রোকন উদ্দীন, ঢাকা

দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকা অপরিহার্য। তবে বাস্তবতা হলো, এই মজুত প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেকটাই কম। সরকারি গুদামে যদি সাড়ে ১২ লাখ টন চাল মজুত থাকে, তাহলে দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী তা দিয়ে ১৫ দিনের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে এর মাধ্যমে আপৎকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও দীর্ঘ মেয়াদে মজুত বাড়ানো না গেলে দেশ খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ ধান-চালের সরবরাহ নিয়ে চলছে বিশৃঙ্খলা। একদিকে কৃষক ও মিলারদের অনীহা, অন্যদিকে বাজারে চালের ঊর্ধ্বমুখী দাম এবং আমন মৌসুমে উৎপাদনে ঘাটতি—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারের জন্য সরকার ১০ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে ৫ লাখ ৮৭ হাজার টন বেসরকারি এবং বাকি অংশ সরকারি পর্যায়ে আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেখানেও চলছে ঢিমেতাল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশের খাদ্যভান্ডারে বর্তমানে মোট খাদ্য মজুত রয়েছে ১১ লাখ ৭৮ হাজার টন। এর মধ্যে চালের মজুত ৭ লাখ ৫৬ হাজার টন এবং বাকি ৪ লাখ ২০ হাজার টন গম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশীয় উৎপাদন দিয়েই চালের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছিল, ফলে আমদানির প্রয়োজন হয়নি। তবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্যার কারণে আমন উৎপাদনে ঘাটতি এবং বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অনুমতি পাওয়া চালের মধ্যে ৪ লাখ ২৫ হাজার টন সেদ্ধ চাল এবং ১ লাখ ৬২ হাজার টন আতপ চাল। তবে ডলার-সংকট এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে বেসরকারি খাতে আমদানি সন্তোষজনক হয়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭২ হাজার ৪৬০ টন চাল আমদানি সম্ভব হয়েছে। সরকারি পর্যায়ে এত দিন এখনো কোনো চাল আমদানি হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ভারত থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি হওয়া ২৪ হাজার ৬৯০ টন সেদ্ধ চাল চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে এবং ওই চাল খালাস শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকেও চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান। সেটি হয়ে গেলে সরকারের মোট আমদানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। আর বেসরকারি আমদানি উদ্যোগ তো চলতেই থাকবে।
এই প্রেক্ষাপটে এটিই হলো সরকারি আমদানির প্রথম চালান। যদিও সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানির লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
যদিও কৃষি অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, সরকারি গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সাধারণত পূরণ হয় না। বোরো মৌসুম প্রধান সংগ্রহকাল হলেও আমন মৌসুমেও প্রয়োজনীয় সংগ্রহ হওয়া উচিত। তবে বাজারে ধানের বেশি দামের কারণে কৃষক সরকার-নির্ধারিত দামে ধান দিতে আগ্রহী নন এবং মিলাররা লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে চাল সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাই সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক।
জানা গেছে, দেশের খাদ্যভান্ডারের চাল স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ধান থেকে সংগ্রহ করা হয়, যা বিভিন্ন খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি এবং স্বল্পমূল্যে বিতরণের জন্য ব্যবহার হয়। চলতি মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে প্রায় এক মাস আগে। এতে ১০ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এর মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান ও সাড়ে ৫ লাখ টন চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল। তবে এই লক্ষ্য অর্জনের গতি খুব ধীর। অনেক জেলায় এখনো ১ থেকে ২ শতাংশ ধান-চাল সংগ্রহ হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত ধান ৪ হাজার ৭১২ টন, সেদ্ধ চাল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫২ টন এবং আতপ চাল ২১ হাজার ৫২৪ টন সংগ্রহ হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৭৮ লাখ টন নির্ধারণ করেছিল। তবে বন্যার কারণে ১০ লাখ টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘাটতি পূরণে আমদানি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের এই আমদানির উদ্যোগ ইতিবাচক। তবে দীর্ঘ মেয়াদে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশীয় উৎপাদন ও সংগ্রহের ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করা প্রয়োজন। স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকা অপরিহার্য। তবে বাস্তবতা হলো, এই মজুত প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেকটাই কম। সরকারি গুদামে যদি সাড়ে ১২ লাখ টন চাল মজুত থাকে, তাহলে দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী তা দিয়ে ১৫ দিনের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে এর মাধ্যমে আপৎকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও দীর্ঘ মেয়াদে মজুত বাড়ানো না গেলে দেশ খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ ধান-চালের সরবরাহ নিয়ে চলছে বিশৃঙ্খলা। একদিকে কৃষক ও মিলারদের অনীহা, অন্যদিকে বাজারে চালের ঊর্ধ্বমুখী দাম এবং আমন মৌসুমে উৎপাদনে ঘাটতি—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারের জন্য সরকার ১০ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে ৫ লাখ ৮৭ হাজার টন বেসরকারি এবং বাকি অংশ সরকারি পর্যায়ে আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেখানেও চলছে ঢিমেতাল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশের খাদ্যভান্ডারে বর্তমানে মোট খাদ্য মজুত রয়েছে ১১ লাখ ৭৮ হাজার টন। এর মধ্যে চালের মজুত ৭ লাখ ৫৬ হাজার টন এবং বাকি ৪ লাখ ২০ হাজার টন গম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশীয় উৎপাদন দিয়েই চালের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছিল, ফলে আমদানির প্রয়োজন হয়নি। তবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্যার কারণে আমন উৎপাদনে ঘাটতি এবং বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অনুমতি পাওয়া চালের মধ্যে ৪ লাখ ২৫ হাজার টন সেদ্ধ চাল এবং ১ লাখ ৬২ হাজার টন আতপ চাল। তবে ডলার-সংকট এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে বেসরকারি খাতে আমদানি সন্তোষজনক হয়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭২ হাজার ৪৬০ টন চাল আমদানি সম্ভব হয়েছে। সরকারি পর্যায়ে এত দিন এখনো কোনো চাল আমদানি হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ভারত থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি হওয়া ২৪ হাজার ৬৯০ টন সেদ্ধ চাল চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে এবং ওই চাল খালাস শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকেও চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান। সেটি হয়ে গেলে সরকারের মোট আমদানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। আর বেসরকারি আমদানি উদ্যোগ তো চলতেই থাকবে।
এই প্রেক্ষাপটে এটিই হলো সরকারি আমদানির প্রথম চালান। যদিও সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানির লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
যদিও কৃষি অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, সরকারি গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সাধারণত পূরণ হয় না। বোরো মৌসুম প্রধান সংগ্রহকাল হলেও আমন মৌসুমেও প্রয়োজনীয় সংগ্রহ হওয়া উচিত। তবে বাজারে ধানের বেশি দামের কারণে কৃষক সরকার-নির্ধারিত দামে ধান দিতে আগ্রহী নন এবং মিলাররা লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে চাল সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাই সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক।
জানা গেছে, দেশের খাদ্যভান্ডারের চাল স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ধান থেকে সংগ্রহ করা হয়, যা বিভিন্ন খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি এবং স্বল্পমূল্যে বিতরণের জন্য ব্যবহার হয়। চলতি মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে প্রায় এক মাস আগে। এতে ১০ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এর মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান ও সাড়ে ৫ লাখ টন চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল। তবে এই লক্ষ্য অর্জনের গতি খুব ধীর। অনেক জেলায় এখনো ১ থেকে ২ শতাংশ ধান-চাল সংগ্রহ হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত ধান ৪ হাজার ৭১২ টন, সেদ্ধ চাল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫২ টন এবং আতপ চাল ২১ হাজার ৫২৪ টন সংগ্রহ হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৭৮ লাখ টন নির্ধারণ করেছিল। তবে বন্যার কারণে ১০ লাখ টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘাটতি পূরণে আমদানি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের এই আমদানির উদ্যোগ ইতিবাচক। তবে দীর্ঘ মেয়াদে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশীয় উৎপাদন ও সংগ্রহের ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করা প্রয়োজন। স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১ দিন আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেখালেদা জিয়ার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকা অপরিহার্য। তবে বাস্তবতা হলো, এই মজুত প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেকটাই কম। সরকারি গুদামে যদি সাড়ে ১২ লাখ টন চাল মজুত থাকে, তাহলে দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী তা দিয়ে ১৫ দিনের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে এর মাধ্যমে আপৎকালীন নিরাপত্তা নিশ
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকা অপরিহার্য। তবে বাস্তবতা হলো, এই মজুত প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেকটাই কম। সরকারি গুদামে যদি সাড়ে ১২ লাখ টন চাল মজুত থাকে, তাহলে দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী তা দিয়ে ১৫ দিনের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে এর মাধ্যমে আপৎকালীন নিরাপত্তা নিশ
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকা অপরিহার্য। তবে বাস্তবতা হলো, এই মজুত প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেকটাই কম। সরকারি গুদামে যদি সাড়ে ১২ লাখ টন চাল মজুত থাকে, তাহলে দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী তা দিয়ে ১৫ দিনের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে এর মাধ্যমে আপৎকালীন নিরাপত্তা নিশ
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১ দিন আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকা অপরিহার্য। তবে বাস্তবতা হলো, এই মজুত প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেকটাই কম। সরকারি গুদামে যদি সাড়ে ১২ লাখ টন চাল মজুত থাকে, তাহলে দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী তা দিয়ে ১৫ দিনের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে এর মাধ্যমে আপৎকালীন নিরাপত্তা নিশ
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১ দিন আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে