Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈরিতা: আইফোন ছেড়ে বৈদ্যুতিক গাড়িতে ঝুঁকছে ফক্সকন

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৩, ১৯: ৩৯
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈরিতা: আইফোন ছেড়ে বৈদ্যুতিক গাড়িতে ঝুঁকছে ফক্সকন

আইফোন নির্মাতা ফক্সকন নতুন করে ব্যবসা কৌশল সাজাচ্ছে। চীন থেকে ইলেকট্রনিকস পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। ব্যবসার ক্ষেত্র পরিবর্তন বড় ঝুঁকি হলেও ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের তিক্ত সম্পর্কের মধ্য তাইওয়ানভিত্তিক এই কোম্পানি আর কোনো পথ দেখছে না। 

১৯৭৪ সালে ফক্সকন বা হন হাই টেকনোলজি গ্রুপ নামে এই কোম্পানির যাত্রা শুরু করেছিল। শুরুতে টেলিভিশনের নব বা চাবি তৈরি করত। এখন এটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানি, যার বার্ষিক আয় ২০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার। আইফোন থেকে আইম্যাকস—পর্যন্ত অ্যাপলের অর্ধেকের বেশি পণ্য তৈরি করে ফক্সকন। এর বাইরে মাইক্রোসফট, সনি, ডেল এবং অ্যামাজনকের পণ্য সরবরাহ করে এটি। 

কয়েক দশক ধরে বহুজাতিক করপোরেশনগুলোর চাহিদামাফিক পণ্য সরবরাহ করে সুনাম কেড়েছে এই কোম্পানি। যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের নকশা করে চীনে তৈরির পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হতো। এভাবেই ছোট কারখানা থেকে আজকের দুনিয়ার টেক-জায়ান্টে পরিণত হয়েছে ফক্সকন। 

কিন্তু ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের কারণে ফক্সকনের কিছুটা জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে। সহজ কথায়, বিশ্বের বড় দুটি অর্থনীতির দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে বিপদেই আছে প্রতিষ্ঠানটি। 

বাণিজ্য থেকে শুরু করে ইউক্রেনের যুদ্ধ পর্যন্ত নানা বিষয়েই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিরোধ আছে। তবে সবচেয়ে বড় বিরোধের কেন্দ্র তাইওয়ান, যেখানে ফক্সকনের সদর দপ্তর। 

এমন প্রেক্ষাপটে কোম্পানির সামনে কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে—তা সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন ফক্সকনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ইয়াং লিউ। 

ইয়াং লিউ বলেন, চলমান উৎপাদন চীন থেকে সরিয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগের এই পরিকল্পনায় এক দশকের মধ্য কোম্পানির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক যেহেতু দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই সবচেয়ে বাজে পরিণতি মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফক্সকন।

৬৭ বছর বয়সী লিউ বলেন, ‘আমরা আশা করছি, দুই দেশের নেতারা যেই সিদ্ধান্ত নেবেন তা শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যই নেবেন। কিন্তু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে সবচেয়ে খারাপ পরিণতিই মাথায় রাখি।’ 

তাইওয়ানকে নিজের বলে দাবি করে আসছে চীন। পরিস্থিতি এখন যেমন, তাতে বেইজিং যেকোনো সময় স্বশাসিত দেশটিকে অবরুদ্ধ করে দিতে পারে অথবা সেখানে আগ্রাসনও চালাতে পারে। 

লিউ বলেন, ‘ব্যবসা নিরবচ্ছিন্ন রাখার পরিকল্পনা’ চলছে। এর মধ্যেই বেশ কিছু কারখানা চীন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তাসামগ্রী উৎপাদন মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

বিবিসি বলছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তাসামগ্রী’ বলতে সম্ভবত ফক্সকনের তৈরি সার্ভারকে বুঝিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টারের জন্য ব্যবহৃত এই পণ্যে ‘সংবেদনশীল তথ্য’ থাকতে পারে। 

দুই দেশের মাঝে বন্দিদশা
তাইওয়ান নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিন ধরে চললেও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ‘পুনরায় একত্রীকরণের’ ডাক নতুন করে বিবাদের আগুনে ঘি ঢালছে। দুই দেশের মধ্যে বারবার অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। উপরন্তু চীন তাইওয়ানে হস্তক্ষেপ করলে বা হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে দেবে না বলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরব আছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ ও কূটনৈতিক তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে বক্তব্যও দিয়েছেন। যদিও হোয়াইট হাউস তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জানিয়েছে, তারা তাইপে নয়, বেইজিংয়ের সঙ্গেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে। 

এই সপ্তাহ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চীন সফরের কথা রয়েছে। এই সফরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছেন অনেকেই। তবে সংঘাতের আশঙ্কাও রয়েছে। এক মার্কিন জেনারেলের ধারণা, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দুই দেশের মধ্য সামরিক সংঘাত হতে পারে। 

ওয়াশিংটন ডিসির উইলসন সেন্টারের এশিয়া প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর শিহোকো গোটো বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কৌশলগত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এখানে ফক্সকন উভয়ের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়, কিন্তু শেষমেশ বিজয়ী হবে একজনই।’ 

কিন্তু বিষয়টা ‘তত সরল’ বলে মনে করেন না লিউ। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নকশা করে চীনে পণ্য তৈরির যে মডেল ফক্সকন অনুসরণ করে, তার দিন শেষ হতে বহু দেরি। 
  
লিউ বলেন, ‘আমরা প্রচুর কর্মী নিয়োগ করি। চীনসহ বেশির ভাগ দেশ তাদের কর্মীদের স্বার্থরক্ষায় আগ্রহী। প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগের কারণে ফক্সকনের মতো কোম্পানিকে চীনের দরকার আছে।’

পশ্চিমারা বিভিন্ন দেশ ও কোম্পানিকে ব্যবসা ঝুঁকিমুক্ত করতে চীন থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আসছে। তবে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এখনো বাস্তবে রূপ নেয়নি।

লিউ বলেন, ‘চীন থেকে উৎপাদন সরাতে কিছু বিদেশি গ্রাহকের কাছ থেকে চাপ এসেছিল। তবে এটি তাদের সিদ্ধান্ত ছিল, ফক্সকনের নয়। ওই সব কোম্পানির ওপর সরকারের চাপ ছিল। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি, তাঁরা আমাদের জানাবে।’ 

কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ
ভূ-রাজনীতি বাদ দিলেও চীন থেকে ব্যবসা সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে  কোম্পানিগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় কারণ হবে কোভিড-১৯। ২০২২ সালের শেষ দিকে কঠোর কোভিড নীতি, কোয়ারেন্টাইনের জায়গার অভাব এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের কারণে ঝেংজুতে ফক্সকনের কারখানায় বিক্ষোভ ও দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। তখন বিশ্বে আইফোন যন্ত্রাংশ তৈরির বৃহত্তম কারখানা ছেড়ে যায় ফক্সকনের অনেক কর্মী। 

এ বিষয়ে লিউ বলেন, করোনাকালে বহির্বিশ্বে চীনের যেসব দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তা পেছনের সত্য অনেকেই জানেন না। মূলত বেইজিংয়ের কঠোর কোভিড নীতির কারণে যানবাহন শূন্য হয়ে পড়েছিল শহরগুলো।

তবে তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানে পরিস্থিতিকে অন্যভাবে মোকাবিলা করা উচিত ছিল স্বীকার করে বলেন, ‘যদি একই পরিস্থিতি আবার দেখা দেয়, আমি সম্পূর্ণভাবে উৎপাদন বন্ধ করে দেব। এমনকি অ্যাপলের মতো ক্লায়েন্টদের হারালেও এই সিদ্ধান্ত অটল থাকব।’

তবে কোম্পানির সাফল্য অবশ্যই তার নামীদামি গ্রাহকদের ওপরই নির্ভর করে। কিন্তু এখানে গ্রাহকরাই ফক্সকনের কাছে আসতে একরকম বাধ্য। বিষয়টি স্পষ্ট করে বললে, চীনে ৬০ শতাংশ আইফোন তৈরি করে ফক্সকন। পাশাপাশি চীনের কারখানাগুলো আইফোনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ক্যামেরা মডিউল, কানেকটর ও ফোনের ব্যাক পার্ট তৈরি করে থাকে। 

চাকার ওপর আইফোন
ফক্সকনের পরবর্তী বাজিমাত বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো দিয়ে হবে বলে লিউ আশা করছেন। বড় আইফোন আকৃতির বিশাল বোর্ডের দিকে ইঙ্গিত করে লিউ বলেন, ‘কার গাড়ি একটি বড় আইফোন। আমরা এর সঙ্গে খুব ভালোভাবে পরিচিত।’ 

বিশ্বজুড়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির চাহিদা মেটাতে চকচকে সাদা ইলেকট্রিক এসইউভি কার গাড়ি ইতিমধ্যে বানিয়েছে ফক্সকন। এ বিষয়ে লিউ বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ। এত দিন পৃথিবীতে শুধু গ্যাস বা ডিজেলচালিত গাড়ির ইঞ্জিন (এমভি) ছিল। কিন্তু আমরা বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) নিয়ে আসছি, যা অবশ্যই সাড়া ফেলবে।’ 

ফক্সকন আগামী কয়েক বছরে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিশ্ববাজারের প্রায় ৫ শতাংশ দখল করার আশা করছেন। একটি বড়সড় লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছেন তাঁরা। কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত মাত্র কয়েকটি মডেল তৈরি করেছে। কিন্তু লিউ আশাবাদী যে এটাই সফলতার শীর্ষে নিয়ে যাবে। 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির বিষয়ে লিউ বলেন, ‘এক জায়গায় ইভি (বৈদ্যুতিক গাড়ি) বানানোর কোনো মানে হয় না, গাড়ির জন্য আঞ্চলিক উৎপাদন খুবই স্বাভাবিক। ফক্সকন গাড়ির কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং সম্ভবত ভারতেও হবে।’ 

বিবিসি অবলম্বনে আব্দুল বাছেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইস্টার্ন ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইস্টার্ন ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।

আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।

এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।

বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।

এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।

ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।

বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন: এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

  • পাঁচ মাসেই ব্যয় কমেছে ৬ হাজার কোটি।
  • শুধু নভেম্বরে ব্যয় কমেছে ৪ হাজার কোটি।
  • সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট।
  • নির্বাচন ইস্যুতে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৪
আইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন: এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।

শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।

প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।

চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডলারের বিপরীতে রুপির আরও দরপতন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।

গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।  

আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।

ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৬
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।

পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’

১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।

পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত