Ajker Patrika

সিলেটের ৩৬ ইউনিয়নে পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ

লবীব আহমদ, সিলেট
আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, ২১: ০৩
সিলেটের ৩৬ ইউনিয়নে পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের পাঁচটি উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। প্রতিটি উপজেলারই অবস্থা বেহাল। আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র ও বাড়িতে দিন গুনছেন মানুষজন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছেন। এখানকার বেশির ভাগ এলাকার ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকের ঘরের ভেতরে কোমর সমান পানি আবার অনেকের ঘর একেবারে ডুবে গেছে। 

প্রধান সড়কগুলোতে পানি উঠে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মানুষজন কোথাও বের হতে পারছেন না। নষ্ট হচ্ছে ঘরবাড়ির মালামাল। অনেকে ঘরের মালামাল রেখে আশ্রয়কেন্দ্রেও যাচ্ছেন না। ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়াতে রান্নাবান্নারও সুযোগ নেই। নেই শুকনো খাবারও। 

মানুষের বাড়িঘরে দ্রুত পানি ঢুকে পড়ায় অনেক মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। পর্যাপ্ত নৌকার অভাবে আশ্রয়কেন্দ্রেও অনেকে যেতে পারছেন না। আর নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। 

গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়েও পড়েছেন বেকায়দায়। বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মানুষ। বর্তমানে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে এক অসহায়ত্ব বিরাজ করছে ওই সব উপজেলার প্রায় ৩৬টি ইউনিয়নে। এর মাঝে বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্কের কারণে মানুষজন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। দু-তিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শহরে বা প্রবাসে থাকা আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে না পেরে ছটফট করছেন। 

গোয়াইনঘাটের পূর্বনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। ছবি: আজকের পত্রিকা গতকাল বুধবার রাতে জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেকের ঘরবাড়ি ডুবে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে। যার কারণে মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাইলে মধ্যরাতে পর্যাপ্ত নৌকার অভাবে যেতে পারেননি। পরে সকালে অনেকে যান। আর গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নই প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকার মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নই প্লাবিত হয়েছে। মানুষজন ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পর্যটন কেন্দ্রের ১০০টি নৌকা রয়েছে মানুষজনকে উদ্ধারের জন্য।

কানাইঘাট উপজেলার একটি ইউনিয়ন বাদে বাকি আটটি ইউনিয়নের মানুষজন পানিবন্দী রয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষজন উঠেছেন। তবে কোনো প্রকার হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

আর জকিগঞ্জে ভারতের বরাক নদী দিয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর কয়েকটি স্থানে ডাইক ভেঙে চারটি ইউনিয়নের অন্তত ৪০–৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেখানে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং মানুষজনও সেখানে আছেন। 

এদিকে জেলার পাঁচটি উপজেলায় (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ) সমহারে ২০০ বস্তা করে ১ হাজার বস্তা শুকনো খাবার, ১৫ টন করে ৭৫ টন চাল, ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া জেলার ৫ হাজার ৬০১ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যার পানি। ছবি: আজকের পত্রিকা ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিলেট জেলায় মোট ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যর গোয়াইনঘাট ৫৬টি, জৈন্তাপুর ৪৮, কানাইঘাট ১৮, কোম্পানীগঞ্জ ৩৫ ও জকিগঞ্জ ৫৮টি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় শাখা, আইসিটি শাখা) মো. ওমর সানী আকন। 

পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারে প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী। প্রয়োজন হলেই তারা তৎপরতা শুরু করবে বলে জানান সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন। 

পানি বাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথরসহ জেলার অনেক পর্যটনকেন্দ্র। এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত রাতেও প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, আজ বেলা ৩টার দিকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৪ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এখানে বিপৎসীমা ধরা হয় ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারার শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ হলেও ১৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার, অমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ হলেও ১৭ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার, সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ হলেও ১৩ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার, সারি-গোয়াইনের গোয়াইনঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮২ হলেও ১১ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, ধলাই নদের ইসলামপুর পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১০ দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত) চেরাপুঞ্জিতে ৬৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার কারণে সিলেটের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ২ সেন্টিমিটার করে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতির কবে উন্নতি ঘটবে, সেটা বলা যাচ্ছে না। 

গোয়াইনঘাটে বন্যা পরিস্থিতি। ছবি: আজকের পত্রিকা জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফসানা তাসলিম জানান, সকাল থেকেই পানি বাড়ছেই। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। কুশিয়ারার অমলশীদ পয়েন্টে কাল থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার্তদের জন্য ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে এবং ২০-২৫টি পরিবার সেখানে উঠেছেন। 

গোয়াইনঘাট ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার ৭০ ভাগের বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৫৬ জন মানুষ ও ৬৪৫টি গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আবাদি জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত। ৩৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত মোট পরিবার সংখ্যা ৪২ হাজার ৯০০টি পরিবারের ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫০ জন মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। 

কোম্পানীগঞ্জ ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, উপজেলার প্রায় ছয়টি ইউনিয়নই প্লাবিত হয়েছে। মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে নৌকা রয়েছে। 

জৈন্তাপুর ইউএনও উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, ‘রাতের অবস্থা ছিল খুবই ভয়াবহ। এখন দিনে পানি একটু কমতে শুরু করলেও আবারও শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যার কারণে পানি আর ততটা কমছে না, এবং পরিস্থিতির উন্নতিও হয়নি। মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি নিকটস্থ আত্মীয়স্বজনের নিরাপদ উঁচু স্থাপনাতেও আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা যতটা সম্ভব সব জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। জেলা থেকে পাওয়া ত্রাণ ছাড়াও আমরা ঢাকা এবং অন্যান্য জায়গা থেকে ত্রাণ এনে সব মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’

কানাইঘাট ইউএনও ফারজানা নাসরীন বলেন, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৮টি ইউনিয়নই প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষজন উঠেছেন। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। যত সময় যাচ্ছে, অবস্থা ততই বেহাল হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ওরফে দাঁতভাঙা কবিরকে ফের ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

৭ দিনের রিমান্ড শেষে বিকেলে কবিরকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৬ ডিসেম্বর কবিরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

কবির পটুয়াখালী সদরের টিটকাটা এলাকার মৃত মোজাফফরের ছেলে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নবোদয় হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করতেন। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় করে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুই জনের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।

হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হলে গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

এ মামলায় ফয়সাল করিমের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে গ্রেপ্তারের পর দুই দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাঁরা এখনো পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন। প্রধান আসামি ফয়সালকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমও দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে রয়েছেন।

ফয়সালকে রেন্ট এ কারের মাইক্রোবাসে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার নুরুজ্জামান কারাগারে রয়েছেন। ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির ও মা হাসি বেগম ফয়সালকে পালাতে সহযোগিতার কথা স্বীকার করে গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী লিজন (২৭) নামের এক নির্মাণশ্রমিক মারা গেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লিজন মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক রাকিবুল গুরুতর আহত হয়েছেন। সম্পর্কে তাঁরা মামা-ভাগনে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকেরা।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবীর জানান, আজ সকালে মেহেরপুর-আশরাফপুর গ্রামের সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মেহেরপুর শহরের দিকে আসছিলেন লিজন ও রাকিবুল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান মোটরসাইকেল আরোহী লিজন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা মোটরসাইকেলচালক রাকিবুল ইসলামকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে রামেক হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

ওসি আরও জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লিজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
হুমকি পাওয়া সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হুমকি পাওয়া সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন নেতা হত্যার হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁরা শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

হুমকি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মৌলভীবাজারের দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. এহসানুল হক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ শ্রীমঙ্গল শাখার সভাপতি মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ শ্রীমঙ্গল শাখার আহ্বায়ক নাঈম হাসান, মৌলভীবাজার জেলা এনসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিলয় রশিদ, জেলা এনসিপির সদস্য হায়দার আলী ও নাঈম।

জিডিতে বলা হয়, গত রোববার বেলা ১টা ২৯ মিনিটের দিকে ‘নো ক্যাপশন’ ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জার থেকে জুলাই যোদ্ধা মো. মুজাহিদুল ইসলামকে হত্যা ও লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অন্যদের নামও লিস্ট করে দেওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ও আমার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডি, মেসেঞ্জার ও কমেন্টে নিয়মিত ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে। এ বিষয়ে আমরা ছয়জন শ্রীমঙ্গল থানায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে থানার ওসিকে জানালে জিডি করার পরামর্শ দেন। আমরা জিডি করেছি। এ ঘটনায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।’

সাংবাদিক এহসানুল হক জানান, সংবাদ প্রকাশের জেরে এর আগেও একাধিকবার হুমকি ও আক্রমণের শিকার হয়ে জিডি করেছেন তিনি। এখন নতুন হুমকি পেয়ে তিনি ও তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘একটি সাধারণ ডায়েরি নেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য ও স্ক্রিনশট যাচাই করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকবে ‘স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন’, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে চুক্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিস

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর আশপাশ এলাকায় অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অভ্যন্তরে একটি ‘স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন’ স্থাপন করা হবে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে জনবল, গাড়ি-পাম্প ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ মোতায়েন থাকবেন। এর ফলে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এইচআরডি-১ এর যুগ্ম পরিচালক মো. রিয়াদ ফারজান্দ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: মো. নিয়ামুল কবির, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. ফারুক হাওলাদার, পরিচালক (সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট) ; মো. জবদুল ইসলাম, পরিচালক (এইচআরডি-১)।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; মো. মামুনুর রশিদ, উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; কাজী নজমুজ্জামান, সহকারী পরিচালক।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানিয়েছে, এই উদ্যোগের ফলে রাষ্ট্রীয় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুসংহত হলো। বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকা হিসেবে পরিচিত মতিঝিলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় এই স্যাটেলাইট স্টেশনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত