
কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ প্রায় নিশ্চিতভাবেই একটি বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে কানাডার লড়াই যেভাবে এগিয়ে যেতে পারে—
১. মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক
মার্কিন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানির ১৭ শতাংশ যায় কানাডায়, অন্যদিকে কানাডার ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে যায়। এ অবস্থায় ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কানাডার অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাংশ এবং স্টিলের ওপর ২৫ শতাংশের শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কানাডা বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিল। ফ্লোরিডার কমলার রস, টেনেসি ও কেনটাকির হুইস্কি ও বোরবনের ওপর শুল্ক বসানো হয়েছিল। অবশ্য এক বছর পর এই শুল্ক লড়াইয়ে ইতি টানে দুই দেশ।
কানাডার শীর্ষ কর্মকর্তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প আবারও শুল্ক আরোপ করলে, কানাডার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে সম্ভবত আবারও নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবে।
তবে মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রভাষক এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে কানাডার দূতাবাসের সাবেক ফিন্যান্স কাউন্সেলর জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, ‘গতবারের মতো একই প্রভাব এবার পড়বে না।’
২. ‘ডলার-ফর-ডলার’ শুল্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম শুল্ক যুদ্ধে ডলার-ফর-ডলার শুল্ক কৌশল ব্যবহার করেছিল কানাডা। দেশটি মার্কিন অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করেছিল এবং নিশ্চিত করেছিল, যে পরিমাণ মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো হবে, তার মোট আর্থিক মূল্য যুক্তরাষ্ট্রের কানাডার রপ্তানির ওপর বসানো শুল্কের সমান হবে। সেই সময় এটির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৬ বিলিয়ন কানাডীয় ডলার।
এবার, ডলার-ফর-ডলার শুল্ক ব্যবহারের সম্ভাবনা আরও বড় পরিসরে হতে পারে। কানাডা এরই মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য মার্কিন পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে ‘যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র কানাডার ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে’। এই তালিকায় কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে দাঁতের ফ্লস ও লাগেজের মতো ভোগ্যপণ্যও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এটি আরও ১১০ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারের অতিরিক্ত পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির দিকে যেতে পারে। তবে, ট্রাম্প যত বেশি ব্যাপকভাবে শুল্ক আরোপ করবেন, কানাডাও তত বেশি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসাতে পারে।
অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, মার্কিন শুল্কের ফলে কানাডা মন্দার মুখে পড়তে পারে। যদি কানাডা ডলার-ফর-ডলার শুল্কের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে এটি মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি করতে পারে। শেষ পর্যন্ত ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ বা নিশ্চলতা-স্ফীতিতে পরিণত হতে পারে, যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বেকারত্বও বেড়ে যায়।
৩. জ্বালানির ‘পারমাণবিক’ বিকল্প
কানাডার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদের একটি হলো জ্বালানি। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির ৬০ শতাংশ কানাডা থেকে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো, বিশেষ করে, ভারমন্ট ও নিউইয়র্ক প্রতিবেশী কানাডীয় প্রদেশগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও ম্যানিটোবা রাজ্যগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ও মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩০টি রাজ্য কিছু পরিমাণ বিদ্যুৎ কানাডা থেকে পায়। এছাড়াও, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী দেশ।
অন্টারিওর প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড প্রস্তাব দিয়েছেন, কানাডা যদি মার্কিন জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে এটি মার্কিনিদের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে জ্বালানির দাম বাড়লে তা সরাসরি পাম্পের দামে প্রভাব ফেলবে।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, ‘একমাত্র জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিনিদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারে জ্বালানির দাম দ্রুত কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’
৪. মার্কিন মদ প্রত্যাহার
অন্টারিওর প্রধানমন্ত্রী ফোর্ড বলেন, বিভিন্ন প্রদেশের প্রধানমন্ত্রীরা যদি রাজি হন, তাহলে আমেরিকার তৈরি মদ দোকানের শেলফ থেকে সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডা চাইলে এই মুহূর্তে শুল্ক আরোপ নিয়ে প্রতিশোধের পর্যায়ে নাও যেতে পারে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাডার কর্মকর্তারা তাদের মার্কিন সহকর্মীদের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে বৈঠক করছেন, যাতে কোনো মার্কিন শুল্ক আরোপ এড়ানো যায়।
তবে গতকাল সোমবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্পষ্ট, যদি ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেন, আমরা প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, অটোয়া মার্কিন আমদানির ওপর ১৫৫ বিলিয়ন কানাডীয় ডলার মূল্যের পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে, যার প্রথম ধাপে ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শুল্ক অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। এই শুল্কের তালিকায় পাস্তা, পোশাক ও সুগন্ধির মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
কানাডা আরও সংকেত দিয়েছে, সম্ভাব্য শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য একটি প্রণোদনা কর্মসূচি চালু করা হতে পারে, যেমনটা করোনা মহামারির সময় করা হয়েছিল।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিশোধের অর্থনৈতিক খরচের কথা বিবেচনায় নিয়ে, কানাডার উচিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৈচিত্র্যময় করা এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা। জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, কানাডা এই শুল্কগুলোকে একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে তাদের পণ্য অন্য বাজারে বিক্রি করতে পারে।
কানাডার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য নীতি নিয়ে কর্মরত পিটার ক্লার্ক মনে করেন, যে কোনো বাণিজ্য যুদ্ধে কানাডা তুলনামূলকভাবে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ধাক্কা খেতে পারে। এই বৈষম্যের কারণেই লক্ষ্যভিত্তিক শুল্ক আরোপ প্রথম এবং সবচেয়ে নিরাপদ পদক্ষেপ।
নির্দিষ্ট মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে নিজের নাগরিকদের ওপর বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধির চাপ সৃষ্টি না করেই কানাডা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এই কৌশলের কারণেই কর্মকর্তারা ‘কানাডীয় পণ্য কিনুন’ প্রচারণাকে উৎসাহিত করছেন, যাতে প্রতিশোধমূলক শুল্কের প্রভাব কিছুটা কমানো যায়।
মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনাগুলোর অন্যতম প্রধান অংশ এই বাণিজ্য শুল্ক আরোপ। তিনি এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, চাকরি সুরক্ষা এবং কর রাজস্ব বৃদ্ধির একটি উপায় হিসেবে দেখেন। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি কানাডার অর্থনীতিতে ধ্বংসাত্মক তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে, পাশাপাশি মার্কিন বাজারেও উচ্চমূল্যের কারণ হতে পারে।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার ট্রাম্প রাজনৈতিকভাবে আগের মতো দুর্বল নন, কারণ তিনি হোয়াইট হাউসে তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না। তাই এবার তার পদক্ষেপগুলো তীব্র আঘাত হানতে পারে।

কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ প্রায় নিশ্চিতভাবেই একটি বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে কানাডার লড়াই যেভাবে এগিয়ে যেতে পারে—
১. মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক
মার্কিন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানির ১৭ শতাংশ যায় কানাডায়, অন্যদিকে কানাডার ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে যায়। এ অবস্থায় ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কানাডার অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাংশ এবং স্টিলের ওপর ২৫ শতাংশের শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কানাডা বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিল। ফ্লোরিডার কমলার রস, টেনেসি ও কেনটাকির হুইস্কি ও বোরবনের ওপর শুল্ক বসানো হয়েছিল। অবশ্য এক বছর পর এই শুল্ক লড়াইয়ে ইতি টানে দুই দেশ।
কানাডার শীর্ষ কর্মকর্তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প আবারও শুল্ক আরোপ করলে, কানাডার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে সম্ভবত আবারও নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবে।
তবে মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রভাষক এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে কানাডার দূতাবাসের সাবেক ফিন্যান্স কাউন্সেলর জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, ‘গতবারের মতো একই প্রভাব এবার পড়বে না।’
২. ‘ডলার-ফর-ডলার’ শুল্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম শুল্ক যুদ্ধে ডলার-ফর-ডলার শুল্ক কৌশল ব্যবহার করেছিল কানাডা। দেশটি মার্কিন অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করেছিল এবং নিশ্চিত করেছিল, যে পরিমাণ মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো হবে, তার মোট আর্থিক মূল্য যুক্তরাষ্ট্রের কানাডার রপ্তানির ওপর বসানো শুল্কের সমান হবে। সেই সময় এটির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৬ বিলিয়ন কানাডীয় ডলার।
এবার, ডলার-ফর-ডলার শুল্ক ব্যবহারের সম্ভাবনা আরও বড় পরিসরে হতে পারে। কানাডা এরই মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য মার্কিন পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে ‘যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র কানাডার ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে’। এই তালিকায় কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে দাঁতের ফ্লস ও লাগেজের মতো ভোগ্যপণ্যও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এটি আরও ১১০ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারের অতিরিক্ত পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির দিকে যেতে পারে। তবে, ট্রাম্প যত বেশি ব্যাপকভাবে শুল্ক আরোপ করবেন, কানাডাও তত বেশি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসাতে পারে।
অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, মার্কিন শুল্কের ফলে কানাডা মন্দার মুখে পড়তে পারে। যদি কানাডা ডলার-ফর-ডলার শুল্কের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে এটি মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি করতে পারে। শেষ পর্যন্ত ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ বা নিশ্চলতা-স্ফীতিতে পরিণত হতে পারে, যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বেকারত্বও বেড়ে যায়।
৩. জ্বালানির ‘পারমাণবিক’ বিকল্প
কানাডার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদের একটি হলো জ্বালানি। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির ৬০ শতাংশ কানাডা থেকে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো, বিশেষ করে, ভারমন্ট ও নিউইয়র্ক প্রতিবেশী কানাডীয় প্রদেশগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও ম্যানিটোবা রাজ্যগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ও মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩০টি রাজ্য কিছু পরিমাণ বিদ্যুৎ কানাডা থেকে পায়। এছাড়াও, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী দেশ।
অন্টারিওর প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড প্রস্তাব দিয়েছেন, কানাডা যদি মার্কিন জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে এটি মার্কিনিদের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে জ্বালানির দাম বাড়লে তা সরাসরি পাম্পের দামে প্রভাব ফেলবে।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, ‘একমাত্র জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিনিদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারে জ্বালানির দাম দ্রুত কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’
৪. মার্কিন মদ প্রত্যাহার
অন্টারিওর প্রধানমন্ত্রী ফোর্ড বলেন, বিভিন্ন প্রদেশের প্রধানমন্ত্রীরা যদি রাজি হন, তাহলে আমেরিকার তৈরি মদ দোকানের শেলফ থেকে সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডা চাইলে এই মুহূর্তে শুল্ক আরোপ নিয়ে প্রতিশোধের পর্যায়ে নাও যেতে পারে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাডার কর্মকর্তারা তাদের মার্কিন সহকর্মীদের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে বৈঠক করছেন, যাতে কোনো মার্কিন শুল্ক আরোপ এড়ানো যায়।
তবে গতকাল সোমবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্পষ্ট, যদি ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেন, আমরা প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, অটোয়া মার্কিন আমদানির ওপর ১৫৫ বিলিয়ন কানাডীয় ডলার মূল্যের পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে, যার প্রথম ধাপে ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শুল্ক অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। এই শুল্কের তালিকায় পাস্তা, পোশাক ও সুগন্ধির মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
কানাডা আরও সংকেত দিয়েছে, সম্ভাব্য শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য একটি প্রণোদনা কর্মসূচি চালু করা হতে পারে, যেমনটা করোনা মহামারির সময় করা হয়েছিল।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিশোধের অর্থনৈতিক খরচের কথা বিবেচনায় নিয়ে, কানাডার উচিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৈচিত্র্যময় করা এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা। জুলিয়ান কারাগেসিয়ান বলেন, কানাডা এই শুল্কগুলোকে একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে তাদের পণ্য অন্য বাজারে বিক্রি করতে পারে।
কানাডার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য নীতি নিয়ে কর্মরত পিটার ক্লার্ক মনে করেন, যে কোনো বাণিজ্য যুদ্ধে কানাডা তুলনামূলকভাবে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ধাক্কা খেতে পারে। এই বৈষম্যের কারণেই লক্ষ্যভিত্তিক শুল্ক আরোপ প্রথম এবং সবচেয়ে নিরাপদ পদক্ষেপ।
নির্দিষ্ট মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে নিজের নাগরিকদের ওপর বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধির চাপ সৃষ্টি না করেই কানাডা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এই কৌশলের কারণেই কর্মকর্তারা ‘কানাডীয় পণ্য কিনুন’ প্রচারণাকে উৎসাহিত করছেন, যাতে প্রতিশোধমূলক শুল্কের প্রভাব কিছুটা কমানো যায়।
মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনাগুলোর অন্যতম প্রধান অংশ এই বাণিজ্য শুল্ক আরোপ। তিনি এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, চাকরি সুরক্ষা এবং কর রাজস্ব বৃদ্ধির একটি উপায় হিসেবে দেখেন। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি কানাডার অর্থনীতিতে ধ্বংসাত্মক তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে, পাশাপাশি মার্কিন বাজারেও উচ্চমূল্যের কারণ হতে পারে।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার ট্রাম্প রাজনৈতিকভাবে আগের মতো দুর্বল নন, কারণ তিনি হোয়াইট হাউসে তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না। তাই এবার তার পদক্ষেপগুলো তীব্র আঘাত হানতে পারে।

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৫ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ
০৪ মার্চ ২০২৫
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ
০৪ মার্চ ২০২৫
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ
০৪ মার্চ ২০২৫
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৫ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

কানাডার ওপর শেষ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নেওয়া কানাডা প্রতিক্রিয়ায় এবার কী করতে যাচ্ছে সেদিকে চোখ সবার। এদিকে বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ
০৪ মার্চ ২০২৫
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
৫ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে