
বিগত কয়েক বছরের অর্থনীতির হালচাল আমাদের যদি কিছু শিখিয়ে থাকে তবে সেটি হচ্ছে—আকস্মিকভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা। তবুও অর্থনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী তো থেমে থাকবে না। বর্তমান অর্থনীতি ও রাজনীতির সামগ্রিক বিষয়াবলি বিবেচনা সাপেক্ষে বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ই ২০২৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল প্রভাবক হবে।
আগামী ১২ মাসে অর্থনীতি, সুদের হার এবং বাজারে কোন বিষয়গুলো প্রভাব রাখবে ও হালচাল কেমন হতে পারে তা নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে একটি বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেটির একটি তর্জমা তুলে ধরা হলো:
রাজনৈতিক অস্থিরতা
মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বছরে প্রবেশের পথে ভূ–রাজনৈতিক সমস্যাগুলো আবার বিশ্ব বাজারকে ধাক্কা দিতে পারে।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে পরিবহন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। শিপিং কোম্পানিগুলো রুট পরিবর্তন করে উত্তমাশা অন্তরীপ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে এই অতিরিক্ত পরিবহন খরচের মুখে পড়ছে।
জেনারেলি ইনভেস্টমেন্টসের গবেষণা প্রধান ভিনসেন্ট চেগন্যু বলছেন, ২০২৪ সালের অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধির জন্য ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর সম্ভাবনা, মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নির্বাচনী সমর্থন আরও দুর্বল হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারণার সময় বেইজিং–ওয়াশিংটন উত্তেজনা বৃদ্ধি।
নেদারল্যান্ডসের বেসরকারি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান এবিএন আমরো ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, পতনের হার ২০২৪ সালের পরে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা, ইইউ–চীন বাণিজ্য বিরোধ এবং পশ্চিম ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দ্বিগুণ মাত্রায় পৌঁছে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যসহ (যদি ঋষি সুনাক ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় না থাকেন) বিশ্বব্যাপী জিডিপির ৬০ শতাংশের অংশীদার দেশগুলোতে এ বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সে হিসাবে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ তাদের সরকার নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে বিশ্ব বাজারের নজর থাকবে মূলত হোয়াইট হাউসে কে যাচ্ছেন সেটির দিকেই।
এজে বেল ইনভেস্টমেন্টের পরিচালক রাস মোল্ড গবেষণার ভিত্তিতে বলেছেন, মার্কিন পুঁজিবাজার বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছরে কাবু থাকে। কিন্তু ব্যাংক অব আমেরিকা বিপরীত যুক্তি দিয়ে বলে, নির্বাচনের বছরে সাধারণত মার্কিন এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচক ৭৫ শতাংশ বাড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা অ্যালিয়ানজ রিসার্চ সতর্ক করেছে, সামগ্রিকভাবে ২০২৪ সালে বিভিন্ন দেশের জাতীয় নির্বাচন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলবে...এই প্রসঙ্গে, সরকার, পরিবার এবং কোম্পানিগুলো মূল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত স্থগিত করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
ভোটার মতামত জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের আগামী সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি জয়লাভ করলেও অর্থবাজারে বড় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে আরবিসি ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, লেবার পার্টিকে এখন মধ্যপন্থী বলে মনে হচ্ছে এবং করপোরেট সেক্টরের সঙ্গে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে তারা বাড়িয়েছে।
শেয়ারবাজারে নব বিপ্লব?
গত বছরের নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে পুঁজিবাজারে শেয়ার এবং বন্ডের দাম কিছুটা ভালো থাকায় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ রক্ষা পেয়েছে। ২০২৩ সালে এস অ্যান্ড পি–৫০০ সূচক সর্বকালের সর্বোচ্চ— প্রায় ৪ হাজার ৭৭০ পয়েন্ট নিয়ে শেষ হয়। অনেক বিশ্লেষক আশা করছেন, ২০২৪ সালে এটি আরও বাড়বে।
ইয়ার্ডেনি রিসার্চের সভাপতি এডওয়ার্ড ইয়ার্ডেনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এ বছর সূচকটি ৫ হাজার ৪০০ পয়েন্টে শেষ হবে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ৬ হাজারে দাঁড়াবে।
ইয়ার্ডেনি যুক্তি দেন, বাজারগুলো ১০০ বছর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ের মতো নব বিপ্লব দেখতে পারে, যেখানে ভোক্তারা ব্যয়ের সুযোগের পাশাপাশি চাকরির নিরাপত্তাও উপভোগ করবে। কারণ মার্কিন করপোরেশনগুলোর নগদ টাকার প্রবাহ তৈরি করার দুর্দান্ত সক্ষমতা মার্কিন অর্থনীতিকে সমর্থন করে।
যাই হোক, ইউবিএস গ্লোবাল ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মার্ক হেফেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এস অ্যান্ড পি–৫০০ মোটামুটি যেখানে শুরু করেছে ২০২৪ সালে সেখানেই শেষ হবে। যদিও তিনি মার্কিন প্রযুক্তি খাতসহ মানসম্পন্ন শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগের বিশেষ সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের এফটিএসই ১০০ সূচক গত বছর অন্যান্য প্রধান সূচকগুলো থেকে পিছিয়ে ছিল। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ৪ শতাংশের কম বেড়ে ৭৭৩৩ পয়েন্টে পৌঁছেছে। যেখানে বিশ্বব্যাপী বাজারগুলোতে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে ব্লু–চিপ সূচক বড় ভিত্তি তৈরি করতে পারে। ইন্টারেকটিভ জানিয়েছে, বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের একটি ভোটাভুটিতে চারজনের মধ্যে একজন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এফটিএসই ১০০ এ বছর ৮ হাজার পয়েন্টে শেষ করবে।
প্যানমুর গর্ডনের প্রধান অর্থনীতিবিদ সাইমন ফ্রেঞ্চ বলছেন, আংশিকভাবে ব্রেক্সিট এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ধীরে চলো নীতির কারণে বিগত বছরে আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর প্রায় ১৯ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে
যুক্তরাজ্য এ বছর কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেকারত্বের হার বেড়ে এ বছর ৫ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হবে। যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতিও নিম্নগামী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মরগান স্ট্যানলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০২৪ সালে বাৎসরিক গড় মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হবে, যা গত বছরের নভেম্বরের ৩ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কম। এরপরও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশের চেয়ে এটি অনেক বেশি।
এদিকে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। জিডিপির তথ্য হালনাগাদের পর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে একটি ছোট সংকোচন দেখা গেছে। মরগান স্ট্যানলি পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৪ সালে কৌশলগত মন্দার কারণে কমপক্ষে দুটি ধারাবাহিক প্রান্তিকে সংকোচনের ভেতর দিয়ে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ০ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।
মরগান স্ট্যানলি গ্রাহকদের বলেছে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি একটি চ্যালেঞ্জিং নীতির সঙ্গে একটি ভঙ্গুর ভারসাম্যের মধ্যে দোদুল্যমান। এর থেকে মুক্তির কোনো সহজ পথ নেই, মূল্য চোকাতেই হবে। আমরা বছরের শুরুতে কৌশলগত মন্দা এবং ২০২৪ সালে একটি দুর্বল অর্থনীতির আভাস দেখতে পাচ্ছি।
অর্থনীতির দুর্বলতা এবং মূল্যবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ২০২৪ সালে সুদের হার বর্তমান ৫ দশমিক ২৫ থেকে কমিয়ে আনবে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশে নেমে যাবে বলে তাঁদের আশা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন কোনো পদক্ষেপ বিবেচনা করছে না।
পুনরায় বন্ধক রাখতে চাওয়া বাড়ির মালিকেরা এরই মধ্যে উন্নতির পূর্বাভাস পেয়ে বেশ স্বস্তিতে আছেন। যেখানে প্রধান ঋণদাতারা নির্দিষ্ট সুদ হারের চুক্তির খরচ কিছু ক্ষেত্রে ৪ শতাংশের কম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সুদ হার
বাজার সাধারণত ‘বেশি সময়ের জন্য বেশি সুদ হার’ তত্ত্বের বিরুদ্ধে বাজি ধরে। এই ধারণা বলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কিছু সময়ের জন্য ঋণ গ্রহণের খরচ সীমাবদ্ধ রাখবে। ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক উভয়ই ২০২৪ সালে বেশ কয়েকবার সুদের হার কমাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ বছরের শেষ নাগাদ সুদের হার ৩ দশমিক ৭৫ থেকে ৪ শতাংশে কমানোর পূর্বাভাস দিয়েছে, যা এখনকার ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ এর চেয়ে অনেক কম।
পেপার স্টোনের গবেষণা প্রধান ক্রিস ওয়েস্টন ব্যাখ্যা করে বলেন, মূল তত্ত্ব হলো, মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যের দিকে যেতে থাকলে, শ্রমবাজার যথেষ্ট প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং প্রবৃদ্ধি ধারণার চেয়ে কম হলে— সুদের হার অনেক কমানো উচিত।
গত শরতে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল ইউরো জোনের মূল্যস্ফীতি ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) লক্ষ্যমাত্রা— ২ শতাংশের কাছাকাছি এসেছে। ডিসেম্বরের শুরুতে ইসিবি বোর্ডের সদস্য ইসাবেল শ্নাবেল বলেছিলেন, মূল্যস্ফীতির এই ‘উল্লেখযোগ্য’ পতনের অর্থ, সুদের হার বৃদ্ধি এখন আলোচনার টেবিলের বাইরে।
স্থিতিশীল তবে মন্থর
অক্সফোর্ড ইকোনমিকস বিশ্বাস করে, বিশ্ব অর্থনীতি নিরাপদে বছর শেষ করবে কিন্তু ২০২৪ সালের প্রবৃদ্ধি ২০০৮ সালের মন্দা পরবর্তী সময়ের চেয়ে মন্থর হবে। উচ্চ সুদের হার এবং সরকারি ব্যয়ের চাপসহ নানা কারণে এটি মন্থর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মরগান স্ট্যানলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হবে, যা ২০২৩ সালের আনুমানিক ৩ শতাংশ থেকে কম। ২০২৪ সালে ইউরোপে তারা মাত্র ০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে ১ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি আশা করছে। বিশেষ করে জার্মানিতে জ্বালানি সরবরাহে বড় ব্যাঘাত এবং কঠোর মুদ্রানীতি অর্থনীতির বিলম্বিত প্রভাব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ঋণ স্ফীতি চক্রের ব্যাপারে বিশ্বের নেতিবাচক ধারণা সত্ত্বেও এ বছরে উদীয়মান বাজারগুলোতে চীনের প্রভাব বাড়বে। গত বছর চীনে আবাসন খাতে ব্যাপক খেলাপি হয়, যা অন্যান্য অর্থনীতিতেও ছড়িয়ে পড়ে।
ফরাসি অর্থনীতি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সোসিয়েতে জনারেলে বা সকজেন ২০২৪ সালের বিশ্ব অর্থনীতিকে ‘স্থিতিশীল কিন্তু মন্থর’ আখ্যায়িত করেছে। প্রতিবেদনের সঙ্গে তারা অলস প্রাণী ‘স্লথ’–এর ছবিও যুক্ত করেছে!
ডয়েচে ব্যাংকের কৌশলবিদ জিম রিড ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ২০২৪ সালে মন্দার সঙ্গে খুনসুটি করবে বিশ্ব অর্থনীতি এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ছয় মাসে একটি মৃদু মন্দার শিকার হবে। অর্থনীতি বছরে মাত্র ০ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়বে, যেখানে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে শুধু স্থবিরতার দ্বিতীয় বছরে ০ দশমিক ২ শতাংশ বাড়তে দেখা গেছে।
ডেলয়েটের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়ান স্টুয়ার্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের তীব্র মন্দার চেয়ে মূল্যস্ফীতি সংকটে পড়ার আশঙ্কাই বেশি।
স্টুয়ার্ট ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ‘যুদ্ধোত্তর বিশ্বের বিবেচনায় এটি স্মরণীয় ঘটনা হবে। আমরা প্রকৃতির বাইরে নই, (আগের অভিজ্ঞতা বলে) ব্যবসা এবং ভোক্তা চাহিদা উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও উচ্চ সুদহারের মুখেও স্থিতিশীল ছিল। যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিকল্পনা করতে পারে, তাহলে আমরা ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক চক্রে একটি নতুন উত্থান দেখতে পারব।’
দ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ অনুবাদ করেছেন আব্দুল বাছেদ

বিগত কয়েক বছরের অর্থনীতির হালচাল আমাদের যদি কিছু শিখিয়ে থাকে তবে সেটি হচ্ছে—আকস্মিকভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা। তবুও অর্থনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী তো থেমে থাকবে না। বর্তমান অর্থনীতি ও রাজনীতির সামগ্রিক বিষয়াবলি বিবেচনা সাপেক্ষে বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ই ২০২৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল প্রভাবক হবে।
আগামী ১২ মাসে অর্থনীতি, সুদের হার এবং বাজারে কোন বিষয়গুলো প্রভাব রাখবে ও হালচাল কেমন হতে পারে তা নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে একটি বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেটির একটি তর্জমা তুলে ধরা হলো:
রাজনৈতিক অস্থিরতা
মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বছরে প্রবেশের পথে ভূ–রাজনৈতিক সমস্যাগুলো আবার বিশ্ব বাজারকে ধাক্কা দিতে পারে।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে পরিবহন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। শিপিং কোম্পানিগুলো রুট পরিবর্তন করে উত্তমাশা অন্তরীপ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে এই অতিরিক্ত পরিবহন খরচের মুখে পড়ছে।
জেনারেলি ইনভেস্টমেন্টসের গবেষণা প্রধান ভিনসেন্ট চেগন্যু বলছেন, ২০২৪ সালের অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধির জন্য ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর সম্ভাবনা, মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নির্বাচনী সমর্থন আরও দুর্বল হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারণার সময় বেইজিং–ওয়াশিংটন উত্তেজনা বৃদ্ধি।
নেদারল্যান্ডসের বেসরকারি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান এবিএন আমরো ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, পতনের হার ২০২৪ সালের পরে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা, ইইউ–চীন বাণিজ্য বিরোধ এবং পশ্চিম ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দ্বিগুণ মাত্রায় পৌঁছে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যসহ (যদি ঋষি সুনাক ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় না থাকেন) বিশ্বব্যাপী জিডিপির ৬০ শতাংশের অংশীদার দেশগুলোতে এ বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সে হিসাবে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ তাদের সরকার নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে বিশ্ব বাজারের নজর থাকবে মূলত হোয়াইট হাউসে কে যাচ্ছেন সেটির দিকেই।
এজে বেল ইনভেস্টমেন্টের পরিচালক রাস মোল্ড গবেষণার ভিত্তিতে বলেছেন, মার্কিন পুঁজিবাজার বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছরে কাবু থাকে। কিন্তু ব্যাংক অব আমেরিকা বিপরীত যুক্তি দিয়ে বলে, নির্বাচনের বছরে সাধারণত মার্কিন এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচক ৭৫ শতাংশ বাড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা অ্যালিয়ানজ রিসার্চ সতর্ক করেছে, সামগ্রিকভাবে ২০২৪ সালে বিভিন্ন দেশের জাতীয় নির্বাচন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলবে...এই প্রসঙ্গে, সরকার, পরিবার এবং কোম্পানিগুলো মূল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত স্থগিত করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
ভোটার মতামত জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের আগামী সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি জয়লাভ করলেও অর্থবাজারে বড় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে আরবিসি ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, লেবার পার্টিকে এখন মধ্যপন্থী বলে মনে হচ্ছে এবং করপোরেট সেক্টরের সঙ্গে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে তারা বাড়িয়েছে।
শেয়ারবাজারে নব বিপ্লব?
গত বছরের নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে পুঁজিবাজারে শেয়ার এবং বন্ডের দাম কিছুটা ভালো থাকায় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ রক্ষা পেয়েছে। ২০২৩ সালে এস অ্যান্ড পি–৫০০ সূচক সর্বকালের সর্বোচ্চ— প্রায় ৪ হাজার ৭৭০ পয়েন্ট নিয়ে শেষ হয়। অনেক বিশ্লেষক আশা করছেন, ২০২৪ সালে এটি আরও বাড়বে।
ইয়ার্ডেনি রিসার্চের সভাপতি এডওয়ার্ড ইয়ার্ডেনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এ বছর সূচকটি ৫ হাজার ৪০০ পয়েন্টে শেষ হবে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ৬ হাজারে দাঁড়াবে।
ইয়ার্ডেনি যুক্তি দেন, বাজারগুলো ১০০ বছর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ের মতো নব বিপ্লব দেখতে পারে, যেখানে ভোক্তারা ব্যয়ের সুযোগের পাশাপাশি চাকরির নিরাপত্তাও উপভোগ করবে। কারণ মার্কিন করপোরেশনগুলোর নগদ টাকার প্রবাহ তৈরি করার দুর্দান্ত সক্ষমতা মার্কিন অর্থনীতিকে সমর্থন করে।
যাই হোক, ইউবিএস গ্লোবাল ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মার্ক হেফেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এস অ্যান্ড পি–৫০০ মোটামুটি যেখানে শুরু করেছে ২০২৪ সালে সেখানেই শেষ হবে। যদিও তিনি মার্কিন প্রযুক্তি খাতসহ মানসম্পন্ন শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগের বিশেষ সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের এফটিএসই ১০০ সূচক গত বছর অন্যান্য প্রধান সূচকগুলো থেকে পিছিয়ে ছিল। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ৪ শতাংশের কম বেড়ে ৭৭৩৩ পয়েন্টে পৌঁছেছে। যেখানে বিশ্বব্যাপী বাজারগুলোতে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে ব্লু–চিপ সূচক বড় ভিত্তি তৈরি করতে পারে। ইন্টারেকটিভ জানিয়েছে, বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের একটি ভোটাভুটিতে চারজনের মধ্যে একজন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এফটিএসই ১০০ এ বছর ৮ হাজার পয়েন্টে শেষ করবে।
প্যানমুর গর্ডনের প্রধান অর্থনীতিবিদ সাইমন ফ্রেঞ্চ বলছেন, আংশিকভাবে ব্রেক্সিট এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ধীরে চলো নীতির কারণে বিগত বছরে আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর প্রায় ১৯ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে
যুক্তরাজ্য এ বছর কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেকারত্বের হার বেড়ে এ বছর ৫ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হবে। যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতিও নিম্নগামী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মরগান স্ট্যানলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০২৪ সালে বাৎসরিক গড় মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হবে, যা গত বছরের নভেম্বরের ৩ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কম। এরপরও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশের চেয়ে এটি অনেক বেশি।
এদিকে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। জিডিপির তথ্য হালনাগাদের পর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে একটি ছোট সংকোচন দেখা গেছে। মরগান স্ট্যানলি পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৪ সালে কৌশলগত মন্দার কারণে কমপক্ষে দুটি ধারাবাহিক প্রান্তিকে সংকোচনের ভেতর দিয়ে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ০ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।
মরগান স্ট্যানলি গ্রাহকদের বলেছে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি একটি চ্যালেঞ্জিং নীতির সঙ্গে একটি ভঙ্গুর ভারসাম্যের মধ্যে দোদুল্যমান। এর থেকে মুক্তির কোনো সহজ পথ নেই, মূল্য চোকাতেই হবে। আমরা বছরের শুরুতে কৌশলগত মন্দা এবং ২০২৪ সালে একটি দুর্বল অর্থনীতির আভাস দেখতে পাচ্ছি।
অর্থনীতির দুর্বলতা এবং মূল্যবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ২০২৪ সালে সুদের হার বর্তমান ৫ দশমিক ২৫ থেকে কমিয়ে আনবে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশে নেমে যাবে বলে তাঁদের আশা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন কোনো পদক্ষেপ বিবেচনা করছে না।
পুনরায় বন্ধক রাখতে চাওয়া বাড়ির মালিকেরা এরই মধ্যে উন্নতির পূর্বাভাস পেয়ে বেশ স্বস্তিতে আছেন। যেখানে প্রধান ঋণদাতারা নির্দিষ্ট সুদ হারের চুক্তির খরচ কিছু ক্ষেত্রে ৪ শতাংশের কম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সুদ হার
বাজার সাধারণত ‘বেশি সময়ের জন্য বেশি সুদ হার’ তত্ত্বের বিরুদ্ধে বাজি ধরে। এই ধারণা বলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কিছু সময়ের জন্য ঋণ গ্রহণের খরচ সীমাবদ্ধ রাখবে। ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক উভয়ই ২০২৪ সালে বেশ কয়েকবার সুদের হার কমাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ বছরের শেষ নাগাদ সুদের হার ৩ দশমিক ৭৫ থেকে ৪ শতাংশে কমানোর পূর্বাভাস দিয়েছে, যা এখনকার ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ এর চেয়ে অনেক কম।
পেপার স্টোনের গবেষণা প্রধান ক্রিস ওয়েস্টন ব্যাখ্যা করে বলেন, মূল তত্ত্ব হলো, মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যের দিকে যেতে থাকলে, শ্রমবাজার যথেষ্ট প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং প্রবৃদ্ধি ধারণার চেয়ে কম হলে— সুদের হার অনেক কমানো উচিত।
গত শরতে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল ইউরো জোনের মূল্যস্ফীতি ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) লক্ষ্যমাত্রা— ২ শতাংশের কাছাকাছি এসেছে। ডিসেম্বরের শুরুতে ইসিবি বোর্ডের সদস্য ইসাবেল শ্নাবেল বলেছিলেন, মূল্যস্ফীতির এই ‘উল্লেখযোগ্য’ পতনের অর্থ, সুদের হার বৃদ্ধি এখন আলোচনার টেবিলের বাইরে।
স্থিতিশীল তবে মন্থর
অক্সফোর্ড ইকোনমিকস বিশ্বাস করে, বিশ্ব অর্থনীতি নিরাপদে বছর শেষ করবে কিন্তু ২০২৪ সালের প্রবৃদ্ধি ২০০৮ সালের মন্দা পরবর্তী সময়ের চেয়ে মন্থর হবে। উচ্চ সুদের হার এবং সরকারি ব্যয়ের চাপসহ নানা কারণে এটি মন্থর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মরগান স্ট্যানলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হবে, যা ২০২৩ সালের আনুমানিক ৩ শতাংশ থেকে কম। ২০২৪ সালে ইউরোপে তারা মাত্র ০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে ১ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি আশা করছে। বিশেষ করে জার্মানিতে জ্বালানি সরবরাহে বড় ব্যাঘাত এবং কঠোর মুদ্রানীতি অর্থনীতির বিলম্বিত প্রভাব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ঋণ স্ফীতি চক্রের ব্যাপারে বিশ্বের নেতিবাচক ধারণা সত্ত্বেও এ বছরে উদীয়মান বাজারগুলোতে চীনের প্রভাব বাড়বে। গত বছর চীনে আবাসন খাতে ব্যাপক খেলাপি হয়, যা অন্যান্য অর্থনীতিতেও ছড়িয়ে পড়ে।
ফরাসি অর্থনীতি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সোসিয়েতে জনারেলে বা সকজেন ২০২৪ সালের বিশ্ব অর্থনীতিকে ‘স্থিতিশীল কিন্তু মন্থর’ আখ্যায়িত করেছে। প্রতিবেদনের সঙ্গে তারা অলস প্রাণী ‘স্লথ’–এর ছবিও যুক্ত করেছে!
ডয়েচে ব্যাংকের কৌশলবিদ জিম রিড ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ২০২৪ সালে মন্দার সঙ্গে খুনসুটি করবে বিশ্ব অর্থনীতি এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ছয় মাসে একটি মৃদু মন্দার শিকার হবে। অর্থনীতি বছরে মাত্র ০ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়বে, যেখানে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে শুধু স্থবিরতার দ্বিতীয় বছরে ০ দশমিক ২ শতাংশ বাড়তে দেখা গেছে।
ডেলয়েটের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়ান স্টুয়ার্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের তীব্র মন্দার চেয়ে মূল্যস্ফীতি সংকটে পড়ার আশঙ্কাই বেশি।
স্টুয়ার্ট ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ‘যুদ্ধোত্তর বিশ্বের বিবেচনায় এটি স্মরণীয় ঘটনা হবে। আমরা প্রকৃতির বাইরে নই, (আগের অভিজ্ঞতা বলে) ব্যবসা এবং ভোক্তা চাহিদা উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও উচ্চ সুদহারের মুখেও স্থিতিশীল ছিল। যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিকল্পনা করতে পারে, তাহলে আমরা ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক চক্রে একটি নতুন উত্থান দেখতে পারব।’
দ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ অনুবাদ করেছেন আব্দুল বাছেদ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

বিগত কয়েক বছরের অর্থনীতির হালচাল আমাদের যদি কিছু শিখিয়ে থাকে তবে সেটি হচ্ছে—আকস্মিকভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা। তবুও অর্থনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী তো থেমে থাকবে না।
১২ জানুয়ারি ২০২৪
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

বিগত কয়েক বছরের অর্থনীতির হালচাল আমাদের যদি কিছু শিখিয়ে থাকে তবে সেটি হচ্ছে—আকস্মিকভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা। তবুও অর্থনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী তো থেমে থাকবে না।
১২ জানুয়ারি ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

বিগত কয়েক বছরের অর্থনীতির হালচাল আমাদের যদি কিছু শিখিয়ে থাকে তবে সেটি হচ্ছে—আকস্মিকভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা। তবুও অর্থনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী তো থেমে থাকবে না।
১২ জানুয়ারি ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

বিগত কয়েক বছরের অর্থনীতির হালচাল আমাদের যদি কিছু শিখিয়ে থাকে তবে সেটি হচ্ছে—আকস্মিকভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা। তবুও অর্থনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী তো থেমে থাকবে না।
১২ জানুয়ারি ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে