আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণে আরও অন্তত ৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রমবর্ধমান ঋণ নিয়ে সমালোচকের অভাব নেই। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্কও বাজেট বিলকে ‘ঘৃণ্য জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছেন। এই বিপুল ঋণের বোঝা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্ব আর কতদিন ‘আংকেল স্যাম’কে ঋণ দিতে প্রস্তুত থাকবে।
এই উদ্বেগগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি ডলারের দুর্বলতা এবং আমেরিকাকে ঋণ দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের উচ্চ সুদের হার দাবি করতে শুরু করেছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্ষিক আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কমানোর জন্য এই অর্থ ধার করতেই হয়।
চলতি বছরের শুরু থেকে ডলারের দর পাউন্ডের বিপরীতে ১০ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ১৫ শতাংশ কমেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের খরচ সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুদের হার এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণের সুদের হারের মধ্যে পার্থক্য, যা ‘ইল্ড কার্ভ’ নামে পরিচিত, তা বেড়েছে বা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটি মার্কিন ঋণ দীর্ঘ মেয়াদে কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার ইঙ্গিত দেয়।
অথচ, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের চেয়ে ধীরে সুদের হার কমিয়েছে, এতে ডলার শক্তিশালী হওয়ার কথা। কারণ, উচ্চ সুদ হারের কারণে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক আমানতে বেশি সুদ পেতে পারেন।
বিশ্বের বৃহত্তম হেজ ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা রে ডালিও বিশ্বাস করেন, মার্কিন ঋণ একটি সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি অনুমান করছেন, বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রকে শিগগিরই বছরে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ এবং সুদ পরিশোধে ব্যয় করতে হবে।
ডালিও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে (মার্কিন) সরকারের আর্থিক অবস্থা একটি বাঁক বদলের মুখে। যদি এখন এর মোকাবিলা না করা হয়, তবে ঋণ এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যেখানে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না।’
এদিকে ট্রাম্পের নতুন বাজেট বিল কিছু ব্যয় হ্রাস করলেও, কর কমানোর পরিমাণ আরও বেশি, ফলে বর্তমান রাজনৈতিক গতিপথ বিপরীত দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়া ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ‘পারফেক্ট ক্রেডিট রেটিং’ হারিয়েছে।
যদি বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না যায়, তবে ভবিষ্যতে তিনটি সম্ভাব্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা।
তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে প্রথম বিকল্পটি হলো সরকারি ব্যয় হ্রাস, বড় ধরনের কর বৃদ্ধি, অথবা উভয়ই। রে ডালিও পরামর্শ দিয়েছেন, বর্তমান ৬ শতাংশ থেকে বাজেট ঘাটতি দ্রুত ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা ভবিষ্যতে বড় বিপদ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অতীতের সংকটের মতো, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেডারেল রিজার্ভ) আরও বেশি ডলার ছাপিয়ে সরকারি ঋণ নিতে পারে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পরেও এমনটি করা হয়েছিল। তবে এই কৌশল মূল্যস্ফীতি এবং বৈষম্য বাড়াতে পারে, কারণ এতে বাড়িঘর এবং শেয়ারের মতো সম্পদের মালিকেরা শ্রমের মূল্যের ওপর নির্ভরশীলদের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হন।
তৃতীয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ বিকল্পটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া বা ডিফল্ট করা। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না, তাই করছে না। এই পরিস্থিতিতে যদি মার্কিন ট্রেজারির প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে, তাহলে ভয়ানক আর্থিক সংকটকেও ছোটখাটো পিকনিক বলেই মনে হবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আপাতত, সৌভাগ্যক্রমে, এর কোনোটিই ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। তবে এর কারণগুলো খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। বাস্তবতা হলো, আমরা পছন্দ করি বা না করি, ডলারের খুব বেশি বিকল্প এখনো বিশ্বে নেই।
অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক বন্ড বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ এল-এরিয়ান বিবিসিকে বলেন, অনেকেই ডলার ধারণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ডলারের ভার বেশি এবং বিশ্ব এটা জানে, এ কারণেই আমরা সোনা, ইউরো এবং পাউন্ডের উত্থান দেখেছি। কিন্তু বড় পরিসরে মুদ্রা পরিবর্তন করা কঠিন, তাই যাওয়ার মতো খুব বেশি জায়গা নেই।’ তিনি ডলারকে ‘পরিষ্কারতম নোংরা শার্ট’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি পরতেই হবে।
তবুও, ডলারের ভবিষ্যৎ এবং বিশ্বের বেঞ্চমার্ক সম্পদ—মার্কিন সরকারি বন্ড—নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর সম্প্রতি বিবিসিকে বলেছেন, মার্কিন ঋণের মাত্রা এবং ডলারের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন না যে ডলার বর্তমানে মৌলিকভাবে হুমকির মুখে, তবে তিনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন এবং এটিকে তিনি অবমূল্যায়ন করছেন না।
তবে যাই হোক, ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ একটা অকল্পনীয় সংখ্যা! যদি একজন বিত্তবান দৈনিক ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) ডলার সঞ্চয় করেন, তাহলেও এত টাকা সঞ্চয় করতে তাঁর ১ লাখ বছর সময় লাগবে!
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, ঋণকে একটি দেশের আয়ের শতাংশ হিসেবে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। মার্কিন অর্থনীতি বছরে প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করে। যদিও এর আয়-ঋণের অনুপাত অনেকের চেয়ে বেশি, তবে জাপান বা ইতালির মতো নয়। এর পেছনে কাজ করছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী এবং সম্পদ সৃষ্টিকারী অর্থনীতি।
১৯৬৮ সালে উইলিয়াম এফ. রিকেনবেকার ‘ডেথ অব দ্য ডলার’ (Death of the Dollar) নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। বইয়ে তিনি বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের মর্যাদার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। রিকেনবেকার আর নেই—কিন্তু ডলার এখনো আছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ডলারের এই মর্যাদা এবং মূল্য একটি ঐশ্বরিক অধিকার, যার কোনো ব্যত্যয় হওয়া সম্ভব নয়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণে আরও অন্তত ৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রমবর্ধমান ঋণ নিয়ে সমালোচকের অভাব নেই। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্কও বাজেট বিলকে ‘ঘৃণ্য জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছেন। এই বিপুল ঋণের বোঝা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্ব আর কতদিন ‘আংকেল স্যাম’কে ঋণ দিতে প্রস্তুত থাকবে।
এই উদ্বেগগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি ডলারের দুর্বলতা এবং আমেরিকাকে ঋণ দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের উচ্চ সুদের হার দাবি করতে শুরু করেছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্ষিক আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কমানোর জন্য এই অর্থ ধার করতেই হয়।
চলতি বছরের শুরু থেকে ডলারের দর পাউন্ডের বিপরীতে ১০ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ১৫ শতাংশ কমেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের খরচ সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুদের হার এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণের সুদের হারের মধ্যে পার্থক্য, যা ‘ইল্ড কার্ভ’ নামে পরিচিত, তা বেড়েছে বা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটি মার্কিন ঋণ দীর্ঘ মেয়াদে কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার ইঙ্গিত দেয়।
অথচ, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের চেয়ে ধীরে সুদের হার কমিয়েছে, এতে ডলার শক্তিশালী হওয়ার কথা। কারণ, উচ্চ সুদ হারের কারণে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক আমানতে বেশি সুদ পেতে পারেন।
বিশ্বের বৃহত্তম হেজ ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা রে ডালিও বিশ্বাস করেন, মার্কিন ঋণ একটি সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি অনুমান করছেন, বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রকে শিগগিরই বছরে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ এবং সুদ পরিশোধে ব্যয় করতে হবে।
ডালিও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে (মার্কিন) সরকারের আর্থিক অবস্থা একটি বাঁক বদলের মুখে। যদি এখন এর মোকাবিলা না করা হয়, তবে ঋণ এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যেখানে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না।’
এদিকে ট্রাম্পের নতুন বাজেট বিল কিছু ব্যয় হ্রাস করলেও, কর কমানোর পরিমাণ আরও বেশি, ফলে বর্তমান রাজনৈতিক গতিপথ বিপরীত দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়া ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ‘পারফেক্ট ক্রেডিট রেটিং’ হারিয়েছে।
যদি বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না যায়, তবে ভবিষ্যতে তিনটি সম্ভাব্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা।
তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে প্রথম বিকল্পটি হলো সরকারি ব্যয় হ্রাস, বড় ধরনের কর বৃদ্ধি, অথবা উভয়ই। রে ডালিও পরামর্শ দিয়েছেন, বর্তমান ৬ শতাংশ থেকে বাজেট ঘাটতি দ্রুত ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা ভবিষ্যতে বড় বিপদ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অতীতের সংকটের মতো, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেডারেল রিজার্ভ) আরও বেশি ডলার ছাপিয়ে সরকারি ঋণ নিতে পারে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পরেও এমনটি করা হয়েছিল। তবে এই কৌশল মূল্যস্ফীতি এবং বৈষম্য বাড়াতে পারে, কারণ এতে বাড়িঘর এবং শেয়ারের মতো সম্পদের মালিকেরা শ্রমের মূল্যের ওপর নির্ভরশীলদের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হন।
তৃতীয় এবং সবচেয়ে ভয়াবহ বিকল্পটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া বা ডিফল্ট করা। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না, তাই করছে না। এই পরিস্থিতিতে যদি মার্কিন ট্রেজারির প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে, তাহলে ভয়ানক আর্থিক সংকটকেও ছোটখাটো পিকনিক বলেই মনে হবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আপাতত, সৌভাগ্যক্রমে, এর কোনোটিই ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। তবে এর কারণগুলো খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। বাস্তবতা হলো, আমরা পছন্দ করি বা না করি, ডলারের খুব বেশি বিকল্প এখনো বিশ্বে নেই।
অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক বন্ড বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ এল-এরিয়ান বিবিসিকে বলেন, অনেকেই ডলার ধারণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ডলারের ভার বেশি এবং বিশ্ব এটা জানে, এ কারণেই আমরা সোনা, ইউরো এবং পাউন্ডের উত্থান দেখেছি। কিন্তু বড় পরিসরে মুদ্রা পরিবর্তন করা কঠিন, তাই যাওয়ার মতো খুব বেশি জায়গা নেই।’ তিনি ডলারকে ‘পরিষ্কারতম নোংরা শার্ট’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি পরতেই হবে।
তবুও, ডলারের ভবিষ্যৎ এবং বিশ্বের বেঞ্চমার্ক সম্পদ—মার্কিন সরকারি বন্ড—নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর সম্প্রতি বিবিসিকে বলেছেন, মার্কিন ঋণের মাত্রা এবং ডলারের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন না যে ডলার বর্তমানে মৌলিকভাবে হুমকির মুখে, তবে তিনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন এবং এটিকে তিনি অবমূল্যায়ন করছেন না।
তবে যাই হোক, ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ একটা অকল্পনীয় সংখ্যা! যদি একজন বিত্তবান দৈনিক ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) ডলার সঞ্চয় করেন, তাহলেও এত টাকা সঞ্চয় করতে তাঁর ১ লাখ বছর সময় লাগবে!
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, ঋণকে একটি দেশের আয়ের শতাংশ হিসেবে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। মার্কিন অর্থনীতি বছরে প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করে। যদিও এর আয়-ঋণের অনুপাত অনেকের চেয়ে বেশি, তবে জাপান বা ইতালির মতো নয়। এর পেছনে কাজ করছে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী এবং সম্পদ সৃষ্টিকারী অর্থনীতি।
১৯৬৮ সালে উইলিয়াম এফ. রিকেনবেকার ‘ডেথ অব দ্য ডলার’ (Death of the Dollar) নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। বইয়ে তিনি বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের মর্যাদার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। রিকেনবেকার আর নেই—কিন্তু ডলার এখনো আছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ডলারের এই মর্যাদা এবং মূল্য একটি ঐশ্বরিক অধিকার, যার কোনো ব্যত্যয় হওয়া সম্ভব নয়!

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি...
০৫ জুলাই ২০২৫
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৪ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি...
০৫ জুলাই ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি...
০৫ জুলাই ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৪ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার পর এই ঋণের মাত্রা এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের কর-হ্রাস মূলক বাজেট বিলটি...
০৫ জুলাই ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৪ ঘণ্টা আগে