আজকের পত্রিকা ডেস্ক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল এবং সাজু মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, হলটি দৈনিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জেলা পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ দিনের ভাড়া অগ্রিম দিয়েছিলেন। শুরু থেকে একটি মহল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরোধিতায় নামে। প্রচার–প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে গতকাল সন্ধ্যা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এ নিয়ে আজ বুধবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আয়োজক কামরুজ্জমান সাইফুল। তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি মোহাম্মদ কামরুজ্জমান সাইফুল দীর্ঘদিন থেকে ফিল্ম মার্কেটিং এবং ফিল্ম অফস্ক্রিন অ্যাডভার্টাইজিং এর সাথে জড়িত। এ কারনে চলচ্চিত্রের প্রতি আমার এক ধরনের ভালোবাসা আছে। যেহেতু টাঙ্গাইল শহরে কোন সিনেমা হলে নেই সে কারনে আমরা উভয়ে মিলে ঈদুল আযহা উপলক্ষে তান্ডব ছবিটি অস্থায়ী প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করি। টাঙ্গাইল শহরের ভেতরে কোন অডিটোরিয়াম খালি না থাকায় ‘জেলা পরিষদের’ মালিকানাধীন কালিহাতী থানার অন্তর্গত আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়ামটি যথাযথ নিয়মে ১ মাসের জন্য ভাড়া নেই।
ঈদের দিন থেকে সিনেমা চালানোর জন্য প্রচারণা এবং অডিটোরিয়ামটি প্রস্তুত করতে থাকি। এর মধ্যে আমরা খবর পাই ঈদের আগের দিন স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো থেকে অডিটোরিয়ামে তান্ডব চালানো বন্ধ করার জন্য মাইকে ঘোষণা হয়েছে এবং সমস্ত পোস্টার ও ব্যনার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর আলেম সমাজ বা ওলামা পরিষদ নামে একটি মিছিল বের হয়। ঘটনাটি ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে করে স্থানীয় জনগণের ভেতরে আশংকা তৈরি হয় যে অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঈদের দিন অডিটোরিয়াম ঘেরাও হতে পারে এরকম সংবাদ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। চারিদিকে আতঙ্কিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলাফল ঈদের দিন অডিটোরিয়ামটিতে কোন দর্শক আসেনি। সঠিক সময়ে আশে পাশের এলাকার দর্শক না আসায় দূরের দর্শক অডিটোরিয়ামের সামনে দিয়ে এসেও ঘুরে যেতে থাকে। তবুও একপ্রকার অনন্যোপায় হয়েই মাত্র ২০ / ২৫ জন দর্শক নিয়েই সন্ধ্যার শো টি চালু করে দেয়া হয়।
পরের দিন আলেম সমাজ আউলিয়াবাদ বাজারসহ আশেপাশের এলাকা থেকে সিনেমা হল বন্ধ করার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করে। আমরা ঈদের আগেই স্থানীয় থানায় পুলিশি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এলাকার থমথমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থানায় যোগাযোগ করা হলে আলেম সমাজের কথা শুনে কার্যত থানা থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়না। টাঙ্গাইল ডিএসবি এবং এসপি অফিসে যোগাযোগ করার পর ঈদের বন্ধের অযুহাতে নিরাপত্তা না দিয়ে পাশ কাটিয়ে দেয়া হয়। এভাবে সব জায়গাথেকে চেষ্টা করেও আমাদের প্রশসানিক সহায়তা পেতে ব্যর্থ হতে হয়। এমতাবস্থায় শত বাধা সত্বেও ঈদের পরের দিন অডিটোরিয়াম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেই। সেদিন মিছিল না হলেও আলেম সমাজের সমাবেশ ঘটে। জানা যায় শুধুমাত্র আউলিয়াবাদ নয় আলেম সমাজ সারা টাঙ্গাইল শহরে সর্বদলীয় মিছিল সমাবেশ করার আহŸান করা হয়েছে। উপরন্তু সহায়তা প্রদান না করে থানা, উপজেলা, জেলা পরিষদ তদুপারি ডিএসবি অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়, এই বিষয় নিয়ে মিটিং মিছিল হলে পারমিশন ক্যানসেল করে দেয়া হবে। প্রায় সবাই আমাকে নেগোশিয়েট করার পরামর্শ দেয়। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনও সংস্কৃতিপ্রেমী হলেও তারা এরকম ধর্মীয় সেনসিটিভ ইস্যূ নিয়ে আলেম সমাজের মতের বাইরে কথা বলতে চায়না। তবুও আলেম সমাজের সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেল এক শর্তে তারা কেউ কোন কথা বলবেনা শুধুমাত্র আমাকেই যা বলার বলতে হবে।
আমি হাত জোড় করে মাফ চেয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ের আর্জি জানালাম। আলেম সমাজ অনড়। আমাকে কালই চলে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না চলে যাবো ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কার্যক্রম চলতেই থাকবে। অত্র এলাকায় প্রচারণার জন্য মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। অডিটোরিয়ামে থাকা সমস্ত কর্মীকে ভেতরে অবরোধ করে রাখার হুমকি দেয়া হয়। এতে করে অত্র এলাকায় একটি আতঙ্কিত ও থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আরো গুঞ্জন শোনা যায় অডিটোরিয়ামের বাইরে বের হলেই আমাদের উপর হামলা হতে পারে। ইতোমধ্যে আমাদের অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি অডিটোরিয়াম থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেললে কার্যত হলটি বন্ধ হয়ে যায়।
অত্র এলাকায় আমাকে ‘নাস্তিক’ ‘মুরতাদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে করে আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তহীনতায় ভুগতে থাকি। এমতাবস্থায় আমরা নিজেদের জান মাল রক্ষোর্থে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে রাতের আধারে চলে আসতে বাধ্য হই।
চলচ্চিত্র হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম গণমাধ্যম। এর নির্মাণ আয়োজন যেমন বিশাল তেমনই প্রদর্শনের জন্য দরকার পড়ে ব্যাপক প্রস্তুতির। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের সিনেমা একটা বড় আনন্দ ও বিনোদনেরই অংশবিশেষ। ঈদের সময় মানুষ দীর্ঘ সারি পেরিয়ে সিনেমা হলে যায়। অনেক হলে এসি নেই। একে তো লোকে লোকারণ্য তার উপর আবার নড়বড়ে ফ্যান। ঘামে সারা গা জবজব করে। এতসব মেনে নিয়েও মানুষ সিনেমা দেখে। বিনোদন পেতে চায়। আর তাইতো ঈদের সময় বড় বড় তারকা সম্বলিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। প্রযোজকের লগ্নি উঠে আসে। এক সময় আমাদের ১৪০০ এর ও বেশি নিয়মিত সিনেমা হল ছিলো। কমতে কমতে এখন ৭০ / ৮০টি নিয়মিত এবংদেড় শতাধিকের মতো সিনেমা হল হিসেবে টিকে আছে। সরকার যদি অপশক্তির কাছে ভয় পায় তাহলে অচিরেই সিনেমা হল শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়াম মানেই এ দেশের যেকোন সিনেমা হল। শুধুমাত্র আলেম সমাজের বাঁধার কারনে এখান থেকে তান্ডব সরিয়ে নেয়া মানে পুরো তান্ডবের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সাথেই এমন ধর্মীয় ধুয়ো তুলে আঘাত হানা। এ কারনেই শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সমিতির প্রতিবাদ করতে হবে। সাংবাদিকদের কলম তুলতে হবে। নইলে আজ আমাকে ধ্বংস করেছে কাল সবাইকে এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আউলিয়াবাদের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সারাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং তান্ডব প্রযোজনা পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ও তদসংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই একটা অশনী সংকেত! আজ আমি ধ্বসপ্রাপ্ত এবং ক্লান্ত। আমার ব্যর্থতার সমস্ত দায়ভার আমার উপর নিয়ে শিল্প সংস্কৃতির উপর যে আঘাত হানা হয়ে তার বিচারের দায়ভার জাতীর উপর দিয়ে ভারমুক্ত হলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল এবং সাজু মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, হলটি দৈনিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জেলা পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ দিনের ভাড়া অগ্রিম দিয়েছিলেন। শুরু থেকে একটি মহল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরোধিতায় নামে। প্রচার–প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে গতকাল সন্ধ্যা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এ নিয়ে আজ বুধবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আয়োজক কামরুজ্জমান সাইফুল। তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি মোহাম্মদ কামরুজ্জমান সাইফুল দীর্ঘদিন থেকে ফিল্ম মার্কেটিং এবং ফিল্ম অফস্ক্রিন অ্যাডভার্টাইজিং এর সাথে জড়িত। এ কারনে চলচ্চিত্রের প্রতি আমার এক ধরনের ভালোবাসা আছে। যেহেতু টাঙ্গাইল শহরে কোন সিনেমা হলে নেই সে কারনে আমরা উভয়ে মিলে ঈদুল আযহা উপলক্ষে তান্ডব ছবিটি অস্থায়ী প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করি। টাঙ্গাইল শহরের ভেতরে কোন অডিটোরিয়াম খালি না থাকায় ‘জেলা পরিষদের’ মালিকানাধীন কালিহাতী থানার অন্তর্গত আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়ামটি যথাযথ নিয়মে ১ মাসের জন্য ভাড়া নেই।
ঈদের দিন থেকে সিনেমা চালানোর জন্য প্রচারণা এবং অডিটোরিয়ামটি প্রস্তুত করতে থাকি। এর মধ্যে আমরা খবর পাই ঈদের আগের দিন স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো থেকে অডিটোরিয়ামে তান্ডব চালানো বন্ধ করার জন্য মাইকে ঘোষণা হয়েছে এবং সমস্ত পোস্টার ও ব্যনার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর আলেম সমাজ বা ওলামা পরিষদ নামে একটি মিছিল বের হয়। ঘটনাটি ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে করে স্থানীয় জনগণের ভেতরে আশংকা তৈরি হয় যে অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঈদের দিন অডিটোরিয়াম ঘেরাও হতে পারে এরকম সংবাদ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। চারিদিকে আতঙ্কিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলাফল ঈদের দিন অডিটোরিয়ামটিতে কোন দর্শক আসেনি। সঠিক সময়ে আশে পাশের এলাকার দর্শক না আসায় দূরের দর্শক অডিটোরিয়ামের সামনে দিয়ে এসেও ঘুরে যেতে থাকে। তবুও একপ্রকার অনন্যোপায় হয়েই মাত্র ২০ / ২৫ জন দর্শক নিয়েই সন্ধ্যার শো টি চালু করে দেয়া হয়।
পরের দিন আলেম সমাজ আউলিয়াবাদ বাজারসহ আশেপাশের এলাকা থেকে সিনেমা হল বন্ধ করার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করে। আমরা ঈদের আগেই স্থানীয় থানায় পুলিশি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এলাকার থমথমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থানায় যোগাযোগ করা হলে আলেম সমাজের কথা শুনে কার্যত থানা থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়না। টাঙ্গাইল ডিএসবি এবং এসপি অফিসে যোগাযোগ করার পর ঈদের বন্ধের অযুহাতে নিরাপত্তা না দিয়ে পাশ কাটিয়ে দেয়া হয়। এভাবে সব জায়গাথেকে চেষ্টা করেও আমাদের প্রশসানিক সহায়তা পেতে ব্যর্থ হতে হয়। এমতাবস্থায় শত বাধা সত্বেও ঈদের পরের দিন অডিটোরিয়াম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেই। সেদিন মিছিল না হলেও আলেম সমাজের সমাবেশ ঘটে। জানা যায় শুধুমাত্র আউলিয়াবাদ নয় আলেম সমাজ সারা টাঙ্গাইল শহরে সর্বদলীয় মিছিল সমাবেশ করার আহŸান করা হয়েছে। উপরন্তু সহায়তা প্রদান না করে থানা, উপজেলা, জেলা পরিষদ তদুপারি ডিএসবি অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়, এই বিষয় নিয়ে মিটিং মিছিল হলে পারমিশন ক্যানসেল করে দেয়া হবে। প্রায় সবাই আমাকে নেগোশিয়েট করার পরামর্শ দেয়। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনও সংস্কৃতিপ্রেমী হলেও তারা এরকম ধর্মীয় সেনসিটিভ ইস্যূ নিয়ে আলেম সমাজের মতের বাইরে কথা বলতে চায়না। তবুও আলেম সমাজের সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেল এক শর্তে তারা কেউ কোন কথা বলবেনা শুধুমাত্র আমাকেই যা বলার বলতে হবে।
আমি হাত জোড় করে মাফ চেয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ের আর্জি জানালাম। আলেম সমাজ অনড়। আমাকে কালই চলে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না চলে যাবো ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কার্যক্রম চলতেই থাকবে। অত্র এলাকায় প্রচারণার জন্য মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। অডিটোরিয়ামে থাকা সমস্ত কর্মীকে ভেতরে অবরোধ করে রাখার হুমকি দেয়া হয়। এতে করে অত্র এলাকায় একটি আতঙ্কিত ও থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আরো গুঞ্জন শোনা যায় অডিটোরিয়ামের বাইরে বের হলেই আমাদের উপর হামলা হতে পারে। ইতোমধ্যে আমাদের অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি অডিটোরিয়াম থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেললে কার্যত হলটি বন্ধ হয়ে যায়।
অত্র এলাকায় আমাকে ‘নাস্তিক’ ‘মুরতাদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে করে আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তহীনতায় ভুগতে থাকি। এমতাবস্থায় আমরা নিজেদের জান মাল রক্ষোর্থে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে রাতের আধারে চলে আসতে বাধ্য হই।
চলচ্চিত্র হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম গণমাধ্যম। এর নির্মাণ আয়োজন যেমন বিশাল তেমনই প্রদর্শনের জন্য দরকার পড়ে ব্যাপক প্রস্তুতির। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের সিনেমা একটা বড় আনন্দ ও বিনোদনেরই অংশবিশেষ। ঈদের সময় মানুষ দীর্ঘ সারি পেরিয়ে সিনেমা হলে যায়। অনেক হলে এসি নেই। একে তো লোকে লোকারণ্য তার উপর আবার নড়বড়ে ফ্যান। ঘামে সারা গা জবজব করে। এতসব মেনে নিয়েও মানুষ সিনেমা দেখে। বিনোদন পেতে চায়। আর তাইতো ঈদের সময় বড় বড় তারকা সম্বলিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। প্রযোজকের লগ্নি উঠে আসে। এক সময় আমাদের ১৪০০ এর ও বেশি নিয়মিত সিনেমা হল ছিলো। কমতে কমতে এখন ৭০ / ৮০টি নিয়মিত এবংদেড় শতাধিকের মতো সিনেমা হল হিসেবে টিকে আছে। সরকার যদি অপশক্তির কাছে ভয় পায় তাহলে অচিরেই সিনেমা হল শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়াম মানেই এ দেশের যেকোন সিনেমা হল। শুধুমাত্র আলেম সমাজের বাঁধার কারনে এখান থেকে তান্ডব সরিয়ে নেয়া মানে পুরো তান্ডবের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সাথেই এমন ধর্মীয় ধুয়ো তুলে আঘাত হানা। এ কারনেই শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সমিতির প্রতিবাদ করতে হবে। সাংবাদিকদের কলম তুলতে হবে। নইলে আজ আমাকে ধ্বংস করেছে কাল সবাইকে এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আউলিয়াবাদের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সারাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং তান্ডব প্রযোজনা পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ও তদসংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই একটা অশনী সংকেত! আজ আমি ধ্বসপ্রাপ্ত এবং ক্লান্ত। আমার ব্যর্থতার সমস্ত দায়ভার আমার উপর নিয়ে শিল্প সংস্কৃতির উপর যে আঘাত হানা হয়ে তার বিচারের দায়ভার জাতীর উপর দিয়ে ভারমুক্ত হলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল এবং সাজু মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, হলটি দৈনিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জেলা পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ দিনের ভাড়া অগ্রিম দিয়েছিলেন। শুরু থেকে একটি মহল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরোধিতায় নামে। প্রচার–প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে গতকাল সন্ধ্যা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এ নিয়ে আজ বুধবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আয়োজক কামরুজ্জমান সাইফুল। তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি মোহাম্মদ কামরুজ্জমান সাইফুল দীর্ঘদিন থেকে ফিল্ম মার্কেটিং এবং ফিল্ম অফস্ক্রিন অ্যাডভার্টাইজিং এর সাথে জড়িত। এ কারনে চলচ্চিত্রের প্রতি আমার এক ধরনের ভালোবাসা আছে। যেহেতু টাঙ্গাইল শহরে কোন সিনেমা হলে নেই সে কারনে আমরা উভয়ে মিলে ঈদুল আযহা উপলক্ষে তান্ডব ছবিটি অস্থায়ী প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করি। টাঙ্গাইল শহরের ভেতরে কোন অডিটোরিয়াম খালি না থাকায় ‘জেলা পরিষদের’ মালিকানাধীন কালিহাতী থানার অন্তর্গত আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়ামটি যথাযথ নিয়মে ১ মাসের জন্য ভাড়া নেই।
ঈদের দিন থেকে সিনেমা চালানোর জন্য প্রচারণা এবং অডিটোরিয়ামটি প্রস্তুত করতে থাকি। এর মধ্যে আমরা খবর পাই ঈদের আগের দিন স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো থেকে অডিটোরিয়ামে তান্ডব চালানো বন্ধ করার জন্য মাইকে ঘোষণা হয়েছে এবং সমস্ত পোস্টার ও ব্যনার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর আলেম সমাজ বা ওলামা পরিষদ নামে একটি মিছিল বের হয়। ঘটনাটি ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে করে স্থানীয় জনগণের ভেতরে আশংকা তৈরি হয় যে অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঈদের দিন অডিটোরিয়াম ঘেরাও হতে পারে এরকম সংবাদ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। চারিদিকে আতঙ্কিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলাফল ঈদের দিন অডিটোরিয়ামটিতে কোন দর্শক আসেনি। সঠিক সময়ে আশে পাশের এলাকার দর্শক না আসায় দূরের দর্শক অডিটোরিয়ামের সামনে দিয়ে এসেও ঘুরে যেতে থাকে। তবুও একপ্রকার অনন্যোপায় হয়েই মাত্র ২০ / ২৫ জন দর্শক নিয়েই সন্ধ্যার শো টি চালু করে দেয়া হয়।
পরের দিন আলেম সমাজ আউলিয়াবাদ বাজারসহ আশেপাশের এলাকা থেকে সিনেমা হল বন্ধ করার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করে। আমরা ঈদের আগেই স্থানীয় থানায় পুলিশি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এলাকার থমথমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থানায় যোগাযোগ করা হলে আলেম সমাজের কথা শুনে কার্যত থানা থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়না। টাঙ্গাইল ডিএসবি এবং এসপি অফিসে যোগাযোগ করার পর ঈদের বন্ধের অযুহাতে নিরাপত্তা না দিয়ে পাশ কাটিয়ে দেয়া হয়। এভাবে সব জায়গাথেকে চেষ্টা করেও আমাদের প্রশসানিক সহায়তা পেতে ব্যর্থ হতে হয়। এমতাবস্থায় শত বাধা সত্বেও ঈদের পরের দিন অডিটোরিয়াম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেই। সেদিন মিছিল না হলেও আলেম সমাজের সমাবেশ ঘটে। জানা যায় শুধুমাত্র আউলিয়াবাদ নয় আলেম সমাজ সারা টাঙ্গাইল শহরে সর্বদলীয় মিছিল সমাবেশ করার আহŸান করা হয়েছে। উপরন্তু সহায়তা প্রদান না করে থানা, উপজেলা, জেলা পরিষদ তদুপারি ডিএসবি অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়, এই বিষয় নিয়ে মিটিং মিছিল হলে পারমিশন ক্যানসেল করে দেয়া হবে। প্রায় সবাই আমাকে নেগোশিয়েট করার পরামর্শ দেয়। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনও সংস্কৃতিপ্রেমী হলেও তারা এরকম ধর্মীয় সেনসিটিভ ইস্যূ নিয়ে আলেম সমাজের মতের বাইরে কথা বলতে চায়না। তবুও আলেম সমাজের সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেল এক শর্তে তারা কেউ কোন কথা বলবেনা শুধুমাত্র আমাকেই যা বলার বলতে হবে।
আমি হাত জোড় করে মাফ চেয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ের আর্জি জানালাম। আলেম সমাজ অনড়। আমাকে কালই চলে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না চলে যাবো ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কার্যক্রম চলতেই থাকবে। অত্র এলাকায় প্রচারণার জন্য মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। অডিটোরিয়ামে থাকা সমস্ত কর্মীকে ভেতরে অবরোধ করে রাখার হুমকি দেয়া হয়। এতে করে অত্র এলাকায় একটি আতঙ্কিত ও থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আরো গুঞ্জন শোনা যায় অডিটোরিয়ামের বাইরে বের হলেই আমাদের উপর হামলা হতে পারে। ইতোমধ্যে আমাদের অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি অডিটোরিয়াম থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেললে কার্যত হলটি বন্ধ হয়ে যায়।
অত্র এলাকায় আমাকে ‘নাস্তিক’ ‘মুরতাদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে করে আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তহীনতায় ভুগতে থাকি। এমতাবস্থায় আমরা নিজেদের জান মাল রক্ষোর্থে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে রাতের আধারে চলে আসতে বাধ্য হই।
চলচ্চিত্র হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম গণমাধ্যম। এর নির্মাণ আয়োজন যেমন বিশাল তেমনই প্রদর্শনের জন্য দরকার পড়ে ব্যাপক প্রস্তুতির। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের সিনেমা একটা বড় আনন্দ ও বিনোদনেরই অংশবিশেষ। ঈদের সময় মানুষ দীর্ঘ সারি পেরিয়ে সিনেমা হলে যায়। অনেক হলে এসি নেই। একে তো লোকে লোকারণ্য তার উপর আবার নড়বড়ে ফ্যান। ঘামে সারা গা জবজব করে। এতসব মেনে নিয়েও মানুষ সিনেমা দেখে। বিনোদন পেতে চায়। আর তাইতো ঈদের সময় বড় বড় তারকা সম্বলিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। প্রযোজকের লগ্নি উঠে আসে। এক সময় আমাদের ১৪০০ এর ও বেশি নিয়মিত সিনেমা হল ছিলো। কমতে কমতে এখন ৭০ / ৮০টি নিয়মিত এবংদেড় শতাধিকের মতো সিনেমা হল হিসেবে টিকে আছে। সরকার যদি অপশক্তির কাছে ভয় পায় তাহলে অচিরেই সিনেমা হল শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়াম মানেই এ দেশের যেকোন সিনেমা হল। শুধুমাত্র আলেম সমাজের বাঁধার কারনে এখান থেকে তান্ডব সরিয়ে নেয়া মানে পুরো তান্ডবের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সাথেই এমন ধর্মীয় ধুয়ো তুলে আঘাত হানা। এ কারনেই শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সমিতির প্রতিবাদ করতে হবে। সাংবাদিকদের কলম তুলতে হবে। নইলে আজ আমাকে ধ্বংস করেছে কাল সবাইকে এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আউলিয়াবাদের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সারাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং তান্ডব প্রযোজনা পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ও তদসংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই একটা অশনী সংকেত! আজ আমি ধ্বসপ্রাপ্ত এবং ক্লান্ত। আমার ব্যর্থতার সমস্ত দায়ভার আমার উপর নিয়ে শিল্প সংস্কৃতির উপর যে আঘাত হানা হয়ে তার বিচারের দায়ভার জাতীর উপর দিয়ে ভারমুক্ত হলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল এবং সাজু মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, হলটি দৈনিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জেলা পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ দিনের ভাড়া অগ্রিম দিয়েছিলেন। শুরু থেকে একটি মহল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরোধিতায় নামে। প্রচার–প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে গতকাল সন্ধ্যা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এ নিয়ে আজ বুধবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আয়োজক কামরুজ্জমান সাইফুল। তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি মোহাম্মদ কামরুজ্জমান সাইফুল দীর্ঘদিন থেকে ফিল্ম মার্কেটিং এবং ফিল্ম অফস্ক্রিন অ্যাডভার্টাইজিং এর সাথে জড়িত। এ কারনে চলচ্চিত্রের প্রতি আমার এক ধরনের ভালোবাসা আছে। যেহেতু টাঙ্গাইল শহরে কোন সিনেমা হলে নেই সে কারনে আমরা উভয়ে মিলে ঈদুল আযহা উপলক্ষে তান্ডব ছবিটি অস্থায়ী প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করি। টাঙ্গাইল শহরের ভেতরে কোন অডিটোরিয়াম খালি না থাকায় ‘জেলা পরিষদের’ মালিকানাধীন কালিহাতী থানার অন্তর্গত আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়ামটি যথাযথ নিয়মে ১ মাসের জন্য ভাড়া নেই।
ঈদের দিন থেকে সিনেমা চালানোর জন্য প্রচারণা এবং অডিটোরিয়ামটি প্রস্তুত করতে থাকি। এর মধ্যে আমরা খবর পাই ঈদের আগের দিন স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো থেকে অডিটোরিয়ামে তান্ডব চালানো বন্ধ করার জন্য মাইকে ঘোষণা হয়েছে এবং সমস্ত পোস্টার ও ব্যনার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর আলেম সমাজ বা ওলামা পরিষদ নামে একটি মিছিল বের হয়। ঘটনাটি ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে করে স্থানীয় জনগণের ভেতরে আশংকা তৈরি হয় যে অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঈদের দিন অডিটোরিয়াম ঘেরাও হতে পারে এরকম সংবাদ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। চারিদিকে আতঙ্কিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলাফল ঈদের দিন অডিটোরিয়ামটিতে কোন দর্শক আসেনি। সঠিক সময়ে আশে পাশের এলাকার দর্শক না আসায় দূরের দর্শক অডিটোরিয়ামের সামনে দিয়ে এসেও ঘুরে যেতে থাকে। তবুও একপ্রকার অনন্যোপায় হয়েই মাত্র ২০ / ২৫ জন দর্শক নিয়েই সন্ধ্যার শো টি চালু করে দেয়া হয়।
পরের দিন আলেম সমাজ আউলিয়াবাদ বাজারসহ আশেপাশের এলাকা থেকে সিনেমা হল বন্ধ করার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করে। আমরা ঈদের আগেই স্থানীয় থানায় পুলিশি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এলাকার থমথমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থানায় যোগাযোগ করা হলে আলেম সমাজের কথা শুনে কার্যত থানা থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়না। টাঙ্গাইল ডিএসবি এবং এসপি অফিসে যোগাযোগ করার পর ঈদের বন্ধের অযুহাতে নিরাপত্তা না দিয়ে পাশ কাটিয়ে দেয়া হয়। এভাবে সব জায়গাথেকে চেষ্টা করেও আমাদের প্রশসানিক সহায়তা পেতে ব্যর্থ হতে হয়। এমতাবস্থায় শত বাধা সত্বেও ঈদের পরের দিন অডিটোরিয়াম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেই। সেদিন মিছিল না হলেও আলেম সমাজের সমাবেশ ঘটে। জানা যায় শুধুমাত্র আউলিয়াবাদ নয় আলেম সমাজ সারা টাঙ্গাইল শহরে সর্বদলীয় মিছিল সমাবেশ করার আহŸান করা হয়েছে। উপরন্তু সহায়তা প্রদান না করে থানা, উপজেলা, জেলা পরিষদ তদুপারি ডিএসবি অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়, এই বিষয় নিয়ে মিটিং মিছিল হলে পারমিশন ক্যানসেল করে দেয়া হবে। প্রায় সবাই আমাকে নেগোশিয়েট করার পরামর্শ দেয়। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনও সংস্কৃতিপ্রেমী হলেও তারা এরকম ধর্মীয় সেনসিটিভ ইস্যূ নিয়ে আলেম সমাজের মতের বাইরে কথা বলতে চায়না। তবুও আলেম সমাজের সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেল এক শর্তে তারা কেউ কোন কথা বলবেনা শুধুমাত্র আমাকেই যা বলার বলতে হবে।
আমি হাত জোড় করে মাফ চেয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ের আর্জি জানালাম। আলেম সমাজ অনড়। আমাকে কালই চলে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না চলে যাবো ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কার্যক্রম চলতেই থাকবে। অত্র এলাকায় প্রচারণার জন্য মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। অডিটোরিয়ামে থাকা সমস্ত কর্মীকে ভেতরে অবরোধ করে রাখার হুমকি দেয়া হয়। এতে করে অত্র এলাকায় একটি আতঙ্কিত ও থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আরো গুঞ্জন শোনা যায় অডিটোরিয়ামের বাইরে বের হলেই আমাদের উপর হামলা হতে পারে। ইতোমধ্যে আমাদের অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি অডিটোরিয়াম থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেললে কার্যত হলটি বন্ধ হয়ে যায়।
অত্র এলাকায় আমাকে ‘নাস্তিক’ ‘মুরতাদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে করে আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তহীনতায় ভুগতে থাকি। এমতাবস্থায় আমরা নিজেদের জান মাল রক্ষোর্থে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে রাতের আধারে চলে আসতে বাধ্য হই।
চলচ্চিত্র হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম গণমাধ্যম। এর নির্মাণ আয়োজন যেমন বিশাল তেমনই প্রদর্শনের জন্য দরকার পড়ে ব্যাপক প্রস্তুতির। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের সিনেমা একটা বড় আনন্দ ও বিনোদনেরই অংশবিশেষ। ঈদের সময় মানুষ দীর্ঘ সারি পেরিয়ে সিনেমা হলে যায়। অনেক হলে এসি নেই। একে তো লোকে লোকারণ্য তার উপর আবার নড়বড়ে ফ্যান। ঘামে সারা গা জবজব করে। এতসব মেনে নিয়েও মানুষ সিনেমা দেখে। বিনোদন পেতে চায়। আর তাইতো ঈদের সময় বড় বড় তারকা সম্বলিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। প্রযোজকের লগ্নি উঠে আসে। এক সময় আমাদের ১৪০০ এর ও বেশি নিয়মিত সিনেমা হল ছিলো। কমতে কমতে এখন ৭০ / ৮০টি নিয়মিত এবংদেড় শতাধিকের মতো সিনেমা হল হিসেবে টিকে আছে। সরকার যদি অপশক্তির কাছে ভয় পায় তাহলে অচিরেই সিনেমা হল শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়াম মানেই এ দেশের যেকোন সিনেমা হল। শুধুমাত্র আলেম সমাজের বাঁধার কারনে এখান থেকে তান্ডব সরিয়ে নেয়া মানে পুরো তান্ডবের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সাথেই এমন ধর্মীয় ধুয়ো তুলে আঘাত হানা। এ কারনেই শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সমিতির প্রতিবাদ করতে হবে। সাংবাদিকদের কলম তুলতে হবে। নইলে আজ আমাকে ধ্বংস করেছে কাল সবাইকে এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আউলিয়াবাদের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সারাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং তান্ডব প্রযোজনা পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ও তদসংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই একটা অশনী সংকেত! আজ আমি ধ্বসপ্রাপ্ত এবং ক্লান্ত। আমার ব্যর্থতার সমস্ত দায়ভার আমার উপর নিয়ে শিল্প সংস্কৃতির উপর যে আঘাত হানা হয়ে তার বিচারের দায়ভার জাতীর উপর দিয়ে ভারমুক্ত হলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
১৩ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে একদিনে সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কি আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এরকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, "তারেক সাহেব কখন আসবেন এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে, আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্রাফট নিয়ে। সেক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে। "
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। "
এছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সবক্ষেত্রে নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবারে রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তার।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে একদিনে সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কি আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এরকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, "তারেক সাহেব কখন আসবেন এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে, আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্রাফট নিয়ে। সেক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে। "
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। "
এছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সবক্ষেত্রে নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবারে রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তার।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
১১ জুন ২০২৫
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
১৩ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
১১ জুন ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
১১ জুন ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
১৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
১১ জুন ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
১৩ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে