নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে যে একীভূতকরণ শুরু হয়েছে, তা নিয়ে সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একীভূত করার জন্য বিবেচনাধীন ব্যাংকগুলোর সম্পদের মান, সামর্থ্য ও দুর্বলতার দিকগুলো আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে যাচাই করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার বলে মনে করে সংস্থাটি।
গতকাল ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তাগিদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে উন্নয়নের হালচাল নিয়ে তৈরি করা ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক আবদুল্লায়ে সেক বলেন, নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাংকের মতো স্পর্শকাতর খাতে যেকোনো সংস্কার পরিচালনার ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ হওয়া দরকার।
বিশেষ করে ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পদের মান সঠিকভাবে নির্ধারণ করা উচিত। একীভূতকরণ কিংবা অধিগ্রহণ যা-ই হোক, তা সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতির আওতায় হওয়া উচিত।
বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, ব্যাংকগুলোর সম্পদের মানের পাশাপাশি শক্তি ও দুর্বলতার দিকগুলোও চিহ্নিত করে তারপর একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান মেনে চলার তাগিদ দেন তিনি।
এ সময় ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি থাকার ব্যাপারটিও স্মরণ করিয়ে দেন বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এদিকে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়, বাংলাদেশে আগামী দিনগুলোয় বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকবে। এ ক্ষেত্রে পতন ঠেকাতে আমদানির ওপর কড়াকড়িও চলতে থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ২৮ মার্চের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের গণনায় তা দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে (২০২৪-২০২৫) প্রবৃদ্ধি সামান্য বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে মনে করে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে, যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরও প্রকট হতে পারে।
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক খাতে নানা ঝুঁকি বিরাজ করছে এমন তথ্য দিয়ে বিশ্বব্যাংক বলেছে, উপযুক্ত দৃঢ় ব্যবস্থা না নিলে তা প্রকট হওয়ার আশঙ্কা আছে। চলমান মূল্যস্ফীতি, আয়-ব্যয়ে ঘাটতি ও আর্থিক খাতের দুর্বলতার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ, আমদানি হ্রাস ও রপ্তানির ভর্তুকি কমানোর মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হলেও এসব প্রক্রিয়া টানা চলতে থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল মেলে না।
আবদুল্লায়ে সেক বলেন, আমদানি কমানোয় দীর্ঘ মেয়াদে বাজারে পণ্য সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এরই মধ্যে বহু পরিবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য ভোগান্তিতে পড়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ভারতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৬, ভুটানে ৪ দশমিক ৯, মালদ্বীপে ৪ দশমিক ৭, নেপালে ৩ দশমিক ৩, শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ২ এবং পাকিস্তানে ১ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে যে একীভূতকরণ শুরু হয়েছে, তা নিয়ে সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একীভূত করার জন্য বিবেচনাধীন ব্যাংকগুলোর সম্পদের মান, সামর্থ্য ও দুর্বলতার দিকগুলো আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে যাচাই করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার বলে মনে করে সংস্থাটি।
গতকাল ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তাগিদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে উন্নয়নের হালচাল নিয়ে তৈরি করা ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক আবদুল্লায়ে সেক বলেন, নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাংকের মতো স্পর্শকাতর খাতে যেকোনো সংস্কার পরিচালনার ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ হওয়া দরকার।
বিশেষ করে ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পদের মান সঠিকভাবে নির্ধারণ করা উচিত। একীভূতকরণ কিংবা অধিগ্রহণ যা-ই হোক, তা সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতির আওতায় হওয়া উচিত।
বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, ব্যাংকগুলোর সম্পদের মানের পাশাপাশি শক্তি ও দুর্বলতার দিকগুলোও চিহ্নিত করে তারপর একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান মেনে চলার তাগিদ দেন তিনি।
এ সময় ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি থাকার ব্যাপারটিও স্মরণ করিয়ে দেন বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এদিকে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়, বাংলাদেশে আগামী দিনগুলোয় বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকবে। এ ক্ষেত্রে পতন ঠেকাতে আমদানির ওপর কড়াকড়িও চলতে থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ২৮ মার্চের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের গণনায় তা দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে (২০২৪-২০২৫) প্রবৃদ্ধি সামান্য বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে মনে করে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে, যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরও প্রকট হতে পারে।
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক খাতে নানা ঝুঁকি বিরাজ করছে এমন তথ্য দিয়ে বিশ্বব্যাংক বলেছে, উপযুক্ত দৃঢ় ব্যবস্থা না নিলে তা প্রকট হওয়ার আশঙ্কা আছে। চলমান মূল্যস্ফীতি, আয়-ব্যয়ে ঘাটতি ও আর্থিক খাতের দুর্বলতার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ, আমদানি হ্রাস ও রপ্তানির ভর্তুকি কমানোর মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হলেও এসব প্রক্রিয়া টানা চলতে থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল মেলে না।
আবদুল্লায়ে সেক বলেন, আমদানি কমানোয় দীর্ঘ মেয়াদে বাজারে পণ্য সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এরই মধ্যে বহু পরিবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য ভোগান্তিতে পড়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ভারতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৬, ভুটানে ৪ দশমিক ৯, মালদ্বীপে ৪ দশমিক ৭, নেপালে ৩ দশমিক ৩, শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ২ এবং পাকিস্তানে ১ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত নীতি সুদ কমানোর প্রশ্নই উঠছে না—এমন বার্তাই দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য নতুন মুদ্রানীতিতে আগের মতোই ১০ শতাংশ নীতি সুদহার বা রেপো রেট বহাল রাখা হচ্ছে। আগের তিন দফার বৃদ্ধির পর যেটি এখন সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ির জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
৫ ঘণ্টা আগেশরিয়াহ পরিচালিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে দীর্ঘদিন ধরে চলা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির হোতা ছিলেন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী। বেনামি ঋণ বিতরণ, আমানতের অর্থ লোপাট, এমনকি জাকাত ফান্ডের অপব্যবহার—এমন কোনো অভিযোগ নেই, যা ওঠেনি তাঁর বিরুদ্ধে। এসব গুরুতর অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে ব্যাংকের...
৫ ঘণ্টা আগেডলারের দরে ভিন্নমাত্রার ওঠানামা এখন স্পষ্ট। দেশে ডলারের চাহিদা কমতে থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক নিচ্ছে উল্টো কৌশল, নিয়মিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বড় অঙ্কের ডলার কিনছে। সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে কিনেছে ৪৮৪ মিলিয়ন বা ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। রোববার ১৭১ মিলিয়ন, আর মঙ্গলবার এক দিনেই ৩১৩ মিলিয়ন ডলার।
৫ ঘণ্টা আগেআষাঢ়ের শুরু থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘের দখলে রয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ও পরপর দুটি বৃষ্টি বলয়ের ঘন বর্ষণ দীর্ঘদিন ধরেই নাকাল করছে নগরবাসীকে। সম্প্রতি পাওয়া স্যাটেলাইট তথ্য অনুযায়ী, আবারও একটি বৃষ্টি বলয়ের ভেতর পড়তে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সারা দেশ।
৫ ঘণ্টা আগে