল বাড়াতে পারছে না, তাই ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ জরুরি, কিন্তু শুধু ভ্যাটে নির্ভর করা যাবে না। করজাল বাড়াতে হবে এবং সরকারকে খরচ কমাতে হবে। আমরা যদি কর দিই আর সরকার খরচ বাড়াতে থাকে, তবে সেটা টেকসই হবে না।
আজকের পত্রিকা: পুঁজিবাজারে ব্যবসায়ীরা পুঁজি সংগ্রহে আগ্রহ দেখান কেন? তাঁদের জন্য শেয়ারবাজার কেন এতটা অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে?
কামরান টি রহমান: অনেক ব্যবসায়ী পুঁজিবাজারে যেতে চান না। কারণ, সেখানে নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়া জটিল। অনেকের কাছে এসব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। বড় ব্যবসাগুলো কিছুটা সক্ষম হলেও ছোট ব্যবসাগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়া কঠিন।
আজকের পত্রিকা: বর্তমান অর্থনীতি ও ব্যবসায় যে চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান, সেগুলো কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
কামরান টি রহমান: বর্তমানে কয়েকটি বড় ইস্যু রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সাধারণ মানুষ পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে। আমরা এখনো শুনছি এবং সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি যে অনেক থানায় একসময় ৭০ জন কর্মী ছিলেন, এখন সেখানে কাজ করছেন মাত্র ২০ জন। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে, যা আমাদের অবশ্যই সমাধান করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যে পরিমাণ লুটপাট ও অনিয়মের চিত্র সামনে এসেছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রকাশিত শ্বেতপত্রে এর ভয়ানক পরিণতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অনেক ব্যাংক ইতিমধ্যে ধসে পড়েছে এবং যেগুলো এখনো টিকে আছে, তাদের ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা নেই। খেলাপি ঋণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে পুরো ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা সংকটে পড়বে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোর সুদের হার বেড়ে ১৩-১৪ শতাংশে পৌঁছেছে এবং কার্যকর হার ১৫-১৬ শতাংশে চলে গেছে। এই উচ্চ সুদের হারে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ঋণের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি কাঁচামাল আমদানি ও এনার্জির খরচও বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত খরচগুলো ভোক্তা পর্যায়ে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে আমাদের ব্যবসায় টিকে থাকার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে, কখনো এর নিচে নেমেছে। পাশাপাশি মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছে; ৮৬ টাকা প্রতি ডলার ছিল, যা এখন অফিশিয়ালি ১২২ টাকায় উঠে গেছে। এলসি খোলার ডলারের দাম আরও বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি এত বেড়েছে যে চাল, ডাল, আদা, রসুন, মরিচ, তেল, লবণ—সব পণ্যে তার উত্তাপ লেগেছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) দেশে এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম। এটি কখন বাড়বে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বর্তমানে নতুন বিনিয়োগের কোনো সাড়া নেই, সবাই ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ অবস্থায় রয়েছে। সবাই অপেক্ষা করছে, দেখে নেবে অর্থনীতি কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, তারপর হয়তো বিনিয়োগ শুরু হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, যার ফলে খরচ বাড়ছে। যদি এই বাড়তি খরচ ভোক্তার ওপর চাপানো যেত, তাহলে ব্যবসা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা খরচের পরিমাণ ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারছি না। ফলে ব্যবসা অনেক খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সমস্যা তো অনেক, উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
কামরান টি রহমান: আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, এটি না হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। ব্যবসা চালিয়ে যেতে প্রয়োজন ব্যাংকিং সহায়তা, বিশেষ করে কম সুদে ঋণ। যদি এই সহায়তা পাওয়া না যায়, অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে অনেকে ব্যবসা চালাতে পারছে না এবং তারা এক্সিট পলিসি চায়, যা এখনো নেই। এলসিতে নমনীয়তা থাকা জরুরি, পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রথমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাধারণত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পরখ করেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি এমন যে সবাই অপেক্ষা করছে, রাজনৈতিক সরকার স্থিতিশীল হলে তারপর বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবে।
আজকের পত্রিকা: এর জন্য কি একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য?
কামরান টি রহমান: রাজনৈতিক সরকার আসা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ, সবাই সেটা দেখতে চায়। অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না, তাই যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ততই দেশের জন্য ভালো, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে। এটি সবার প্রত্যাশা।
আজকের পত্রিকা: এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আপনারা কী ধরনের প্রত্যাশা করছেন?
কামরান টি রহমান: অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং তাদের সুপারিশ থাকবে, তবে প্রশ্ন হচ্ছে—এই সরকার সবগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না। আমার মনে হয়, অন্তর্বর্তী সরকার যত তাড়াতাড়ি রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে। সার্বিক অর্থনীতির জন্য একটি রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য। অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু করতে পারবে না; তাই যত দ্রুত সম্ভব ক্ষমতা হস্তান্তর করা দেশের স্বার্থে সবচেয়ে ভালো।
আজকের পত্রিকা: এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হতে পারে?
কামরান টি রহমান: ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরছেন। তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই। যদি সরকারের মনে হয়, কোনো বিকল্প পথ রয়েছে, তবে সেটি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেবে।
আজকের পত্রিকা: ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব পড়ছে?
কামরান টি রহমান: মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে এবং তার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ভোক্তার ওপর আরও চাপ বাড়ছে। এর ফলে ভোগ কমে যাচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। বড় কোম্পানিগুলো জানাচ্ছে, আগে যে বড় প্যাকেজ বিক্রি হতো, তা এখন মানুষের পক্ষ থেকে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এখন তারা ছোট প্যাকেজ বিক্রি করছে।
টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে খরচ বেড়েছে। যে পণ্য আগে ৮৫ টাকা দিয়ে কিনতাম, এখন তা ১২২ বা ১২৫ টাকায় আসছে। এর ওপর কাস্টমস ডিউটি ও ভ্যাট যোগ হচ্ছে। ফলে সব ধরনের শিল্পে ভ্যাট বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সরকার কোন পথে আয় করবে?
কামরান টি রহমান: আমাদের কর-জিডিপির অনুপাত ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে, যা বৈশ্বিকভাবে কম। এ অনুপাত বাড়ানোর জন্য করজাল সম্প্রসারণ জরুরি। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটির বেশি টিন নম্বর থাকলেও মাত্র ৪০ লাখ মানুষ রিটার্ন দেয়। ফলে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হয়, তবে বর্তমান করদাতারা নিরুৎসাহিত হতে পারেন। সরকার করজাল বাড়াতে পারছে না, তাই ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ জরুরি, কিন্তু শুধু ভ্যাটে নির্ভর করা যাবে না। করজাল বাড়াতে হবে এবং সরকারকে খরচ কমাতে হবে। আমরা যদি কর দিই আর সরকার খরচ বাড়াতে থাকে, তবে সেটা টেকসই হবে না।
আজকের পত্রিকা: পুঁজিবাজারে ব্যবসায়ীরা পুঁজি সংগ্রহে আগ্রহ দেখান কেন? তাঁদের জন্য শেয়ারবাজার কেন এতটা অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে?
কামরান টি রহমান: অনেক ব্যবসায়ী পুঁজিবাজারে যেতে চান না। কারণ, সেখানে নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়া জটিল। অনেকের কাছে এসব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। বড় ব্যবসাগুলো কিছুটা সক্ষম হলেও ছোট ব্যবসাগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়া কঠিন।

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র...
৩ ঘণ্টা আগে
রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর...
৪ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার...
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।
প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’
তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’
বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।
প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’
তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’
বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর...
৪ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার...
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।
এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।
এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র...
৩ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার...
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র...
৩ ঘণ্টা আগে
রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর...
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার...
১৬ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তি

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।
এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।
ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।
ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।
এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।
ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।
ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র...
৩ ঘণ্টা আগে
রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর...
৪ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
৫ ঘণ্টা আগে