নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

শেষ ইচ্ছে ছিল, সিলেটে নিজের প্রতিষ্ঠিত মসজিদ–এতিমখানার পাশে দাফন। অবশেষে সেই ইচ্ছা পূরণ হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হারিছ চৌধুরীর। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। প্রায় তিন বছর আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিচয় গোপন করে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তাঁকে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে তার মেয়ে সামিরার এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে লাশ (দেহাবশেষ) উত্তোলন করা হয়।
আজ রোববার বাদ আসর সিলেটের কানাইঘাটে শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানার পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর কবর স্থানান্তর করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শেষ ইচ্ছে পূরণ হলো এই রাজনৈতিকের।
এর আগে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ নগরীর শাহী ঈদগাহে নিয়ে আসলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনাজাত করা হয়। বক্তব্য দেন–মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী ও তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী।
তারা ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘যারা হারিছ চৌধুরীর লাশ সিলেটের মাটিতে আনতে বাঁধা দিয়েছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হারিছ চৌধুরীর শেষ ইচ্ছেও আল্লাহ পূরণ করেছেন।’
শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন হজরত শাহজালাল দরগাহ মসজিদের খতিব হাফিজ মাওলানা হুজায়ফা হোসাইন। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন শাহী ঈদগাহ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মুমিন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাত আড়াইটায় হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁর মেয়ে ও স্বজনরা। সকাল সাড়ে ৯টায় তারা সিলেট সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান। পরে সেখানে প্রশাসন, বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মিফতাহ সিদ্দীকি ও আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সালেহ আহমদ খসরু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে তার পরিচয় গোপন করে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। ৫ আগস্টের পর তার মেয়ে সামিরার এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।

পরে লাশের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডি নমুনা সংগ্রহ করে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে লাশটি হারিছ চৌধুরীর বলে পরিবারকে নিশ্চিত করা হয়। এর পর ২০ ডিসেম্বর তাঁর মেয়ে ও স্বজনদের উপস্থিতিতে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাজরিনের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শেষ ইচ্ছে ছিল, সিলেটে নিজের প্রতিষ্ঠিত মসজিদ–এতিমখানার পাশে দাফন। অবশেষে সেই ইচ্ছা পূরণ হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হারিছ চৌধুরীর। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। প্রায় তিন বছর আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিচয় গোপন করে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তাঁকে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে তার মেয়ে সামিরার এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে লাশ (দেহাবশেষ) উত্তোলন করা হয়।
আজ রোববার বাদ আসর সিলেটের কানাইঘাটে শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানার পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর কবর স্থানান্তর করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শেষ ইচ্ছে পূরণ হলো এই রাজনৈতিকের।
এর আগে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ নগরীর শাহী ঈদগাহে নিয়ে আসলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনাজাত করা হয়। বক্তব্য দেন–মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী ও তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী।
তারা ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘যারা হারিছ চৌধুরীর লাশ সিলেটের মাটিতে আনতে বাঁধা দিয়েছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হারিছ চৌধুরীর শেষ ইচ্ছেও আল্লাহ পূরণ করেছেন।’
শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন হজরত শাহজালাল দরগাহ মসজিদের খতিব হাফিজ মাওলানা হুজায়ফা হোসাইন। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন শাহী ঈদগাহ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মুমিন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাত আড়াইটায় হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁর মেয়ে ও স্বজনরা। সকাল সাড়ে ৯টায় তারা সিলেট সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান। পরে সেখানে প্রশাসন, বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মিফতাহ সিদ্দীকি ও আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সালেহ আহমদ খসরু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে তার পরিচয় গোপন করে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। ৫ আগস্টের পর তার মেয়ে সামিরার এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।

পরে লাশের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডি নমুনা সংগ্রহ করে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে লাশটি হারিছ চৌধুরীর বলে পরিবারকে নিশ্চিত করা হয়। এর পর ২০ ডিসেম্বর তাঁর মেয়ে ও স্বজনদের উপস্থিতিতে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাজরিনের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৯ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
২ ঘণ্টা আগে