সৌমিত্র শেখর

পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই শতাব্দীর শুরুতে বললেন, নতুন শতাব্দীতে ঢাকা হবে বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থান। মন্তব্যটি নিয়ে পদে–বিপদে তখন বেশ আলোচনা হয়। বাংলাদেশেরও অনেকে খানিকটা হাস্যরস মিশিয়ে বলেন, সুনীলদা কি আতিথেয়তা আরও একটু বেশি চান নাকি! সে সময় শামসুর রাহমান থেকে রফিক আজাদ, বেলাল চৌধুরী—সবাই বেঁচে আছেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন সাহিত্যিক অনুষ্ঠান–আড্ডায় প্রায়ই ঢাকায় আসেন আর নানাভাবে ব্যাপক আপ্যায়িত হন। সেসব অনুষ্ঠান বা আড্ডার আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কথা বিভিন্ন পত্রিকায় নানাভাবে প্রকাশ পায়। ঢাকা বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থান হতে যাচ্ছে—এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে অনেকেই তাই ‘কথার কথা’ বলে মনে করে থাকতে পারেন। কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যটি শুধুই আড্ডা বা কথার কথা ছিল না। একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকের শুরুতে এসে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, সেটাই হবে।
বাংলা সাহিত্য ইংরেজ আমলে কলকাতামুখী হয়ে পড়ে। এর প্রধান কারণ কলকাতায় নগর গড়ে ওঠে এবং এর চেয়ে বড় কথা, সেটি রাজধানীর মর্যাদা পায়। কিন্তু তার আগে বাংলা সাহিত্য গড়ে ওঠে মূলত কলকাতার বাইরে। চর্যাপদের কথা যদি বাদও দিই, মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্যগুলোর কোনো ধারা কলকাতাকেন্দ্রিক নয়, বরং মনসামঙ্গল একান্তভাবে পূর্ববঙ্গের সম্পদ; গীতিকা সাহিত্যও। চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, শিবমঙ্গল ইত্যাদি মধ্যযুগের প্রধান কোনো সাহিত্যিক ধারাই কলকাতাকেন্দ্রিক নয়। ইংরেজ আগমনের পরে সাহিত্য ধীরে ধীরে শহরকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে এবং তা বাংলার ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে কলকাতাকেন্দ্রিক। মূলত উনিশ শতক থেকে শহরকেন্দ্রিক সাহিত্যধারা চলে। সে হিসেবে এর বয়স ২২০ বছর অতিক্রম করেছে। এই ২২০ বছরের মধ্যে রাজনৈতিক উত্থান–পরিবর্তনে বাঙালির একচ্ছত্র ভূমিরেখা একাধিক খণ্ডে বিভক্ত হয়। বিশেষত ১৯৪৭–এর ভারতভাগের পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালি মোট চারটি ভূখণ্ডে বিভক্ত হয় পড়ে। যে ভূখণ্ডগুলোর কম–বেশি পৃথক বৈশিষ্ট্য ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেমন বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম। এই চার ভাগের বাইরেও বাঙালি রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং তারা আন্তর্জাতিকভাবে সংযুক্তও বটে। বাঙালির একচ্ছত্র বাসের বিবেচনায় বাংলাদেশ সর্বাগ্রে; এখানে বাঙালি জনসংখ্যা ১৬ কোটি। পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে সাড়ে আট কোটি বাঙালি। আর আসাম ও ত্রিপুরা মিলিয়ে দেড় কোটি বাঙালির বাস। ১৯৪৭–এর আগে কলকাতামুখো হওয়ার প্রবণতা সীমান্তবাধার জন্য স্বাভাবিকভাবেই কমে আসে। আসাম আর ত্রিপুরা পশ্চিমবঙ্গের আলোকরশ্মি থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয় পড়ে। সেখানকার মানুষ ভারত দেশ হিসেবে এক পরিচয়ের হলেও জীবনযাপন ও ……. পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। আসাম ও ত্রিপুরার বাঙালিরা পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতার দিকে সাহিত্য–সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও তাকিয়ে থাকে বটে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তাদের লালনও করে না, পাত্তাও দেয় না। সাহিত্যের ইতিহাস বইয়ে আসাম ও ত্রিপুরার বাংলা সাহিত্যের কোনো পরিচয় নেই, উপন্যাস সংকলনে বা কবিতা সংকলনে আসাম–ত্রিপুরা অথবা অন্যত্র রচিত ভালো লেখার কোনো সংযোজন দেখা যায় না। ভারতের বাঙালি ও তাদের সৃষ্টিতে এই সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও বেশ অস্তিত্বের সংকটে। বহুভাষী রাষ্ট্রের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ খানিকটা বেসামালই মনে হচ্ছে। তাই কখনো বাঙালি জাতীয়তাবাদী স্লোগান, কখনো জাতীয় ঐক্যের হস্ত সম্প্রসারণ ইত্যাদি দ্বন্দ্ব শিক্ষা–সংস্কৃতি–সাহিত্য থেকে তাদের রাজনীতিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। রজনীতিতে এসেছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, কিন্তু ইশতেহারে ঘোষণা করছে হিন্দি ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শত শত। এখানেই দ্বন্দ্বের চিত্রটা স্পষ্ট। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে নির্ভরতা রাখলে সর্বত্র বাংলা প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হওয়া দরকার। হবে বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয়। কিন্তু করতে হচ্ছে হিন্দি ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল। তরুণ প্রজন্মের তাহলে কী হবে? তা ছাড়া সাহিত্যও হয়ে পড়েছে এককেন্দ্রিক ও দুর্বল। পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা টানা ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু একটি সাহিত্য পত্রিকা দাঁড় করতে পারল না। নির্ভরতা সেই ‘দেশ’ পত্রিকা। কিন্তু ‘দেশ’ কি পড়ে যায়নি? শুধু সাপ্তাহিক থেকে পাক্ষিক হয়েছে বলে নয়, ‘দেশ’ গুণ ও মান দুটোতেই আগের অবস্থায় নেই। ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ রীতিমতো নির্লজ্জ ব্যবসাপত্রে পরিণত হয়েছে। শাসক দলের এতটা অনুগত হয়ে পত্রিকা প্রকাশের এটাও রেকর্ড নিশ্চয়! আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছাপা হয় স্বল্প জায়গা নিয়ে আর রাজনৈতিক নেতাদের খুনসুটি নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করে ঘণ্টায় ঘণ্টায়। মানুষ এটা পড়েও। কারণ বিকল্প তৈরি করতে পারেনি অন্যরা। সাহিত্যে এখনো ‘দেশভাগ’ পশ্চিমবঙ্গে বড় বিষয়। ১৯৪৭ থেকে ৭৫ বছর চলে গেল, কিন্তু সেখানেও কোনো নতুন প্যারাডাইস তারা আনতে পারেনি। এ যুগের তরুণেরাও দেশভাগ নিয়ে লেখে, আলোচনা করে। এগুলোর বেশির ভাগই চর্বিতচর্বণ। কিন্তু এই সত্য এখনো কেউ বলে না, লেখেও না। লেখা-বলায় গেলেই ধরে। তবে পোড়নটা যে ভেতর থেকে লেগেছে, অল্প পরেই সেটা বোঝা যাবে নিশ্চয়।
বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যের উত্তরাধিকার চর্যাপদ-মঙ্গলসাহিত্য নিশ্চয়ই, কিন্তু ১৯৭৪–এর পর তার পৃথক যাত্রা। এ যাত্রায় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার বাঙালির কোনো অংশগ্রহণ সংগতভাবে থাকার কথা নয়। নেইও। ১৯৪৭ সালের পর ১৯৫২–এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন এবং তারপর বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যকে যে ঋদ্ধি এনে দিয়েছে তা অনন্য। এরপর একাত্তরের স্বাধীনতা। নামে হয়তো কখনো পূর্ববঙ্গ, কখনো পূর্ব পাকিস্তান, কখনো বাংলাদেশ হয়েছে, কিন্তু জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোনো ভাঙন ধরেনি, চেতনাও শাণিত হয়েছে বাঙালিত্বের অনুকূলে। তাই বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্য শুধু দেশভাগ নিয়ে পড়ে থাকেনি। দেশভাগ পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিকদের কাছে যেখানে আর্তনাদের প্রতিরূপ, বাংলাদেশের অধিকাংশ লেখকের কাছে তা ‘নয়া সড়ক’, ‘রাত্রি শেষ’, ‘নতুন সাহিত্য’ ইত্যাদি নবালোকের প্রতীকী ব্যঞ্জনায় অভিহিত। ফলে বোধটাই এক নয় পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের মানুষের। হ্যাঁ, শুরুটা হয়েছে বেশ ধীরে। গত শতাব্দীর পাঁচের দশকে গ্রাম আর গ্রামীণ জনপদ ছিল বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যের প্রধান অবলম্বন। শুধু তাই নয়, সাহিত্যিকদের দৃষ্টিও ছিল পশ্চিমবঙ্গের দিকে। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিকেরা কী লিখছেন কেমন লিখছেন, সেটি লক্ষ্য ও অনুসরণ করা হতো। ‘দেশ’ পত্রিকায় একটি কবিতা ছাপা হলে মনে হতো মা সরস্বতীর ছাড়পত্র মিলেছে! কিন্তু এক দশকের মধ্যেই বাংলাদেশের সে সময়ের তরুণ লেখককুল দৃষ্টি সরালেন। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বদলে পশ্চিমে তাকালেন এবং বাংলাদেশের সাহিত্যে আনলেন বড় পরিবর্তন। যে পশ্চিম থেকে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত কবিতার রসদ নিচ্ছিলেন, সেই পশ্চিমের দিকেই হাত বাড়ালেন শহীদ কাদরী বা আবদুল মান্নান সৈয়দ। ফলে অলোকরঞ্জন আর অনুসরণের বিষয় হলেন না। এভাবেই পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের সাহিত্যিকগণ একই লক্ষ্যবস্তুর দিকে হাত বাড়ালেন। অভিজ্ঞতার পৃথকতার জন্য তাঁদের লেখা হলো ভিন্ন ভিন্ন সেটি ঠিক, কিন্তু উভয়ের সমান্তরাল গতিপথ নির্মিত হলো সেই গত শতকের ছয়ের দশক থেকেই। সে কারণে দেখা যাবে, সেই ছয়ের দশকে বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী পত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের লেখককুল পশ্চিমবঙ্গ থেকে পশ্চিমের দিকে সেই যে দৃষ্টি ফেরালেন, তাতেই তাঁরা পেলেন সাফল্যের নবগ্রহের দর্শন। এরপর পশ্চিমের দার্শনিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক প্রতিটি বাঁক ফেরাকে তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন, আত্তীকরণ করেছেন। এর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবন গঠন, চারিত্র্যবদল, রুচির পরিধি, সর্বোপরি জীবনবেদ যুক্ত করে তাঁরা রচনা করেছেন সাহিত্য। এবার একটু অন্যভাবে বললে বলতে হয়, এটিই বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর সাহিত্য অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন প্রতিফলিত হয়েছে এই সাহিত্যেই।
সংখ্যাগরিষ্ঠের জীবন প্রতিফলিত হলেই তা সেরা সাহিত্য হবে? না। ঠিক সেভাবে কথাটি বলা হয়নি। তবে সংখ্যার গুরুত্ব আছে এবং এর চেয়েও প্রশ্নবোধক হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনযাপনকে আলোচনায় রাখা। সেদিক থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠের জীবনসাহিত্যে প্রাধান্য পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বৈকি! বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্য শুধু সংখ্যার জোরেই অগ্রবর্তী, শুধু তা বলা হচ্ছে না। মানেও এগিয়ে। আসাম আর ত্রিপুরার বাংলা সাহিত্য যে আধুনিকতার লক্ষণ, তা বাংলা সাহিত্যের সার্বিক বিচারে সমান বা অগ্রবর্তী—এর কোনোটাই বলা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে সাহিত্যের যে বাতাবরণ অতি সম্প্রতি গড়ে উঠেছে, তা আত্ম-আবিষ্কারের গহ্বরে প্রবিষ্ট। যেমন—সুন্দরবন ও সে অঞ্চলের মানুষ; বিহার সন্নিকটবর্তী অঞ্চল ও সেখানকার মানুষ; জঙ্গলমহালের জীবন ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন লেখকের প্রায় সিরিজ ধরে কথাসাহিত্য লেখা হচ্ছে। আর কবিকুল প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং নিমজ্জমান ‘দেশ’ তরীর যাত্রী। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কবিতা ও কথাশিল্পে কিন্তু উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা পরিদৃশ্যমান। গত শতকের সাতের দশকের উল্লাসনির্ভর অগোছালো রচনা আটের দশকে স্থিতিশীলতার চেষ্টা, নয়ের দশকে ভালো লেখার সূচনা বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যকে নতুন পথ দেখিয়েছে। আজ নতুন শতকের তৃতীয় দশকে পরিমাণ ও মান দুই দিক থেকেই বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্য অগ্রবর্তী এবং অন্য ভূগোলে অবস্থিত বাঙালির আগ্রহ কেড়ে নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী নানা তাত্ত্বিক রসায়নে এ সাহিত্য তো জারিতই, উপরন্তু আত্মজিজ্ঞাসামুখর। যে পশ্চিমে একদা চোখ ফিরিয়েছিল নতুন উপাদানের সন্ধানে, পরে যখন বোঝা গেল, সেও তো এক মনোগত ঔপনিবেশিকতার টান—তখন সেই পশ্চিমও আর আগ্রহের কেন্দ্রভূমিতে থাকে না বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যের সারথিদের। তাঁরা প্রশ্ন করেন: ইংরেজরা না এলে কি বাঙালি আধুনিক হতো না? জীবনকে উদ্যাপন করতে পারত না? পশ্চিমের সবাই কি ভালো? মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাঙালিকে জীবনঘনিষ্ঠ হতে ডাক দিলেন গ্রিক-ল্যাটিন–ইংরেজির পাঠ নিয়ে; ঠিক। কিন্তু তার আগে যে চণ্ডীদাস বলে গেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে নাই—এর কি কোনো মূল্যায়ন হবে না? কিংবা লালন সাঁইয়ের আত্মজিজ্ঞাসা: সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে—এই জীবনদর্শন কি আলোচনার বাইরে থেকে যাবে? এইভাবে জিজ্ঞাসা আর আত্ম–অনুসন্ধানের পথ ধরে বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্য আজ পরিণামমুখী। স্বদেশের মাটিতে প্রোথিত আছে সার্বিক সাফল্যের চাবিকাঠি—এই মনোভাব আজ মূলে। পশ্চিমকে অস্বীকার নয়—সাঙ্গীকরণ এবং একই সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মানুষ ও সংস্কৃতিও আগ্রহের পরিধিতে এসেছে। তাই আফ্রিকা বা ল্যাটিন আমেরিকার সমাজ, সংস্কৃতি আর সাহিত্য বিশেষভাবে অধ্যয়নের সীমায়। বর্তমানের লেখককুল বিশ্বের সমস্ত উল্লেখযোগ্য সাহিত্যের পাঠ নেন, কিন্তু সৃজনের ক্ষেত্রে রাখেন বাংলা আর বাঙালির প্রাণসুতোটি। বিশ্বসাহিত্যের অনুস্মৃতি নয়, নিজের সাহিত্যকে বিশ্বে তুলে ধরে সেটিকে বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন করতে চান তাঁরা। এই চেতনাগত পরিবর্তনটি প্রধান হয়ে উঠেছে গত ৫০ বছরে। ধারাটি যদি অব্যাহত থাকে এবং সৃজনপ্রয়াসী লেখককুল যদি ছন্দ না হারান, তবে আশা করা যায়, ভারতভাগের শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার আগেই বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির অধিবাস এই বাংলাদেশ!
সৌমিত্র শেখর
অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই শতাব্দীর শুরুতে বললেন, নতুন শতাব্দীতে ঢাকা হবে বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থান। মন্তব্যটি নিয়ে পদে–বিপদে তখন বেশ আলোচনা হয়। বাংলাদেশেরও অনেকে খানিকটা হাস্যরস মিশিয়ে বলেন, সুনীলদা কি আতিথেয়তা আরও একটু বেশি চান নাকি! সে সময় শামসুর রাহমান থেকে রফিক আজাদ, বেলাল চৌধুরী—সবাই বেঁচে আছেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন সাহিত্যিক অনুষ্ঠান–আড্ডায় প্রায়ই ঢাকায় আসেন আর নানাভাবে ব্যাপক আপ্যায়িত হন। সেসব অনুষ্ঠান বা আড্ডার আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কথা বিভিন্ন পত্রিকায় নানাভাবে প্রকাশ পায়। ঢাকা বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থান হতে যাচ্ছে—এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে অনেকেই তাই ‘কথার কথা’ বলে মনে করে থাকতে পারেন। কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যটি শুধুই আড্ডা বা কথার কথা ছিল না। একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকের শুরুতে এসে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, সেটাই হবে।
বাংলা সাহিত্য ইংরেজ আমলে কলকাতামুখী হয়ে পড়ে। এর প্রধান কারণ কলকাতায় নগর গড়ে ওঠে এবং এর চেয়ে বড় কথা, সেটি রাজধানীর মর্যাদা পায়। কিন্তু তার আগে বাংলা সাহিত্য গড়ে ওঠে মূলত কলকাতার বাইরে। চর্যাপদের কথা যদি বাদও দিই, মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্যগুলোর কোনো ধারা কলকাতাকেন্দ্রিক নয়, বরং মনসামঙ্গল একান্তভাবে পূর্ববঙ্গের সম্পদ; গীতিকা সাহিত্যও। চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, শিবমঙ্গল ইত্যাদি মধ্যযুগের প্রধান কোনো সাহিত্যিক ধারাই কলকাতাকেন্দ্রিক নয়। ইংরেজ আগমনের পরে সাহিত্য ধীরে ধীরে শহরকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে এবং তা বাংলার ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে কলকাতাকেন্দ্রিক। মূলত উনিশ শতক থেকে শহরকেন্দ্রিক সাহিত্যধারা চলে। সে হিসেবে এর বয়স ২২০ বছর অতিক্রম করেছে। এই ২২০ বছরের মধ্যে রাজনৈতিক উত্থান–পরিবর্তনে বাঙালির একচ্ছত্র ভূমিরেখা একাধিক খণ্ডে বিভক্ত হয়। বিশেষত ১৯৪৭–এর ভারতভাগের পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালি মোট চারটি ভূখণ্ডে বিভক্ত হয় পড়ে। যে ভূখণ্ডগুলোর কম–বেশি পৃথক বৈশিষ্ট্য ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেমন বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম। এই চার ভাগের বাইরেও বাঙালি রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং তারা আন্তর্জাতিকভাবে সংযুক্তও বটে। বাঙালির একচ্ছত্র বাসের বিবেচনায় বাংলাদেশ সর্বাগ্রে; এখানে বাঙালি জনসংখ্যা ১৬ কোটি। পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে সাড়ে আট কোটি বাঙালি। আর আসাম ও ত্রিপুরা মিলিয়ে দেড় কোটি বাঙালির বাস। ১৯৪৭–এর আগে কলকাতামুখো হওয়ার প্রবণতা সীমান্তবাধার জন্য স্বাভাবিকভাবেই কমে আসে। আসাম আর ত্রিপুরা পশ্চিমবঙ্গের আলোকরশ্মি থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয় পড়ে। সেখানকার মানুষ ভারত দেশ হিসেবে এক পরিচয়ের হলেও জীবনযাপন ও ……. পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। আসাম ও ত্রিপুরার বাঙালিরা পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতার দিকে সাহিত্য–সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও তাকিয়ে থাকে বটে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তাদের লালনও করে না, পাত্তাও দেয় না। সাহিত্যের ইতিহাস বইয়ে আসাম ও ত্রিপুরার বাংলা সাহিত্যের কোনো পরিচয় নেই, উপন্যাস সংকলনে বা কবিতা সংকলনে আসাম–ত্রিপুরা অথবা অন্যত্র রচিত ভালো লেখার কোনো সংযোজন দেখা যায় না। ভারতের বাঙালি ও তাদের সৃষ্টিতে এই সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও বেশ অস্তিত্বের সংকটে। বহুভাষী রাষ্ট্রের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ খানিকটা বেসামালই মনে হচ্ছে। তাই কখনো বাঙালি জাতীয়তাবাদী স্লোগান, কখনো জাতীয় ঐক্যের হস্ত সম্প্রসারণ ইত্যাদি দ্বন্দ্ব শিক্ষা–সংস্কৃতি–সাহিত্য থেকে তাদের রাজনীতিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। রজনীতিতে এসেছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, কিন্তু ইশতেহারে ঘোষণা করছে হিন্দি ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শত শত। এখানেই দ্বন্দ্বের চিত্রটা স্পষ্ট। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে নির্ভরতা রাখলে সর্বত্র বাংলা প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হওয়া দরকার। হবে বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয়। কিন্তু করতে হচ্ছে হিন্দি ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল। তরুণ প্রজন্মের তাহলে কী হবে? তা ছাড়া সাহিত্যও হয়ে পড়েছে এককেন্দ্রিক ও দুর্বল। পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা টানা ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু একটি সাহিত্য পত্রিকা দাঁড় করতে পারল না। নির্ভরতা সেই ‘দেশ’ পত্রিকা। কিন্তু ‘দেশ’ কি পড়ে যায়নি? শুধু সাপ্তাহিক থেকে পাক্ষিক হয়েছে বলে নয়, ‘দেশ’ গুণ ও মান দুটোতেই আগের অবস্থায় নেই। ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ রীতিমতো নির্লজ্জ ব্যবসাপত্রে পরিণত হয়েছে। শাসক দলের এতটা অনুগত হয়ে পত্রিকা প্রকাশের এটাও রেকর্ড নিশ্চয়! আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছাপা হয় স্বল্প জায়গা নিয়ে আর রাজনৈতিক নেতাদের খুনসুটি নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করে ঘণ্টায় ঘণ্টায়। মানুষ এটা পড়েও। কারণ বিকল্প তৈরি করতে পারেনি অন্যরা। সাহিত্যে এখনো ‘দেশভাগ’ পশ্চিমবঙ্গে বড় বিষয়। ১৯৪৭ থেকে ৭৫ বছর চলে গেল, কিন্তু সেখানেও কোনো নতুন প্যারাডাইস তারা আনতে পারেনি। এ যুগের তরুণেরাও দেশভাগ নিয়ে লেখে, আলোচনা করে। এগুলোর বেশির ভাগই চর্বিতচর্বণ। কিন্তু এই সত্য এখনো কেউ বলে না, লেখেও না। লেখা-বলায় গেলেই ধরে। তবে পোড়নটা যে ভেতর থেকে লেগেছে, অল্প পরেই সেটা বোঝা যাবে নিশ্চয়।
বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যের উত্তরাধিকার চর্যাপদ-মঙ্গলসাহিত্য নিশ্চয়ই, কিন্তু ১৯৭৪–এর পর তার পৃথক যাত্রা। এ যাত্রায় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার বাঙালির কোনো অংশগ্রহণ সংগতভাবে থাকার কথা নয়। নেইও। ১৯৪৭ সালের পর ১৯৫২–এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন এবং তারপর বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যকে যে ঋদ্ধি এনে দিয়েছে তা অনন্য। এরপর একাত্তরের স্বাধীনতা। নামে হয়তো কখনো পূর্ববঙ্গ, কখনো পূর্ব পাকিস্তান, কখনো বাংলাদেশ হয়েছে, কিন্তু জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোনো ভাঙন ধরেনি, চেতনাও শাণিত হয়েছে বাঙালিত্বের অনুকূলে। তাই বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্য শুধু দেশভাগ নিয়ে পড়ে থাকেনি। দেশভাগ পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিকদের কাছে যেখানে আর্তনাদের প্রতিরূপ, বাংলাদেশের অধিকাংশ লেখকের কাছে তা ‘নয়া সড়ক’, ‘রাত্রি শেষ’, ‘নতুন সাহিত্য’ ইত্যাদি নবালোকের প্রতীকী ব্যঞ্জনায় অভিহিত। ফলে বোধটাই এক নয় পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের মানুষের। হ্যাঁ, শুরুটা হয়েছে বেশ ধীরে। গত শতাব্দীর পাঁচের দশকে গ্রাম আর গ্রামীণ জনপদ ছিল বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যের প্রধান অবলম্বন। শুধু তাই নয়, সাহিত্যিকদের দৃষ্টিও ছিল পশ্চিমবঙ্গের দিকে। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিকেরা কী লিখছেন কেমন লিখছেন, সেটি লক্ষ্য ও অনুসরণ করা হতো। ‘দেশ’ পত্রিকায় একটি কবিতা ছাপা হলে মনে হতো মা সরস্বতীর ছাড়পত্র মিলেছে! কিন্তু এক দশকের মধ্যেই বাংলাদেশের সে সময়ের তরুণ লেখককুল দৃষ্টি সরালেন। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বদলে পশ্চিমে তাকালেন এবং বাংলাদেশের সাহিত্যে আনলেন বড় পরিবর্তন। যে পশ্চিম থেকে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত কবিতার রসদ নিচ্ছিলেন, সেই পশ্চিমের দিকেই হাত বাড়ালেন শহীদ কাদরী বা আবদুল মান্নান সৈয়দ। ফলে অলোকরঞ্জন আর অনুসরণের বিষয় হলেন না। এভাবেই পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের সাহিত্যিকগণ একই লক্ষ্যবস্তুর দিকে হাত বাড়ালেন। অভিজ্ঞতার পৃথকতার জন্য তাঁদের লেখা হলো ভিন্ন ভিন্ন সেটি ঠিক, কিন্তু উভয়ের সমান্তরাল গতিপথ নির্মিত হলো সেই গত শতকের ছয়ের দশক থেকেই। সে কারণে দেখা যাবে, সেই ছয়ের দশকে বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী পত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের লেখককুল পশ্চিমবঙ্গ থেকে পশ্চিমের দিকে সেই যে দৃষ্টি ফেরালেন, তাতেই তাঁরা পেলেন সাফল্যের নবগ্রহের দর্শন। এরপর পশ্চিমের দার্শনিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক প্রতিটি বাঁক ফেরাকে তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন, আত্তীকরণ করেছেন। এর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবন গঠন, চারিত্র্যবদল, রুচির পরিধি, সর্বোপরি জীবনবেদ যুক্ত করে তাঁরা রচনা করেছেন সাহিত্য। এবার একটু অন্যভাবে বললে বলতে হয়, এটিই বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর সাহিত্য অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন প্রতিফলিত হয়েছে এই সাহিত্যেই।
সংখ্যাগরিষ্ঠের জীবন প্রতিফলিত হলেই তা সেরা সাহিত্য হবে? না। ঠিক সেভাবে কথাটি বলা হয়নি। তবে সংখ্যার গুরুত্ব আছে এবং এর চেয়েও প্রশ্নবোধক হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনযাপনকে আলোচনায় রাখা। সেদিক থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠের জীবনসাহিত্যে প্রাধান্য পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বৈকি! বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্য শুধু সংখ্যার জোরেই অগ্রবর্তী, শুধু তা বলা হচ্ছে না। মানেও এগিয়ে। আসাম আর ত্রিপুরার বাংলা সাহিত্য যে আধুনিকতার লক্ষণ, তা বাংলা সাহিত্যের সার্বিক বিচারে সমান বা অগ্রবর্তী—এর কোনোটাই বলা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে সাহিত্যের যে বাতাবরণ অতি সম্প্রতি গড়ে উঠেছে, তা আত্ম-আবিষ্কারের গহ্বরে প্রবিষ্ট। যেমন—সুন্দরবন ও সে অঞ্চলের মানুষ; বিহার সন্নিকটবর্তী অঞ্চল ও সেখানকার মানুষ; জঙ্গলমহালের জীবন ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন লেখকের প্রায় সিরিজ ধরে কথাসাহিত্য লেখা হচ্ছে। আর কবিকুল প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং নিমজ্জমান ‘দেশ’ তরীর যাত্রী। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কবিতা ও কথাশিল্পে কিন্তু উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা পরিদৃশ্যমান। গত শতকের সাতের দশকের উল্লাসনির্ভর অগোছালো রচনা আটের দশকে স্থিতিশীলতার চেষ্টা, নয়ের দশকে ভালো লেখার সূচনা বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যকে নতুন পথ দেখিয়েছে। আজ নতুন শতকের তৃতীয় দশকে পরিমাণ ও মান দুই দিক থেকেই বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্য অগ্রবর্তী এবং অন্য ভূগোলে অবস্থিত বাঙালির আগ্রহ কেড়ে নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী নানা তাত্ত্বিক রসায়নে এ সাহিত্য তো জারিতই, উপরন্তু আত্মজিজ্ঞাসামুখর। যে পশ্চিমে একদা চোখ ফিরিয়েছিল নতুন উপাদানের সন্ধানে, পরে যখন বোঝা গেল, সেও তো এক মনোগত ঔপনিবেশিকতার টান—তখন সেই পশ্চিমও আর আগ্রহের কেন্দ্রভূমিতে থাকে না বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যের সারথিদের। তাঁরা প্রশ্ন করেন: ইংরেজরা না এলে কি বাঙালি আধুনিক হতো না? জীবনকে উদ্যাপন করতে পারত না? পশ্চিমের সবাই কি ভালো? মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাঙালিকে জীবনঘনিষ্ঠ হতে ডাক দিলেন গ্রিক-ল্যাটিন–ইংরেজির পাঠ নিয়ে; ঠিক। কিন্তু তার আগে যে চণ্ডীদাস বলে গেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে নাই—এর কি কোনো মূল্যায়ন হবে না? কিংবা লালন সাঁইয়ের আত্মজিজ্ঞাসা: সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে—এই জীবনদর্শন কি আলোচনার বাইরে থেকে যাবে? এইভাবে জিজ্ঞাসা আর আত্ম–অনুসন্ধানের পথ ধরে বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্য আজ পরিণামমুখী। স্বদেশের মাটিতে প্রোথিত আছে সার্বিক সাফল্যের চাবিকাঠি—এই মনোভাব আজ মূলে। পশ্চিমকে অস্বীকার নয়—সাঙ্গীকরণ এবং একই সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মানুষ ও সংস্কৃতিও আগ্রহের পরিধিতে এসেছে। তাই আফ্রিকা বা ল্যাটিন আমেরিকার সমাজ, সংস্কৃতি আর সাহিত্য বিশেষভাবে অধ্যয়নের সীমায়। বর্তমানের লেখককুল বিশ্বের সমস্ত উল্লেখযোগ্য সাহিত্যের পাঠ নেন, কিন্তু সৃজনের ক্ষেত্রে রাখেন বাংলা আর বাঙালির প্রাণসুতোটি। বিশ্বসাহিত্যের অনুস্মৃতি নয়, নিজের সাহিত্যকে বিশ্বে তুলে ধরে সেটিকে বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন করতে চান তাঁরা। এই চেতনাগত পরিবর্তনটি প্রধান হয়ে উঠেছে গত ৫০ বছরে। ধারাটি যদি অব্যাহত থাকে এবং সৃজনপ্রয়াসী লেখককুল যদি ছন্দ না হারান, তবে আশা করা যায়, ভারতভাগের শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার আগেই বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির অধিবাস এই বাংলাদেশ!
সৌমিত্র শেখর
অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেটের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ক্যাশলেস সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সালের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক নাদিম নেওয়াজ।
নাদিম নেওয়াজ

দেশে দিন দিন ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ছে। এ বিষয়ে আপনার মত জানতে চাই।
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাইম ব্যাংক সব সময় গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে উদ্ভাবনী ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেনের সুযোগ দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত ও আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
কার্ড ব্যবহারে দেশের মানুষের আগ্রহ কেমন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: দেশে মানুষের কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
প্রাইম ব্যাংকের কর্মীরা শুধু কার্ড সরবরাহে সীমাবদ্ধ নন, বরং সরকারের ক্যাশলেস অর্থনীতি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দৈনন্দিন লেনদেনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে আমরা ডিজিটাল চ্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য কী ধরনের অফার দিচ্ছেন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: গ্রাহকদের উৎসবমুখর অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক করতে আমরা বিভিন্ন খাতে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার করছি। ইফতার ও সেহরির জন্য শীর্ষস্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অফার, বাই ওয়ান গেট ওয়ান/টু/থ্রি সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রোসারি ও রিটেইল দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কার্ডহোল্ডাররা যাতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য জনপ্রিয় টিকিটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এক্সক্লুসিভ ক্যাশব্যাক অফার রাখা হয়েছে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।
প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
এ ছাড়া আমাদের অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ ‘মাইপ্রাইম’-এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোনো অ্যাকাউন্টে সহজে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। সুদমুক্ত সময়সীমার সুবিধাসহ কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া ওয়ালেট ট্রান্সফার ও টপ-আপ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্ডভেদে গ্রাহকেরা দেশে-বিদেশে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: আমাদের নির্বাচিত অ্যাকাউন্টধারী ও ঋণগ্রহীতাদের জন্য বান্ডেল ক্রেডিট কার্ডসহ বিশেষ সুবিধা প্রদান করছি। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ধরনের ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে, যা ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার ঘটাবে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করবে। সর্বোচ্চ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ডেবিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে, যা ডিজিটাল লেনদেনকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে করপোরেট প্রিপেইড কার্ড চালু করা হয়েছে, বিশেষত গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য, যাঁরা এখনো নগদে মজুরি পেয়ে থাকেন। গার্মেন্টস কারখানার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা কর্মীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আনছি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় ব্যাংকিং সুবিধা সীমিত, সেখানে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড ইস্যু ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:

দেশে দিন দিন ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ছে। এ বিষয়ে আপনার মত জানতে চাই।
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাইম ব্যাংক সব সময় গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে উদ্ভাবনী ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেনের সুযোগ দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত ও আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
কার্ড ব্যবহারে দেশের মানুষের আগ্রহ কেমন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: দেশে মানুষের কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
প্রাইম ব্যাংকের কর্মীরা শুধু কার্ড সরবরাহে সীমাবদ্ধ নন, বরং সরকারের ক্যাশলেস অর্থনীতি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দৈনন্দিন লেনদেনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে আমরা ডিজিটাল চ্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য কী ধরনের অফার দিচ্ছেন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: গ্রাহকদের উৎসবমুখর অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক করতে আমরা বিভিন্ন খাতে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার করছি। ইফতার ও সেহরির জন্য শীর্ষস্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অফার, বাই ওয়ান গেট ওয়ান/টু/থ্রি সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রোসারি ও রিটেইল দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কার্ডহোল্ডাররা যাতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য জনপ্রিয় টিকিটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এক্সক্লুসিভ ক্যাশব্যাক অফার রাখা হয়েছে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।
প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
এ ছাড়া আমাদের অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ ‘মাইপ্রাইম’-এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোনো অ্যাকাউন্টে সহজে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। সুদমুক্ত সময়সীমার সুবিধাসহ কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া ওয়ালেট ট্রান্সফার ও টপ-আপ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্ডভেদে গ্রাহকেরা দেশে-বিদেশে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: আমাদের নির্বাচিত অ্যাকাউন্টধারী ও ঋণগ্রহীতাদের জন্য বান্ডেল ক্রেডিট কার্ডসহ বিশেষ সুবিধা প্রদান করছি। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ধরনের ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে, যা ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার ঘটাবে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করবে। সর্বোচ্চ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ডেবিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে, যা ডিজিটাল লেনদেনকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে করপোরেট প্রিপেইড কার্ড চালু করা হয়েছে, বিশেষত গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য, যাঁরা এখনো নগদে মজুরি পেয়ে থাকেন। গার্মেন্টস কারখানার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা কর্মীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আনছি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় ব্যাংকিং সুবিধা সীমিত, সেখানে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড ইস্যু ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই শতাব্দীর শুরুতে বললেন, নতুন শতাব্দীতে ঢাকা হবে বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থান। মন্তব্যটি নিয়ে পদে–বিপদে তখন বেশ আলোচনা হয়। বাংলাদেশেরও অনেকে খানিকটা হাস্যরস মিশিয়ে বলেন, সুনীলদা কি আতিথেয়তা আরও একটু বেশি চান নাকি! সে সময় শামসুর রাহমান থেকে রফিক আজাদ, বেলাল চৌধু
২৯ জুন ২০২১
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
দেশের ক্রেডিট কার্ড বাজারে সিটি ব্যাংক এক নির্ভরযোগ্য নাম, বিশেষ করে একমাত্র আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) ক্রেডিট কার্ড ইস্যু এবং অ্যাকুয়ারের ক্ষেত্রে। উদ্ভাবন এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা দিয়ে নেতৃত্বের আসন মজবুত করেছে। এ বিষয়ে ব্যাংকটির কার্ড বিভাগের প্রধান তৌহিদুল আলমের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান নূর।
আসাদুজ্জামান নূর

সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সাফল্যের মূল কারণ কী এবং গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি কোন অবস্থায় রয়েছে?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তমানে, সিটি ব্যাংক প্রায় ৭ লাখ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে এবং দেশের ৪৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ লেনদেন পরিচালিত হয় আমাদের কার্ডের মাধ্যমে। এর পেছনে রয়েছে মানসম্মত সেবা, উদ্ভাবনী অফার এবং গ্রাহকের প্রতি দায়বদ্ধতা।
এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গ্রাহকেরা কেন এটি বেশি ব্যবহার করছেন?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক অ্যামেক্স এবং ভিসা—দুটি পেমেন্ট স্কিমের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। তবে বাংলাদেশে আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ক্রেডিট কার্ড ইস্যু কর্তা, যা বিশেষ গুরুত্ব পায়। এর ট্রাভেল, ডাইনিং ও লাইফস্টাইল অফারের কারণে অ্যামেক্স কার্ডই আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি ব্যবহৃত।
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার বা সুবিধা প্রদান করছে কি? কেন গ্রাহকেরা এই ব্যাংকের কার্ডে বেশি আগ্রহী?
তৌহিদুল আলম: অবশ্যই। সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে, যেমন অ্যামেক্স কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ভিসা ইনফাইনাইট কার্ডে ক্যাশব্যাক এবং এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ, মিট অ্যান্ড গ্রিট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ডিসকাউন্ট অফার। আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হওয়ায়, গ্রাহকদের জন্য কাস্টমাইজড সুবিধা দিতে পারি, যা তাদের আরও আকৃষ্ট করছে।
মোবাইল অ্যাপে ক্রেডিট কার্ড সেবার বিশেষত্ব কী?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার যুক্ত করছে। আমাদের সিটিটাচ অ্যাপ্লিকেশনটি এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংকিং অ্যাপ। গ্রাহকেরা অ্যাপের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট, কার্ড টু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, এমএফএস টু কার্ড ট্রান্সফার, কিউআর পেমেন্ট, সরকারি ও বেসরকারি ইউটিলিটি সার্ভিস পেমেন্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন করতে পারেন। এ ছাড়া মেম্বারশিপ রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে পারচেইজ, পারসোনাল ডিটেইল চেঞ্জ এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন ম্যানেজমেন্টও এই প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। গ্রাহকদের সুবিধা ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা নিয়মিত নতুন নতুন সেবা যোগ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও খবর পড়ুন:

সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সাফল্যের মূল কারণ কী এবং গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি কোন অবস্থায় রয়েছে?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তমানে, সিটি ব্যাংক প্রায় ৭ লাখ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে এবং দেশের ৪৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ লেনদেন পরিচালিত হয় আমাদের কার্ডের মাধ্যমে। এর পেছনে রয়েছে মানসম্মত সেবা, উদ্ভাবনী অফার এবং গ্রাহকের প্রতি দায়বদ্ধতা।
এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গ্রাহকেরা কেন এটি বেশি ব্যবহার করছেন?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক অ্যামেক্স এবং ভিসা—দুটি পেমেন্ট স্কিমের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। তবে বাংলাদেশে আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ক্রেডিট কার্ড ইস্যু কর্তা, যা বিশেষ গুরুত্ব পায়। এর ট্রাভেল, ডাইনিং ও লাইফস্টাইল অফারের কারণে অ্যামেক্স কার্ডই আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি ব্যবহৃত।
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার বা সুবিধা প্রদান করছে কি? কেন গ্রাহকেরা এই ব্যাংকের কার্ডে বেশি আগ্রহী?
তৌহিদুল আলম: অবশ্যই। সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে, যেমন অ্যামেক্স কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ভিসা ইনফাইনাইট কার্ডে ক্যাশব্যাক এবং এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ, মিট অ্যান্ড গ্রিট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ডিসকাউন্ট অফার। আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হওয়ায়, গ্রাহকদের জন্য কাস্টমাইজড সুবিধা দিতে পারি, যা তাদের আরও আকৃষ্ট করছে।
মোবাইল অ্যাপে ক্রেডিট কার্ড সেবার বিশেষত্ব কী?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার যুক্ত করছে। আমাদের সিটিটাচ অ্যাপ্লিকেশনটি এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংকিং অ্যাপ। গ্রাহকেরা অ্যাপের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট, কার্ড টু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, এমএফএস টু কার্ড ট্রান্সফার, কিউআর পেমেন্ট, সরকারি ও বেসরকারি ইউটিলিটি সার্ভিস পেমেন্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন করতে পারেন। এ ছাড়া মেম্বারশিপ রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে পারচেইজ, পারসোনাল ডিটেইল চেঞ্জ এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন ম্যানেজমেন্টও এই প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। গ্রাহকদের সুবিধা ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা নিয়মিত নতুন নতুন সেবা যোগ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও খবর পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই শতাব্দীর শুরুতে বললেন, নতুন শতাব্দীতে ঢাকা হবে বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থান। মন্তব্যটি নিয়ে পদে–বিপদে তখন বেশ আলোচনা হয়। বাংলাদেশেরও অনেকে খানিকটা হাস্যরস মিশিয়ে বলেন, সুনীলদা কি আতিথেয়তা আরও একটু বেশি চান নাকি! সে সময় শামসুর রাহমান থেকে রফিক আজাদ, বেলাল চৌধু
২৯ জুন ২০২১
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মাহফুজুল ইসলাম।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সেবা ও বাজারে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিছু বলুন?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আমরা কন্টাক্টলেস ও ডুয়াল কারেন্সি কার্ড, ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস এবং কম বা শূন্য বার্ষিক ফির সুবিধা প্রদান করি। দ্রুত কার্ড ইস্যু, ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার এবং মোবাইল অ্যাপে সহজ তথ্য অ্যাকসেসের সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন উৎসব অফার, কো-ব্র্যান্ড কার্ড এবং ১৫০০+ এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে প্রবেশের সুবিধা থাকায় আমাদের কার্ডের চাহিদা বাড়ছে।
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কীভাবে আলাদা বা বিশেষ সুবিধা প্রদান করে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস, কম লেনদেন ও বার্ষিক ফি, কন্টাক্টলেস সুবিধা এবং উন্নত সুরক্ষা যেমন ওটিপি ও ফ্রড ডিটেকশন রয়েছে। ব্যবহারবান্ধব মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার সেবা গ্রাহকদের নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
দেশে ক্রেডিট কার্ডধারীদের মধ্যে কোন ধরনের লেনদেন প্রবণতা বেশি দেখা যায়?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ডধারীরা ফ্যাশন, ইলেকট্রনিকস, গৃহসজ্জা, দৈনন্দিন পণ্য, রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, হোটেল ও ভ্রমণ বুকিং এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধে বেশি ব্যবহার করেন। ডিজিটালাইজেশন ও অনলাইন সেবার সহজলভ্যতা এই প্রবণতাগুলোকে ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সুদের হার ও ফি-সংক্রান্ত নীতি কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, এটি কি গ্রাহকবান্ধব?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ব্যাংকগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করে, তবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারে না। বেশির ভাগ কার্ডে ৪৫ দিন বিনা সুদে কেনাকাটার সুযোগ থাকে। বার্ষিক ফি, লেট পেমেন্ট ফি এবং ক্যাশ উত্তোলন ফি প্রযোজ্য হতে পারে এবং অনেক কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট বা ক্যাশব্যাক সুবিধা থাকে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ও বিলম্বিত পেমেন্টে ঋণের বোঝা বাড়তে পারে।
গ্রাহককে ব্যাংকের গ্রাহক সেবা বিভাগে অভিযোগ জমা দিতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান ট্র্যাকিং নম্বর দেয়, যা দিয়ে অভিযোগের অবস্থা ট্র্যাক করা যায়। সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এবং ৩০-৪৫ দিন পর সম্পূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ক্রেডিট কার্ডসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং ব্যাংকগুলোকে ফি, সুদের হার এবং শর্তাবলি সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কতটা নিরাপদ?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংক লেনদেনের নিরাপত্তায় পিসিআই-ডিএসএস এবং আইএসও ২৭০০৩২ কমপ্লায়েন্ট। অনলাইন ট্রানজেকশনে ডেটা এনক্রিপশন ও দুই-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহৃত হয়। লেনদেন রিয়েল-টাইমে মনিটর করা হয় এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা টিপস দেওয়া হয়। সন্দেহজনক লেনদেন হলে ২৪/৭ সেবা হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

যেসব গ্রাহক প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ড নিতে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে ক্রেডিট অবস্থা ও আয়প্রবাহ চেক করুন। সঠিক কার্ড নির্বাচন করে সুদ, ফি এবং অফার বুঝে ব্যবহার করুন। ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম না করার চেষ্টা করুন, সময়মতো পেমেন্ট করুন এবং অটো পেমেন্ট সেট আপ করুন।
ঢাকা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ভবিষ্যতে কী ধরনের নতুন উদ্ভাবন বা প্রযুক্তি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ড সুরক্ষা বাড়াতে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন, এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় প্যাটার্ন বিশ্লেষণ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। ঢাকা ব্যাংক তাদের মোবাইল অ্যাপে এআই-ভিত্তিক গ্রাহকসেবা এবং চ্যাটবট সংযুক্ত করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সেবা ও বাজারে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিছু বলুন?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আমরা কন্টাক্টলেস ও ডুয়াল কারেন্সি কার্ড, ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস এবং কম বা শূন্য বার্ষিক ফির সুবিধা প্রদান করি। দ্রুত কার্ড ইস্যু, ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার এবং মোবাইল অ্যাপে সহজ তথ্য অ্যাকসেসের সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন উৎসব অফার, কো-ব্র্যান্ড কার্ড এবং ১৫০০+ এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে প্রবেশের সুবিধা থাকায় আমাদের কার্ডের চাহিদা বাড়ছে।
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কীভাবে আলাদা বা বিশেষ সুবিধা প্রদান করে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস, কম লেনদেন ও বার্ষিক ফি, কন্টাক্টলেস সুবিধা এবং উন্নত সুরক্ষা যেমন ওটিপি ও ফ্রড ডিটেকশন রয়েছে। ব্যবহারবান্ধব মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার সেবা গ্রাহকদের নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
দেশে ক্রেডিট কার্ডধারীদের মধ্যে কোন ধরনের লেনদেন প্রবণতা বেশি দেখা যায়?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ডধারীরা ফ্যাশন, ইলেকট্রনিকস, গৃহসজ্জা, দৈনন্দিন পণ্য, রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, হোটেল ও ভ্রমণ বুকিং এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধে বেশি ব্যবহার করেন। ডিজিটালাইজেশন ও অনলাইন সেবার সহজলভ্যতা এই প্রবণতাগুলোকে ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সুদের হার ও ফি-সংক্রান্ত নীতি কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, এটি কি গ্রাহকবান্ধব?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ব্যাংকগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করে, তবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারে না। বেশির ভাগ কার্ডে ৪৫ দিন বিনা সুদে কেনাকাটার সুযোগ থাকে। বার্ষিক ফি, লেট পেমেন্ট ফি এবং ক্যাশ উত্তোলন ফি প্রযোজ্য হতে পারে এবং অনেক কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট বা ক্যাশব্যাক সুবিধা থাকে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ও বিলম্বিত পেমেন্টে ঋণের বোঝা বাড়তে পারে।
গ্রাহককে ব্যাংকের গ্রাহক সেবা বিভাগে অভিযোগ জমা দিতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান ট্র্যাকিং নম্বর দেয়, যা দিয়ে অভিযোগের অবস্থা ট্র্যাক করা যায়। সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এবং ৩০-৪৫ দিন পর সম্পূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ক্রেডিট কার্ডসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং ব্যাংকগুলোকে ফি, সুদের হার এবং শর্তাবলি সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কতটা নিরাপদ?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংক লেনদেনের নিরাপত্তায় পিসিআই-ডিএসএস এবং আইএসও ২৭০০৩২ কমপ্লায়েন্ট। অনলাইন ট্রানজেকশনে ডেটা এনক্রিপশন ও দুই-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহৃত হয়। লেনদেন রিয়েল-টাইমে মনিটর করা হয় এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা টিপস দেওয়া হয়। সন্দেহজনক লেনদেন হলে ২৪/৭ সেবা হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

যেসব গ্রাহক প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ড নিতে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে ক্রেডিট অবস্থা ও আয়প্রবাহ চেক করুন। সঠিক কার্ড নির্বাচন করে সুদ, ফি এবং অফার বুঝে ব্যবহার করুন। ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম না করার চেষ্টা করুন, সময়মতো পেমেন্ট করুন এবং অটো পেমেন্ট সেট আপ করুন।
ঢাকা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ভবিষ্যতে কী ধরনের নতুন উদ্ভাবন বা প্রযুক্তি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ড সুরক্ষা বাড়াতে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন, এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় প্যাটার্ন বিশ্লেষণ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। ঢাকা ব্যাংক তাদের মোবাইল অ্যাপে এআই-ভিত্তিক গ্রাহকসেবা এবং চ্যাটবট সংযুক্ত করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই শতাব্দীর শুরুতে বললেন, নতুন শতাব্দীতে ঢাকা হবে বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থান। মন্তব্যটি নিয়ে পদে–বিপদে তখন বেশ আলোচনা হয়। বাংলাদেশেরও অনেকে খানিকটা হাস্যরস মিশিয়ে বলেন, সুনীলদা কি আতিথেয়তা আরও একটু বেশি চান নাকি! সে সময় শামসুর রাহমান থেকে রফিক আজাদ, বেলাল চৌধু
২৯ জুন ২০২১
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার জয়নাল আবেদীন খান।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

মাস্টারকার্ডের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: আমরা বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করি, যখন বিশ্বে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছিল। ১৯৯৭ সালে এএনজেড গ্রিনলেজ (পরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) ব্যাংকের সঙ্গে মিলে দেশে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করি, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও ই-কমার্স খাতকে লক্ষ্য রেখে প্রথম অফিস চালু করা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের বিকাশের সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্টের চাহিদা বেড়েছে, যেখানে মাস্টারকার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
গ্রাহকসেবার মান নিয়ে কিছু বলুন।
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় সর্বোচ্চ মানের গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করে, যাতে নিরাপদ ও সহজ লেনদেন সম্ভব হয়। আমাদের উদ্ভাবনী সলিউশন গ্রাহকদের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যক্রম সহজ করে, বিশেষ করে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট দ্রুত ও নিরাপদ অভিজ্ঞতা দেয়। কোভিড মহামারির সময় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাস্টারকার্ড সরাসরি কার্ড ইস্যু না করে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়।
গ্রাহকের আস্থা অর্জনে কতটা সফল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে মাস্টারকার্ড আশাতীত সফল হয়েছে, যা প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। কারণ, আমাদের টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি কার্ড তথ্য সুরক্ষিত রাখে, আর নানা অফার ও সুবিধা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে সম্পর্ক মজবুত করে। গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে আমরা নিরন্তর কাজ করছি।
দেশি ও বিদেশি গ্রাহকদের সেবায় কি কোনো পার্থক্য আছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী একই মানের সেবা নিশ্চিত করে। তবে অফারগুলো দেশের বাজার ও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশে আর্থিক নীতিমালা ও বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে সেবাগুলো নির্ধারিত হয়।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের বিশেষত্ব কী?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড ব্যবহারের জনপ্রিয়তা কেন বাড়ছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার, উন্নত নিরাপত্তা, রিওয়ার্ড ও অফার এবং ই-কমার্সের বিকাশের কারণে। নগদ লেনদেনের বদলে ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি, যেখানে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়েছে এবং বিভিন্ন রিওয়ার্ড ও ডিসকাউন্ট তাঁদের নিয়মিত লেনদেনে সুবিধা দিচ্ছে। ই-কমার্সের প্রসারও মাস্টারকার্ড ব্যবহারের চাহিদা বাড়ার একটি বড় কারণ, যা অনলাইন কেনাকাটায় নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করে।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ কী অফার রয়েছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সারা বছর গ্রাহকদের জন্য নানা অফার ও সুবিধা দেয়, যা কেনাকাটা ও লেনদেনকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তোলে। ঈদ, পূজা, ক্রিসমাসসহ বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ ছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার থাকে। এবার পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ৪০টি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের ১৭৫টির বেশি আউটলেটে ২৫ শতাংশ ছাড়, ৫০টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বোগো অফার, ট্রাভেল প্যাকেজে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ইলেকট্রনিকসে অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। দেশের ৯০০০+ মার্চেন্ট আউটলেটে বিশেষ পেমেন্ট সুবিধাও মিলছে, যা গ্রাহকদের কেনাকাটার আনন্দ বাড়াবে।
ভবিষ্যতে মাস্টারকার্ডের নতুন কোনো অভিনব সেবা আসছে কি?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় নতুন সেবা যোগ করে আসছে, যেমন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট। ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সলিউশন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন এআই প্রযুক্তি দিয়ে লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়ানো ও ফ্রড শনাক্তকরণ। ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট ও রেমিট্যান্স সেবায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা আনা এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সলিউশন বাড়ানো লক্ষ্য। এসব উদ্যোগ মাস্টারকার্ডকে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও খবর পড়ুন:

মাস্টারকার্ডের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: আমরা বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করি, যখন বিশ্বে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছিল। ১৯৯৭ সালে এএনজেড গ্রিনলেজ (পরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) ব্যাংকের সঙ্গে মিলে দেশে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করি, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও ই-কমার্স খাতকে লক্ষ্য রেখে প্রথম অফিস চালু করা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের বিকাশের সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্টের চাহিদা বেড়েছে, যেখানে মাস্টারকার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
গ্রাহকসেবার মান নিয়ে কিছু বলুন।
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় সর্বোচ্চ মানের গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করে, যাতে নিরাপদ ও সহজ লেনদেন সম্ভব হয়। আমাদের উদ্ভাবনী সলিউশন গ্রাহকদের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যক্রম সহজ করে, বিশেষ করে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট দ্রুত ও নিরাপদ অভিজ্ঞতা দেয়। কোভিড মহামারির সময় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাস্টারকার্ড সরাসরি কার্ড ইস্যু না করে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়।
গ্রাহকের আস্থা অর্জনে কতটা সফল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে মাস্টারকার্ড আশাতীত সফল হয়েছে, যা প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। কারণ, আমাদের টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি কার্ড তথ্য সুরক্ষিত রাখে, আর নানা অফার ও সুবিধা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে সম্পর্ক মজবুত করে। গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে আমরা নিরন্তর কাজ করছি।
দেশি ও বিদেশি গ্রাহকদের সেবায় কি কোনো পার্থক্য আছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী একই মানের সেবা নিশ্চিত করে। তবে অফারগুলো দেশের বাজার ও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশে আর্থিক নীতিমালা ও বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে সেবাগুলো নির্ধারিত হয়।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের বিশেষত্ব কী?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড ব্যবহারের জনপ্রিয়তা কেন বাড়ছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার, উন্নত নিরাপত্তা, রিওয়ার্ড ও অফার এবং ই-কমার্সের বিকাশের কারণে। নগদ লেনদেনের বদলে ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি, যেখানে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়েছে এবং বিভিন্ন রিওয়ার্ড ও ডিসকাউন্ট তাঁদের নিয়মিত লেনদেনে সুবিধা দিচ্ছে। ই-কমার্সের প্রসারও মাস্টারকার্ড ব্যবহারের চাহিদা বাড়ার একটি বড় কারণ, যা অনলাইন কেনাকাটায় নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করে।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ কী অফার রয়েছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সারা বছর গ্রাহকদের জন্য নানা অফার ও সুবিধা দেয়, যা কেনাকাটা ও লেনদেনকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তোলে। ঈদ, পূজা, ক্রিসমাসসহ বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ ছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার থাকে। এবার পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ৪০টি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের ১৭৫টির বেশি আউটলেটে ২৫ শতাংশ ছাড়, ৫০টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বোগো অফার, ট্রাভেল প্যাকেজে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ইলেকট্রনিকসে অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। দেশের ৯০০০+ মার্চেন্ট আউটলেটে বিশেষ পেমেন্ট সুবিধাও মিলছে, যা গ্রাহকদের কেনাকাটার আনন্দ বাড়াবে।
ভবিষ্যতে মাস্টারকার্ডের নতুন কোনো অভিনব সেবা আসছে কি?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় নতুন সেবা যোগ করে আসছে, যেমন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট। ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সলিউশন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন এআই প্রযুক্তি দিয়ে লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়ানো ও ফ্রড শনাক্তকরণ। ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট ও রেমিট্যান্স সেবায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা আনা এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সলিউশন বাড়ানো লক্ষ্য। এসব উদ্যোগ মাস্টারকার্ডকে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও খবর পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই শতাব্দীর শুরুতে বললেন, নতুন শতাব্দীতে ঢাকা হবে বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থান। মন্তব্যটি নিয়ে পদে–বিপদে তখন বেশ আলোচনা হয়। বাংলাদেশেরও অনেকে খানিকটা হাস্যরস মিশিয়ে বলেন, সুনীলদা কি আতিথেয়তা আরও একটু বেশি চান নাকি! সে সময় শামসুর রাহমান থেকে রফিক আজাদ, বেলাল চৌধু
২৯ জুন ২০২১
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫