হবিগঞ্জের চুনারুঘাট
সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে প্রকাশ্যে তোলা হচ্ছে বালু। এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা-বাগান, পাহাড়ি ছড়া, সংরক্ষিত বন ও ফসলি জমি, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে রাস্তাঘাটেরও। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালালেও কার্যকর স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেই।
চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি, পঞ্চাশ, ডেউয়াতলী এবং সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের দেওছড়া ও ইছালিয়া ছড়া এলাকা থেকে তোলা হয় বালু। পানছড়ি এলাকার রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে উত্তোলনের ফলে সংরক্ষিত বনটিও পড়েছে ঝুঁকিতে। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসন মামলা করলেও অপরাধীরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও চালিয়ে যাচ্ছে বালুর ব্যবসা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ছাড়াও এসব চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা জড়িত। চক্রগুলো অবৈধভাবে পাচার করছে মূল্যবান সিলিকা বালুও।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে জড়িত স্থানীয় আসমত উল্লার ছেলে আমজত উল্লাহ। একই এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়ার ছেলে ফয়েজ মিয়া, মাহফুজ মিয়া, বাবলু মিয়াসহ কয়েকজন। এ ইউনিয়নের পঞ্চাশ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় নানু মিয়ার ছেলে আসাদ। মহিমাউড়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন একই এলাকার বজলু মিয়া ও শামীম মিয়া। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বালু উত্তোলন করেন এই ব্যক্তিরা। এই বালু শাহপুর সংরক্ষিত বনের ভেতর দিয়ে পাচার করা হয় মাধবপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে। সূত্র জানায়, লালচান চা-বাগান এবং রঘুনন্দন রেঞ্জের কিছু অসাধু বন কর্মকর্তাকে মাসোহারা দিয়ে এই বালু বন ও বাগানের ভেতর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে।
রঘুনন্দন রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন ভূঞা বলেন, ‘যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, সেটি আমাদের সংরক্ষিত বন থেকে ২০০ মিটারের বাইরে। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে উত্তোলন করছে তারা। তবে বনের ভেতর দিয়ে বালু পাচারকালে একাধিক গাড়ি আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। আবারও অভিযান চলবে।’
সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের ইছালিয়া ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করছে আব্দুল হামিদের ছেলে জিতু মিয়া। এই ইউনিয়নের দেওছড়া থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ আছে সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মশরফ আলী কাওসারের বিরুদ্ধে। তবে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এলাকায় বৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ পরিচালনা করি, সরকারি নিয়মকানুন মেনেই সবকিছু চলছে। এলাকায় কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমাদের সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে।’
যদিও সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বিএনপি নেতা শামীম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এলাকায়, বিশেষ করে দারাগাঁও গ্রাম ও চা-বাগান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিগত ১২ বছর হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের প্রভাবে এই অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছিল। এখন দারাগাঁও গ্রাম এবং আশপাশের চা-বাগান মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন। আমি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।’
এ নিয়ে কথা হয় পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন সোহেলের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চুনারুঘাটের পাহাড়ি ছড়া ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে যেভাবে বালু উত্তোলন ও পাচার হচ্ছে, তা পরিবেশের জন্য ভয়ংকর হুমকি। একটি সুস্থ বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার। শুধু মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে বা মামলা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।’

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে প্রকাশ্যে তোলা হচ্ছে বালু। এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা-বাগান, পাহাড়ি ছড়া, সংরক্ষিত বন ও ফসলি জমি, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে রাস্তাঘাটেরও। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালালেও কার্যকর স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেই।
চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি, পঞ্চাশ, ডেউয়াতলী এবং সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের দেওছড়া ও ইছালিয়া ছড়া এলাকা থেকে তোলা হয় বালু। পানছড়ি এলাকার রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে উত্তোলনের ফলে সংরক্ষিত বনটিও পড়েছে ঝুঁকিতে। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসন মামলা করলেও অপরাধীরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও চালিয়ে যাচ্ছে বালুর ব্যবসা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ছাড়াও এসব চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা জড়িত। চক্রগুলো অবৈধভাবে পাচার করছে মূল্যবান সিলিকা বালুও।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে জড়িত স্থানীয় আসমত উল্লার ছেলে আমজত উল্লাহ। একই এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়ার ছেলে ফয়েজ মিয়া, মাহফুজ মিয়া, বাবলু মিয়াসহ কয়েকজন। এ ইউনিয়নের পঞ্চাশ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় নানু মিয়ার ছেলে আসাদ। মহিমাউড়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন একই এলাকার বজলু মিয়া ও শামীম মিয়া। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বালু উত্তোলন করেন এই ব্যক্তিরা। এই বালু শাহপুর সংরক্ষিত বনের ভেতর দিয়ে পাচার করা হয় মাধবপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে। সূত্র জানায়, লালচান চা-বাগান এবং রঘুনন্দন রেঞ্জের কিছু অসাধু বন কর্মকর্তাকে মাসোহারা দিয়ে এই বালু বন ও বাগানের ভেতর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে।
রঘুনন্দন রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন ভূঞা বলেন, ‘যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, সেটি আমাদের সংরক্ষিত বন থেকে ২০০ মিটারের বাইরে। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে উত্তোলন করছে তারা। তবে বনের ভেতর দিয়ে বালু পাচারকালে একাধিক গাড়ি আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। আবারও অভিযান চলবে।’
সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের ইছালিয়া ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করছে আব্দুল হামিদের ছেলে জিতু মিয়া। এই ইউনিয়নের দেওছড়া থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ আছে সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মশরফ আলী কাওসারের বিরুদ্ধে। তবে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এলাকায় বৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ পরিচালনা করি, সরকারি নিয়মকানুন মেনেই সবকিছু চলছে। এলাকায় কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমাদের সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে।’
যদিও সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বিএনপি নেতা শামীম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এলাকায়, বিশেষ করে দারাগাঁও গ্রাম ও চা-বাগান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিগত ১২ বছর হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের প্রভাবে এই অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছিল। এখন দারাগাঁও গ্রাম এবং আশপাশের চা-বাগান মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন। আমি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।’
এ নিয়ে কথা হয় পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন সোহেলের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চুনারুঘাটের পাহাড়ি ছড়া ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে যেভাবে বালু উত্তোলন ও পাচার হচ্ছে, তা পরিবেশের জন্য ভয়ংকর হুমকি। একটি সুস্থ বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার। শুধু মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে বা মামলা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।’

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল আনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই রদবদলের কথা বলা হলেও থানাগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরোনো ওসিদেরই। তাঁদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ করা সার বিক্রয়ে (কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে) ফের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে জব্দ করা সার সরকারি দরে বিক্রি করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহ ২৫ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি শিশু হাসপাতালে নবজাতকের জন্ডিস চিকিৎসায় মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের চারটি ফটোথেরাপি মেশিনের মধ্যে তিনটি গত এক বছর অচল। ফলে সেগুলোর স্থান হয়েছে স্টোর রুমে। মাত্র একটি মেশিনের সাহায্যে হাসপাতালটিতে কোনো রকমে নবজাতকের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পঞ্চগড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত দুটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা বেড়েছে দৃশ্যমানভাবে। কর্মী-সমর্থকদের ব্যস্ততা, গণসংযোগ ও ব্যানার-ফেস্টুনে এখন সরব পুরো জেলা।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল আনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই রদবদলের কথা বলা হলেও থানাগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরোনো ওসিদেরই। তাঁদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল শনিবার সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত আদেশে নগরের ১৬ থানার ওসি পদে রদবদল আনা হয়। এতে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আব্দুল করিমকে পাঁচলাইশে এবং কোতোয়ালির নতুন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বাকলিয়া থানার ওসি মো. আফতাব উদ্দিনকে। এ ছাড়া পাঁচলাইশের ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানকে বাকলিয়া থানায়, সদরঘাট থানার ওসি মো. আব্দুর রহিমকে বন্দর থানায়, বায়েজিদ থানার ওসি জসিম উদ্দিনকে চান্দগাঁও থানায়, চান্দগাঁও থানার ওসি মো. জাহেদুল কবিরকে বায়েজিদ বোস্তামী থানায়, খুলশী থানার ওসি শাহীনুর আলমকে কর্ণফুলী থানায়, ডবলমুরিং থানার ওসি মো. বাবুল আজাদকে চকবাজার থানায়, হালিশহর থানার ওসি মুহাম্মদ নুরুল আবছারকে পাহাড়তলী থানায়, কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম খুলশী থানায়, বন্দর থানার ওসি মোস্তফা আহম্মেদকে পতেঙ্গা থানায়, পতেঙ্গার ওসি কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান উদ্দীনকে হালিশহর থানায়, ইপিজেড থানার ওসি কামরুজ্জামানকে আকবরশাহ থানায় এবং চকবাজার থানার ওসি শফিকুল ইসলামকে পুলিশের বিশেষ শাখা সিটিএসবিতে বদলি করা হয়।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার আমিনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, লটারির মাধ্যমে থানাগুলোর ওসি পদে রদবদল আনা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সিএমপির ১৬টি থানার ওসি পদে পরিবর্তন আনা হয়। সিএমপি ওসি রদবদল প্রক্রিয়ায় সর্বশেষ আদেশে দেখা যায়, রদবদল হওয়া ওসিদের অনেকে গত দেড় বছরে সিএমপির ১৬ থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের মধ্যে পরিদর্শক বাবুল আজাদ, আরিফুর রহমান, আফতাব উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন রয়েছেন।
অভ্যুত্থানের আগে সিএমপি চারটি জোনের (উত্তর, দক্ষিণ, বন্দর ও পশ্চিম) ১৬টি থানার ওসি হিসেবে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সবাইকে সরানো হয় অভ্যুত্থানের পর। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা আদেশে সিএমপির ১৩ থানার ওসি বদলি করা হয় এবং ১০ সেপ্টেম্বর আরেক আদেশে নগর পুলিশের ১৩ উপকমিশনার (ডিসি) এবং দুই ওসি পদে রদবদল করা হয়। ওই মাসেই আরও তিন থানার ওসি পদে রদবদল করা হয়।
ওসিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আগস্টে অভ্যুত্থানের পর গত ১৬ মাসে সিএমপির ১৬টি থানার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত পরিদর্শক বাবুল আজাদ। অভ্যুত্থানের আগে সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) ছিলেন তিনি। অভ্যুত্থানের পর তিনি নগরের পাহাড়তলী থানায় ওসি হিসেবে পদায়ন পান। কয়েক মাসের মাথায় তিনি সিএমপির ডবলমুরিং থানার ওসি হন এবং সর্বশেষ গতকাল বাবুল আজাদকে নগরের চকবাজার থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত বছর ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিককে থানা হাজতে আটকে রেখে মারধর, বিএনপি নেতাকে থানায় এনে নির্যাতন, চাঁদা দাবি ও লুট, মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
গত অক্টোবরে একটি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় মামলা না নিয়ে উল্টো মামলা করতে যাওয়া ব্যক্তিকে আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর এই অভিযোগ তদন্ত করছে। এ ছাড়া এক সপ্তাহ আগে আক্কাস জুয়েল নামে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তারের পর মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। নগরের কয়েকজন ছাড়া অন্য ওসিদের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এভাবে বদলিপ্রক্রিয়া কোন উদ্দেশ্যে, তা জানি না। তবে যাঁরা দায়িত্ববান ও নাগরিকদের জানমালের রক্ষার্থে কাজ করছেন, তাঁরা থাকলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু যাঁদের পেশাদারত্বে ঘাটতিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের একই জায়গায় ঘুরেফিরে রাখার সিদ্ধান্তটি সঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সাধারণ মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল আনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই রদবদলের কথা বলা হলেও থানাগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরোনো ওসিদেরই। তাঁদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল শনিবার সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত আদেশে নগরের ১৬ থানার ওসি পদে রদবদল আনা হয়। এতে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আব্দুল করিমকে পাঁচলাইশে এবং কোতোয়ালির নতুন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বাকলিয়া থানার ওসি মো. আফতাব উদ্দিনকে। এ ছাড়া পাঁচলাইশের ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানকে বাকলিয়া থানায়, সদরঘাট থানার ওসি মো. আব্দুর রহিমকে বন্দর থানায়, বায়েজিদ থানার ওসি জসিম উদ্দিনকে চান্দগাঁও থানায়, চান্দগাঁও থানার ওসি মো. জাহেদুল কবিরকে বায়েজিদ বোস্তামী থানায়, খুলশী থানার ওসি শাহীনুর আলমকে কর্ণফুলী থানায়, ডবলমুরিং থানার ওসি মো. বাবুল আজাদকে চকবাজার থানায়, হালিশহর থানার ওসি মুহাম্মদ নুরুল আবছারকে পাহাড়তলী থানায়, কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম খুলশী থানায়, বন্দর থানার ওসি মোস্তফা আহম্মেদকে পতেঙ্গা থানায়, পতেঙ্গার ওসি কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান উদ্দীনকে হালিশহর থানায়, ইপিজেড থানার ওসি কামরুজ্জামানকে আকবরশাহ থানায় এবং চকবাজার থানার ওসি শফিকুল ইসলামকে পুলিশের বিশেষ শাখা সিটিএসবিতে বদলি করা হয়।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার আমিনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, লটারির মাধ্যমে থানাগুলোর ওসি পদে রদবদল আনা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সিএমপির ১৬টি থানার ওসি পদে পরিবর্তন আনা হয়। সিএমপি ওসি রদবদল প্রক্রিয়ায় সর্বশেষ আদেশে দেখা যায়, রদবদল হওয়া ওসিদের অনেকে গত দেড় বছরে সিএমপির ১৬ থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের মধ্যে পরিদর্শক বাবুল আজাদ, আরিফুর রহমান, আফতাব উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন রয়েছেন।
অভ্যুত্থানের আগে সিএমপি চারটি জোনের (উত্তর, দক্ষিণ, বন্দর ও পশ্চিম) ১৬টি থানার ওসি হিসেবে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সবাইকে সরানো হয় অভ্যুত্থানের পর। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা আদেশে সিএমপির ১৩ থানার ওসি বদলি করা হয় এবং ১০ সেপ্টেম্বর আরেক আদেশে নগর পুলিশের ১৩ উপকমিশনার (ডিসি) এবং দুই ওসি পদে রদবদল করা হয়। ওই মাসেই আরও তিন থানার ওসি পদে রদবদল করা হয়।
ওসিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আগস্টে অভ্যুত্থানের পর গত ১৬ মাসে সিএমপির ১৬টি থানার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত পরিদর্শক বাবুল আজাদ। অভ্যুত্থানের আগে সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) ছিলেন তিনি। অভ্যুত্থানের পর তিনি নগরের পাহাড়তলী থানায় ওসি হিসেবে পদায়ন পান। কয়েক মাসের মাথায় তিনি সিএমপির ডবলমুরিং থানার ওসি হন এবং সর্বশেষ গতকাল বাবুল আজাদকে নগরের চকবাজার থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত বছর ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিককে থানা হাজতে আটকে রেখে মারধর, বিএনপি নেতাকে থানায় এনে নির্যাতন, চাঁদা দাবি ও লুট, মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
গত অক্টোবরে একটি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় মামলা না নিয়ে উল্টো মামলা করতে যাওয়া ব্যক্তিকে আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর এই অভিযোগ তদন্ত করছে। এ ছাড়া এক সপ্তাহ আগে আক্কাস জুয়েল নামে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তারের পর মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। নগরের কয়েকজন ছাড়া অন্য ওসিদের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এভাবে বদলিপ্রক্রিয়া কোন উদ্দেশ্যে, তা জানি না। তবে যাঁরা দায়িত্ববান ও নাগরিকদের জানমালের রক্ষার্থে কাজ করছেন, তাঁরা থাকলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু যাঁদের পেশাদারত্বে ঘাটতিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের একই জায়গায় ঘুরেফিরে রাখার সিদ্ধান্তটি সঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সাধারণ মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে প্রকাশ্যে তোলা হচ্ছে বালু। এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা-বাগান, পাহাড়ি ছড়া, সংরক্ষিত বন ও ফসলি জমি, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে রাস্তাঘাটেরও। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধে
০৭ এপ্রিল ২০২৫
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ করা সার বিক্রয়ে (কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে) ফের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে জব্দ করা সার সরকারি দরে বিক্রি করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহ ২৫ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি শিশু হাসপাতালে নবজাতকের জন্ডিস চিকিৎসায় মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের চারটি ফটোথেরাপি মেশিনের মধ্যে তিনটি গত এক বছর অচল। ফলে সেগুলোর স্থান হয়েছে স্টোর রুমে। মাত্র একটি মেশিনের সাহায্যে হাসপাতালটিতে কোনো রকমে নবজাতকের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পঞ্চগড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত দুটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা বেড়েছে দৃশ্যমানভাবে। কর্মী-সমর্থকদের ব্যস্ততা, গণসংযোগ ও ব্যানার-ফেস্টুনে এখন সরব পুরো জেলা।
৫ ঘণ্টা আগেআজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ করা সার বিক্রয়ে (কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে) ফের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে জব্দ করা সার সরকারি দরে বিক্রি করতে হবে।
কিন্তু স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, যোগসাজশে এসব সার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, কবে এবং কীভাবে জব্দ করা সার বিক্রি হলো, এ সম্পর্কে তাঁদের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। সার বিক্রিতে স্বচ্ছতার ঘাটতি থাকায় ইউএনও এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার তদারকি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
জানা গেছে, গত ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর উপজেলার বিভিন্ন দোকান ও প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে আনা সরকারি সার মজুত এবং বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এতে ১৫টি দোকান থেকে ৯ হাজার ৯০ বস্তা সার জব্দ এবং ৮ জন ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে জব্দ করা সাড়ে ৬ হাজার বস্তা সার বেশি দামে বিক্রির পর স্থানীয় প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়লে ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ ২ হাজার ৫০০ বস্তা সার সরকারি দামে বিক্রি করা হয়। সারগুলোর বেশির ভাগই ইউরিয়া।
কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের স্থানীয়টারী গ্রামের মিজানুর ইসলাম বলেন, ‘আমার নামে সার কেনার কথা লেখা হয়েছে, কিন্তু আমি তো ভ্যান চালাই, সার কিনিনি।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুচলিবাড়ীর ললিতারহাটে মেসার্স সুমন ট্রেডার্সের প্রতিনিধি ফিরোজ হাসান বলেন, ‘জব্দ করা সার কৃষকদের কাছে বাকিতে দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা ৭-৮ মাস পর টাকা দেবে, তাই কিছুটা বেশি দামে দিতে হয়েছে।’
পাটগ্রাম পৌরসভার অন্তর ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বাকিতে সার বিক্রি করলে কিছু দাম বেশি লাগে। টিএসপি নগদে ১ হাজার ৯৫০, বাকিতে ২ হাজার ৩৫০ টাকা; পটাশ নগদে ১ হাজার ১০০, বাকিতে ১ হাজার ৫৫০ টাকা; ডিএপি নগদে ১ হাজার ৪৫০, বাকিতে ১ হাজার ৬৫০ টাকা করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম বলেন, ‘জব্দ সার সরকারি দামে বিক্রি করার কথা ছিল। কিছু জায়গায় অভিযোগ এসেছে, বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যে অনিয়মের কারণে সার জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হলো; জব্দ করা সেই সার বিক্রিতে একই অনিয়ম হলো, এতে কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে কি না, এমন প্রশ্নে ইউএনও উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘সার-সংকট তৈরি করে দাম বেশি নেওয়ার ঘটনায় অসাধু কিছু ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন। তাঁদের শনাক্ত করে অর্থদণ্ড ও সার জব্দ করে সরকারি দরে বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমার পক্ষে তো সব বিক্রয়ের জায়গায় থাকা সম্ভব নয়। বেশি দামে সার বিক্রি প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অপর প্রশ্নে উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘যেসব দোকান থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক সার জব্দ ও জরিমানা করা হয়, কৃষকদের সুবিধার্থে কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে ওই সব দোকান থেকে জব্দ করা সার বিক্রি করা যায়।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ করা সার বিক্রয়ে (কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে) ফের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে জব্দ করা সার সরকারি দরে বিক্রি করতে হবে।
কিন্তু স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, যোগসাজশে এসব সার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, কবে এবং কীভাবে জব্দ করা সার বিক্রি হলো, এ সম্পর্কে তাঁদের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। সার বিক্রিতে স্বচ্ছতার ঘাটতি থাকায় ইউএনও এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার তদারকি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
জানা গেছে, গত ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর উপজেলার বিভিন্ন দোকান ও প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে আনা সরকারি সার মজুত এবং বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এতে ১৫টি দোকান থেকে ৯ হাজার ৯০ বস্তা সার জব্দ এবং ৮ জন ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে জব্দ করা সাড়ে ৬ হাজার বস্তা সার বেশি দামে বিক্রির পর স্থানীয় প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়লে ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ ২ হাজার ৫০০ বস্তা সার সরকারি দামে বিক্রি করা হয়। সারগুলোর বেশির ভাগই ইউরিয়া।
কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের স্থানীয়টারী গ্রামের মিজানুর ইসলাম বলেন, ‘আমার নামে সার কেনার কথা লেখা হয়েছে, কিন্তু আমি তো ভ্যান চালাই, সার কিনিনি।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুচলিবাড়ীর ললিতারহাটে মেসার্স সুমন ট্রেডার্সের প্রতিনিধি ফিরোজ হাসান বলেন, ‘জব্দ করা সার কৃষকদের কাছে বাকিতে দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা ৭-৮ মাস পর টাকা দেবে, তাই কিছুটা বেশি দামে দিতে হয়েছে।’
পাটগ্রাম পৌরসভার অন্তর ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বাকিতে সার বিক্রি করলে কিছু দাম বেশি লাগে। টিএসপি নগদে ১ হাজার ৯৫০, বাকিতে ২ হাজার ৩৫০ টাকা; পটাশ নগদে ১ হাজার ১০০, বাকিতে ১ হাজার ৫৫০ টাকা; ডিএপি নগদে ১ হাজার ৪৫০, বাকিতে ১ হাজার ৬৫০ টাকা করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম বলেন, ‘জব্দ সার সরকারি দামে বিক্রি করার কথা ছিল। কিছু জায়গায় অভিযোগ এসেছে, বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যে অনিয়মের কারণে সার জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হলো; জব্দ করা সেই সার বিক্রিতে একই অনিয়ম হলো, এতে কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে কি না, এমন প্রশ্নে ইউএনও উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘সার-সংকট তৈরি করে দাম বেশি নেওয়ার ঘটনায় অসাধু কিছু ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন। তাঁদের শনাক্ত করে অর্থদণ্ড ও সার জব্দ করে সরকারি দরে বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমার পক্ষে তো সব বিক্রয়ের জায়গায় থাকা সম্ভব নয়। বেশি দামে সার বিক্রি প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অপর প্রশ্নে উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘যেসব দোকান থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক সার জব্দ ও জরিমানা করা হয়, কৃষকদের সুবিধার্থে কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে ওই সব দোকান থেকে জব্দ করা সার বিক্রি করা যায়।’

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে প্রকাশ্যে তোলা হচ্ছে বালু। এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা-বাগান, পাহাড়ি ছড়া, সংরক্ষিত বন ও ফসলি জমি, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে রাস্তাঘাটেরও। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধে
০৭ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল আনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই রদবদলের কথা বলা হলেও থানাগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরোনো ওসিদেরই। তাঁদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহ ২৫ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি শিশু হাসপাতালে নবজাতকের জন্ডিস চিকিৎসায় মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের চারটি ফটোথেরাপি মেশিনের মধ্যে তিনটি গত এক বছর অচল। ফলে সেগুলোর স্থান হয়েছে স্টোর রুমে। মাত্র একটি মেশিনের সাহায্যে হাসপাতালটিতে কোনো রকমে নবজাতকের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পঞ্চগড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত দুটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা বেড়েছে দৃশ্যমানভাবে। কর্মী-সমর্থকদের ব্যস্ততা, গণসংযোগ ও ব্যানার-ফেস্টুনে এখন সরব পুরো জেলা।
৫ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ ২৫ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি শিশু হাসপাতালে নবজাতকের জন্ডিস চিকিৎসায় মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের চারটি ফটোথেরাপি মেশিনের মধ্যে তিনটি গত এক বছর অচল। ফলে সেগুলোর স্থান হয়েছে স্টোর রুমে। মাত্র একটি মেশিনের সাহায্যে হাসপাতালটিতে কোনো রকমে নবজাতকের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ফলে বিনা মূল্যের এই সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা হতদরিদ্র পরিবারের লোকজনকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই কোনো না কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মেশিন-সংকটের কারণে। অনেকে বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে থেরাপি নিচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্র মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় ২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় হাসপাতালটির। এক বছর পর নির্মাণকাজ শেষ হয়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর ২০২০ সালে করোনার সময় চালু হয় হাসপাতালটি। এরপর সরকারি বরাদ্দের দুটি এবং অনুদানের দুটিসহ মোট চারটি ফটোথেরাপি মেশিনে চলছিল নবজাতকদের জন্ডিসের চিকিৎসা। প্রতিদিন চারটি, কখনো একটি মেশিনে দুটি করে শিশু রেখেও সেবা দেওয়া হতো। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটে এক বছর আগে তিনটি মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হলেও নেওয়া হয়নি সেগুলো মেরামতের উদ্যোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নষ্ট মেশিনগুলো হাসপাতালের দুটি স্টোর রুমে ফেলে রাখা হয়েছে। সেগুলো এখন একেবারেই মেরামতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কম ওজন নিয়ে ভর্তি এক শিশুর অভিভাবক অর্থি আহমেদ বলেন, হাসপাতালে মাত্র একটি ফটোথেরাপি মেশিনের কারণে অনেক নবজাতক সেবাবঞ্চিত হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. আলী হাসান ফরিদ জামিল বলেন, ‘৮০-৯০ ভাগ নবজাতকের জন্ডিসের শঙ্কা থাকে। মাত্রা বেশি হলে ফটোথেরাপি দিতে হয়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মস্তিষ্ক দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রতিবন্ধী হওয়ার শঙ্কা থাকে। কিন্তু তিনটি মেশিন নষ্ট থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছি না। প্রতিদিন চার-পাঁচজনকে ফেরত দিতে হচ্ছে।’
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান জানান, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে আগুনের কারণে মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। শিশুদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে নতুন মেশিনের ব্যবস্থা করতে জোরালো চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।

ঝিনাইদহ ২৫ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি শিশু হাসপাতালে নবজাতকের জন্ডিস চিকিৎসায় মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের চারটি ফটোথেরাপি মেশিনের মধ্যে তিনটি গত এক বছর অচল। ফলে সেগুলোর স্থান হয়েছে স্টোর রুমে। মাত্র একটি মেশিনের সাহায্যে হাসপাতালটিতে কোনো রকমে নবজাতকের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ফলে বিনা মূল্যের এই সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা হতদরিদ্র পরিবারের লোকজনকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই কোনো না কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মেশিন-সংকটের কারণে। অনেকে বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে থেরাপি নিচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্র মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় ২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় হাসপাতালটির। এক বছর পর নির্মাণকাজ শেষ হয়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর ২০২০ সালে করোনার সময় চালু হয় হাসপাতালটি। এরপর সরকারি বরাদ্দের দুটি এবং অনুদানের দুটিসহ মোট চারটি ফটোথেরাপি মেশিনে চলছিল নবজাতকদের জন্ডিসের চিকিৎসা। প্রতিদিন চারটি, কখনো একটি মেশিনে দুটি করে শিশু রেখেও সেবা দেওয়া হতো। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটে এক বছর আগে তিনটি মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হলেও নেওয়া হয়নি সেগুলো মেরামতের উদ্যোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নষ্ট মেশিনগুলো হাসপাতালের দুটি স্টোর রুমে ফেলে রাখা হয়েছে। সেগুলো এখন একেবারেই মেরামতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কম ওজন নিয়ে ভর্তি এক শিশুর অভিভাবক অর্থি আহমেদ বলেন, হাসপাতালে মাত্র একটি ফটোথেরাপি মেশিনের কারণে অনেক নবজাতক সেবাবঞ্চিত হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. আলী হাসান ফরিদ জামিল বলেন, ‘৮০-৯০ ভাগ নবজাতকের জন্ডিসের শঙ্কা থাকে। মাত্রা বেশি হলে ফটোথেরাপি দিতে হয়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মস্তিষ্ক দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রতিবন্ধী হওয়ার শঙ্কা থাকে। কিন্তু তিনটি মেশিন নষ্ট থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছি না। প্রতিদিন চার-পাঁচজনকে ফেরত দিতে হচ্ছে।’
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান জানান, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে আগুনের কারণে মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। শিশুদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে নতুন মেশিনের ব্যবস্থা করতে জোরালো চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে প্রকাশ্যে তোলা হচ্ছে বালু। এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা-বাগান, পাহাড়ি ছড়া, সংরক্ষিত বন ও ফসলি জমি, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে রাস্তাঘাটেরও। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধে
০৭ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল আনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই রদবদলের কথা বলা হলেও থানাগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরোনো ওসিদেরই। তাঁদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ করা সার বিক্রয়ে (কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে) ফের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে জব্দ করা সার সরকারি দরে বিক্রি করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পঞ্চগড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত দুটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা বেড়েছে দৃশ্যমানভাবে। কর্মী-সমর্থকদের ব্যস্ততা, গণসংযোগ ও ব্যানার-ফেস্টুনে এখন সরব পুরো জেলা।
৫ ঘণ্টা আগেফাহিম হাসান, পঞ্চগড়

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পঞ্চগড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত দুটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা বেড়েছে দৃশ্যমানভাবে। কর্মী-সমর্থকদের ব্যস্ততা, গণসংযোগ ও ব্যানার-ফেস্টুনে এখন সরব পুরো জেলা। তরুণ ভোটারদের ঘিরে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচনে পঞ্চগড়ের দুটি আসনেই ভোটযুদ্ধ বেশ জমজমাট হতে যাচ্ছে। প্রবীণ রাজনীতিকদের পাশাপাশি তরুণ প্রার্থীরাও মাঠে আছেন। এই দুই আসনে তরুণ ভোটারদেরই ‘কিংমেকারের’ ভূমিকায় দেখা যাবে।
পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা নিয়ে গঠিত পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। তিনি এর আগেও ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। এবারও মাঠে সরব নওশাদ। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবাল হোসাইন গ্রামেগঞ্জে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও ভোটের প্রচারে সক্রিয় রয়েছেন।
এ ছাড়া জাসদ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলন থেকে সাজেদুর রহমান সাজু, গণঅধিকার পরিষদ থেকে মাহাফুজার রহমান এবং খেলাফতে মজলিস থেকে মীর মোর্শেদ তুহিনও প্রচার চালাচ্ছেন।
বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত পঞ্চগড়-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী সফিউল্লাহ সুফি, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আল আমিন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা আসাদুজ্জামান নুর আসাদ, ইসলামী আন্দোলনের কামরুল হাসান প্রধান, এনসিপির শিশির আসাদ, খেলাফতে মজলিসের আবুল কাশেম এবং কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা সভাপতি আশরাফুল ইসলামও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে রয়েছেন। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতা ও গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমুও এ আসন থেকে প্রার্থী হতে চান।
‘কিংমেকার’ তরুণ ভোটার
পঞ্চগড়ের সর্বশেষ হালনাগাদ করা ভোটার তালিকা অনুযায়ী, জেলায় মোট ভোটার ৮ লাখ ৭১ হাজার ৫২৫ জন। এর মধ্যে ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী ভোটার ৬৪ হাজার ৫৫৩ জন, ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৮৭ হাজার ৪৪৮ জন এবং ২৬ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৮০ হাজার ৬৪৭ জন। সব মিলিয়ে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ভোটার ২ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৮ জন, যা মোট ভোটারের প্রায় ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
এই তরুণ ভোটাররাই আসন্ন নির্বাচনে ‘কিংমেকার’। বিশেষ করে যাঁরা প্রথমবার ভোট দিতে যাচ্ছেন, তাঁদের সিদ্ধান্তই ঘুরিয়ে দিতে পারে নির্বাচনের ফল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত ১৫ বছরে এই বয়সসীমার বড় একটি অংশ ভোট দিতে পারেননি বা দেননি। এবার তাঁরাই হতে পারেন সবচেয়ে প্রভাবশালী ভোটারগোষ্ঠী। তাই রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নামছে তরুণদের মন জয়ের কৌশল নিয়ে; উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দলের ৩১ দফা এবং ১৮০ দিনের কর্মসূচির মূল অংশগুলো আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরছি। যেন ভোটাররা বুঝে ভোট দিতে পারে, কারা বাস্তব উন্নয়ন করতে সক্ষম।’
এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘প্রার্থীর ক্লিন ইমেজ থাকা জরুরি। জনগণের জন্য কাজ করার মানসিকতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচিত হলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের উন্নয়ন নিশ্চিত করব। নেতারা জনগণের কাছে যাবেন, জনগণ নয়।’
জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘আমরা জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই মাঠে নেমেছি। জনগণের পাশে থেকে ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পঞ্চগড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত দুটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা বেড়েছে দৃশ্যমানভাবে। কর্মী-সমর্থকদের ব্যস্ততা, গণসংযোগ ও ব্যানার-ফেস্টুনে এখন সরব পুরো জেলা। তরুণ ভোটারদের ঘিরে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচনে পঞ্চগড়ের দুটি আসনেই ভোটযুদ্ধ বেশ জমজমাট হতে যাচ্ছে। প্রবীণ রাজনীতিকদের পাশাপাশি তরুণ প্রার্থীরাও মাঠে আছেন। এই দুই আসনে তরুণ ভোটারদেরই ‘কিংমেকারের’ ভূমিকায় দেখা যাবে।
পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা নিয়ে গঠিত পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। তিনি এর আগেও ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। এবারও মাঠে সরব নওশাদ। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবাল হোসাইন গ্রামেগঞ্জে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও ভোটের প্রচারে সক্রিয় রয়েছেন।
এ ছাড়া জাসদ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলন থেকে সাজেদুর রহমান সাজু, গণঅধিকার পরিষদ থেকে মাহাফুজার রহমান এবং খেলাফতে মজলিস থেকে মীর মোর্শেদ তুহিনও প্রচার চালাচ্ছেন।
বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত পঞ্চগড়-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী সফিউল্লাহ সুফি, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আল আমিন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা আসাদুজ্জামান নুর আসাদ, ইসলামী আন্দোলনের কামরুল হাসান প্রধান, এনসিপির শিশির আসাদ, খেলাফতে মজলিসের আবুল কাশেম এবং কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা সভাপতি আশরাফুল ইসলামও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে রয়েছেন। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতা ও গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমুও এ আসন থেকে প্রার্থী হতে চান।
‘কিংমেকার’ তরুণ ভোটার
পঞ্চগড়ের সর্বশেষ হালনাগাদ করা ভোটার তালিকা অনুযায়ী, জেলায় মোট ভোটার ৮ লাখ ৭১ হাজার ৫২৫ জন। এর মধ্যে ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী ভোটার ৬৪ হাজার ৫৫৩ জন, ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৮৭ হাজার ৪৪৮ জন এবং ২৬ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৮০ হাজার ৬৪৭ জন। সব মিলিয়ে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ভোটার ২ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৮ জন, যা মোট ভোটারের প্রায় ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
এই তরুণ ভোটাররাই আসন্ন নির্বাচনে ‘কিংমেকার’। বিশেষ করে যাঁরা প্রথমবার ভোট দিতে যাচ্ছেন, তাঁদের সিদ্ধান্তই ঘুরিয়ে দিতে পারে নির্বাচনের ফল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত ১৫ বছরে এই বয়সসীমার বড় একটি অংশ ভোট দিতে পারেননি বা দেননি। এবার তাঁরাই হতে পারেন সবচেয়ে প্রভাবশালী ভোটারগোষ্ঠী। তাই রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নামছে তরুণদের মন জয়ের কৌশল নিয়ে; উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দলের ৩১ দফা এবং ১৮০ দিনের কর্মসূচির মূল অংশগুলো আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরছি। যেন ভোটাররা বুঝে ভোট দিতে পারে, কারা বাস্তব উন্নয়ন করতে সক্ষম।’
এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘প্রার্থীর ক্লিন ইমেজ থাকা জরুরি। জনগণের জন্য কাজ করার মানসিকতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচিত হলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের উন্নয়ন নিশ্চিত করব। নেতারা জনগণের কাছে যাবেন, জনগণ নয়।’
জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘আমরা জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই মাঠে নেমেছি। জনগণের পাশে থেকে ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।’

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে প্রকাশ্যে তোলা হচ্ছে বালু। এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা-বাগান, পাহাড়ি ছড়া, সংরক্ষিত বন ও ফসলি জমি, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে রাস্তাঘাটেরও। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধে
০৭ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল আনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই রদবদলের কথা বলা হলেও থানাগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরোনো ওসিদেরই। তাঁদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ করা সার বিক্রয়ে (কৃষি অধিদপ্তরের তদারকিতে) ফের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে জব্দ করা সার সরকারি দরে বিক্রি করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহ ২৫ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি শিশু হাসপাতালে নবজাতকের জন্ডিস চিকিৎসায় মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের চারটি ফটোথেরাপি মেশিনের মধ্যে তিনটি গত এক বছর অচল। ফলে সেগুলোর স্থান হয়েছে স্টোর রুমে। মাত্র একটি মেশিনের সাহায্যে হাসপাতালটিতে কোনো রকমে নবজাতকের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে