Ajker Patrika

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন /ট্রাম্পের শুল্ক ধসিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের অগ্রযাত্রা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মীই নারী। ছবি: নিউইয়র্ক টাইমসের সৌজন্য
বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মীই নারী। ছবি: নিউইয়র্ক টাইমসের সৌজন্য

২০২৫ সালটি হয়তো বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে। গত বছর, এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেছে দেশটি। ছাত্র-জনতা এক স্বৈরশাসককে হটিয়ে দেয়, আর পুরো দেশ পড়ে যায় বিশৃঙ্খলার মুখোমুখি। এরপর, যখন নতুন সরকার অর্থনীতি সামাল দিতে ব্যস্ত, তখনই আসে আরেক দুঃসংবাদ—যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে! বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটাই রপ্তানি আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যার মাধ্যমে জ্বালানি, খাদ্যসহ জরুরি পণ্য আমদানি করা হয়। এই সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশসহ আরও বেশ কিছু দেশের ওপর শুল্ক স্থগিত করেন। তবে তা আবার চালু হওয়ার সম্ভাবনায় আতঙ্কে দিন কাটছে পোশাক খাতের শ্রমিকদের।

ঢাকার উপকণ্ঠে থাকা ২৫ বছর বয়সী মুর্শিদা আক্তার গত পাঁচ বছর ধরে সেলাই মেশিন চালিয়ে সংসার চালান। সম্প্রতি তিনি ও আরও প্রায় ২০০ জন শ্রমিক (যাদের ৭০ শতাংশই নারী) সাভারের শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত ৪-এ ইয়ার্ন ডাইং নামের একটি পোশাক কারখানায় নতুন চাকরি নেন।

শুল্কের ব্যাপারে আশঙ্কা থাকলেও মুর্শিদা নতুন কর্মস্থলে এসে বেশ খুশি। আগের চেয়ে বেতন কিছুটা বেশি— মাসে ১৫৬ ডলার (প্রায় ১৯ হাজার টাকা)। পথঘাটও আগের চেয়ে সহজ, পরিবেশটাও তুলনামূলক ভালো। ট্রাম্পের শুল্কের বিষয়ে কথা বললে মুর্শিদা বলেন, ‘আমার চিন্তা, অর্ডার কমে যাবে। তাহলে তো কাজও কমে যাবে।’

প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ, যা আয়তনে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সমান। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীন হয় দেশটি। একসময় মনে করা হতো, দেশটি অর্থনৈতিকভাবে ব্যর্থ। তবে ১৯৮০-এর দশক থেকে পোশাকশিল্পকে কেন্দ্র করে দেশটি ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে।

বিশ্বের দরজায় দরজায় সেলাইয়ের কাজ করেছে বাংলাদেশের শ্রমিকেরা, বিশেষ করে নারীরা। ফলে এখন বাংলাদেশের মানুষের গড় জীবনমান পাশের দেশ ভারতের নাগরিকদের থেকেও উন্নত।

মুর্শিদা আক্তারের মতো প্রায় ৪০ লাখ মানুষ সরাসরি রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে কাজ করছেন। তাঁর স্বামী ও সন্তানসহ আরও অনেকের পরিবার এই কাজের ওপর নির্ভরশীল।

ট্রাম্পের আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক এবং চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্কের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের মতো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থমকে যেতে পারে। অবশ্য শুল্ক স্থগিত হওয়ার আগেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একটি চিঠি লেখেন। তিনি ৯০ দিনের সময় চেয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ আরও বেশি আমেরিকান তুলা ও অন্যান্য পণ্য কিনবে, যাতে করে দেশটির ৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমে আসে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর ট্রাম্পের এই হুমকিকে বলেন, ‘ক্ষমতার এক কুৎসিত প্রদর্শনী।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিনের দারুণ প্রবৃদ্ধির পর এখন যখন দেশটি মন্দার মুখে, তখন এভাবে আঘাত হানা অমানবিক।’

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশই পোশাক— আর সবচেয়ে বেশি পোশাক যায় যুক্তরাষ্ট্রে। এমনকি যদি ট্রাম্প জুলাইয়ে তার ‘গ্রেস পিরিয়ড’ শেষে ৩৭ শতাংশ শুল্ক না-ও ফেরান, তবুও ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকবে, যা তিনি প্রায় সব দেশের ওপরই আরোপ করেছেন।

কিন্তু এই ১০ শতাংশ শুল্কও পোশাকশিল্পের মতো কম মুনাফার খাতে বড় ধাক্কা। প্রতিযোগিতা তীব্র—চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রতিনিয়ত পাল্লা দিতে হচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতাকে পশ্চিমা উদার গণতন্ত্রের সমর্থকেরা এক আশার বার্তা হিসেবে দেখলেও প্রতিবেশী দেশ ভারত বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের জোট ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ড. ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থিক খাতে যে লুটপাট চলেছিল, তা সামাল দিতে এখনো হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৬ সাল নাগাদ অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে—এই আশাতেই ছিলেন তারা। কিন্তু শুল্ক সেই আশায় পানি ঢেলে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক আগামী দুই বছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর চাপও বাড়ছে। গত বছর তারা বাংলাদেশকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে।

ঢাকা-ভিত্তিক থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আমরা আইএমএফ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে আছি—সাবসিডি কমাতে হবে, জ্বালানির দাম বাড়াতে হবে।’

১০ শতাংশ শুল্ক ও ভবিষ্যতের আশঙ্কা বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের হৃৎপিণ্ডে আঘাত হানছে—যে খাতটি নিজেকে বদলে ফেলেছে গত এক দশকে। ২০১৩ সালে ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ে, প্রাণ যায় ১ হাজার ১০০ জনের বেশি শ্রমিকের। এ ঘটনাটি পশ্চিমা ক্রেতাদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল—তারা ভেবেছিল, হয়তো আর এখানকার কারখানাগুলোর সঙ্গে কাজ করা যাবে না।

তবে খাতটি তখনই বুঝে ফেলে, টিকে থাকতে হলে বদলাতে হবে। রানা প্লাজার ধ্বংসাবশেষ এখনো পড়ে আছে সাভারগামী প্রধান সড়কের ধারে। এ স্থানটি যেন এক চিরন্তন স্মারক—যা পথ দেখিয়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে।

পোশাকশিল্পে প্রতিষ্ঠানসংখ্যা কমলেও রপ্তানির পরিমাণ এবং কর্মসংখ্যা বেড়েছে। এখন বাংলাদেশে ২৩০টি কারখানা আছে, যারা ইউএস–ভিত্তিক ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন’ (LEED) সার্টিফায়েড—যা পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উৎপাদনের প্রতীক। বিশ্বের আর কোনো দেশে এত LEED সার্টিফায়েড পোশাক কারখানা নেই।

মুর্শিদা আক্তার যে ৪এ ইয়ার্ন ডাইং কারখানায় কাজ করেন, সেটিও এর মধ্যে পড়ে। নামের মধ্যে ‘ইয়ার্ন ডাইং’ থাকলেও আসলে প্রতিষ্ঠানটি এখন আর সুতার রং করে না। তারা এখন উচ্চমূল্যের জ্যাকেটসহ বিভিন্ন আউটারওয়্যার তৈরি করে—যেখানে থাকে উন্নত মানের জিপার, ওয়াটারপ্রুফ ফিনিশিংসহ নানা জটিলতা।

তাদের ক্রেতাদের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কারহার্ট থেকে শুরু করে কেলভিন ক্লেইনের মতো ব্র্যান্ড, যদিও ইউরোপীয় ক্রেতার সংখ্যাই বেশি।

কারখানার পাঁচটি ফ্লোরেই কর্মীরা ব্যস্তভাবে কাটিং, সেলাই ও ফিনিশিংয়ের কাজ করছে—এই মুহূর্তে তারা কস্টকোর জ্যাকস নিউইয়র্ক সিরিজের পণ্য তৈরি করছে। ফ্যানের গুমগুম আওয়াজ, সুচের কটকট শব্দ ও হালকা সংগীত—সব মিলিয়ে কর্মপরিবেশটা খোলামেলা, হাওয়াদার এবং তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক, এমনকি প্রাক-বর্ষা মৌসুমেও।

কারখানার ভেতরে সাইনবোর্ডগুলোর ভাষা প্রথমে ইংরেজি, তারপর বাংলা। এখানকার অন্য অনেক কারখানার মতোই, ৪এ ইয়ার্ন ডাইং প্রস্তুত থাকে বিদেশি পরিদর্শকদের চোখে চোখে থাকার জন্য।

বাইরের দেয়ালজুড়ে ঝুলছে সবুজ গাছপালা, ছাদজুড়ে বসানো আছে সৌর প্যানেল, যা কারখানার উৎপাদনে সহায়তা করে।

গত আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের সময়কার আন্দোলনে এই কারখানাও হামলার মুখে পড়ে। কারখানার জেনারেল ম্যানেজার খন্দকার ইমাম বলেন, তারা কাজ বন্ধ করেননি।

বিক্ষোভকারীরা তখন দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল—ধারণা করা হচ্ছিল, তারা হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিল। খন্দকার ইমাম বলেন, ‘আমাদের গেটে এক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল।’ তিনি হেলমেট পরে নিজেই কর্মীদের সঙ্গে গেটের বাইরে গিয়ে রুখে দাঁড়ান।

শেষ পর্যন্ত কেউ গুরুতর আহত হননি, আর একদিনের জন্যও উৎপাদন বন্ধ হয়নি বলে জানান ইমাম। তাঁর ভাষায়, এই কোম্পানি যেমন টিকে আছে, তেমনি দেশও এখন বিপদের মধ্য দিয়েই টিকে থাকতে অভ্যস্ত।

কোম্পানির প্রধান পরিবেশ ও টেকসই বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশের পুরো অর্থনীতি এই সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। যারা হাসিনাকে সরিয়েছে, তারাও এটা বোঝে। কারণ আমাদের শ্রমশক্তিই একমাত্র সম্পদ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিল নগদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ।

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠান চলাকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ জনের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায় এই অর্থ।

দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া, খাওয়া, হোটেলে অবস্থানসহ অন্য সব খরচ নগদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।

সেরা পারফর্মারদের অভিনন্দন জানিয়ে নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝেও বাজারে নগদ একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের আরও প্রসার ঘটাতে নগদ ভূমিকা রাখবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা রয়েছে। সুতরাং, যত অপপ্রচারই নগদকে নিয়ে হোক না কেন, সেসবে কান না দিয়ে নগদের সাফল্যের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

নগদের সেবার প্রসার ঘটাতে এ সময় মোতাছিম বিল্লাহ ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের কাছ থেকে নগদ বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ জানতে চান। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ প্রশাসক বলেন, অল্প সময়ের ভেতরই সেবার কলেবর আরও বাড়বে নগদে। ফলে লেনদেনের অঙ্ক যেমন অনেক গুণ বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকেরাও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ডাক বিভাগনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. আবু তালেব, নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, আগামী বছরে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স, বাংলা কিউআর, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য আন্তসংযোগ গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে নগদ। ফলে ২০২৬ সাল নগদের সেরা সাফল্যের বছর হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করল ডিএসই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে ডিএসই। ছবি: সংগৃহীত
ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে ডিএসই। ছবি: সংগৃহীত

তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ইনফরমেশন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান আরও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারী ও অন্য অংশীজনদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে ডিএসইর সেবার মান আরও গ্রাহকবান্ধব ও স্বচ্ছ হবে।

ডিএসইর এমডি আশা প্রকাশ করেন, এই হেল্প ডেস্ক ডিএসইর বাজার অংশগ্রহণকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পুঁজিবাজারসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্যের জন্য +৮৮-০২-৪১০৪০১৮৯, ০৯৬৬৬৭০২০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাভেল ও ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড: লিড স্পনসর ‘গ্যালাক্সি’, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ট্রাভেল ও ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড: লিড স্পনসর ‘গ্যালাক্সি’, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা

দেশের অন্যতম ভ্রমণ ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি অ্যাওয়ার্ড (BTTHA) ২০২৫’-এর লিড স্পনসর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশের ভ্রমণশিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সি গ্রুপ।

একই সঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা এই আয়োজনের হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

দেশের ভ্রমণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে একমাত্র স্বীকৃত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

গতকাল বুধবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট চুক্তিসমূহ স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশ মনিটরের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। গ্যালাক্সি গ্রুপের পক্ষে লিড স্পনসর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। অন্যদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার পক্ষে হসপিটালিটি পার্টনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হোটেলটির জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, গ্যালাক্সি ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার সম্পৃক্ততায় অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের মর্যাদা ও পরিসর আরও বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে দেশের ভ্রমণ ও আতিথেয়তা শিল্পে উৎকর্ষতা অর্জন এবং উত্তম চর্চা উৎসাহিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতে উদ্ভাবন, সেবার মান এবং টেকসই উন্নয়নকে স্বীকৃতি প্রদানকারী একটি মহতী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে তারা গর্বিত।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন বিশ্বমানের আতিথেয়তা প্রদানের পাশাপাশি অসাধারণ অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে এমন একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

চলতি বছর ২৫টি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। শুধু আবেদনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিত্বকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিচারক প্যানেল বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন এবং পাবলিক ভোটিংয়ের ভিত্তিতে বিজয়ীদের চূড়ান্ত করবেন।

এবার নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে দুটি বিশেষ ক্যাটাগরি—সর্বাধিক পর্যটনবান্ধব বিদেশি গন্তব্য, বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। এই দুটি ক্যাটাগরির বিজয়ী সরাসরি পাবলিক ভোটিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

বাংলাদেশের পর্যটন ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ মনিটর ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে।

প্রথম আসরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ বছর আরও বৃহৎ পরিসরে এই আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে অংশগ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৃশ্যমানতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল নজরদারি করবে এনবিআর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল আরও স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ‘ট্রাক মুভমেন্ট’ নামে নতুন একটি সাব-মডিউল চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মাধ্যমে প্রতিটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ, অবস্থানকাল এবং খালি ট্রাকের ফেরত-সংক্রান্ত তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে সংরক্ষণ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এনবিআর।

এনবিআর জানায়, প্রাথমিকভাবে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই সাব-মডিউলের পাইলট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ট্রাক প্রবেশ ও বহির্গমনের তথ্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

নতুন মডিউল চালুর ফলে ভারতীয় প্রতিটি ট্রাকের আগমন ও বহির্গমনের প্রকৃত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এতে ট্রাকের অবস্থানকাল নির্ধারণ, সীমান্ত এলাকায় ট্রাক চলাচল কার্যকরভাবে মনিটরিং এবং রিয়েল-টাইম রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে, রাজস্বহানি রোধে সহায়ক হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।

এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় এই ডিজিটাল উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ট্রাক চলাচলের নির্ভুল তথ্য থাকায় শুল্ক ও কর ব্যবস্থাপনায় নজরদারি জোরদার হবে, একই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষাও বাড়বে।

খুব শিগগির দেশের সব স্থলবন্দরে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ‘ট্রাক মুভমেন্ট’ সাব-মডিউলটি লাইভ অপারেশনে আনার পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের। এতে স্থলবন্দরভিত্তিক আমদানি কার্যক্রম আরও গতিশীল ও আধুনিক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত