
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান নূর
আসাদুজ্জামান নূর

আজকের পত্রিকা: বর্তমান অর্থনীতি ও ব্যবসায় যে চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান, সেগুলো কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
কামরান টি রহমান: বর্তমানে কয়েকটি বড় ইস্যু রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সাধারণ মানুষ পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে। আমরা এখনো শুনছি এবং সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি যে অনেক থানায় একসময় ৭০ জন কর্মী ছিলেন, এখন সেখানে কাজ করছেন মাত্র ২০ জন। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে, যা আমাদের অবশ্যই সমাধান করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যে পরিমাণ লুটপাট ও অনিয়মের চিত্র সামনে এসেছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রকাশিত শ্বেতপত্রে এর ভয়ানক পরিণতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অনেক ব্যাংক ইতিমধ্যে ধসে পড়েছে এবং যেগুলো এখনো টিকে আছে, তাদের ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা নেই। খেলাপি ঋণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে পুরো ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা সংকটে পড়বে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোর সুদের হার বেড়ে ১৩-১৪ শতাংশে পৌঁছেছে এবং কার্যকর হার ১৫-১৬ শতাংশে চলে গেছে। এই উচ্চ সুদের হারে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ঋণের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি কাঁচামাল আমদানি ও এনার্জির খরচও বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত খরচগুলো ভোক্তা পর্যায়ে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে আমাদের ব্যবসায় টিকে থাকার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে, কখনো এর নিচে নেমেছে। পাশাপাশি মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছে; ৮৬ টাকা প্রতি ডলার ছিল, যা এখন অফিশিয়ালি ১২২ টাকায় উঠে গেছে। এলসি খোলার ডলারের দাম আরও বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি এত বেড়েছে যে চাল, ডাল, আদা, রসুন, মরিচ, তেল, লবণ—সব পণ্যে তার উত্তাপ লেগেছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) দেশে এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম। এটি কখন বাড়বে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বর্তমানে নতুন বিনিয়োগের কোনো সাড়া নেই, সবাই ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ অবস্থায় রয়েছে। সবাই অপেক্ষা করছে, দেখে নেবে অর্থনীতি কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, তারপর হয়তো বিনিয়োগ শুরু হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, যার ফলে খরচ বাড়ছে। যদি এই বাড়তি খরচ ভোক্তার ওপর চাপানো যেত, তাহলে ব্যবসা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা খরচের পরিমাণ ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারছি না। ফলে ব্যবসা অনেক খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সমস্যা তো অনেক, উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
কামরান টি রহমান: আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, এটি না হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। ব্যবসা চালিয়ে যেতে প্রয়োজন ব্যাংকিং সহায়তা, বিশেষ করে কম সুদে ঋণ। যদি এই সহায়তা পাওয়া না যায়, অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে অনেকে ব্যবসা চালাতে পারছে না এবং তারা এক্সিট পলিসি চায়, যা এখনো নেই। এলসিতে নমনীয়তা থাকা জরুরি, পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রথমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাধারণত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পরখ করেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি এমন যে সবাই অপেক্ষা করছে, রাজনৈতিক সরকার স্থিতিশীল হলে তারপর বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবে।
আজকের পত্রিকা: এর জন্য কি একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য?
কামরান টি রহমান: রাজনৈতিক সরকার আসা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ, সবাই সেটা দেখতে চায়। অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না, তাই যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ততই দেশের জন্য ভালো, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে। এটি সবার প্রত্যাশা।
আজকের পত্রিকা: এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আপনারা কী ধরনের প্রত্যাশা করছেন?
কামরান টি রহমান: অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং তাদের সুপারিশ থাকবে, তবে প্রশ্ন হচ্ছে—এই সরকার সবগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না। আমার মনে হয়, অন্তর্বর্তী সরকার যত তাড়াতাড়ি রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে। সার্বিক অর্থনীতির জন্য একটি রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য। অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু করতে পারবে না; তাই যত দ্রুত সম্ভব ক্ষমতা হস্তান্তর করা দেশের স্বার্থে সবচেয়ে ভালো।
আজকের পত্রিকা: এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হতে পারে?
কামরান টি রহমান: ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরছেন। তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই। যদি সরকারের মনে হয়, কোনো বিকল্প পথ রয়েছে, তবে সেটি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেবে।
আজকের পত্রিকা: ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব পড়ছে?
কামরান টি রহমান: মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে এবং তার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ভোক্তার ওপর আরও চাপ বাড়ছে। এর ফলে ভোগ কমে যাচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। বড় কোম্পানিগুলো জানাচ্ছে, আগে যে বড় প্যাকেজ বিক্রি হতো, তা এখন মানুষের পক্ষ থেকে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এখন তারা ছোট প্যাকেজ বিক্রি করছে।
টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে খরচ বেড়েছে। যে পণ্য আগে ৮৫ টাকা দিয়ে কিনতাম, এখন তা ১২২ বা ১২৫ টাকায় আসছে। এর ওপর কাস্টমস ডিউটি ও ভ্যাট যোগ হচ্ছে। ফলে সব ধরনের শিল্পে ভ্যাট বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সরকার কোন পথে আয় করবে?
কামরান টি রহমান: আমাদের কর-জিডিপির অনুপাত ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে, যা বৈশ্বিকভাবে কম। এ অনুপাত বাড়ানোর জন্য করজাল সম্প্রসারণ জরুরি। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটির বেশি টিন নম্বর থাকলেও মাত্র ৪০ লাখ মানুষ রিটার্ন দেয়। ফলে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হয়, তবে বর্তমান করদাতারা নিরুৎসাহিত হতে পারেন। সরকার করজাল বাড়াতে পারছে না, তাই ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ জরুরি, কিন্তু শুধু ভ্যাটে নির্ভর করা যাবে না। করজাল বাড়াতে হবে এবং সরকারকে খরচ কমাতে হবে। আমরা যদি কর দিই আর সরকার খরচ বাড়াতে থাকে, তবে সেটা টেকসই হবে না।
আজকের পত্রিকা: পুঁজিবাজারে ব্যবসায়ীরা পুঁজি সংগ্রহে আগ্রহ দেখান কেন? তাঁদের জন্য শেয়ারবাজার কেন এতটা অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে?
কামরান টি রহমান: অনেক ব্যবসায়ী পুঁজিবাজারে যেতে চান না। কারণ, সেখানে নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়া জটিল। অনেকের কাছে এসব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। বড় ব্যবসাগুলো কিছুটা সক্ষম হলেও ছোট ব্যবসাগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়া কঠিন।
আজকের পত্রিকা: বর্তমান অর্থনীতি ও ব্যবসায় যে চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান, সেগুলো কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
কামরান টি রহমান: বর্তমানে কয়েকটি বড় ইস্যু রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সাধারণ মানুষ পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে। আমরা এখনো শুনছি এবং সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি যে অনেক থানায় একসময় ৭০ জন কর্মী ছিলেন, এখন সেখানে কাজ করছেন মাত্র ২০ জন। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে, যা আমাদের অবশ্যই সমাধান করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যে পরিমাণ লুটপাট ও অনিয়মের চিত্র সামনে এসেছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রকাশিত শ্বেতপত্রে এর ভয়ানক পরিণতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অনেক ব্যাংক ইতিমধ্যে ধসে পড়েছে এবং যেগুলো এখনো টিকে আছে, তাদের ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা নেই। খেলাপি ঋণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে পুরো ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা সংকটে পড়বে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোর সুদের হার বেড়ে ১৩-১৪ শতাংশে পৌঁছেছে এবং কার্যকর হার ১৫-১৬ শতাংশে চলে গেছে। এই উচ্চ সুদের হারে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ঋণের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি কাঁচামাল আমদানি ও এনার্জির খরচও বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত খরচগুলো ভোক্তা পর্যায়ে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে আমাদের ব্যবসায় টিকে থাকার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে, কখনো এর নিচে নেমেছে। পাশাপাশি মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছে; ৮৬ টাকা প্রতি ডলার ছিল, যা এখন অফিশিয়ালি ১২২ টাকায় উঠে গেছে। এলসি খোলার ডলারের দাম আরও বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি এত বেড়েছে যে চাল, ডাল, আদা, রসুন, মরিচ, তেল, লবণ—সব পণ্যে তার উত্তাপ লেগেছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) দেশে এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম। এটি কখন বাড়বে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বর্তমানে নতুন বিনিয়োগের কোনো সাড়া নেই, সবাই ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ অবস্থায় রয়েছে। সবাই অপেক্ষা করছে, দেখে নেবে অর্থনীতি কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, তারপর হয়তো বিনিয়োগ শুরু হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, যার ফলে খরচ বাড়ছে। যদি এই বাড়তি খরচ ভোক্তার ওপর চাপানো যেত, তাহলে ব্যবসা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা খরচের পরিমাণ ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারছি না। ফলে ব্যবসা অনেক খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সমস্যা তো অনেক, উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
কামরান টি রহমান: আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, এটি না হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। ব্যবসা চালিয়ে যেতে প্রয়োজন ব্যাংকিং সহায়তা, বিশেষ করে কম সুদে ঋণ। যদি এই সহায়তা পাওয়া না যায়, অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে অনেকে ব্যবসা চালাতে পারছে না এবং তারা এক্সিট পলিসি চায়, যা এখনো নেই। এলসিতে নমনীয়তা থাকা জরুরি, পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রথমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাধারণত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পরখ করেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি এমন যে সবাই অপেক্ষা করছে, রাজনৈতিক সরকার স্থিতিশীল হলে তারপর বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবে।
আজকের পত্রিকা: এর জন্য কি একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য?
কামরান টি রহমান: রাজনৈতিক সরকার আসা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ, সবাই সেটা দেখতে চায়। অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না, তাই যত দ্রুত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ততই দেশের জন্য ভালো, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে। এটি সবার প্রত্যাশা।
আজকের পত্রিকা: এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আপনারা কী ধরনের প্রত্যাশা করছেন?
কামরান টি রহমান: অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং তাদের সুপারিশ থাকবে, তবে প্রশ্ন হচ্ছে—এই সরকার সবগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না। আমার মনে হয়, অন্তর্বর্তী সরকার যত তাড়াতাড়ি রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, ততই ভালো। বাকি সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সরকার বিবেচনা করবে এবং তারা তা বাস্তবায়ন করবে কি না, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে। সার্বিক অর্থনীতির জন্য একটি রাজনৈতিক সরকার অপরিহার্য। অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু করতে পারবে না; তাই যত দ্রুত সম্ভব ক্ষমতা হস্তান্তর করা দেশের স্বার্থে সবচেয়ে ভালো।
আজকের পত্রিকা: এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হতে পারে?
কামরান টি রহমান: ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরছেন। তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই। যদি সরকারের মনে হয়, কোনো বিকল্প পথ রয়েছে, তবে সেটি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেবে।
আজকের পত্রিকা: ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব পড়ছে?
কামরান টি রহমান: মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে এবং তার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ভোক্তার ওপর আরও চাপ বাড়ছে। এর ফলে ভোগ কমে যাচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। বড় কোম্পানিগুলো জানাচ্ছে, আগে যে বড় প্যাকেজ বিক্রি হতো, তা এখন মানুষের পক্ষ থেকে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এখন তারা ছোট প্যাকেজ বিক্রি করছে।
টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে খরচ বেড়েছে। যে পণ্য আগে ৮৫ টাকা দিয়ে কিনতাম, এখন তা ১২২ বা ১২৫ টাকায় আসছে। এর ওপর কাস্টমস ডিউটি ও ভ্যাট যোগ হচ্ছে। ফলে সব ধরনের শিল্পে ভ্যাট বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে সরকার কোন পথে আয় করবে?
কামরান টি রহমান: আমাদের কর-জিডিপির অনুপাত ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে, যা বৈশ্বিকভাবে কম। এ অনুপাত বাড়ানোর জন্য করজাল সম্প্রসারণ জরুরি। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটির বেশি টিন নম্বর থাকলেও মাত্র ৪০ লাখ মানুষ রিটার্ন দেয়। ফলে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হয়, তবে বর্তমান করদাতারা নিরুৎসাহিত হতে পারেন। সরকার করজাল বাড়াতে পারছে না, তাই ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ জরুরি, কিন্তু শুধু ভ্যাটে নির্ভর করা যাবে না। করজাল বাড়াতে হবে এবং সরকারকে খরচ কমাতে হবে। আমরা যদি কর দিই আর সরকার খরচ বাড়াতে থাকে, তবে সেটা টেকসই হবে না।
আজকের পত্রিকা: পুঁজিবাজারে ব্যবসায়ীরা পুঁজি সংগ্রহে আগ্রহ দেখান কেন? তাঁদের জন্য শেয়ারবাজার কেন এতটা অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে?
কামরান টি রহমান: অনেক ব্যবসায়ী পুঁজিবাজারে যেতে চান না। কারণ, সেখানে নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়া জটিল। অনেকের কাছে এসব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। বড় ব্যবসাগুলো কিছুটা সক্ষম হলেও ছোট ব্যবসাগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়া কঠিন।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৯ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরান টি রহমান, যিনি দ্য কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলামে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে