সাইফুল মাসুম, ঢাকা

ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদেশি শ্রমিকেরা কাজ করছেন পূর্ণোদ্যমে। মহাসড়কের সঙ্গে প্রকল্প এলাকার সংযোগ সড়ক, সীমানাপ্রাচীর তৈরির কাজ শেষ।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে তুরস্কভিত্তিক সিঙ্গার এবং জার্মানির কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। আরও কয়েকটি দেশের অন্তত ৪০টি কোম্পানি এরই মধ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এসবের মধ্যে জাপানেরই ৩০টি। কাল মঙ্গলবার উদ্বোধনের দিনই জাপানের দুটি কোম্পানিসহ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা। এখানে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার (১৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি) বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জাপানের অংশীদারিতে এক হাজার একর জমির ওপর এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
জাপানের অংশীদারিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়ায় বিএসইজেডটি জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল নামে পরিচিতি পাচ্ছে।
অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ
বিএসইজেডের প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের হস্তান্তর করার জন্য ১৬০ একর জায়গা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিদেশি একটি কোম্পানিকে ৩৫ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কারখানা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আর প্রকল্প উদ্বোধনের সময় শতাধিক জাপানিসহ কয়েকটি দেশের বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনের দিনই কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগবিষয়ক চুক্তি করার কথা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বিশেষ অর্থনৈতিক জোন উদ্বোধন করা হচ্ছে।’
প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধন সামনে রেখে কর্মতৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গার ৭৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
বিএসইজেডে বেজার মালিকানা ২৪ শতাংশ, জাপানি কোম্পানি সুমিতোমোর ৭৬ শতাংশ এবং জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অংশীদারি ১৫ শতাংশ।
৪২ বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহী
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় জানান, বিএসইজেড পুরোপুরি চালু হলে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। এতে কর্মসংস্থান হবে এক লাখ মানুষের। বিনিয়োগে এরই মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে সিঙ্গার ও জার্মানির রুডলফের সঙ্গে। আরও ৪০টি বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৩০টি জাপানের।
ওনদা, নিক্কা চুক্তি করতে পারে কাল
ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শেখ ইউসুফ হারুন জানান, উদ্বোধনের দিন জাপানের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই দুটি কোম্পানির নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়েছেন তিনি।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, জাপানের ওনদা করপোরেশন ও নিক্কা কেমিক্যালসের সঙ্গে ৬ ডিসেম্বর সরকারের চুক্তি হওয়ার কথা আছে। দুই প্রতিষ্ঠানই বিএসইজেডে ১০ একর করে জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছে। ওনদা সেখানে গ্যাস মিটার তৈরির কারখানা করবে, আর নিক্কা কেমিক্যালস রাসায়নিক পণ্য উৎপাদন করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি, প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ, বেজার নির্বাহী সদস্য ইরফান শরীফ, আবদুল আজীম চৌধুরী, ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ উজ জামান প্রমুখ।
জাইকার উদ্যোগে হবে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র
আগামী গ্রীষ্মে এখানে উৎপাদন শুরুর আশা করে বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি জানান, দুই বিনিয়োগকারীর মধ্যে সিঙ্গার ৩৫ একর জায়গা পেয়েছে। কোম্পানিটি ৭৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। আর রুডলফ পেয়েছে ৫ একর জায়গা, বিনিয়োগ করবে ৭ মিলিয়ন ডলার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিএসইজেডসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষ জনবল সরবরাহে জাইকার উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।
উন্নয়নে জাইকার ২৫০০ কোটি, সুমিতোমোর ১০০০ কোটি টাকা
প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করছে জাইকা। ঠিকাদারির কাজ পেয়েছে জাপানি টোয়া করপোরেশন। উন্নয়নকাজে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সুমিতোমো।
জানা যায়, পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় এখানে উৎপাদিত হবে ওষুধ, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ অনেক মূল্যবান পণ্য।
বদলে যাচ্ছে আড়াইহাজার
রাজধানীর কাছে হলেও আড়াইহাজার উপজেলার অধিকাংশ জনপদ ছিল অনগ্রসর। পাঁচরুখি, ছনপাড়া, সিংহদি, পাঁচগাঁও, পাঁচবাড়িয়া ছিল প্রত্যন্ত গ্রাম। তবে বিএসইজেড প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পাল্টাতে থাকে চেহারা। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ ভূমিমালিক লাভবান হয়েছেন। দরিদ্র মানুষেরা শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়েছেন।
বিএসইজেডে ফটকের পাশে শীতের পিঠা বিক্রি করেন ছনপাড়ার আনোয়ার-জয়তুন দম্পতি। আনোয়ার জানান, আগে মাছের আড়তে কাজ করতেন। এখন প্রকল্পের শ্রমিকদের কাছে পিঠা বিক্রি করে বেশি আয় করেন।
প্রকল্পের কারণে মাহফুজা বেগমের বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য তিনি ৭৫ লাখ টাকা পান। কেউ কেউ কোটি টাকাও পেয়েছেন। প্রকল্পে বালু ভরাট কাজের শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘ছনপাড়ায় একের পর এক ভবন ওঠতাছে, শহরে পরিণত অইতাছে।’
বিদেশি বিনিয়োগে আস্থা বাড়বে
বিএসইজেড পুরোপুরি সচল হলে বিদেশি বিনিয়োগে আস্থার সংকট কাটবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক জোন যদি দ্রুত বাস্তবায়িত হয় এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে, তাহলে অবশ্যই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এতে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য আসবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’

ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদেশি শ্রমিকেরা কাজ করছেন পূর্ণোদ্যমে। মহাসড়কের সঙ্গে প্রকল্প এলাকার সংযোগ সড়ক, সীমানাপ্রাচীর তৈরির কাজ শেষ।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে তুরস্কভিত্তিক সিঙ্গার এবং জার্মানির কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। আরও কয়েকটি দেশের অন্তত ৪০টি কোম্পানি এরই মধ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এসবের মধ্যে জাপানেরই ৩০টি। কাল মঙ্গলবার উদ্বোধনের দিনই জাপানের দুটি কোম্পানিসহ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা। এখানে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার (১৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি) বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জাপানের অংশীদারিতে এক হাজার একর জমির ওপর এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
জাপানের অংশীদারিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়ায় বিএসইজেডটি জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল নামে পরিচিতি পাচ্ছে।
অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ
বিএসইজেডের প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের হস্তান্তর করার জন্য ১৬০ একর জায়গা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিদেশি একটি কোম্পানিকে ৩৫ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কারখানা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আর প্রকল্প উদ্বোধনের সময় শতাধিক জাপানিসহ কয়েকটি দেশের বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনের দিনই কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগবিষয়ক চুক্তি করার কথা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বিশেষ অর্থনৈতিক জোন উদ্বোধন করা হচ্ছে।’
প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধন সামনে রেখে কর্মতৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গার ৭৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
বিএসইজেডে বেজার মালিকানা ২৪ শতাংশ, জাপানি কোম্পানি সুমিতোমোর ৭৬ শতাংশ এবং জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অংশীদারি ১৫ শতাংশ।
৪২ বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহী
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় জানান, বিএসইজেড পুরোপুরি চালু হলে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। এতে কর্মসংস্থান হবে এক লাখ মানুষের। বিনিয়োগে এরই মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে সিঙ্গার ও জার্মানির রুডলফের সঙ্গে। আরও ৪০টি বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৩০টি জাপানের।
ওনদা, নিক্কা চুক্তি করতে পারে কাল
ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শেখ ইউসুফ হারুন জানান, উদ্বোধনের দিন জাপানের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই দুটি কোম্পানির নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়েছেন তিনি।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, জাপানের ওনদা করপোরেশন ও নিক্কা কেমিক্যালসের সঙ্গে ৬ ডিসেম্বর সরকারের চুক্তি হওয়ার কথা আছে। দুই প্রতিষ্ঠানই বিএসইজেডে ১০ একর করে জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছে। ওনদা সেখানে গ্যাস মিটার তৈরির কারখানা করবে, আর নিক্কা কেমিক্যালস রাসায়নিক পণ্য উৎপাদন করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি, প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ, বেজার নির্বাহী সদস্য ইরফান শরীফ, আবদুল আজীম চৌধুরী, ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ উজ জামান প্রমুখ।
জাইকার উদ্যোগে হবে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র
আগামী গ্রীষ্মে এখানে উৎপাদন শুরুর আশা করে বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি জানান, দুই বিনিয়োগকারীর মধ্যে সিঙ্গার ৩৫ একর জায়গা পেয়েছে। কোম্পানিটি ৭৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। আর রুডলফ পেয়েছে ৫ একর জায়গা, বিনিয়োগ করবে ৭ মিলিয়ন ডলার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিএসইজেডসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষ জনবল সরবরাহে জাইকার উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।
উন্নয়নে জাইকার ২৫০০ কোটি, সুমিতোমোর ১০০০ কোটি টাকা
প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করছে জাইকা। ঠিকাদারির কাজ পেয়েছে জাপানি টোয়া করপোরেশন। উন্নয়নকাজে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সুমিতোমো।
জানা যায়, পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় এখানে উৎপাদিত হবে ওষুধ, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ অনেক মূল্যবান পণ্য।
বদলে যাচ্ছে আড়াইহাজার
রাজধানীর কাছে হলেও আড়াইহাজার উপজেলার অধিকাংশ জনপদ ছিল অনগ্রসর। পাঁচরুখি, ছনপাড়া, সিংহদি, পাঁচগাঁও, পাঁচবাড়িয়া ছিল প্রত্যন্ত গ্রাম। তবে বিএসইজেড প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পাল্টাতে থাকে চেহারা। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ ভূমিমালিক লাভবান হয়েছেন। দরিদ্র মানুষেরা শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়েছেন।
বিএসইজেডে ফটকের পাশে শীতের পিঠা বিক্রি করেন ছনপাড়ার আনোয়ার-জয়তুন দম্পতি। আনোয়ার জানান, আগে মাছের আড়তে কাজ করতেন। এখন প্রকল্পের শ্রমিকদের কাছে পিঠা বিক্রি করে বেশি আয় করেন।
প্রকল্পের কারণে মাহফুজা বেগমের বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য তিনি ৭৫ লাখ টাকা পান। কেউ কেউ কোটি টাকাও পেয়েছেন। প্রকল্পে বালু ভরাট কাজের শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘ছনপাড়ায় একের পর এক ভবন ওঠতাছে, শহরে পরিণত অইতাছে।’
বিদেশি বিনিয়োগে আস্থা বাড়বে
বিএসইজেড পুরোপুরি সচল হলে বিদেশি বিনিয়োগে আস্থার সংকট কাটবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক জোন যদি দ্রুত বাস্তবায়িত হয় এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে, তাহলে অবশ্যই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এতে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য আসবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদ
০৫ ডিসেম্বর ২০২২
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৪ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদ
০৫ ডিসেম্বর ২০২২
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদ
০৫ ডিসেম্বর ২০২২
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৪ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদ
০৫ ডিসেম্বর ২০২২
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৩ ঘণ্টা আগে