জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সোয়া ১৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও আদায় হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ এসব অনাদায়ি ঋণের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা খেলাপির খাতায় চলে গেছে গত সেপ্টেম্বরে। এ ছাড়া পুনঃ তফসিলকৃত অনাদায়ি ঋণ রয়েছে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা। অবলোপনকৃত ঋণ আছে ৭৫ হাজার কোটি এবং অর্থঋণ ও উচ্চ আদালতে চলমান মামলায় আটকে আছে আড়াই লাখ কোটি টাকা।
অনাদায়ি এসব ঋণের সিংহভাগ বিতরণ করা হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে। এ সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট হয়। নামে-বেনামে বিপুল ঋণ নিয়ে তা আর ফেরত দেয়নি প্রভাবশালী একটি চক্র। শুধু তা-ই নয়, এ চক্রটি ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করেও প্রভাব খাটিয়ে ঋণ নিয়মিত দেখিয়েছে বছরের পর বছর। এতে বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন থেকে যায়।
কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ হতে শুরু করে। এতে হু হু করে বাড়তে থাকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। সেই ধারাবাহিকতায় গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকগুলো গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৬ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছে। আর ১১ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহকের কাছে খেলাপি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। যদিও ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্স শিটের বাইরে অদৃশ্য মন্দ ঋণ আছে ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। আর নামমাত্র এককালীন পরিশোধে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করে দেখানো রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা। ফলে দৃশ্যমান খেলাপি ও পুনঃতফসিলকৃত ঋণসহ মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো ও নাসা গ্রুপসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে ইচ্ছেমতো নীতিমালা তৈরি করাত। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, নীতি উপদেষ্টা, তাদের ছা-পোষা কর্মকর্তা, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বোর্ড চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে শাখা প্রধান পর্যন্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিশেষ যোগসাজশ করে ঋণ নিত। এসব ঋণ পরিশোধ না করে তা নিয়মিত দেখাত তারা। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমান গভর্নরের নির্দেশে খেলাপি ঋণের সঠিক হিসাব প্রকাশ পাচ্ছে। আর ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচারের তথ্যও পেয়েছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মতে, ব্যাংকের টাকা অর্থনীতিতে ‘জ্বালানির মতো’ কাজ করে। এই খাতের বড় অঙ্কের টাকা ব্যবস্থাপনার বাইরে চলে গেলে গোটা অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ২০০৯ সালের হাসিনার সরকার গঠনের সময় খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। তার পলায়নের আগে ২০২৪ সালের জুনে ঘোষিত খেলাপি ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি। সেই হিসাবে মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘ঋণখেলাপি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সবচেয়ে জটিল সমস্যা। এত দিন এটা লুকানো হতো, এখন প্রকাশ পাচ্ছে। আগের সরকারের অনেক প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতা দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের অনাদায়ি ঋণ ও লুকিয়ে রাখা খেলাপি প্রকাশ পাওয়া বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, আগে বিভিন্ন সময় ছলচাতুরী করে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হতো। আবার সহজে ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনের কারণেও খেলাপি ঋণ কম ছিল। এখন ঋণমানে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করায় খেলাপি বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত ডাউনপেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ চারবার ঋণ পুনঃতফসিল করা যায়। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালে নীতিমালায় বড় ধরনের ছাড় দেওয়া হয়। আগে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিতে হলেও গভর্নর আব্দুর রউফ তা কমিয়ে মাত্র ১ থেকে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আগের সরকারের সময় কিছু গ্রাহক আদালতের বিশেষ আদেশে খেলাপি ঋণকেও নিয়মিত দেখাত। এখন সেই সুযোগ নেই। আর ৫ আগস্টের পর কিছু কারখানা বন্ধ। কিছু গ্রাহক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সেই ঋণ খেলাপি হওয়ায় ব্যাপক হারে বাড়ছে খেলাপি। খেলাপি আদায়ে আইনিসহ সব পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণে ৯০ দিনের মেয়াদ পার হলে অনাদায়ি ঋণ খেলাপি করা হচ্ছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ বিবেচনায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন করতে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলো মাত্র ২ শতাংশ ডাউন-পেমেন্টে খেলাপি ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে বের করা অর্থ এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। কিন্তু যেসব ঋণ নবায়ন করা হয়, তার অধিকাংশ আদায় হচ্ছে না। এতে ঋণের সিংহভাগ মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনাদায়ি থেকে যাচ্ছে।

চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সোয়া ১৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও আদায় হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ এসব অনাদায়ি ঋণের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা খেলাপির খাতায় চলে গেছে গত সেপ্টেম্বরে। এ ছাড়া পুনঃ তফসিলকৃত অনাদায়ি ঋণ রয়েছে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা। অবলোপনকৃত ঋণ আছে ৭৫ হাজার কোটি এবং অর্থঋণ ও উচ্চ আদালতে চলমান মামলায় আটকে আছে আড়াই লাখ কোটি টাকা।
অনাদায়ি এসব ঋণের সিংহভাগ বিতরণ করা হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে। এ সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট হয়। নামে-বেনামে বিপুল ঋণ নিয়ে তা আর ফেরত দেয়নি প্রভাবশালী একটি চক্র। শুধু তা-ই নয়, এ চক্রটি ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করেও প্রভাব খাটিয়ে ঋণ নিয়মিত দেখিয়েছে বছরের পর বছর। এতে বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন থেকে যায়।
কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ হতে শুরু করে। এতে হু হু করে বাড়তে থাকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। সেই ধারাবাহিকতায় গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকগুলো গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৬ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছে। আর ১১ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহকের কাছে খেলাপি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। যদিও ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্স শিটের বাইরে অদৃশ্য মন্দ ঋণ আছে ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। আর নামমাত্র এককালীন পরিশোধে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করে দেখানো রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা। ফলে দৃশ্যমান খেলাপি ও পুনঃতফসিলকৃত ঋণসহ মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো ও নাসা গ্রুপসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে ইচ্ছেমতো নীতিমালা তৈরি করাত। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, নীতি উপদেষ্টা, তাদের ছা-পোষা কর্মকর্তা, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বোর্ড চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে শাখা প্রধান পর্যন্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিশেষ যোগসাজশ করে ঋণ নিত। এসব ঋণ পরিশোধ না করে তা নিয়মিত দেখাত তারা। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমান গভর্নরের নির্দেশে খেলাপি ঋণের সঠিক হিসাব প্রকাশ পাচ্ছে। আর ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচারের তথ্যও পেয়েছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মতে, ব্যাংকের টাকা অর্থনীতিতে ‘জ্বালানির মতো’ কাজ করে। এই খাতের বড় অঙ্কের টাকা ব্যবস্থাপনার বাইরে চলে গেলে গোটা অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ২০০৯ সালের হাসিনার সরকার গঠনের সময় খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। তার পলায়নের আগে ২০২৪ সালের জুনে ঘোষিত খেলাপি ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি। সেই হিসাবে মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘ঋণখেলাপি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সবচেয়ে জটিল সমস্যা। এত দিন এটা লুকানো হতো, এখন প্রকাশ পাচ্ছে। আগের সরকারের অনেক প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতা দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের অনাদায়ি ঋণ ও লুকিয়ে রাখা খেলাপি প্রকাশ পাওয়া বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, আগে বিভিন্ন সময় ছলচাতুরী করে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হতো। আবার সহজে ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনের কারণেও খেলাপি ঋণ কম ছিল। এখন ঋণমানে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করায় খেলাপি বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত ডাউনপেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ চারবার ঋণ পুনঃতফসিল করা যায়। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালে নীতিমালায় বড় ধরনের ছাড় দেওয়া হয়। আগে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিতে হলেও গভর্নর আব্দুর রউফ তা কমিয়ে মাত্র ১ থেকে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আগের সরকারের সময় কিছু গ্রাহক আদালতের বিশেষ আদেশে খেলাপি ঋণকেও নিয়মিত দেখাত। এখন সেই সুযোগ নেই। আর ৫ আগস্টের পর কিছু কারখানা বন্ধ। কিছু গ্রাহক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সেই ঋণ খেলাপি হওয়ায় ব্যাপক হারে বাড়ছে খেলাপি। খেলাপি আদায়ে আইনিসহ সব পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণে ৯০ দিনের মেয়াদ পার হলে অনাদায়ি ঋণ খেলাপি করা হচ্ছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ বিবেচনায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন করতে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলো মাত্র ২ শতাংশ ডাউন-পেমেন্টে খেলাপি ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে বের করা অর্থ এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। কিন্তু যেসব ঋণ নবায়ন করা হয়, তার অধিকাংশ আদায় হচ্ছে না। এতে ঋণের সিংহভাগ মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনাদায়ি থেকে যাচ্ছে।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সোয়া ১৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও আদায় হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ এসব অনাদায়ি ঋণের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা খেলাপির খাতায় চলে গেছে গত সেপ্টেম্বরে। এ ছাড়া পুনঃ তফসিলকৃত অনাদায়ি ঋণ রয়েছে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা। অবলোপনকৃত ঋণ আছে ৭৫ হাজার কোটি এবং অর্থঋণ ও উচ্চ আদালতে চলমান মামলায় আটকে আছে আড়াই লাখ কোটি টাকা।
অনাদায়ি এসব ঋণের সিংহভাগ বিতরণ করা হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে। এ সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট হয়। নামে-বেনামে বিপুল ঋণ নিয়ে তা আর ফেরত দেয়নি প্রভাবশালী একটি চক্র। শুধু তা-ই নয়, এ চক্রটি ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করেও প্রভাব খাটিয়ে ঋণ নিয়মিত দেখিয়েছে বছরের পর বছর। এতে বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন থেকে যায়।
কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ হতে শুরু করে। এতে হু হু করে বাড়তে থাকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। সেই ধারাবাহিকতায় গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকগুলো গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৬ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছে। আর ১১ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহকের কাছে খেলাপি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। যদিও ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্স শিটের বাইরে অদৃশ্য মন্দ ঋণ আছে ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। আর নামমাত্র এককালীন পরিশোধে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করে দেখানো রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা। ফলে দৃশ্যমান খেলাপি ও পুনঃতফসিলকৃত ঋণসহ মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো ও নাসা গ্রুপসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে ইচ্ছেমতো নীতিমালা তৈরি করাত। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, নীতি উপদেষ্টা, তাদের ছা-পোষা কর্মকর্তা, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বোর্ড চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে শাখা প্রধান পর্যন্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিশেষ যোগসাজশ করে ঋণ নিত। এসব ঋণ পরিশোধ না করে তা নিয়মিত দেখাত তারা। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমান গভর্নরের নির্দেশে খেলাপি ঋণের সঠিক হিসাব প্রকাশ পাচ্ছে। আর ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচারের তথ্যও পেয়েছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মতে, ব্যাংকের টাকা অর্থনীতিতে ‘জ্বালানির মতো’ কাজ করে। এই খাতের বড় অঙ্কের টাকা ব্যবস্থাপনার বাইরে চলে গেলে গোটা অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ২০০৯ সালের হাসিনার সরকার গঠনের সময় খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। তার পলায়নের আগে ২০২৪ সালের জুনে ঘোষিত খেলাপি ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি। সেই হিসাবে মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘ঋণখেলাপি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সবচেয়ে জটিল সমস্যা। এত দিন এটা লুকানো হতো, এখন প্রকাশ পাচ্ছে। আগের সরকারের অনেক প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতা দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের অনাদায়ি ঋণ ও লুকিয়ে রাখা খেলাপি প্রকাশ পাওয়া বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, আগে বিভিন্ন সময় ছলচাতুরী করে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হতো। আবার সহজে ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনের কারণেও খেলাপি ঋণ কম ছিল। এখন ঋণমানে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করায় খেলাপি বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত ডাউনপেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ চারবার ঋণ পুনঃতফসিল করা যায়। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালে নীতিমালায় বড় ধরনের ছাড় দেওয়া হয়। আগে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিতে হলেও গভর্নর আব্দুর রউফ তা কমিয়ে মাত্র ১ থেকে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আগের সরকারের সময় কিছু গ্রাহক আদালতের বিশেষ আদেশে খেলাপি ঋণকেও নিয়মিত দেখাত। এখন সেই সুযোগ নেই। আর ৫ আগস্টের পর কিছু কারখানা বন্ধ। কিছু গ্রাহক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সেই ঋণ খেলাপি হওয়ায় ব্যাপক হারে বাড়ছে খেলাপি। খেলাপি আদায়ে আইনিসহ সব পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণে ৯০ দিনের মেয়াদ পার হলে অনাদায়ি ঋণ খেলাপি করা হচ্ছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ বিবেচনায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন করতে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলো মাত্র ২ শতাংশ ডাউন-পেমেন্টে খেলাপি ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে বের করা অর্থ এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। কিন্তু যেসব ঋণ নবায়ন করা হয়, তার অধিকাংশ আদায় হচ্ছে না। এতে ঋণের সিংহভাগ মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনাদায়ি থেকে যাচ্ছে।

চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সোয়া ১৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও আদায় হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ এসব অনাদায়ি ঋণের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা খেলাপির খাতায় চলে গেছে গত সেপ্টেম্বরে। এ ছাড়া পুনঃ তফসিলকৃত অনাদায়ি ঋণ রয়েছে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা। অবলোপনকৃত ঋণ আছে ৭৫ হাজার কোটি এবং অর্থঋণ ও উচ্চ আদালতে চলমান মামলায় আটকে আছে আড়াই লাখ কোটি টাকা।
অনাদায়ি এসব ঋণের সিংহভাগ বিতরণ করা হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে। এ সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট হয়। নামে-বেনামে বিপুল ঋণ নিয়ে তা আর ফেরত দেয়নি প্রভাবশালী একটি চক্র। শুধু তা-ই নয়, এ চক্রটি ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করেও প্রভাব খাটিয়ে ঋণ নিয়মিত দেখিয়েছে বছরের পর বছর। এতে বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন থেকে যায়।
কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ হতে শুরু করে। এতে হু হু করে বাড়তে থাকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। সেই ধারাবাহিকতায় গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকগুলো গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৬ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছে। আর ১১ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহকের কাছে খেলাপি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। যদিও ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্স শিটের বাইরে অদৃশ্য মন্দ ঋণ আছে ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। আর নামমাত্র এককালীন পরিশোধে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করে দেখানো রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা। ফলে দৃশ্যমান খেলাপি ও পুনঃতফসিলকৃত ঋণসহ মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো ও নাসা গ্রুপসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে ইচ্ছেমতো নীতিমালা তৈরি করাত। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, নীতি উপদেষ্টা, তাদের ছা-পোষা কর্মকর্তা, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বোর্ড চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে শাখা প্রধান পর্যন্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিশেষ যোগসাজশ করে ঋণ নিত। এসব ঋণ পরিশোধ না করে তা নিয়মিত দেখাত তারা। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমান গভর্নরের নির্দেশে খেলাপি ঋণের সঠিক হিসাব প্রকাশ পাচ্ছে। আর ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচারের তথ্যও পেয়েছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মতে, ব্যাংকের টাকা অর্থনীতিতে ‘জ্বালানির মতো’ কাজ করে। এই খাতের বড় অঙ্কের টাকা ব্যবস্থাপনার বাইরে চলে গেলে গোটা অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ২০০৯ সালের হাসিনার সরকার গঠনের সময় খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। তার পলায়নের আগে ২০২৪ সালের জুনে ঘোষিত খেলাপি ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি। সেই হিসাবে মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘ঋণখেলাপি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সবচেয়ে জটিল সমস্যা। এত দিন এটা লুকানো হতো, এখন প্রকাশ পাচ্ছে। আগের সরকারের অনেক প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতা দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের অনাদায়ি ঋণ ও লুকিয়ে রাখা খেলাপি প্রকাশ পাওয়া বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, আগে বিভিন্ন সময় ছলচাতুরী করে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হতো। আবার সহজে ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনের কারণেও খেলাপি ঋণ কম ছিল। এখন ঋণমানে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করায় খেলাপি বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত ডাউনপেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ চারবার ঋণ পুনঃতফসিল করা যায়। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালে নীতিমালায় বড় ধরনের ছাড় দেওয়া হয়। আগে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিতে হলেও গভর্নর আব্দুর রউফ তা কমিয়ে মাত্র ১ থেকে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আগের সরকারের সময় কিছু গ্রাহক আদালতের বিশেষ আদেশে খেলাপি ঋণকেও নিয়মিত দেখাত। এখন সেই সুযোগ নেই। আর ৫ আগস্টের পর কিছু কারখানা বন্ধ। কিছু গ্রাহক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সেই ঋণ খেলাপি হওয়ায় ব্যাপক হারে বাড়ছে খেলাপি। খেলাপি আদায়ে আইনিসহ সব পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণে ৯০ দিনের মেয়াদ পার হলে অনাদায়ি ঋণ খেলাপি করা হচ্ছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ বিবেচনায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন করতে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলো মাত্র ২ শতাংশ ডাউন-পেমেন্টে খেলাপি ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে বের করা অর্থ এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। কিন্তু যেসব ঋণ নবায়ন করা হয়, তার অধিকাংশ আদায় হচ্ছে না। এতে ঋণের সিংহভাগ মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনাদায়ি থেকে যাচ্ছে।

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেআসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।
মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’
এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজারধস-সংক্রান্ত ২৭টি পুরোনো মামলাই কেবল এই আদালতের অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। বাস্তবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ট্রাইব্যুনাল ভবনটি এখন আর বিচারকক্ষ নয়; বরং অব্যবহৃত আসবাবের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে।
মূলত জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এই কাঠামোয় প্রকৃত শাস্তি আর দায় নির্ধারণের কার্যকর পথ প্রায় বন্ধই রয়ে গেছে। তদন্তে অপরাধ শনাক্ত হলেও মামলা করা হয় না, আর যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর বড় অংশ বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে। এর ফল দাঁড়িয়েছে স্পষ্ট—ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচার কার্যত অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন, আদালত ও কাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিচারিকপ্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকলে, দায়বদ্ধতা চিহ্নিত না হলে এবং শাস্তি না হলে বাজারে দায়হীনতা ও শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আরও উদ্বেগজনকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পুঁজিবাজারে বড় কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের নেতৃত্বে বিএসইসির এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, বাজারে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; কিন্তু বাস্তবে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ১৪টি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে রয়েছে, ৩টি স্থগিত। এ ছাড়া ২০১৫ সালের পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা চারটি মামলাও আজ পর্যন্ত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে পারেনি বিএসইসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএসসির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল একজন জেলা ও দায়রা জজসহ ছয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে চললেও বাস্তবে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে কোনো বিচারিক কার্যক্রম নেই। আসামিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষসহ পুরো বিচারিক আদালত এখন ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিলের গুদামঘরে পরিণত হয়েছে, ধুলাবালু ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে। আবার বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই জানেন না এমন একটি ট্রাইব্যুনাল আদৌ আছে। বাজারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসইসির যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আছে, সেটাই তো জানি না। এটা কী কাজ করে, সেটাও আমার জানা নেই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘এটার সর্বশেষ অবস্থা কী, সেটাই আমরা জানি না। এখনো কার্যক্রম আছে কি না, সেটাও অনিশ্চিত।’
এদিকে বিএসইসি জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অনিয়ম দমন করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি বছরেই সাড়ে তিন শর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেড় বছরে জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব জরিমানার বড় অংশ আদায় হচ্ছে না। আবার জরিমানা আরোপের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগও থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘মামলা ট্রান্সফার করে আনলেও সেগুলো আবার উচ্চ আদালতে চলে যাচ্ছে। দৃশ্যমান আর্থিক ক্ষতি চিহ্নিত করে জরিমানা করাই কি যথেষ্ট নয়?’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু জরিমানা দিয়ে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেত এবং অন্যরা অপরাধে নিরুৎসাহিত হতো।’
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা জরিমানা করে লাভ নেই। জরিমানা আদায়ই হচ্ছে না; বরং বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে।’

চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সোয়া ১৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও আদায় হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ এসব অনাদায়ি ঋণের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা খেলাপির খাতায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৫
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সোয়া ১৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও আদায় হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ এসব অনাদায়ি ঋণের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা খেলাপির খাতায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৫
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সোয়া ১৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও আদায় হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ এসব অনাদায়ি ঋণের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা খেলাপির খাতায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৫
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সোয়া ১৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও আদায় হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ এসব অনাদায়ি ঋণের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা খেলাপির খাতায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৫
দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অনিয়ম ও অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তা আজ এক দশক ধরে কার্যত নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধীনে থাকা এই স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে একটি নতুন মামলাও আসেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১৫ ঘণ্টা আগে