Ajker Patrika

পুরোনো সিলিন্ডারের নির্গত গ্যাসে একজনের মৃত্যু, অসুস্থ ১৪ 

নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢামেক প্রতিবেদক 
আপডেট : ১১ জুন ২০২৪, ১৫: ২৭
পুরোনো সিলিন্ডারের নির্গত গ্যাসে একজনের মৃত্যু, অসুস্থ ১৪ 

রাজধানীর আদাবর এলাকার শ্যামলী হাউজিংয়ের দ্বিতীয় প্রকল্পে বেড়িবাঁধসংলগ্ন একটি ভাঙরির দোকানে পুরোনো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত গ্যাস। এতে মো. কবির হোসেন নামে এক যুবককে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাঁর মৃত্যু হয়। 

এ ছাড়া গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আরও ১৪ জন অসুস্থ হয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। তার মধ্যে ৯ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন, বাকি পাঁচজন চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক থাকলেও ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল। 

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ শফিউর রহমান বলেন, ‘৯ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। পাঁচজন এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন ৷ মোট ১৪ জন রোগী এসেছিলেন। আমরা ধারণা করছি, কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ 

নিহত কবির লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত শফিউল্লাহর ছেলে। বর্তমানে আদাবর এলাকায় মামাতো ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। নিহতের মামাতো ভাই রুহুল আমিন বলেন, ‘কবির গত কয়েক দিন আগে ঢাকায় আমার বাসায় বেড়াতে আসে। আজ সকালের দিকে আদাবর বেড়িবাঁধে হাঁটতে বেরিয়েছিল। এমন সময় একটি ভাঙারির দোকানের পাশের মূল সড়কে কয়েকটি কেমিক্যালের ড্রাম, সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাসে পথচারীদের কয়েকজন অসুস্থ হয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে। আমার ভাইও এই গ্যাসের গন্ধে অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান আমার ভাই আর বেঁচে নেই।’ 

আজ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আদাবর থানার শ্যামলী হাউজিং বেড়িবাঁধের ওপরে একটি পুরোনো সিলিন্ডার পড়ে আছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও সেটি থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। বের হওয়া গ্যাসের ঝাঁজালো গন্ধে সেখানে দাঁড়ানো যাচ্ছিল না। 

স্থানীয় আল আমীন নামে এক যুবক বলেন, বেড়িবাঁধের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কালুর ভাঙারি দোকানে এই সিলিন্ডারটি ভাঙার সময় হঠাৎ গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে আশপাশের টিনশেড বাসায় ঘুমিয়ে থাকা অর্ধশত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার কারণে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসেছেন স্মার্ট টেকনোলজি নামের একটি গ্যারেজ ম্যানেজার আবুল হাশেম। তিনি বলেন, শ্যামলী হাউজিং দ্বিতীয় প্রকল্পের বেড়িবাঁধের পাশেই 
স্মার্ট টেকনোলজির গাড়ির গ্যারেজ ও পরিবহনকর্মীদের থাকার জায়গা। এখানে অন্তত ২৫ জন বিভিন্ন রুমে ঘুমিয়ে ছিল। রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ বিষাক্ত গ্যাসের গন্ধে ঘুমের মধ্যেই অসুস্থতা বোধ করি। দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে দেখি অনেকেই আমার মতো ছটফট করছে। কেউ দৌড়ে রাস্তায় বের হয়েছে। কেউ রুমের সামনেই অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝাঁজালো গন্ধে নাক পুড়ে যাচ্ছিল। সেই সঙ্গে তীব্র মাথা ঘোরানি আর নাড়িভুঁড়ি উলটে বমি আসছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসুস্থদের মধ্যে আছেন রুহুল আমিন, রাকিব (২৮), ওয়াদুদ (৬০), মন্নান (৫৫), সিরাজ (৬০), জাহিদ (২৫), রাহিম (২২), মেহেদী (২২), রকি (২৪)। তারা স্মার্ট টেকনোলজির কর্মী। এ ছাড়া স্থানীয় অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। 

যে ভাঙ্গারির দোকানের পুরোনো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত সেই দোকানের মালিকের নাম কালু। ঘটনার পর থেকে কালুসহ অন্য দোকান কর্মচারীরা পালাতক আছেন ৷ আবুল হাসেম নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, বেড়িবাঁধের ওপরে ভাঙ্গারি দোকান আছে। ওখানে রাতেও কাজ চলছিল। আমাদের রাতের নিরাপত্তা কর্মী দেখছে একটি ট্রাকে করে ভাঙ্গারি আনা হয়। এই ট্রাক চলে যাওয়ার কিছু সময় পরই এই গ্যাস ছড়াতে থাকে। তখন দোকানের লোকজন সব ফেলে পালায়।

এ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এই ঘটনায় অসুস্থদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিলিন্ডারে কি ধরনের গ্যাস রয়েছে সেটি জানতে সিআইডিকে খবর দেওয়া হয়েছে। একটি ভাঙ্গারি দোকানে সবাই পলাতক। আমরা কাজ করছি। এই ঘটনায় একজন নিহত আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা, আটক ১

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুর সদরের কুনিয়ারহাট এলাকায় ঘরে ঢুকে জাহিদ শেখ (৪০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ বুধবার উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ একই এলাকার জবেদ শেখের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিকমিস্ত্রি। অপর দিকে আটক সজিব শেখ আব্দুল্লাহ রাজৈর উপজেলার বাজিতপুরের মাচ্চর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে নিজ ঘরে কাজ করছিলেন জাহিদ শেখ। এ সময় হঠাৎ সজিব শেখ নামের এক যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই জাহিদকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেন।

এ সময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় বাসিন্দারা সজিবকে ধাওয়া করে আটক করেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ নিহত জাহিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ ও পরিবারের লোকজন।

মীর জামাল সরদার নামের নিহত জাহিদের এক স্বজন বলেন, ‘কী কারণে জাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা আমরা জানি না। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

নিহত জাহিদের মামা মোয়াজ্জেম মাতুব্বর বলেন, ‘ঘরে কাজ করা অবস্থায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে আমার ভাগনেকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও জড়িতের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফারিহা রফিক ভাবনা বলেন, ইলেকট্রিকমিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক সজিব শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যার কারণ ও ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠনের দেশবিরোধী পোস্টার, ৫ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী আটক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে পাঁচজন আটক। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে পাঁচজন আটক। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের দেশবিরোধী পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বুধবার শহরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে রংপুরগামী একটি মিনিবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

এর আগে শহরের কলেজ মোড় ও জেলা পরিষদ ভবনের ফটকে ‘খোলাচিঠি’ শিরোনামে নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টার লাগানোর পর তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে পুলিশ।

কুড়িগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটক শিক্ষার্থীরা হলেন রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী জাবের আল রাফিয়ান (৩০), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাকিবুল হাসান (২৪) ও শামীম হোসেন (২৫), ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ফাহমিদ হাসান (৩৪) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) মাহমুদুর রহমান (২৫)।

ডিবি সূত্র জানায়, আজ দুপুরে শহরের কলেজ মোড়সহ একাধিক জায়গায় ‘খোলাচিঠি’ শিরোনামে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের পোস্টার সাঁটানো হয়। এই সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামেন পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।

পরে খলিলগঞ্জ বাজারসংলগ্ন স্থান থেকে রংপুরগামী একটি মিনিবাসের গতিরোধ করে বাসে থাকা সন্দেহভাজন পাঁচ তরুণকে আটক করা হয়। এর পরপরই পুলিশ সদস্যদের সাঁটানো পোস্টার তুলে ফেলতে দেখা গেছে।

সূত্র আরও জানায়, পোস্টার লাগানোর স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই তরুণদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা ঢাকা থেকে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রচারণার কাজ করছিলেন।

আটক তরুণদের বাড়ি যশোর, ঢাকা, লক্ষ্মীপুর, নাটোর ও মাদারীপুর জেলায়। তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীরের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে পাঁচ তরুণকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পোস্টার লাগানোর দায় স্বীকার করেছেন। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত তরুণদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩৫তম প্রয়াণ দিবস: নতুন প্রজন্মের কাছে কমরেড মণি সিংহের সংগ্রাম ও আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি 
কমরেড মণি সিংহের স্মরণে র‍্যালি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কমরেড মণি সিংহের স্মরণে র‍্যালি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা কমরেড মণি সিংহের ৩৫তম প্রয়াণ দিবস আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।

আজ সকাল থেকে স্থানীয় টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে কমরেড মণি সিংহের প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোক র‍্যালি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে আলোচনা সভা। সভায় টংক আন্দোলনের মহানায়ক, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মণি সিংহের সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান বক্তারা।

আলোচনা সভায় কমরেড মণি সিংহ মেলা উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক দিবালোক সিংহ সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম। সভায় কমরেড মণি সিংহের জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে নিয়ে আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. তাইয়েবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, মেলা উদ্‌যাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অজয় সাহা, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও মেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন মুকুল, সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর, উদীচী দুর্গাপুর উপজেলা সংসদের সভাপতি শামছুল আলম খান, কমরেড মণি সিংহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাকি খন্দকার, মেলা কমিটির সদস্য শফিউল আলম স্বপন, কবি বিদ্যুৎ সরকারসহ ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন ও ক্ষেতমজুর সমিতির নেতারা।

আলোচনার শুরুতে দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯২৮ সালে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে কেশরাম কটন মিলে শ্রমিকদের ১৩ দিনব্যাপী ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিয়ে দাবি আদায়ের মধ্য দিয়ে কমরেড মণি সিংহ তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম সফলতা অর্জন করেন। ১৯৩০ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৩৭ সালের নভেম্বরে কারামুক্ত হয়ে সুসং-দুর্গাপুরে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে কৃষকদের সংগঠিত করে টংক প্রথার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।

বক্তারা আরও বলেন, ১৯৪৫ সালে নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কিষান সভার মহাসম্মেলনে কমরেড মণি সিংহ অন্যতম সংগঠক ও অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সারা জীবন তিনি মেহনতি মানুষের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী রাজনীতি করে গেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

উল্লেখ্য, কমরেড মণি সিংহ ১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটে টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় আটক ১৬

সিলেট প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই টিলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন খায়েরগাঁওয়ের মো. বাছিরের ছেলে মো. মাহমুদুল (২১), মো. ফসিউদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. সাকিবুল হাসান (১৯), দক্ষিণ রাজনগরের মো. শামসুল হকের ছেলে মো. লালন (২০), বাবুল নগরের হাফিজ আশরাফ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২), চিকাডহরের ইকরাম আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (৩৬), জালিয়ারপাড়ের আব্দুল খালিকের ছেলে মো. কামরুল (২৫), ধুপরীরপাড়ের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৭), পাড়ুয়া মাঝপাড়ার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. আবু বক্কর (২২), মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে মো. শফিক মিয়া (৪২), মো. রুহুল আমিন (৩০), ধনাই মিয়ার ছেলে মো. আখতার মিয়া (২৮), মো. আবু বক্করের ছেলে মো. শরিফ উদ্দিন (১৯), মুহাম্মদ সুলতান উদ্দিন (২২), দক্ষিণ কালীবাড়ির ময়না মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (৩০), চিকাডহর গ্রামের মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে মোহাম্মদ লাল মিয়া (২৮) ও ভোলাগঞ্জের মৃত আব্দুল মুতালিবের ছেলে মো. আল আমীন হোসেন (৩২)।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করার দায়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত