
বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বা মেগা প্রকল্পে চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় ঘনিয়ে আসায় বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এই চাপ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে চলমান দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ঋণে তৈরি বড় দুটি প্রকল্প কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা সেতুর রেল সংযোগে ঋণের কিস্তি বাংলাদেশকে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দেওয়া শুরু করতে হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে নেওয়া ১ হাজার ১৮৮ কোটি ডলারের ঋণ চলতি বছরের শুরু থেকেই পরিশোধ শুরু হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ঋণের কিস্তির কিছু অর্থ এসক্রো অ্যাকাউন্টে আটকে আছে। এসক্রো অ্যাকাউন্ট হলো দুই পক্ষের মধ্যে লেনদেন নিষ্পত্তিতে আইনিভাবে নিয়োজিত কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খোলা হিসাব।
২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর বাংলাদেশ যেসব ঋণ নিয়েছে সেগুলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন বা মান কমে যাওয়াও পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। এক্ষেত্রে এশিয়ায় সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে পড়া শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক স্বস্তিদায়ক হলেও রিজার্ভ নিয়ে টানাটানি কমছে না।
এই পরিস্থিতি যথাযথভাবে মোকাবিলা না করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কামাল মুজেরী। তিনি নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, ‘পরিস্থিতির যথাযথ ব্যবস্থাপনা না হলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি অস্থিতিশীল হতে পারে।’
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ হয়েছে ২৭৪ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারকে আরো ৩২৮ কোটি ডলারে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে ২০২৯-২০৩০ অর্থবছরে ৫১৫ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। ২০২১ সালের আগস্টে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। রিজার্ভ কমার কারণ হিসেবে ইউক্রেন সংকটের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়াকে কিছুটা দায়ী করা হয়।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কঠোর মানদণ্ড বিবেচনায় রিজার্ভের পরিমাণ কমে ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি নামতে পারে। রিজার্ভ বাড়াতে এবছরের শুরুর দিকে আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে। কিন্তু বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপে এই অর্থ খুব বেশি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে না বলে সংশ্লিষ্টদের মত।
ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, চীন, রাশিয়া ও ভারতের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। কারণ আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় তাদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় কম এবং সুদের হারও বেশি।
তাঁরা বলছেন, ২০১৫ সালের পর থেকে সুদের হারসহ নানা কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের ব্যয় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ওই বছর বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর থেকেই ঋণদাতারা সফট লোন বা স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তের ঋণসুবিধা বাদ দিয়েছে। এখন তারা ‘ব্লেন্ডেড লোন’ বা মিশ্র পদ্ধতির ঋণ দিচ্ছে, যেখানে সুদের হার মাঝারি হয়। ইআরডির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণত দ্বিপক্ষীয় ঋণগুলোর ক্ষেত্রে উচ্চ সুদহার এবং কঠোর শর্ত বেশি দেওয়া হয়।’
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের পর্যায়ে উত্তরণের পর বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই উচ্চ ব্যয়ের ঋণ বেড়ে গেছে। দেশের অর্থনীতিতে এর বড় প্রভাব পড়েছে।
মিজানুর রহমান বলেন, চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশের নেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড বা কিস্তি মওকুফকাল ও পরিশোধের মেয়াদ দুটোই কম। বিশ্বব্যাংকের অধিকাংশ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড থাকে ১০ বছর। অথচ রাশিয়া ও চীনের ঋণের গ্রেস পিরিয়ড এর অর্ধেক।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ পরিশোধে ৩০ থেকে ৪০ বছর সময় দেয়। বিপরীতে বিভিন্ন দেশ থেকে দ্বিপক্ষীয় ঋণ পরিশোধে সব মিলে গড়ে ১৫ বছর সময় পাওয়া যায়। সময়সীমা কমার কারণে আগের চেয়ে ঋণের কিস্তির আকার যথেষ্ট বড় হয়েছে।
কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের জন্য ৭০ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ নিতে ২০১৫ সালের জুনে চীনের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। পরে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের জন্য ২০১৮ সালের এপ্রিলে আরও ২৬৭ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি চুক্তি করে। ইআরডির তথ্য বলছে, চীন থেকে নেওয়া বাংলাদেশের মোট ঋণ এখন ১ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার।
এসব প্রকল্পের বহু আগে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চুক্তি হয়। কিন্তু এই প্রকল্পের কিস্তি এখনো বাকি। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়াকে ঋণ পরিশোধে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ তৃতীয় মুদ্রায় (চীনা ইউয়ানে) অর্থ পরিশোধ করতে চাইছে। এ জন্য গত ৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়ে চীনের পিপলস ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছে ইআরডি।
সব মিলে বাংলাদেশের ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ হাজার ৬৪৫ কোটি ডলারের বৈদেশিক ঋণ বেড়ে পরের অর্থবছরে ৮ হাজার ৫২৪ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। তবে এই ঋণ বাংলাদেশের জন্য খুব বেশি শঙ্কার নয় বলে মনে করেন অধ্যাপক মিজানুর রহমানের। তাঁর মতে, বাংলাদেশের জিডিপির তুলনায় বৈদেশিক ঋণ খুব বেশি নয়।
২০২২ সালের জুন নাগাদ দেশের বৈদেশিক ঋণ ছিল মোট জিডিপির মাত্র সাড়ে ২০ শতাংশ। দেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বিবেচনায় নিলে ঋণ পরিশোধের অঙ্কটা খুব বড় নয়। অধ্যাপক মিজানুর বলেন, ‘তবে যেহেতু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে, তাই আমাদের খুব বেশি সতর্ক হতে হবে।’
তবে বিপদের এখানেই শেষ নয়, আরও আছে সামনে। কারণ, ২০২৬ সাল থেকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে চলে যাবে। এর সহজ অর্থ, বিশ্ববাজারে প্রবেশে বাংলাদেশি পণ্য আগে যে ছাড় পেত, তা পাবে না। এর ফলে দেশের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই এই মুহূর্তে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
মোস্তফা কামাল মুজেরীর মতে, গত দশকে বাংলাদেশে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে ও অর্থনীতি ত্বরান্বিত হয়েছে। এর ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের চাহিদাও তৈরি হয়েছে। এই চাহিদাই সরকারকে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিতে উৎসাহিত করেছে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এবং ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক ঋণ বাড়ানোসহ নানা কারণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পগুলোর কাঙ্ক্ষিত সুফল ও বাস্তবতার মধ্যে সব সময় ফারাক থেকে গেছে। এ কারণে অনেক প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণ বোঝায় পরিণত হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশকে ঋণ ব্যবস্থাপনায় আরও দক্ষ ও সতর্ক হতে হবে।
মুজেরী আরও বলেন, ‘যখন থেকে আমরা একই সময়ে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছি, তখন থেকেই আমাদের ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে এবং এটি বাড়তেই থাকবে। তাই সামনের দিনে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি হিসেবি হতে হবে।’

বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বা মেগা প্রকল্পে চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় ঘনিয়ে আসায় বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এই চাপ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে চলমান দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ঋণে তৈরি বড় দুটি প্রকল্প কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা সেতুর রেল সংযোগে ঋণের কিস্তি বাংলাদেশকে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দেওয়া শুরু করতে হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে নেওয়া ১ হাজার ১৮৮ কোটি ডলারের ঋণ চলতি বছরের শুরু থেকেই পরিশোধ শুরু হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ঋণের কিস্তির কিছু অর্থ এসক্রো অ্যাকাউন্টে আটকে আছে। এসক্রো অ্যাকাউন্ট হলো দুই পক্ষের মধ্যে লেনদেন নিষ্পত্তিতে আইনিভাবে নিয়োজিত কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খোলা হিসাব।
২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর বাংলাদেশ যেসব ঋণ নিয়েছে সেগুলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন বা মান কমে যাওয়াও পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। এক্ষেত্রে এশিয়ায় সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে পড়া শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক স্বস্তিদায়ক হলেও রিজার্ভ নিয়ে টানাটানি কমছে না।
এই পরিস্থিতি যথাযথভাবে মোকাবিলা না করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কামাল মুজেরী। তিনি নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, ‘পরিস্থিতির যথাযথ ব্যবস্থাপনা না হলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি অস্থিতিশীল হতে পারে।’
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ হয়েছে ২৭৪ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারকে আরো ৩২৮ কোটি ডলারে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে ২০২৯-২০৩০ অর্থবছরে ৫১৫ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। ২০২১ সালের আগস্টে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। রিজার্ভ কমার কারণ হিসেবে ইউক্রেন সংকটের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়াকে কিছুটা দায়ী করা হয়।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কঠোর মানদণ্ড বিবেচনায় রিজার্ভের পরিমাণ কমে ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি নামতে পারে। রিজার্ভ বাড়াতে এবছরের শুরুর দিকে আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে। কিন্তু বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপে এই অর্থ খুব বেশি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে না বলে সংশ্লিষ্টদের মত।
ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, চীন, রাশিয়া ও ভারতের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। কারণ আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় তাদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় কম এবং সুদের হারও বেশি।
তাঁরা বলছেন, ২০১৫ সালের পর থেকে সুদের হারসহ নানা কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের ব্যয় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ওই বছর বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর থেকেই ঋণদাতারা সফট লোন বা স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তের ঋণসুবিধা বাদ দিয়েছে। এখন তারা ‘ব্লেন্ডেড লোন’ বা মিশ্র পদ্ধতির ঋণ দিচ্ছে, যেখানে সুদের হার মাঝারি হয়। ইআরডির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণত দ্বিপক্ষীয় ঋণগুলোর ক্ষেত্রে উচ্চ সুদহার এবং কঠোর শর্ত বেশি দেওয়া হয়।’
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের পর্যায়ে উত্তরণের পর বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই উচ্চ ব্যয়ের ঋণ বেড়ে গেছে। দেশের অর্থনীতিতে এর বড় প্রভাব পড়েছে।
মিজানুর রহমান বলেন, চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশের নেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড বা কিস্তি মওকুফকাল ও পরিশোধের মেয়াদ দুটোই কম। বিশ্বব্যাংকের অধিকাংশ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড থাকে ১০ বছর। অথচ রাশিয়া ও চীনের ঋণের গ্রেস পিরিয়ড এর অর্ধেক।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ পরিশোধে ৩০ থেকে ৪০ বছর সময় দেয়। বিপরীতে বিভিন্ন দেশ থেকে দ্বিপক্ষীয় ঋণ পরিশোধে সব মিলে গড়ে ১৫ বছর সময় পাওয়া যায়। সময়সীমা কমার কারণে আগের চেয়ে ঋণের কিস্তির আকার যথেষ্ট বড় হয়েছে।
কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের জন্য ৭০ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ নিতে ২০১৫ সালের জুনে চীনের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। পরে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের জন্য ২০১৮ সালের এপ্রিলে আরও ২৬৭ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি চুক্তি করে। ইআরডির তথ্য বলছে, চীন থেকে নেওয়া বাংলাদেশের মোট ঋণ এখন ১ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার।
এসব প্রকল্পের বহু আগে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চুক্তি হয়। কিন্তু এই প্রকল্পের কিস্তি এখনো বাকি। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়াকে ঋণ পরিশোধে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ তৃতীয় মুদ্রায় (চীনা ইউয়ানে) অর্থ পরিশোধ করতে চাইছে। এ জন্য গত ৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়ে চীনের পিপলস ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছে ইআরডি।
সব মিলে বাংলাদেশের ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ হাজার ৬৪৫ কোটি ডলারের বৈদেশিক ঋণ বেড়ে পরের অর্থবছরে ৮ হাজার ৫২৪ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। তবে এই ঋণ বাংলাদেশের জন্য খুব বেশি শঙ্কার নয় বলে মনে করেন অধ্যাপক মিজানুর রহমানের। তাঁর মতে, বাংলাদেশের জিডিপির তুলনায় বৈদেশিক ঋণ খুব বেশি নয়।
২০২২ সালের জুন নাগাদ দেশের বৈদেশিক ঋণ ছিল মোট জিডিপির মাত্র সাড়ে ২০ শতাংশ। দেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বিবেচনায় নিলে ঋণ পরিশোধের অঙ্কটা খুব বড় নয়। অধ্যাপক মিজানুর বলেন, ‘তবে যেহেতু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে, তাই আমাদের খুব বেশি সতর্ক হতে হবে।’
তবে বিপদের এখানেই শেষ নয়, আরও আছে সামনে। কারণ, ২০২৬ সাল থেকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে চলে যাবে। এর সহজ অর্থ, বিশ্ববাজারে প্রবেশে বাংলাদেশি পণ্য আগে যে ছাড় পেত, তা পাবে না। এর ফলে দেশের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই এই মুহূর্তে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
মোস্তফা কামাল মুজেরীর মতে, গত দশকে বাংলাদেশে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে ও অর্থনীতি ত্বরান্বিত হয়েছে। এর ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের চাহিদাও তৈরি হয়েছে। এই চাহিদাই সরকারকে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিতে উৎসাহিত করেছে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এবং ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক ঋণ বাড়ানোসহ নানা কারণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পগুলোর কাঙ্ক্ষিত সুফল ও বাস্তবতার মধ্যে সব সময় ফারাক থেকে গেছে। এ কারণে অনেক প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণ বোঝায় পরিণত হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশকে ঋণ ব্যবস্থাপনায় আরও দক্ষ ও সতর্ক হতে হবে।
মুজেরী আরও বলেন, ‘যখন থেকে আমরা একই সময়ে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছি, তখন থেকেই আমাদের ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে এবং এটি বাড়তেই থাকবে। তাই সামনের দিনে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি হিসেবি হতে হবে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
২০ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেখালেদা জিয়ার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বা মেগা প্রকল্পে চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় ঘনিয়ে আসায় বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এই চাপ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে চলমান দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।
২০ আগস্ট ২০২৩
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বা মেগা প্রকল্পে চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় ঘনিয়ে আসায় বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এই চাপ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে চলমান দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।
২০ আগস্ট ২০২৩
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
২০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বা মেগা প্রকল্পে চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় ঘনিয়ে আসায় বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এই চাপ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে চলমান দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।
২০ আগস্ট ২০২৩
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
২০ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বা মেগা প্রকল্পে চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় ঘনিয়ে আসায় বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এই চাপ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে চলমান দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।
২০ আগস্ট ২০২৩
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
২০ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে