Ajker Patrika

ইউএনও, পিআইওর সইয়ে জব্দ পাথর লুট

  • দুই জিম্মাদার, পুলিশ ও প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকার পাথর লুট।
  • জব্দ করা পাথর আগেই লুট হয়ে যাওয়ায় বিএমডির দরপত্রে অংশ নেয়নি কেউ।
  • পাথর লুটের বিষয়টি জানার প্রায় ১৫ দিন পর অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা।
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট 
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবৈধভাবে উত্তোলন করা পাথর জব্দ হয়েছিল টাস্কফোর্সের অভিযানে। কিন্তু পরে পাথরগুলো লুটে নেয় একটি চক্র। ছবি: সংগৃহীত
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবৈধভাবে উত্তোলন করা পাথর জব্দ হয়েছিল টাস্কফোর্সের অভিযানে। কিন্তু পরে পাথরগুলো লুটে নেয় একটি চক্র। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয়দের মাধ্যমে লুটপাট করা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স। প্রায় তিন কোটি টাকার পাথর পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেআইনিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) লিখিত অনুমোদন দেখিয়ে দিনদুপুরে বিক্রি করা হয় এসব পাথর। অভিযোগ উঠেছে, জিম্মাদার দুই ইউপি সদস্য, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনের ছত্রচ্ছায়ায় এসব পাথর লুট হয়েছে। তবে সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে। জব্দের ৪৬ দিন পর পাথর নিলামের দরপত্র আহ্বান করে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিএমডি ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র ক্রয় এবং ৮ জানুয়ারি জমাদানের শেষ তারিখ ধার্য করে। কিন্তু জব্দ করা পাথর আগেই লুট হয়ে যাওয়ায় দরপত্রে অংশ নেননি কেউ। পাথর লুটের বিষয়টি জানার প্রায় ১৫ দিন পর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সিলেটের বিছনাকান্দি কোয়ারি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিপুল পাথর লুট করে এলাকার বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও সড়কের পাশে মজুত করে রাখেন। খবর পেয়ে গত ৩ নভেম্বর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স বিছনাকান্দি, আনফরেরভাঙ্গা নামক এলাকাসহ হাদারপার ও বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৯ ঘনফুট পাথর জব্দ করে। এই পাথর স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন ও পাপলু মিয়ার জিম্মায় রাখা হয়। পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চারজন চৌকিদার। এত শক্ত পাহারা ডিঙিয়ে প্রভাবশালী চক্র দিনরাতে প্রকাশ্যে পাথর নিয়ে যেতে শুরু করে। ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে বারবার জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। চৌকিদার তেরা মিয়া ও বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘হুমকি-ধমকির মধ্যে আছি। এখনো একটা টাকাও পাইনি। খুবই যন্ত্রণার মধ্যে আছি। এলজিইডির কাজে নিয়োজিত ব্যানার লাগানো গাড়িতে করে পাথর নিয়ে গেছে। আটকাইলে ইউএনও, পিআইওর অনুমতিপত্র দেখাইছে।’

জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দ ও ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউএনও বরাবর পৃথক লিখিত আবেদন করে। এতে বলা হয়, বর্তমানে ভারত থেকে এলসি পাথর সরবরাহ বন্ধ। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৫টি করে বক্স কালভার্টের জন্য ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৩০ হাজার ঘনফুট বালু স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা প্রয়োজন। ইউএনও আবেদন দুটিই পিআইওকে ফরওয়ার্ড করেন। পরদিন পিআইও দুটি আবেদনে বালু-পাথর পরিবহনে দুটি ট্রাকের নম্বরসহ অনুমোদন করেন।

ইউসুফ এন্টারপ্রাইজের গোলাম রহমানী চৌধুরীর মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দের স্বত্বাধিকারী সন্তোষ বলেন, ‘ইউএনও-পিআইওর অনুমতি নিয়ে অভিযানের আগে শামীম ভাইয়ের মিল থেকে ২ হাজার ঘনফুট পাথর নিয়েছি। পরে অভিযান হওয়ায় আর আনতে পারিনি।’ মিলমালিক শামীম বলেন, ‘অভিযানের পরে আমরা কোনো পাথর ভাঙিনি। কাউকে দিইওনি। এসব মিথ্যা কথা।’

এদিকে ১ জানুয়ারি এসি ল্যান্ড বরাবর ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন লিখিত ও মৌখিকভাবে অব্যাহতি নেন ইউপি সদস্য পাপলু মিয়া। এরপর দুই ইউপি সদস্যকে দিয়ে ১৭ জানুয়ারি ৬০-৬৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬২-৭০ হাজার ঘনফুট পাথর চুরি হয়েছে দাবি করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়।

ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, ‘২০ দিন বিভিন্ন সময় ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে চুরি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইউএনও, পিআইওর অনুমোদনের কাগজ দেখিয়ে শামীমের মিলে ভাঙিয়ে ১৫ হাজারের জায়গায় ২০-২৫ হাজার ঘনফুট করে পাথর নিয়েছে। সবকিছুর প্রমাণ রয়েছে। চুরি ঠেকাতে না পেরে ২ জানুয়ারি জিম্মাদারি অব্যাহতির এবং ৯ জানুয়ারি মামলার আবেদন করি। বর্তমানে ৪-৫ হাজার ঘনফুট পাথর অবশিষ্ট আছে।’

লুটপাটের খবর জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে গোয়াইনঘাটের এসি ল্যান্ড সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘পাথর চুরির খবর পেয়ে বিএমডিকে জানানো হয়েছে।’

অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে পিআইও শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ বলেন, ‘আমরা শুধু পরিবহনের অনুমতি দিয়েছি। সব জায়গায় তো বন্ধ না। কোনো না কোনো জায়গা থেকে তো কিনবে। সেটা পরিবহনে যেন বাধা না হয়।’

গোয়াইনঘাটের তৎকালীন ইউএনও, বর্তমানে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আবেদন বা মালপত্র পরিবহনের বিষয়টি যাচাই-বাচাইয়ের জন্য পিআইওর কাছে ফরওয়ার্ড করেছি। ফরওয়ার্ড করার মানে অনুমোদন করা নয়। লুটপাটের খবর পেয়ে আমরা পুলিশ-বিজিবিকে বলেছি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’

গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল বলেন, ‘পাথর চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লুটপাটের সঙ্গে পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘ইউএনও তো অনুমোদন দেননি, শুধু পিআইওর কাছে দিছেন। পিআইও নিচে একটা আদেশ লিখে দিছে।’ পরে তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

বিএমডির পরিচালক (খনি ও খনিজ) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যদি এ রকম কোনো কাগজপত্র আপনাদের কাছে থাকে, আমাকে দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা ডিসিকে বলব বিভাগীয় মামলা করার জন্য। প্রয়োজনে আবার আমরা নিলাম করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উত্তরায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু, মা-ভাইসহ আহত ৩

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।

আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।

রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হামলা-ভাঙচুরকারীরা হাদির আদর্শের অনুসারী হতে পারে না: কনকচাঁপা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।

ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’

ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেল অটোরিকশা, শিশু নিহত

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
দুর্ঘটনায় অটোরিকশাটির কিছু অংশ ভেঙে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনায় অটোরিকশাটির কিছু অংশ ভেঙে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তানিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাস্তার মাথা গ্রামের মনোহর আলমের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বড় ভেওলার ঈদমনি এলাকায় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন অটোরিকশায় থাকা শিশু তানিয়া ও তার মা-বাবাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মরদেহ তার পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। ওই শিশুর পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
জান্নাত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জান্নাত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দায়ের কোপে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম জান্নাত হোসেন (২৭)। তিনি নয়ানগর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়ানগর গ্রামের শাহিন রাঢ়ির দুই ছেলে তারেক ও রিয়াদের মধ্যে অনেক দিন ধরে ঝগড়া চলছে। আজ সকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে ফের ঝগড়া শুরু হলে তা থামাতে প্রতিবেশী যুবক জান্নাত হোসেন ঘটনাস্থলে যান। এ সময় দুই ভাইয়ের হাতেই ধারালো দা ছিল। একপর্যায়ে রিয়াদ তাঁর ভাই তারেককে লক্ষ্য করে দা দিয়ে কোপ দিতে গেলে তা জান্নাত হোসেনের শরীরে লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে গজারিয়ার হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারিয়া মোস্তারি বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে জান্নাত হোসেনকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছি।’

এদিকে নিহত জান্নাত হোসেনের ভাগনি সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘তারেক ও রিয়াদ নেশাগ্রক্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতে তারা চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে। পরিকল্পিতভাবেই তারা আমার মামাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত